বুড়ো-আংলা টম

বুড়ো-আংলা টম

এক গরিব চাষী শীতের এক সন্ধ্যায় তার ঘরে আগুনের ধারে বসে আছে আর তার বৌ বসে চরকায় সুতো কাটছে। আগুনে একটা খোঁচা দিয়ে চাষী বললে— বড় দুঃখের কথা আমাদের ছেলে হল না। আমাদের ঘর কি রকম চুপচাপ, আর অন্য লোকের ঘর দেখ— সেখানে কত গোলমাল, কত আনন্দ!

চাষী-বৌ নিশ্বাস ফেলে বললে —ঠিক। একটি ছেলেও যদি হত, এমনকি বুড়ো আঙুলের মত এতটুকু একটি, তাহলেও আমার প্রাণ জুড়োতো। প্রাণের চেয়েও তাকে আমরা ভালোবাসতুম।

এর কিছুদিন পরেই তাদের একটি ছেলে হল। ছেলেটি স্বাস্থ্যবান, গায়েও জোর কিন্তু মাথায় বুড়ো আঙুলের চেয়ে উঁচু হল না। তারা বললে— আমাদের ইচ্ছা পূর্ণ হয়েছে। যতই ছোট হোক ওকে আমরা প্রাণ দিয়ে ভালোবাসব। ঐটুকু খুদে হয়েছে বলে তার নাম দিল তারা বুড়ো আংলা টম।

ছেলেটির কোনো অভাবই তারা রাখলে না। কিন্তু সে আর বাড়ল না, যতটুকু হয়ে জন্মেছিল তা-ই রয়ে গেল। তবু তার বুদ্ধিও যেমন বাড়ল ক্ষিপ্রতাও তেমনি। আর এটা-ওটা-সেটা করতেও পারত তাই।

একদিন চাষী যখন কাঠ কাটতে বনে যাবার জন্যে তৈরি হচ্ছে সে নিজের মনে বললে— যদি আমার ঘোড়ায় টানা গাড়িটা নিয়ে আসবার কেউ থাকত তো বেশ হত!

বুড়ো আংলা টম বললে— বাবা! আমি নিয়ে যাব। তুমি এগিয়ে যাও। আমি ঠিক সময়ে গাড়ি নিয়ে হাজির হব।

চাষী হেসে বললে— তা কী করে হয়? তুই এত ছোট্ট যে ঘোড়ার লাগামই ধরতে পারবি না।

টম বললে— তাতে কী? মা যদি ঘোড়ায় জিনটা পরিয়ে দেয় তাহলে আমি তার কানের উপর বসে তাকে বলে বলে ঠিক জায়গায় নিয়ে যেতে পারব।

বাপ বললে— বেশ, দেখা যাক এবারকার মত।

সময় হতে মা ঘোড়ায় জিন পরিয়ে বুড়ো আংলা টমকে ঘোড়ার কানের উপর বসিয়ে দিলেন। তখন সে বলতে বলতে চলল— হ্যাট্‌ হ্যাট্‌, পর্‌র্‌! ঘোড়া চলল। ঠিক বনের পথেই চলল। মনে হতে লাগল যেন তার প্রভু চাষীই তাকে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। একবার এক রাস্তার মোড়ে গাড়িটা যখন ঘুরছে, সেখান দিয়ে তখন দুজন পথিক যাচ্ছিল।

একজন বললে— ব্যাপারখানা কী? ঘোড়ায় গাড়ি টেনে নিয়ে চলেছে! কে যেন হুকুম দিচ্ছে ঘোড়াকে, অথচ কাউকে তো দেখা যাচ্ছে না?

অন্য পথিক বললে— নাঃ, এর মধ্যে একটা কিছু আছে! চল দেখি গাড়িটা যায় কোথায়?

গাড়ি গভীর বনের মধ্যে গিয়ে ঢুকল। যেখানে চাষী কাঠ কাটছিল ঠিক সেইখানে গিয়ে থামল।

বাপকে দেখতে পেয়ে বুড়ো আংলা টম বললে— দেখছ বাবা, কেমন গাড়ি নিয়ে এলুম! আমাকে এবারে নামাও। চাষী বাঁ হাতে ঘোড়া ধরে ডান হাতে তার কান থেকে বুড়ো আংলা টমকে নামিয়ে নিলে। বুড়ো আংলা খড়ের গাদার উপর গিয়ে বসতে পথিক দুজন তাকে বেশ স্পষ্ট দেখতে পেলে। তখন তাদের আর মুখে কথা সরে না।

তাদের মধ্যে পরামর্শ হল, এই খুদেটাকে যদি শহরে নিয়ে গিয়ে দেখানো যায় তাহলে অনেক টাকা পাওয়া যাবে। খুদেটাকে কিনে ফেলা যাক।

তারা চাষীর কাছে গিয়ে বললে— শুনছ চাষী, তোমার ঐ বাচ্চাটাকে আমরা কিনব। আমরা বেশ যত্ন করে রাখব ওকে।

চাষী বললে— না। ও আমার চোখের মণি। সারা দুনিয়ার সোনার দামেও ওকে আমি বেচব না।

বুড়ো আংলা টম এইসব কথা শুনে তার বাবার জামা ধরে ঝুলে তার কাঁধের উপর উঠে বসল। তারপর তার কানে কানে বললে— বাবা, ছেড়ে দাও আমাকে। আমি ঠিক ফিরে আসব। দেরি হবে না।

শুনে তার বাবা এক মোহরের বদলে বুড়ো আংলা টমকে লোক দুটির হাতে তুলে দিলে।

তারা বুড়ো আংলা টমকে বললে— তুমি বসবে কোথায়?

—তোমাদের টুপির কানায় আমায় বসিয়ে দাও। তাহলে আমি ঘুরে ঘুরে চারিদিক দেখতেও পাব, আর পড়েও যাব না।

তারা তাই করল। টম তখন বাপের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যাত্রা শুরু করল।

সন্ধে পর্যন্ত তারা হাঁটল। এক মাঠের ধারে এসে পৌঁছতেই বুড়ো আংলা টম বললে— এবার আমাকে নামাও।

যার মাথায় টম ছিল সে বললে— কেন? থাকো না আরো।

টম বললে— না না, এখন আমায় নামতে হবে। নামাও আমাকে।

লোকটি মাথা থেকে টুপি খুলে বুড়ো আংলা টমকে রাস্তার ধারে মাঠের উপর নামিয়ে দিলে। বুড়ো আংলা টম ঘাসের চাপড়ার মধ্যে খানিকটা লাফালাফি করল, তারপর একটা ইঁদুরের গর্ত দেখতে পেয়ে টপ করে তার মধ্যে গিয়ে লুকোলো।

বুড়ো আংলা টম গর্তের মধ্যে থেকে ঠাট্টার সুরে চেঁচিয়ে বললে— নমস্কার মশাইরা! আপনারা বাড়ি যান। আমি এখানেই রইলুম।

তারা এদিকে তাকায়, ওদিকে খোঁজে, কাঠি দিয়ে গর্তের মুখে খোঁচা দেয়, কিন্তু বুড়ো আংলা টমের চিহ্ন নেই। বুড়ো আংলা টম গর্তের মধ্যে ঠেলেঠুলে যত নিচে পারে গুঁড়ি মেরে বসে রইল। শেষে অন্ধকার হয়ে আসতে লোকদুটি রেগে-মেগে খালি হাতে খালি পকেটে বাড়ি ফিরে গেল।

বুড়ো আংলা টম যখন বুঝল যে তারা চলে গেছে, সে তার মাটির তলায় লুকোনো ঘর থেকে আস্তে আস্তে বেরিয়ে এল।

—অন্ধকার মাঠের মধ্যে হাঁটায় বিপদ আছে। হোঁচট খেয়ে পা ভাঙতে পারে, ঘাড়ও ভাঙতে পারে। এই বলতেই সে দেখে, পথে একটা শামুকের খোলা পড়ে রয়েছে। টম বললে— বাঁচা গেল! এর মধ্যে বেশ আরামে রাত কাটাতে পারি। এই বলে সে বসে পড়ল।

ঘুমোতে যাবার আয়োজন করছে, সেই সময় বুড়ো আংলা টম শুনতে পেল দু’জন লোক কথা বলতে বলতে যাচ্ছে। একজন বলছে— গুরুমশায় বড়লোক। অনেক সোনাদানা আছে। গুরুমশায়ের সোনা কী করে হাতানো যায় বল তো?

বুড়ো আংলা টম বলে উঠল— আমি বলতে পারি।

একজন চোর ভয় পেয়ে বললে— ওটা কী! কে যেন কথা কইল? চুপ করে দাঁড়িয়ে তারা আবার শোনবার চেষ্টা করতে লাগল।

বুড়ো আংলা টম আবার বললে— আমায় সঙ্গে নাও। কাজে লাগবে।

তারা বললে— কোথায় তুমি?

সে বললে— মাটির দিকে একবার তাকিয়ে দেখ না। দেখ কোথা থেকে শব্দ আসছে।

অবশেষে চোরেরা তাকে দেখতে পেয়ে তুলে নিল।

—আরে খুদ্দুর মণি? তুমি আমাদের সাহায্য করবে?

—নিশ্চয় করব। লোহার গরাদের ফাঁক দিয়ে ঢুকে আমি তোমরা যা চাও তাই তোমাদের হাতে তুলে দিতে পারব।

—বেশ, দেখা যাবে তুমি কী করতে পার!

যখন তারা গুরুমশায়ের বাড়ি এসে পৌঁছল বুড়ো আংলা টম সুড়ুৎ করে ঘরের মধ্যে ঢুকল বটে, কিন্তু যত জোরে পারে চেঁচিয়ে বললে— এখানে যত জিনিস আছে সবই কি তোমাদের লাগবে?

চোরেরা ভয়ে এগিয়ে এসে বললে— আরে! আস্তে, আস্তে! বাড়িসুদ্ধ জেগে উঠবে যে!

বুড়ো আংলা টম যেন বুঝেও বুঝল না। আবার চেঁচিয়ে বললে— কী চাও? সব?

রাঁধুনি ঝি উপরে শুত, সে আওয়াজ পেয়ে বিছানায় খাড়া হয়ে উঠে বসে শুনতে লাগল। চোরেরা ভয়ে পিছিয়ে গিয়ে গা-ঢাকা দিলে। তারপর আবার সাহস ফিরে এল। তারা ভাবলে— খুদে শয়তানটা আমাদের সঙ্গে মস্করা করছে। তারা এগিয়ে এসে ফিস্‌ফিস্‌ করে বললে— ঠাট্টা নয়! যা হয় আমাদের কিছু বার করে দাও।

বুড়ো আংলা টম তখন আগেরই মত চিৎকার করে বললে— সব দেব। তোমরা হাত পেতে দাঁড়াও।

ঝি শুনছিল। এবার সব কথা স্পষ্টই তার কানে এল। বিছানা থেকে তড়াক করে লাফিয়ে ঝি দরজার কাছে এসে হাজির। চোরেরা পিছন ফিরে দে-দৌড়! দৌড়, দৌড়! যেন শিকারী তাড়া করেছে! কিন্তু ঝি অন্ধকারে কিছু দেখতে পায় না, তাই একটা আলো আনতে গেল। আলো নিয়ে ঝি ফিরলে টম করল কি, চুপি চুপি একপাশ দিয়ে গোয়ালের মধ্যে গিয়ে লুকোলো। ঝি চারিদিক তন্ন-তন্ন করে খুঁজেও কাউকে না পেয়ে আবার শুতে চলে গেল। সে ভাবলে সে চোখ কান খুলেই বুঝি স্বপ্ন দেখছিল।

বুড়ো আংলা টম খড়ের গাদায় উঠে শোবার একটা চমৎকার জায়গা করে নিলে। ভাবলে, এইখানে শুয়েই রাতটা কাটিয়ে দিই। তারপর সকাল হলে বাড়ি ফিরে যাব বাপ-মায়ের কাছে। কিন্তু তার আর হল না। তার কপালে তখনো আরো অনেক অভিজ্ঞতা বাকি ছিল।

ঝি সূর্য ওঠার আগে উঠে গরুদের খাবার দিত। গোয়ালে ঢুকে সে প্রথমে একবোঝা খড় তুলে নিলে— সেই খড়ের গাদাতেই ছিল বেচারা বুড়ো আংলা টম। টম তখনো ঘুমোচ্ছে। এমনই ঘুম, যে যখন প্রায় গরুর মুখের কাছে চলে গেছে, তখনও ঘুম ভাঙেনি। খড়ের সঙ্গে বুড়ো আংলা টমকেও গরু মুখের মধ্যে টেনে নিলে।

বুড়ো আংলা টম বললে— আরে, এ জাঁতাকলের মধ্যে আমি এসে পড়লুম কী করে? টম এদিক-ওদিক সরে দু-সারি দাঁতের মধ্যে পড়ে পিষে যাওয়ার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে লাগল। তারপর সে চাক আর নাই চাক, দেখা গেল গরুর গলার মধ্যে দিয়ে সে নেমে চলেছে। বুড়ো আংলা টম বললে— এ বাড়িতে দেখছি জানলা ফুটোতে ভুলে গেছে! রোদও আসে না, আবার ভিতরেও কোনো লণ্ঠন নেই!

ঘর দেখে তার মোটেই পছন্দ হল না। আর আরো খারাপ লাগল যখন দেখা গেল দরজা দিয়ে যত খড় ঢুকছে, ঘরের ফাঁকও তত ছোট হয়ে আসছে। শেষে ভয় পেয়ে গিয়ে সে চেঁচিয়ে উঠল— আর খাবার দিও না, আমাকে আর খাবার দিও না!

ঝি দুধ দুইছিল। কালকের রাতে সে যে গলা শুনেছিল আবার যখন সেই গলা শুনল, সে ভয় পেয়ে এমন চমকে গেল যে টুল থেকে পিছলে পড়ে দুধ-টুধ উল্টে একেবারে একাকার। পড়ি-কি-মরি করে ছুটতে ছুটতে ঝি গুরুমশায়ের কাছে গিয়ে বললে— গুরুমশাই, গুরুমশাই! গরু মানুষের মত কথা কইছে!

তিনি বললেন— তোর মাথা খারাপ! বলে ব্যাপার কী দেখবার জন্যে নিজেই গোয়াল-ঘরে ঢুকলেন।

গোয়ালে তিনি সবে পা দিয়েছেন, অমনি বুড়ো আংলা টম বলে উঠল— আর খাবার দিও না।

শুনে গুরুমশাইও বেজায় ভয় পেয়ে গেলেন। ভাবলেন গরুর গায়ে শাপ লেগেছে। বললেন— ওকে কেটে ফেল! গরু কেটে ফেলা হল। কিন্তু যে পাকস্থলীর মধ্যে বুড়ো আংলা টম ছিল সেটা সবসুদ্ধ সারের গাদায় ফেলে দেওয়া হল। কোথা দিয়ে যে বেরোবার রাস্তা বুড়ো আংলা টমের পক্ষে তা খুঁজে বার করাই মুশকিল। অনেক কষ্টে সে সবে তার মুণ্ডুটা বার করেছে, এমন সময় কোথা থেকে এক উপোসী নেকড়ে পাকস্থলী-সুদ্ধ টমকে গিলে খেয়ে ফেললে। বুড়ো আংলা টম তবু ভয় পেল না।

সে ভাবলে— নেকড়েকে একবার বলে দেখি— সে হয়ত ভাল কথা শুনবে। এই ভেবে সে চেঁচিয়ে বললে— নেকড়ে ভাই, বলি শোন। কোথায় বেশ ভাল খাবার পাওয়া যাবে আমি জানি।

নেকড়ে বললে— কোথায় শুনি?

টম বললে— অমুক বাড়িতে আর অমুক বাড়িতে। কিছু করতে হবে না, শুধু ভাঁড়ার ঘরের জানলার গরাদের ফাঁক দিয়ে ঢুকে যত খুশি কেক, বেকন আর সসেজ খাও। এই বলে প্রথমেই সে তার বাবার বাড়ির ঠিকানা দিলে।

নেকড়ের তো শুনেই জিভে জল। রাত্রিবেলা গরাদের মধ্যে দিয়ে ঠেলেঠুলে দেহটাকে ঢুকিয়ে দিয়ে মনের আনন্দে খেতে লাগল। যখন খাওয়া শেষ হল সে বেরোতে গিয়ে দেখে পেটটা এমন মোটা হয়েছে যে গরাদের ফাঁকে আর গলে না। টম এরই জন্যে অপেক্ষা করছিল। সে এইবার নেকড়ের পেটের মধ্যে বিষম দাপাদাপি আর চিৎকার শুরু করে দিলে।

নেকড়ে ধমক দিয়ে বললে— চুপ কর! বাড়ি-সুদ্ধ সবাই জেগে উঠবে যে!

বুড়ো আংলা বললে— সে তো ভালই হবে। তুমি পেট ভরে খেয়েছ, এবার আমি একটু আনন্দ করি! এই বলে সে আবার যত জোরে পারে চেঁচাতে শুরু করে দিলে।

শব্দ শুনে তার বাপ-মা উঠল। ভাঁড়ার ঘরে দরজার ফাটলের মধ্যে চোখ রেখে দেখলে, ভাঁড়ারের মধ্যে নেকড়ে বাঘ। দেখে টমের বাপ একটা কুড়ুল আর মা একটা কাস্তে নিয়ে এল।

বাপ টমের মাকে বললে— কুড়ুলের ঘায়ে যদি নেকড়েটা না মরে তাহলে তুমি সঙ্গে সঙ্গে কাস্তে চালিয়ে ফেঁড়ে ফেলবে ওটাকে।

বুড়ো আংলা টম তার বাপের গলা শুনে চেঁচিয়ে উঠল- বাবা, আমি নেকড়ের পেটের মধ্যে!

চাষী আনন্দে বলে উঠল— ওগো শুনছ! আমাদের ছেলেকে পাওয়া গেছে! সে এখানেই!

এই শুনে টমের মা কাস্তে রেখে দিলেন পাছে কাস্তের ঘায়ে ছেলেও কাটা পড়ে। তখন দু-হাতে কুড়ল ধরে চাষী নেকড়েকে এমনই এক ঘা বসালো যে এক ঘায়েই নেকড়ে কুপোকাত। তখন ছুরি আর কাঁচি দিয়ে নেকড়ের পেট কেটে তারা বুড়ো আংলা টমকে বার করে আনল।

চাষী বললে— ওঃ, তোর জন্যে কত ভাবনাই না হয়েছিল!

বুড়ো আংলা টম বললে— আমি দুনিয়ায় কত জায়গাই না দেখলুম! যাক, শেষে খোলা হাওয়ায় নিশ্বাস নিতে পেরে বাঁচছি!

—কোথায় কোথায় গিয়েছিলি তুই?

—ইঁদুরের গর্তে, গরুর পেটে, নেকড়ের পাকস্থলীতে! এবারে তোমাদের কাছেই থাকব।

বাপ মা বললে— আমরাও আর কখনো তোকে লক্ষ মোহর পেলেও বেচব না।

সকল অধ্যায়

১. তুষারিণী আর সাত বামনের গল্প
২. লাল-ঢাকা খুকি
৩. বারো ভাইয়ের গল্প
৪. চরকা-কাটা তিনি বুড়ি
৫. হাঁস-চরানি মেয়ে
৬. মুচি আর দুই পরী
৭. সোনার পাহাড়ের রাজা
৮. খুনীর সঙ্গে বিয়ে
৯. বুড়ো-আংলা টম
১০. ব্যাঙ ও রাজকন্যা
১১. ধড়ফড়ি মাছ
১২. বুনো গোলাপের বেড়া
১৩. রুমপেল্‌-স্টিল্‌ট্‌-স্খেন্‌
১৪. পাঁশমনি
১৫. কাঁপুনি শেখার গল্প
১৬. সুলতান কুকুরের গল্প
১৭. নেকড়ের বড়াই
১৮. শেয়াল আর বেড়ালের গল্প
১৯. ফুর্তিভায়ার অ্যাড্‌ভেঞ্চার
২০. এক-চোখো, দু-চোখো আর তিন-চোখো
২১. বুড়ো ঘোড়া
২২. নেকড়ে আর শেয়ালের গল্প
২৩. বনের বাড়ি
২৪. জীবন-বারি
২৫. জুনিপার গাছ
২৬. বুড়ো আর তার নাতি
২৭. দুই পথিকের গল্প
২৮. চোর-চূড়ামণি
২৯. ফ্রিয়েম মাস্টার
৩০. একটি পেরেক
৩১. নাচুনি রাজকন্যা
৩২. দোয়েল আর ভাল্লুক
৩৩. নেকড়ে বাঘ আর সাতটি ছাগলছানা
৩৪. রোলান্ডের গল্প
৩৫. নুটুরানী
৩৬. আশ্চর্য সালাদ
৩৭. হানস্‌ল্‌ ও গ্রেটল্‌
৩৮. গোলাপ-খুকি
৩৯. লোহার হান্স্‌
৪০. ব্রেমেন শহরের বাজিয়ের দল
৪১. ব্রেমেন শহরের বাজিয়ের দল
৪২. পাখিয়া
৪৩. কার্ল কাটৎস-এর ঘুম
৪৪. সাত-সাবাড়ে দর্জির গল্প
৪৫. রাখাল ছেলে
৪৬. হাঁদুরামের সোনার হাঁস
৪৭. বারোটি শিকারীর গল্প
৪৮. দাঁড়কাক
৪৯. সাদা সাপ
৫০. হাতকাটা মেয়ে
৫১. তিন রকমের ভাষা
৫২. ইচ্ছা-পূরণ
৫৩. ভালুচাম
৫৪. সিংহ রাজপুত্র
৫৫. চাষীর চালাক মেয়ে
৫৬. চাষী আর শয়তান
৫৭. চতুরা গ্রেট্‌ল্‌
৫৮. কে কত বোকা
৫৯. চাকিওলার চাকর আর তার বেড়াল
৬০. কাঁচের কাফিন
৬১. খরগোস আর সজারুর গল্প
৬২. পাতালরাজের মাথায় তিন সোনার চুল
৬৩. ভাই-বোন
৬৪. হুতুম-থুমো
৬৫. ইঁদুর, পাখি আর সসেজ
৬৬. বেড়াল আর ইঁদুরের সংসার
৬৭. সাতটি দাঁড়কাক
৬৮. ফ্রেডেরিক ও ক্যাথেরিন
৬৯. তিন টুকরো সাপ
৭০. হাড়ের গান
৭১. চতুরা এল্‌সি‌
৭২. সর্বনেশে অতিথি
৭৩. আশ্চর্য গেলাস
৭৪. শেয়াল আর হাঁসের দল
৭৫. ডাক্তার সবজান্তা
৭৬. ধনী কৃষকের গল্প
৭৭. তিনটি কঠিন কাজ
৭৮. কাঠুরের মেয়ে
৭৯. আশ্চর্য এক বাজনদার
৮০. স্বর্গে ঢুকে দর্জি কি করেছিল
৮১. ট্রুডে গিন্নী
৮২. যমরাজের ধর্মছেলে
৮৩. ছোট চাষী
৮৪. নেকড়ে-বৌ আর শেয়ালের গল্প
৮৫. শবাচ্ছাদনী
৮৬. সূর্যের আলোয় সব কিছু প্রকাশ হবে
৮৭. সুন্দর কনে আর কালো কনে
৮৮. গাধা
৮৯. অকৃতজ্ঞ পুত্র
৯০. আকাশ-ঝরা টাকা
৯১. চুরি-করা আধলা
৯২. কোন কন্যা সব চেয়ে ভালো
৯৩. শ্লাউরাফ্‌ফেন দেশের গল্প
৯৪. ডিট্‌মার্শের আশ্চর্য গল্প
৯৫. বিচক্ষণ চাকর
৯৬. স্বর্গের দ্বারে কৃষক
৯৭. জীবনের দৈর্ঘ্য
৯৮. মৃত্যু-দূত
৯৯. ঈভের নানান ছেলেমেয়ে
১০০. কবরের মধ্যে গরীব ছেলেটি
১০১. অলস বৌ
১০২. কুকুর আর চড়াইয়ের গল্প
১০৩. কুঁড়ে হরি
১০৪. য়োরিন্ডা আর য়োরিঙ্গেল
১০৫. বুড়ো বাপের তিন ছেলে
১০৬. বিশ্বাসী জন্‌
১০৭. গোলাপ কুমারী

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন