খুন নাকি আত্মহত্যা

অর্পিতা সরকার

‘মিস্টার রাহুল চক্রবর্তী, আপনি অসম্ভব অসংলগ্ন কথা বলছেন। প্লিজ মেক মি ক্লিয়ার। আপনার বাবা যে খুন হয়েছে সেটা আপনি বুঝলেন কী ভাবে? উনি তো আত্মহত্যাও করতে পারেন।’

বছর ত্রিশের ছেলেটা থানায় বসে রীতিমতো কাঁপতে কাঁপতে বলল, ‘নো ম্যাডাম। আমার বাবা ব্রজমোহন চক্রবর্তী আত্মহত্যা করতে পারেন না। উনি হেরে যাওয়া মানুষ ছিলেন না। উনি ডিপ্রেশনের রোগী ছিলেন না। আমি বাবার ডেডবডি বাড়িতে ফেলে আপনাদের থানায় এখন ছুটে আসতাম না। কিন্তু আপনাদের যে দুজন পুলিশ আমাদের বাড়িতে গেছেন তাদের মতামত এটা আত্মহত্যা। কিন্তু আমি শিওর এটা সুইসাইড নয়। এটা মার্ডার।’

লগ্নজিতা বলল, ‘কারা রয়েছে এখন আপনাদের বাড়িতে? নাম জানেন?’

রাহুল বলল, ‘বিকাশ দত্ত আর সুনীল চৌধুরী নামের দুজন রয়েছেন।’

লগ্নজিতা জানে বিকাশ সব কেসের ইতি টানে সুইসাইড বা অ্যাক্সিডেন্ট বলে। রাহুল যখন এতটা স্যাঙ্গুইন হয়ে বলছে তখন বিষয়টা একবার দেখা দরকার। সাধারণত বাড়ির লোকজন আত্মহত্যা হলেও হার্ট অ্যাটাক বলে চালাতে চায়। সেখানে রাহুল এটাকে খুন বলে আরও ঝামেলায় জড়াতে চাইছে কেন? এই ‘কেন’ শব্দটা মাথায় আসতেই লগ্নজিতা বলল, ‘চলুন আপনার বাড়িতে।’

লগ্নজিতার প্রমোশন হয়েছে। হয়তো একটু বেশি তাড়াতাড়িই প্রমোশন পেল ও। সাবইন্সপেক্টর থেকে ইন্সপেক্টর হতে মোটামুটি দশ থেকে বারো বছর লাগে। গত বছর ডিপার্টমেন্টাল এক্সামে পাশ করেও হতে পারেনি। এ বছর নিজস্ব রুমে বসার সুযোগ পেয়েছে। তাছাড়া একটা গোটা থানার দায়িত্ব। বেশ কিছু কেসের ক্ষেত্রে শুধু বড়বাবুর পারমিশনের অভাবে পিছিয়ে যেতে হয়েছিল লগ্নজিতাকে। এখন আইসি-র পোস্ট হোল্ড করায় ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু ইন্টারেস্টিং কেসের বিষয়ে এখনও স্বভাবটা একই আছে। নিজে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে দেখতে পছন্দ করে।

বছর সাতষট্টির ব্রজমোহন চক্রবর্তীর ঘরের সামনে বিকাশ দাঁড়িয়ে আছে। লগ্নজিতাকে দেখেই বলল, ‘ম্যাডাম! এটা নরম্যাল সুইসাইড কেস। এই বয়সের মানুষ। বাড়ির লোকের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল। তাই অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন। গলায় দড়ির দাগ স্পষ্ট। বডিটা বাড়ির কেউ নামিয়েছে। এটা এখন এরা স্বীকার করছে না।’

 লগ্নজিতা হাত দেখিয়ে বিকাশকে থামতে বলে ব্রজমোহনের ঘরের দিকে এগিয়ে গেল। এটা যে ওঁর বেডরুম নয়—সেটা স্পষ্ট। সেগুন কাঠের বড় বড় দেওয়াল জোড়া আলমারি। কাচের ফাঁক দিয়ে দেখা যাচ্ছে অগণিত বই। বাংলা, ইংরাজি থেকে হিন্দি, উর্দু, ফ্রেঞ্চ সব ভাষার বই রয়েছে আলমারিগুলোতে। সেগুন কাঠের একটা বেশ বড় স্টাডি টেবিল, সামনে একটা চেয়ার। চেয়ার না বলে এটাকে আরাম কেদারা বলাই শ্রেয়। টেবিলে ছড়ানো রয়েছে কয়েকটা বই। টেবিল ল্যাম্পের সুইচটা সম্ভবত কেউ অফ করতে ভুলে গেছে। টেবিল ল্যাম্পের নীচে একটা বই খোলা রয়েছে। আলোটা জ্বলছে অথবা পূর্বদিকের জানালা দিয়ে অনেকটা রোদ এসে ঘরে পড়ার কারণেই টেবিল ল্যাম্পের লালচে আলোটা আর কারোর নজরে আসেনি হয়তো। তার মানে ব্রজমোহনবাবু রাতে এখানে বসেই পড়াশোনা করছিলেন। তখনই কেউ তাকে খুন করে বা তার আত্নহত্যা করতে ইচ্ছে হয়। পড়াশোনা করতে করতে আচমকা আত্মহত্যার শখ জাগার বিষয়টা অবশ্য লগ্নজিতার জটিল মস্তিষ্কে সেভাবে আলোড়ন তোলে না বরং পরিস্থিতির সঙ্গে মার্ডার বিষয়টির অনেক সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যায়। অবশ্য একটা টেবিল ল্যাম্পের আলোতে সবকিছু প্রমাণ হয়ে যায় না।

লগ্নজিতা বলল, ‘মিস্টার রাহুল! এ ঘরে তো কোনো বড় বেডও দেখছি না। সিঙ্গেল একটা ডিভান রয়েছে মাত্র। এটা নিশ্চয়ই ব্রজমোহনবাবুর বেডরুম নয়। আপনার কথা মতো ভোরে উঠে আপনার বাবা রেগুলার মর্নিংওয়াকে বেরোতেন। আজ ভোরে তার রুটিন ব্রেক হওয়াতেই আপনি এ ঘরে এসে দরজা খুলে দেখেন উনি মেঝেতে পড়ে আছেন। তাই তো?’

রাহুল অসহায়ভাবে ঘাড় নেড়ে বলল, ‘হ্যাঁ। তার আগেই মন্টুর একটা চিৎকার শুনেছিলাম কিন্তু বুঝতে পারিনি ঠিক। আমি প্রথম ভেবেছিলাম স্ট্রোক। তারপর গলায় দড়ির দাগটা দেখতে পেলাম। তখনই পুলিশে ফোন করি ম্যাডাম।’

লগ্নজিতা বলল, ‘কিন্তু উনি রাতে এ ঘরে থাকতেন?’

রাহুল বলল, ‘না ঠিক সেটা নয়। তবে ইদানীং বাবার ঘুমের একটু সমস্যা হচ্ছিল। হয়তো দশটার মধ্যে ঘুমিয়ে গেল, তারপর মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেল। তখন বেডরুম থেকে বেরিয়ে এ ঘরে এসে বই পড়ত। বই পড়াটা বাবার নেশা। যখন কলেজে চাকরি করত, তখনও মধ্যরাত পর্যন্ত বই পড়ত। রিটায়ার করার পরে নেশাটা তিন গুণ বেড়েছে। এখন তো বেশিরভাগ সময় এই ঘরেই কাটায় বাবা। আসলে বাবা হিস্ট্রির প্রফেসর হলেও সব বিষয়ে পড়তে ভালোবাসত। কিন্তু অফিসার, আমার বাবার মতো নির্বিবাদী, নিরীহ মানুষকে কে খুন করবে সেটাই তো আমি বুঝতে পারছি না।’

লগ্নজিতা বলল, ‘বডি পোস্টমর্টেমে পাঠাতে হবে। আপনার মাকে দেখলাম মনে হল বারান্দায়। উনি কিছু বলতে পারবেন এ বিষয়ে?’

রাহুল একটু হেজিটেট করে বলল, ‘মা আসলে একটু ভেঙে পড়েছে এমন অস্বাভাবিক ঘটনায়। আপনি কথা বলতে পারেন। তবে জেরার ঢঙে নয় প্লিজ।’

রাহুলের চোখের কাতর অনুনয়ের দিকে তাকিয়ে লগ্নজিতা বলল, ‘ডোন্ট ওরি।’

ব্রজমোহনবাবুর স্ত্রী সরলাদেবী অল্পবয়সে যে ডাকসাইটে সুন্দরী ছিলেন—সেটা ওনার পানপাতার মতো মুখ আর লালচে সরু ঠোঁটের ভাঁজ দেখেই আন্দাজ করা যায়। এখন চোখ দুটো বেশ লাল। কিন্তু জল এখন শুকিয়েছে। তবে গালে শুকনো জলের দাগ সুস্পষ্ট। লগ্নজিতা খুব স্বাভাবিক গলায় বলল, ‘ম্যাডাম, আপনি মর্নিংওয়াকে যেতেন না স্যারের সঙ্গে?’ ভদ্রমহিলা যেন চমকে উঠলেন। ভাবনার জগৎ থেকে আচমকা বাস্তবের মাটিতে আছড়ে পড়ার মতো দৃষ্টি নিয়ে বললেন, ‘আমি বাগানে হাঁটতাম। ওর মত দু’ কিলোমিটার হাঁটার মতো হাঁটুর জোর নেই আমার।’ এই বয়সে স্বামীহারা বিধবার ভাবনায় হয়তো নিজের জীবন সম্পর্কে একটা অনিশ্চয়তা কাজ করছে। তাই দুবার বিড়বিড় করে বললেন, ‘আমি একা কী করে থাকব! ও কেন চলে গেল!’

দীর্ঘদিনের জীবনসঙ্গী চলে গেলেও পুরোনো অভ্যেসগুলো একই রয়ে গেছে। সেগুলো একা একাই বহন করতে হবে ভেবেই আতঙ্কিত। একাকীত্বের ভয় গ্রাস করতে চাইছে হয়ত। রাহুল বলল, ‘মা আমি তো আছি।’

ভদ্রমহিলা উদ্ভ্রান্ত গলায় বললেন, ‘কিন্তু তুইও তো একা। সব সামলাব কী করে আমরা?’

লগ্নজিতা একটু সময় দিল সরলাদেবীকে। ভদ্রমহিলার মুখটা কোথায় যেন দেখেছে লগ্নজিতা। মনে করার চেষ্টা করছিল ও। সাধারণত একবার দেখলেও সেই মুখ ও ভোলে না। সবাই বলে—ওর মাথায় আলাদা একটা ক্যামেরা সেট করা আছে। তাতে সাদা, কালো ফ্রেমে সকলের ছবি সেভ করা থাকে। লগ্নজিতা নিজের প্রয়োজন মতো সেই ছবিগুলোকে রঙিন করে নেয়। এখনও লগ্নজিতা সেই চেষ্টাই করছে। সরলাদেবীর আবছা ছবিটাকে মাথার মধ্যে রঙিন করার চেষ্টা করছে। চোখ তুলে আবারও লগ্নজিতার দিকে তাকালেন ভদ্রমহিলা।

 ফিসফিস করে বললেন, ‘পুলিশ কেন ডাকলি রাহুল? তোর বাবার শরীরটাকে ছেঁড়াকাটা করার জন্য? তুই জানিস না মানুষটা ইনজেকশনে ভয় পেত! অপারেশন করাতে চাইত না। তারপরেও পুলিশ কেন ডাকলি?’

 রাহুল অপ্রস্তুত গলায় বলল, ‘মা! বাবার খুনিকে তো পুলিশই ধরবে।’

ভদ্রমহিলা ব্যঙ্গাত্মক ঢঙে বললেন, ‘তাই নাকি? পুলিশ অপরাধীকে ধরবে? কবে ধরেছে পুলিশ আসল অপরাধীকে! পুলিশের মুখে টাকা গুঁজে দে, দেখবি ওরা ভিক্টিমকে খুনি বানিয়ে দেবে। যেমন তৃষার সময় হয়েছিল। ওদের চলে যেতে বল রাহুল।’

 রাহুলের মুখের রেখায় বাবাকে হারানোর যন্ত্রণার সঙ্গে অস্বস্তি মিশেছে। রাহুল সামলানোর জন্য বলল,’ মা উনি লগ্নজিতা ভট্টাচার্য। স্ট্রিট বেগার্সদের কেসটা নিয়ে খবর বেরিয়েছিল না? উনি ওটা সলভ করেছিলেন। তুমি পড়েছিলে তো। আমরা কোঅপারেট করলেই উনি বাবার মার্ডারারকে অ্যারেস্ট করতে পারবেন।’

 সরলাদেবী বললেন, ‘আমি জানি ওকে কে খুন করেছে। আমি তাকে দেখেছি। ভোরে ওর ঘর থেকে আমি তাকে বেরোতে দেখেছি।’

 রাহুল চমকে উঠল। মাকে থামানোর জন্যই বলল, ‘মা ছেলেমানুষি করো না। কাউকে বেরোতে দেখলেই সে খুনি হয় না। তাছাড়া মন্টু রোজ বাবাকে চা দিতে যেত ভোরে। তুমি ওকে খুনি বানিয়ে দিতে পারো না।’

 লগ্নজিতা শান্ত স্বরে বলল, ‘মিস্টার চক্রবর্তী, আজ উনি আপসেট হয়ে আছেন। আমি পরে জিজ্ঞাসাবাদ করব। পোস্টমর্টেম হয়ে গেলে থানায় আসুন।’

লগ্নজিতার দিকে তখনও অবিশ্বাসী চোখে তাকিয়ে আছেন সরলাদেবী।

তৃষা কে? পুলিশের ওপর ওনার এতটা বিদ্বেষের কারণ ঠিক কী? মন্টু ভোরবেলা চা দিতে এসে দেখেছে ব্রজমোহনবাবুর ডেড বডি। তাহলে সরলাদেবী কাকে ব্রজমোহনবাবুর ঘর থেকে ভোরে বেরোতে দেখেছিলেন? রাহুল ওর মাকে থামিয়ে দিতে চাইছিল কেন? অনেকগুলো প্রশ্ন অলরেডি জট পাকিয়ে রয়েছে। ব্রজমোহনবাবুর সঙ্গে সরলাদেবীর সম্পর্ক ঠিক কেমন ছিল? কেন উনি সারারাত বইয়ের ঘরে কাটাতেন? শুধুই ঘুম আসতো না সেই কারণে? নাকি ওনাদের সম্পর্কের অবনতিই এর কারণ? ভদ্রলোকের সম্পত্তির হিসেব নিতে হবে। নমিনি নিশ্চয়ই রাহুল। বিকাশ আর সুনীল যখন এটাকে আত্মহত্যা বলে কেস গোটাতে চাইছিল, তখন কেন রাহুল বোঝাতে চাইছে এটা খুন! ব্রজমোহনবাবুর শত্রু কে? মানুষটা কেমন ছিলেন?

থানায় ফিরেও মাথার মধ্যে একটাই মুখ বারংবার ঘুরছে লগ্নজিতার। সরলাদেবীকে কোথায় দেখেছে ও!

ব্রজমোহনবাবু, সরলাদেবী আর রাহুলের একটা জয়েন্ট ছবি রয়েছে রাহুলের হোয়াটসঅ্যাপ ডিপিতে। রাহুলের ফোননম্বর সেভ করতে গিয়েই ছবিটা দেখতে পেল। আচমকা মাথার মধ্যে বন্ধ ঘরের তালাটা খুলে গেল। আবছা হলেও মনে পড়ল কোথায় দেখেছে সরলাদেবীকে। হোয়াটসঅ্যাপ ডিপিটা ডক্টর কৌশিকের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে বলল,—দেখো তো ভদ্রমহিলাকে চিনতে পারো কিনা।

লগ্নজিতার সঙ্গে কৌশিকের বন্ধুত্বের বয়স প্রায় বছরখানেক। কিন্তু গভীরতা আরেকটু বেশি। দুজনেই দুজনের কাজকে ভীষণ রকমের সম্মান করে। গত এক বছরে লগ্নজিতা জানে কৌশিকের রুটিন। তাই এই মুহূর্তে হয় ও হসপিটালের আউটডোরে অথবা ওটিতে। সুতরাং ফোন করে বিরক্ত করতে পারবে না। কৌতূহলী মনকে সামাল দিতেই হবে। ফরেনসিক এক্সপার্টকে ফোনে বলে দিল লগ্নজিতা—কেসটা আমি হ্যান্ডেল করছি। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট চাই তাড়াতাড়ি।

কোনো ক্লু নষ্ট হতে দিতে চায় না লগ্নজিতা। বিশেষ করে মৃত্যুর সময়টা। মধ্যরাত হলে সন্দেহের তির চক্রবর্তী পরিবারের সদস্যদের মধ্যেই ঘোরাফেরা করবে। আর যদি ভোরে হয়, তাহলে সন্দেহজনক বাইরের লোকজনকে খুঁজবে। কারণ রাহুলের মন্তব্য অনুযায়ী ওর বাবা যেহেতু প্রাতঃভ্রমণে যেত, তাই ভোর চারটেতে চক্রবর্তী বাড়ির দরজা খোলা হত। ঠিক সাড়ে চারটে নাগাদ এক কাপ চা খেতেন ব্রজমোহনবাবু। তারপর বাথরুম সেরে তৈরি হয়ে বেরোতেন। রাহুলের কাছ থেকে ওঁর মর্নিংওয়াকের সঙ্গীদের নাম ও ডিটেলস জানতে হবে।

ভাবনার মধ্যেই ফোনটা এলো—’ম্যাডাম, মানিক চৌধুরীকে দেখা গেছে শিয়ালদা স্টেশনে।’

লগ্নজিতার ইনফার্মার ভুল খবর দেয় না। ইউসুফকে এই জন্যই এত ভালোবাসে ও। ফোর্স রেডি করে বেরোতে দেরি হবে ভেবেই গাড়িটা নিয়ে ছুটল শিয়ালদা। এই নামটা গত ছয়মাস তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে লগ্নজিতাকে। হাতের নাগালে পেয়েও বারংবার মানিককে ধরতে পারেনি ও। প্রতিবারই ব্যর্থতার ঘন ছায়াটা বেশ কিছুদিন অকেজো করে রেখেছিল ওর কর্ম উদ্যমকে। এবারে তাই খবর পাওয়া মাত্র নিজেই ছুটছে শিয়ালদা।

অধ্যায় ১ / ২৩

সকল অধ্যায়

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন