অর্পিতা সরকার
‘হ্যালো চন্দ্রা, শেষপর্যন্ত পুলিশ আসছে মাকে অ্যারেস্ট করতে। আমি তোমার সঙ্গে হওয়া ঘটনাটা চোখের সামনে দেখেই বুঝলাম, বাবার খুনি মা-ই। পুলিশ আমাদের বাড়ির সামনে পাহারা দিচ্ছে। মা ওষুধ খেয়ে ঘুমাচ্ছে। ওই অবস্থাতেই হয়ত অ্যারেস্ট হবে। আমি ছেলে হয়ে দেখব, এছাড়া তো আর কিছু করার নেই।’ চন্দ্রা বলল, ‘আমার খুব ভয় করছে রাহুল। পুলিশ আমার বাড়ির সামনেও পাহারা বসিয়েছে। বাবা অযথা ডাইনিংয়ে পায়চারি করছে কোনো কথা না বলে। তবে কি এই খুনে তোমার মায়ের সঙ্গে বাবাও জড়িত? বাবা কিছু বলছে না কেন! এভাবে আমাদের সম্পর্কের পরিণতি তো আমরা চাইনি রাহুল।’ রাহুল বলল, ‘বাইরে গাড়ির আওয়াজ। সম্ভবত লগ্নজিতা এলেন। আমি নীচে যাচ্ছি। মাকে আরেকবার জড়িয়ে ধরতে চাই। আসলে আমি এটুকু জানি জানো তো, আমার মা মানসিকভাবে অসুস্থ। খুনগুলো তার ফসল। আমি জানি আমার মা অন্যায় করেছে। তবুও এটা আমি চাইনি।’ চন্দ্রজা ডুকরে কেঁদে উঠল রাহুলের কথাতেই।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন