শকওয়েভ – ৭৭

কাজী আনোয়ার হোসেন

সাতাত্তর

আসন্ন ঘটনাটা ঠেকানোর জন্য সময়মত তৎপর হয়ে উঠতে পারল না রানা।

বিস্ময়কর দ্রুততায় আইভরি ছড়ির রুপালি হাতলে লুকানো এক থাম-ল্যাচ অ্যাকটিভেট করল নিকলসন। খোদাই করা ছিপছিপে লাঠিটা ঝটকা দিয়ে হ্যাণ্ডেল থেকে আলাদা হয়ে গেল, বেরিয়ে পড়ল স্প্রিং স্টিলের তৈরি একটা তলোয়ারের ফলা। বত্রিশ ইঞ্চি লম্বা, তীক্ষ্ণধার ব্লেডটা চোখা হয়ে গেছে সামনের দিকে।

সময়মত চোখে পড়েনি কারও।

দু’হাত বাড়িয়ে ঝুঁকতে যাচ্ছিল কোহেন লোকটার দিকে, এমন সময় র‍্যাটলস্নেকের ক্ষিপ্রতায় তলোয়ারটা ছোবল হানল কোহেনের বুকে।

এড়ানো সম্ভব ছিল না। বুকের গভীরে ঢুকেই বেরিয়ে গেল আবার ফলাটা। দ্বিতীয় দংশনের জন্য প্রস্তুত।

হতচকিত কোহেন টলমল পায়ে পিছিয়ে গেল তিন কদম। পায়ে পা জড়িয়ে দড়াম করে পড়ে গেল চিত হয়ে।

নিজের এমপিফাইভ তুলে গুলি করতে গেল রানা।

কিন্তু তার আগেই ঝাঁপ দিয়ে কমপিউটার-টেবিলের নিচে অদৃশ্য হয়ে গেল নিকলসন।

সিনেমার ফাস্ট মোশন দৃশ্যের মত গড়ান খেয়ে টেবিলের ওপাশ দিয়ে বের হলো চিফ। আঁকড়ে ধরে রেখেছে এবনি স্টিকটা। শীর্ণ বুড়ো আঙুলে ল্যাচ চাপতেই বেরিয়ে এল ছোট্ট ট্রিগার। টিপে দিল সেটা হার্ডির উদ্দেশে ছড়ি তাক করে।

খটাস করে সামনের দিকে বেরিয়ে এল লুকানো স্ট্রাইকার। জোরালো আওয়াজে ছড়িটার শেষ প্রান্ত থেকে রিলিজ হলো সরু, হাই-ভেলোসিটি বুলেট। ছোবল মারল হার্ডির ঊরুতে।

এক পশলা রক্ত ছিটে গিয়ে লাগল পিছনের দেয়ালে। পা চেপে ধরে মেঝেতে গড়িয়ে পড়ল প্রাক্তন এসবিএস কমাণ্ডো।

এবার ট্রিগার চাপল রানা। চুরমার হলো একটা কমপিউটার।

এবনি লাঠি ফেলে দিয়ে গিরগিটির ক্ষিপ্রতায় হামাগুড়ি দিল নিকলসন কোহেনের এমপিফাইভের দিকে।

গুলির ফোয়ারা ছুটে আসার আগেই কাভারের জন্য ডাইভ দিল ফুলজেন্স আর রানা। রক্ত লেপটে গেল ফ্রেঞ্চম্যানের পিছন-দেয়ালে।

মেঝেতে পড়ে গেছে হুতোম পেঁচা। খামচে ধরেছে ডান কাঁধের কুৎসিত ক্ষতটা।

এক মুহূর্তের বিরতি নিয়ে লক্ষ্যস্থির করল এবার নিকলসন। প্লাসটিকের কেসিং আর সার্কিট-মার্কিট সহ সহস্র টুকরো হলো টেবিলে রাখা ডেটোনেটর।

পাল্টা গুলি করার জন্য হাচড়ে-পাচড়ে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করল মরিয়া রানা। কিন্তু আরেক ঝাঁক বুলেট বাধ্য করল ওকে মেঝেতে মাথা নিচু করতে।

উঠে দাঁড়িয়েছে চিফ। অট্টহাসি দিচ্ছে হা-হা করে। বহু বছর তাকে কেউ হাসতে শোনেনি এভাবে। অস্বাভাবিক দ্রুততায় ছুটে চলে গেল সিকিউরিটি শাটারের ওয়াল সুইচের দিকে।

‘কী মনে করেছ?’ সংলাপ ছাড়ল খলনায়ক। ‘এভাবে বরবাদ করতে দেব এত বছরের পরিকল্পনা?’ ভাঁটার মত অগ্নিবর্ষণ করছে লোকটার চোখ জোড়া।

পা আঁকড়ে ধরে রক্তের পুকুরের মাঝে পড়ে আছে হার্ডি।

একটুও নড়ছে না মেঝেতে পড়ে থাকা কোহেন।

এক হাতে ছেঁচড়ে ছেঁচড়ে পড়ে যাওয়া অস্ত্রটার দিকে এগোতে চাইছে ফুলজেন্স। কাঁধে গুলি খাওয়ায় অচল হয়ে গেছে ডান হাতটা।

আরেক বার গুলি পাঠাল রানা নিকলসনের উদ্দেশে।

মাথা নিচু করে আরেক টেবিলের আড়াল নিল লোকটা। এখনও হাসছে সাইকোর মত।

সড়সড় করে উপরদিকে উঠে গেল আর্মারড শাটার। ক’জন সশস্ত্র সিকিউরিটি গার্ড দেখা গেল ওপাশে। গুলির আওয়াজ টেনে এনেছে ওদেরকে।

ঝাঁক বেঁধে ঢুকে পড়ল ভিতরে। গোলাগুলির শব্দে ভরে উঠল কামরা।

আশপাশ দিয়ে গুলিগুলো ‘বিইং’ করে বাতাস চিরতেই ফুল-অটোতে দিয়ে ফায়ারিং শুরু করল রানা এমপিফাইভ থেকে। ম্যাগাজিন খালি হওয়ার আগেই দেখতে পেল, টপাটপ পড়ে গেছে চারজন।

বাটন চেপে খসিয়ে ফেলল ও খরচ হয়ে যাওয়া ম্যাগাজিনটা। পাউচের মধ্য থেকে নতুন একটা তুলে নিয়ে বসিয়ে দিল জায়গামত। বোল্ট রিলিজ করে গুলি শুরু করতেই খালি নাইনএমএমের তপ্ত খোসা সার দিয়ে ছিটকে বেরোতে লাগল ইজেক্টর পোর্ট থেকে। আওয়াজ আর ধোঁয়ায় দোজখে পরিণত হলো কন্ট্রোল রুম।

হামাগুড়ি দিয়ে ট্রিগারের কাছে পৌঁছে গেছে বৃদ্ধ। পকেট থেকে চাবিটা বের করে আধপ্যাঁচ মোচড় দিল স্লটে ঢুকিয়ে।

জ্বলে উঠল আর্মিং লাইট। কবজার উপর সশব্দে ঘুরে গিয়ে ফায়ারিং বাটন উন্মুক্ত করে দিল অভঙ্গুর কাঁচের ঢাকনা।

কেউই লক্ষ করেনি, অ্যাটমিক ক্লক আর ডিজিটাল কাউণ্টডাউন স্ক্রিন জিরো টাইম পেরিয়ে গেছে কখন। রেঞ্জের মধ্যে চলে এসেছে টার্গেট।

লাল বাটনটার দিকে আঙুল বাড়াতেই সর্বশরীরে শক্তির প্রবাহ টের পেল চিফ। স্রেফ টিপে দেয়া বাকি এখন। সাড়ে চার মিনিটেই ধুলোয় মিশে যাবে মস্কো।

কিন্তু আর পূরণ হলো না ইচ্ছাটা!

অস্ত্রের কাছে পৌঁছে গেছে ফুলজেন্স। নির্বিচারে গুলি চালাল প্রহরীদের উপর।

দোরগোড়ায় পড়ে থাকা লাশগুলোর সঙ্গে যোগ হলো আরও তিনটে

গুলিবৃষ্টি শুরু হতেই মূল্যবান সুযোগটা দেখতে পেয়েছে রানা। ঝাঁপিয়ে পড়ল ও কনসোলের উপর। বাটন ছোঁয়ার আগেই জোর করে সরিয়ে আনল বৃদ্ধকে ট্রিগারের কাছ থেকে।

ভঙ্গুর মনে হতে পারে চিফকে দেখলে। কিন্তু তারের মত পাকানো শরীরে তাকত রয়েছে লোকটার। ক্ষিপ্রতায় স্যালাম্যাণ্ডারের জিভকেও হার মানাবে যেন। ভোজবাজির মত আইভরি হাতলের সোর্ড স্টিকটা চলে এল তার হাতে।

সাঁত করে ফলাটাকে ছুটে আসতে দেখে ঝটকা দিয়ে মাথাটা সরিয়ে নিল রানা। অনুভব করল, মুখের আধ ইঞ্চি দূর দিয়ে গেছে ক্ষুরধার তলোয়ার।

পিছু হটল ও। মারাত্মক ব্লেডটা এড়ানো ছাড়া অন্য কোনও কিছু করার সময় বা সুযোগ নেই এ মুহূর্তে।

চোখে আগুন নিয়ে আগে বাড়ল নিকলসন। উত্তেজিত উন্মাদনায় বেরিয়ে পড়েছে দাঁতের সারি।

পিছিয়ে যাওয়া বাকি গার্ডগুলো ফিরে এসেছে আবার দরজায়।

খরখর আওয়াজ তুলতে লাগল হার্ডির অস্ত্রটা।

ওকে সাহায্য করছে ফুলজেন্স। দু’জনেরই এমপিফাইভ খালি হয়ে যেতে লোড করল আবার।

কমে আসছে ওদের অ্যামিউনিশন।

এদিকে নিথর হয়ে পড়ে আছে সিআইএ এজেন্ট।

দশ সেকেণ্ডেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিঅ্যাকটিভেট হলো ফায়ারিং মেকানিজম। যথাস্থানে বসে গেল আবার গ্লাস কাভার।

হুইশ!

রানার সামনে বাতাস কাটল তলোয়ার। কমব্যাট ভেস্ট চিরে দিয়ে বুকে আঁচড় কাটতেই চিনচিনে যন্ত্রণা অনুভব করল রানা।

‘মেজরের বাচ্চা!’ গাল দিয়ে উঠল নিকলসন। ‘ভেবেছিস, আমার জগতে অনধিকার প্রবেশ করে ভণ্ডুল করে দিবি আমার সারা জীবনের সাধনা?’

‘হ্যা…. তা-ই ভেবেছি!’ সমান রোষে জবাব দিল রানা। পিছানোর উপায় আর নেই। হোলস্টার থেকে স্টেয়ারটা বের করে নিয়ে তৃতীয় নয়ন এঁকে দিল জোসেফ নিকলসনের দু’চোখের মাঝখানে। বিকট শব্দ আর আগুনের ঝলকানির সঙ্গে অস্ত্রটা ঝাঁকুনি খেল রানার হাতে।

অদৃশ্য প্রাচীরে বাধা পেয়ে থমকে দাঁড়াল যেন টলমলায়মান চিফ। মুঠো থেকে খসে পড়ল তলোয়ার। সংক্ষিপ্ত একটা মুহূর্তের জন্য ঘোলাটে বিভ্রান্তি নিয়ে চেয়ে রইল রানার দিকে। নিজের পরিণতি সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নয় যেন। পরক্ষণেই পড়ে গেল মুখ থুবড়ে

গুলি করল রানা দরজার দিকে পিস্তল তাক করে। একবার… দু’বার… তিন বার।

প্রাণপাখি উড়ে গেল আরও তিন প্রহরীর। অবশিষ্টরা লেজ নামিয়ে পালাল কমাণ্ড সেন্টারের দূরতম কোণে। কিন্তু আরও একটা দল ওত পেতে রয়েছে কন্ট্রোল রুমের বাইরে।

হতাশ চোখে দেখল রানা শত টুকরো হয়ে যাওয়া ডেটোনেটরটা। গেল ওদের জাহাজ ধ্বংসের পরিকল্পনা! অপ্রতিরোধ্য শত্রুর গুলি থেকে রক্ষা পাওয়ারও সম্ভাবনা দেখছে না। নীরব হয়ে গেছে ওরা। এর একমাত্র অর্থ: জোট বাঁধছে পরবর্তী হামলার জন্য।

এটাই হয়তো রানাদের শেষ প্রতিরোধ। …না, তা কেন হবে?

মনের মধ্যে আকার নিচ্ছে একটা আইডিয়া, টের পেল রানা। উন্মাদ ছাড়া আর কারও মাথায় আসবে না এই বুদ্ধি!

‘টম? পেঁচা?’ ঘন ধোঁয়ার কারণে ওদেরকে প্রায় দেখতেই পাচ্ছে না রানা।

‘জিন্দা এখনও…’ সাড়া এল হার্ডির যন্ত্রণাকাতর কণ্ঠ থেকে।

‘মজায় আছি, ওস্তাদ!’ গলা তুলে বলল চির-রসিক ফুলজেন্স।

হাচড়ে-পাচড়ে এগোল রানা প্রাণহীন নিকলসনের দিকে, যেখানে চিত হয়ে পড়ে আছে সিআইএ এজেন্ট।

প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে বুকের ক্ষতটা থেকে। তবে প্রাণটা এখনও টিকে রয়েছে কোহেনের। আর দেড় ইঞ্চি নিচে ফলা গাঁথলেই এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যেত হৃৎপিণ্ড।

‘দুনিয়া কামড়ে ঝুলে থাকুন, ফিল!’ লোকটার বাহু খামচে ধরল রানা। ‘বেরিয়ে যাচ্ছি এখান থেকে!’

ঘোলাটে দৃষ্টিতে রানার দিকে তাকাল কোহেন। ঢোক গিলতে চেয়েও পারল না। ‘কিন্তু…’

‘রদবদল হয়েছে পরিকল্পনায়।’ ম্যাগাজিন ফেলে দিল রানা পিস্তল থেকে, ঢোকাল নতুন একটা।

পর পর দুই গুলিতে ঘায়েল হলো দরজার ফাঁকা দিয়ে এমফোর নিশানা করার চেষ্টারত প্রহরী। অস্ত্রটা পড়ে গেল হাত থেকে। সেই সঙ্গে পতন ঘটল নিজেরও। মারা গেছে।

আইডিয়াটা ডালপালা মেলেছে রানার মগজে। অনেকটা মাছের তেলে মাছ ভাজার মত ব্যাপারটা। ছুটল ও নির্দিষ্ট একটা কমপিউটার লক্ষ্য করে। স্ক্রিনের কাছে পৌঁছে চোখ বোলাতে লাগল জটিল মেনুতে। চিন্তার ঝড় বইছে মাথায়। শুরু করল কি দাবাতে। জানে, কী করছে।

গার্ডগুলো জোটবদ্ধ হয়েছে আবার। রিলোড করা অস্ত্রে খেলায় ফিরল নব উদ্যমে।

ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ছুটে আসছে রানাদের দিকে। কমপিউটার চুরমার চুরমার করে, চলটা ওড়াচ্ছে ওড়াচ্ছে কাঠের প্যানেলিঙের।

অস্থায়ী কাভারের পিছন থেকে এক যোগে পাল্টা গুলি শুরু করল আবার হার্ডি আর ফুলজেন্স।

আচমকা নীরব হয়ে গেল ফ্রেঞ্চম্যানের অস্ত্র।

‘আমি শেষ!’ বলে চিৎকার ছাড়ল পেঁচা ব্রিয়া ফুলজেন্স।

‘আমারও শেষ প্রায়!’ হেঁকে জানাল হার্ডি।

‘আর আমার হলো শুরু!’ পাল্টা হাঁক ছাড়ল রানা। মাথার এত কাছ দিয়ে একটা বুলেট বেরিয়ে গেল যে, বোঁ করে উঠল মাথাটা।

নতুন কো-অর্ডিনেট দিয়েছে। মোচড় দিল রানা আর্মিং কি-তে। আবার খুলে গেল ট্রিগার ডিভাইসের ঢাকনা।

কোনও মতে মাথাটা উঁচু করেছে কোহেন। খামচে ধরে আছে বুকটা।

‘কী করছেন, রানা?’ উচ্চারণ করতে পারল কোনও রকমে।

‘আন্দাজ করুন দেখি!’ চোখ টিপল রানা।

সঙ্গে সঙ্গে বুঝে ফেলল কোহেন। ‘আচ্ছা শয়তান লোক তো আপনি!’

বিমল হাসিতে উদ্ভাসিত হলো এমআরনাইনের বদনখানি।

বস্তার মুখ খুলে বেরিয়ে পড়া আলুর মত হুড়মুড় করে কামরায় ছড়িয়ে পড়ল প্রহরীরা। সামনের একজন কাঁধে এমফোর ঠেকিয়ে নিশানা করল রানার দিকে।

গার্ডটার উদ্দেশে এক টুকরো হাসি ছুঁড়ে দিয়ে লাল বাটনটা দাবিয়ে দিল রানা।

ট্রিগার টিপতে গিয়েও দ্বিধা করল প্রহরী। প্রতিপক্ষের আত্মবিশ্বাস দেখে হাতে কাঁপছে অস্ত্রটা। অক্ষত রয়েছে, এমন এক স্ক্রিনের উপর গিয়ে পড়ল দৃষ্টি। গাল্ফ অভ ফিনল্যাণ্ডের পুব প্রান্তের কাছে পসাইডনের জিপিএস পজিশন শো করছে ওটা। এর পর চোখ গেল টার্গেটিং কমপিউটারে।

সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফারিত হলো চোখ জোড়া। দুটো স্ক্রিনেরই কো-অর্ডিনেট এক!

যার মানে হলো…..

নির্জলা আতঙ্ক ফুটল লোটার চেহারায়। আপনা-আপনি নিচু হয়ে গেল রাইফেলটা। এক মুহূর্তের জন্য এমন এক চাউনি দিল রানার উদ্দেশে, যেন একমত সে কোহেনের করা মন্তব্যটার সঙ্গে। পরক্ষণেই অবশ পায়ে পিছু হটল দরজার দিকে। সহকর্মীদের ঠেলে সরিয়ে, লাশ টপকাল বদ্ধ উন্মাদের মত।

‘পালাও! পালাও! ভাগো সবাই এ-জাহাজ থেকে!’ চিৎকার করছে পড়ি কি মরি হয়ে ছুটতে ছুটতে।

‘কী ঘোড়ার আণ্ডাটা করেছ তুমি, ওস্তাদজি?’ রক্তক্ষরণে ফ্যাকাসে হয়ে গেছে ব্রিয়া ফুলজেন্স।

‘জাহাজ ছাড়ার জন্যে সাড়ে চার মিনিটেরও কম সময় পাচ্ছি আমরা,’ জবাব দিল রানা। ‘চলো!’

সকল অধ্যায়

১. শকওয়েভ – ১
২. শকওয়েভ – ২
৩. শকওয়েভ – ৩
৪. শকওয়েভ – ৪
৫. শকওয়েভ – ৫
৬. শকওয়েভ – ৬
৭. শকওয়েভ – ৭
৮. শকওয়েভ – ৮
৯. শকওয়েভ – ৯
১০. শকওয়েভ – ১০
১১. শকওয়েভ – ১১
১২. শকওয়েভ – ১২
১৩. শকওয়েভ – ১৩
১৪. শকওয়েভ – ১৪
১৫. শকওয়েভ – ১৫
১৬. শকওয়েভ – ১৬
১৭. শকওয়েভ – ১৭
১৮. শকওয়েভ – ১৮
১৯. শকওয়েভ – ১৯
২০. শকওয়েভ – ২০
২১. শকওয়েভ – ২১
২২. শকওয়েভ – ২২
২৩. শকওয়েভ – ২৩
২৪. শকওয়েভ – ২৪
২৫. শকওয়েভ – ২৫
২৬. শকওয়েভ – ২৬
২৭. শকওয়েভ – ২৭
২৮. শকওয়েভ – ২৮
২৯. শকওয়েভ – ২৯
৩০. শকওয়েভ – ৩০
৩১. শকওয়েভ – ৩১
৩২. শকওয়েভ – ৩২
৩৩. শকওয়েভ – ৩৩
৩৪. শকওয়েভ – ৩৪
৩৫. শকওয়েভ – ৩৫
৩৬. শকওয়েভ – ৩৬
৩৭. শকওয়েভ – ৩৭
৩৮. শকওয়েভ – ৩৮
৩৯. শকওয়েভ – ৩৯
৪০. শকওয়েভ – ৪০
৪১. শকওয়েভ – ৪১
৪২. শকওয়েভ – ৪২
৪৩. শকওয়েভ – ৪৩
৪৪. শকওয়েভ – ৪৪
৪৫. শকওয়েভ – ৪৫
৪৬. শকওয়েভ – ৪৬
৪৭. শকওয়েভ – ৪৭
৪৮. শকওয়েভ – ৪৮
৪৯. শকওয়েভ – ৪৯
৫০. শকওয়েভ – ৫০
৫১. শকওয়েভ – ৫১
৫২. শকওয়েভ – ৫২
৫৩. শকওয়েভ – ৫৩
৫৪. শকওয়েভ – ৫৪
৫৫. শকওয়েভ – ৫৫
৫৬. শকওয়েভ – ৫৬
৫৭. শকওয়েভ – ৫৭
৫৮. শকওয়েভ – ৫৮
৫৯. শকওয়েভ – ৫৯
৬০. শকওয়েভ – ৬০
৬১. শকওয়েভ – ৬১
৬২. শকওয়েভ – ৬২
৬৩. শকওয়েভ – ৬৩
৬৪. শকওয়েভ – ৬৪
৬৫. শকওয়েভ – ৬৫
৬৬. শকওয়েভ – ৬৬
৬৭. শকওয়েভ – ৬৭
৬৮. শকওয়েভ – ৬৮
৬৯. শকওয়েভ – ৬৯
৭০. শকওয়েভ – ৭০
৭১. শকওয়েভ – ৭১
৭২. শকওয়েভ – ৭২
৭৩. শকওয়েভ – ৭৩
৭৪. শকওয়েভ – ৭৪
৭৫. শকওয়েভ – ৭৫
৭৬. শকওয়েভ – ৭৬
৭৭. শকওয়েভ – ৭৭
৭৮. শকওয়েভ – ৭৮
৭৯. শকওয়েভ – ৭৯

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন