কা তব কান্তা

শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়

কা তব কান্তা

এই কাহিনী বর্তমান কালের কি ভবিষ্য কালের তাহা ঠিক বলিতে পারিতেছি না। এ যুগে মহাকাল যেরূপ প্রচণ্ডবেগে ছুটিয়াছেন তাহাতে বর্তমানকাল চক্ষের নিমেষে অতীতে পরিণত হইতেছে, ভূত-ভবিষ্যৎ একাকার হইয়া যাইতেছে। এই ছুটাছুটি ও হুড়াহুড়ির হিড়িকে মাটির বন্ধন শিথিল হইয়া গিয়াছে, আকাশের বিদ্যুতের সঙ্গে আমরা পাল্লা দিতেছি। অন্যান্য স্থাবর বস্তুর সঙ্গে সঙ্গে বিবাহ নামক গৃহপালিত সংস্কারটি গৃহের মতোই অনাবশ্যক হইয়া পড়িতেছে। যস্মিন্ দেশে যদাচারঃ এই বাক্যটাকে প্রসারিত করিয়া যস্মিন্ কালে যদাচারঃ এই বাক্যটি প্রবর্তনের সময় উপস্থিত হইয়াছে।

অথ—

দক্ষিণ আমেরিকার একটি রাজ্য। চির-বসন্তের দেশ। বসন্ত ঋতু কখনও একটু আতপ্ত হয়, কখনও বা একটু শীতল হয়। অন্য ঋতু নাই। সোনালী দিনগুলি রূপালী রাত্রে মিলাইয়া যায়; আবার সূর্যের পরশমণি রূপাকে সোনা করিয়া তোলে। জীবন-নদী দ্রুতবিলম্বিত ছন্দে সঞ্চারিত হয়; জীবনের ঊর্ধ্বশ্বাস ছোটাছুটি এই রাজ্যে আসিয়া যেন ক্ষণকালের জন্য ক্লান্তি বিনোদন করে।

এই রাজ্যে ভারতীয় দূতাবাস আছে। দূতাবাসে যে-কয়জন ভারতীয় রাজপুরুষ আছেন তন্মধ্যে দুইজন বাঙালী; করঞ্জ রায় এবং উন্মেষ গুপ্ত। তাহারা মধ্যম শ্রেণীর রাজপুরুষ, দূতাবাসের সন্নিকটে অপেক্ষাকৃত নির্জন পাড়ায় বাসা লইয়া একত্র বাস করে। দু’জনেই যুবা পুরুষ এবং সস্ত্রীক।

ভারতীয় দৌত্য-বিভাগে যাহারা কাজ করেন, তাহাদের নানা সদ্‌গুণের সঙ্গে রূপও থাকা চাই অর্থাৎ চেহারা ভাল হওয়া দরকার। শুধু তাই নয়, তাহাদের স্ত্রীরাও সুদর্শনা হইবে এইরূপ একটি অলিখিত নিয়ম আছে। কারণ দূতাবাসের রাজপুরুষদের নিয়তই স্ত্রী লইয়া আন্তর্জাতিক পার্টি ও জলসায় যোগ দিতে হয়, সেখানে ভারতের পক্ষ হইতে খেঁদি-বুঁচির আবির্ভাব বাঞ্ছনীয় নয়; তাহাতে ভারত সম্বন্ধে অন্যান্য দেশের ধারণা খারাপ হইয়া যাইতে পারে। সুতরাং বলা বাহুল্য যে উন্মেষ গুপ্ত ও করঞ্জ রায় যেমন সুপুরুষ, তাহাদের স্ত্রী উন্মনা ও কিঙ্কিণীও তেমনি কান্তিমতী।

তাহাদের বাসা বাড়িটি স্প্যানিশ্ আমেরিকান ছাঁদের একতলা বাড়ি, তাহাকে দুই ভাগ করিয়া এক ভাগে উন্মেষ ও উন্মনা থাকে, অন্য ভাগে থাকে করঞ্জ ও কিঙ্কিণী। কেবল স্ত্রী-পুরুষের সংসার; তাহারা বড় আনন্দে আছে। যেন পাশাপাশি খোপে জোড়ের পায়রা।

একদিন অপরাহ্নে উন্মনা ও কিঙ্কিণী বাড়ির সংলগ্ন বাগানে বেড়াইতেছিল। বাগানটি ফুলে ফুলে ভরা। কিঙ্কিণীর ভারি বাগানের শখ, সে নিজের হাতে বাগানটি গড়িয়া তুলিয়াছে; এ দেশের নানা জাতীয় মরসুমী গাছ তো আছেই, ভারতবর্ষ হইতে চাঁপা স্থলপদ্ম শিউলি প্রভৃতি গাছ আনাইয়া পুঁতিয়াছে। উন্মনার অত বাগানের শখ না থাকিলেও সে গাছপালা লতাপাতা ফুল ফল ঘেরা পরিবেশ ভালবাসে। দু’জনেই প্রসন্নমনা, বুদ্ধিমতী, সুশিক্ষিতা, গড়ন-পেটনেও প্রায় একই রকম, বেশবাসও একই ধরনের। একই সংস্কৃতির ছাঁচে ঢালাই করা দু’টি প্ল্যাস্টারের মূর্তি।

বাগানে বেড়াইতে বেড়াইতে দু’জনে অলস কণ্ঠে লঘু বাক্যালাপ করিতেছে। আজ তাহাদের কোথাও যাইবার নাই; গতকল্য মার্কিন দূতাবাসে একটা বড় গাছের পার্টি হইয়া গিয়াছে, নাচ-গান শেরি-শ্যাম্পেন চলিয়াছে। আজ বিশ্রাম । উন্মেষ ও করঞ্জ দুপুরবেলা লাঞ্চের পর কাজে গিয়াছে, এখনও ফিরিয়া আসে নাই। সাধারণত তাহাদের কাজকর্ম কিছু থাকে না, আজ বোধহয় হঠাৎ দূতাবাসে কোনও কাজ পড়িয়াছে।

আকাশে এরোপ্লেনের দূরাগত গুঞ্জন অনেকক্ষণ ধরিয়া শোনা যাইতেছিল, এখন দেখা গেল একটা ভাইকাউন্ট প্লেন পশ্চিম দিগন্তরেখার কাছে নিভৃতে অবতরণ করিল, তাহার ভ্রমর-গুঞ্জন ক্ষান্ত হইল। ওই দিকে এরোড্রোম আছে, নিয়মিত প্লেনের যাতায়াত হয়; কিন্তু প্লেনগুলা শোরগোল করে না, চুপিচুপি আসে, চুপিচুপি যায়।

উন্মনা ও কিঙ্কিণী কিছুক্ষণ সেইদিকে চাহিয়া রহিল। তারপর উন্মনা বলিল, ‘কারা এল কে জানে!’

কিঙ্কিণী বলিল, ‘যাদের ছুটোছুটি করে বেড়াতে ভাল লাগে তারাই এল, আর কে আসবে।’

উন্মনা হাসিয়া বলিল, ‘তোর এক জায়গায় ভিত গেড়ে বসে থাকতে ভাল লাগে। সকলের তো তা নয়।’

কিঙ্কিণী বলিল, ‘তা কি করব। এমন দেশ পেলে কি ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করে। শীত নেই, গরম নেই, পচা বর্ষা নেই; যেন মেঘদূতের অলকাপুরী।’

উন্মনা বলিল, ‘আচ্ছা কিঙ্কিণী, তোর দেশের জন্যে মন কেমন করে?’

কিঙ্কিণী একবার স্নিগ্ধ চোখে বাগানের চারিদিকে দৃষ্টি বুলাইয়া কহিল, ‘না ভাই, এই দেশটাই আমার নিজের দেশ বলে মনে হয়। বাংলা দেশে আমার কেই বা আছে, কেউ নেই। তবে যদি কেউ বাংলা দেশ থেকে জুঁই চামেলি জবা ফুলের চারা এনে দেয়, খুব ভাল লাগে। —তোর কি বাংলা দেশের জন্যে মন কেমন করে নাকি?’

উন্মনা মাথা নাড়িয়া বলিল, ‘না; আমার মনে হয় পৃথিবীর সব দেশই আমার দেশ। ইচ্ছে করে নতুন নতুন দেশে ঘুরে বেড়াই।’

সহসা কিঙ্কিণী নাসা-পুট স্ফুরিত করিয়া বলিয়া উঠিল, ‘উন্মনা, গন্ধ পাচ্ছিস? কাঁঠালী চাঁপার গন্ধ? নিশ্চয় ফুল ফুটেছে। আয় খুঁজে দেখি।’

বাগানের এক কোণে কাঁঠালী চাঁপার ঝাড়। সেইদিকে যাইতে যাইতে কিঙ্কিণী হাসিমুখে বলিল, ‘একমাস পরে বকুল গাছে ফুল ধরবে। তখন যে কী মজা হবে! সারা বাগান বকুলের গন্ধে ভরে থাকবে—’

তাহারা কাঁঠালী চাঁপার ঝাড়ে লুকোনো ফুল খুঁজিতেছে, এমন সময় দূতাবাসের মোটর আসিয়া ফটকের সামনে থামিল। মোটর হইতে নামিল একা উন্মেষ। সাধারণত উন্মেষ ও করঞ্জ একসঙ্গে দূতাবাসের গাড়িতে বাসায় ফেরে, আজ উন্মেষকে একা ফিরিতে দেখিয়া উন্মনা ও কিঙ্কিণী তাহার দিকে অগ্রসর হইল। উন্মনা স্বামীকে প্রশ্ন করিল, ‘একা যে! দ্বিতীয় ব্যক্তি কোথায়?’

উন্মেষের টেনিস-খেলা শরীরে একটি বেত্রবৎ নমনীয়তা আছে। সে নাটকীয় ভঙ্গিতে দুই বাহু তরঙ্গায়িত করিয়া বলিল, ‘ওগো সুদূর, বিপুল সুদূর, তুমি যে বাজাও ব্যাকুল বাঁশরি—’

কিঙ্কিণী দ্রুতপদে তাহার সম্মুখে আসিয়া দাঁড়াইল, উদ্বিগ্ন স্বরে বলিল, ‘কি হয়েছে?’

উন্মেষ বাগানের ইতি-উতি করুণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া নিশ্বাস ছাড়িল, ‘আহা, এমন সাজানো বাগান শুকিয়ে যাবে!’

কিঙ্কিণী তাহার টাই ধরিয়া সজোরে ঝাঁকানি দিয়া বলিল, ‘শিগ্‌গির বল কি হয়েছে?’

উন্মেষ তখন বলিল, ‘কি আর হবে, করঞ্জ’র বদলির হুকুম এসেছে।’

‘অ্যাঁ’, কিঙ্কিণীর মুখ পাংশু হইয়া গেল।

উন্মেষ বলিল, ‘তাও কি কাছাকাছি! একেবারে পৃথিবীর ও-প্রান্তে।’

উন্মনা কাছে আসিয়া প্রশ্ন করিল, ‘কোথায়?’

‘লেনিনগ্রাডে। লৌহ-যবনিকার অন্তরালে।’

শুনিয়া কিঙ্কিণী টলিয়া পড়িয়া যাইতেছিল, উন্মেষ তাহাকে ধরিয়া ফেলিয়া পৃষ্ঠের উপর বাহুবেষ্টন পূর্বক অকপট অনুকম্পার স্বরে বলিল, ‘There there, don’t be upset darling, আমরা সবাই পদ্মপাতায় জল। কাল হয়তো আমার অষ্ট্রেলিয়ায় বদলি হওয়ার হুকুম আসবে।’

কিঙ্কিণী উন্মেষের কোটের বুকে মাথা রাখিয়া ফুঁপাইয়া ফুঁপাইয়া কাঁদিয়া উঠিল, বাষ্পবিকৃত স্বরে বলিল, ‘না না, আমি যাব না—আমি যাব না—’

উন্মেষ উন্মনাকে চোখের ইশারা করিল; দু’জনে কিঙ্কিণীর দুই বাহু ধরিয়া ভিতরে লইয়া গেল, সোফায় শোয়াইয়া দিল। উন্মনা ত্বরিতে এক পেয়ালা গরম দুধে ব্রান্ডি মিশাইয়া কিঙ্কিণীকে খাওয়াইয়া দিল।

কিছুক্ষণ পরে চোখ মেলিয়া কিঙ্কিণী বলিল, ‘ও কখন আসবে?’

উন্মেষ বলিল, ‘এখনি আসবে। চার্জ্ বোঝানো, পাসপোর্টের ব্যবস্থা করা, কালকের প্লেনে সীট বুক করা, সব কাজ সেরে ফিরবে।’

‘কালকের প্লেনে!’

‘হ্যাঁ। দিল্লি থেকে জরুরী তার এসেছে, কালকেই তোমাদের বেরুতে হবে।’

কিঙ্কিণী সোফায় চোখ বুজিয়া পড়িয়া রহিল, মাঝে মাঝে রুমাল দিয়া চোখ মুছিতে লাগিল।

সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইয়া যাইবার পর করঞ্জ ফিরিল। ক্লান্ত ও বিমর্ষ মুখে কিঙ্কিণীর সোফার পাশে বসিতেই কিঙ্কিণী মাথা ঝাঁকানি দিয়া বলিল, ‘আমি যাব না, যাব না, যাব না—’

করঞ্জ কিঙ্কিণীর হাত ধরিয়া বুঝাইয়া চেষ্টা করিল যে স্ত্রীকে এক রাজ্যের দূতাবাসে ফেলিয়া অন্য রাজ্যের দূতাবাসে বদলি হওয়া সম্পূর্ণ রাজনীতি-বিরুদ্ধ, ইহাতে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সংকটময় হইয়া উঠিতে পারে; কিন্তু কিঙ্কিণী বুঝিল না, মাথা নাড়িয়া বলিল, ‘আমি শীত সহ্য করতে পারি না। লেনিনগ্রাডে ভীষণ শীত; সেখানে গেলে আমি শুকিয়ে কুঁকড়ে মরে যাব।’

করঞ্জ আর এক দফা বুঝাইবার উদ্যোগ করিল, কিঙ্কিণী বলিল, ‘একমাস পরে আমার বকুলগাছে ফুল ফুটবে। আমি যাব না, কিছুতেই যাব না।’ বলিয়া হাপুস নয়নে কাঁদিতে লাগিল।

করঞ্জ হতাশভাবে উন্মেষ ও উন্মনার পানে চাহিল। উন্মেষ তাহাকে ঘাড় নাড়িয়া ইশারা করিল; দুইজনে উঠিয়া গিয়া পাশের ঘরে দ্বার বন্ধ করিল। উন্মনা কিঙ্কিণীর শিয়রে বসিয়া তাহার মাথায় হাত বুলাইয়া দিতে লাগিল।

আধঘণ্টা পরে উন্মেষ দ্বার একটু ফাঁক করিয়া হাতছানি দিয়া উন্মনাকে ডাকিল। উন্মনা উঠিয়া গিয়া তাহাদের সঙ্গে যোগ দিল, প্রশ্ন-কুতুহলী চক্ষে চাহিয়া বলিল, ‘কত দূর? সমস্যার সমাধান হল?’

উন্মেষ বলিল, ‘দু’জন পরামর্শ করে একটা রাস্তা বার করেছি। কিন্তু সব নির্ভর করছে তোমার উপর।’

‘তাই নাকি? প্রস্তাবটা কী শুনি।’

করঞ্জ প্রস্তাবটি প্রকাশ করিয়া বলিল। শুনিয়া উন্মনা চকিত চপল চক্ষে তাহাদের দু’জনের পানে চাহিল। কিছুক্ষণ চক্ষু নত করিয়া ভাবিল, তারপর হাসি-ভরা মুখ তুলিয়া বলিল, ‘মন্দ কি! একটা নতুন ধরনের অ্যাড্‌ভেঞ্চার হবে।’

করঞ্জ মহানন্দে তাহার হাত চাপিয়া ধরিয়া বলিল, ‘উন্মনা, তুমি আমার প্রাণ বাঁচিয়েছ। তুমি যদি রাজী না হতে—’

উন্মনা অবাক হইয়া বলিল, ‘রাজী হব না কেন? আমার তো দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াতে ভালই লাগে।’

উন্মেষ বলিল, ‘কিঙ্কিণীর কাছে প্রস্তাবটা তাহলে তুমিই কর, উন্মনা।’

‘আচ্ছা।’—উন্মনা করঞ্জের পানে একটি সুস্মিত কটাক্ষপাত করিয়া চলিয়া গেল! উন্মেষ করঞ্জের দিকে হাত বাড়াইয়া দিল; দু’জনে প্রগাঢ় ভাবে শেক্‌-হ্যান্ড করিল।

উন্মনা ফিরিয়া গিয়া কিঙ্কিণীর কাছে বসিল, ‘উঠে বোস্ কিঙ্কিণী, কথা আছে।’

কিঙ্কিণী নির্জীবভাবে বাহুতে ভর দিয়া উঠিয়া বসিল। উন্মনা তখন মৃদুকণ্ঠে তাহাকে প্রস্তাবটি শুনাইল। শুনিতে শুনিতে কিঙ্কিণীর চোখে মুখে সজীবতা ফিরিয়া আসিল, সে সোজা হইয়া বসিল। উন্মনা প্রস্তাব শেষ করিয়া বলিল, ‘আমরা কে কার বউ এদেশে কেউ তা ভাল করে ঠাহর করতে পারে না। আমরা যেমন চীনে-জাপানীদের মুখের তফাৎ বুঝতে পারি না, ওদেরও সেই দশা। বেশী কথা কি, আমাদের নিজেদের অ্যামবাসেডর হরিআপ্‌পা সাহেব সেদিন আমাকে তুই বলে ভুল করলেন। —তাহলে কি বলিস? রাজী?’

কিঙ্কিণী আবেগভরে উন্মনার গলা জড়াইয়া গণ্ডে চুম্বন করিল, বলিল, ‘রাজী।’

পরদিন সন্ধ্যাবেলা চারিজনে দূতাবাসের স্টেশন ওয়াগনে চড়িয়া এরোড্রামে উপস্থিত হইল। পাসপোর্ট দেখানো ইত্যাদি কর্ম নির্বিঘ্নে নিষ্পন্ন হইল।

প্লেন ছাড়িতে বিলম্ব নাই। উন্মেষ করঞ্জের পৃষ্ঠে সাদর চপেটাঘাত করিয়া বলিল, ‘বঁ ভোয়াজ্।’

করঞ্জ বলিল, ‘গুড্ বাই। বী গুড্।’

কিঙ্কিণী উন্মনা পরস্পর আলিঙ্গন করিল। কিঙ্কিণী উন্মনার কানে কানে বলিল, ‘পৌঁছে চিঠি দিস।’

তারপর করঞ্জ ও উন্মনা বাহুতে বাহু জড়াইয়া প্লেনে গিয়া উঠিল। উন্মেষ ও কিঙ্কিণী পাশাপাশি দাঁড়াইয়া রুমাল নাড়িতে লাগিল।

১৫ আশ্বিন ১৩৬৮

সকল অধ্যায়

১. প্রেতপুরী
২. বিজ্ঞাপন বিভ্ৰাট
৩. উড়ো মেঘ
৪. বেড়ালের ডাক
৫. প্লেগ
৬. রূপসী
৭. কবি-প্রিয়া
৮. রক্ত-খদ্যোত
৯. টিকটিকির ডিম
১০. দৈবাৎ
১১. অন্ধকারে
১২. বিজয়ী
১৩. করুণাময়ী
১৪. দুই দিক
১৫. শীলা-সোমেশ
১৬. কুলপ্রদীপ
১৭. মরণ-ভোমরা
১৮. ইতর-ভদ্র
১৯. রূপকথা
২০. কর্তার কীর্তি
২১. কালকূট
২২. অশরীরী
২৩. ব্রজলাট
২৪. সন্ধি-বিগ্রহ
২৫. উল্কার আলো
২৬. অরণ্যে
২৭. মেথুশীলা
২৮. মনে মনে
২৯. সবুজ চশমা
৩০. নারীর মূল্য
৩১. আলোর নেশা
৩২. বহুবিঘ্নানি
৩৩. ট্রেনে আধঘণ্টা
৩৪. গ্রন্থকার
৩৫. কুবের ও কন্দর্প
৩৬. মরণ দোল
৩৭. অমরবৃন্দ
৩৮. আঙটি
৩৯. তিমিঙ্গিল
৪০. ভেনডেটা
৪১. ভল্লু সর্দার
৪২. বিদ্রোহী
৪৩. স্বখাত সলিল
৪৪. অভিজ্ঞান
৪৫. জটিল ব্যাপার
৪৬. আদিম নৃত্য
৪৭. একূল ওকূল
৪৮. প্রতিদ্বন্দ্বী
৪৯. কেতুর পুচ্ছ
৫০. শালীবাহন
৫১. বরলাভ
৫২. প্রেমের কথা
৫৩. ভালবাসা লিমিটেড
৫৪. মায়ামৃগ
৫৫. সন্দেহজনক ব্যাপার
৫৬. তন্দ্রাহরণ
৫৭. বহুরূপী
৫৮. হাসি-কান্না
৫৯. প্রণয় কলহ
৬০. ধীরে রজনি!
৬১. ন্যুডিসম-এর গোড়ার কথা
৬২. শুক্লা একাদশী
৬৩. মন্দ লোক
৬৪. দন্তরুচি
৬৫. প্রেমিক
৬৬. স্বর্গের বিচার
৬৭. মায়া কানন
৬৮. প্রতিধ্বনি
৬৯. অযাত্রা
৭০. কুতুব-শীর্ষে
৭১. টুথব্রাশ
৭২. নাইট ক্লাব
৭৩. নিশীথে
৭৪. রোমান্স
৭৫. যস্মিন দেশে
৭৬. পিছু ডাক
৭৭. গোপন কথা
৭৮. অপরিচিতা
৭৯. ঘড়ি
৮০. গ্যাঁড়া
৮১. মাৎসন্যায়
৮২. লম্পট
৮৩. আরব সাগরের রসিকতা
৮৪. এপিঠ ওপিঠ
৮৫. ঝি
৮৬. অসমাপ্ত
৮৭. শাপে বর
৮৮. ইচ্ছাশক্তি
৮৯. পঞ্চভূত
৯০. ভাল বাসা
৯১. আধিদৈবিক
৯২. বাঘিনী
৯৩. ভূতোর চন্দ্রবিন্দু
৯৪. সেকালিনী
৯৫. দিগদর্শন
৯৬. মুখোস
৯৭. আণবিক বোমা
৯৮. স্মর-গরল
৯৯. ছুরি
১০০. আকাশবাণী
১০১. নিষ্পত্তি
১০২. শাদা পৃথিবী
১০৩. ভাগ্যবন্ত
১০৪. মেঘদূত
১০৫. পরীক্ষা
১০৬. বালখিল্য
১০৭. পূর্ণিমা
১০৮. নূতন মানুষ
১০৯. স্বাধীনতার রস
১১০. ও কুমারী
১১১. যুধিষ্ঠিরের স্বর্গ
১১২. ধীরেন ঘোষের বিবাহ
১১৩. দেহান্তর
১১৪. ভূত-ভবিষ্যৎ
১১৫. ভক্তিভাজন
১১৬. গ্রন্থি-রহস্য
১১৭. জোড় বিজোড়
১১৮. নিরুত্তর
১১৯. অলৌকিক
১২০. সন্ন্যাস
১২১. তা তা থৈ থৈ
১২২. আদায় কাঁচকলায়
১২৩. বনমানুষ
১২৪. বড় ঘরের কথা
১২৫. শ্রেষ্ঠ বিসর্জন
১২৬. অষ্টমে মঙ্গল
১২৭. কল্পনা
১২৮. তাই নে রে মন তাই নে
১২৯. কানু কহে রাই
১৩০. চরিত্র
১৩১. দেখা হবে
১৩২. গীতা
১৩৩. গুহা
১৩৪. শরণার্থী
১৩৫. শূন্য শুধু শূন্য নয়
১৩৬. মধু-মালতী
১৩৭. চিরঞ্জীব
১৩৮. মায়া কুরঙ্গী
১৩৯. ঘড়িদাসের গুপ্তকথা
১৪০. সতী
১৪১. অপদার্থ
১৪২. এমন দিনে
১৪৩. কালো মোরগ
১৪৪. নখদর্পণ
১৪৫. সাক্ষী
১৪৬. হেমনলিনী
১৪৭. পতিতার পত্র
১৪৮. সেই আমি
১৪৯. মানবী
১৫০. প্রিয় চরিত্র
১৫১. স্ত্রী-ভাগ্য
১৫২. সুত-মিত-রমণী
১৫৩. কা তব কান্তা
১৫৪. প্রত্নকেতকী
১৫৫. সুন্দরী ঝর্ণা
১৫৬. চিড়িকদাস
১৫৭. চিন্ময়ের চাকরি
১৫৮. মুষ্টিযোগ
১৫৯. ছোট কর্তা
১৬০. মালকোষ
১৬১. গোদাবরী
১৬২. ফকির-বাবা
১৬৩. অবিকল
১৬৪. কিসের লজ্জা
১৬৫. বোম্বাইকা ডাকু
১৬৬. চলচ্চিত্র প্রবেশিকা
১৬৭. আর একটু হলেই
১৬৮. কিষ্টোলাল
১৬৯. পিছু পিছু চলে
১৭০. কামিনী
১৭১. জননান্তর সৌহৃদানি
১৭২. হৃৎকম্প
১৭৩. পলাতক
১৭৪. ভাই ভাই
১৭৫. প্রেম
১৭৬. রমণীর মন
১৭৭. মটর মাস্টারের কৃতজ্ঞতা
১৭৮. বুড়ো বুড়ি দুজনাতে
১৭৯. কালস্রোত
১৮০. অমাবস্যা
১৮১. বক্কেশ্বরী
১৮২. নীলকর
১৮৩. ডিকটেটর
১৮৪. গল্প-পরিচয় – শোভন বসু

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন