কুকড়াঝোরার নেকড়েমানুষ – ১

সৈকত মুখোপাধ্যায়

গত রোববার দুপুরে বুধোদার বাড়ি গিয়েছিলাম। বুধোদার অ্যান্টিকের শোরুম ‘মহারাজা কালেকশনস’ রোববার বন্ধ থাকে, তাই ওই একটা দিনই ওর সঙ্গে একটু গল্প-টল্প করার সুযোগ পাই।

উত্তরপাড়ার জি.টি. রোডের একধারে বুধোদাদের একশো-সতেরো বছরের পুরনো প্রাসাদের মতন বাড়ি—নাম হেমকুঞ্জ। আর জি.টি. রোড পেরিয়ে উলটোদিকে দু-মিনিট হাঁটলেই আমাদের বাড়ি। হেমকুঞ্জের সকলকেই আমি জ্ঞান হওয়ার পর থেকে আত্মীয় বলেই জানি। তবে তাদের মধ্যে আমার সবচেয়ে ভাব বুধোদা, মানে বোধিসত্ত্ব মজুমদারের সঙ্গে।

সেদিন ঘরে ঢুকতেই বুধোদা আমাকে পুনের দীনকর কেলকার মিউজিয়ামের একটা ক্যাটালগ দেখতে দিয়ে বলল, এটা দ্যাখ রুবিক। বুঝতে পারবি একশো কি দুশো বছর আগে প্রতিদিনের কাজের জিনিসগুলোকেও মানুষ কত সুন্দর করে বানাতো। আর কেলকার মিউজিয়ামে এসব জিনিসের যা কালেকশনস আছে সেরকম আর কোথাও নেই।

সত্যিই তাই। যতই বইটার একটা একটা করে পাতা ওলটাচ্ছিলাম ততই আমার চোখ গোল গোল হয়ে যাচ্ছিল।

চুলের চিরুনি থেকে পায়ের চটি, কুটনো কোটার বঁটি থেকে মানুষ কাটার তলোয়ার—সব কিছুতেই যেন শিল্পীর কল্পনার ছোঁয়া। কয়েকটা জাঁতির ছবি ছিল— সুপুরি কাটার জাঁতি। তার কোনোটার শেপ মাছের মতন, কোনোটা বাঘের মতন, আর সবচেয়ে সুন্দর যেটা সেটা একটা উড়ন্ত পরি।

আমার পড়া হয়ে যাবার পর বইটা আলমারিতে ঢুকিয়ে রাখতে রাখতে বুধোদা দুঃখ করে বলল, শিল্পবিপ্লবের পর থেকে এই হাতের ছোঁয়াটাই হারিয়ে গেছেরে রুবিক। এখন বড় বড় মেশিনে এক মাপের, এক ডিজাইনের, কোটি কোটি আইটেম তৈরি হয়। তার মধ্যে কোথায় শিল্প আর কোথায় কল্পনা?

তরপর মুচকি হেসে যোগ করল—অবশ্য তাতে বোধিসত্ত্ব মজুমদারের মঙ্গলই হয়েছে। এখন পাওয়া যায় না বলেই তো এগুলো অ্যান্টিক। আর অ্যান্টিক বেচেই তো তোর বুধোদার পেট চলে।

পেট চলার কথাটা ডাঁহা মিথ্যে। বুধোদাদের পৈতৃক যে ট্র্যান্সপোর্টের বিজনেস আছে সেটার ভয়ঙ্কর নামডাক। ‘মহারাজা কালেকশনস’ না থাকলেও ও দিব্যি রাজার হালে থাকতে পারত। আসলে ওর নিজের মধ্যেই ইতিহাস, শিল্প এইসবের প্রতি একটা প্রবল টান রয়েছে আর সেই টান থেকেই ও অ্যান্টিকের বিজনেস শুরু করেছে। আমি বেশ বুঝতে পারি, ব্যবসায় লাভ-ক্ষতির ব্যাপারটা ও একদমই পাত্তা দেয় না। কোনো জিনিস মনে ধরলে দিব্যি সেটাকে বিক্রি না করে নিজের আলমারিতে তুলে রেখে দেয়।

আমাদের কথার মধ্যেই একবার যেন একতলা থেকে ডোর-বেলের আবছা আওয়াজ পেলাম।

মজুমদার ফ্যামিলির বহুদিনের হেল্পিং-হ্যান্ড কানাইদা সারাক্ষণ নীচেই থাকে। লোকজন এলে ও-ই দরজা খুলে বাইরের ঘরে বসায়, তারপর যার সঙ্গে প্রয়োজন তাকে ডেকে দেয়। সেদিনের সেই ভিজিটরের প্রয়োজনটা ছিল বুধোদার সঙ্গেই। কানাইদা ওপরে উঠে এসে খবর দিল—ছোড়দা, এক বাবু তোমার সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন।

বুধোদা আশি বছরের পুরনো কুক অ্যান্ড কেলভির দেয়ালঘড়িটার দিকে তাকিয়ে বলল, ভদ্রলোক তো দেখছি ভয়ঙ্কর পাঙচুয়াল। পাঁচটায় আসবেন বলেছিলেন। একেবারে অন দা ডট পাঁচটাতেই এসেছেন।

আমি বললাম, কোন ভদ্রলোক?

শোভাবাজারের সুধাবিন্দু বসাক। বিজনেসম্যান। সকালে ফোনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়েছিলেন। চল, নিচে গিয়ে শুনি ওনার কী বক্তব্য।

বাইরের ঘরে সোফায় যিনি বসেছিলেন তার বয়স পঞ্চাশের বেশ কিছুটা নিচেই হবে। ছোটখাটো চেহারা, গায়ের রং ফর্সা, মাথার সামনের দিক থেকে চুল পাতলা হয়ে টাক পড়ে গিয়েছে। একটু বোঁচা নাক আর ফোলা গালের জন্যে মুখটা বাচ্চা বাচ্চা লাগে—যাকে বলে ‘বেবি-ফেস’। যে অ্যাশ কালারের ব্লেজারটা পরে ছিলেন সেটার কথা ছেড়েই দিলাম। চশমা, মোবাইল থেকে শুরু করে পকেটের পেন, সবকটাই দেখলাম ভয়ঙ্কর নামজাদা ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট। ইচ্ছে করছিল একবার দরজার বাইরে উঁকি মেরে দেখে আসি, ছেড়ে রাখা জুতোদুটো কোন কোম্পানির। কিন্তু এদিকে কথা শুরু হয়ে গেল বলে সেটা আর করা গেল না। বুধোদা ঘরে ঢুকতেই ভদ্রলোক সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে শেক হ্যান্ড করার জন্যে হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, মিস্টার মজুমদার? আমিই সুধাবিন্দু বসাক। আপনাকে ফোন করেছিলাম।

বুধোদা ওনার হাতটা দুবার ঝাঁকিয়ে দিয়ে বলল, বসুন বসুন। বলুন কী করতে পারি।

ভদ্রলোক বললেন, দেখুন মিস্টার মজুমদার, আমাদের ফ্যামিলিটাও আপনাদের মতনই পুরনো। ইন-ফ্যাক্ট, আপনাদের এই বাড়িটার সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের শোভাবাজারের বাড়িটার কথাই মনে পড়ছিল। আমাদের বাড়ির নামটা অবশ্য একটু বিলিতি ঘেঁষা, ‘হ্যাপি নুক’। আর সেটা স্বাভাবিক। আমার দাদুর দাদু মন্মথনাথ বসাক ইংরেজদের সঙ্গে ওঠাবসা করেই বড়লোক হয়েছিলেন। নুনের গোলা, মশলা, সোনা-রুপো এরকম নানারকম ব্যবসা ছিল তাঁর। বাড়িটা তিনিই বানিয়েছিলেন, নামটাও তারই দেওয়া।

মন্মথনাথের ছেলে সত্যেন্দ্রনাথ বসাক তাঁর বাবার সাম্রাজ্যকে আরো এক্সটেন্ড করেন। ইন দা ইয়ার এইট্টিন নাইনটি ওয়ান তিনি ডুয়ার্সে একটা চা-বাগানের পত্তন করেন যেটা ওয়ান অফ দা ওলডেস্ট ইন দিস স্টেট। ভাবতে পারেন, সেই পরাধীন দেশে তিনি চা-বাগান চালানোর জন্যে মাইনে দিয়ে সাহেব ম্যানেজার রেখেছিলেন? কুকড়াঝোরা টি-এস্টেট আমাদের ফ্যামিলির সবচেয়ে দামি প্রপার্টি ছিল একসময়।

ছিল বলছেন কেন? এখন নেই? বুধোদা জিগ্যেস করল।

সুধাবিন্দু বসাক একটু দুঃখিত গলায় বললেন, নাঃ। চালাতে পারলাম না। একা পড়ে গেলাম। আসলে কী হয়েছে জানেন? আমার কাজিনরা সব বিগ-শট। ভীষণ পন্ডিত। নাম বললে অনেককেই চিনতে পারবেন। তারা কেউ ইউরোপে, কেউ আমেরিকায় সেটল করে গেছে। চা-বাগান নিয়ে তারা লিস্ট বদারড। কিছু বলতে গেলেই বলে, বিক্রি করে দে। তাছাড়া আমি নিজেও রিসেন্টলি ডানকুনিতে একটা বিস্কিট ফ্যাক্টরি খুলেছি। সেটার পেছনে আমাকে দিনে আঠেরো ঘণ্টা খাটতে হচ্ছে। কুকড়াঝোরায় যাব কখন?

আমরা কেউ দেখাশোনা করতে পারি না বলেই চা-বাগানটা হিউজ লস করছিল। এভাবে কোনও কোম্পানি চালানো যায় না।

কানাইদা চা দিয়ে গিয়েছিল। সেই চায়ের কাপে একটা চুমুক দিয়েই সুধাবিন্দুবাবুর মুখটা যাকে বলে ‘প্রসন্ন’ হয়ে উঠল, আর সেটা কেন তাও আমি জানি। হেমকুঞ্জে আড়াইহাজার টাকা কেজির মকাইবাড়ি চা ছাড়া অন্য কিছু ঢোকে না আর সুধাবিন্দুবাবু তো চায়ের জগতেরই লোক। চায়ের জাত-টা চিনতে পেরেছেন।

ধবধবে সাদা রুমালে ঠোঁটদুটো আলতো করে মুছে নিয়ে সুধাবিন্দুবাবু আবার কথা শুরু করলেন।

হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও অবিশ্যি বাগান বিক্রির ব্যাপারটা ফাইনাল করে ফেলেছি। কারণ, সত্যি কথা বলতে কি প্রপার্টি-টা বিক্রি হলে আমি নিজেও আমার শেয়ার হিসেবে একটা হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্ট পেয়ে যাব, আর সেই টাকাটা আমার বিস্কিট-ফ্যাক্টরিতে খুব কাজে লাগবে। আগামি মাসেই দিল্লির একটা ফার্ম কুকড়াঝোরার পজেশন নেবে। ওরা ওখানে পোট্যাটো চীপসের কারখানা বানাবে বলে শুনেছি।

বুধোদা এতক্ষণ চুপ করে ওনার কথা শুনছিল। এবার একটু অধৈর্য গলায় বলল, মিস্টার বসাক। আমি একজন অ্যান্টিক-ডিলার। এইসব বাড়িজমি কেনা বেচার ব্যাপারে আমার এক্সপিরিয়েন্স শূন্য। আমি ঠিক কীভাবে আপনাকে হেল্প করব সেটা বুঝতে পারছি না।

জানি জানি মিস্টার মজুমদার। আমার প্রয়োজনটাও অ্যান্টিক নিয়েই। আসলে একটু ব্যাকগ্রাউন্ডটা না বলে নিলে…। যাই হোক, এবার কাজের কথায় আসি।

কুকড়াঝোরায় চা-বাগানের মধ্যেই আমাদের একটা প্রায় একশো বছরের পুরনো বাংলো রয়েছে। ম্যানেজারের বাংলো। আর আগেকার দিনে চা-বাগানের ম্যানেজাররা কীরকম ল্যাভিসলি জীবন কাটাত জানেন নিশ্চয়? কাজেই সেই বাংলোয় বেশ কিছু পুরনো আমলের রুপো আর পোর্সেলিনের বাসন, আয়না, ফুলদানি, ইওরোপিয়ান ফার্নিচার রয়েছে। এমনকী কিছু অয়েল-পেন্টিংও রয়েছে যেগুলো আমার সেই ঠাকুর্দার পিতৃদেব নিজে ইংল্যান্ড না হল্যান্ড কোথা থেকে যেন কিনে এনেছিলেন।

যাদের কাছে বাগান বিক্রি করছি তাদের হাতে তো আর ওগুলো তুলে দেব না। কাজেই সত্যিকারেই কোন জিনিসগুলোকে অ্যান্টিকের মর্যাদা দেওয়া যায় আর কাদের কাছেই বা সেগুলো বিক্রি করা যায়, সেসব আপনাকেই একটু ঠিক করে দিতে হবে। এই ধরুন প্রথমেই তো সবকিছুর ডেসক্রিপশন দিয়ে একটা ক্যাটালগ বানানো উচিত, না কি? তারপর কোন জিনিসটার কীরকম দাম হতে পারে…।

অ্যান্টিকের প্রসঙ্গ আসতেই বুধোদা দেখলাম ওর দাড়ির মধ্যে আঙুল চালাতে শুরু করেছে। বাইরে থেকে ওর উত্তেজনা বুঝবার এটাই একমাত্র ইন্ডিকেশন। উত্তেজনার কারণটাও আমার পক্ষে অন্তত বোঝা কঠিন নয়। অবুঝ লোকেদের হাতে কিম্বা রোদে বৃষ্টিতে কখন যে কোন অ্যান্টিক নষ্ট হয়ে যায় বলা কঠিন। আর অ্যান্টিক এমনই জিনিস যা দ্বিতীয়বার তৈরি করা যায় না। যা হারায় তা হারিয়েই যায়।

এইতো, কদিন আগেই বীরভূমের এক পড়তি জমিদারবাড়ির সব জিনিসপত্তর বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে শুনে বুধোদা গাড়ি নিয়ে ওখানে দৌড়েছিল। কিন্তু ফিরে এল চূড়ান্ত হতাশ হয়ে। বলল, রুবিক! যদি আর এক ঘণ্টা আগেও পৌঁছতে পারতাম রে!

কী ব্যাপার? না, ফার্নিচার-টার্নিচারের মতন চেনা জিনিস ভালো দামেই বিক্রি হয়েছে। কিন্তু নাইটিন সিক্সটিজের কিছু গ্রামাফোন-রেকর্ড আবর্জনা মনে করে জমিদারমশাইয়ের বংশধরেরা স্রেফ ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছিলেন। বুধোদা তখনো ওখানে পৌঁছয়নি। সেই সব ডিস্ক বুধোদা আর উদ্ধার করতে পারেনি।

তারপরেও অনেকদিন অবধি বুধোদাকে দেখেছি কাজের মধ্যে বার বার অন্যমনস্ক হয়ে যেতে। খালি বলত, কে জানে কার গান ছিল ওই ডিস্কগুলোতে!

সেইজন্যেই বুধোদা যখন মিস্টার বসাকের প্রস্তাবে এক কথায় বলে দিল যে ও রাজি, তখন সুধাবিন্দু বসাক একটু অবাক হলেও আমি হইনি।

বুধোদা তারপর বলল, এর জন্যে অবশ্য আমাকে কুকড়াঝোরায় গিয়ে থাকতে হবে। কতদিন, সেটা তো এখনই বলা সম্ভব নয়। গিয়ে বুঝতে পারব।

নিশ্চয় নিশ্চয়। যতদিন প্রয়োজন হয় থাকুন না। আই উইল অ্যারেঞ্জ ফর এভরিথিং অ্যান্ড অফকোর্স উই শ্যাল পে ইউ ফর ইওর সার্ভিস।—কৃতজ্ঞতায় হাত কচলাতে কচলাতে বললেন সুধাবিন্দুবাবু।

এরপরেই সুধাবিন্দুবাবু যেটা বললেন, সেটা শুনে আমি বিষম খেলাম। উনি বললেন, রুবিকের যদি স্কুল ছুটি থাকে তাহলে ওকেও নিয়ে যান। ও আপনাকে সাহায্যও করতে পারবে আবার একটু বনে পাহাড়ে বেড়ানোও হয়ে যাবে।

বুধোদা অবধি ভারি অবাক হয়ে বলল, আপনি রুবিককে চেনেন নাকি?

চিনব না? ভালো নাম মাল্যবান মিত্র। উত্তরপাড়া গভর্মেন্ট স্কুল, ক্লাস ইলেভেন। স্কুল ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন আবার পাহাড়ে চড়াও শিখেছে।

আরিব্বাস। রুবিকের লেখাগুলো পড়েছেন মনে হচ্ছে?

ইয়েস স্যার। সবকটা। ব্যবসা করতে করতে যখন মাথা ঝিমঝিম করে তখন আমি অ্যাডভেঞ্চারের গল্প পড়ে মাথা ছাড়াই। তার মধ্যে আপনাদের গুলোও আছে।

বুঝলাম, ভদ্রলোকের ফেস-কাটিং-এই শুধু বেবি নেই, মনের ভেতরেও একটা বেবি মাঝে মাঝে হাত-পা ছোড়ে।

সুধাবিন্দুবাবুর কথাই রইল। সত্যিই আমার স্কুলে ছুটি চলছিল। কাজেই আমিও যে কুকড়াঝোরায় যাব সেটা ফাইনাল হয়ে গেল। অবশ্য তার জন্যে বুধোদাকে একবার আমার মায়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে নিতে হল।

সুধাবিন্দুবাবুর সঙ্গে কথা বলে তখনই ঠিক হল, বৃহস্পতিবার আমি আর বুধোদা দুপুরের ফ্লাইটে বাগডোগরা হয়ে কুকড়াঝোরা পৌঁছব। আগেকার দিন হলে বাগডোগরায় বাগানের নিজস্ব গাড়ি থাকত। তবে এখন আর টি-গার্ডেনই নেই তো গাড়ি কোথা থেকে থাকবে? যাই হোক, সুধাবিন্দুবাবুই ফোন-টোন করে শিলিগুড়ি থেকে আমাদের কুকড়াঝোরা যাওয়ার ভাড়া-গাড়ির বন্দোবস্ত করে দিলেন।

ঘর থেকে বেরোবার সময় উনি আমার পিঠে হাত রেখে বলে গেলেন, কুকড়াঝোরা এক অদ্ভুত জায়গা, বুঝলে রুবিক। অনেক ভূতুড়ে গল্প চালু আছে জায়গাটা নিয়ে। আমি তো ওখানে তোমার মতন বয়স থেকেই যাচ্ছি। সত্যি কথা বলছি, বাগানের ভেতরে থাকতে আমার বেশ গা ছমছম করত। তুমি তো অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসো। দ্যাখো, হয়তো সেরকম কিছু এক্সপেরিয়েন্স জুটেও যেতে পারে।

ওনার শেষ কথাটা যে এভাবে সত্যি হয়ে যাবে সেটা তখন ভাবতে পারিনি।

সকল অধ্যায়

১. অ্যান্টিক আতঙ্ক – ১
২. অ্যান্টিক আতঙ্ক – ২
৩. অ্যান্টিক আতঙ্ক – ৩
৪. অ্যান্টিক আতঙ্ক – ৪
৫. অ্যান্টিক আতঙ্ক – ৫
৬. অ্যান্টিক আতঙ্ক – ৬
৭. অ্যান্টিক আতঙ্ক – উপসংহার
৮. কুকড়াঝোরার নেকড়েমানুষ – ১
৯. কুকড়াঝোরার নেকড়েমানুষ – ২
১০. কুকড়াঝোরার নেকড়েমানুষ – ৩
১১. কুকড়াঝোরার নেকড়েমানুষ – ৪
১২. কুকড়াঝোরার নেকড়েমানুষ – ৫
১৩. কুকড়াঝোরার নেকড়েমানুষ – ৬
১৪. কুকড়াঝোরার নেকড়েমানুষ – ৭
১৫. কুকড়াঝোরার নেকড়েমানুষ – ৮
১৬. কুকড়াঝোরার নেকড়েমানুষ – ৯
১৭. খুনি ম্যাজিক – ১
১৮. খুনি ম্যাজিক – ২
১৯. খুনি ম্যাজিক – ৩
২০. খুনি ম্যাজিক – ৪
২১. খুনি ম্যাজিক – ৫
২২. খুনি ম্যাজিক – ৬
২৩. খুনি ম্যাজিক – ৭
২৪. খুনি ম্যাজিক – ৮
২৫. খুনি ম্যাজিক – ৯

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন