লোকস্থাপত্য (Folk architecture)

লোকস্থাপত্য

কুঁড়েঘর

এ কথা সত্য যে, লোকপ্রযুক্তির উপর ভর করেই সভ্যতার হাতে খড়ি। প্রস্তর যুগ, অগ্নি যুগ মোট কথা বিজ্ঞান প্রযুক্তির আগে সব যুগই ছিল লোকপ্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল এই জনপদের বাসস্থান, কৃষি উৎপাদন আজও তার নিদর্শন বহন করে চলেছে। বাসস্থানের কথা বলতে গেলে প্রথমেই এসে যায় বাংলার ঐতিহ্য কুঁড়ে ঘরের কথা। এই কুঁড়ে ঘরের অবকাঠামোগত যে বৈশিষ্ট্য, তা চিন্তা করলে লোকপ্রযুক্তির দক্ষতাকে কোনোভাবেই ছোট করে দেখার অবকাশ থাকে না। বাঁশ দিয়ে তারা বানিয়ে নেয় দু’টি চাল। এই চালে স্থান পেয়েছে নানা ধরনের কলাকৌশল। তার মধ্যে ‘আটন’, ‘রুয়া’, ‘পিটকাবারি, ছাটনির চটা, পুস্যিয়া উল্লেখ করা যেতে পারে। নীচে থাকে আটন, তার উপর রুয়া, এবং রুয়ার উপর পিটকাবারি সাজায়ে কাতা দিতে ভালো করে বেঁধে নেওয়া হয় চাল। এই চাল সাধারণ ছন দিয়ে ছাওয়া হয়। চালের নীচের ধার থেকে ছন দ্বারা ছেয়ে নেওয়াকে রাজার বলে। এই রকম আট-দশটি রাজারের সমন্বয়ে গঠিত হয় বাসযোগ্য চাল। তারপর মাটিতে খুঁটি পুঁতে ও পাড় সংযুক্ত করে তার উপরে চাল দু’টিকে পরস্পর হেলান দিয়ে সুকৌশলে তারা তৈরি করে নেয় কুড়ে ঘর। কুড়ে ঘরে বাস করতে খুবই আরামদায়ক। শীতের দিনে গরম আর গরমের দিনে শীতল। এটি ছোনা ঘরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

কুঁড়েঘর

সকল অধ্যায়

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন