গুঢ় রহস্যাবৃত বিবৃতি হচ্ছে ধাঁধা। এর জটিল প্যাচ ভাঙতে অনেকের হিমশিম খেতে হয়। গৎ, ধাঁধা, প্রবাদ এগুলোর ব্যবহারের জন্য কোনো অনুষ্ঠানসূচির প্রয়োজন হয় না। পরিস্থিতিই বলে দেয় কখন কোন বাক্য প্রয়োগ করতে হবে। তার মধ্যে ধাঁধাকে একটু ভিন্নভাবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। একজন আরেকজনকে ঠকানোর প্রতিযোগিতায় ধাঁধা একটি অসাধারণ লোকগাথা। গোপালগঞ্জ অঞ্চলে প্রচলিত তেমন কিছু আঞ্চলিক ধাঁধা উল্লেখ করা হলো :
১। কাসুন্দের সুন্দ বাদে
পাঠার বাদে পাঁ
বঙ্গের বঙ্গ বাদে
কিনে আনবে তা।
উত্তর : কাঁঠাল
২। আছড়ালে ভাঙে না
টপির ভর সয় না।
উত্তর : ভাত।
৩। পিছনে বেটি সামনে বেটা
বল দেখি কিগো সেটা।
উত্তর : দাঁড়িওয়ালা ছাগল।
৪। এক ফোটা মিঠে
ঘরে ভরে ছিটে।
উত্তর : আগুন।
৫। হাঁটে আর চাটে।
উত্তর : শামুক
৬। উনি জুনি তারা তিন বুনি
মাতায় বোঝা গুদি খোচা।
উত্তর : উনুন।
৭। বমি করে রেখে যায় বল দেখি কারা
সেই বমি পান করে সব মানুষেরা।
উত্তর : মৌমাছি ও মধু।
৮। হিজল গাছে বিলৈ নাচে
আরো ক’লি আরো নাচে।
উত্তর : জিহ্বা দ্বারা ভ্যাঙান।
৯। ফকির উপর ফাঁকি
চড় থেকে খেমচু গেলে
কত থাকে বাকি।
উত্তর : ৫-২ = ৩।
১০। উতরেত্তিয়া আলো মাগী দুই সারির তার মাই
বছরে বছরে বিয় মাগী দুধের পত্তেশ নাই।
উত্তর : মাদী কুকুর।
১১। চামড়ার তলে হাড়
হাড়ের তলে মাংস
কওতো মামা কংস।
উত্তর : নারিকেল।
১২। লম্বা বেটা ভুরি ভুরি
মাথায় তাদের ফুলের ঝুড়ি।
উত্তর : শাপলা।
১৩। ভূই ধলা বেছন কালা
মুখ থা’য়ে তো ক’য়ে ফেলা।
উত্তর : বই।
১৪। সব দেশে কাঠের নাও
চিৎ করে বায়
আমার দেশে মাটির নাও
উপুর করে বায়।
উত্তর : হাড়ি সওয়ার।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন