প্রবাদ-প্রবচন
প্রবাদ-প্রবচন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিবৃতি নিয়ে গঠিত। অল্প কথায় বেশি তাৎপর্য জড়িয়ে থাকে এক একটি প্রবাদ প্রবচনে। অভিজ্ঞতার আলোকে ও বাস্তবতার নিরিখে সহসা মুখ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে একটি চমৎকার ক্ষুদ্র বর্ণনা। অনেক সাধারণ লোকের মুখ থেকে এভাবে অনেক অসাধারণ উক্তি বিভিন্ন কারণে বেরিয়ে পড়ে। যাকে প্রবাদ প্রবচন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তেমন কিছু প্রবাদ প্রবচন উল্লেখ করা হলো যেগুলো একজন আরেকজনকে তিরস্কারে, উপহাসে, প্রশংসায়, উপমায় ব্যবহার করে থাকে।
১. হরি নাম যে বড় মধুর রে
গাড় মারছে ঐ বোতিয়াল ছ্যাদাড়ে।
২. যার বিয়া তার খবর নাই
পাড়া পড়শির ঘুম নাই।
৩. কিবা জ্যেষ্ঠ কিবা কনিষ্ঠ
যে বোঝে সেই তো শ্রেষ্ঠ।
৪. পানের স্বাদ চুনে
ভাতের স্বাদ নুনে।
৫. গাছের শোভা ফুলে
মানুষের শোভা চুলে।
৬. দেশ দেইহ্যা ব্যাশ (বেশ)
পাথার দেইহ্যা চাষ।
৭. কালা ধলার একই গুণ
গেলো আমার সোয়া সের নুন।
৮. বড় বড় মহারথি
তারা পায় না এক রতি
বাঞ্ছারাম আইছে
আচিয়া ঘুরোতি ঘুরোতি।
৯. খালি প্যাটে পেয়ারা ভরা প্যাটে আখ
যার যত মনে লয় সে তত খাক।
১০. ধান পালায়
তিল ছালায়।
১১. পান খাইয়া না খায় চুন
তাতে হয় শালসার গুণ।
১২. দুই দিনের বোরোগী
ভাতরে কয় অন্ন।
১৩. কচি পাঁঠা বুড়ো মেষ
দুধের অগ্র ঘোলের শেষ।
১৪. বাওনের ষোলো মন্তোর
পাঁঠার এক কান ঝাড়া।
১৫. যারে দেহি না ধ্যানে
তারে দেহি ক্যান বেহানে।
১৬. যে মুলটা বাড়ে ক্ষ্যাতে
বোঝা যায় তা দু-এক পাতে।
১৭. বৌ হলে বোঝে
কচু হলে সেঝে।
১৮. মানুষ মরে ম্যালে
শুয়র মরে ত্যালে।
১৯. হাগিয়া খায় খাইয়া মোতে
তারে নিতে যমে কোঁতে।
২০. নতুন নতুন দিন দুই
চিতই পিঠা খান দুই।
২১. মরব বলে করব না
বাঁচালি খাব কি?
২২. বোরোগী মাছ খাও?
আউ ছিঃ পাই কোথা?
২৩. সবলের বাহুবল
দুর্বলের হরিবল।
২৪. হাতের ছিলুম হাতে রলো
তামাক খাইয়া কোন জন গেলো।
২৫. নিজে যেমনি ঢেমনি
পাড়ার লোকও তেমনি।
২৬. নাও কেনবা ডালি দেইহ্যা
বিয়া করবা শালি দেইহ্যা।
২৭. খাইয়া টাইয়া কামাই
মাইয়া বাঁচলি জামাই।
২৮. ভিজা মাটি যেহানে
কেঁচুয়া ওঠে সেহানে।
২৯. ক্ষুধ কুড়ুয়া দিয়া ভল্লাম প্যাট
ভরুক আমার নাইয়্যারের ক্ষ্যাত।
৩০. তিন বার চিটা ছয় বার ছিটা
তাতে হয় তামাক মিঠা।
৩১. সর্ষে ভালো ফুলে
মেয়ে ভালো-গুলে।
৩২. যদি থায়ে কপালে
বইয়া আনে গোপালে।
৩৩. আমার প্যাটের ছাও
আমারে খাবার চাও।
৩৪. উনো ভাতে দুনো বল
ভরা প্যাটে রসাতল।
৩৫. চোরা না বাঁধিয়া আচোরা বাঁধে
চোরা নাচে সবার মাঝে।
৩৬. যার মা’র ঘরে নাই কাঁথা
তার বড় বড় কথা।
৩৭. কাজেতে ওড়া মোড়া ভোজনেতে গাড়ি
যদি কিছু না কও থায়ি তোমার বাড়ি।
৩৮. যদি থায়ে আগে পাছে
কি করবে শাকে ভাতে।
৩৯. ভাদ্দোরের কুড়ি
জল হয় বুড়ি।
৪০. ধীরে রান্দে সুস্থ্যে খায়
জুড়লে তার আস্বাদ পায়।
৪১. এক হাত বামন
বারো হাত আমন।
৪২. আপন হতে পর ভালো
পর হতে জঙ্গল ভালো।
৪৩. আমি অ’রি জাতির ভয়
মুচি বলে হারিয়া যাই।
৪৪. শনির সাত জঙ্গলের তিন
বাকি সব দিন দিন।
৪৫. মাস ফেত্তম মাসের শেষ
কেউ যায় না কেরুদ্দেশ।
৪৬. যদি আল্লাহ বাঁচায়
কদু নেব মাচায়।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন