ইমানুল হক
১৷ গুজরাতে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৪০ জন দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে৷ প্রসঙ্গত, গুজরাতে দিনে ১০ টাকা ৮০ পয়সা রোজগার করলে তাকে গরিব বলে মানে না মোদি সরকার৷ সারা দেশে এই মাপকাঠি গ্রামে ২৮ টাকা, শহরে ৩২ টাকা৷ গুজরাটে ২০০১ খ্রিস্টাব্দে ৩% ছিল দারিদ্য সীমার নীচে৷ এখন ৩৯-%৷ (সূত্র : এন এস ও রিপোর্ট অন পভার্টি ২০১৩-১৩)
২৷ বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গুজরাত দেশের মধ্যে ৫ নম্বর৷ (সূত্র : অর্থ ও পরিসংখ্যান বিভাগ, গুজরাত সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া প্রতিবেদন)
৩৷ গুজরাতে সারের ওপর ৫% ভ্যাট৷ দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ৷ (কৃষি মন্ত্রক, গুজরাত সরকার)
৪৷ ৪,৫৫,৮৮৫ জন চাষী কৃষিকাজে বিদ্যুতের জন্য ১০ বছর ধরে আবেদন করে বসে আছেন৷ (কৃষি মন্ত্রক, গুজরাত, মার্চ ২০১১)
৫৷ দেশে সবচেয়ে মাথা পিছু ঋণ বেশি গুজরাতে৷ ১৯৯৫-এ বিজেপি ক্ষমতায় আসার সময় ঋণের পরিমাণ ছিল ১০০০০ কোটি টাকা৷ ২০০১-০২ এ মোদি ক্ষমতায় আসার সময় ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৫,৩০১ কোটি টাকা৷ মোদির কুশাসন আর প্রচারের খরচ মেটাতে এই ঋণের পরিমাণ ২০১৪-য় হয় ১,৩৮,৯৭৮ কোটি টাকা৷ ২০১৫-১৬য় ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ২,০৭,৬৯৫ কোটি টাকা৷ (সূত্র : অর্থ ও পরিসখ্যান বিভাগ, গুজরাত সরকার, বিধানসভায় প্রশ্নোত্তরের জবাবে)।
৬৷ গুজরাতে শিক্ষিত বেকার বাড়ছে৷ ১৩০০ ছোট চাকরির জন্য আবেদন করেছে ১৫ লাখ তরুণ৷
৭৷ খাদ্যহীনতায় ৪৪% শিশুদের অপুষ্টি তীব্র৷ দেশের মধ্যে ১৫ তম রাজ্য মোদীর গুজরাত৷ (সূত্র : মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন, ২০১১-১২)।
৮৷ মহিলাদের মধ্যে রক্তাপ্লতা বাড়ছে৷ এক্ষেত্রে দেশের ২০টি রাজ্যের মধ্যে গুজরাত ২০তম৷ (মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন, ২০১১-১২)।
৯৷ শিশুদের রক্তাল্পতাও বাড়ছে৷ এক্ষেত্রে দেশের ২০টি রাজ্যের মধ্যে গুজরাত ২০তম৷ (মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন, ২০১১-১২)।
১০৷ গুজরাতে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বরাদ্দ কমছে৷ ৪২% কমেছে৷ এক্ষেত্রে দেশের পিছিয়ে রাজ্যের মধ্যে নিচের দিক থেকে দ্বিতীয়৷ (জাতীয় স্বাস্থ্য চিত্র, পরিকল্পনা কমিশনের প্রতিবেদন ২০১১-১২)।
১১৷ ২% পরিবার অপরিশোধিত পানীয় জল ব্যবহারে বাধ্য হয়৷ ১কোটি ৭৫ লাখ পরিষ্কার জল পায় না৷ (ন্যাশন্যাল স্যাম্পেল সার্ভে)।
১২৷ গুজরাতের ৫% গৃহে শৌচাগার নেই৷
১৩৷ গুজরাত সরকার ৩৭১৬ এমপ্লয়মেন্ট ফেস্টিভ্যাল করেছে৷ সরকারের তথ্য অনুযায়ী শিক্ষিত বেকার ১০,০০০,০০ আর মোট ৩০ লাখের কোন কাজ নেই৷ বেকার৷ (সূত্র : এন এস এস ও)
১৪৷ গুজরাতে মোদি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হারীণ পাণ্ডিয়া খুন হয়ে যান ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে সকালবেলায়৷ তাঁর স্ত্রী খুনের জন্য মোদির দিকে আঙুল তোলেন৷ আজও বিচার পায়নি তাঁর পরিবার৷
১৫৷ গুজরাতে প্রতি তিন দিনে একটি ধর্ষণ হয়৷
১৬৷ সুপ্রিম কোর্টের আদেশে গুজরাত গণহত্যায় হত্যা সংক্রান্ত ১,৯৫৮৯টি মামলা চালু হয়৷ এর মধ্যে মাত্র ১১৭টি মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে৷ আর মাত্র ৫টির নিষ্পত্তি হয়েছে৷
১৭৷ গুজরাতে কৃষি বৃদ্ধির হার কখনো ১% ছাড়ায়নি৷
১৮৷ গুজরাতে ২৬ জেলার ২২৫ ব্লকের মধ্যে ৫৭টি রাজ্য কৃষি মন্ত্রকের বিচারে ‘ডার্ক জোন’৷
১৯৷ গুজরাতে ১০ বছর ধরে কোনও ‘ডেপুটি স্পিকার’ পদ নেই৷
২০৷ বছরে মাত্র ৩০-৩২ দিন বিধানসভার অধিবেশন বসে৷
২১৷ গুজরাতে কোনও লোকায়ুক্ত পদ নেই৷
২২৷ গুজরাত ক্যাগ রিপোট অনুযায়ী ১৬,৭০৬-৯৯ কোটি টাকার আর্থিক ও জমি সংক্রান্ত অনিয়ম হয়েছে৷ (ক্যাগ রিপোর্ট ২০১১-১২)।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন