অশরীরী স্বজন

রাস্কিন বন্ড

অশরীরী স্বজন

‘এবার জমিয়ে একটা ভূতের গল্প বলুন দিকি,’ আমি বিবিজিকে বললাম— বিবিজি ছিলেন আমাদের বাড়িওয়ালি, সেদিন সন্ধ্যায় গিয়ে দেখি তিনি তাঁর বাড়ির বারান্দায় একটা গদি-আঁটা আসনে আয়েশ করে বসে আছেন— আমি জোর দিয়ে বললাম, ‘আপনার গ্রামে খুঁজলে অন্তত একটা ভূত তো পাওয়াই যাবে।’

‘আরে, একটা কেন, বলতে গেলে অনেকই ছিল,’ বললেন বিবিজি— অলৌকিক, আষাঢ়ে গল্প বলতে তাঁর জুড়ি নেই, ‘দুষ্টু চুড়েল, পাজি সব প্রেতাত্মা কত বলব, আর আছে চম্পট দেওয়া ভূত মুঞ্জিয়া।’

‘মুঞ্জিয়াটা আবার কী?’ আমি জিজ্ঞাসা করলাম।

‘মুঞ্জিয়া হল কোনো ব্রাহ্মণ যুবকের ভূত যে সাধারণত নিজের বিয়ের দিনে আত্মহত্যা করে থাকে। আমাদের গাঁয়ের মুঞ্জিয়াটা থাকত একটা বুড়ো পিপুল গাছে।’

আমি বলে উঠলাম, ‘আমি ভেবে পাই না ভূত সবসময়েই পিপুল গাছে বাসা বাঁধে কেন?’

‘এটা নিয়ে আরেকদিন বলব আমি,’ বিবিজি বললেন, ‘কিন্তু আজ মুঞ্জিয়ার গল্পটা শোনো।’

বিবিজি তাঁর গল্প শুরু করলেন—

আমার গাঁয়ের পিপুল গাছটার (বিবিজির মতে) কাছে একটা ব্রাহ্মণ পরিবার বাস করত। একটা মুঞ্জিয়া তাদের বিশেষভাবে দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছিল। ভূতটা গ্রামের মধ্যে কেবল এই পরিবারের সঙ্গেই থাকত, আসলে এদের বংশেরই কোনো একটি মেয়ের সঙ্গে ভূতটার জীবদ্দশায় বিয়ে ঠিক হয়েছিল আর সেই কারণেই ভূত হবার পরে ইট-পাথর, হাড়গোড়, রাতে সংগ্রহ করা মনুষ্য-বর্জ্য, রাজ্যের জঞ্জাল— সব ছুড়ে ছুড়ে মারত সে ওই বাড়িতে, বীভৎস পিলে চমকানো সব শব্দ করে কিংবা সুযোগ পেলেই নানাভাবে সে পরিবারের সদস্যদের ভয় দেখিয়ে ব্যতিব্যস্ত করে তার পূর্বজন্মের ভালোবাসা প্রকাশ করত। ভূতবাবাজির আনুকূল্যে শীঘ্রই সে-বাড়ির ভিটেতে ঘুঘু চড়ল। একে একে বাড়ির সবাই অক্কা পেল, একমাত্র বেঁচে থাকল পরিবারের সবথেকে মাথামোটা ছেলেটা— আসলে এমন নির্বোধ মানুষকে গুরুত্ব দিলে মুঞ্জিয়ার আবার মানে লাগত কিনা।

ব্যাপার হল, গাঁয়ের দিকে জন্ম, বিবাহ এবং মৃত্যু তিনটি আসবেই প্রত্যেকের জীবনে আর সে-নিয়মেই অল্প কিছুদিনের মধ্যে গাঁয়ের লোকেরাই এই নির্বোধ ছেলেটির জন্য বিয়ের তোড়জোড় শুরু করে দিল।

গাঁয়ের মোড়লদের সঙ্গে বসে ঠিক হল এই হতভাগার বিয়ে দিতেই হবে আর পাত্রীকে হতে হবে ষোলো বছরের কিশোরী, অত্যন্ত কোঁদুলে স্বভাবের কারণে যার কপালে কোনো পাত্রই জুটছে না।

দেখতে দেখতে একদিন তেমনই একটি দজ্জাল মেয়ে আর হাবা ছেলেটির বিয়ে হয়ে গেল। গ্রামবাসীরা তাদের ঘরকন্নায় জুড়ে দিয়ে যে যার কাজে চলে গেল। বেচারা বোকা ছেলেটা কাজকারবার করত না, পয়সা কামানোর কোনো রাস্তা নেই, তাই এবার পথ ভিক্ষা করা। আগে না হয়, কোনোরকমে নিজের একটা পেট চালিয়ে নেওয়া যেত, কিন্তু এখন বউ আসাতে ঘাড়ে অতিরিক্ত দায়িত্বর বোঝা চেপেছে। ঘরে এসে বউটা প্রথমেই তার কানের পাশে এক চাঁটি মেরে বলল শিগ্্গির বাজার থেকে রাতের খাবারের জোগাড় করে আনতে।

হতভাগ্য ছেলেটা দরজায় দরজায় ঘুরল সারাদিন, কিন্তু সবাই তাকে হাঁকিয়ে দিলে— যেসমস্ত মানুষজন মিলে ধরেবেঁধে তাকে বিয়ে দিয়েছিল, আজ বিয়ের ভোজ দেয়নি বলে তারাই তার উপর বেজায় খেপে গেল। শেষে সন্ধ্যার দিকে যখন খালি হাতে সে বাড়ি ফিরে এল, তার ঝগড়াটে বউ বিষম চেঁচামেচি শুরু করে দিল, ‘ফিরে এসেছ, কুঁড়ের বাদশা, মাথামোটা? এতক্ষণ কোথায় ছিলে আর কী কী এনেছ আমার জন্য?’

স্বামীর জামাকাপড় তন্নতন্ন করে খুঁজেও মেয়েটা যখন বিন্দুমাত্র টাকাকড়ি পেল না, রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে তার স্বামীর পাগড়িটা একটানে খুলে ছিঁড়ে কুটিকুটি করে এমনভাবে ছুড়ে মারল যে সেটা উড়ে বাইরের পিপুল গাছে গিয়ে আটকাল। তারপর একটা মুড়ো ঝাঁটা নিয়ে বোকাহাবা স্বামীকে এমন মারতে লাগল যে সে বেচারা যন্ত্রণার চোটে চেঁচাতে চেঁচাতে বাড়ি ছেড়ে পালাল।

কিন্তু সেই বদমেজাজি মেয়ের রাগ তাতেও কমল না। তার স্বামীর পাগড়িটা পিপুল গাছে ঝুলতে দেখে সে যেন দ্বিগুণ রাগে ফেটে পড়ল, সঙ্গেসঙ্গে গিয়ে সে তীব্র গালিসহযোগে গাছটার দেহে নির্মমভাবে আঘাত করতে লাগল। হল কী, গাছের ডালে যে ভূতটা থাকত সে দেখল পরিস্থিতি বেগতিক, যেভাবে বউটা গাছটায় বাড়ি মারছে আর গালির বন্যা বইয়ে দিচ্ছে তাতে আর কিছুক্ষণ থাকলে তার ভূতলীলা না সাঙ্গ হয়। তাই চটপট তার বহু পুরোনো বাসা থেকে লম্বা লম্বা অদৃশ্য পা ফেলে সে ছুট দিল।

একটা বাতাসের ঘূর্ণি তুলে সেই প্রেত অল্প সময়েই পলায়নরত মহামূর্খ ছেলেটিকে ধরে ফেলল— সে তখনও গাঁ ছাড়িয়ে যে পথ চলে গেছে সে-পথ ধরে উন্মাদের মতো ছুটছিল।

‘আরে ধীরে ভাই, ধীরে,’ সেই প্রেত চেঁচিয়ে উঠল, ‘বউকে ছাড়, তা বলে তোর বংশের পুরোনো ভূতকে ছাড়িস না, সেই খানদানি মহিলা আমাকেও পিপুল গাছ থেকে তাড়িয়ে ছাড়লে গো। সত্যি বাপু! মেয়েদের কুৎসিত ভাষার কাছে একটা ভূতও নস্যি। এখন থেকে আমরা ভাই-ভাই আর একসঙ্গে আমাদের কপাল ফেরানোর চেষ্টা করব, কিন্তু ভাই আমাকে তোর কথা দিতে হবে যে তুই আর কোনোদিন ওই বউয়ের কাছে ফিরে যাবি না।’

হাবা ছেলেটা ভীষণ আগ্রহের সঙ্গে এ প্রস্তাবে রাজি হয়ে চুক্তি পাকা করে ফেলল, তারপর দু-জনে মিলে বড়ো শহরের দিকে যাত্রা করল।

শহরে ঢোকবার আগে ভূতটা ছেলেটাকে বলল, ‘ভাই, এবার শোন মন দিয়ে, যদি আমার কথা শুনে চলিস তবে কপাল ফিরবে। এই শহরে আছে দু-জন সুন্দরী মেয়ে, একজন রাজার মেয়ে, আর একজন সুদখোর মহাজনের। আমি গিয়ে সেই রাজার মেয়ের শরীর দখল করব আর তার মধ্যে অসুখের লক্ষণ দেখে রাজা নিশ্চয়ই অনেক চেষ্টা করবেন প্রিয় কন্যাকে সারিয়ে তুলতে, কিন্তু সে-অসুখ সারবে না। ইতিমধ্যে তোর কাজ হবে সাধুর বেশ নিয়ে তঁার প্রাসাদের আশপাশের রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ঘোরাফেরা করা। এরপর যখনই রাজা কন্যাকে সারিয়ে তুলতে মরিয়া হয়ে উঠবেন, দেখবি তিনি ঘোষণা করবেন, তাঁর কন্যাকে সুস্থ করে তুলতে পারলে যে যা চাইবে তাই দেবেন। তিনি তোর কাছে কাতর অনুরোধ নিয়ে আসলে তুই তাঁর সঙ্গে প্রাসাদে আসবি। আর তুই এলেই আমি মেয়েটির শরীর ত্যাগ করে সোজা গিয়ে ওই মহাজনের মেয়ের শরীরে ঢুকব— কিন্তু খবরদার! ও মেয়ের কাছে তুই ভুলেও আসিস না, ওকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি, তাই ওকে ছাড়ার প্রশ্নই নেই। কোনোদিন যদি আসিস তবে আমি তোর ঘাড় মটকে দেব।’

ভূতটা তার ঘূর্ণিতে অদৃশ্য হয়ে গেল আর বেচারা ছেলেটা গুটিগুটি পায়ে শহরে প্রবেশ করে রাস্তার পাশের চটিতে একটা ঘর নিল সেরাতের জন্য।

পরের দিন সারা শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল যে রাজার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ— ডাক্তার-বদ্যি, হাকিম, কবিরাজ কিছুই বাদ থাকল না, কিন্তু সবাই একবাক্যে নিদান দিল, এ অসুখ সারানো দুঃসাধ্য। শুনে রাজা শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়লেন। মরিয়া ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে দিলেন, যে তার প্রাণাধিক প্রিয় কন্যাকে এই ভয়ানক অসুখ থেকে মুক্তি দিতে পারবে তাকে তিনি অর্ধেক রাজত্ব দেবেন। তখন সেই হাবা ছেলেটি প্রেতের পরিকল্পনা মতো সারা শরীরে ছাইভস্ম, ধুলোমাটি মেখে প্রাসাদের রাস্তায় হাঁটতে লাগল আর মাঝেমধ্যেই হেঁড়ে গলায় চিৎকার দিল, ‘ভুম ভুম ভো! বোম ভোলা নাথ!’

রাস্তার মানুষজন তার এমন বেশ দেখে থতোমতো খেয়ে গেল— অচিরেই ভাবল সে বুঝি জ্ঞানী, সিদ্ধ পুরুষ, তাই সঙ্গেসঙ্গে রাজার কাছে সে খবর পৌঁছে দিল। আর সময় নষ্ট না করে রাজা প্রাসাদের বাইরে এসে ছদ্মবেশি হাবা ছেলেটার সামনে সাষ্টাঙ্গে জোড়হাতে কাতর অনুনয়ে নিবেদন করলেন তাঁর প্রার্থনা। তা শুনে কিছুটা বিনয় আর কিছুটা অনিচ্ছা মেশানো অভিনয় করে শেষমেষ রাজি হয়ে রাজার সঙ্গে তাঁর প্রাসাদে এল। তখন তার সামনে সেই অসুস্থ রাজকুমারীকে আনা হল।

মেয়েটার চুল আলুথালু, সর্বক্ষণ দাঁত কিড়মিড় করছে, দু-চোখ কোটরগত— ক্রমাগত চিৎকার করে চলেছে তারস্বরে, গালি দিচ্ছে অশ্রাব্য ভাষায়, পরনের কাপড় শতচ্ছিন্ন। নির্বোধ ছেলেটি তার মুখোমুখি হয়ে বিচিত্র অঙ্গভঙ্গি করে অর্থহীন মন্ত্র বিড়বিড় করে আবৃত্তি করতে লাগল। সেই মন্ত্র শুনেই প্রেত চিনে ফেলল তার বন্ধুকে এবং তীক্ষ্ণ গলায় চেঁচিয়ে উঠল, ‘আমি চলে যাচ্ছি, আমি চলে যাচ্ছি! ভুম, ভুম, ভো!’

‘বেশ, তবে তুমি যে চলে যাচ্ছ তার একটা প্রমাণ দিয়ে যাও,’ ভেকধারী সন্ন্যাসী দাবি করল।

‘তাই হবে, আমি যখনই মেয়েটিকে ছেড়ে চলে যাব ঠিক তখনই ওই আমগাছটা সমূলে উপড়ে দিয়ে যাব। আমার চলে যাবার ওটাই চিহ্ন।’

কিছু মুহূর্ত পর আমগাছটি সত্যিই উপড়ে গেল। রাজকুমারীও ধীরে ধীরে সেরে উঠল, ভাবগতিক দেখে বোঝা গেল এতদিন যা যা হয়েছে সে কিচ্ছু জানে না— যেন কিছুই হয়নি এমনভাবে শূন্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মুহূর্তে সারা শহরে এই অত্যাশ্চর্য খবর ছড়িয়ে পড়ল আর একদা বুদ্ধিহীন ছেলেটা সারা শহরের শ্রদ্ধা ও বিস্ময়ের বিষয় হয়ে দাঁড়াল। রাজাও প্রতিশ্রুতিমতো তাকে অর্ধেক রাজ্য দান করলেন। এবার হতভাগ্য ছেলেটির জীবনে সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির সূচনা হল।

কয়েক সপ্তাহ পরে সেই ভূতটা মহাজনের মেয়ের শরীরে প্রবেশ করল। প্রেত সত্যি সত্যিই তাকে গভীরভাবে ভালোবেসে ফেলেছিল। কিন্তু মেয়ের এমন দুর্দশা দেখে মহাজন সেই নামজাদা বোকা ছেলেটার কাছে খবর পাঠাল যে সে যদি তঁার মেয়েকে ভালো করে তুলতে পারে তবে তিনি মোটা অর্থ পুরস্কার দেবেন। কিন্তু ভূতের সাবধানবাণীর কথা মনে করে ছেলেটা যেতে অস্বীকার করল। তাতে হিতে বিপরীত হল। প্রত্যাখ্যাত হয়ে মহাজন ভারি খাপ্পা হয়ে লেঠেল পাঠিয়ে দিলেন তাকে জোর করে ধরে আনতে। ওদিকে সেই বোকাসোকা ছেলেটির লোকবল না থাকায় লেঠেলদের কোনো বাধা দিতে পারল না, ফলে তাকে প্রায় টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গেল মহাজনের বাড়িতে।

যেইমাত্র সেই প্রেত পুরোনো বন্ধুকে দেখল সে রাগে ফেটে পড়ল, ‘মূর্খ, আমাদের চুক্তি ভেঙে তুই এসেছিস কেন? এবার তোর ঘাড় মটকে দেব আমি।’

জ্ঞানের বহরের জন্যই ক-দিন আগে মূর্খর সুনাম ছড়িয়েছিল, কিন্তু তাতে তার একটা উপকার হয়েছিল, সত্যি সত্যি তার মধ্যে জ্ঞানের লক্ষণ দেখা দিচ্ছিল, চট করে সে বলল, ‘ভূত ভাই, তোমাকে বিপদে ফেলতে আমি আসিনি, আমি এসেছি একটা ভয়ানক সংবাদ দিতে। হে বন্ধু, আমার রক্ষক, আমাদের এখুনি এ শহর ত্যাগ করতে হবে। ওই দেখো সে এসে পড়েছে— আমার সেই ভয়ংকর দজ্জাল বউ! আমাদের দু-জনকে আবার জ্বালাতে আসছে সে— নির্ঘাত আবার ওই গ্রামে নিয়ে যাবে টানতে টানতে। এতক্ষণে এ বাড়ির রাস্তায় সে উঠে পড়েছে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই এখানে এসে পড়ল বলে।’

এই না শুনে ভূতটা চিলচিৎকার জুড়ে দিয়ে কাঁদতে বসল।

‘ওহো না, না, না! সে আসার আগেই আমাদের পালাতে হবে। ভুম ভু, ভুম ভু, পালাই চল, পালাই।’

এই বলে সে বাড়ির দেওয়াল, দরজা ভেঙে হুড়মুড় করে বেরিয়ে গেল, তারপর উপরে উঠে নিজের চারিদিকে একটা ঝোড়ো হাওয়ার ঘূর্ণি তৈরি করে দ্রুত এ শহর ছেড়ে চলে গেল কোনো ফাঁকা পিপুল গাছের খোঁজে।

মহাজন সব দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলেন। তাঁর অতি প্রিয় একমাত্র কন্যা এইমাত্র প্রাণঘাতী রোগ থেকে সেরে উঠেছে, এর থেকে আহ্লাদের আর কিছু হতে পারে না। তাই আবেগ চেপে রাখতে না পেরে তখনই সেই মূর্খকে জড়িয়ে ধরলেন। এরপর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাকে উপহারে ভরিয়ে দিলেন।

গাঁয়ের একদা বোকাহাবা ছেলেটার সঙ্গে এবার মহাজনের মেয়ের ধুমধাম করে বিয়ে হয়ে গেল আর সে তার শ্বশুরমশায়ের প্রভূত সম্পত্তির অধিকারী হয়ে শহরের অন্যতম ধনী এবং সমৃদ্ধিশালী মহাজন হিসেবে খ্যাতি অর্জন করল। এই বলে বিবিজি তাঁর গল্প শেষ করলেন। শুনতে শুনতে ঘোর লেগে এসেছিল, সম্বিৎ ফিরে পেতেই দেখলাম আমাদের চারিদিকে তখন অন্ধকার জমাট বেঁধে এসেছে।

সকল অধ্যায়

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন