অস্ফুট নিশি

রাস্কিন বন্ড

অস্ফুট নিশি

রাত্রি উন্মত্তপ্রায়। বাতাসের তীব্র গোঙানির মধ্যে গাছগুলো পাগলের মতো একে অপরের উপর আছড়ে পড়ছে, পর্বতের ওপারে মুহুর্মুহু বজ্রপাতের ঝলকানি। আমার সামনে পথ রোধ করে দাঁড়িয়ে শুধু একাকীত্ব, নিঃসঙ্গ হৃদয়— এই নিঃসঙ্গ জীবনে অপর কোনো অংশীদার নেই।

গভীর অরণ্যের মধ্যে দিয়ে হাতড়ে হাতড়ে পথ চলছিলাম, মনের গভীরে তখন খুঁজে চলেছি পাহাড়ি রাস্তা, চেনা পাহাড় কিংবা কোনো প্রাচীন দেবদারু গাছ। ঠিক তখুনি আকাশ চিরে নীলচে আলোর বিদ্যুতের চমক, আর সঙ্গেসঙ্গে পলকের জন্য দেখলাম আমার সামনে বিস্তীর্ণ রুক্ষ পাহাড়ের গায়ে কুয়াশায় মোড়া ছোট্ট একটা বাড়ি।

হিল স্টেশন যেখানে প্রায় শেষ হয়ে এসেছে সে-প্রান্তেই রয়েছে চুনাপাথরের তৈরি পুরোনো দিনের বাড়িটা। জানলায় কোনো আলোর চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না, হয়তো-বা বহুকাল আগেই বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়ে গেছে। কিন্তু একবার যদি সে-বাড়িতে ঢুকতে পারি তবে বাকি রাতটা নিশ্চিন্তি।

আমার কাছে কোনো টর্চও নেই, কিন্তু মাঝে মাঝেই উন্মত্ত মেঘ ছিঁড়ে চাঁদের আলো ছড়িয়ে পড়ছিল আর ঘন কুয়াশার মধ্যে থেকে গাছগুলোকে দেখে মনে হচ্ছিল যেন এক একটা আদিম দৈত্য। বাড়িটার সদর দরজার সামনে গেলাম, কিন্তু মনে হচ্ছে সেটা ভেতর থেকে বন্ধ। তবে কী উপায়? এবার ঘুরে অন্য দিকটায় গেলাম, জানালার শার্সিটা নাগালে পেয়ে ভেঙে ফেললাম। তারপর সেই ভাঙা অংশটার মধ্যে দিয়ে হাত ঢুকিয়ে ছিটকিনিটা খোলার চেষ্টা করতে লাগলাম।

বোধ হয় প্রায় এক-শো বর্ষা পার হয়ে গেছে, এ জানালায় কেউ হাত দেয়নি। তাই প্রথমে শক্ত প্রতিরোধের মুখে পড়লাম। শেষমেষ আমার শক্তির কাছে হার মানতে সে বাধ্য হল-- তখন কোনোমতে ঢুকে পড়লাম বহুকাল ধরে বন্ধ পড়ে থাকা ঘরের ভ্যাপসা গন্ধের মধ্যে, আর আমার সঙ্গে সঙ্গেই ঢুকে পড়ল বাইরের দমকা ঝোড়ো হাওয়া, টেবিলের ওপরে পড়ে থাকা কাগজপত্র উড়ে চারদিকে ছড়িয়ে গেল নিমেষে, কিছু একটা ছিল টেবিলে, সেটাও মাটিতে পড়ে গেল হাওয়ার ধাক্কায়। জানালাটা বন্ধ করে ছিটকিনি তুলে দিলাম আবার, তবুও ভাঙা শার্সির মধ্য দিয়ে গুড়ি মেরে ঢুকছে কুয়াশা— হাওয়ায় তাতে খটখট করে এমন আওয়াজ উঠছে মনে হচ্ছে স্প্যানিশ ক্যাস্টানেট বাজাচ্ছে কেউ।

পকেটে একটা দেশলাই বাক্স ছিল, বার তিনেক বারুদে ঘষার পর কাঠি জ্বলে উঠল।

দেশলাইয়ের আলোয় টের পেলাম যে ঘরটায় দাঁড়িয়ে আছি তা নানারকম আসবাবপত্রে ভরতি, দেওয়াল জুড়ে বড়ো বড়ো— মাঝারি আকারের সব পেইন্টিং, ফায়ারপ্লেসের উপরের তাকে রাখা একটা ফুলদানি আর তার পাশেই একটা মোমদানি। সবই ঠিক ছিল কিন্তু মনের মধ্যে কিছু একটা অস্বাভাবিক অনুভূতি হচ্ছিল। ঘরের মধ্যে কোথাও মাকড়সার জাল পর্যন্ত নেই। বাইরে থেকে বাড়িটা অবহেলিত, ক্ষয়প্রাপ্ত মনে হলেও ঘরের ভেতরটা দেখলে মনে হয় কেউ যেন পরম যত্নে সাজিয়ে রেখেছে। তবে আরও কিছু দেখবার আগেই দেশলাই কাঠিটা সম্পূর্ণ জ্বলে দপ করে নিভে গেল।

এরপর আরেকটা দেশলাই কাঠি জ্বালিয়ে এগিয়ে গেলাম মোমদানিটার দিকে। পুরোনো দেবদারু কাঠের মেঝেতে আমার পায়ের চাপে ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দ উঠছিল। মোমবাতিটা জ্বালিয়েই নজরে এল মোমদানিটা দামি অ্যান্টিক পিস, কাটগ্লাসের ঝালর ঝুলছে তার চারিদিকে। এমন একটা পরিত্যক্ত কটেজের মধ্যে এমন সব দামি আসবাব, আর কী আশ্চর্য! এত সব কিছু রক্ষা করে চলেছে শুধুমাত্র ওই শার্সির কাঁচ? এতদিন সেটা কেউ ভেঙে ঢোকবার চেষ্টা পর্যন্ত করেনি! বিস্ময়ের পরমুহূর্তেই আবিষ্কার করলাম আমিই সেই ব্যক্তি যে প্রথমবারের জন্য সেই অপকর্মটি করলাম।

মোমদানিটা ওপরে তুলে চারপাশটা খুঁটিয়ে দেখতে লাগলাম। দেওয়ালে ঝুলছে নানারকম জলরং আর তেলরঙের বিশাল বিশাল পোর্ট্রেট। কোথাও কোনো ধুলো নেই, নষ্ট হয়ে যাবার কোনো লক্ষণ নেই, যত দেখছি অবাক হচ্ছি। এই বাড়িতে কি কেউ নেই? একবার ডেকে দেখলে হয়। একটু ইতস্তত করে বারকয়েক ডাকলাম। কিন্তু কোনো সাড়া এল না। চারিদিকে অসহ্য নিস্তব্ধতা, মনে হতে লাগল যেন বাড়ির বাসিন্দারা নিঃশব্দে আমার উপর নজর রেখে চলেছে, অন্ধকার ঘরের কোনায় কিংবা চিমনির মধ্যে তারা লুকিয়ে লুকিয়ে আমায় দেখছে।

এর পরেই শোবার ঘর। সেখানে ঢুকে দেখি এক বিশাল আয়না, সেখানে ফুটে উঠেছে আমার প্রতিবিম্ব। দেখলাম আমারই প্রতিবিম্ব আমার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে, যেন সে এ বাড়িরই বাসিন্দা, আমি নিতান্তই এক বহিরাগত।

আয়না থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিতে যাব এমন সময় মনে হল, কাকে যেন দেখলাম, কিছু একটা, কার যেন প্রতিবিম্ব। নাহ, আমার নয়, ঠিক আমার পেছনে দাঁড়িয়ে, বিবর্ণ মুখ, জ্বলন্ত দৃষ্টি, মোমবাতির আলোয় দেখলাম সোনালি চুলের বেণি। চমকে উঠে আবার তাকালাম আয়নায়, কিন্তু নাহ! কেউ নেই, শুধু আমার ফ্যাকাশে মুখ ছাড়া।

এতক্ষণে টের পেলাম আমার পায়ের মোজা জুতো ভিজে সপসপ করছে। মোমবাতিটা নামিয়ে রাখলাম খাটের পাশের টেবিলে, খাটটা আয়তনে বেশ বড়ো, চারদিকে চারটে ডান্ডাওয়ালা। ভিজে জুতো-মোজা খুলে রাখলাম। এরপর জামা-প্যান্ট সব খুলে চেয়ারে ঝুলিয়ে রাখলাম।

অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছি, গায়ে সুতোটিও নেই, একটু একটু শীত করছে। ঘরে কেউ নেই, তবুও কেমন যেন অসোয়স্তি হচ্ছে, মনে হচ্ছে একঘর কৌতূহলী চোখ আমার দিকে তাকিয়ে আছে নিঃসাড়ে।

খাটে উঠে চাদরের মধ্যে ঢুকে শুয়ে পড়লাম— ইউক্যালিপটাস আর ল্যাভেন্ডারের মৃদু সুবাস ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিছানায়। বালিশ হাতড়াতে গিয়ে পেলাম না। অদ্ভুত তো! এত সুন্দর করে সাজানো বিছানা অথচ কোনো বালিশ নেই। কিন্তু ততক্ষণে আমার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে গভীর ক্লান্তি, তাই আর বালিশ খোঁজার প্রবৃত্তি হল না। মোমবাতিটা ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে দিলাম। মুহূর্তের মধ্যে চারপাশে নেমে এল অতল অন্ধকার। আর তখনই শুনতে পেলাম অস্ফুট কিছু কণ্ঠস্বর, কেউ বা কারা ফিসফিস শুরু করেছে চারপাশে।

চোখ বুজতেই শুরু হয়েছে সেই ফিসফিস। কোথা থেকে শব্দ আসছে ঠাহর করতে পারলাম না। মনে হচ্ছে অনেক দূর থেকে ভেসে আসছে সেই কথোপকথনের শব্দ, যেন স্থান-কালের সীমা পেরিয়ে অন্য কোনো অপার্থিব জগতের কণ্ঠস্বর।

‘আমার, আমার, ও শুধু আমার’

‘ও আমাদের, বলো আমাদের’

বাইরে বৃষ্টি, আর ভেতরে অবিরাম চাপা ফিসফিসানি, দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে ফিরছে তার প্রতিধ্বনি, শব্দগুলো যেন ডানা ঝাপটানো বাদুড়ের মতো আমার চারপাশে পাক খাচ্ছে; নিতান্তই তুচ্ছ বিচ্ছিন্ন কিছু কথাবার্তা কিন্তু তা শুনেই এক অজানা আশঙ্কা মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগল, হিসেবটা গোলমেলে ঠেকছে।

‘এত দেরি হচ্ছে কেন, রাতের খাবারের সময় যে পেরিয়ে যাচ্ছে।’

‘কুয়াশায় ও পথ হারিয়েছে।’

‘আচ্ছা, ওর কাছে কি টাকাপয়সা আছে?’

‘কচ্ছপ কীভাবে মারতে হয় জানো তো? আগে তার পাগুলো শক্ত করে দুটো লাঠির সঙ্গে বেঁধে ফেলতে হয়।’

‘তবে আমরা বরং ওকে খাটের সঙ্গে বেঁধে ফুটন্ত জল ঢেলে দি ওর গলায়।’

‘না তার থেকে সহজ উপায় আমার জানা আছে।’

আমি ধড়ফড়িয়ে উঠে বসলাম। বেশিরভাগ কথাবার্তাই আসছে দূর থেকে, কারা বলছে বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু শেষের রক্ত-জল-করা কথাগুলো মনে হল খুব কাছ থেকে কেউ বলে উঠল।

আমি আবার মোমবাতিটা জ্বালালাম, আর তখুনি সেইসব কণ্ঠস্বর মিলিয়ে গেল। বিছানা ছেড়ে উঠে সারা ঘর আঁতিপঁাতি করে খুঁজলাম, কিন্তু সেই শব্দের কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পেলাম না। আচমকা আয়নায় চোখ গেল, সঙ্গেসঙ্গে এক বীভৎস দৃশ্যে আমার দৃষ্টি যেন পাথর হয়ে গেল; দেখলাম, আয়নায় আমার প্রতিচ্ছবির পেছনে আবারও সেই মেয়েটার প্রতিচ্ছবি, সেই সোনালি চুল, জ্বলন্ত চোখ। আর এইবেলা তার হাতে একটা বালিশ, ঠিক আমার পেছনেই দাঁড়িয়ে।

এক লহমায় মনের মধ্যে ভেসে উঠল ছোটোবেলায় শোনা একটি গল্প— দুই কুমারী বোনের গল্প, একজন খুব সুন্দরী, আরেকজন সাদামাটা। তারা ধনী, বয়স্ক পুরুষদের ভুলিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে এনে শ্বাসরোধ করে হত্যা করত, এমনভাবে পরিকল্পনা করে তারা খুনগুলো করত যাতে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় স্বাভাবিক মৃত্যু। এইভাবেই বছরের পর বছর চলেছিল। এমনকী শেষে যে বোনটি বেঁচে ছিল সে মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে সব কিছু স্বীকার করলেও কেউ তার কথায় বিশ্বাস করেনি।

কিন্তু সে তো অনেক অনেক বছর আগের কথা আর বাড়িটাও বহু বছর নিশ্চয় এভাবেই পড়ে আছে।

আমি আয়না থেকে ঘুরে পেছনে তাকালাম— কই, কেউ নেই তো সেখানে। এবার আয়নায় দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে দেখলাম সেখানেও নেই মেয়েটির প্রতিবিম্ব, কী জানি, অবসন্ন মনে হয়তো বিভ্রম দেখা দিয়েছে।

আমি আবার বিছানায় শুয়ে পড়লাম। মোমবাতিটা নিভিয়ে দিয়েছি। ক্লান্তিতে ঘুম আসছে, চোখের পাতা বুজে আসছে, একটু একটু করে ঘুমের দেশে তলিয়ে যেতে যেতে মনে হল ছেঁড়া ছেঁড়া কিছু দৃশ্যপট ভেসে উঠল সামনে। আমি কি স্বপ্ন দেখছি? নাকি জেগে আছি, সামনে যা ঘটছে তা সব সত্যি? যা দেখলাম তার বিভীষিকায় যেন সারা দেহ-মনের চেতনা লুপ্ত হল, দেখি সেই মেয়েটি, সেই আয়নায় দেখা মেয়েটি আমার বিছানার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, ঘন অন্ধকারের মধ্যে যেন তার চোখে লকলক করছে আগুনের শিখা, সে জ্বলন্ত চোখে দেখতে পাচ্ছি মানুষজনের যাতায়াত, দেখতে পাচ্ছি আমাকেও। এরপরে সে ধীরে ধীরে আমার উপর ঝুঁকে পড়ে আমার ঠোঁটে তার ঠোঁট ছোঁয়াল, কী ঠান্ডা! কী রুক্ষ সে-ঠোঁট! আমার সারা শরীরে কাঁপুনি ধরিয়ে দিল।

এমন মুহূর্তে দেখলাম তার মুখ আমার চোখের সামনে থেকে মুছে যাচ্ছে, দেখতে দেখতে ঘন কালো অন্ধকারে মিলিয়ে গেল তার অবয়ব, পড়ে রইল শুধু বহ্নিমান চোখ দুটো— মনে হচ্ছে কিছু যেন আমার উপর ক্রমশ চেপে বসছে— আকারহীন, ভারী অথচ নরম— আমার মুখটা চেপে ধরেছে, মাথা নাড়াতে পারছি না, ছটফট করছি, আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে... ।

এমন সময়ে মরিয়া হয়ে আমি কোনোরকমে হাত বাড়িয়ে প্রাণপণে সেটাকে আঁকড়ে ধরলাম। একরাশ বিস্ময়ে আবিষ্কার করলাম একটা বালিশ প্রায় শ্বাসরোধ করে আমার মুখের উপর চাপা দেওয়া ঠিক যখন দুঃস্বপ্নে ওই নিস্প্রাণ ঠোঁট চেপে ধরেছিল আমায়।

আমি সঙ্গেসঙ্গে ছুড়ে ফেলে দিলাম বালিশটাকে, বিছানার চাদর একটানে টেনে ফেলে দিলাম দূরে। অনেক হয়েছে, অনেক হয়েছে, আর নয়, আর সহ্য করা যাচ্ছে না এই ভয়ংকর ফিসফিসানি, অশরীরী প্রতিবিম্ব, অন্ধকারে শ্বাসরোধী বালিশ, আর নয়। এই বিভীষিকাময়, যন্ত্রণাদায়ক বাড়ির থেকে বাইরের ভীষণ দুর্যোগও যে ঢের ভালো।

তাড়াতাড়ি আমি জামাকাপড়, মোজা, জুতো সব পরে নিলাম। মোমবাতির আয়ু প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। এ বাড়ি আর তার প্রতিটি কোণে যা আছে সব অন্য কোনো কালের অন্ধকার জগতের অংশ, কিন্তু আমায় তো আলোয় ফিরতে হবে।

এবার মোমবাতিটা জ্বালিয়ে পালিয়ে আসার জন্য প্রস্তুত হলাম। প্রাচীনকালের অদ্ভুতুড়ে ওই বিশাল আয়নাটার দিকে না তাকিয়ে খুব সাবধানে বেরিয়ে এলাম শোবার ঘর থেকে। সামনের ঘরের দিকে এগোতেই দেখলাম দেওয়ালে টাঙানো ছবিগুলি যেন একে একে জীবন্ত হয়ে উঠছে।

হঠাৎ একটি ছবির দিকে চোখ পড়তেই আমার দৃষ্টি পাথর হয়ে গেল, একটু এগিয়ে গিয়ে মোমবাতির নিভে আসা আলোয় যা দেখলাম তা কি সত্যি? নাকি আমার ভয়াচ্ছন্ন মনের ভ্রান্তি? এ যে ওই মেয়েটি যাকে এইমাত্র আমি দুঃস্বপ্নে দেখেছি, যার বিবর্ণ কিন্তু সুন্দর মুখ ভেসে উঠেছিল আয়নায়। সত্যিই আমি ফিরে গিয়েছিলাম সুদূর অতীতে নাকি কোনো অজানা অতীত আমায় ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল তার কালপ্রবাহে?

 

অধ্যায় ১ / ১৯

সকল অধ্যায়

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন