“নরেন শিক্ষে দিবে”

সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ প্রকৃত অর্থে ছিলেন এক মহাবিপ্লবী। তিনি ছিলেন ভূমিকম্পের মতো। পৃথিবী কাঁপে দু-ধরনের শক্তিতে, এক হলো——স্লো আর্থ ট্রেমার’, যা ভিতর থেকে পাহাড়-পর্বত ঠেলে তোলে। সমুদ্রের তল উঁচু করে। নদীর গতিপথ পরিবর্তন করায়। দুই—ভয়ঙ্কর কম্পন, পৃথিবী ভেঙেচুরে শেষ করে দেয়। ঠাকুর প্রথমে আমাদের মনের পরিবর্তন চেয়েছিলেন। ছোট মনের মালা দিয়েই গাঁথা হয় সমাজ-মন। ব্যক্তি-মানুষকে না পালটালে সমাজের পরিবর্তন অসম্ভব। ঠাকুর ছিলেন বিজ্ঞানী। ‘ভব-রোগ-বৈদ্য’। আগে নিরীক্ষণ, পরে পথের সন্ধান। কোন্ হাতিয়ারে তৈরি হবে মানুষের সুখের বাসস্থান!

।। নিরীক্ষণ।।

তিনি দেখলেন সমাজের ওপরতলা, নিচের তলা। ওপরতলায় রয়েছেন বিষয়ভোগী ধনী। বিষয় ছাড়া তাঁরা কিছু বোঝেন না। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সৌখিন ধার্মিক। যথেষ্ট ভোগ হয়েছে। আট-নটি ছেলেপুলে। আচ্ছা, এইবার দেখা যাক ধর্মের ‘এক্সকারশানে’ বেরিয়ে বাড়তি কিছু পাওয়া যায় কিনা! রয়েছেন প্রচারক। যে-প্রচার সকল মানুষের অন্তর স্পর্শ করে না। ফিজিক্যাল এক্সারসাইজের মতো মেন্টাল এক্সারসাইজ। ঈশ্বরের রূপ ও গুণ বর্ণনা। আর কেবল পাপ-পুণ্যের কথা। ওপরতলার কিছু শিক্ষিত মানুষের ‘অ্যাসেম্বল’। নিচের দিকের ধর্মে গুরুবাদ। বিপথগামিতা। বীভৎস কদাচার। ধর্মের আড়ালে যাবতীয় ভোগ। মানুষের দেবতাকে মুক্ত না করে পশু-মুক্তি। ঠাকুর ইন্টেলেকচুয়ালদের দেখলেন। মথুরবাবুকে সঙ্গী করে সমাজের মাথাওয়ালাদের কাছে একে একে গেলেন। দেখলেন জ্ঞান আছে, বিজ্ঞান নেই। হৃদয় আছে, অন্তর নেই। পশ্চিমের ভোগবাদের ছোঁয়ায় বিভ্রান্ত। অহং-সর্বস্ব। সকলেই ভেবে বসে আছেন, আমার ঘড়ি ঠিক চলছে। ঠাকুর গোলাম বাঙালীদের কাছে গেলেন। তাদের অন্তঃপুরে ফুঁড়ে ফেঁড়ে ঢুকে গেলেন। দেখলেন সবাই দুখচেটে সংসারী। শিশ্নোদরপরায়ণ। দাসত্ব মনের ওপর চেপে বসে আছে। কাম-কাঞ্চনে আসক্ত। তমোগুণী। স্ত্রৈণ। ঠাকুর সাধুদেরও দেখলেন। বেশিরভাগই পুঁটলি সামলানো সাধু। লুচি-হালুয়া দেখে লাফায়, মেয়েদের দিকে আড়ে আড়ে চায়। সন্ন্যাস যেন জীবিকা। এরপর ঠাকুর বিশাল প্রেক্ষাপটে দৃষ্টি প্রসারিত করলেন, যেখানে পড়ে আছে দেশের নব্বুই ভাগ। চুলে তেল নেই, পেটে অন্ন নেই, মাথায় ছাদ নেই। কলকাতার পথে চলেছেন ঘোড়ার গাড়িতে। সহিসকে বলছেন, চালাও, চালাও। জোরসে চালাও, আমি দেখব, সব দেখব শহর দেখব, শতাব্দী দেখব, দেহজীবী দেখব, শিমারা বখাটে ছোঁড়া দেখব, গোরা সাহেব দেখব। দেখলেন। সকলেরই দৃষ্টি নিচের দিকে। পোকার মতো সব কিলবিল করছে জীবনের অন্ধকারে। পণ্ডিতসমাজ শকুনির উপমা। উঠেছে অনেক ওপরে, দৃষ্টি ভাগাড়ে। শতাব্দীর আঁচল ধরে টান মারলেন। উন্মোচিত হলো তার শরীর। এইবার তিনি দুর্দমনীয়, ভয়ঙ্কর। কারোকে রেহাই দিতে রাজি নন। রাসমণিকে কষিয়ে দিলেন এক চড়। ভগবানের নাম করতে করতে বিষয়চিন্তা কেন? ঈশ্বর মন দেখেন। মন আর মুখ এক কর। গঙ্গার ঘাটে জয় মুখুজ্জেকেও হাঁকিয়ে দিলেন দুই থাপ্পড়। শম্ভু মল্লিককে করলেন তিরস্কার। সমাজসেবা, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল স্থাপন জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে না। মূল উদ্দেশ্য ঈশ্বরলাভ। ঈশ্বরলাভ হলে মানুষ নিরাসক্ত হয়। অহং ঘুচে যায়। আনন্দলাভ করে। মথুরবাবুর সঙ্গে তীর্থে গিয়ে অনবরত বিষয়ের আলোচনা শুনে বললেন, খুব হয়েছে, আমাকে দক্ষিণেশ্বরে ফিরিয়ে দাও। কেশবচন্দ্র সেনকে ‘পালপিট প্রিচার’ থেকে টেনে আনলেন ভক্তির জগতে। তিনি দু-হাতে মানুষকে দিতে চান—রুক্ষ মাথায় তেল, নিরন্নকে অন্ন, বারবনিতাকে চৈতন্য। ভগবানের কাছে চাইলেন একজন রসদদার। পেলেন মথুরবাবুকে। পেলেন শম্ভুচরণ মল্লিককে। চাইলেন একটি ‘সন্তান’। পেলেন রাখালচন্দ্রকে। চাইলেন ‘খাপখোলা একটি তরোয়াল’। পেলেন নরেন্দ্রনাথকে।

।। বিস্ফোরণ।।

নরেন্দ্রনাথ চেয়েছিলেন সমাধি। চেয়েছিলেন নিজের মুক্তি। তা কি করে হয়! ঠাকুর ধমক দিলেন—স্বার্থপর! তুই হবি বটবৃক্ষ। আমার শক্তির ঝুরি তুই ধারণ করবি। নিচেরটাকে তুলে আনবি ওপরে। জগৎটাকে কাঁপিয়ে দিবি। নব ভারত জাগবে তোর মধ্য দিয়ে। বিশ্বকে শোনাবি, যত মত তত পথ। সোস্যালিজমের ‘ফোররানার’ হবি তুই। বলবি, জীবই শিব।

ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর সমস্ত শক্তির আধার করে রেখে গেলেন বিবেকানন্দকে। ভূমি প্রস্তুত। যত গৃহী মধ্যবিত্ত পথের সন্ধান পেয়েছেন। সমাজ-মন আলোড়িত। শতাব্দী শেষ হয়ে গেল। বিগ্রহ অন্তর্হিত। ভাব-বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত। নব-ভাবের ধূপের ধোঁয়ার পরিবেশ আচ্ছন্ন। শ্রীরামকৃষ্ণের পার্ষদরা ছটফট করছেন। ‘নন্দপুরচন্দ্র বিনা বৃন্দাবন অন্ধকার।’ তাঁরা একবার বলছেন, চল, ফিরে যাই গৃহে। লীলা তো শেষ। আবার বলছেন, না, কখনো নয়। ছেড়ে দিয়ে ধরা কেন? চলো যাই সন্ন্যাস নিয়ে তীর্থে তীর্থে।

অসম্ভব, তা কি করে সম্ভব? ভগবান শক্তির তন্তু দিয়ে গেঁথে দিয়ে গেছেন পার্ষদমালিকা। ছেঁড়ে কার সাধ্য! স্বামীজীকে বলেছিলেন : “আমার তো সিদ্ধাই করার উপায় নেই, আমি তোর ভিতর দিয়ে সিদ্ধাই করব।” একখানা কাগজে ঠাকুর লিখে গিয়েছিলেন : “নরেন শিক্ষে দিবে।” নরেন্দ্রনাথ বলেছিলেন :

“আমি ওসব পারব না।” ঠাকুর বলেছিলেন : “তোর হাড় করবে।”

ঠাকুর কতটা শক্তি নরেন্দ্রনাথকে দিয়েছিলেন, তা অনুভব করতে পেরেছিলেন কালীপ্রসাদ। নরেন্দ্রনাথ কাশীপুরের বাগানে গাছতলায় ধুনি জ্বেলে বসে আছেন, কালীপ্রসাদকে বললেন : “আমার হাত ধর দেখি।” ধরামাত্রই কালীপ্রসাদ বললেন, কি একটা ‘শক’ তোমার গা ধরাতে আমার গায়ে লাগল। ঠাকুর নরেন্দ্রনাথকে বলেছিলেন, তুমি আমার জন্যে দেহধারণ করে এসেছ। মাকে বলেছিলাম, মা, আমি কি যেতে পারি! গেলে কার সঙ্গে কথা কব? মা, কাম-কাঞ্চনত্যাগী শুদ্ধ ভক্ত না পেলে কেমন করে পৃথিবীতে থাকব! তুই রাত্রে এসে আমায় তুললি, আর আমায় বললি, ‘আমি এসেছি।’ কাশীপুরে ঠাকুর বলেছিলেন, চাবি আমার কাছে রইল। ও আপনাকে জানতে পারলে দেহত্যাগ করবে।

রাখাল বরানগর মঠে বলছেন : “চল নর্মদায় বেরিয়ে পড়ি।”

নরেন্দ্রনাথ বলছেন : “বেরিয়ে কি হবে? জ্ঞান কি হয়? তাই জ্ঞান জ্ঞান করছিস?”

আরেকজন ভক্ত শুনে বলছেন : “তাহলে সংসার ত্যাগ করলে কেন? “ নরেন্দ্রনাথ বলছেন : “রামকে পেলাম না বলে শ্যামের সঙ্গে থাকব—আর ছেলেমেয়ের বাপ হব—এমন কি কথা!”

শ্বেত অঙ্গে টকটকে গেরুয়া। কপাটের মতো বিশাল তাঁর বক্ষ। পদ্মপলাশ লোচন। ঠাকুর বলতেন : “রাঙাচক্ষু বড় রুই।” দাঁড়িয়ে আছেন দৃপ্তভঙ্গিতে। মুখে যাঁর একটিই কথা—”ওয়াহ গুরু-কি ফতে!” তিনিই চিনেছিলেন গুরুকে—শঙ্করের বিচারশক্তি ও চৈতন্যদেবের প্রেমভক্তি এইবার একাধারে মূর্তিমন্ত হলো, আবার শ্রীকৃষ্ণের সর্বধর্মসমন্বয় বার্তা শোনা গেল, আবার দীন দরিদ্র পাপী-তাপীর জন্য বুদ্ধদেবের ন্যায় একজন ক্রন্দন করছেন, শোনা গেল; অবতারপুরুষগণ যেন অসম্পূর্ণ ছিলেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ অবতীর্ণ হয়ে তাঁদের পূর্ণ করেছেন। “Once more the wheel is turning up, once more vibrations have been set in motion from India, which are destined at no distant day to reach the farthest limits of the earth.

।। পরিশেষ।।

বিদেশী অনেক গাছ লাগাবার চেষ্টা হলো। স্বদেশভূমিতে তা পারল না শিকড় চালাতে। শ্রীরামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের জোড়া কলমের ভাবতরু আজ বিশালবৃক্ষ। কোন্ ছায়াতে বসে আছ তাপিত পথিক? জান না! তাহলে শোন স্বামীজীর মুখ দিয়ে কি আগুন ঝরছে—

“Now my brothers, if you do not see the hand, the finger of Providence, it is because You are blind, born-blind indeed.”

সকল অধ্যায়

১. উট হবে না হাঁস হবে!
২. প্ৰতিধ্বনি
৩. পদ্মলোচনের শাঁখ
৪. একটু চেষ্টা
৫. ঠাকুরের কাছে দরবার
৬. কেন
৭. সেই আবেগে
৮. চিরগুরু
৯. কৃপা
১০. রামকৃষ্ণদাস
১১. স্বামীজীর ধর্ম
১২. গৃহীর ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ
১৩. হাসছে কেমন!
১৪. “পঞ্চভূতের ফাঁদে ব্রহ্ম পড়ে কাঁদে”
১৫. পুরুষ সাবধান
১৬. অংশে অংশ মিলে পূর্ণ
১৭. সাধনা
১৮. লজ্জা
১৯. পথ ও পথিক
২০. “ভক্তি যেন ভয়ে নাহি হয়, পদানত পৃথিবীর কারো কাছে”
২১. ডুডুও খাব টামাকও খাব
২২. কনফুসিয়াস
২৩. “খণ্ডন-ভব-বন্ধন জগ-বন্দন বন্দি তোমায়”
২৪. দস্তুরমতো পথ
২৫. শয়নে স্বপনে জাগরণে
২৬. আপনি আর আমি
২৭. হনুমান
২৮. চাকা
২৯. সরষে পেষাই
৩০. “চাঁদামামা সকলের মামা”
৩১. রামকৃষ্ণ নামের মাস্তুল
৩২. এগিয়ে চল
৩৩. “পাশবদ্ধ জীব পাশমুক্ত শিব”
৩৪. “মন-মত্তকরী”
৩৫. “নরেন শিক্ষে দিবে”
৩৬. দু-ফোঁটা চোখের জল
৩৭. মহাভাব
৩৮. মাপো আর জপো
৩৯. ভাব-ভালবাসা
৪০. বাহাদুর
৪১. আমার কুরুক্ষেত্র
৪২. মুখে বলি ‘হরি’
৪৩. ধর্মকর্ম
৪৪. “আপনাতে আপনি থেকো মন”
৪৫. মূর্ত মহেশ্বর
৪৬. গুরু-চৈতন্য বিজ্ঞান-বিচারী
৪৭. তত্র সর্বাণি তীর্থানি
৪৮. হাঁস
৪৯. হেডমাস্টার
৫০. বিশ্বাস! বিশ্বাস! বিশ্বাস!
৫১. “কপটতা ছাড়ো”
৫২. কবে হবে
৫৩. তোমাদের কী হবে
৫৪. বাছুর
৫৫. ‘সা-রে-মা’তে
৫৬. অরূপরতন
৫৭. বাক্সটাকে সাজাও
৫৮. “আধা-ছানার মণ্ডা”
৫৯. “ডাক ডাক ডাক্তার ডাক”
৬০. নারী ও শ্রীরামকৃষ্ণ
৬১. ভবরোগবৈদ্য
৬২. জ্ঞান ও বিজ্ঞান
৬৩. শ্রীরামকৃষ্ণ-কমণ্ডলু
৬৪. শ্রীরামকৃষ্ণের দণ্ড
৬৫. ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণের আসন
৬৬. জীবনমরণের সীমানা ছাড়ায়ে
৬৭. প্রাণের লণ্ঠনে চৈতন্যের আলো
৬৮. আগে বিশ্বাস তারপর কর্ম
৬৯. সব ফেলে দাও, সব ছেড়ে দাও, উঠে এস
৭০. কেউ দশে, কেউ ছয়ে, কেউ পাঁচে
৭১. “মন্মনা ভব মদ্ভক্তো”
৭২. শ্রীরামকৃষ্ণের বিবেকানন্দ
৭৩. শুধু তোমাকেই চাই
৭৪. সুধাসাগর
৭৫. হাত ধর
৭৬. ব্যাকুলতা
৭৭. দুজনেই মার সখী
৭৮. শ্রীরামকৃষ্ণ বিজ্ঞানীও
৭৯. কাতরে কর করুণা
৮০. ধ্রুবতারা
৮১. কলকাতা এবং রামকৃষ্ণলোক
৮২. প্ৰণাম
৮৩. প্রশ্ন
৮৪. সাবধান
৮৫. কেন চোখের জলে
৮৬. মনের মতো পাগল পেলাম না
৮৭. “যেমন আমড়া, কেবল আঁটি আর চামড়া”
৮৮. মানুষ
৮৯. অমৃতের সন্ধানে
৯০. শরণাগত
৯১. সাধন দুর্গ
৯২. স্বামীজী আসছেন
৯৩. উচ্ছ্বাস থেকে শ্বাসে
৯৪. গানে গানে শ্রীরামকৃষ্ণ
৯৫. রামকৃষ্ণ মিশন
৯৬. পাথরের দেয়ালে পেরেক
৯৭. সার্জেন সাহেব
৯৮. বসে আছি
৯৯. রামকৃষ্ণ ভগবান
১০০. অঙ্কট-বঙ্কট
১০১. “আমি মলে ঘুচিবে জঞ্জাল”
১০২. ‘আমি’ এক ঢিপি
১০৩. আমার জীবনে ‘উদ্বোধন’
১০৪. অনুলোম বিলোম
১০৫. মন্ত্র
১০৬. বারটা বাজাও
১০৭. চাকর রাখ
১০৮. খানদানী চাষা
১০৯. আত্মার আত্মহত্যা
১১০. শ্রীরামকৃষ্ণের মথুর
১১১. বিবেকের ছাঁকনি
১১২. ‘রামকৃষ্ণ মেল’
১১৩. “মাতাদেবী, আপনি হন আমাদিগের কালী!”
১১৪. “আমি দেখব”
১১৫. চির নবীন, চির নূতন, ভাস্বর বৈশাখ
১১৬. কুরুক্ষেত্রে শ্রীরামকৃষ্ণ
১১৭. শ্রীরামকৃষ্ণের ‘অস্ত্রভাণ্ডার’
১১৮. গাজীপুরে শ্রীরামকৃষ্ণ
১১৯. বিদ্রোহী ভগবান
১২০. ইঁদুর
১২১. শরণাগতি
১২২. “আমি খাই-দাই আর থাকি, আর আমার মা সব জানেন”
১২৩. “আপনার পূজা আপনি করিলে, এ কেমন লীলা তব!”
১২৪. “ভক্ত্যা মামভিজানাতি”
১২৫. প্ৰেম
১২৬. মা
১২৭. কে তুমি বিবেকানন্দ
১২৮. ভগবানের মুখ
১২৯. ‘হলো না’-টাই ‘হলো’
১৩০. সংস্কার
১৩১. রামকৃষ্ণ-শক্তি
১৩২. এক জোড়া জুতো
১৩৩. বেদভূমিতে শ্রীরামকৃষ্ণ
১৩৪. শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীরামকৃষ্ণ
১৩৫. অখণ্ডের ঘরের কথা
১৩৬. “কে মা তুমি?”
১৩৭. নিজেকে দেখ
১৩৮. “আমি জানি তুমি কে”
১৩৯. পথের ধর্ম, ধর্মের পথ
১৪০. শ্রীরামকৃষ্ণ-সূর্যালোক
১৪১. মরে গিয়ে বেঁচে ওঠা
১৪২. ভয়ঙ্কর ঠাকুর
১৪৩. মা জানেন

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন