১৬. উম্মুল মু’মিনীন জুয়াইরিয়া (রা)

১৬. উম্মুল মু’মিনীন জুয়াইরিয়া (রা)

রাসূল (ﷺ)-এর পবিত্র স্ত্রীগণ হলেন মুমিনদের জন্য মাতৃতুল্য। যেমন আল্লাহ তা’আলা বলেন

النبى اولى بالمؤمنين من أ هم وأزواجة أنهائهم .

নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক ঘনিষ্ঠ আর তার স্ত্রীগণ তাদের মাতা (সূরা আহযাব : আয়াত-৬)।

তাই মুমিনদের মাতা ও রাসূল (ﷺ)-এর পবিত্র স্ত্রীগণ জান্নাতে যাবে এটাই স্বাভাবিক। যাদের সাথে রাসূল (ﷺ)-এর দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত হয়েছে তারা জাহান্নামে যাবে আর রাসূল জান্নাতে থাকবেন এটা অসম্ভব কথাও বটে। তাই রাসূল (ﷺ)-এর সাথে তাদের সম্পর্কের কারণেই তারা জান্নাতে যাবেন, এটাই দলিল তাদের জান্নাতে যাওয়ার।

নাম ও পরিচয়

নাম জুয়াইরিয়া। পূর্ব নাম ছিল বাররা। রাসূল তার নাম পরিবর্তন করে রাখেন জুয়াইরিয়া। আব্বার নাম হারেস। তিনি বনু মুস্তালিক গোত্রের সর্দার ছিলেন। তাঁর বংশ তালিকা হল, জুয়াইরিয়া বিনতে হারেস ইবনে আবু দিদার ইবনে হাবীব ইবনে আয়েয ইবনে মালেক ইবনে জুয়াইমা ইবনে আসাদ ইবনে আমর ইবনে রাবীয়া ইবনে হারিসা ইবনে আমর মুযিকিয়া।

প্রথম বিবাহ

জুয়াইরিয়া (রা)-এর প্রথম বিয়ে হয়েছিল তার নিজের গোত্রের মুসাফা ইবনে সাফওয়ান মুসতালেফীর সাথে। মুসাফা সম্পর্কে জুয়াইরিয়া (রা)-এর চাচাত ভাই ছিলেন। তিনি ইবনে যিয়ার নামেও পরিচিত ছিলেন।

প্রথম দিকে ইসলামের প্রকাশ্য শত্রু

জুয়াইরিয়া (রা)-এর পিতা এবং স্বামী দু’জনই ইসলামের ঘোর শত্রু ছিলেন। কুরাইশদের প্ররোচনায় অথবা নিজেদের ইচ্ছায় তারা মদীনার ওপর আক্রমণ করার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলেন। সংবাদটি রাসূল (ﷺ)-এর কানে পৌছলে তিনি এর সত্যতা যাচাই-এর জন্য বুরাইদা ইবনে হাবীব আসলামীকে ঘটনাস্থলে প্রেরণ করেন সরেজমিনে তদন্ত করার জন্য। বুরাইদা ফিরে এসে সংবাদটি সত্য বলে জানালে রাসূল তার বাহিনী নিয়ে রওয়ানা হন এবং মুরাইসী নামক স্থানে অবস্থান নেন। এ মুরাইসী নামক স্থানটি মদীনা থেকে নয় মাইল দূরে। আর সময়টি ছিল হিজরী ৫ম সনের শাবান মাস।

বনী মুস্তালিক যুদ্ধ

ওদিকে মুসলমান বাহিনীর আগমন, অবস্থান গ্রহণ ও রণসজ্জার খবর শুনে মুস্তালিক গোত্র প্রধান জুয়াইরিয়া (রা)-এর পিতা হারেস তাঁর সংগঠিত বাহিনী থেকে সটকে পড়েন। কিন্তু তার বাহিনীর মনোবল ছিল অটুট। হারেসের অধীনস্থ বাহিনী কিছুমাত্র পিছু না হটে মুসলিম বাহিনীর সাথে মরণপণ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়। প্রচণ্ড যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর দেখা গেল মুসলিম বাহিনী জয়লাভ করেছে। এ যুদ্ধে বনী মুস্তালিক গোত্রর এগার জন নিহত হয় ও ছয়শত সেনা মুসলিম বাহিনীর হাতে বন্দী হয়। আর দুই হাজার উট ও পাঁচ হাজার ছাগলও মুসলমানদের দখলে আসে। এ যুদ্ধে জুয়াইরিয়ার স্বামী নিহত হন। উক্ত যুদ্ধবন্দীদের সাথে বন্দী অবস্থায় গোত্র প্রধান হারেসের কন্যা জুয়াইরিয়াও ছিলেন। তৎকালীন আরবের নিয়ম অনুযায়ী যুদ্ধবন্দীদেরকে গোলাম হিসেবে বিলি বন্টন করা হতো। সে মুতাবেক জুয়াইরিয়া সাবিত ইবনে কায়েসের ভাগে পড়েন। পূর্বেই বলেছি জুয়াইরিয়া ছিলেন গোত্র প্রধানের কন্যা। যে কারণে তিনি দাসীর জীবন মেনে নিতে পারছিলেন না। সে জন্য তিনি সাবিত (রা)-এর কাছে অর্থের বিনিময়ে মুক্তির আবেদন জানান। সাবিত (রা) ১৯ উকিয়াহ স্বর্ণের বিনিময়ে এ আবেদন মঞ্জুর করেন।

রাসূল (ﷺ) জুয়াইরিয়ার পক্ষ থেকে মুক্তিপণ আদায় ও তাকে বিবাহ করা

কিন্তু জুয়াইরিয়ার কাছে এত বিপুল স্বর্ণ বা সম্পদ না থাকার কারণে তিনি এ ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য স্বয়ং রাসূল (ﷺ)-এর নিকট আবেদন করেন। এ ঘটনাটি আয়েশা (রা) এভাবে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ ইবনু মুস্তালিকের যুদ্ধ বন্দীদেরকে বন্টন করলে জুয়াইরিয়া বিনতে হারেস সাবিত ইবনে কায়েসের ভাগে পড়েন। জুয়াইরিয়া তৎক্ষণাৎ মুক্তিপণ দিয়ে মুক্তি লাভের উদ্যোগ নেন। তিনি ছিলেন খুবই লাবণ্যময়ী মিষ্টি মেয়ে। তাকে যে-ই দেখতো সে মুগ্ধ হয়ে যেত। জুয়াইরিয়া মুক্তিলাভের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে সাহায্য কামনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ আমি হারেস ইবনে আবু দিদারের কন্যা।

আমার পিতা গোত্রের সরদার, আমি কি বিপদে পড়েছি তা আপনার অজানা নয়। আমি সাবিত ইবনে কায়েসের ভাগে পড়েছি। আমার মুক্তিপণ আদায়ে আপনার সাহায্য কামনা করছি। রাসূলুল্লাহ বললেন, আমি যদি তোমার জন্য আরো ভাল কিছুর ব্যবস্থা করি? তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, সেটা কি? তিনি বললেন, আমি তোমার পক্ষ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে দিয়ে তোমাকে বিয়ে করবো। জুয়াইরিয়া বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এতে রাজি আছি। তখন রাসূল বললেন, আমি তাই করলাম। মুসলমানগণ যখন জানতে পারলেন যে, রাসূলুল্লাহর জুয়াইরিয়াকে বিয়ে করেছেন তখন তারা তাদের হাতে বন্দী বনু মুস্তালিকের সব লোককে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আত্মীয় বিবেচনা করে ফেরত পাঠিয়ে দিলেন। এভাবে বনু মুস্তালিকের ছয়শ বন্দী শুধু রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে জুয়াইরিয়ার বিয়ে হওয়ার কারণে মুক্তি লাভ করলো। সত্যি বলতে কি নিজ গোত্রের জন্য জুয়াইরিয়ার চেয়ে কল্যাণকর প্রমাণিত হয়েছে এমন কোন মহিলার কথা আমার জানা নেই।’

জুয়াইরিয়ার পিতার ইসলাম গ্রহণ

অন্য একটি বর্ণনা এরূপ- ইবনে আসীর (রা) বলেন, “জুয়াইরিয়ার বাবা যখন জানতে পারলেন যে, তার কন্যা বন্দী হয়ে আছে, তখন তিনি অনেক সম্পদ ও আসবাবপত্র কয়েকটি উটের ওপর বোঝাই করে কন্যার মুক্তির জন্য মদীনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে পছন্দনীয় দুটি উট ‘মাফিক’ নামক স্থানে লুকিয়ে রেখে অবশিষ্ট উট ও আসবাব নিয়ে রাসূল (ﷺ)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে আরজ করলেন, আপনি আমার কন্যাকে বন্দী করে এনেছেন। এসব মাল ও আসবাবপত্র নিন, বিনিময়ে আমার কন্যাকে ফিরিয়ে দিন। রাসূল বললেন, “যে দুটি উট তুমি লুকিয়ে রেখে এসেছ তা কোথায়? রাসূল (ﷺ)-এর কথা শুনে হারেস আশ্চর্য হয়ে গেলেন এবং তখনই ইসলাম গ্রহণ করলেন। এরপর যখন জানতে পারলেন যে, তার কন্যা রাসূল (ﷺ)-এর স্ত্রী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন, তখন তিনি সীমাহীন খুশি হন এবং কন্যার সাথে সাক্ষাৎ করে গৃহে ফিরে যান।

রাজনৈতিক কারণে বিয়ে

মূলত রাসূল এ বিয়েটা করেছিলেন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে। একটু চোখ-কান খুলে বিয়ের বিষয়টা দেখলেই পরিষ্কার হয় যে, বিয়েটা ছিল রাজনৈতিক দূরদর্শীতার এক মাইল ফলক। এ বিয়ের ফলে রাসূল ও মুসলমানগণ কূটনৈতিকভাবে বিজয় লাভ করেন। কারণ বনু মুস্তালিক গোত্রের সকল মানুষ ছিল ইসলাম ও মুসলমানদের চরম শত্রু। তারা কোনো প্রকারেই রাসূল (ﷺ) ও মুসলমানদের মেনে নিতে রাজি ছিল না। এমতাবস্থায় রাসূল জুয়াইরিয়াকে বিয়ে করার ফলে বনু মুস্তালিকের সকল যুদ্ধ বন্দী বেকসুর মুক্তি লাভ করে। ফলে হঠাৎ করেই প্রাণের দুশমন বন্ধুতে পরিণত হয়। বনু মুস্তালিক গোত্রের কেউ আর কোনোদিন রাসূল ও মুসলমানদের বিরোধিতা করেনি। এমন কি তারা ধীরে ধীরে সকলেই ইসলামের পতাকাতলে আশ্রয় গ্রহণ করে।

জুয়াইরিয়ার ব্যক্তি সত্ত্বা

জুয়াইরিয়া (রা) ছিলেন অত্যন্ত ব্যক্তিত্বসম্পন্না ও স্বাধীনচেতা মহিলা। যে কারণে তিনি বন্দী জীবন সহ্য করতে পারেন নি। তিনি দেখতে ছিলেন সুন্দরী এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারিণী। তাঁর সম্বন্ধে বলতে গিয়ে আয়েশা (রা) বলেন, ‘জুয়াইরিয়া দেখতেই শুধু সুন্দরী ছিলেন না, বরং তার অনুপম চেহারায়, চিত্তাকর্ষক এবং মধুর আচরণে এমন এক মাধুর্য নিহিত ছিল, যাতে করে যে কোনো লোক তার সান্নিধ্যে আসততা, সে তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল, বিমুখ ও আকৃষ্ট হয়ে যেতো। তাকে দেখলেই দর্শকের মনে একটা স্থায়ী মমতার চিহ্ন ফুটে উঠতো। জুয়াইরিয়া (রা) একজন ইবাদত গুজার মহিলা ছিলেন। জানা যায়, তিনি প্রায় সার্বক্ষণিকভাবেই ইবাদতে মগ্ন থাকতেন। একদিন রাসূল তার ঘরে প্রবেশ করে দেখলেন জুয়াইরিয়া তাসবীহ পাঠ করছেন। রাসূল (ﷺ) বললেন, তুমি কি সব সময় এ আমল কর? তিনি উত্তর দিলেন, ‘জি হ্যা।

একদিন ভোরে জুয়াইরিয়া (রা) মসজিদে বসে দুআ করছিলেন। এ অবস্থায় রাসূল তাঁকে দেখলেন এবং চলে গেলেন। দুপুরে ফিরে এসে রাসূল তাকে সেই অবস্থায় দেখতে পেলেন। ইবনে সা’আদ বর্ণনা করেন যে, জুমু’আর দিন নবীজী জুয়াইরিয়ার কাছে যান। সেদিন তিনি সিয়াম পালনরত ছিলেন। নবীজী যেহেতু একটা রোযা রাখাকে মাকরূহ মনে করতেন, তাই জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি গতকাল সিয়াম রেখেছিলে?’ বললেন, না। নবীজী পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, আগামীকাল রাখবে? বললেন, না। নবীজী বললেন, তাহলে সিয়াম ভেঙ্গে ফেল। রাসূল জুয়াইরিয়াকে খুব ভালবাসতেন। একবার তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ঘরে খাবার কিছু আছে কি? জুয়াইরিয়া বললেন, আমার এক দাসী ছদকার কিছু গোশত দিয়েছে, তাই আছে। এ ছাড়া আপাতত অন্য কিছু নেই। রাসূল বললেন, তাই নিয়ে এসো। কারণ, যাকে ছদকা দেয়া হয়েছে, তার কাছে তা পৌঁছেছে।

হাদীস বর্ণনায় তাঁর অবদান

এ পুণ্যবতী মহিলা রাসূল থেকে অল্প কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইবনে আব্বাস, ইবনে ওমর, জাবের, আবু আইয়ুব মারাসী, তোফায়েল, মুজাহিদ, কুলছুম ইবনে মুসলিক, কুরাইব এবং আবদুল্লাহ ইবনে শাদ্দাদ তাঁর থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বুযুর্গ মহিলা সাহাবী। রাসূলুল্লাহ সাল থেকে তিনি ৭টি হাদীস বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে ইমাম বুখারী একটি ও মুসলিম ২টি হাদীস নিজ নিজ গ্রন্থে সংকলন করেছেন। তার থেকে বর্ণিত হাদীসের কয়েকটি নিম্নে উল্লেখ করা হলো

1. إن عبيد بن السباك قال : إن جويرية (رضی) زوج النبي و أخبره أن رسول الله هل عليها قال : من من . ما عندنا تمام طعام و قالت : لا والله يا رسول الله الأعظم من شاة أتت مولاتي من الصدقة نقال : يربيه قد بلفن محلها.

১. উবাইদা ইবনে সাববাক (রা) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ)-এর স্ত্রী জুয়াইরিয়া (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ একদা তাঁর কাছে এসে বললেন : তোমার কাছে কোন খাবার আছে কি? তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! আমার দাসীকে দেয়া সাদকার বকরীর কিছু গোশত ছাড়া আমাদের কাছে আর কিছুই নেই। নবী বললেন : তাই নিয়ে এসো, কারণ সাদকা তার নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে গিয়েছে। (মুসলিম)

۲. عن ابن عباس عن جورية (رضی) أن البئ * خرج من عندها بكرة جين صلى الصبح وهى في مسجدها ثم رجع بعد أن أضخی ده جالسة . قال : ما زلت على الحالي حتى فارقت عليها قالت : نعم . قال النبي : لقد قلت بعدك أربع كلمات ثلاث مرات لووزنت بمال من اليوم گوزنتهن : سبحان الله وبحمده عدد خلقه ورضى نفسه و . زنة عرشه ومداد كلتان..

২. ইবনে আব্বাস (রা) জুয়াইরিয়া (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন : নবী করীম (ﷺ) একদা খুব ভোরে ফজরের সালাত পড়ে তাঁর নিকট থেকে বের হলেন। আর তিনি তখন তাঁর সিজদার স্থানেই ছিলেন। অত:পর নবী করীম (ﷺ) নি দুপুর বেলায় ফিরে এসে দেখেন তিনি সিজদার স্থানেই বা। নবী করীম (ﷺ) বললেন : তোমাকে যে অবস্থায় রেখে গিয়েছি সে অবস্থায় আছে। তিনি বললেন, হা। নবী করীম (ﷺ) বলেছেন : নিম্নের এ চার শব্দের দুআ টি যদি তুমি তিনবার করে বলতে তা হলে এ যাবৎ তুমি যা বলেছে তার সাথে এটা ওযন করা যেতো। (মুসলিম)

سبحان الله وبحمده عدد ثقه ورضى نفسه وزنة عرشه و من لبس ٣. عن جويرية (رضی) قالت : قال رسول الله ثوب حرير البسه الله ويا بين النار يوم القبائة. مداد كلماته.

৩. জুয়াইরিয়া (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ বলেছেন, যে ব্যক্তি রেশমী কাপড় পরবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে আগুনের পোশাক পরাবেন। (মুসলিম)।

ওফাত

আমীর মু’আবিয়ার শাসনামলে ৬৫ বছর বয়সে জুয়াইরিয়া (রা) ইন্তেকাল করেন। সময়টা ছিল হিজরী ৫০ সালের রবিউল আউয়াল মাস। মদীনার তালীন গর্ভনর মারওয়ান ইবনুল হাকাম তার জানাযার সালাত পড়ান। তাকে জান্নাতুল বাকীতে সমাহিত করা হয়।

সকল অধ্যায়

১. ১. উম্মুল মু’মিনীন খাদীজা (রা)
২. ২. উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রা)
৩. ৩. উম্মুল মুমিনীন হাফসা (রা)
৪. ৪. মারইয়াম (আ)
৫. ৫. আছিয়া (আ)
৬. ৬. উম্মু সুলাইম (রা)
৭. ৭. যয়নব বিনত রাসূলুল্লাহ
৮. ৮. রুকাইয়া বিনত মুহাম্মদ
৯. ৯. উম্মু কুলছুম বিনত নবী করীম (ﷺ)
১০. ১০. ফাতিমা বিনত রাসূলিল্লাহ
১১. ১১. সুমাইয়া (রা)
১২. ১২. উম্মুল মুমিনীন সাদা বিনতে যামআ (রা)
১৩. ১৩. উম্মুল মুমিনীন যয়নব বিনতে খুযাইমা (রা)
১৪. ১৪. উম্মুল মু’মিনীন উম্মু সালামা (রা)
১৫. ১৫. উম্মুল মুমিনীন যয়নব বিনতে জাহাশ (রা)
১৬. ১৬. উম্মুল মু’মিনীন জুয়াইরিয়া (রা)
১৭. ১৭. উম্মুল মুমিনীন উম্মু হাবীবা (রা)
১৮. ১৮. উম্মুল মু’মিনীন সফিয়্যা (রা)
১৯. ১৯. উম্মুল মুমিনীন মায়মূনা (রা)
২০. ২০. উম্মুল মুমিনীন রায়হানা (রা)
২১. ২১. উম্মুল মু’মিনীন মারিয়া কিবতিয়া (রা)
২২. ২২. হালীমা (রা)
২৩. নবী করীম (ﷺ)-এর বহু বিবাহের সমালোচনার প্রতিবাদ

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন