সম্পাদকীয়-২ : উপলিকা সম্পর্কিত উপস্থাপনা

রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

না কবিতা। না গল্প। সুরটা হবে কাবিতিক। এবং উপস্থাপনার ধরন হবে গাল্পিক। মূলত কবিতার স্বাচ্ছন্দ গতি নিয়ে এর শুরু। এবং গদ্যের বিন্যাসে বিন্যস্ত। জটিলতা সবসময় পরিত্যজ্য। যতোটা সম্ভব ধারাবাহিকতা আবশ্যক। সমাপ্তিটা ছোট গল্পের মতোন। সহজবোধ্য শব্দের ব্যবহার বাঞ্ছনীয়।

নিঃসন্দেহে সাহিত্যে এটা একটা নোতুন সংযোজন। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘ক্ষমা নেই’ গ্রন্থের রচনাগুলো অবশ্য উপলিকার গুনগত দিক থেকে কিছুটা সদৃশ। তবে ঐ রচনাগুলোর প্রথম অবস্থায় খুব একটা উদ্বিগ্নতা থাকে না য্যামোন থাকে না রচনাটা শেষ হলে।

উপলিকার প্রধান উপজীব্য হচ্ছে রচনার প্রথম থেকে পাঠককে যে পরিবেশ বা যে ধারনার মাঝে নিয়ে যাওয়া হবে ঠিক শেষ মুহূর্তে সেই পরিবেশ থেকে সম্পূর্ন নোতুন একটা পরিবেশ বা অবস্থানে পাঠককে ছুঁড়ে দিতে হবে।

অর্থাৎ ঠিক সেই নোতুন পরিস্থিতির কথা না বলা পর্যন্ত পাঠক বিষয়টি সম্পর্কে সামান্যতম আভাসও পাবে না। তাই সে বিষয়বস্তু ভাবগত হোক আর বস্তুগত হোক।

এদেশের আবদুল মান্নান সৈয়দের কয়েকটা কবিতাকে মোটামুটিভাবে উপলিকা বলে ধরা যেতে পারে। কিন্তু ঐ একই কারনে সম্পূর্নভাবে ধরা যায় না। তাছাড়া সৈয়দের কবিতায় দুর্বোধ্য শব্দের ব্যবহার একটু বেশি।

ফরহাদ মজহারের কয়েকটি কবিতায় উপলিকার কিছু কিছু গুন লক্ষনীয়। আবুল হাসানেরও তাই।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বেশির ভাগ কবিতাকেই উপলিকা বলা যেতে পারতো যদি না ঐ কবিতাগুলোয় কবিতার ঘ্রান একটু কম থাকতো।

উপলিকার আর একটি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করছি। তা হলো এর কলেবর খুব বেশি দীর্ঘ করা যাবে না। মোট কথা উপলিকা হচ্ছে না-গল্প না-কবিতা।

উপলিকা সম্পর্কে বিশদ আলোচনা এবং এ সম্পর্কে লেখকদের মতামত আগামী সংখ্যায় ছাপা হবে।

যেকোনো লেখকই উপলিকা’ বিভাগে লেখা পাঠাতে পারবেন। অবশ্যই সেগুলোকে উপলিকা হতে হবে।

অশ্লীল জোৎস্নায়, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ১৯৭৫

সকল অধ্যায়

১. মৌলিক মুখোশ (১৯৯০)
২. রচনাকাল : ১৯৭৪
৩. এক গ্লাস অন্ধকার (১৯৯২)
৪. উপদ্রুত উপকূল (১৯৭৯)
৫. ফিরে চাই স্বর্নগ্রাম (১৯৮১)
৬. মানুষের মানচিত্র (১৯৮৪)
৭. ছোবল (১৯৮৬)
৮. গল্প (১৯৮৭)
৯. দিয়েছিলে সকল আকাশ (১৯৮৮)
১০. আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে
১১. দিন গ্যালো দিন গ্যালো রে
১২. আমরা পাড়ি দেবো
১৩. ছিঁড়িতে না পারি দড়াদড়ি
১৪. ঢোলক বাজাও দোতারা বাজাও
১৫. মাঠে কিষান সুর তুলেছে
১৬. শৃংখল মুক্তির জন্যে কবিতা আজ
১৭. নূর হোসেনের রক্তে লেখা
১৮. ভাঙাচোরা মন, বল
১৯. যদি চোখে আর চোখ রাখা না-ই হয়
২০. ইতর
২১. সোনালি শিশির
২২. উপন্যাসের খসড়া
২৩. নিজস্ব লড়াই
২৪. নিসঙ্গতা
২৫. কৃষ্ণচুড়ার মৃতদেহে একখানি রঙিন ইনভেলাপ
২৬. যেখানে নরকে গোলাপ
২৭. সিগারেট এবং কতিপয় ব্যক্তিগত স্কেচ
২৮. শিরোনামহীন (অসম্পূর্ণ গল্প)
২৯. চলচ্চিত্র কাহিনী
৩০. চিত্রনাট্য
৩১. সম্পাদকীয়-১
৩২. সম্পাদকীয়-২ : উপলিকা সম্পর্কিত উপস্থাপনা
৩৩. সম্পাদকীয়-৩ : প্রবেশক
৩৪. এক দশকের কবিতা
৩৫. সাহিত্যচিন্তা
৩৬. নব্য জসীমিজম ও বহমান লোককাব্যধারা
৩৭. প্রতিক্রিয়া
৩৮. জাতীয় কবিতা পরিষদের ভূমিকা
৩৯. ভিন্নস্বর অন্যমত
৪০. বাংলাদেশের কবিতা সংকলন প্রসঙ্গে
৪১. কাফের লেখকদের সম্পর্কে
৪২. অগ্রদূত ক্রীড়া চক্র : ঘোষনাপত্র
৪৩. অন্যান্য গদ্য
৪৪. উপদ্রুত উপকূল গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে স্বাগত ভাষন
৪৫. নবীন বরন উপলক্ষে
৪৬. শুভেচ্ছা বক্তব্য
৪৭. সাক্ষাৎকার-১
৪৮. সাক্ষাৎকার-২
৪৯. সাক্ষাৎকার-৩
৫০. সাক্ষাৎকার-৪
৫১. সাক্ষাৎকার-৫
৫২. সাক্ষাৎকার-৬
৫৩. সাক্ষাৎকার-৭
৫৪. সাক্ষাৎকার-৮
৫৫. পত্র-০১
৫৬. পত্র-০২
৫৭. পত্র-০৩
৫৮. পত্র-০৪
৫৯. পত্র-০৫
৬০. পত্র-০৬
৬১. পত্র-০৭
৬২. পত্র-০৮
৬৩. পত্ৰ-০৯
৬৪. পত্র-১০
৬৫. পত্র-১১
৬৬. পত্র-১২
৬৭. পত্র-১৩
৬৮. পত্র-১৪
৬৯. পত্র-১৫
৭০. পত্র-১৬
৭১. পত্ৰ-১৭
৭২. প্রস্তুতি পর্বের রচনা (কবিতা)
৭৩. প্রস্তুতি পর্বের রচনা (গল্প)
৭৪. প্রস্তুতি পর্বের রচনা (গদ্য)
৭৫. রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ : জীবনপঞ্জি
৭৬. রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ : গ্রন্থপঞ্জি
৭৭. গ্রন্থ ও রচনাপরিচয়
৭৮. রুদ্র বিষয়ক রচনাপঞ্জি
৭৯. প্রস্তুতি পর্বের রচনা (নাটিকা)
৮০. খুটিনাটি খুনশুটি ও অন্যান্য কবিতা (১৯৯১)

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন