শুভেচ্ছা বক্তব্য

রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

গত কয়েক বছর থেকে দেশে আবৃত্তি চর্চার চেহারা খুব প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে। পালে লেগেছে অনুকূল হাওয়া। তরতর কোরে না ছুটলেও আবৃত্তি চর্চার নৌকাখানা আর চড়ায় আটকে নেই। নেই আগের সেই গা-এলানো, যাত্রা ঢঙের প্রলম্বিত গতি। প্রচুর নিবেদিত কর্মী আর সংগঠন এখন চর্চার নোতুন নোতুন স্রোত হয়ে এসে সৃষ্টি করেছে একটি বড় ধরনের মূল স্রোত।

কেউ কেউ বোলে থাকেন যে কবিতা আবৃত্তির জিনিশ নয়, তা নিভৃত পাঠের বিষয়। একান্ত আস্বাদনই কবিতার চূড়ান্ত লক্ষ্য। উপরের বক্তব্যটির সাথে আমার দ্বিমত রয়েছে। কবিতা একই সাথে নিভৃত আস্বাদন ও উচ্চারনের। একটি কবিতা উচ্চারনের মধ্য দিয়ে, আবৃত্তির মধ্য দিয়ে তার আবেগ, অভিব্যক্তি ও অন্তর্নিহিত ভাবের প্রকাশ ঘটায় এবং তা খুব সহজেই শ্রোতার হৃদয়ে স্থান লাভ করে। তবে এক্ষেত্রে একটি বিপদও আছে— যদি কবিতার সঠিক আবেগ, অভিব্যক্তি আবৃত্তিকার চিহ্নিত করতে না পারেন তবে শ্রোতার কাছে কবিতাটির মৃত্যু হতে পারে। কবিতার আবৃত্তি প্রসারিত করে কবিতার সীমানা। কবিতার পাঠক নয়, এমন অনেকেই আবৃত্তির মাধ্যমে গ্রহন করতে পারেন কবিতার ঘ্রান। কবিতার বই-এর মতো ক্যাসেট-গ্রন্থ প্রকাশিত হতে পারে কবির নিজের কন্ঠের আবৃত্তি নিয়ে অথবা আবৃত্তিকারের কন্ঠে

ভিডিও, টিভি, সিনেমা ও ক্যাসেট আমাদের পাঠাভ্যাসের মূলে কুঠারাঘাত করেছে। উন্নত প্রযুক্তির দেশে শিক্ষা ক্ষেত্রেও পাঠ-এর পরিমান কমে এসেছে। আক্ষেপ না-কোরে দ্যাখাই যাক না— নোতুন মাধ্যমগুলোকে কতোখানি ব্যবহার করা যায় কবিতার পক্ষে। কবিতা তো এক সময় গীত হয়েছে। কবিতা— সাহিত্যের সুপ্রাচীন এই মাধ্যমটি একা একাই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আজও অম্লান। নোতুন প্রযুক্তির সমাজেও সে তার স্থান স্থির কোরে নিয়েছে। আবৃত্তি তার জন্যে নোতুন কিছু নয়। তবে আবৃত্তিকারকে অবশ্যই সঠিক ভাবে কবিতাটির ভেতর বাহির চিহ্নিত করতে হবে। চিনতে হবে ভাবের অলিগলি রাজপথ। কবিতার উচ্চারনে মুখরিত হোক চারিপাশ।

২৭ জোষ্টি ১৩৯৫

সকল অধ্যায়

১. মৌলিক মুখোশ (১৯৯০)
২. রচনাকাল : ১৯৭৪
৩. এক গ্লাস অন্ধকার (১৯৯২)
৪. উপদ্রুত উপকূল (১৯৭৯)
৫. ফিরে চাই স্বর্নগ্রাম (১৯৮১)
৬. মানুষের মানচিত্র (১৯৮৪)
৭. ছোবল (১৯৮৬)
৮. গল্প (১৯৮৭)
৯. দিয়েছিলে সকল আকাশ (১৯৮৮)
১০. আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে
১১. দিন গ্যালো দিন গ্যালো রে
১২. আমরা পাড়ি দেবো
১৩. ছিঁড়িতে না পারি দড়াদড়ি
১৪. ঢোলক বাজাও দোতারা বাজাও
১৫. মাঠে কিষান সুর তুলেছে
১৬. শৃংখল মুক্তির জন্যে কবিতা আজ
১৭. নূর হোসেনের রক্তে লেখা
১৮. ভাঙাচোরা মন, বল
১৯. যদি চোখে আর চোখ রাখা না-ই হয়
২০. ইতর
২১. সোনালি শিশির
২২. উপন্যাসের খসড়া
২৩. নিজস্ব লড়াই
২৪. নিসঙ্গতা
২৫. কৃষ্ণচুড়ার মৃতদেহে একখানি রঙিন ইনভেলাপ
২৬. যেখানে নরকে গোলাপ
২৭. সিগারেট এবং কতিপয় ব্যক্তিগত স্কেচ
২৮. শিরোনামহীন (অসম্পূর্ণ গল্প)
২৯. চলচ্চিত্র কাহিনী
৩০. চিত্রনাট্য
৩১. সম্পাদকীয়-১
৩২. সম্পাদকীয়-২ : উপলিকা সম্পর্কিত উপস্থাপনা
৩৩. সম্পাদকীয়-৩ : প্রবেশক
৩৪. এক দশকের কবিতা
৩৫. সাহিত্যচিন্তা
৩৬. নব্য জসীমিজম ও বহমান লোককাব্যধারা
৩৭. প্রতিক্রিয়া
৩৮. জাতীয় কবিতা পরিষদের ভূমিকা
৩৯. ভিন্নস্বর অন্যমত
৪০. বাংলাদেশের কবিতা সংকলন প্রসঙ্গে
৪১. কাফের লেখকদের সম্পর্কে
৪২. অগ্রদূত ক্রীড়া চক্র : ঘোষনাপত্র
৪৩. অন্যান্য গদ্য
৪৪. উপদ্রুত উপকূল গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে স্বাগত ভাষন
৪৫. নবীন বরন উপলক্ষে
৪৬. শুভেচ্ছা বক্তব্য
৪৭. সাক্ষাৎকার-১
৪৮. সাক্ষাৎকার-২
৪৯. সাক্ষাৎকার-৩
৫০. সাক্ষাৎকার-৪
৫১. সাক্ষাৎকার-৫
৫২. সাক্ষাৎকার-৬
৫৩. সাক্ষাৎকার-৭
৫৪. সাক্ষাৎকার-৮
৫৫. পত্র-০১
৫৬. পত্র-০২
৫৭. পত্র-০৩
৫৮. পত্র-০৪
৫৯. পত্র-০৫
৬০. পত্র-০৬
৬১. পত্র-০৭
৬২. পত্র-০৮
৬৩. পত্ৰ-০৯
৬৪. পত্র-১০
৬৫. পত্র-১১
৬৬. পত্র-১২
৬৭. পত্র-১৩
৬৮. পত্র-১৪
৬৯. পত্র-১৫
৭০. পত্র-১৬
৭১. পত্ৰ-১৭
৭২. প্রস্তুতি পর্বের রচনা (কবিতা)
৭৩. প্রস্তুতি পর্বের রচনা (গল্প)
৭৪. প্রস্তুতি পর্বের রচনা (গদ্য)
৭৫. রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ : জীবনপঞ্জি
৭৬. রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ : গ্রন্থপঞ্জি
৭৭. গ্রন্থ ও রচনাপরিচয়
৭৮. রুদ্র বিষয়ক রচনাপঞ্জি
৭৯. প্রস্তুতি পর্বের রচনা (নাটিকা)
৮০. খুটিনাটি খুনশুটি ও অন্যান্য কবিতা (১৯৯১)

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন