স্রুবাদর্বী পাত্র নির্মাণ

কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস

।। স্রুবাদর্বী পাত্র নির্মাণ।।

এই অধ্যায়ে সুব, দবী প্রভৃতি পাত্র নির্মাণ এবং নির্মাতার বর্ণন করা হয়েছে।

শ্রীপনী শিশপা ক্ষীরী বিল্ব খদির এব চ। ব্রুবে প্রশস্তাস্তরবঃ সিদ্ধিদা যাগকর্মনি।।১।। প্রতিষ্ঠায়াং প্রশস্তাস্ত ধাত্রীখদিরকেশরাঃ। সংস্কারে শশিভিনৌ চ ধাত্রী ধাত্রে বিনিমিতা।। ২।। সংপ্রাশে যস্রুবঃ প্রোক্তঃ সংস্কারে যজ্ঞসাধনে। প্রতিষ্ঠায়াং ত কথিতাস্তদন্যে শাস্ত্রবেদিভিঃ।।৩।। সুবং সূচমলো বক্ষে যদধীনশ্চ জায়তে। যজ্ঞেন সর্বকং ধার্যমক্ষরেন চ ব্যত্যয়ঃ।।।। তস্যাদৌ চ প্রুবং বক্ষে যচ্চমানং দাস্পদম্। কাষ্ঠং গৃহিত্বা বিল্বস্য রিক্তাদিতিথিবর্জিতে।।৫।। সমুপোষ্য চ রচয়েদামিষাণি ন চ স্মরেৎ বর্জয়েদগ্রাম্যধর্মং চ ণিমানে স্রুবং অবস্য বৈ।।৬।।

 সুতজী বললেন, ‘ধ্রুব’ নির্মাণের জন্য শ্রীপর্ণী, শিংশপা, ক্ষীরী, বিল্ব খদির কাষ্ট প্রশস্ত। কারণ এই সকল কাষ্ঠ যজ্ঞ কর্মে সিদ্ধি প্রদানকারী।।১।।

প্রতিষ্ঠাকর্মে ধাত্রী, খদির এবং কেশর বৃক্ষ প্রশস্ত। সংস্কার কর্মে শশি বা ধাত্রী এবং ধাত্রা কাষ্ঠের দ্বারা নির্মাণ করতে হবে।।২।।

শাস্ত্রবেত্তাগণ বলেন, সংপ্রাশে ব্যবহৃত দ্রুব অন্য সংস্কার, যজ্ঞসাধন এবং প্রতিষ্ঠাতেও ব্যবহৃত হয়।।৩।।

ধ্রুবা প্রতিষ্ঠাকার্যে, সম্প্রাশম তথা সংস্কারকর্ম এবং যজ্ঞাদি কর্মে ব্যবহৃত হয়।।৪।।

সর্বাগ্রে সুব সম্পর্কে বলবো যে সেটির কিরূপ মান এবং কি প্রকার আস্বাদ হওয়া উচিৎ। রিক্তা তিথি ব্যতীত দিনে বিশ্বকাষ্ঠ গ্রহণপূর্বক ঐদিন উপবাস করে রচনা করবে এবং ঐ সময় আমিষ বর্জন করবে। সুব নির্মাণ কার্যের সময় গ্রাম্য ধর্ম বর্জন করতে হবে।।৫-৬।।

কাষ্ঠং গৃহীত্বা বিভজেদভংগাংস্ত্রিংশত্তথা পুনঃ। বিংশত্যংগুলমানং তু কুড়েদিসমোদরম্।।৭।। কটাহাকারনিন্মং চ স্রবং কুর্যাদ বিচক্ষণঃ। ধাত্রীফল সমাকারং স্বাধানিন্মং সুশোভনম্।।৮।। বেদীং শূপাকৃতিং কুর্যাৎ কুন্ডানি পরিকল্পয়েৎ। হংসবত্রিগুণা বাপি হস্তেনাহনুমুখং লিখেৎ।।৯।। সুবং চতুর্বিংশতিভির্ভাগৈশ্চ রচয়েদ প্রবম্। দ্বিত্রিংশ স্যাৎ কুন্ডমানমজৈবৈ তস্য কীতিতম।।১০।। চতুভিরংগৈ রনাহং কর্ষাদগ্ৰং ততঃ সুবম্। অংগদ্বয়েন বিলিখেৎ পংকে মৃগমদাকৃতিম্।।১১।। দন্ডমূলাশ্রয়ে দন্ডী ভবেৎ কংকনভূষিতঃ। সৌবনস্য চ তাম্রস্য কাৰ্যা দবী প্রমানতঃ।।১২।।

কাষ্ঠ গ্রহণ পূর্বক তাকে ত্রিশ ভাগে বিভাজন করতে হবে। বিংশ অঙ্গুলী পরিমাণ কুন্ড বেদী সমোদর করতে হবে।।৭।।

কটাহের আকৃতি বিশিষ্ট নিম্নভাগ যুক্ত বিচক্ষণ ব্যক্তির দ্বারা করা উচিৎ। ধাত্রী ফলের সমান নিম্নভাগ সুশোভন রূপে নির্মাণ করবে।।৮।।

যজ্ঞবেদী শূপের ন্যায় নির্মাণ করে কুন্ড তৈরী করতে হবে। হংসের ন্যায় ত্রিগুণাহস্তের দ্বারা অনুমুখ লেখনী তৈরী করতে হবে।।৯।।

চতুর্বিংশভাগের দ্বারা অবশ্যই সুবা রচনা করবে। তাকে অদৈবে দ্বাত্রিংশ কুন্ডরূপে স্বীকার করা হয়।।।১০।।

চার অঙ্কের দ্বারা আনাহ এবং পুনরায় মৃগমদের ন্যায় ‘সুব’ প্রস্তুত করা উচিৎ।।১১।।

দন্ডমূলাশ্রয়ী কঙ্কনভূমিতে দন্ডী হওয়া উচিৎ। সুবর্ণ অথবা তাম্র নির্মিত প্রমাণদবী নির্মাণ করা উচিৎ।।১২।।

শ্রৈবনিকোদ ভবং যচ্চ ইন্দ্ৰবৃক্ষ সমুদ ভবম্। ক্ষীরবৃক্ষ সমুদ্র ভূতং দ্বাদসশাংগুল সম্মিতম্।।১৩।। দ্বয়ং গুলং মন্ডলং তস্য দবীং সা যজ্ঞসাধনে। চত্বারিংশত্তোলিকাভিরিতি তাম্রময়স্য চ।।১৪।। পঞ্চাগুলং মন্ডলং চ অষ্টহস্তং চ দন্ডকম্। অত্রাদিপায়সবিধৌ দবীং যজ্ঞস্য সাধনে।।১৫।। দশতৌলকমানেন সা চ দী উদাহৃতা। আজ্যসংশোধনাথং তু সা তু তাম্রময়স্য চ।। ১৬।। ষোড়শাং গুলমানেন সর্বভাবে চ পৈপ্পলীম্‌। আজ্যস্থালীং ঘৃতময়ীং মৃন্ময়ীং চ সমাশ্রয়ে‍।।১৭।। অথ তাম্রময়ী কাযা ন চ যাং তত্র যোজয়েৎ।।১৮।।

কোদ্ভব শ্রৌবর্ণি বা ইক্ষুবৃক্ষ থেকে উৎপন্ন শ্রৌবর্ণি তথা ক্ষীরীজাতীয় বৃক্ষ থেকে উৎপন্ন শ্রৌবর্ণি দ্বাদশ অঙ্গুলী পরিমাণ হওয়া উচিৎ।।১৩।।

দুই অঙ্গুলী মন্ডল বিশিষ্ট দর্বী যজ্ঞসাধনরূপে ব্যবহৃত হয়। এটি চল্লিশ তোলা তাম্রের দ্বারা নির্মিত।।১৪।।

পঞ্চাঙ্গুলী মন্ডল এবং আট হাত দন্ডক বিশিষ্ট দবী অনাদিপায়সবিধিতে যজ্ঞসাধনে ব্যবহৃত হয়। সেই দবী দশ তোলক পরিমাণ হবে। তাম্ৰময় এই দবী আজ্য শোধনে ব্যবহৃত হয়।।১৫-১৬।।

এই সবের অভাবে ষোড়শাঙ্গুলী বিশিষ্ট কাষ্ঠের আজ্যস্থালীকে ঘৃতময়ী এবং মৃন্ময়ী সমাশ্রয় করতে হয়।। ১৭।।

এরপর তাম্রময় পাত্র করতে হয় এবং সেটি সেখানে সংযোজন করা উচিৎ নয়।।১৮।।

সকল অধ্যায়

১. কথা প্রস্তাবনা
২. সৃষ্টি বর্ণন
৩. সর্বসংস্কার বর্ণন
৪. সাবিত্রী মাহাত্ম্য
৫. স্ত্রী শুভাশুভ লক্ষণ
৬. তৃতীয়া কল্প বিধি বর্ণন
৭. চতুর্থী কল্প বর্ণন
৮. পঞ্চমী কল্পে নাগপঞ্চমী ব্ৰত বৰ্ণন
৯. ধাতুগত বিষ লক্ষণ সমূহ
১০. ষষ্ঠীকল্পে কাৰ্ত্তিক ষষ্ঠীতে স্কন্দ পূজা
১১. ষষ্ঠীকল্পে ব্রাহ্মণ্য বিবেক বর্ণন
১২. সপ্তমী কল্প ব্ৰত বৰ্ণন
১৩. সপ্তমী কল্প বর্ণনে কৃষ্ণ-সাম্ব সংবাদ
১৪. আদিত্য নিত্যারাধনবিধি বর্ণন
১৫. রথ সপ্তমী মাহাত্ম্য বর্ণন
১৬. সূর্যযোগ মাহাত্ম্য বর্ণন
১৭. সূর্যের বিরাট রূপ বর্ণন
১৮. আদিত্যবার মাহাত্ম্য বর্ণন
১৯. সৌরধর্ম মাহাত্ম্য বর্ণন
২০. ব্রহ্মকৃত সূর্যস্তুতি বর্ণন
২১. বিবাহ বিধি বর্ণন
২২. স্ত্রীগণের গৃহধর্ম বর্ণন
২৩. স্ত্রীধর্ম বর্ণন
২৪. ধর্ম স্বরূপ বর্ণন
২৫. ব্রহ্মাণ্ডোৎপত্তি বিস্তার বর্ণন
২৬. পুরাণ ইতিহাস শ্রবণ মাহাত্ম্য
২৭. পূর্তকর্ম তথা বৃক্ষ রোপণ
২৮. বিবিধ বিধিকুণ্ড নির্ণয়
২৯. হোমাবসানে ষোড়শোপচার বর্ণন
৩০. যজ্ঞ ভেদে বহ্নিনাম বর্ণন
৩১. স্রুবাদর্বী পাত্র নির্মাণ
৩২. ব্রাহ্মণ লক্ষণ তথা ব্রাহ্মণ কর্তব্য বর্ণন
৩৩. গুরুজন মাহাত্ম্য বর্ণন
৩৪. আহুতি হোম সংখ্যা বর্ণন
৩৫. কুন্ড সংস্কার বর্ণন
৩৬. বিবিধ মন্ডল নিৰ্মাণ বৰ্ণন
৩৭. সুদর্শনান্ত নরপতি রাজ্যকাল বৃত্তান্ত
৩৮. ত্রেতাযুগীয়ভূপ বৃত্তান্ত বর্ণন
৩৯. দ্বাপরযুগীয় ভূপ বৃত্তান্ত বর্ণন
৪০. ম্লেচ্ছযজ্ঞ বৃত্তান্ত তথা কলিকৃত বিষ্ণু স্তুতি বর্ণন
৪১. ম্লেচ্ছবংশ বর্ণন
৪২. আর্যাবর্তে ম্লেচ্ছগণের আগমন
৪৩. কলিঞ্জর অজমেরপুরাদি বর্ণন
৪৪. পদ্মাবতী কথা বর্ণন
৪৫. মধুমতী বরনির্ণয় কথা বর্ণন
৪৬. সত্যনারায়ণ কথা বর্ণন
৪৭. সত্যনারায়ণ ব্রতে চন্দ্রচূড় নৃপকথা বর্ণন
৪৮. সত্যনারায়ণ ব্ৰতে ভিন্ন কথা বর্ণন
৪৯. শতানন্দ ব্রাহ্মণ কথা বর্ণন
৫০. সাধু বণিক কথা বর্ণন
৫১. সাধু বণিক কারাগার মুক্তি
৫২. পাণিনি মহর্ষি বৃত্তান্ত বর্ণন
৫৩. তোতাদরীস্থ বোপদেব বৃত্তান্ত বর্ণন
৫৪. পতঞ্জলি বৃত্তান্ত বর্ণন
৫৫. জায়মান ঐতিহাসিক বৃত্তান্ত বর্ণন
৫৬. ভরতখন্ডের অষ্টাদশ রাজ্যস্থান বর্ণন
৫৭. শালিবাহন বংশীয় নৃপতি বৰ্ণন
৫৮. ভোজরাজ বংশের অনেক ভূপাল রাজ্য বর্ণন
৫৯. জয়চন্দ্র তথা পৃথ্বীরাজের উৎপত্তি
৬০. সংযোগিনী স্বয়ম্বর বর্ণন
৬১. ইন্দ্রের ঘোটকীদান
৬২. কৃষ্ণাংশ চরিত্র বর্ণন
৬৩. মহীরাজ পরাজয়াদি বৃত্তান্ত বর্ণন
৬৪. কৃষ্ণাংশের কাছে রাজগণের আগমন
৬৫. পৃথ্বীরাজ দ্বারা গুর্জর রাজ্য গ্রহণ
৬৬. জয়ন্তাবতারবৃত্তান্ত বর্ণন
৬৭. চন্ডিকা দেবী বাক্য বর্ণন
৬৮. বলখানি বিবাহ বৃত্তান্তবর্ণন
৬৯. ব্রাহ্মণদের বিবাহ বৃত্তান্ত
৭০. হংসপদ্মিনী বর্ণন
৭১. ইন্দুল পদ্মিনীর বিবাহ
৭২. চন্দ্র ভট্টের ভাষা গ্ৰন্থ
৭৩. মহাবতীর যুদ্ধ বর্ণন
৭৪. কৃষ্ণাংশের – শোভা সংবাদ
৭৫. সমস্ত নৃপের সংগ্রাম এবং নাশ
৭৬. ব্যাস দ্বারা ভবিষ্য কথন
৭৭. অজমের তোমর নরেশ কর্ম বর্ণন
৭৮. শুক্ল বংশ চরিত্র
৭৯. পরিহর ভূপ বংশ বর্ণন
৮০. ভগবতারাদিবৃত্তান্ত
৮১. দিল্লীর ম্লেচ্ছ রাজা
৮২. চৈতন্য এবং শংকরাচার্য্য উৎপত্তি
৮৩. রামানুজোৎপত্তিবর্ণন
৮৪. কবীর – নরশ্রী – পীপা – নানক-বৃত্তান্ত
৮৫. চৈতন্য বর্ণনে জগন্নাথ মাহাত্ম্য
৮৬. আকবর বাদশাহ বৰ্ণন
৮৭. কিল্কিলার শাসক বর্ণন
৮৮. মঙ্গলাচরণ
৮৯. ব্রহ্মান্ড উৎপত্তি এবং বর্ণন
৯০. সাংসারিক জীবনের দোষ
৯১. অনন্তচতুর্দশী ব্রত মাহাত্ম্য
৯২. অধর্ম ও পাপের ভেদ
৯৩. শুভাশুভ গতি ও যমযাতনা
৯৪. শকট ব্রত মাহাত্ম্য
৯৫. তিলক ব্রত মাহাত্ম্য
৯৬. অশোক ব্রত মাহাত্ম্য
৯৭. বৃহৎ তপো ব্রত মাহাত্ম্য
৯৮. যমদ্বিতীয়া ব্রত মাহাত্ম্য
৯৯. অশূন্যশয়ন ব্রত মাহাত্ম্য
১০০. গোষ্পদ তৃতীয় ব্রত মাহাত্ম্য
১০১. হরিতালী তৃতীয়া ব্ৰত মাহাত্ম্য
১০২. ললিতা তৃতীয়া ব্রত মাহাত্ম্য
১০৩. অক্ষয় তৃতীয়া ব্রত মাহাত্ম্য
১০৪. বিনায়ক চতুর্থী ব্রত মাহাত্ম্য ও বিধান
১০৫. গ্রন্থ পরিচয় ও সমাপ্তি

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন