ব্যাস দ্বারা ভবিষ্য কথন

কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস

এবং দ্বাপরসন্ধ্যায়া অন্তে সূতেন বর্ণিতম্।। সূর্যচন্দ্ৰান্বযাখ্যানং তন্ময়া কথিতং তব।।১।। বিশালায়াং পুনগত্বা বৈতালেন বিনির্মিতম্। কথয়িষ্যতি সুতস্তমিতিহাস সমুচ্চয়ম্।।২।। তন্ময়া কথিতং সর্বং হৃষিকোত্তমপুণ্যদম্। পুনবিক্রমভূপেন ভবিষ্যতি সমাহুয়ঃ।।৩।।

।। ব্যাস দ্বারা ভবিষ্য কথন।।

এই অধ্যায়ে মহর্ষি ব্যাস দ্বারা নিজ মনকে উদ্দেশ্য করে ভবিষ্য কথা বর্ণনা করা হয়েছে। শ্রী মহর্ষি বেদব্যাস বললেন–দ্বাপরের সন্ধ্যা অন্ত হলে সূতের দ্বারা বর্ণন করা সূর্যবংশের এবং চন্দ্র বংশের আখ্যান আমি বলছি।। ১।।

বিশালা নগরীতে সূত গিয়ে বেতাল দ্বারা বিনির্মিত সেই ইতিহাস সমুচ্চয় করতে।। ২।।

আমি বিষয়েন্দ্রিয়ের উত্তম পূণ্য প্রদানকারী সকল বৃত্তান্ত বলেছি তা রাজা বিক্রমের নামে বিস্তার লাভ করবে।। ৩।।

নৈমিষারণ্যমাসাদ্য শ্রাবয়িষ্যতি বৈ কথাম্। পুনরুক্তানি যান্যেব পুরাণাষ্টাদশানি বৈ।।৪।। তানি চোপপুরাণানি ভবিষ্যন্তি কলৌ যুগে। তেষাং চোপপুরাণানাং দ্বাদশধ্যায়মুত্তমম্।। ৫।। সারভূতশ্চ কথিতো ইতিহাসসমুচ্চয়ঃ। যস্তে ময়া চ কথিতো হৃষীকোত্তম তে মুদা।।৬।। বিক্রমাখ্যানকালান্তেহবতারঃ কলয়া হবেঃ। স চ শক্ত্যাবতারো হি রাধাকৃষ্ণস্য ভূতলেঃ।।৭।। তৎকথাং ভগবান্সতো নৈমিষারণ্যমাস্থিতঃ। অষ্টাশীতিসহস্রানি শ্রাবয়িষ্যতি বৈ মুনীন্।।৮।। যওন্ময়া চ কথিতং হৃষীকোত্তম তে মুদা। পুনস্তে শৌনকাদ্যাশ্চ কৃত্বা স্নানাদিকাঃ ক্রিয়াঃ।।৯।। সূতপার্শ্বং গমিষ্যন্তি নৈমিষারণ্যবাসিনঃ। তপ্তষ্টেনৈব সূতেন যদুক্তং তণুম্ব ভোঃ।।১০।।

নৈমিষারণ্যে গিয়ে সেই কথা অবশ্য শ্রবণ করাব। অষ্টাদশ পুরাণ পুনরায় বলব। এই কলিযুগে উপপুরাণ হবে সেই উপপুরাণ দ্বাদশ অধ্যায় উত্তম।। ৪-৫।।

ইতিহাসের সমুচ্চয়সার ভূত যা আমি তোমাকে বলেছি। তোমার আনন্দের জন্য ইন্দ্রিয় সকলের পক্ষে সর্বোত্তম।।৬।।

বিক্রমাখ্যান কাল অন্তে শ্রী বিষ্ণু কলাবতার এই ভূতলে রাধাকৃষ্ণের শক্তাবতার। সেই কথা ভগবান সূত নৈমিষারণ্যে স্থিত হয়ে অষ্টাদশী হাজার শৌনাদি মুনিগণকে শোনাব।। ৭-৮।।

যা কিছু আমি তোমাকে বলো তোমার সুখের জন্য, হে হৃষীকোত্তম পুনরায় তা শৌনকাদি মুনি সেখানে স্নানাদি ক্রিয়া করে সেই নৈমিষারন্য বাসী লোকগণ সূতজীর কাছে শ্রবণ করতে যাবে। হে শৌণকাদি মুনিগণ, সূতজীকে যা জিজ্ঞাসা করেছিলেন তা শ্রবণ করুন।।৯-১০।।

শ্রুতং কৃষ্ণস্য চরিতং ভগবন্বতোদিতম্। ইদানীং শ্রোতুমিচ্ছামি রাজ্ঞাং তেষাং ক্রমাৎকুলম্।।১১।। চতুর্ণাং বহ্নিজাতানাং পরং কৌতূহলং হি নঃ। স হরিস্ত্রিযুগীপ্রোক্তঃ কথং জাতঃ কলৌ যুগে।।১২।। কথয়ামি মুনিশ্রেষ্ঠা যুষ্মাকং প্রশ্নমুত্তমম্। অগ্নিবংশ নৃপানাং চ চরিত্রং শৃণু বিস্তরাৎ।।১৩।। প্রমরশ্চ মহীপালো দক্ষিণাং দিশমাস্থিতঃ। অম্বয়া রচিতাং দিব্যাং প্রমরায় পুরীং শুভাম্।।১৪।। নিবাসং কৃতবান্নাজা সামবেদপরো বলী। ষড়বর্ষাণি কৃতং রাজ্যং তস্মজ্জাতো মহামরঃ।।১৫।। ত্রিবর্ষং চ কৃতং রাজ্যং দেবাপিস্তনয়োহ ভবৎ। পিতুস্তল্যং কৃতং রাজ্যং দেবদূতস্ততোহ ভবৎ।। পিতুস্তল্যং কৃতং রাজ্যং শৃণু তৎকারণং মুনে।।১৬।।

ঋষিগণ বলেছিলেন–হে ভগবান্, আপনার বর্ণিত কৃষ্ণচরিত্র আমরা শ্রবণ করেছি। এখন আমরা সেই রাজগনের কুলকথা ক্রমান্বয়ে শ্রবণ করতে চাই। অগ্নিবংশের সেই রাজ কথা শ্রবণ করান। শ্রীহরি নিজেকে ত্রিযুগী বলেছেন, কিন্তু কলিযুগে তিনি কি ভাবে উৎপন্ন হলেন তা বর্ণনা করুন।। ১১-১২।।

সূতজী বললেন–হে মুনি শ্রেষ্ঠ, আপনাদের এই প্রশ্ন অতি উত্তম। আমি তা বলছি আপনারা অগ্নিবংশের রাজাদের চরিত্র শ্রবণ করুন।। ১৩।।

প্রমর নামক এক রাজা দক্ষিণ দিকে ছিলেন। অম্বা দ্বারা নির্মিত একশুভ ও দিব্যপুরী প্রমর প্রাপ্ত হন। সেখানে বলবান ও সামদেব পরায়ণ সেই রাজা নিবাস করতেন। সেই রাজা ছয়বর্ষ পর্যন্ত রাজ্য শাসন কররে তার পুত্র মহামর জন্ম গ্রহণ করেন।। তিনি তিনবর্ষ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। তার পুত্র দেবাপি পিতৃতুল্য রাজ্য পালন করেন। তার পুত্র দেবদূতও পিতার ন্যায় রাজত্ব করেন। হে মুণি, তৎকারন শ্রবণ করুন।। ১৪-১৬।।

অশোকে নিহতে তস্মিম্বৌদ্ধভূপে মহাবলে। কলিভাস্করমারাধ্য তপসা ধ্যানতৎপরঃ।।১৭।। পঞ্চবর্ষান্তরে সূর্যস্তস্মৈ চ কলয়ে মুদা। শকাখ্যং নাম পুরুষং দদৌ তদ্ভক্তিতোষিতঃ।।১৮। তদা প্রসন্নঃ স কলিঃ শকায় চ মহাত্মনে। তৈত্তিরং নগরং প্রেন্না দদৌ হৰ্ষিতমানসঃ।।১৯।। তত্র গোপান্দস্যুগণান্বশীকৃত্য মহাবলী। আর্যদেশবিনাশায় কৃত্বোদ্যোগ পুনঃ পুনঃ। হতবাস্তুপতীন্বাণৈস্তস্মাত্তে স্বল্পজীবিনঃ।।২০।। গন্ধর্বসেনশ্চ নৃপো দেবদূতাত্মজো বলী। শতাদ্ধাব্দং পদং কৃত্বা তপসে পুরোগতঃ।।২১।। শিবাজ্ঞয়া চ নৃপতিবিক্রমস্তনয়স্ততঃ। শতবর্ষং কৃতং রাজ্যং দেবভক্তস্ততোহ ভবৎ। দশবর্ষং কৃতং রাজ্যং শকৈদু ষ্টৈলয়ং গতঃ।।২২।।

মহান বলবান্ বৌদ্ধিক মহারাজ অশোক মারা গেলে কলি ভগবান্ ভাস্করের আরাধনা করে তপদ্বারা তিনি ধ্যান তৎপর হলেন।। ১৭।।

পঞ্চবৎসর পরে ভগবান ভাস্কর প্রসন্ন হয়ে তার ভক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে শকাখ্য নামক এক পুরুষকে দিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি প্রসন্ন চিত্তে হর্ষিত হয়ে শককে তৈত্তির নগর প্রদান করলেন।। ১৮-১৯।

সেখানে সেই বলবান্ গোপদস্যুর্গকে স্ববশে নিয়ে এসে আর্যদেশ বিনাশের জন্য বার বার চেষ্টা করতে লাগলেন এবং নৃপতিগণকে বাণের দ্বারা হত্যা করতে লাগলেন। এই কারণে তারা স্বল্প জীবি হয়েছিলেন।।২০।।

দেবদূত পুত্র বলবান্ গন্ধর্ব সেন রাজা পঞ্চাশ বর্ষ পর্যন্ত রাজ্য উপভোগ করে তপস্যা করতে আগত হলেন।। ২১।।

ভগবান্ শিবের আদেশে রাজা বিক্রম তার পুত্র ছিলেন। তিনি শতবর্ষ রাজত্ব করেন। তার পুত্র দেবভক্ত দশবর্ষ রাজত্ব করেন এবং দুষ্ট শকগণের দ্বারা লয় প্রাপ্ত হন।। ২২।।

শালিবাহন এবাপি দেবভক্তস্য চাত্মজঃ। জিত্বা শকান্সষষ্টয়শব্দং রাজ্যং কৃত্বা দিবং গতঃ।।২৩। শালিহোত্রস্তস্য সুতো রাজ্যং কৃত্বা শতাৰ্দ্ধকম্। স্বর্গলোকং ততঃ প্রাপ্যস্তৎসুতঃ শালিবৰ্দ্ধনঃ।।২৪।। পিতুস্তল্যং কৃতং রাজ্যং শকহন্তা ততোহ ভবৎ। পিতুস্তল্যং কৃতং রাজ্যং হবিহোত্রস্ততোহ ভবৎ।।২৫। পিতুস্তল্যং কৃতং রাজ্যং সুহোত্রস্তনয়োহ ভবৎ। পিতুস্তল্যং কৃতং রাজ্যমিন্ত্রপালস্ততোহ ভবৎ।।২৬।। পুরীমিন্দ্রাবতীং কৃতং তত্র রাজ্যমকারয়ৎ। পিতুস্তল্যং কৃতং রাজ্যং মাল্যবান্নামতৎসুতঃ। পুরীং মাল্যবতীং কৃত্বা পিতুস্তল্যং কৃতং পদম্।।২৭।। অনাবৃষ্টিস্ততশ্চাসীন্মহতী চতুরব্দিকা। ততঃ ক্ষুধাতুরো রাজা শ্চবিষ্টাধান্য গর্হিতম্।।২৮।। সংস্কৃত্য মন্দিরে রাজা শালগ্ৰামায় চাপয়ৎ। তদা প্রসন্নো ভগবান্বচনং নভসেরিতম্।।২৯।।

শালিবাহন দেব ভক্তের পুত্র ছিলেন। তিনি শকদের জয় করে ষাটবর্ষ পর্যন্ত রাজ্য শাসন করে স্বর্গবাসী হন।। তাঁর পুত্র শালিহোত্র ৫০ বছর রাজত্ব করেন। পুত্র শালিবর্দ্ধন পিতৃতুল্য রাজ্য পালন করেন। তারপর শকহন্তা পিতৃতুল্য রাজ্য পালন করেন। এরপর সুহোত্র ও হবির্হোদ পিতার সমান রাজ্য সুখ উপভোগ করেন। রাজা হবিহোদের পুত্র ইন্দ্রপাল ইন্দ্রাবতী নামক এক পরম রম্য পুরী নির্মাণ করে রাজ্য শাসন করেন। তিনিও পিতৃতুল্য রাজ্য পালন করেন। তাঁর পুত্র মাল্যবান্ মাল্যবতী পুরী নির্মাণ করে পিতার তুল্য রাজ্যপদ উপভোগ করেন।। ২৩-২৭।।

সেই সময় চার বৎসর ধরে প্রচন্ড অনাবৃষ্টি হয়েছিল। তখন রাজা অত্যন্ত ক্ষুধার্ত হন। সেই সময় রাজা শ্ববিষ্ঠা থেকে গর্হিত ধান্যসংস্কার করে মন্দিরে শালগ্রামকে সমর্পিত করলেন। তাতে করে ভগবান প্ৰসন্ন হয়ে আকাশবানীর দ্বারা তাঁকে বর দিয়ে বলেছিলেন হে শ্রেষ্ঠ ভূপ, তোমার কুলে যতজন রাজা হবেন তারা কখনও অনাবৃষ্টিতে কষ্ট পাবে না।। ২৮-৩০ ।। 

কৃত্বা দদৌ বরং তস্মৈ শৃণু তন্মুনিসত্তম। কুলে যাবনৃপা ভাব্যাস্তব ভূপতিসত্তম। অনাবৃষ্টির্ন ভবিতা তাবত্তে রাষ্ট্র উত্তমে।।৩০।। সুতো মাল্যবতশ্চাসীচ্ছং ভুদত্তো হরপ্রিয়ঃ। পিতুস্তল্যং কৃতং রাজ্যং ভৌমরাজস্ততোহ ভবৎ।।৩১ পিতুস্তল্যং কৃতং রাজ্যং বৎসরাজস্ততোহ ভবৎ। পিতুস্তল্যং কৃতং রাজ্যং ভোজরাজস্ততোহ ভবৎ।।৩২ পিতুস্তল্যং কৃতং রাজ্যং শম্ভুদওস্ততোহ ভবৎ। দশহীনং কৃতং রাজ্যং ভোজরাজপিতু সমম্।।৩৩।। শম্ভুদত্তস্য তনয়ো বিন্দপালস্ততোহ ভবৎ। বিন্দুখন্ডং চ রাষ্ট্রং বৈ কৃত্বা স সুখিতোহ ভবৎ। তেন রাজ্যং পিতুস্তল্যং কৃতং বেদবিদা মুনে।।৩৪।। বিন্দুপালস্য তনয়ো রাজপালস্ততোহ ভবৎ। পিতুস্তল্যং কৃতং রাজ্যং তস্মাজ্জাতো মহীনরঃ।।৩৫।।

রাজা মাল্যবানের বংশধরগণ হলেন শিবপ্রিয় শম্ভুদত্ত, ভৌমরাজ বৎসরাজ ভোজরাজ। এঁরা সকলে পিতৃতুল্য রাজ্য পালন করেন। ভোজরাজের পুত্র পিতার থেকে দশবর্ষ কম রাজত্ব করেন।। ৩১-৩৩।।

শম্ভুদত্ত পুত্র বিন্দুপাল বিন্দুখন্ড রাষ্ট্র নির্মাণ করেন। তিনি বেদজ্ঞাতা ছিলেন এবং পিতার ন্যায় রাজ্য পালন করেন।। ৩৪।।

বিন্দুপাল পুত্র রাজপাল এবং রাবর্তী রাজগণ হলেন মহীনর সোমশর্মা কামবর্মা এঁরা সকলে পিতৃতুল্য রাজ্য পালন করেন। কামবর্মা পুত্র ভূমিপাল ভুসর খনন করে এক অতিরমনীয় পুর নির্মাণ করেন।। ৩৫-৩৭।।

পিতুস্তল্যং কৃতং রজ্যং সোমবর্মা নৃপোহ ভবৎ। পিতুস্তল্যং কৃতং রাজ্যং কার্যবর্মা সুতোহ ভবৎ।।৩৬। পিতুস্তল্যং কৃতং রাজ্যং ভূমিপালস্ততোহ ভবৎ। ভূসরস্তেন খনিতং পুরং তত্র শুভং কৃতম্।।৩৭।। পিতুস্তল্যং কৃতং রাজ্যং রঙ্গপালস্ততোহ ভবৎ। ভূমিপালস্তু নৃপতিজিত্বা ভূপাননেকশঃ।।৩৮।। বীরসিংহস্ততো নান্না বিখ্যাতোহ ভূন্মহীতলে। স্বরাজ্যে রঙ্গপালং স চাভিষিচ্য বনং যযৌ। তপঃ কৃত্বা দিবং যাতো দেবদেবপ্রসাদতঃ।।৩৯।। কল্পসিংহস্ততো জাতো রঙ্গপালনৃপোত্তমাৎ। অনপত্যো হি নৃপতিঃ পিতুস্তল্যং কৃতং পদম্।।৪০।। একদা জাহ্নবীতোয়ে স্নানার্থং মুদিতো যযৌ। দানং দত্ত্বা দ্বিজাতিভ্যঃ কল্পক্ষেত্রমবাপ্তবান্।।৪১।। পুণ্যভূমিং সমালোক্য শূন্যভূতাং স্থলীমপি। নগরং কারয়ামাস তত্র স্থানে মুদান্বিতঃ।।৪২।।

ভূমিপাল পিতৃতুল্য রাজ্য শাসন করেন। তাঁর পুত্র রঙ্গপাল জাত হন। ভূমিপাল অনেক রাজাকে জয় করে যশ লাভ করেন। তখন থেকে তিনি বীরসিংহ এই নামে ভূ-মন্ডলে বিখ্যাত হন। তিনি রংগপালকে রাজপদে অভিষিক্ত করে স্বয়ং বনে চলে যান।। ৩৮-৩৯।।

রংগপাল পুত্র নৃপশ্রেষ্ঠ কল্পসিংহ জাত হন। তিনি সন্তান হীন ছিলেন। তিনিও পিতৃতুল্য রাজ্য পালন করেন।। ৪০।।

একবার তিনি প্রসন্ন চিত্তে গঙ্গা স্নানার্থে গিয়েছিলেন। দ্বিজগণকে দান করে শূন্য কল্পক্ষেত্র পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানে এক নতুন নগরী নির্মাণ করেছিলেন এবং সেখানে তিনি মহানন্দে ছিলেন।। ৪১-৪২।।

কলাপনগরং নাম্না প্রসিদ্ধমভবস্তুবি। তত্র রাজ্যং কৃতং তেন গঙ্গাসিংহস্ততোহ ভবৎ।।৪৩।। নবত্যব্দবপুভূত্বা সোহন পত্যো রণং গতঃ। ত্যক্ত্বা প্রাণাঙ্কুরুক্ষেত্রে স্বর্গলোকমবাপ্তবান। সমাপ্তিমগমদ্বিপ্র প্রমরস্য কুলং শুভম্।।৪৪। তদন্বয়ে চ যে শেষাঃ ক্ষত্রিয়াস্তদনন্তরম্। তন্নারীঘমিনো বিপ্র বভূব বর্ণসঙ্করঃ।।৪৫।। বৈশ্যবৃত্তিকারঃ সর্বে ম্লেচ্ছতুল্য মহীতলে। ইতি তে কথিতং বিপ্ৰ কুলং দক্ষিণভূপতেঃ।।৪৬।।

সেই নগর এই পৃথিবীতে কল্প নগর নামে প্রসিদ্ধ হয়েছিল। সেখানে তিনি সুখে রাজ্য শাসন করেছিলেন। তার পুত্র গংগাসিংহ নব্বই বৎসর বয়সেও যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়েছিলেন এবং তিনি ও সন্তান হীন ছিলেন। কুরুক্ষেত্রে তিনি প্রাণ ত্যাগ করেন এবং স্বর্গলাভ করেন।। হে বিপ্র, প্রমর রাজার শুভকুল সমাপ্ত হল।। ৪৩-৪৪।।

তার বংশের শেষ ক্ষত্রিয় ছিলেন তিনি স্ত্রী অনুরক্ত হয়ে বংশে বর্ণসংকর উৎপন্ন হয়েছিল।। ৪৫।।

তারা সকলে বৈশ্য বৃত্তিকারী এই ভূমন্ডলে ম্লেচ্ছতুল্য ছিলেন। হে বিপ্র, আমি দক্ষিনাপতির কুল বর্ণনা করলাম।। ৪৬।।

সকল অধ্যায়

১. কথা প্রস্তাবনা
২. সৃষ্টি বর্ণন
৩. সর্বসংস্কার বর্ণন
৪. সাবিত্রী মাহাত্ম্য
৫. স্ত্রী শুভাশুভ লক্ষণ
৬. তৃতীয়া কল্প বিধি বর্ণন
৭. চতুর্থী কল্প বর্ণন
৮. পঞ্চমী কল্পে নাগপঞ্চমী ব্ৰত বৰ্ণন
৯. ধাতুগত বিষ লক্ষণ সমূহ
১০. ষষ্ঠীকল্পে কাৰ্ত্তিক ষষ্ঠীতে স্কন্দ পূজা
১১. ষষ্ঠীকল্পে ব্রাহ্মণ্য বিবেক বর্ণন
১২. সপ্তমী কল্প ব্ৰত বৰ্ণন
১৩. সপ্তমী কল্প বর্ণনে কৃষ্ণ-সাম্ব সংবাদ
১৪. আদিত্য নিত্যারাধনবিধি বর্ণন
১৫. রথ সপ্তমী মাহাত্ম্য বর্ণন
১৬. সূর্যযোগ মাহাত্ম্য বর্ণন
১৭. সূর্যের বিরাট রূপ বর্ণন
১৮. আদিত্যবার মাহাত্ম্য বর্ণন
১৯. সৌরধর্ম মাহাত্ম্য বর্ণন
২০. ব্রহ্মকৃত সূর্যস্তুতি বর্ণন
২১. বিবাহ বিধি বর্ণন
২২. স্ত্রীগণের গৃহধর্ম বর্ণন
২৩. স্ত্রীধর্ম বর্ণন
২৪. ধর্ম স্বরূপ বর্ণন
২৫. ব্রহ্মাণ্ডোৎপত্তি বিস্তার বর্ণন
২৬. পুরাণ ইতিহাস শ্রবণ মাহাত্ম্য
২৭. পূর্তকর্ম তথা বৃক্ষ রোপণ
২৮. বিবিধ বিধিকুণ্ড নির্ণয়
২৯. হোমাবসানে ষোড়শোপচার বর্ণন
৩০. যজ্ঞ ভেদে বহ্নিনাম বর্ণন
৩১. স্রুবাদর্বী পাত্র নির্মাণ
৩২. ব্রাহ্মণ লক্ষণ তথা ব্রাহ্মণ কর্তব্য বর্ণন
৩৩. গুরুজন মাহাত্ম্য বর্ণন
৩৪. আহুতি হোম সংখ্যা বর্ণন
৩৫. কুন্ড সংস্কার বর্ণন
৩৬. বিবিধ মন্ডল নিৰ্মাণ বৰ্ণন
৩৭. সুদর্শনান্ত নরপতি রাজ্যকাল বৃত্তান্ত
৩৮. ত্রেতাযুগীয়ভূপ বৃত্তান্ত বর্ণন
৩৯. দ্বাপরযুগীয় ভূপ বৃত্তান্ত বর্ণন
৪০. ম্লেচ্ছযজ্ঞ বৃত্তান্ত তথা কলিকৃত বিষ্ণু স্তুতি বর্ণন
৪১. ম্লেচ্ছবংশ বর্ণন
৪২. আর্যাবর্তে ম্লেচ্ছগণের আগমন
৪৩. কলিঞ্জর অজমেরপুরাদি বর্ণন
৪৪. পদ্মাবতী কথা বর্ণন
৪৫. মধুমতী বরনির্ণয় কথা বর্ণন
৪৬. সত্যনারায়ণ কথা বর্ণন
৪৭. সত্যনারায়ণ ব্রতে চন্দ্রচূড় নৃপকথা বর্ণন
৪৮. সত্যনারায়ণ ব্ৰতে ভিন্ন কথা বর্ণন
৪৯. শতানন্দ ব্রাহ্মণ কথা বর্ণন
৫০. সাধু বণিক কথা বর্ণন
৫১. সাধু বণিক কারাগার মুক্তি
৫২. পাণিনি মহর্ষি বৃত্তান্ত বর্ণন
৫৩. তোতাদরীস্থ বোপদেব বৃত্তান্ত বর্ণন
৫৪. পতঞ্জলি বৃত্তান্ত বর্ণন
৫৫. জায়মান ঐতিহাসিক বৃত্তান্ত বর্ণন
৫৬. ভরতখন্ডের অষ্টাদশ রাজ্যস্থান বর্ণন
৫৭. শালিবাহন বংশীয় নৃপতি বৰ্ণন
৫৮. ভোজরাজ বংশের অনেক ভূপাল রাজ্য বর্ণন
৫৯. জয়চন্দ্র তথা পৃথ্বীরাজের উৎপত্তি
৬০. সংযোগিনী স্বয়ম্বর বর্ণন
৬১. ইন্দ্রের ঘোটকীদান
৬২. কৃষ্ণাংশ চরিত্র বর্ণন
৬৩. মহীরাজ পরাজয়াদি বৃত্তান্ত বর্ণন
৬৪. কৃষ্ণাংশের কাছে রাজগণের আগমন
৬৫. পৃথ্বীরাজ দ্বারা গুর্জর রাজ্য গ্রহণ
৬৬. জয়ন্তাবতারবৃত্তান্ত বর্ণন
৬৭. চন্ডিকা দেবী বাক্য বর্ণন
৬৮. বলখানি বিবাহ বৃত্তান্তবর্ণন
৬৯. ব্রাহ্মণদের বিবাহ বৃত্তান্ত
৭০. হংসপদ্মিনী বর্ণন
৭১. ইন্দুল পদ্মিনীর বিবাহ
৭২. চন্দ্র ভট্টের ভাষা গ্ৰন্থ
৭৩. মহাবতীর যুদ্ধ বর্ণন
৭৪. কৃষ্ণাংশের – শোভা সংবাদ
৭৫. সমস্ত নৃপের সংগ্রাম এবং নাশ
৭৬. ব্যাস দ্বারা ভবিষ্য কথন
৭৭. অজমের তোমর নরেশ কর্ম বর্ণন
৭৮. শুক্ল বংশ চরিত্র
৭৯. পরিহর ভূপ বংশ বর্ণন
৮০. ভগবতারাদিবৃত্তান্ত
৮১. দিল্লীর ম্লেচ্ছ রাজা
৮২. চৈতন্য এবং শংকরাচার্য্য উৎপত্তি
৮৩. রামানুজোৎপত্তিবর্ণন
৮৪. কবীর – নরশ্রী – পীপা – নানক-বৃত্তান্ত
৮৫. চৈতন্য বর্ণনে জগন্নাথ মাহাত্ম্য
৮৬. আকবর বাদশাহ বৰ্ণন
৮৭. কিল্কিলার শাসক বর্ণন
৮৮. মঙ্গলাচরণ
৮৯. ব্রহ্মান্ড উৎপত্তি এবং বর্ণন
৯০. সাংসারিক জীবনের দোষ
৯১. অনন্তচতুর্দশী ব্রত মাহাত্ম্য
৯২. অধর্ম ও পাপের ভেদ
৯৩. শুভাশুভ গতি ও যমযাতনা
৯৪. শকট ব্রত মাহাত্ম্য
৯৫. তিলক ব্রত মাহাত্ম্য
৯৬. অশোক ব্রত মাহাত্ম্য
৯৭. বৃহৎ তপো ব্রত মাহাত্ম্য
৯৮. যমদ্বিতীয়া ব্রত মাহাত্ম্য
৯৯. অশূন্যশয়ন ব্রত মাহাত্ম্য
১০০. গোষ্পদ তৃতীয় ব্রত মাহাত্ম্য
১০১. হরিতালী তৃতীয়া ব্ৰত মাহাত্ম্য
১০২. ললিতা তৃতীয়া ব্রত মাহাত্ম্য
১০৩. অক্ষয় তৃতীয়া ব্রত মাহাত্ম্য
১০৪. বিনায়ক চতুর্থী ব্রত মাহাত্ম্য ও বিধান
১০৫. গ্রন্থ পরিচয় ও সমাপ্তি

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন