দিল্লীর ম্লেচ্ছ রাজা

কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস

।। দিল্লী কে ম্লেচ্ছ রাজা।।

মহীরাজন্ মুনিশ্রেষ্ঠ কে রাজানো বভূবিরে। তান্নো বদ মহাভাগ সর্বজ্ঞোহস্তি ভবাসদা।।১।। পৈশাচঃ কুতুকোদ্দীনো দেহলীরাজ্যমাস্থিতঃ। বলীগঢ় মহারম্য যাদবৈ রক্ষিতং পুরম্। যযৌ তত্র স পৈশাচ শূরাযুত সমন্বিতঃ।।২।।

।। দিল্লীর ম্লেচ্ছ রাজা।।

এই অধ্যায়ে দেহলী স্থিত ম্লেচ্ছ রাজগণের বৃত্তান্ত বর্ণন আরম্ভ তথা মহোড্ডীন দ্বারা দেবতা এবং তীর্থ খন্ডন বর্ণনা করা হয়েছে।

ঋষি বললেন, হে মুণিশ্রেষ্ঠ, মহীরাজের পরে আবার কে রাজা হয়েছিলেন? হে মহাভাগ, তা সব কিছু বলুন, আপনি তো সর্বজ্ঞ এবং সর্বদা সবকিছু কথা জানেন।। ১।।

শ্রী সূতজী বললেন, তারপর পৈশাচ কুতুবোদ্দীন দেহলী নগরের রাজা হন। মহান্ সুন্দর বলী গঢ়পুর যাদবদের দ্বারা রক্ষিত ছিল। সেখানে সেই পৈশাচ ভূপতি দশসহস্র শূরগণের সঙ্গে গিয়েছিলেন। নৃপোত্তম বীর সেনের পৌত্র ভূপসেন সেখানে বাসকরতেন। তাকে জয় করে কুতুকোদ্দীন দেহলী নগরের রাজা হন। এরপর অনেক দেশ থেকে রাজগণ সেখানে এসেছিলেন। কুতুকোদ্দীন তাদের সকলকে জয় করে নিজদেশ থেকে তাদের নিরাকৃত করলেন।। ২-৪।।

বীরসেনস্য বৈ পৌত্রং ভূপসেনং নৃপোত্তমম্। স জিত্বা কুতুকোদ্দীনো দেহলীগ্রাম সংস্থিতঃ।।৩।। এবস্মিন্নন্তরে ভূপা নানাদেশ্যাঃ সমাগতাঃ। জিত্বা স কুতুকোদ্দীনঃ স্বদেশাত্তৈনিরাকৃতঃ।।৪।। সহীদ্দীনস্ত্বং তচ্ছত্বা পুনরাগম্য দেহলীম্। জিত্বা ভূপান্ দৈত্যবরো মূর্তিখন্ডমথাকরোৎ।।৫।। তৎপশ্চাৎ বহুধা ম্লেচ্ছা ইহাগত্য সমস্ততঃ। পঞ্চষট্ সপ্তবর্ষানি কৃত্বা রাজ্যং লয়ং গতাঃ।।৬ অদ্য প্রভৃতি দেশোহ স্মিঞ্ছতবর্ষান্নরে হি তে। ভূত্বা চালপাযুষো মন্দা দেবতীর্থবিনাশকাঃ।।৭।। ম্লেচ্ছভূপা মুনিশ্রেষ্ঠাস্তস্মাদ্ যুয়ং ময়াসহ গন্তুমৰ্থ বৈ শীঘ্রং বিশালাং নগরীং শুভাম্।।৮।। ইতি শ্রুত্বা তু বচনং দঃখাৎ সংত্যজ্য নৈমিষম্। যযুঃ সর্বে বিশালায়াং হিমাদ্রৌ গিরিসত্তমে।।৯।।

একথা শ্রবণ করে সহোদ্দীন পুনরায় দেহলী নগরে এসে কুতুকোদ্দীন জয় করে মূর্তিসকল খন্ডন করেছিলেন। অতঃপর বহু রাজগণ সেখানে এসে পাঁচ -সাত বৰ্ষ পর্যন্ত রাজত্ব করে লয় প্রাপ্ত হন।। ৫-৬।।

আজপর্যন্ত এই দেশে শতবর্ষ ধরে অল্পায়ু, মন্দ এবং দেব ও তীর্থ বিনাশ কারী রাজগণ এখানে রাজত্ব করেছেন। হে মুণিশ্রেষ্ঠ এই কারণে আপনারা সকলে আমার সাথে শীঘ্র এই বিশাল শুভ নগরীকে জানুন। এই বচন শ্রবণ করে তারা সকলে প্রচন্ড দুঃখের সঙ্গে নৈমিষারন্য পরিত্যাগ করে গিরি শ্রেষ্ঠ হিমাদ্রি পর্বতের বিশালান্তে চলে গেলেন।। ৭-৯।।

তত্র সর্বে সমাধিস্থা ধ্যাত্বা সর্বময়ং হরিম্। শতবর্ষান্তরে সর্বে ধ্যানাদ্ ব্রহ্মগৃহং যযুঃ।।১০।।

ইত্যেবং সকলং ভাগ্যং যোগাভ্যাস সবশাদ দ্রুতম্। বর্ণিতং চ ময়া তুভ্যং কিমন্যচ্ছ্রোতুমিচ্ছসি।।১১।। ভগবন্ দ্বেদতত্ত্বজ্ঞ সর্বলোকশিবংকর। অহং মায়াভবো জাতো ভবা বেদভবো ভূবি।।১২।। অবিদ্যয়া চ সকলং মম জ্ঞানং সমাহৃতম্। অতোহ হং বিবিধা যোনিগৃহীত্বা লোকমাগতঃ।।১৩।। পরং ব্রহ্মৈব কৃপয়া দষ্টা মাং মন্দভাগিনম্। ব্যাসরূপং স্বয়ং কৃত্বা সমুদ্ধর্ত মুপাগতঃ।।১৪।। নমস্তস্মৈ মুনীভ্রায় বেদব্যাসায় সাক্ষিণে। অবিদ্যামোহভাবেভ্যো রক্ষণায় নমোনমঃ।।১৫।। পুনরন্যচ্চ মে ব্রূহি সূতাদ্যৈঃ কিং কৃতং মুনে। তৎসর্বং কৃপয়া স্বামিয়বক্তুমর্হসি সাম্প্রতম্।।১৬।।

সেখানে সকলে সমাধিস্থি হয়ে সর্বময় হরির ধ্যানে রত হলেন এবং শতবর্ষের পরে তার সকলে ব্রহ্ম গ্রহে চলে গেলেন।। ১০।।

ব্যাসজী বললেন যা কিছু খাবে তা তোমাদের আমি যোগাভ্যাসের দ্বারা বর্ণনা করব। এখন তোমরা আর কি শ্রবণ করতে ইচ্ছা কর।। ১১।।

মনু বললেন –হে ভগবন্ আপনি সমস্ত বেদতত্ত্ব জানেন এবং সকল লোক কল্যাণকারী। আমি তো মায়া দ্বারা উৎপন্ন এবং আপনি বেদ থেকে উৎপন্ন। অবিদ্যা দ্বারা আমার সমস্ত জ্ঞান সমাহৃত। এই কারনে অনেক প্রকার যোনিপ্রাপ্ত হয়ে এই জগতে এসেছি। মন্দভাগ্য আমাকে দেখে ব্ৰক্ষ স্বয়ং ব্যামরূপে আমাকে উদ্ধার করতে এখানে এসেছেন। মুণিগণের মধ্যে পরমশ্রেষ্ঠ শিরোমণি সাক্ষী স্বরূপ বেদব্যাসজী আপনাকে আমার প্রণাম অবিদ্যা এবং মোহের ভাব থেকে রক্ষাকারী আপনাকে আমার বার বার প্রণাম।। ১২-১৫।।

হে মুনে, আপনি কৃপাপূর্বক আমাকে বলুন।। ১৬।।

ব্রহ্মান্ডে যে স্থিতা লোকাস্তে সর্বেস্মিন্ কলেবরে। অহংকারো হি জীবাত্মা সর্বঃ স্যাৎকোটিহীনকঃ।।১৭। পুরাণোহনোরনীয়াংশ্চ ষোড়শাত্মা সনাতনঃ। ইন্দ্ৰিয়ানি মনশ্চৈব পঞ্চ চেন্দ্রিয়গোচরা।।১৮।। জ্ঞেয়ো জীবঃ শরীরেঽস্মিন্ স ঈশগুণবন্ধিতঃ। ঈশো হ্যষ্টাদশাত্মা বৈ শংকরো জীবশংকরঃ।।১৯।। বুদ্ধিমনশ্চ বিষয়া ইন্দ্ৰিয়ানি তথৈব চ। অহংকারঃ স চেশো বৈ মহাদেবঃ সনাতনঃ।।২০।। জীবো নারায়ণঃ সাক্ষাচ্ছংশকরেণ বিমোহিতঃ। স বদ্ধস্ত্রিগুণৈঃ পাশৈরেকশ্চ বহুধাভবৎ।।২১।। কালাত্মা ভগবানীশো মহাকল্পস্বরূপকঃ। শিবকল্পো ব্রহ্মকল্পো বিষ্ণুকল্পঃতৃতীয়কঃ। ঈশনেত্রানি তান্যেব বন্ধকল্পশ্চতুৰ্থকঃ।।২২।

ব্যাসজী বললেন-ব্রহ্মান্ডে স্থিত লোক কলেবরধারী। অন্ধকার স্থিত জীবাত্মা কোটিহীনক। পুরাণ এবং অনুর থেকেও ছোট সনাতন জীবাত্মা ষোড়শস্বরূপ, পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয় এবং পঞ্চকর্মেন্দ্রিয় এবং একমন। পঞ্চেন্দ্রিয় গোচরীভূত। এই প্রকারে ষোড়শ রূপ জীবাত্মা ঈশগুনে সন্ধিত এই শরীরে জীবস্থিত একথা জানা উচিৎ। ঈশ অষ্টাদশাত্মা জীব কল্যাণ কারী শংকর।। ১৭-১৯।।

বুদ্ধিমন-বিষয়-ইন্দ্রিয় সকল-অহংকার এবং সনাতন ঈশ মহাদেব।। ২০।।

জীব সাক্ষাৎ নারায়ণ এবং তিনি শংকরের দ্বারা বিমোহিত। সে ত্রিগুণের বন্ধনে বদ্ধ এবং এক থেকে বহুধা বিভক্ত।। ২১।।

ভগবান ঈশ কালাত্মা মহাকল্পস্বরূপ। শিবকল্প, ব্রহ্মকল্প এবং বিষ্ণুকল্প এই তিন কল্প আছে। সেই তিন কল্পা ঈশের নেত্র। চতুর্থ কল্প হল বন্ধ কল্প।।২২।।

বায়ুকল্পো বহ্নিকল্পো ব্রহ্মান্ডো লিংগকল্পকঃ। ঈশবক্রানি পঞ্চৈব তত্ত্বজ্ঞৈঃ কথিতানি বৈ।।২৩।। ভবিষ্যকল্পশ্চ তথা তথা গরুড়কল্পকঃ। কল্পো ভাগবাতেশ্চৈব মার্কডেয়শ্চ কল্পকঃ।।২৪।। বামনশ্চ নৃসিংহশ্চ বরাহো মৎসকূর্মকৌ। জ্ঞানাত্মনো মহেশস্য জ্ঞেয়া দশভূজা বুধৈঃ।।২৫।। অষ্টাদশদিনেম্বেব ব্রহ্মণোহ ব্যক্তজন্মনঃ। কল্পাশ্চাষ্টাদশাঃ সর্বে বুধৈজ্ঞেয়া বিলোমতঃ।।২৬।। কূর্মকল্পশ্চ তত্ৰাদ্যো মৎস্যল্লো দ্বিতীয়কঃ। তৃতীয়ঃ শ্বেতবারাহঃ কল্পজ্ঞেয় পুরাতনৈঃ।।২৭। দ্বিধা চ ভগবান্ ব্রহ্ম সূক্ষ্মঃ স্থূলোহ গুণো গুণী। সগুণঃ স বিরাট্ নান্না বিষ্ণু নাভিসমুদ্ভবঃ।।২৮।। নির্গুণোব্যয়রূপশ্চাব্যক্তজন্মা স্বভূঃ স্বয়ম। ব্রহ্মণ সগুড়স্যৈব শতায়ু কালনিৰ্মিতম।।২৯।।

বায়ু কল্প–বহ্নিকল্প-ব্রক্ষান্ড কল্প-লিঙ্গকল্প এই ৫ কল্পকে তত্বজ্ঞ ঈশের সুক বলেন। ভবিষ্য কল্প-গরুড়কল্প -ভাগবতকল্প-মার্কন্ডেয় কল্প–বামন, নৃসিংহ, বরাহ, মৎস এবং কুর্মকল্পকে বধুগণ জ্ঞানাত্মা মহেশের দশভূজ বলেছেন।। ২৩-২৫।।

অব্যক্ত জন্মা ব্রহ্মের ১৮দিনে এই সকল ১৮ কল্প বিলোম পদ্ধতিতে জানা উচিৎ। তাদের মধ্যে অদ্য অর্থাৎ প্রথম কূর্মকল্প এবং ২য় মৎস কল্প তৃতীয় কল্প শ্বেতবাহার কল্প তথা অগুণ এবং গুনী এই দুই প্রকার রীপ যুক্ত। সপুন বিরাট নাম্নী বিষ্ণুর নাভি থেকে উৎপন্ন।। ২৮।।

নির্গুণ অন্যয়রূপী অব্যক্ত জন্মা স্বয়ং স্বভূ। সগুন ব্রহ্মার কাল থেকে নির্মিত শতায়ূ হন। মনুষ্যের একলক্ষ উনিশ হাজার বর্ষ ব্রহ্মার একদিন। নির্গুন ব্রহ্মার স্বরূপ যিনি তিনি অব্যক্ত জন্মা এবং সর্বেস্বর। প্রকৃতি অব্যক্ত, তার ১২ অঙ্গ। সেই অব্যক্ত ১২ অঙ্গ পঞ্চকর্মেন্দ্রিয়, পঞ্চজ্ঞানেন্দ্রিয় মন ও বুদ্ধি। ব্রহ্মা অব্যক্তপর, তিনি সূক্ষ জ্যোতি ও অব্যয় স্বরূপ। যে সময় ব্যক্তে স্বয়ং প্রাপ্ত হন তখন অব্যক্ত জন্মা সংস্কৃত হন। শতবর্ষ পর্যন্ত সমাধিত যিনি নিরন্তর স্থিত সেই সূক্ষ্ণ মনোঅনিল হয়ে ব্রহ্মাপদ প্রাপ্ত হন। তিনি সত্য লোক জানেন সনাতন যোগ দ্বারা তাকে প্রাপ্ত হওয়া যায়।। ২৯ -৩৪।।

ঊনবিংশ সহস্রানি লক্ষৈকো মানুষাব্দকৈঃ। এভিবর্ষৈদিনং জ্ঞেয়ং বিরাজে ব্রহ্মণ স্বয়ম্।।৩০।। নিৰ্গুণোহব্যক্তজন্মা চ কালাৎ সর্বেশ্বরঃ পরঃ। অব্যক্তং প্রকৃতিজ্ঞেয়া দ্বাদশাংগানি বৈ ততঃ।।৩১।। ইন্দ্রিয়ানি মনো বুদ্ধিরব্যক্তস্য স্মৃতানি বৈ। অব্যক্তাচ্চ পরং ব্রহ্ম সূক্ষ্মজ্যোতিস্তদব্যয়ম্।।৩২।। যদা ব্যক্তে স্বয়ং প্রাপ্তেহব্যজন্মা হি সংস্কৃতঃ। শতবর্ষসমাধিস্থো যস্তিষ্ঠেচ্চ নিরন্তরম্।।৩৩।। সূক্ষ্মো মনোনিলো ভূত্বা গচ্ছেদ্বৈব্রহ্মণঃ পদম্ সত্য লোকমিতি জ্ঞেয়ং যোগগম্যং সনাতনম্।।৩৪।। তত্র স্থানে তু মুনয়ো গতঃ সর্বে সমাধিনা। তত্রামিত্বা চ লক্ষাব্দং ভূলোকাৎ ক্ষণমাত্রকম্।।৩৫।। সচ্চিদানন্দখনকং ততঃ প্রাপ্তা কলেবরে। নেত্রানি চ সমুন্মীল্য সংপ্রাপ্তে দ্বিতয়াহিকে।।৩৬।। দদৃশুমনুজান সর্বান্ পশুতুল্যা হি সূক্ষ্মকান্। যষ্ঠয়ব্দাযুযুতান্ ঘোরান্ সার্দ্ধ কিক্ষুদ্বয়োন্নতান্।।৩৭।।

সেই স্থানে সমাধি দ্বারা সমস্ত মুনি গিয়েছিলেন এবং ভূলোকে ক্ষণমাত্র একাল থেকে সেখানে একলক্ষ বর্ষ পর্যন্ত নিবাস করেছিলেন।। ৩৫।।

অনন্তর কলেবর ধারণ করে সচ্চিদানন্দ ঘন প্রাপ্ত হয়েছিলেন। ২য়দিন নেত্র উন্মীলন করে সমস্ত সূক্ষ্ম মনুজকে পশুতুল্য দেখেছিলেন। তাঁর আয়ু ৬০ বৎসর, ঘোর এবং উচ্চতা অর্ধকিছু পরিমান।। ৩৬-৩৭।।

ক্বচিৎ ক্বচিৎ স্থিতা বর্ণা বর্ণসংকরন্নিভাঃ। সর্বে ম্লেচ্ছাশ্চ পাষন্ডা বহুরূপমতো স্থিতাঃ।।৩৮। তীর্থানি সকলা বেদারত্যক্ত্বা ভূমন্ডলং সদা। গোপ্য ভূত্বা চ হরিণা সার্দ্ধং চক্ৰমহোৎ সবম্।।৩৯।। পাষন্ডা বহুজাতীয়া নানামার্গ প্রদর্শকাঃ। কলিনা নির্মিতান্ বর্ণান বঞ্চয়িত্বা স্থিতা ভুবি।। ৪০।। ইতি দৃষ্ট্বা তু মু নয়ো রোমহর্ষণমস্তিকে। গত্বা তত্র ভবিষ্যন্তি ততঃ প্রাজ্ঞলয়ো হি তৈ তে।।৪১। তৈশ্চ তত্ৰ স্তুতঃ সুতো যোগনিদ্রাং সনাতনীম। কথয়িষ্যতি সংত্যজ্য কল্পাখ্যানং মুনীন্‌প্ৰতি।। তনুস্ব নৃপশ্রেষ্ঠ যথা সূতেন বর্ণিতম্।।৪২।। কল্পাখ্যানং প্রবক্ষামি যদুষ্টং যোগনিদ্রয়া। তচ্ছুনুধ্বং মুনিশ্রেষ্ঠা লক্ষাব্দান্তে যথা ভবৎ।।৪৩।।

তিনি দেখেছিলেন যে সেখানে কোনো কোনো জায়গায় বর্ণ বর্ণসংকর তুল্য। সবলোক ম্লেচ্ছ পাষন্ডে ভরে গেছে। তারা বহুমত এবং রূপে স্থিত।। ৩৮।।

সমস্ততীর্থ এবং বেদ সেই সময় এই ভূমন্ডল ত্যাগ করেছিলেন। তারা সকলে গোপী হয়ে ভগবান্ শ্রীহরির সঙ্গে মহোৎসব করেছিল। পাষন্ড পূর্ণ অনেকজাতি অনেক মার্গ প্রদর্শন কারী ছিল। তারা সকলে ভূতলে কলি দ্বারা নির্মিত বর্ণকে বঞ্চিত করে স্থিত ছিল। ভূমন্ডলের দশা এই প্রকার দেখে মুনিগণ রোমহর্ষনের কাছে গিয়ে প্রাঞ্জলি বদ্ধ হবেন। তাদের দ্বারা মতুত হয়ে কল্পাখ্যান ত্যাগ করবে। হে নৃপশ্রেষ্ঠ, এখন তা শ্রবন করুন।। ৩৯-৪২।।

সূতজী বললেন- আমি কল্পাখ্যা বর্ণনা করব যা যোগনিদ্রার দ্বারা দেখেছি, হে মুনি শ্রেষ্ঠ, আপনার তা শ্রবণ করুন। একলক্ষ বর্ষের শেষে যা হয়েছিল তা বলছি।। ৪৩।।

মুকুলান্ বয়সম্ভুতো ম্লেচ্চভূপঃ পিশাচকঃ। নান্না তিমিরলিংগশ্চ মধ্যদেশমুপাযযৌ।।৪৪।। আর্যান্ ম্লেচ্ছাস্তদা ভূপাজ্ঞিত্বা কালস্বরূপকঃ। দেহলীনগরীমধ্যে মহাধবমকারয়ৎ।।৪৫।। আহ্বয় সকলান বিপ্ৰানার্যদেশ নিবাসিনঃ। উবাচ বচনং ধীমান্ যূয়ং মূর্তিগ্ৰপূজকাঃ।।৪৬।। তস্যাঃ কিং পূজনং শুদ্ধং শালগ্রামশিলাময়ম্। বিষ্ণুদেবশ্চ যুষ্মাভিঃ প্রোক্তা স তু ন বৈ হরিঃ।। ৪৭।। অতো বঃ সকলা বেদাঃ শাস্ত্রানি বিবিধানি চ। বৃথা কৃতানি মুনিভিলোক বঞ্চন হেতবে।। ইত্যুক্ত্বা তাম্বলদ্ গৃহ্য জ্বলদগ্নৌ সমাক্ষিপ‍।।৪৮।। শালিগ্রামশিলাঃ সর্বা বলাত্তেষাং সুপূজ্যকা। গৃহীত্বা চোষ্ট্রপৃষ্ঠেষু সমারোপ্য গৃহং যযৌ।।৪৯।।

মুকুল বংশের ম্লেচ্ছ রাজা তিমির লিংগ (তৈমুর লঙ্গ) মধ্যদেশে এসেছিলেন। কাল স্বরূপ তিনি আর্য ভূপতি এবং ম্লেচ্ছ ভূপতি সকলকে জয় করে দেহলী নগরী মধ্যে তিনি মহাবধ করেছিলেন। তিনি আর্যদেশের সমস্ত ব্রাহ্মণকে ডেকে বললেন- আপনারা বুদ্ধিমান এবং মূর্তি পূজনকারী।। ৪৪-৪৬।।

যিনি যে মূর্তিনির্মান করেন, সেটি তার পুত্রীতুল্য তার যজন করা শুদ্ধ অথবা শালগ্রাম শিলা পূজন শুদ্ধ। আপনার তো বিষ্ণুকে দেবতা বলেন, কিন্তু তিনি তো হরিনন।। ৪৭।।

এই কারণে আপনাদের শাস্ত্রে সমস্ত দেবতা সম্পূর্ণ বেদ এবং সকল শাস্ত্র অনেক প্রকার। এই সকল রচনা মুনিগন বৃথা করেছেন এবং কেবল লোক বঞ্চনা করা জন্যই তা নির্মাণ করেছেন। এর মধ্যে কোনো সংশয় নেই। এই প্রকার বলার পর তিনি বলপূর্বক তা গ্রহণ করে দ্রুত অগ্নিতে নিক্ষেপ করলেন। সমস্ত শালগ্রাম শিলা জোর করে কেড়ে নিয়ে উটের পিঠে চাপিয়ে দিয়ে গৃহগত হলেন।। ৪৮-৪৯।।

তৈত্তিরং দেশমাগম্য দুর্গং তত্র চকার সঃ। শালিগ্রাম শিলানাং চ স্বাসনারোহণং কৃতম্।।৫০।। তদা তু সকলা দেবা দুঃখিতা বাসবং প্রভুম্। সমূচুর্বহুধালপ্য দেবদেবং শচীপতিম্।।৫১।। বয়ং তু ভগবান্ সর্বে শালগ্রামশিলাস্থিতা। ত্যক্তা মূর্তীশ্চ সকলা কৃষ্ণাংশেন প্রবোধিতাঃ। শালগ্রাম শিলামধ্যে বসামো মুদিতা বয়ম্।।৫২।। শিলাঃ সর্বাশ্চ নো দেব শালদেশ সমুদ্ভবাঃ। তাশ্চ বৈ ম্লেচ্ছরাজেন স্বপদারেহনীকৃতাঃ।।৫৩।। ইতি শ্রুত্বা তু বচনং দেবানাং ভগবান স্বরাট্। জ্ঞাত্বা বলিকৃতং সর্বং দেবপূজনিরাকৃতম্।।৫৪।। চুকেপ ভগবান্ ইন্দ্ৰো দৈত্যান্ প্রত্যভ্রবাহনঃ। গৃহীত্বা বজ্ৰমতুলং স্বায়ুধং দৈতনাশনম্। তৈত্তিরে প্রেযয়ামাস দেশ ম্লেচ্ছনিবাসকে।। ৫৫।।

সেখান থেকে পুনরায় তৈত্তির দেশে এসে এক দুর্গ নির্মাণ করেন এবং সেখানে নিজের আসনের নীচে শালগ্রাম শিলা রেখে তাতে স্বয়ং আরোহণ করলেন।। ৫০।।

সেই সময় দেবতা দুঃখিত হয়ে শচীপতি বাসবের কাছে গিয়ে রোদন করে বললেন, হে ভগবান্ আমরা সকলে শালগ্রাম শিলাতে স্থিত। কৃষ্ণাংশ দ্বারা প্রবোধিত আমরা সকলে মুনিগণকে ত্যাগ করে শালগ্রাম শিলা মধ্যে প্রসন্ন চিত্তে সমস্ত মূর্তি ত্যাগ করে বাস করছিলাম। হে দেব, শালদেশে উৎপন্ন আমাদের সম্পূর্ণ শিলাতে শামরা বাস করছিলাম সেগুলি নিয়ে ম্লেচ্ছ রাজ নিজের পায়ের তলায় রেখে তাতে আরোহণ করেছেন। দেবরাজ ইন্দ্র দেবতাদের এই কথা শ্রবণ করে সেই বলবানের দ্বারা দেবপূজার নিরাদর জ্ঞাত হয়ে অভ্রবাহন ইন্দ্ৰ সেই দৈত্যের প্রতি ক্রদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি দৈত্য নাশকারী অতুল বজ্র গ্রহণ করে সেই ম্লেচ্ছ দেশ তৈরিতে প্রেরণ করলেন।। ৫১-৫৫।।

তস্য শব্দেন সকলা দেশশ্চ বহুভিন্নকাঃ। স ম্লেচ্ছো মরণং প্রাপ্তস্তদা সৰ্বভাজনৈঃ।।৫৬।। শালগ্রামশিলাঃ সর্বা গৃহীত্বা বিবুধাস্তদা। গংড়ক্ত্যাং চ সমক্ষিপ্য স্বর্গলোকমুপাযঃ।।৫৭।। মহেন্দ্রস্তু সুরৈঃ সার্দ্ধং দেবপূজ্যমুবাচ হ। মহীতলে কলৌ প্রাপ্তে ভগবন্ দানবোত্তমা।।৫৮।। বেদধর্মং সমুল্লংখ্য মম নাশনতৎপরাঃ। অতো মাং রক্ষ ভগবান দেবৈঃ সার্দ্ধং কলৌ যগে।।৫৯ মহেন্দ্ৰ তব যা পত্নী শচী নাম্না মহোত্তমা। দদৌ তস্যৈ বরং বিষ্ণুভবিতাস্মি সুতঃ কলৌ।।৬০।। তদাজ্ঞয়া চ সা দেবীং পুরীং শান্তিময়ীং শুভাম্। গৌড়দেশে চ গঙ্গায়া কূলে লোকনিবাসিনীম্।।৬১।। প্রত্যাগত্য দ্বিজো ভূত্বা কার্যসিদ্ধিং করিষ্যতি। ভবান্ বৈ ব্রাহ্মণো ভূত্বা দেবকার্যং প্রসাধয়।।৬২।।

সেই শব্দে সমস্ত দেশ বহুটুকরো হয়ে গিয়েছিল। সেই ম্লেচ্ছ মৃত্যু প্রাপ্ত হয়েছিল। তখন সমস্ত সভাসদ মনুষ্যগণ সম্পূর্ণ শালগ্রাম শিলা গন্ডকী নদীতে ফেলে দেলেন। এবং তারা স্বর্গলোকে চলে গেলেন।। ৫৬-৫৭।।

তখন মহেন্দ্র দেবতাগণের সঙ্গে দেবপুজ্য ভগবান্ শ্রীহরিকে বললেন -মহীতলে কলিযুগ প্রাপ্ত হওয়ার ফলে দানবোত্তম বৈদিক ধর্ম উল্লংঘনকরে আমার নাশ করতে তৎপর হবে। এই কারণে হে ভগবন্ কলিযুগে দেবতাগণের সাথে আমাকে রক্ষা করুন।। ৫৮-৫৯।।

জীব বললেন–হে মহেন্দ্ৰ, ভগবান্ বিষ্ণু আপনাকে বর দান স্বরূপ উত্তম শচী দিয়েছিলেন, আপনরা আদেশে তিনি গৌড়দেশে গংগাতীরে জন্ম লাভ করবে এবং আমি পুত্ররূপে কলিযুগে তোমার কাছে আবির্ভূত হব। আপনি সেই শান্তিময়ী পুরীতে দ্বিজরূপে দেবকার্য প্রসাধন করুন।। ৬০ ৬২।।

ইতি শ্রুত্বা গুরোর্বাক্য রুদ্ররেকাদশৈঃ সহ। অষ্টভিবসুভিঃ সাধমশ্বিভ্যাং স চ বাসবঃ।।৬৩।। তীর্থরাজমুপাগম্য প্রয়াগং চ রগিপ্রিয়ম। মাঘে তু মকরে সূর্যে সূর্যদেবমতোষয়ৎ।।৬৪।। বৃহস্পতিস্তদাগম্য সূর্যমাহাত্ম্যমুত্তমম্। ইন্দ্রাদীন্ কথয়ামাস দ্বাদশাধ্যায়মাপঠন্।।৬৫।।

গুরুর এই বাক্য শ্রবণ করে একাদশ রুদ্র এবং বাসব রবি দেবের পরমপ্রিয় তথা সমস্ত তীর্থের রাজা প্রগায়ে এসে মাঘ মাসে মকর রাশিতে সূর্যস্থিত হলে রবিদেবকে তুষ্ট করেছিলেন।। ৬৩-৬৪।।

সেই দেবগুরু বৃহস্পতি সেখানে এসে পরমউত্তম সূর্যদেব মাহাত্মের ১২ অধ্যায় ইন্দ্ৰাদি দেবগণকে বললেন এবং তারা সেই মাহাত্ম্যের ১২ অধ্যায় পাঠ করলেন।। ৬৫।।

সকল অধ্যায়

১. কথা প্রস্তাবনা
২. সৃষ্টি বর্ণন
৩. সর্বসংস্কার বর্ণন
৪. সাবিত্রী মাহাত্ম্য
৫. স্ত্রী শুভাশুভ লক্ষণ
৬. তৃতীয়া কল্প বিধি বর্ণন
৭. চতুর্থী কল্প বর্ণন
৮. পঞ্চমী কল্পে নাগপঞ্চমী ব্ৰত বৰ্ণন
৯. ধাতুগত বিষ লক্ষণ সমূহ
১০. ষষ্ঠীকল্পে কাৰ্ত্তিক ষষ্ঠীতে স্কন্দ পূজা
১১. ষষ্ঠীকল্পে ব্রাহ্মণ্য বিবেক বর্ণন
১২. সপ্তমী কল্প ব্ৰত বৰ্ণন
১৩. সপ্তমী কল্প বর্ণনে কৃষ্ণ-সাম্ব সংবাদ
১৪. আদিত্য নিত্যারাধনবিধি বর্ণন
১৫. রথ সপ্তমী মাহাত্ম্য বর্ণন
১৬. সূর্যযোগ মাহাত্ম্য বর্ণন
১৭. সূর্যের বিরাট রূপ বর্ণন
১৮. আদিত্যবার মাহাত্ম্য বর্ণন
১৯. সৌরধর্ম মাহাত্ম্য বর্ণন
২০. ব্রহ্মকৃত সূর্যস্তুতি বর্ণন
২১. বিবাহ বিধি বর্ণন
২২. স্ত্রীগণের গৃহধর্ম বর্ণন
২৩. স্ত্রীধর্ম বর্ণন
২৪. ধর্ম স্বরূপ বর্ণন
২৫. ব্রহ্মাণ্ডোৎপত্তি বিস্তার বর্ণন
২৬. পুরাণ ইতিহাস শ্রবণ মাহাত্ম্য
২৭. পূর্তকর্ম তথা বৃক্ষ রোপণ
২৮. বিবিধ বিধিকুণ্ড নির্ণয়
২৯. হোমাবসানে ষোড়শোপচার বর্ণন
৩০. যজ্ঞ ভেদে বহ্নিনাম বর্ণন
৩১. স্রুবাদর্বী পাত্র নির্মাণ
৩২. ব্রাহ্মণ লক্ষণ তথা ব্রাহ্মণ কর্তব্য বর্ণন
৩৩. গুরুজন মাহাত্ম্য বর্ণন
৩৪. আহুতি হোম সংখ্যা বর্ণন
৩৫. কুন্ড সংস্কার বর্ণন
৩৬. বিবিধ মন্ডল নিৰ্মাণ বৰ্ণন
৩৭. সুদর্শনান্ত নরপতি রাজ্যকাল বৃত্তান্ত
৩৮. ত্রেতাযুগীয়ভূপ বৃত্তান্ত বর্ণন
৩৯. দ্বাপরযুগীয় ভূপ বৃত্তান্ত বর্ণন
৪০. ম্লেচ্ছযজ্ঞ বৃত্তান্ত তথা কলিকৃত বিষ্ণু স্তুতি বর্ণন
৪১. ম্লেচ্ছবংশ বর্ণন
৪২. আর্যাবর্তে ম্লেচ্ছগণের আগমন
৪৩. কলিঞ্জর অজমেরপুরাদি বর্ণন
৪৪. পদ্মাবতী কথা বর্ণন
৪৫. মধুমতী বরনির্ণয় কথা বর্ণন
৪৬. সত্যনারায়ণ কথা বর্ণন
৪৭. সত্যনারায়ণ ব্রতে চন্দ্রচূড় নৃপকথা বর্ণন
৪৮. সত্যনারায়ণ ব্ৰতে ভিন্ন কথা বর্ণন
৪৯. শতানন্দ ব্রাহ্মণ কথা বর্ণন
৫০. সাধু বণিক কথা বর্ণন
৫১. সাধু বণিক কারাগার মুক্তি
৫২. পাণিনি মহর্ষি বৃত্তান্ত বর্ণন
৫৩. তোতাদরীস্থ বোপদেব বৃত্তান্ত বর্ণন
৫৪. পতঞ্জলি বৃত্তান্ত বর্ণন
৫৫. জায়মান ঐতিহাসিক বৃত্তান্ত বর্ণন
৫৬. ভরতখন্ডের অষ্টাদশ রাজ্যস্থান বর্ণন
৫৭. শালিবাহন বংশীয় নৃপতি বৰ্ণন
৫৮. ভোজরাজ বংশের অনেক ভূপাল রাজ্য বর্ণন
৫৯. জয়চন্দ্র তথা পৃথ্বীরাজের উৎপত্তি
৬০. সংযোগিনী স্বয়ম্বর বর্ণন
৬১. ইন্দ্রের ঘোটকীদান
৬২. কৃষ্ণাংশ চরিত্র বর্ণন
৬৩. মহীরাজ পরাজয়াদি বৃত্তান্ত বর্ণন
৬৪. কৃষ্ণাংশের কাছে রাজগণের আগমন
৬৫. পৃথ্বীরাজ দ্বারা গুর্জর রাজ্য গ্রহণ
৬৬. জয়ন্তাবতারবৃত্তান্ত বর্ণন
৬৭. চন্ডিকা দেবী বাক্য বর্ণন
৬৮. বলখানি বিবাহ বৃত্তান্তবর্ণন
৬৯. ব্রাহ্মণদের বিবাহ বৃত্তান্ত
৭০. হংসপদ্মিনী বর্ণন
৭১. ইন্দুল পদ্মিনীর বিবাহ
৭২. চন্দ্র ভট্টের ভাষা গ্ৰন্থ
৭৩. মহাবতীর যুদ্ধ বর্ণন
৭৪. কৃষ্ণাংশের – শোভা সংবাদ
৭৫. সমস্ত নৃপের সংগ্রাম এবং নাশ
৭৬. ব্যাস দ্বারা ভবিষ্য কথন
৭৭. অজমের তোমর নরেশ কর্ম বর্ণন
৭৮. শুক্ল বংশ চরিত্র
৭৯. পরিহর ভূপ বংশ বর্ণন
৮০. ভগবতারাদিবৃত্তান্ত
৮১. দিল্লীর ম্লেচ্ছ রাজা
৮২. চৈতন্য এবং শংকরাচার্য্য উৎপত্তি
৮৩. রামানুজোৎপত্তিবর্ণন
৮৪. কবীর – নরশ্রী – পীপা – নানক-বৃত্তান্ত
৮৫. চৈতন্য বর্ণনে জগন্নাথ মাহাত্ম্য
৮৬. আকবর বাদশাহ বৰ্ণন
৮৭. কিল্কিলার শাসক বর্ণন
৮৮. মঙ্গলাচরণ
৮৯. ব্রহ্মান্ড উৎপত্তি এবং বর্ণন
৯০. সাংসারিক জীবনের দোষ
৯১. অনন্তচতুর্দশী ব্রত মাহাত্ম্য
৯২. অধর্ম ও পাপের ভেদ
৯৩. শুভাশুভ গতি ও যমযাতনা
৯৪. শকট ব্রত মাহাত্ম্য
৯৫. তিলক ব্রত মাহাত্ম্য
৯৬. অশোক ব্রত মাহাত্ম্য
৯৭. বৃহৎ তপো ব্রত মাহাত্ম্য
৯৮. যমদ্বিতীয়া ব্রত মাহাত্ম্য
৯৯. অশূন্যশয়ন ব্রত মাহাত্ম্য
১০০. গোষ্পদ তৃতীয় ব্রত মাহাত্ম্য
১০১. হরিতালী তৃতীয়া ব্ৰত মাহাত্ম্য
১০২. ললিতা তৃতীয়া ব্রত মাহাত্ম্য
১০৩. অক্ষয় তৃতীয়া ব্রত মাহাত্ম্য
১০৪. বিনায়ক চতুর্থী ব্রত মাহাত্ম্য ও বিধান
১০৫. গ্রন্থ পরিচয় ও সমাপ্তি

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন