পাণিনি মহর্ষি বৃত্তান্ত বর্ণন

কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস

।। পাণিনিমহর্ষিবৃত্তান্তবর্ণনম্।।

ভগবন্ সর্বতীথানাং দানানাং কিং পরং স্থিতম্।

যৎকৃত্বা চ কলৌ ঘোরে পরাং নিবৃত্তিমাপুয়াৎ।।১।। সামনস্য সুতঃ শ্রেষ্ঠঃ পাণিনির্নাম বিশ্রুতঃ। কণভুগবরশিষ্যৈশ্চ শাস্ত্রজ্ঞেঃ স পরাজিতঃ।।২। লজ্জিতঃ পাণিনিস্তত্রগতস্তীথান্তেরং প্রতি। স্নাত্মা সর্বাণি তীর্থানি সন্তপ্য পিতৃদেবতারঃ।।৩।। কেদারমুকং পীত্বা শিবধ্যানরোভৎ। পর্নাশী সপ্তদিব সাঞ্জল ভক্ষস্ততোহ ভবৎ।।৪।। ততো দশদিনান্তে স বায়ুভক্ষো দশাহনি। অষ্টাবিংশদ্দিনে রুদ্রো বরং ব্রুহি বচোহব্রবীৎ।।৫।। শ্ৰুত্বামৃতময়ং বাক্যমস্তৌদগদগদা গিরা। সর্বেশং স্বলিংগেশং গিরিজাবল্লভং হরম্।।৬।। নমো রুদ্রায় মহতে সর্বেশায় হিতেমিনে। নন্দীসংস্থায় দেবায় বিদ্যাভয় করায় চ।।৭।। পাপাত্তকায় ভগায় নমোনস্তায় বেধসে। নমো মায়াহরেশায় নমস্তে লোকশর।।৮।। যদি প্রসন্নো দেবেশ বিদ্যামুল প্ৰদোভব। পরং তীর্থং হি মে দেহি দ্বৈমাতুর পিতুনমঃ।।৯।। ইতি শ্রুত্বা মহাদেবঃ সূত্রাণি প্ৰদদৌ মুদা। স্ববর্ণ ময়ান্যেব অইডণদিশুভানি বৈ।।১০।। জ্ঞানহ্লদে সত্যজলে রাগ দ্বেযমলাপহে। যঃ প্রাপ্তো মানসে তীর্থে স্বতীর্থফলং ভজেৎ।।১১।। মানসং হি মহতীৰ্থং ব্রহ্মদর্শনকারকম। পাণিনে তে দদৌ বিপ্ৰ কৃতকৃত্যো ভবান্ ভব।।১২।। ইত্যক্ত্বান্তর্দধে রুদ্রঃ পাণিনিঃ স্বগৃহং যযৌ। সূত্রপাঠং ধাতুপাঠং গণপাঠং তথৈব চ।।১৩।। লিংগসূত্রং তথা কৃত্বা পরং নির্বাণমাপ্তবান্। তস্থাত্বং ভাগবশ্রেষ্ঠ মানসং তীর্থমাচর।।১৪।। যতো মাতা স্বয়ং গঙ্গাঁ স্বতীর্থময়ী শিবা। গঙ্গাঁতীর্থাৎ পরং তীর্থং ন ভূতংন ভবিষ্যতি।।১৫।।

।। পাণিনি মহর্ষি বৃত্তান্ত বর্ণন।।

এই অধ্যায়ে পাণিনি মহর্ষি বৃত্তান্ত বর্ণিত হয়েছে।

শৌনকাদি ঋষি বললেন–হে ভগবান্, সমস্ত তীর্থ আর অনেক দানের মধ্যে কোটি শ্রেষ্ঠ তা বলুন। কিভাবে এই ঘোর কলিযুগে মানব নিবৃত্তি লাভ করবে।

সূতজী বললেন–সামন ঋষিপুত্র পাণিনি নামে বিখ্যাত। তিনি একবার বাণভুম্বর শিষ্যের দ্বারা পরাজিত হন। লজ্জিত হয়ে তিনি সমস্ত তীর্থে স্নান করে দেব ও পিতৃগণকে তৃপ্ত করেন। পুনঃ তিনি কেদারের জল পাল করে শিবের ধ্যান করেন। সাতদিন পাতা ভোজন করে ও জলপান করেছিলেন। পুনঃ দশদিন কেবল বায়ু ভক্ষণ করেছিলেন। ২৮দিন পর মহাদেব তুষ্ট হয়ে বর দিলেন। তখন পাণিনি গদ্‌গদ্ চিত্তে তাঁকে বললেন–হে ঈশ, লিঙ্গস্বামী, গিরিজাপতি, আপনাকে প্রণাম। নদীস্থিত, বিদ্যা ও অভয়প্রদানকারী, পাপনাশক, ভর্গ, অখন্ড, লোককল্যাণকামী আপনাকে বারংবার প্রণাম। হে দেব, আপনি যদি আমার উপর কৃপা করেন তাহলে মূল বিদ্যা প্রদান করুন।।১-৯।।

সূতজী বললেন–মহাদেব প্রসন্ন চিত্তে তাঁকে ‘অইউণ’ ইত্যাদি বর্ণময় সূত্র প্রদান করলেন। জ্ঞানরূপসাগর যেখানে রাগদ্বেষাদি মল অপহৃত হয়। তাতে স্নান করলে সমস্ত তীর্থস্নানের ফল লাভ করা যায়। মানস সাগর হল মহাতীর্থ যেখানে ব্রহ্ম দর্শন হয়। হে বিপ্ৰ, ভগবান্ শিব পাণিনিকে সেই সূত্র প্রদান করে কৃত্যকৃত্য করলেন। অতঃপর রুদ্রদেব অন্তর্হিত হলে পাণিনি গৃহে এসে সূত্রপাঠ, ধাতুপাঠ, গণপাঠ তথা লিঙ্গসূত্র রচনা করে পরম নির্বাণ প্রাপ্ত হলেন। সুতরাং হে ভার্গবশ্রেষ্ঠ, তোমরা মানসতীর্থের আচরণ কর। কারণ তার থেকে গঙ্গার উৎপত্তি এবং তা পরম পবিত্র তীর্থ। যা আগেও ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে।।১০-১৫।।

সকল অধ্যায়

১. কথা প্রস্তাবনা
২. সৃষ্টি বর্ণন
৩. সর্বসংস্কার বর্ণন
৪. সাবিত্রী মাহাত্ম্য
৫. স্ত্রী শুভাশুভ লক্ষণ
৬. তৃতীয়া কল্প বিধি বর্ণন
৭. চতুর্থী কল্প বর্ণন
৮. পঞ্চমী কল্পে নাগপঞ্চমী ব্ৰত বৰ্ণন
৯. ধাতুগত বিষ লক্ষণ সমূহ
১০. ষষ্ঠীকল্পে কাৰ্ত্তিক ষষ্ঠীতে স্কন্দ পূজা
১১. ষষ্ঠীকল্পে ব্রাহ্মণ্য বিবেক বর্ণন
১২. সপ্তমী কল্প ব্ৰত বৰ্ণন
১৩. সপ্তমী কল্প বর্ণনে কৃষ্ণ-সাম্ব সংবাদ
১৪. আদিত্য নিত্যারাধনবিধি বর্ণন
১৫. রথ সপ্তমী মাহাত্ম্য বর্ণন
১৬. সূর্যযোগ মাহাত্ম্য বর্ণন
১৭. সূর্যের বিরাট রূপ বর্ণন
১৮. আদিত্যবার মাহাত্ম্য বর্ণন
১৯. সৌরধর্ম মাহাত্ম্য বর্ণন
২০. ব্রহ্মকৃত সূর্যস্তুতি বর্ণন
২১. বিবাহ বিধি বর্ণন
২২. স্ত্রীগণের গৃহধর্ম বর্ণন
২৩. স্ত্রীধর্ম বর্ণন
২৪. ধর্ম স্বরূপ বর্ণন
২৫. ব্রহ্মাণ্ডোৎপত্তি বিস্তার বর্ণন
২৬. পুরাণ ইতিহাস শ্রবণ মাহাত্ম্য
২৭. পূর্তকর্ম তথা বৃক্ষ রোপণ
২৮. বিবিধ বিধিকুণ্ড নির্ণয়
২৯. হোমাবসানে ষোড়শোপচার বর্ণন
৩০. যজ্ঞ ভেদে বহ্নিনাম বর্ণন
৩১. স্রুবাদর্বী পাত্র নির্মাণ
৩২. ব্রাহ্মণ লক্ষণ তথা ব্রাহ্মণ কর্তব্য বর্ণন
৩৩. গুরুজন মাহাত্ম্য বর্ণন
৩৪. আহুতি হোম সংখ্যা বর্ণন
৩৫. কুন্ড সংস্কার বর্ণন
৩৬. বিবিধ মন্ডল নিৰ্মাণ বৰ্ণন
৩৭. সুদর্শনান্ত নরপতি রাজ্যকাল বৃত্তান্ত
৩৮. ত্রেতাযুগীয়ভূপ বৃত্তান্ত বর্ণন
৩৯. দ্বাপরযুগীয় ভূপ বৃত্তান্ত বর্ণন
৪০. ম্লেচ্ছযজ্ঞ বৃত্তান্ত তথা কলিকৃত বিষ্ণু স্তুতি বর্ণন
৪১. ম্লেচ্ছবংশ বর্ণন
৪২. আর্যাবর্তে ম্লেচ্ছগণের আগমন
৪৩. কলিঞ্জর অজমেরপুরাদি বর্ণন
৪৪. পদ্মাবতী কথা বর্ণন
৪৫. মধুমতী বরনির্ণয় কথা বর্ণন
৪৬. সত্যনারায়ণ কথা বর্ণন
৪৭. সত্যনারায়ণ ব্রতে চন্দ্রচূড় নৃপকথা বর্ণন
৪৮. সত্যনারায়ণ ব্ৰতে ভিন্ন কথা বর্ণন
৪৯. শতানন্দ ব্রাহ্মণ কথা বর্ণন
৫০. সাধু বণিক কথা বর্ণন
৫১. সাধু বণিক কারাগার মুক্তি
৫২. পাণিনি মহর্ষি বৃত্তান্ত বর্ণন
৫৩. তোতাদরীস্থ বোপদেব বৃত্তান্ত বর্ণন
৫৪. পতঞ্জলি বৃত্তান্ত বর্ণন
৫৫. জায়মান ঐতিহাসিক বৃত্তান্ত বর্ণন
৫৬. ভরতখন্ডের অষ্টাদশ রাজ্যস্থান বর্ণন
৫৭. শালিবাহন বংশীয় নৃপতি বৰ্ণন
৫৮. ভোজরাজ বংশের অনেক ভূপাল রাজ্য বর্ণন
৫৯. জয়চন্দ্র তথা পৃথ্বীরাজের উৎপত্তি
৬০. সংযোগিনী স্বয়ম্বর বর্ণন
৬১. ইন্দ্রের ঘোটকীদান
৬২. কৃষ্ণাংশ চরিত্র বর্ণন
৬৩. মহীরাজ পরাজয়াদি বৃত্তান্ত বর্ণন
৬৪. কৃষ্ণাংশের কাছে রাজগণের আগমন
৬৫. পৃথ্বীরাজ দ্বারা গুর্জর রাজ্য গ্রহণ
৬৬. জয়ন্তাবতারবৃত্তান্ত বর্ণন
৬৭. চন্ডিকা দেবী বাক্য বর্ণন
৬৮. বলখানি বিবাহ বৃত্তান্তবর্ণন
৬৯. ব্রাহ্মণদের বিবাহ বৃত্তান্ত
৭০. হংসপদ্মিনী বর্ণন
৭১. ইন্দুল পদ্মিনীর বিবাহ
৭২. চন্দ্র ভট্টের ভাষা গ্ৰন্থ
৭৩. মহাবতীর যুদ্ধ বর্ণন
৭৪. কৃষ্ণাংশের – শোভা সংবাদ
৭৫. সমস্ত নৃপের সংগ্রাম এবং নাশ
৭৬. ব্যাস দ্বারা ভবিষ্য কথন
৭৭. অজমের তোমর নরেশ কর্ম বর্ণন
৭৮. শুক্ল বংশ চরিত্র
৭৯. পরিহর ভূপ বংশ বর্ণন
৮০. ভগবতারাদিবৃত্তান্ত
৮১. দিল্লীর ম্লেচ্ছ রাজা
৮২. চৈতন্য এবং শংকরাচার্য্য উৎপত্তি
৮৩. রামানুজোৎপত্তিবর্ণন
৮৪. কবীর – নরশ্রী – পীপা – নানক-বৃত্তান্ত
৮৫. চৈতন্য বর্ণনে জগন্নাথ মাহাত্ম্য
৮৬. আকবর বাদশাহ বৰ্ণন
৮৭. কিল্কিলার শাসক বর্ণন
৮৮. মঙ্গলাচরণ
৮৯. ব্রহ্মান্ড উৎপত্তি এবং বর্ণন
৯০. সাংসারিক জীবনের দোষ
৯১. অনন্তচতুর্দশী ব্রত মাহাত্ম্য
৯২. অধর্ম ও পাপের ভেদ
৯৩. শুভাশুভ গতি ও যমযাতনা
৯৪. শকট ব্রত মাহাত্ম্য
৯৫. তিলক ব্রত মাহাত্ম্য
৯৬. অশোক ব্রত মাহাত্ম্য
৯৭. বৃহৎ তপো ব্রত মাহাত্ম্য
৯৮. যমদ্বিতীয়া ব্রত মাহাত্ম্য
৯৯. অশূন্যশয়ন ব্রত মাহাত্ম্য
১০০. গোষ্পদ তৃতীয় ব্রত মাহাত্ম্য
১০১. হরিতালী তৃতীয়া ব্ৰত মাহাত্ম্য
১০২. ললিতা তৃতীয়া ব্রত মাহাত্ম্য
১০৩. অক্ষয় তৃতীয়া ব্রত মাহাত্ম্য
১০৪. বিনায়ক চতুর্থী ব্রত মাহাত্ম্য ও বিধান
১০৫. গ্রন্থ পরিচয় ও সমাপ্তি

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন