বুকজলে – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী

অমরেন্দ্র চক্রবর্তী

মাঝ রাতে ঘরে খলবল করে জল ঢোকার শব্দে সুধীন ঘুমের মধ্যেই ঝাঁকুনি খেয়ে উঠে বসল । ভয়ে তার চোখ বড় হয়ে গেছে । অন্ধকার ফুঁড়ে ঘরের মেঝে তন্ন-তন্ন করে দেখল । কোথায় জল? এতক্ষণ সে দম বন্ধ করে ছিল, এই প্রথম নিশ্বাস নিল ।

আচমকা ঘুম ভাঙলেই চ্চাং করে সুধীনের মাথা ধরে যায় । এখন তার সিগারেট না খেয়ে উপায় নেই । মশারি তুলতে গিয়ে অন্ধকারে প্রীতির বেণীর ওপর হাত পড়তেই সে দারুণ চমকে উঠল, সাপ! পরের মুহূর্তে ভুল বুঝতে পেরে ভয়ের বদলে তার রাগ চড়ে যায় । রোজ রোজ বেণী বেঁধে শোওয়া— ভালগার, বীভৎস অভ্যেস!

টেবিল ল্যাম্প জ্বালিয়ে সিগারেট ধরাচ্ছে, হঠাৎ কবরের দিকের বন্ধ জানলাটা খুট-খুট করে দুবার নড়ে উঠল । হাওয়ার জোর আবার বাড়ছে । সিগারেট না-ধরিয়ে সে প্রায় তিন মিনিট কান খাড়া করে রাখল । ফ্যানের শব্দে বোঝা যায় না, উঠে গিয়ে পাখা বন্ধ করে জানলার কাছে এগিয়ে গিয়ে ভালো করে শুনল, না বৃষ্টি আর হচ্ছে না । তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টি আজই প্রথম থামতে দেখে সুধীন শুতে গিয়েছিল, এর মধ্যেই আবার শুরু হলে আর কথা ছিল না! কলকাতা প্লাবনের কিনারে । ঢেউয়ের সঙ্গে লড়ছে । গোটা পশ্চিমবাংলাই প্রায় জলের তলায় । বৃষ্টিতে সকলের মতোই সুধীন একদম মুষড়ে পড়েছে । সবচেয়ে ভয় তার নিজের বাড়ি নিয়ে । সবে দেওয়াল উঠছিল, এই বৃষ্টিতে গাঁথনি কি আর না-ধুয়ে গেছে! বালিগঞ্জ প্লেসে ওই একচিলতে জমির জন্য সে কী না করেছে! অফিসে সততা বলতে তার আর কিছুই রইল না । মনে পড়ে এই নিঃশব্দ রাতেও তার মাথার পিছন দিকে নতুন আরেকটা ব্যথা দপ-দপ করতে লাগল । বলতে গেলে, পুরোপুরি চরিত্র খুইয়ে সে নিজের বাড়ি তুলছে । যারা তাকে সাহস করে কোনওদিন ঘুষ দিতে পারেনি, বাড়ির জন্য তাদের কাছেও সুধীন নিজেই হাত পেতেছে । তার যৌবন প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে, চিরকাল একটা কবরখানার পাশে ভাড়া বাড়িতে জীবন কাটবে নাকি! অধঃপতনের আরও জোরালো যুক্তি সে তৈরি করে নিয়েছিল, মাইনের টাকায় একটু ভালো এলাকায় বাড়ি বদলের কথা আজকাল ভাবাও যায় না । রাতে বৃষ্টি না থামলে সুধীন আজ ঘুমোতে পারত কিনা সন্দেহ ।

রাস্তার দিকের জানলা খুলে সুধীন জল দেখল । জলের ওপর ভাঙা-ভাঙা আলো । এলোমেলো দুলছে । নিজের পাড়া একদম অচেনা লাগে । দেওয়ালের গায়ে পুরনো ভোট দিন লেখাটার মাথার দিকটা একটুখানি জেগেছে । তার মানে, এখনও অন্তত কোমরজল । সকালে আরেকটু কমবে নিশ্চয়ই । রোদের আশা আছে কিনা এখনই বোঝবার উপায় নেই । এই ধরনের অনিশ্চয়তায় বিরক্ত হয়ে ওঠা সুধীনের স্বভাব । সিগারেটের টুকরো রাস্তার জলে ছুড়ে দিয়ে ফ্যান চালিয়ে দিল । তারপর বাথরুমে । ঘাড়ে-মাথায় জল দেওয়া দরকার । পাম্প জলের তলায়, দুদিন ট্যাঙ্কে জল উঠছে না, পলিথিনের বালতিতে অল্প একটু জল ধরা আছে । হাত ভিজিয়ে মুখে-ঘাড়ে বুলিয়ে নিয়ে বাথরুমের আয়নায় অভ্যেসবশত মুখ দেখতে দেখতে সুধীন নিজের মনে ভাবল, আশ্চর্য, দুঃস্বপ্ন ঠেকাবার কোনও উপায় মানুষের হাতে নেই!

ঘরে এসে আলো নেভাবার আগে সে বিছানার কাছে ঝুঁকে প্রীতির বেণীটা তার বুকের ওপর তুলে দিল । ‘আঃ সঞ্জয়!’ বলে প্রীতি বিড়বিড় করে ছেলেকে একবার ধমক দিল । ঘুমের মধ্যেও তার ভুরু অবিকল কুঁচকে গেল ।

বিছানায় শুয়ে, অন্ধকারে সুধীনকে ছেলের ভাবনা পেয়ে বসে । নরেন্দ্রপুরের জল নেমে যাচ্ছে, রেডিও শুনেছে, পরশুর কাগজেও পড়েছে । তাছাড়া স্কুল হোস্টেল উঁচু জমিতে । সঞ্জয়ের ঘর দোতলায় । টেলিফোন অচল না হলে সরাসরি কথাও বলা যেত । সব যুক্তি সাজিয়েও সুধীনের বুকটা খালি-খালি লাগে । ঠিক আছে, সে আজকাল ঘুষ-টুস নিচ্ছে, কিন্তু ছেলের ভবিষ্যতের ভাবনা তার হয়ে আর কে ভেবে দিচ্ছে? এই পৃথিবীতে ছেলেকে এক টুকরো জমি, একটা নিজস্ব মাথা গোঁজার জায়গা দিয়ে যাওয়া বাবার কর্তব্য নয়? ধর্ম নয়? বালিগঞ্জ প্লেসের বাড়িতে সুধীন কিন্তু চিরকাল থাকবে না, ও-বাড়ি ভোগ করবে সঞ্জয় । ছেলেকে সুধীনের স্নেহোপহার ।

বালিশে কান চেপে শুয়েছিল, বৃষ্টির শব্দে এক ঝটকায় মাথা সোজা করল— না, ফ্যানের শব্দ! বার কয়েক বালিশে কান চেপে তারপর মাথা সোজা করে সুধীন স্পষ্ট বুঝতে পারল, কান চেপে শুলেই বৃষ্টির শব্দের মতো আওয়াজ হয় । ঠিক মনে হয়, শোঁ-শোঁ হাওয়া, সঙ্গে ঝমঝম বৃষ্টি ।

প্রীতি পাশ ফিরল । আবার কী-একটা বলল বিড়বিড় করে । সুধীন শোনবার চেষ্টা করল না । চিৎ হয়ে শুয়ে তার বাড়ির বিষয়ে ভাবতে ভাবতে সবে একটু তন্দ্রা মতো এসেছে, হঠাৎ খুব স্পষ্ট বৃষ্টির শব্দ শুনে তার চোখ টান হয়ে খুলে গেল । সে উৎকর্ণ হয়ে খানিকক্ষণ শুনল । ঠিক মুষলধারে বৃষ্টি পড়ার শব্দ । শিয়রের দিকে ঘাড় উল্টিয়ে খোলা জানলায় চোখ রেখে সে অবাক । অনেকক্ষণ ওইভাবে তাকিয়ে থেকে তার ঘাড়ের ব্যথা বেড়ে গেল । আশ্চর্য, আকাশ থেকে এক ফোঁটা জলও পড়ছে না । অথচ শব্দটা ঠিকই শুনতে পাচ্ছে । খুব ঝমঝম বৃষ্টির টানা শব্দ ।

বিছানা থেকে নেমে সে কবরের দিকের জানলা খুলে বাইরে তাকাল । ঝাপসা অন্ধকারে নারকেল গাছের পাতা অল্প-অল্প নড়ছে । একটা কুকুর বা শেয়াল জলের মধ্যে ছল-ছল শব্দ করে হেঁটে যাচ্ছে । বৃষ্টি তো নেই!

ড্রয়ার খুলে বাইনোকুলার বের করে সুধীন চোখে লাগাল । দূরের গাছপালার পাতা কাঁপছে । বাঁদিকে একটা গাছের ডালে অন্ধকারের সঙ্গে মিশে গিয়ে ঝুপসি মেরে বসে আছে সারি-সারি কতগুলো শকুন । সুধীন নিজের প্রায় অজান্তে গুনে ফেলল, সতেরোটা । কিন্তু কোথাও সামান্য ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও তার চোখে পড়ল না । শব্দটা তখনও সে স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে । একটানা, ঝমঝম ।

শব্দ করে জানলা বন্ধ করে সে বিছানায় ফিরে এল । প্রীতিকে প্রায় ধাক্কা দিয়ে জাগিয়ে বলল, শোনো তো, কোনও শব্দ শুনতে পাচ্ছ?

হঠাৎ ঘুম ভেঙে প্রীতি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছে । আধ মিনিট ফ্যাল-ফ্যাল করে চেয়ে থেকে সে প্রশ্নটা বুঝতে পেরে শোনবার চেষ্টা করে হালকা গলায় বলল, বৃষ্টি দেখছি থেমেছে ।

প্রীতি যখন শুতে যায়, তখনও তিনদিনের বৃষ্টি থামেনি । সে উঠে বসে লম্বা হাই তুলল— কিসের শব্দ বলছিলে?

— তুমি কিছু শুনতে পাচ্ছ না?

— কই, না । তুমি স্বপ্ন দেখেছ ।

প্রীতি বিছানা থেকে নেমে দরজার দিকে যাচ্ছে, সুধীন বলল, মাথা ধরার ট্যাবলেট আছে?

ট্যাবলেট আর আধ গেলাস জল দিয়ে প্রীতি বলল, কাল ছেলেটাকে বাড়ি নিয়ে আসা যায় না?

তারপর জানলা দিয়ে রাস্তার জল দেখে আবার বলল, এর মধ্যেও দুটো লোক গামছা দিয়ে মাছ ধরছে! বাব্বা, যা জল! বাড়িটার যে কী অবস্থা হয়েছে কে জানে । আবার নতুন করে না গাঁথতে হয়!

সুধীনের হাত থেকে গেলাস নামিয়ে রেখে সে দরজার দিকে এগিয়ে গেল— বাথরুমে যাচ্ছি, আলো নিভিয়ে দিই?

সুধীন হাত দিয়ে চোখ ঢেকে ছিল, চোখ না খুলেই বলল, দাও ।

খানিক পরে প্রীতি ফিরে এসে দরজা বন্ধ করতে করতে বলল, বাথরুমে যা গন্ধ হয়েছে, টেকা যায় না ।

ততক্ষণে সুধীনের নাক ডাকছে ।

পরদিন সকালে দশ টাকায় একটা রিকশাওলাকে রাজি করিয়ে আধ মাইল নদী ভেঙে সুধীন কোনওরকমে বালিগঞ্জ প্লেসে পৌঁছে দেখল, তার সাধের দেওয়াল বুক জলে মড়ার মতো ভেসে আছে । পাশেই ছোট একটা ঘর আগেভাগে ঢালাই করিয়েছিল, তার মধ্যে সিমেন্ট-টিমেন্ট রেখেছে, সেখানে ছ-সাত জন মেয়ে-পুরুষ বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে সংসার পেতে আছে । সুধীন উঁকি মেরে দেখল সিমেন্টের বস্তাগুলোর ওপর ভিজে কাঁথা-কাপড় স্তূপাকার । বড়-বড় কাঠের বারকোশ জলে ভাসিয়ে তার ওপর খিচুড়ির বালতি চাপিয়ে কয়েকজন যুবক সুধীনের বাড়ির কাছে আসতেই সুধীন রাগ চাপবার চেষ্টা করে বলল, সিমেন্টের বস্তাগুলো বাঁচানো যায় না? ওই কাঁথা-টাথাগুলো সরিয়ে—

কাছাকাছি আরও চার-পাঁচটা সদ্য ছাদ-ঢালাই বাড়িতে দলে দলে নিচু বস্তি এলাকার মানুষ মাথা গুঁজেছে । যুবকদল ব্যস্ত হয়ে জলের মধ্যে খিচুড়ির বালতি নিয়ে এবাড়ি-ওবাড়ি পরিবেশন করছে । সুধীনের দিকে ফিরে তাকাবার তাদের সময় নেই ।

দরজা বসানো হয়নি, সেই খাঁজে উঠে দাঁড়ালে জল কম । সুধীন সেখানে দাঁড়িয়ে তার ক্ষতির পরিমাণ হিসেব করে । তার পায়ের কাছে অনেকক্ষণ থেকে একটা কুকুর খাঁজটায় ওঠবার চেষ্টা করে বার-বার পিছলে পড়ে গিয়ে কুঁই-কুঁই করছে । সুধীন খানিকক্ষণ হিসেব ভুলে কুকুরটার অধ্যবসায় লক্ষ করে । জল এখানে কম সেটা কুকুরেও বোঝে । কুকুরটার ঘোলাটে চোখে চোখ পড়ে সুধীনের বুকের মধ্যেটা অস্বস্তিতে শিরশির করে ওঠে ।

বেলার দিকে পাতলা একটু রোদ উঠেছিল, কিছুক্ষণ থেকে আবার মেঘলা । হঠাৎ ঝেঁপে বৃষ্টি এল ।

ঠান্ডা জলে দাঁড়িয়ে সুধীনের শীত-শীত করছিল, বৃষ্টিতে তার প্রচণ্ড কাঁপুনি ধরে গেল । সামান্য কুঁজো হয়ে কাঁপুনি সামলাতে সামলাতে সে ভাবল, এই ঘাতক পৃথিবীতে ছেলের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার ক্ষমতা কার আছে? দাঁতে দাঁত ঠুকে যাচ্ছে, হাড়ের মধ্যে শীত ঢুকে পড়ে সুধীনের সারা শরীর তন্ন-তন্ন করে ঝাঁকাচ্ছে, ওই অবস্থায় যুবকদলের একটি ছেলেকে সে প্রাণপণে ডাকতে চেষ্টা করল । তার এখন একটাই ইচ্ছে, খুব প্রবলভাবে তার ইচ্ছে করছে, ছেলেদের কাউকে ডেকে বলে— সিমেন্টের বস্তাগুলো জলের মধ্যে পর-পর ফেলেও যদি একটু উঁচু জায়গা করা যায় অন্তত একজন বিপন্ন প্রাণে বাঁচবে ।

বৃষ্টির ঝমঝম তার মাথার মধ্যে ঢুকে পড়েছে । জলের মধ্যে কুঁজো হয়ে পুরোপুরি বসে পড়ে সুধীন বিড়বিড় করল, কী করে মানুষ বাঁচবে, উঃ, কী ভয়ানক! ভগবান!

এক টুকরো ত্রিপল মাথায় দিয়ে একটা ছেলে তার খুব কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, যাবেন কোথায়?

সুধীন কাঁপুনিতে কথা বলতে পারছে না! কোনওরকমে বলল, একটা রিকশা ।

ছেলেটি জল ভেঙে বেশ তাড়াতাড়ি রিকশা নিয়ে এল । কুড়ি টাকায় পৌঁছে দেবে ।

রিকশায় উঠে সুধীন জল থেকে কুকুরটাকে তুলে নিল । পায়ের কাছে এলিয়ে পড়ে কুকুর থেকে থেকে হিক্কা তুলছে ।

জলের তলায় রাস্তার খোয়া উঠে খানা-খন্দ গিজগিজ করছে । রিকশা টলমল করে । সুধীন ঝাঁকুনি খেতে খেতে বাড়ির কাছাকাছি এসে দেখে, কুকুরটার আয়ু ফুরিয়ে এসেছে । জলে আটকা-পড়া একটা গাড়ির মাথায় সে কুকুরটাকে নামিয়ে দিল ।

বাড়ির সামনে রিকশা থেকে নেমেই সোজা ঘরের মধ্যে । কুকুর ধরেছিল, কাঁপতে কাঁপতে হাতে সাবান দিল । তারপর ভিজে জবজবে প্যান্ট-শার্ট ছেড়ে ডেটল-জলে তোয়ালে ভিজিয়ে গা-মাথা মুছতে মুছতে প্রীতিকে বলল, রিকশাওলাকে দশটা টাকা দিয়ে দাও তো ।

প্রীতি গরম দুধ নিয়ে এসেছিল, দুধের গেলাস নামিয়ে রেখে টাকা নিয়ে বেরিয়ে গেল ।

জামা-কাপড় বদলে, বিছানার চাদরে গা-মাথা মুড়ি দিয়ে গরম দুধে চুমুক দিতে দিতে সুধীন রাস্তায় রিকশাওলার চেঁচামেচি শুনল । দুধ শেষ করে সিগারেট ধরিয়ে জানালার কাছে গিয়ে চেঁচিয়ে বলল, এক টাকা ভাড়া, জলের মধ্যে দশ টাকা দিয়েছি, যা ভাগ! আঃ, দরজাটা বন্ধ করে দাও না ।

স্ত্রীর কাছে বাড়ির অবস্থা বর্ণনা করতে করতে সুধীন একটা নতুন সিগারেট ধরিয়ে ভাবল, ভাগ্যিস, ছেলেদের সিমেন্টের বস্তাগুলো দান করে আসিনি!

শীতে চাদরের সুখই আলাদা, সুধীন খুব আয়েস করে ধোঁয়া ছাড়ল । আজ না-হোক কাল তো রোদ উঠবেই । চিরকাল কিন্তু মেঘলা আর বৃষ্টি আর বন্যা থাকবে না!

প্রথম প্রকাশ: যুগান্তর, ৫ নভেম্বর ১৯৭৮

সকল অধ্যায়

১. নিমফুলের মধু – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
২. গৃহ – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
৩. হাতেখড়ি – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
৪. ধুলো – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
৫. সন্ন্যাসীর পুঁথি – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
৬. শেতলের খিদে – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
৭. ভয় – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
৮. শোধ তোলা – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
৯. মানুষ-মুনিষ – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
১০. ঠাকুরদার বাড়ি – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
১১. নৌকোবদল – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
১২. হলদী নদীর তীরে – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
১৩. ছোঁ – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
১৪. বুকজলে – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
১৫. ঘোড়াদহের মাঠে – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
১৬. ঘুম – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
১৭. মন্থরোর মা অথবা রাজধানীর গল্প – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
১৮. ভাঙন – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন