ছোঁ – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী

অমরেন্দ্র চক্রবর্তী

ভাগাড়ের দু-দিক

ভাত খেয়ে উঠে শীত শীত লাগে । উমা রোদে পিঠ দিয়ে হাঁটুর ওপর বাঁ-গাল রাখতেই ভাগাড়ের ওপারের ঝকঝকে রেলিংওলা বাড়িগুলো চোখের কাছাকাছি চলে আসে । ঠিক মনে হয় মস্ত বড় একটা ফটো । অনেকটা সিনেমার মতো । কাত হয়ে দেখার ফলেই হয়ত, ফটোটা একদিকে একটু হেলে আছে ।

উমার কিছু করবার নেই । বসে-বসে রোদ পোহায় আর মাঝে মাঝে দু-হাঁটুর ওপর গাল বদলায় । একবার এ-গাল একবার ও-গাল । এবার ডান গাল রাখতেই বাঁদিকের ডোবা, মাঠ, শ্যাওলা-পড়া শিবমন্দির, এলোমেলো কুঁড়েঘর, টিন-টালির চালা চোখে পড়ে । গলায় দড়ি গাছটার ঠিক পিছনেই একশো বছরের পুরনো একটা পাকা দালান । মাটি থেকে বুকসমান উঁচু ভিত, তার ওপরে ইটের গাঁথনি, মাথায় রীতিমতো কড়ি-বরগার ছাদ । ওই মন্দির আর ওই দালান আর কবেকার কোন সিঙ্গিদের লম্বা পোড়ো-বাড়িটাই ভাগাড়ের এদিকে একমাত্র পাকাবাড়ি । আর সব হয় মাটির, নয়তো মুলি বাঁশের ছ্যাঁচা বেড়ার । মাথায় খড়ের কালচে ছাউনি, নয়তো টিন বা টালি ।

গাল পাল্টাতেই ফের সেই ঝকঝকে ঘরদালান । কোথাও কোথাও রুপোলি রেলিং, রোদ ঠিকরোচ্ছে । কী থেকে কী হয়! জলা জায়গাটা দেখতে দেখতে কী হয়ে গেল! দশ বছর আগেও ওখানে সারাদিন কাঠের পাটায় কাপড় আছড়ানোর ছটছটাং শব্দ উঠত । এখনও চোখ বুজলে উমা কাপড়ের পাক খেয়ে লকলকিয়ে আকাশে উঠে যাওয়া দেখতে পায় । এখন আর ধোপাডাঙা নামটাও কেউ বলে না । ছোটরা জানেই না ।

গাল পাল্টাতে গিয়ে বেকায়দায় পিঠে খিঁচ ব্যথাটা চাগিয়ে উঠল । ঘন-ঘন হাঁটুর ওপর এ-গাল ও-গাল করা উমার প্রায় মুদ্রাদোষ । নতুন হয়েছে । এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিষ্কর্মার মতো বসে থাকার অভ্যেসটাও তার নতুন । আগের শীতে শুরু হয়েছিল; ঠিক শীতে নয়, বসন্তে । ঠিক-ঠিক হিসেব ধরলে, শীত-বসন্তের মাঝামাঝি সময়টায় । তা-ই । তখন শিমুলফুল প্রায় ঝরে গেছে । আমগাছে বউল এসেছে । পায়ের কাছেই এই সজনেগাছটায় সবে কচি কচি খাড়া বেরচ্ছে ।

এবার প্রথমে গলায় দড়ি গাছ । গাছটার ঝোপড়া মাথায় উমা চোখ বোলাল । আসলে চালতাগাছ । চির অফলা । একটা চালতাও কেউ কোনওদিন ফলতে দেখেনি । কে ওর ডালে কবে গলায় দড়ি দিয়েছিল কেউ জানে না, নামটা সবাই মেনে নিয়েছে । এ-নাম আর মুছবে না ।

হাঁটুর হাড়ে চোয়াল টাটাচ্ছে । উমা দু-হাত ভাঁজ করে জোড়া হাঁটুর ওপর বাহু রেখে সেই ফোঁকরে বাঁ-গালটা গুঁজে দিতেই তার মন দারুণ খুঁত খুঁত করে উঠল । গাল গরম! তার মানে বেলা পড়ে আসছে । প্রথম প্রথম সে বেলা শেষ হয়ে যাচ্ছে দেখলেই জ্বরের ভয়ে সিঁটিয়ে থাকত । রোদ গেলেই তার ঠিক জ্বর আসবে । এখন উল্টো । জ্বরটা তার একরকম সয়ে গেছে । এখন জ্বর এলেই সে অন্যরকম ভয় পায় । জ্বর আসছে মানে বেলা পড়ে আসছে । তার মানে একটু পরেই অন্ধকার । আজকাল তার নতুন ভয় অন্ধকারের ।

পিঠ-কোমর ধরে গেছে । হাঁটুতে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে উমার পিঠের ব্যথাটা শিরদাঁড়ার ভেতরের দিকে হ্যাঁচকা টান দিয়ে দপ-দপ করতে লাগল । সেই সঙ্গে গলা খুস-খুস করে কাশি । এক-আধ ঘণ্টার আগে থামবে না । কাশতে কাশতে গলাটা ভিজে-ভিজে লাগতে উমা চোখ বুজে ভাগাড়ের দিকে যতটা পারে দূরে থুঃ করল । রক্ত ফেলবার সময় উমা চোখ বুজে ফেলে ।

মানকচুগাছের ছায়া মুছে গেছে । উমা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাশে । ঘরের দিকে ফিরতে পারছে না, যদি আরও রক্ত ওঠে! এখানেই রক্ত ফেলবার সুবিধা ।

একটু আগেই ধোঁয়ায়-হিমে জড়িয়ে বাঁদিকের খানিকটা জায়গা সাদা মতো দেখাচ্ছিল, এর মধ্যেই ঝাপসা । ঝুপ-ঝুপ করে অন্ধকার নামছে । ভাগাড়ের ওপারে বড় বড় কাচের জানলায়, বারান্দায় আলো ফুটছে । কাছে দূরে পাঁচ-ছটা বাড়ি থেকে পাঁচমিশেলি ইংরিজি বাজনা ভেসে আসছে । এবার শ্যামা ফিরবে ।

উমার পিছনে মনসার বেড়াটা নড়ে উঠল । একটা শেয়াল বেড়া ফাঁক করে গলা অব্দি মুখ বাড়িয়ে থমকে গিয়ে উমার চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে পড়ল ।

শীত-বসন্ত

বসন্ত শামুক পুড়িয়ে চুন করছে, উঠোনের আরেক মাথায় কাঁচা উনুনে শীত বছরের প্রথম রস জ্বাল দিচ্ছে । সাত গাছের রস । কাঠের আঁচে, আস্তে আস্তে রং গাঢ় হচ্ছে । জ্বলন্ত একটা কাঠ উনুন থেকে বের করে একটা বিড়ি ধরিয়ে শীত কাঠটাকে আর উনুনে ঢোকাল না । উঠোনে আছড়ে-আছড়ে নিভিয়ে দিল । একটু পরে আরেকটা কাঠ বের করে ফেলল । তারপর সরু দেখে তিনটে শুকনো ডাল উনুনের তিন দিক দিয়ে গুঁজে দিল । উনুনে কাঠ গোঁজা, ঠিক সময় বুঝে কাঠ ঠেলে দেওয়া, জ্বলন্ত কাঠ বের করে নিয়ে ধিকিধিকি আঁচ তৈরি করা— গুড় জ্বাল দেবার এরকম শতেক রীতি আছে শীতের । একদম তার নিজস্ব । ভাগাড়ের ওপারের মা-দিদিমণি-বৌদিদের কাছে শীতের হাতের নলেন কি দানাগুড়ের খুব চাহিদা । পাশাপাশি ক-বাড়ি ঘুরেই তার কলসি খালি হয়ে যায় । গুড়ের সুখ্যাতি করে ঠিকই, তবে কোমর বেঁধে দর-দাম করতেও ছাড়ে না । কী গলা কাটা দাম রে বাবা— মুখে লেগেই আছে । শীত কাটবে তোমাদের গলা! আসলে পাঁচটা পয়সা কম দিতে পারলেও ওদের সুখ । কঞ্জুসের দেবী একেকটা! ধিকিধিকি একটা কাঠ উনুনে গুঁজে দিতে-দিতেই শীত মুখ ফিরিয়ে প্রায় লুকিয়ে থুতু ফেলল । গরম গুড়ের গন্ধ ছাপিয়ে শামুকপোড়ার দুর্গন্ধ নাকে লাগছে । বসন্তের কাছে আজ কটা টাকা ধার চাইবে, তাই লুকিয়ে থুতু ফেলতে হল । নাহলে শামুকপোড়া গন্ধ নিয়ে দু-ভাইয়ে প্রায় রোজই ঝগড়া লাগে ।

উঠোনের ধারে পাশাপাশি দুটো ঘরে দুজনের আলাদা সংসার । শীত ছোট, বসন্ত বড় । বড় মানে, মিনিট কয়েকের । যমজ ভাই ।

কাঠ ঠেলতেই আগুনের ফুলকি উঠে কালো ছাই হয়ে আকাশে ওড়ে । শীত হাতের তেলোয় মুখ আড়াল করে বসন্তর দিকে ফিরে গলা খাঁকরায়— বেচা-কেনা কেমন?

বসন্ত বিড়ি ধরাচ্ছিল, ধোঁয়া টেনে বলল, গুড় তো নয় ।

শীত কথা পেয়ে গেছে । টাকা মনে হয় মিলবে । গলায় উৎসাহ নিয়ে বলল, ভাগাড়পারের নন্দীবাবু বলছিল মেলা চুন কিনছে । দেশে বন্যা লেগেছিল না? গাঁয়ের পুকুর কুয়ো এখনও শোধন করা হচ্ছে । জলে বস্তা-বস্তা চুন ঢালছে ।

বসন্ত আগুন ছেড়ে উঠে এল । বিড়িতে জোরে জোরে তিনটে টান দিয়ে বিড়িটা শীতের হাতে দিয়ে বলল, দর কী দিচ্ছে?

ভালোই দেবে । তবে, কথা ওই, নন্দীবাবুকে একটু টাকা খাওয়াতে হবে ।

— কত?

— তা দু-চার কুড়ি খেয়ে যদি দু-চার শো ওগরায়, তোর লোকসান কিসের?

— নগদ?

শীত ঠিক বুঝে নেয় । তার মানে নগদ দাম পাবে কিনা জানতে চাইছে । উত্তেজনার সময় বসন্ত বেশি কথা বলে না, দুটো-একটা শব্দেই কাজ সারে ।

শীত আগুনের আঁচে আড়চোখে বসন্তের আঙুলের খাঁজে দগদগে হাজা দেখতে-দেখতে বলল, ধরে পড়লে কি আর দেবে না! কলকাতার ব্যাপারীরা তো সারা বছর ঘোরায় । জলে জলে হাতের চ্যায়রা কী করেছিস?

টাকার কথাটা কীভাবে তোলা যায়, শীত সুযোগ খোঁজে । হাত একদম ফাঁকা । এদিকে সন্ধে বয়ে যাচ্ছে । সন্ধেবেলাটা একটু নেশা না হলে শীতের চলে না । দু-পা গেলেই হোড়ের দোকান । বসন্তকে ভালো মতো বাগে আনতে হঠাৎ সে আস্ত একটা বিড়ি এগিয়ে দিল ।

নয়া রাস্তা

গলায় দড়ি গাছটার বিশ-তিরিশ হাত দক্ষিণে নতুন রাস্তার কাজ চলছে । পিচ-বাঁধানো বিরাট চওড়া রাস্তা হবে । তেরো মাইল লম্বা । আগের স্টেশন থেকে শুরু হয়েছে । শেষ হবে পূর্ব কলকাতার বড় রাস্তায় । সামনের বছর থেকে সরাসরি কলকাতা অব্দি বাস চলবে । সরকারি বাস । এখন সারাদিনে দুটো মাত্র মিনি চলে, সেটাই অন্তত পাঁচগুণ বাড়াবে । আসল সুবিধে ভাগাড়পারের বাবুদের । কাঁচা রাস্তায় তাঁদের মোটরগাড়ির টায়ার খারাপ হয়ে যাচ্ছে ।

রাস্তার ধারে মাঠে সারি সারি তাঁবু পড়েছে, ওইসব জায়গায় এবছর ধান হয়নি । খেতের ওপর এখানে-ওখানে চায়ের দোকান উঠেছে ।

সবচেয়ে বড় দোকান ভাগাড়পারের খোকন হোড়ের । তিনতলা বাড়ির ছেলে । বাপ বড় কোম্পানিতে মস্ত চাকরি করে । ঝকঝকে গাড়ি চড়ে অফিস যায় । বাড়ির দেওয়ালে ঘর ঠান্ডা-গরম করা যন্ত্র । সেই বাড়ির ছেলে সুযোগ বুঝে মাঠের মধ্যে দিব্যি দোকান খুলে বসেছে । রাস্তা তৈরির কন্ট্র্যাক্টর ইঞ্জিনিয়ারবাবুরা জানেন, চা-সিগ্রেট ছাড়াও আরেকটা জিনিস হোড়ের দোকানে দেদার পাওয়া যায় । অবশ্য লেনদেন হয় একটু গোপনে । আশপাশে পাঁচ-সাত মাইলের মধ্যে আর দোকান নেই, ফলে হোড়ের এখন পোয়াবারো । দু-হাতে টাকা কামাচ্ছে ।

ইঞ্জিনিয়ার অতীশ রায় চামড়ার ফুলহাতা জ্যাকেট সত্বেও একটা শাল মুড়ি দিয়ে দোকানের সামনে এসে দাঁড়াল । দু-প্যাকেট সিগারেট কিনে একটা প্যাকেট থেকে সিগারেট বের করতে করতে হোড়ের দিকে তাকিয়ে চোখ টেপে । একটু পরে দুজনেই দোকানের পিছনে চলে যায় । অতীশ টাকা বের করে দিয়ে কাগজে মোড়া বোতলটা হোড়ের হাত থেকে নিয়ে শাল চাপা দিয়ে তাঁবুতে ফেরে ।

শ্যামা তাঁবুর পিছনে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে হাঁপাচ্ছে । এতটা পথ দৌড়ে এসেছে । সময় নষ্ট না করে ফিরে যাবে কিনা ভাবছিল, অতীশকে দেখে হাঁপাতে হাঁপাতেই বলল, আমার দিদির খুব অসুখ । শিগগির ডাক্তার ডাকতে হবে । দশ-কুড়িটা টাকা দিন ।

— তুমি আজ আসবে না মন্দিরে?

— দিদি মুচ্ছো গেছে । ভাগাড়ের কাছে পড়েছিল ।

সন্ধেটা না মাটি হয়! অতীশ বিরক্তি চেপে দুটো দশ টাকার নোট ঝট করে শ্যামার হাতে গুঁজে দিয়ে বলল, ও কিছু না । অনেকেরই ও রকম একটু-আধটু মূর্ছা-টুর্ছা হয় । ঠিক সাতটায় চলে যেও ।

— বলছি না দিদি মরতে বসেছে ।

অতটা ঝেঁঝে ওঠা ঠিক হয়নি, শ্যামা গলা পালটে বলল, দিদি সুস্থ হলে দেখা করব ।

— টাকাটা বরং রেখে যাও, আমি যাবার সময় নিয়ে যাব ।

মানুষ না পশু । শ্যামার মতো মেয়েরও মাথায় আগুন ধরে যায় । তখনও হাঁপাচ্ছে, নোট দুটো অতীশের পায়ের কাছে ছুড়ে দিয়ে সে উলটো মুখে ছুটল ।

ভাগাড়পারের নবনীতাবৌদি উল বুনতে বুনতে টি ভি দেখছিলেন । বেল শুনে চাকরটা দরজা খুলে দিতেই তিনি ঘাড় ঘুরিয়ে অসময়ে শ্যামাকে দেখে ভুরু কোঁচকালেন ।

শ্যামা অসম্ভব হাঁপাচ্ছে । তার মধ্যেই গলা তুলে বলল, দিদি মরে যাচ্ছে, গোটা কুড়ি টাকা দিতে পারেন? আপনার পায়ে পড়ি বৌদি!

— তুই তো সামনের মাসের পুরো মাইনে নিয়ে নিয়েছিস । কী করে দেব?

নেভানো আগুন

বসন্ত কোমরের গেঁজে থেকে বের করে তার থেকে চারটে টাকা নিয়ে বার বার গুনছে । শীত তার সামনেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উসখুস করে । উঠোনের দুটি আগুনই নিভে গিয়ে দুজনের পায়েই মশা কামড়াচ্ছে, সেদিকে খেয়াল নেই ।

শ্যামা ছুটতে ছুটতে এসে উঠোনে দাঁড়াল । দাঁড়াবার শক্তি নেই, কোনওরকমে টাল সামলায় । এই শীতেও ঘামে তার কপালে-গালে চুল লেপটে আছে । গাল বেয়ে ঘাম নামছে ।

শীত-বসন্ত দুজনেই একসঙ্গে চমকে তার দিকে তাকাল ।

এত হাঁপাচ্ছে, শ্যামার মুখে কথা ফুটতে চায় না । দম নিয়ে নিয়ে বসন্তকে বলল, জামাইবাবু! শিগগির চলুন । দিদি মরতে বসেছে । ভাগাড়ের কাছে পড়েছিল । আমি ঘরে তুলে দে এইচি । এক্ষুনি ডাক্তার চাই ।

বসন্ত একটু ঝুঁকে চটাস করে পায়ের গোছায় একটা মশা মেরে বলল, তা ভাগাড়েই ফেলে দিতিস ।

শীত এক ঝটকায় বসন্তর হাত থেকে টাকাগুলো ছোঁ মেরে নিয়ে তিন লাফে উঠোন পেরিয়ে যেতে যেতে শ্যামাকে বলল, কই, কোনদিকে? শিগগির দৌড়ে আয়!

প্রথম প্রকাশ : যুগান্তর, ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭৮

সকল অধ্যায়

১. নিমফুলের মধু – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
২. গৃহ – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
৩. হাতেখড়ি – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
৪. ধুলো – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
৫. সন্ন্যাসীর পুঁথি – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
৬. শেতলের খিদে – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
৭. ভয় – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
৮. শোধ তোলা – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
৯. মানুষ-মুনিষ – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
১০. ঠাকুরদার বাড়ি – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
১১. নৌকোবদল – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
১২. হলদী নদীর তীরে – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
১৩. ছোঁ – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
১৪. বুকজলে – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
১৫. ঘোড়াদহের মাঠে – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
১৬. ঘুম – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
১৭. মন্থরোর মা অথবা রাজধানীর গল্প – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
১৮. ভাঙন – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন