এতদিনে ভারতে সভ্য আইন

তসলিমা নাসরিন

নারীনিগ্রহ ছিল সকালে ঘুম থেকে ওঠার মতো, উঠে পেচ্ছাব করার মতো, দাঁত মাজার মতো, চা খাওয়ার মতো। নারীনিগ্রহ ছিল পাড়ার দোকান থেকে হাফ প্যাক সিগারেট কেনার মতো, প্রতিদিনকার বাসে চড়ার মতো, আপিস যাওয়ার মতো। ছিল লাঞ্চের পর একটু ঝিমিয়ে নেওয়ার মতো। ছিল রকের আড্ডার মতো, তালুতে খৈনি ডলে দু চিমটি মুখে দেওয়ার মতো। ছিল সন্ধ্যের দু পেগের মতো। টিভিতে ক্রিকেট দেখার মতো। রাতে খেয়ে দেয়ে ঢেঁকুর তুলে কুঁচকি চুলকোতে চুলকোতে বিছানায় যাওয়ার মতো। নারীনিগ্রহ ছিল এমনই নিরীহ, এমনই নগণ্য। এমনই নিত্যনৈমিত্তিক, এমনই নরমাল।

হঠাৎ করে কিসের মধ্যে কী? কী আবার, পান্তা ভাতে ঘি!

কী, গঞ্জে আইনবাবু এয়েচেন। আইনবাবু এখন চোখ রাঙিয়ে মানুষকে শাসাচ্ছেন, দুষ্টুমি করবি তো মরবি। এই দুষ্টের দেশে বলা নেই কওয়া নেই লালচক্ষুর ছড়ি ঘোরানো! আইনবাবুকে দেখে পুং-জনতা ত্রিশূল হাতে বেরিয়ে পড়েছে, লাল পতাকা ঝুলিয়ে যৌন-অনশনে নেমে গেছে। আইনবাবুকে গঞ্জ থেকে না খেদিয়ে কেউ অন্ন মুখে দেবে না। হিংসের হিশহিশ শব্দ চারদিকে। সভ্যভব্য দেখতে লোকেরা তো নাক কুঁচকে বলেই যাচ্ছে, ‘আইন করে কিসসু হবে না, যে আইনের প্রয়োগ কস্মিনকালেও হবে না, সেই আইন প্রণয়ন করে আইনকেই হাসির বস্তু বানানো হলো।’ কোনও কোনও পুরুষ আবার দাঁত খিঁচিয়ে বলছে, ‘আইন তো নয়, যেন ফতোয়া।’ কেউ বলছে, আধুনিক সমাজে যত কম বাধানিষেধ জারি করা যায়, ততই মঙ্গল। সমাজ চলবে তার অভ্যন্তরীণ সংশোধনের তাগিদে। বাইরের হুকুমে নয়।

এই পচা পুরোনো সংস্কারে ঠাসা সমাজকে আধুনিক সমাজ বলে দাবি করার এবং এ নিয়ে গর্ব করার লোকের অভাব নেই এ শহরে। তাজ্জব হয়ে যাই ভাবলে, যে, ধর্মান্ধ পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কী করে কবে আধুনিক হলো! মেয়েদের এখনও ‘দেখতে আসে’ পুরুষেরা। বিয়ে করে পুরুষের বাড়িতে নিয়ে যায় মেয়েকে। বিয়ের পর মেয়েদের পরতে হয় শাঁখা সিঁদুর, পাল্টাতে হয় পদবি, কারও সম্পত্তি তারা, তা বোঝানোর জন্য। পুরুষকে কিন্তু কোনও বিবাহের চিহ্ন বহন করতে হয় না!

এই ‘আধুনিক’ সমাজেই স্ত্রীর ওপর শারীরিক মানসিক অর্থনৈতিক সব রকম অত্যাচারই চলে। কন্যাভ্রূণ হত্যা করা হয়, পুত্র-প্রসব না করলে গঞ্জনা সইতে হয়, এই তথাকথিত আধুনিক সমাজেই স্বামীর মৃত্যু হলে বিধবা স্ত্রীকে দুঃসহ জীবনযাপন করতে হয়, কিন্তু বিপত্নীক পুরুষকে কোনও গ্লানি ভোগ করতে হয় না। এই আধুনিক সমাজে স্বামী স্ত্রী দুজনই ঘরের বাইরে যাচ্ছে চাকরি করতে বা ব্যবসা করতে, কিন্তু ঘরে ফিরে দাসীর কাজটা করতে হয় স্ত্রীকেই, স্বামী তখন স্বামীর মতোই, প্রভু। যত আধুনিক হচ্ছে সমাজ, তত পণ্য হচ্ছে মেয়েরা। পুরুষের শরীর এবং মন তৃপ্ত করার জন্য মাপমতো শরীর তৈরি করতে হচ্ছে, সাজপোশাক পরতে হচ্ছে। এই আধুনিক সমাজেই তো ধর্ষণ, বধূহত্যা ও বধূনির্যাতন বহাল তবিয়তে বিরাজ করে। এই আধুনিক সমাজেই তো রং কালো বলে উপেক্ষা অবজ্ঞা পেতে পেতে গভীর হতাশায় ডুবে আত্মহত্যা করে মেয়েরা!

এই যদি হয় আধুনিকতার সংজ্ঞা! তবে বছর পেরোতে পেরোতে সূর্য তার জ্যোতি হারালেও, গ্রহগুলো এক এক করে কক্ষচ্যুত হলেও এই সমাজকে সত্যিকার আধুনিক করা দুরূহ হবে।

মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বড় কিছু ডিগ্রি নিলে, ছোট ছোট অাঁটো পোশাক পরে বাইরে বেরোলে, ডিসকোতে গিয়ে নাচলে, আর মদ সিগারেট খেলে সমাজ আধুনিক হয় না। আধুনিকতার সংজ্ঞা এত সংকীর্ণ নয়।

না। এ সমাজ আধুনিক নয়। সমাজে অসাম্যের দুর্গন্ধ। সংসারে আপোস। এই আপোসের নীতিরীতির নাম আর যা কিছুই হোক, ‘আধুনিকতা’ নয়। এ নিতান্তই প্রভু এবং দাসীর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান।

স্বামী দিনের পর দিন ধর্ষণ করছে স্ত্রীকে। এখন সেই ধর্ষণকে যদি ধর্ষণ বলে গণ্য করা হয়, কার তাতে আপত্তি থাকে? থাকে অগুনতি ধর্ষকদের। তারা এখন ফুঁসছে। ‘কী হলো কী, রাস্তার মেয়েছেলেকে তো জোর করে কিছু করছি না। আমার বউ আমার প্রপার্টি। আমার প্রপার্টিকে আমি যা ইচ্ছে তাই করবো। কার তাতে কী বলার আছে! সংসারের শান্তি নষ্ট করার আইন এনেছেন তেনারা!’

স্ত্রীরা পুরুষদের সম্পত্তি, এ কথা পুরুষ যেমন বিশ্বাস করে, পুরুষের সম্পত্তি নামক স্ত্রীরাও করে বা করতে বাধ্য হয়। বাধ্য হয় বলেই কোনও রকম যুক্তি ছাড়াই, কারণ ছাড়াই ঘরে ঘরে বিয়ে নামক জিনিসগুলো টিকে আছে। এখন সম্পত্তির আমি মালিক হলে যা ইচ্ছে তাই করবো, আর আমাকে নাকি যা ইচ্ছে তাই করতে দেবে না আইনবাবুরা। ভারতের সম্পত্তি আইন কী বলে? সেই আইন কি বলে না আমার সম্পত্তিতে আমার একচ্ছত্র অধিকার?

নারী যে পুরুষের সম্পত্তি নয়, সামাজিক সম্পর্ক থাকলেও- তা ক’জন জানে। যারা জানে, তারা ক’জন মানে? সমাজটা পুরুষতান্ত্রিক। একথা আমাদের ভুললে চলবে না যে সমাজটা পুরুষতান্ত্রিক। সমাজের হর্তাকর্তা পুরুষ। এই সমাজে দুএকটা মেয়ে ‘পৌরুষ’ দেখালো, পৌরুষ দেখিয়ে পুরুষের ক্ষমতা ছটাকখানিক খর্ব করলো তার মানে এই নয় যে ভাইস ভার্সা, পুরুষরাও নারীর সম্পত্তিস্বরূপ!

‘আইনের প্রয়োগ হবে না’- এই বলে আইনকে কটাক্ষ করা উচিত নয়। ঘোর অন্ধকার সমাজে আইনের সত্যিকার প্রয়োগ হতে হতে সময় লাগতে পারে। প্রথম প্রথম আড়ষ্টতা থাকবে আইনটিকে ব্যবহারের ব্যাপারে। লোকে ঘেন্না দেবে বলে মেয়েরা এগোবে না। মেয়েদের শাসানো হবে। মেয়েরা গুণ্ডাদের ভয় পাবে। কিন্তু কোনও একদিন তো প্রয়োগ হবে, কোনও একদিন তো কিছু মেয়ে মাথা উঁচু করে বিচার চাইবে এই আইনের আওতায়। দেয়ালে পিঠ লেগে যাওয়া মেয়েরা তো পুরুষের রক্তচক্ষু তুচ্ছ করে সামনে এগিয়ে যাবে। এবং এই সাহসী মেয়েদের দেখে আরও মেয়ের সাহস হবে আইনের আশ্রয় নেওয়ার। শয়তানি করে বদ পুরুষেরা পার পেয়ে যাবে, তা হবে না, ওদের ছাই দিয়ে ধরতে হবে। ওই ছাই-টিই হল আইনটি। আইন দিয়ে না ধরলে পিছলে যাওয়ার আশংকা বেশি। এতকাল তো বদএর পক্ষে এবং তাদের পিছলে যাওয়ার পক্ষেই ছিল যাবতীয় আইন।

‘আইন আইনের মতো পুস্তকে পড়ে থাকবে, প্রয়োগের নামগন্ধ থাকবে না’- এরকম যারা বলতে শুরু করেছিল, তাদের নস্যাৎ করে কিন্তু আইন প্রণয়নের পরদিনই তামিলনাড়ুর জোসেফ নামের এক লোক তার স্ত্রীকে পেটানোর দায়ে গ্রেফতার হয়েছে। কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে তবে তার মুক্তি। জোসেফরা এতকাল যে ভাবতো স্ত্রীকে যেমন ইচ্ছে মারবে পোড়াবে, তা আর হচ্ছে না। ভালোবাসা যদি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সৃষ্টি করতো তবে সেটিই হত আদর্শ সহাবস্থান। কিন্তু সেটি যদি না থাকে, তবে ভয়ই ভরসা। ভয় দেখিয়েই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ জাতি ধার্মিক জাতি, নরকের ভয় আছে বলেই নরম থাকে, যতটাই থাকে। ক্ষিধে পেলে, হিংসে পেলে, ক্রোধ জাগলে, রাগ উঠলে অন্যকে কামড়ানোর খামচানোর খুন করার উদ্রেক মানুষ নামক দ্বিপদী জীবের না হওয়ার কোনও কারণ নেই। কিন্তু নৈতিকতার শিক্ষা, ন্যায়-অন্যায়-বোধ জন্মের পর থেকে মানুষ অর্জন করতে থাকে বলে অনেক ইচ্ছেকে দমন করে। মেয়েদের বিরুদ্ধে করা কোনও অন্যায়কে অন্যায় বলে মনে না করার শিক্ষা পেয়ে যদি এই সমাজের পুরুষেরা বড় হয়ে থাকে, তবে তাদের নতুন করে শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা তো এভাবেই করতে হবে। এভাবে, আইন করে।

অন্যকে আঘাত দিও না, অন্যের ক্ষতি করো না, অন্যকে মেরো না- অন্যের নিরাপত্তার জন্য তো একশ একটা আইন আছে। সেই অন্যের মধ্যে নারীকে যুক্ত করার অভ্যেস কারওর নেই। মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য, মেয়েদের বাঁচাবার জন্য আইন থাকবে না কেন? বিশেষ করে সেই মেয়েদের, যে মেয়েরা পুরুষের সঙ্গে স্ত্রী, প্রেমিকা, মা, বোন, কন্যা ইত্যাদি সম্পর্কের দাবিতে বাস করতে বাধ্য হয়।

লিভ টুগেদার করা জুটি এবং বিয়ে করা জুটির জন্য একই আইন- এটিই বলে দেয় যে সভ্যতার পথে গুটিগুটি করে হাঁটছে সমাজ। কিন্তু প্রশ্ন হল, সব ধর্মাবলম্বীদের জন্যও তো আইনটি! আইনটির কোথাও লেখা নেই, এটি শুধু হিন্দুদের জন্য বা খ্রিস্টানদের জন্য বা সাঁওতালদের জন্য। এর অর্থ, আইনটি সব ধর্মের, সব জাতের মানুষের জন্য। মুসলিমদের জন্যও। কিন্তু, মুসলিম পারসোনাল ল-র সঙ্গে এই আইনের যখন পদে পদে বিরোধ হবে, তখন কী হবে? কোন আইনকে তখন প্রাধান্য দেওয়া হবে?

পুরুষেরা খেপে উঠেছে, তবে গঞ্জ থেকে যত সহজে তারা তাড়াবে ভেবেছে আইনবাবুকে, তত সহজে তাড়ানোটা বুঝি হচ্ছে না। আইনের প্রয়োজনীয়তা শহর বন্দর গ্রামের সর্বত্র আনাচ কানাচ থেকে অনুভূত হচ্ছে। কেউ কেউ বলছে বাড়ির কর্তার বিরুদ্ধে এই আইন খাটালে পরিবারে ঝগড়াঝাঁটি, অশান্তি, ভুলবোঝাবোঝি, হিংসেহিংসি সব বাড়বে। ভাবটা এমন, এখন কোনও ঝগড়াঝাঁটি হিংসেহিংসি বলতে নেই। এখন বেশ ভালোবাসায় ভরে আছে সংসার। এই নিগ্রহ আইনেই কিন্তু মেয়েদের সব সমস্যার সমাধান লেখা হয়ে যায়নি। বিয়ে-বিচ্ছেদের পর মেয়েকে খালি হাতে বেরিয়ে যেতে হয়, বড়জোর সঙ্গে পায় স্ত্রীধন। কিন্তু পঞ্চাশ পঞ্চাশ হিসেবে দাম্পত্যজীবনে অর্জিত সহায় সম্পদগুলোর ভাগবাটোয়ারা হয় না। ভাগ করে দেবার জন্য আইনবাবু কবে আসবেন? আইনবাবুর কিন্তু আরও কাজ বাকি, আরও অনেক কিছু সমান ভাগে ভাগ করার কাজ। উনি গঞ্জে যখন এসে বসেছেন, তখন যেন পুরুষগুলোর গালিগালাজে আর ত্রিশূলের গুঁতোয় বিদেয় হয়ে আবার মানবতার সব্বনাশ ডেকে না আনেন।

সূত্রঃ দৈনিক বাংলাদেশ-প্রতিদিন, ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৪

সকল অধ্যায়

১. লিঙ্গসূত্র
২. যৌবনে ছেলেরা ডেয়ারিং
৩. পতিতা প্রথা বন্ধ হোক
৪. অপ্রত্যাশিত
৫. বিয়ের প্রয়োজনীয়তা আদৌ আছে কি?
৬. পুরুষ নিয়ে মেয়েদের কাড়াকাড়ি বাড়াবাড়ি
৭. নারীর যৌন কামনা থাকতে নেই
৮. দেশ আর দেশ নেই
৯. আমার গৌরব, আমি স্বেচ্ছাচারী
১০. ধর্মে নেই, উৎসবে আছি
১১. বেলা যায় মেলা যায়
১২. তোমাকে অভিবাদন, এলফ্রিডা
১৩. যাই বল নইপল
১৪. আমার দেহ নিয়ে আমি যা খুশি করব
১৫. বাবা
১৬. সেক্সবয় (গল্প)
১৭. সকল গৃহ হারালো যার
১৮. অন্ধকার আমাকে গ্রাস করতে থাকে
১৯. মেয়েদের শরীর পুরুষের চোখে
২০. পৃথিবীর প্রাচীনতম নির্যাতন
২১. পেছনের দিনগুলো ধুসর ধুসর
২২. খারাপ মেয়ের গল্প (গল্প)
২৩. হুমায়ূন : পুরুষতন্ত্রের সম্রাট
২৪. তুই নিষিদ্ধ তুই কথা কইস না
২৫. অনুমতি না নিয়ে আমার শরীর স্পর্শ করেছিলেন সুনীল
২৬. পৃথিবীর পথে
২৭. পৃথিবীর পথে ২
২৮. মিডিয়া এবং মানুষ
২৯. নারীবিদ্বেষের কারণ পুরুষতন্ত্র
৩০. সন্ত্রাস
৩১. বিহারি সমস্যা
৩২. রঘু রাই এবং শরণার্থী
৩৩. এ লড়াই প্রাচ্যের সঙ্গে পাশ্চাত্যের নয়
৩৪. বেড়ালের গল্প
৩৫. ফিলিস্তিন এক টুকরো মাটির নাম
৩৬. পর্নোগ্রাফি
৩৭. সেইসব ঈদ
৩৮. কামড়ে খামচে মেয়েদের ‘আদর’ করছে পুরুষেরা
৩৯. সুন্দরী
৪০. ধর্ম থাকবে, নারীর অধিকারও থাকবে, এটা হয় না
৪১. সানেরার মতো মেয়ে চাই- আছে?
৪২. প্রতিবেশি দেশ
৪৩. বামপন্থীদের ভুল
৪৪. বাঙালির বোরখা
৪৫. শাড়ি ব্লাউজ
৪৬. বিয়ের বয়স
৪৭. সেইসব ঈদ
৪৮. ন্যাড়া কি বেলতলা যায়
৪৯. লতিফ সিদ্দিকী এবং মানুষের ধর্মানুভূতি
৫০. বাকস্বাধীনতার অর্থ কি এতটাই কঠিন?
৫১. কেন পারি না
৫২. নাবালিকা ধর্ষণ
৫৩. রেলমন্ত্রীর বয়স এবং বিয়ে
৫৪. চুমু চুমু চুমু চুমু
৫৫. এত ঘৃণা করে ওরা মেয়েদের!
৫৬. সুমন চট্টোপাধ্যায় থেকে কবির সুমন
৫৭. তারপর কী হলো
৫৮. কিছু প্রশ্ন। কিছু উত্তর।
৫৯. দূর থেকে হয় না
৬০. আরীব মজিদরা জেলের বাইরে থাকলে আমরা অনেকেই নিরাপদ নই
৬১. এতদিনে ভারতে সভ্য আইন
৬২. বোয়াল মাছের গল্প
৬৩. মেয়ে বলে ‘কম মানুষ’ নই
৬৪. উপন্যাস : ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে
৬৫. প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ব্যক্তিগত চিঠি
৬৬. ধর্মান্তরণ
৬৭. গণধর্ষণ
৬৮. নির্বাসিত একটি ছবির নাম
৬৯. শার্লি আবদো
৭০. কল্পনার রাজ্য
৭১. কোকো, খালেদা আর দেশের দগ্ধ সন্তানেরা
৭২. গরিবের গ্রেনেড
৭৩. বাংলা একাডেমির অসভ্যতা
৭৪. অভিজিৎকে যেভাবে চিনি
৭৫. নারী দিবস
৭৬. বাঘ আর বেড়াল
৭৭. বাংলাদেশিদের দেশপ্রেম
৭৮. বাক স্বাধীনতা
৭৯. স্যানিটারি প্যাডে প্রতিবাদ
৮০. বাংলাদেশের কী কী করা উচিত ছিল এবং ছিল না
৮১. বাংলা সংস্কৃতি চলবে কী চলবে না
৮২. ঢাকাও কমাতে পারে জ্যাম আর দূষণ
৮৩. গ্যালিলিও এবং তার ‘জারজ মেয়ে’
৮৪. লজ্জাহীনতা
৮৫. প্রচলিত নারীবিদ্বেষী শব্দ ও প্রবাদ
৮৬. নিজের গোলা শূন্য
৮৭. শৃংখল ভেঙেছি আমি
৮৮. দেশপ্রেম না থাকাও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার
৮৯. ঢাকার বইমেলা ও একটি প্রেমের গল্প
৯০. খুব কাছে ওত পেতে আছে আততায়ী
৯১. নারী দিবস
৯২. ভারত এবং গরু
৯৩. আমার প্রথম সংসার
৯৪. খাজুরাহোর অভিজ্ঞতা
৯৫. চীনের অভিজ্ঞতা
৯৬. আমার জন্য কথা বলার কেউ নেই…
৯৭. সমাজ কি থেমে আছে?
৯৮. পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ
৯৯. কিছু প্রশ্ন, কিছু আশা
১০০. এই বাংলাদেশ আমার অচেনা
১০১. দেশের ভবিষ্যৎ
১০২. রোজা রাখার স্বাধীনতা
১০৩. চারদিকে প্রচুর ওমর মতিন
১০৪. আমার চোখের জলের ঈদ
১০৫. যদি পুরুষ হতাম
১০৬. জাকির নায়েকের বাকস্বাধীনতা
১০৭. কিছু সেলিব্রিটি মেয়ে তো ফাটাফাটি
১০৮. বিরুদ্ধ স্রোত
১০৯. মেয়েরা সেরা
১১০. মেয়েদের কাপড় চোপড়
১১১. মেয়েদের কাপড় চোপড়
১১২. সত্য বললে বিপদ
১১৩. আমরা আর তারা
১১৪. এরা কি মানুষ!
১১৫. লজ্জা বইটি এখনও নিষিদ্ধ কেন?
১১৬. বায়ু দূষণ
১১৭. সাঁওতালদের কথা
১১৮. হাতে টাকা নেই
১১৯. শিশুদের জন্য লোভের জিভ
১২০. যৌনকর্ম নাম দিয়ে পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার ষড়যন্ত্র
১২১. বুদ্ধিজীবী দিবস
১২২. সন্ত্রাস কোনো সমস্যার সমাধান নয়
১২৩. বাংলা একাডেমির হয়েছেটা কী
১২৪. যে বই তোমায় দেখায় ভয়, সে বইও পড়া উচিত
১২৫. পাঠ্যপুস্তকের পরিবর্তন
১২৬. দঙ্গলের মেয়ে
১২৭. নিষিদ্ধের তো একটা সীমা আছে
১২৮. ভারতে অসহিষ্ণুতা
১২৯. মেয়েদের পোশাক নিয়ে লোকের এত মাথাব্যথা কেন?
১৩০. ভ্যালেন্টাইন ডে’র ভাবনা
১৩১. উদারতার চেয়ে মহান কিছু নেই
১৩২. নারীবাদী হওয়া সহজ নয়
১৩৩. নেপাল থেকে বলছি
১৩৪. বাংলাদেশ বদলে গেছে
১৩৫. কেন আত্মঘাতী বোমারু হতে ইচ্ছে করে
১৩৬. অপুরা যেন হেরে না যায়
১৩৭. শেখ হাসিনার জন্য দুশ্চিন্তা
১৩৮. ওরা কেন আমাদের চেয়েও ভালো
১৩৯. ধর্ষকদের পৃথিবীতে বেঁচে যে আছি, এই তো অনেক
১৪০. চাই ধর্ষণহীন দিন
১৪১. আমার গ্রিন কার্ড, আমেরিকার ট্রাম্প কার্ড

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন