কিছু সেলিব্রিটি মেয়ে তো ফাটাফাটি

তসলিমা নাসরিন

তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আজকাল আমার উৎসাহ নেই বললেই চলে। অমিতাভ বচ্চনকে ভীষণ ভালোবাসতাম। তাঁকে মনে হতো দুনিয়ার সবচেয়ে স্মার্ট পুরুষ। তারপর তাঁর ব্যক্তিজীবন ঘেঁটে যখন দেখলাম কিছু হলেই তিনি তিরুপতি মন্দিরে দৌড়োন, শুভ কিছু ঘটানোর জন্য কোটি কোটি টাকা মন্দিরে দান করেন, তখন মন ভেঙে গেলো। প্রিয় মানুষদের, ভেবেই নিয়েছিলাম, যুক্তি-বুদ্ধির অভাব নেই। বাস্তবটা বড় অচেনা আর অন্যরকম। প্রিয় মানুষদেরও তাই বড় দূরের মনে হয়। পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়াকে শুনেছি অমঙ্গল কাটাতে গাছের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন। ঐশ্বরিয়া অত্যন্ত ভালো অভিনেত্রী, কিন্তু প্রতিবাদ করেনি। সুচিত্রা সেনকে তো কম ভালোবাসিনি, শুনেছি উনিও নাকি বেলুড় মঠে যেতেন প্রায়ই। পুজো আচ্চা নিয়ে থাকতেন। রাজ্জাকও দেখেছি ধর্মকর্মে ডুবেছেন, ববিতা বোরখা পরছেন, শাবানা তো শরীরে বোরখা চাপিয়েছেনই, এতকাল সিনেমা করাকে পাপ করেছেন বলে মনে করছেন। যেদিকে তাকাই সেদিকেই দেখি তারকারা একেকটা কুসংস্কারের ডেঁপো।

কিছুদিন হলো কিছু তারকা মেয়ের কথায় চমকে উঠছি। দিপিকা পাদুকোনের একটি ছবি ছাপা হয়েছিল টাইমস অব ইন্ডিয়ায়, ছবিটায় দিপিকার ক্লিভেজ দেখা যাচ্ছিল। তাই নিয়ে তুলকালাম। চারদিকে ছি ছি চলছে। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে গালাগালি দেওয়া হচ্ছে। দিপিকা সোজা বলে দিল, ‘আমার স্তন আছে, আমার ক্লিভেজও আছে, এ দেখা গেলে আমার তো কোনো অসুবিধে নেই, তোমাদের অসুবিধে হচ্ছে কেন?’ শুনে তো আমি ব্রাভো বলে চেঁচিয়ে উঠলাম।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া সেদিন বলেছে, ‘সন্তান জন্ম দিতে হলেই শুধু পুরুষকে প্রয়োজন, তাছাড়া জীবনে পুরুষের কোনো প্রয়োজন নেই। ’ বাহ, এমন কথা একটা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বড় হওয়া মেয়ের মুখে, বিশেষ করে তারকার মুখে শুনবো, আশা করিনি। তারকারা বিজ্ঞান পড়ে না, বিবর্তন সম্পর্কে কিছুই পড়ে না, নারীবাদীদের বইও পড়ে না, তারা দেশভর্তি অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত মানুষকে খুশি করতে ব্যস্ত থাকে এবং এমন কোনো কথা তারা বলে না, যা শুনে তাদের দর্শক আহত হয়। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা তার দর্শকদের খুশি করতে ব্যস্ত নয়। কে কী ভাববে তার পরোয়া করেনি।

ওর কথা শুনে আমি তো রীতিমতো মুগ্ধ। এমন মেয়ের দেখা তারকাজগতে মেলে না বললেই চলে। তারকা মেয়েরাও এই সমাজেরই মানুষ, তাদেরও এই সমাজের মেয়েদের মতোই বিয়ে করতে হবে, ঘরসংসার করতে হবে, বাচ্চা কাচ্চা পয়দা করতে হবে, স্বামী সন্তানের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে হবে— এই বিশ্বাস প্রায় সব তারকা এবং তাদের অনুরাগী দর্শকদের। এই বিশ্বাসের গায়ে আঘাত দিয়ে কথা বলা সহজ নয় খুব। প্রিয়াঙ্কা কঠিন কাজটিই করেছে। সেদিন সানিয়া মির্জাও আমাকে চমকে দিল। খবরটা এরকম : সানিয়া মির্জা তার আত্মজীবনী গ্রন্থ প্রকাশ করেছে। গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে সানিয়ার সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন রাজদীপ সরদেশাই। রাজদীপ ভারত টেলিভিশনের বড় সাংবাদিক। নানা প্রসঙ্গের পর হঠাৎই তিনি জিজ্ঞেস করে বসেন, সানিয়া মির্জা কবে ‘থিতু’ হচ্ছেন? মা হওয়ার কথা ভাবছেন কি? বইয়ে কেন তিনি এ সব নিয়ে কিছু লেখেননি?

উত্তরে সানিয়া বলে, ‘আপনি মনে করেন না আমি সেটল্ড?’ শুনে রাজদীপ বলেন, তাঁর বইয়ে সানিয়া অবসরোত্তর জীবন নিয়ে লেখেননি। লেখেননি, মা হওয়ার পরিকল্পনা বা পরিবার গড়ার প্ল্যান নিয়েও। যা শুনে সানিয়া সোজাসুজি বলেছে, ‘আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, মা হওয়ার কথা না ভেবে আমি যে বিশ্বের এক নম্বর হওয়ার বিকল্পটা বেছে নিয়েছি, তাতে আপনি প্রচণ্ড হতাশ!’ সঙ্গে যোগ করে, ‘তবু আমি এটার উত্তর দেব। বাকি মেয়েদের মতো আমাকেও বারবার এই প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়েছে। প্রথমে বিয়ে, তার পর মা হওয়া। এগুলো না হলে আমরা নাকি থিতু হই না! হতাশার ব্যাপার হলো, যতগুলো উইম্বলডনই জিতি, যতবার বিশ্বের এক নম্বর হই, আমরা থিতু হই না!’ সানিয়ার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন রাজদীপ। পরে যখন সানিয়াকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি কীভাবে মানুষের মনে থাকতে চান, তখনো তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি সানিয়া। বলেছে, ‘আমি যেন এমন কিছু করতে পারি যাতে ২৯ বছরের কোনও বিশ্বসেরা মেয়েকে কেউ না জিজ্ঞেস করতে পারে, সে কবে মা হচ্ছে!’

সানিয়ার এই সাক্ষাৎকার দেখে আমি এমনই উত্তেজিত ছিলাম যে রাজদীপ সরদেশাই-এর সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক থাকার পরও আমি টুইটারে লিখেছি, ‘রাজদীপ স্টুপিড প্রশ্ন করেছে সানিয়াকে’। সানিয়ার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছি, কারণ সানিয়া খুব সত্য কথা বলেছে। এমন সত্য কথা ভারতীয় উপমহাদেশের তারকাদের মুখে আমরা শুনে অভ্যস্ত নই। তারকা মেয়েরা সাধারণত বলে সমাজের রীতিনীতি তারা খুব মেনে চলে। বিয়ের পর তারা স্বামী সন্তানে মন দেবে, তারা আর খেলবে না বা সিনেমা করবে না। বিয়ের পর কোনো পুরুষ তারকা কী করবে, থিতু হবে কিনা, সন্তান জন্ম দেবে কি না, এ ধরনের প্রশ্ন কিন্তু কেউ করে না। কেবল মেয়ের বেলায় কেরিয়ার ছাড়ার প্রশ্ন ওঠে। সফল অভিনেত্রী, গায়িকা, চিত্রপরিচালিকা, খেলোয়াড়, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, মন্ত্রী, ব্যবসায়ী মেয়েরাও নিজের পরিচয়ে পরিচিত হতে পারে না, তারা কার স্ত্রী, কার মেয়ে, কার মা, কার বোন— এসবের খোঁজখবর সবসময়ই চলে।

সানিয়া মির্জার স্বামী শোয়েব মালিকও একজন তারকা খেলোয়াড়। তাকে কিন্তু কেউ, কোনো মেয়ে-সাংবাদিক, কোনো পুরুষ-সাংবাদিক প্রশ্ন করবে না শোয়েব ঘর সংসারে মন দেবে কবে, বাবা হবে কবে, থিতু কবে হবে। পুরুষেরা যত নিশ্চিন্তে নিজেদের কেরিয়ার গড়তে পারে, মেয়েরা তত নিশ্চিন্তে পারে না। পারে না বলা উচিত হবে না। মেয়েদের পারতে দেওয়া হয় না। সংসারটাকে মেয়েদের সবচেয়ে বড় কাজ বলে আজো অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে। মেয়েদের এক সময় ঘরবন্দী হতে হয়, বন্ধ করতে হয় বাইরের কাজ। অবশ্য পুরুষেরা চালিয়ে নিয়ে যায়। অমিতাভ বচ্চন চালিয়ে যান, জয়া ভাদুড়ি বন্ধ করেন। সুচিত্রা সেন বন্ধ করেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় চালিয়ে যান। কাজল বন্ধ করেন, অজয় দেবগণ চালিয়ে যান। এরকম অনেক উদাহরণ আমাদের চারদিকে। বয়স হয়ে গেলে মেয়েদের আর পাতে তোলা যায় না, কিন্তু বয়সটা পুরুষের জন্য কোনো বিষয় নয়। ঠিক না? ঠিক, কারণ সমাজের মানুষগুলোকে এই বৈষম্যের ধারণা নিয়ে আমরা বড় হতে দিই, এভাবেই তাদের হাতে সমাজকে আমরা গড়তে দিই এবং এভাবে এখনো সমাজকে চলতে দিই।

হ্যাপি নামের এক মেয়েকে দেখতাম ক্রিকেটার রুবেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে বেশ সাহসী কথাবার্তা বলছে ফেসবুকে। সমাজ ছি ছি করে বলে যে কথাগুলো মেয়েরা সাধারণত লুকোয়, কিছুর তোয়াক্কা না করে হ্যাপি সে কথাগুলোই জোরেশোরে সবাইকে শুনিয়ে শুনিয়েই বলেছে। তারপর কী হলো কে জানে, হঠাৎ সে উধাও। ক’দিন পর দেখি আপাদমস্তক বোরখায় ঢেকে মুখে ধর্মীয়তত্ত্ব আওড়াচ্ছে। লোকে তাকে খারাপ মেয়ে ভেবেছিলো, তাই লোকের চোখে ভালো হওয়ার জন্য ধর্মের আশ্রয় নিয়েছে সে। বড় মায়াই হয়, নিজের সকল প্রতিভা, সকল সম্ভাবনা সব বিসর্জন দিতে হলো তাকে। হ্যাপি যে এদিকে রুবেলের গোপন সব কথা ফাঁস করে দিল, তার পরও কিন্তু কেউ রুবেলকে খারাপ ছেলে মনে করেনি, আর নিজেকে লোকের চোখে ভালো প্রমাণ করার জন্য রুবেলকে আপাদমস্তক আবৃত করতেও হয়নি। সে দিব্যি তার জীবনযাপন করছে, যেমন করছিল। শুধু হেরে যেতে হলো হ্যাপিকেই।

মেয়েদেরই হেরে যেতে হয়। সেদিন পাকিস্তানের সেই মডেল-মেয়ে কান্দিল বালোচকে হারিয়ে দিল পাকিস্তানের সমাজ। তার আপন ভাই তাকে বিষ খাইয়ে, শ্বাসরোধ করে হত্যা করলো। কান্দিল নাকি সমাজের রীতিনীতি মেনে চলছিল না। যে সমাজ মেয়েদের স্বাধীনতার পথে বাধা, সেই সমাজকে মেনে চলার কোনো যুক্তি নেই। যে মেয়েরা শত ধিক দেবে সেই পুঁতিগন্ধময় সমাজকে, সেই সমাজের রীতিনীতিকে পায়ে মাড়িয়ে যাবে, সে মেয়েরাই সামনে এগোবে, সেই মেয়েরাই আমাদের গর্ব, সেই মেয়েরাই ভবিষ্যৎ।

সব মেয়ে হেরে যায় না। দিপিকা, প্রিয়াঙ্কা, সানিয়ারা কিন্তু হেরে যাচ্ছে না। এদের দেখেই আত্মবিশ্বাস আর আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচতে শিখুক মনোবলহীন তারকা-মেয়েরা।

সোর্স : বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২১ জুলাই, ২০১৬

সকল অধ্যায়

১. লিঙ্গসূত্র
২. যৌবনে ছেলেরা ডেয়ারিং
৩. পতিতা প্রথা বন্ধ হোক
৪. অপ্রত্যাশিত
৫. বিয়ের প্রয়োজনীয়তা আদৌ আছে কি?
৬. পুরুষ নিয়ে মেয়েদের কাড়াকাড়ি বাড়াবাড়ি
৭. নারীর যৌন কামনা থাকতে নেই
৮. দেশ আর দেশ নেই
৯. আমার গৌরব, আমি স্বেচ্ছাচারী
১০. ধর্মে নেই, উৎসবে আছি
১১. বেলা যায় মেলা যায়
১২. তোমাকে অভিবাদন, এলফ্রিডা
১৩. যাই বল নইপল
১৪. আমার দেহ নিয়ে আমি যা খুশি করব
১৫. বাবা
১৬. সেক্সবয় (গল্প)
১৭. সকল গৃহ হারালো যার
১৮. অন্ধকার আমাকে গ্রাস করতে থাকে
১৯. মেয়েদের শরীর পুরুষের চোখে
২০. পৃথিবীর প্রাচীনতম নির্যাতন
২১. পেছনের দিনগুলো ধুসর ধুসর
২২. খারাপ মেয়ের গল্প (গল্প)
২৩. হুমায়ূন : পুরুষতন্ত্রের সম্রাট
২৪. তুই নিষিদ্ধ তুই কথা কইস না
২৫. অনুমতি না নিয়ে আমার শরীর স্পর্শ করেছিলেন সুনীল
২৬. পৃথিবীর পথে
২৭. পৃথিবীর পথে ২
২৮. মিডিয়া এবং মানুষ
২৯. নারীবিদ্বেষের কারণ পুরুষতন্ত্র
৩০. সন্ত্রাস
৩১. বিহারি সমস্যা
৩২. রঘু রাই এবং শরণার্থী
৩৩. এ লড়াই প্রাচ্যের সঙ্গে পাশ্চাত্যের নয়
৩৪. বেড়ালের গল্প
৩৫. ফিলিস্তিন এক টুকরো মাটির নাম
৩৬. পর্নোগ্রাফি
৩৭. সেইসব ঈদ
৩৮. কামড়ে খামচে মেয়েদের ‘আদর’ করছে পুরুষেরা
৩৯. সুন্দরী
৪০. ধর্ম থাকবে, নারীর অধিকারও থাকবে, এটা হয় না
৪১. সানেরার মতো মেয়ে চাই- আছে?
৪২. প্রতিবেশি দেশ
৪৩. বামপন্থীদের ভুল
৪৪. বাঙালির বোরখা
৪৫. শাড়ি ব্লাউজ
৪৬. বিয়ের বয়স
৪৭. সেইসব ঈদ
৪৮. ন্যাড়া কি বেলতলা যায়
৪৯. লতিফ সিদ্দিকী এবং মানুষের ধর্মানুভূতি
৫০. বাকস্বাধীনতার অর্থ কি এতটাই কঠিন?
৫১. কেন পারি না
৫২. নাবালিকা ধর্ষণ
৫৩. রেলমন্ত্রীর বয়স এবং বিয়ে
৫৪. চুমু চুমু চুমু চুমু
৫৫. এত ঘৃণা করে ওরা মেয়েদের!
৫৬. সুমন চট্টোপাধ্যায় থেকে কবির সুমন
৫৭. তারপর কী হলো
৫৮. কিছু প্রশ্ন। কিছু উত্তর।
৫৯. দূর থেকে হয় না
৬০. আরীব মজিদরা জেলের বাইরে থাকলে আমরা অনেকেই নিরাপদ নই
৬১. এতদিনে ভারতে সভ্য আইন
৬২. বোয়াল মাছের গল্প
৬৩. মেয়ে বলে ‘কম মানুষ’ নই
৬৪. উপন্যাস : ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে
৬৫. প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ব্যক্তিগত চিঠি
৬৬. ধর্মান্তরণ
৬৭. গণধর্ষণ
৬৮. নির্বাসিত একটি ছবির নাম
৬৯. শার্লি আবদো
৭০. কল্পনার রাজ্য
৭১. কোকো, খালেদা আর দেশের দগ্ধ সন্তানেরা
৭২. গরিবের গ্রেনেড
৭৩. বাংলা একাডেমির অসভ্যতা
৭৪. অভিজিৎকে যেভাবে চিনি
৭৫. নারী দিবস
৭৬. বাঘ আর বেড়াল
৭৭. বাংলাদেশিদের দেশপ্রেম
৭৮. বাক স্বাধীনতা
৭৯. স্যানিটারি প্যাডে প্রতিবাদ
৮০. বাংলাদেশের কী কী করা উচিত ছিল এবং ছিল না
৮১. বাংলা সংস্কৃতি চলবে কী চলবে না
৮২. ঢাকাও কমাতে পারে জ্যাম আর দূষণ
৮৩. গ্যালিলিও এবং তার ‘জারজ মেয়ে’
৮৪. লজ্জাহীনতা
৮৫. প্রচলিত নারীবিদ্বেষী শব্দ ও প্রবাদ
৮৬. নিজের গোলা শূন্য
৮৭. শৃংখল ভেঙেছি আমি
৮৮. দেশপ্রেম না থাকাও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার
৮৯. ঢাকার বইমেলা ও একটি প্রেমের গল্প
৯০. খুব কাছে ওত পেতে আছে আততায়ী
৯১. নারী দিবস
৯২. ভারত এবং গরু
৯৩. আমার প্রথম সংসার
৯৪. খাজুরাহোর অভিজ্ঞতা
৯৫. চীনের অভিজ্ঞতা
৯৬. আমার জন্য কথা বলার কেউ নেই…
৯৭. সমাজ কি থেমে আছে?
৯৮. পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ
৯৯. কিছু প্রশ্ন, কিছু আশা
১০০. এই বাংলাদেশ আমার অচেনা
১০১. দেশের ভবিষ্যৎ
১০২. রোজা রাখার স্বাধীনতা
১০৩. চারদিকে প্রচুর ওমর মতিন
১০৪. আমার চোখের জলের ঈদ
১০৫. যদি পুরুষ হতাম
১০৬. জাকির নায়েকের বাকস্বাধীনতা
১০৭. কিছু সেলিব্রিটি মেয়ে তো ফাটাফাটি
১০৮. বিরুদ্ধ স্রোত
১০৯. মেয়েরা সেরা
১১০. মেয়েদের কাপড় চোপড়
১১১. মেয়েদের কাপড় চোপড়
১১২. সত্য বললে বিপদ
১১৩. আমরা আর তারা
১১৪. এরা কি মানুষ!
১১৫. লজ্জা বইটি এখনও নিষিদ্ধ কেন?
১১৬. বায়ু দূষণ
১১৭. সাঁওতালদের কথা
১১৮. হাতে টাকা নেই
১১৯. শিশুদের জন্য লোভের জিভ
১২০. যৌনকর্ম নাম দিয়ে পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার ষড়যন্ত্র
১২১. বুদ্ধিজীবী দিবস
১২২. সন্ত্রাস কোনো সমস্যার সমাধান নয়
১২৩. বাংলা একাডেমির হয়েছেটা কী
১২৪. যে বই তোমায় দেখায় ভয়, সে বইও পড়া উচিত
১২৫. পাঠ্যপুস্তকের পরিবর্তন
১২৬. দঙ্গলের মেয়ে
১২৭. নিষিদ্ধের তো একটা সীমা আছে
১২৮. ভারতে অসহিষ্ণুতা
১২৯. মেয়েদের পোশাক নিয়ে লোকের এত মাথাব্যথা কেন?
১৩০. ভ্যালেন্টাইন ডে’র ভাবনা
১৩১. উদারতার চেয়ে মহান কিছু নেই
১৩২. নারীবাদী হওয়া সহজ নয়
১৩৩. নেপাল থেকে বলছি
১৩৪. বাংলাদেশ বদলে গেছে
১৩৫. কেন আত্মঘাতী বোমারু হতে ইচ্ছে করে
১৩৬. অপুরা যেন হেরে না যায়
১৩৭. শেখ হাসিনার জন্য দুশ্চিন্তা
১৩৮. ওরা কেন আমাদের চেয়েও ভালো
১৩৯. ধর্ষকদের পৃথিবীতে বেঁচে যে আছি, এই তো অনেক
১৪০. চাই ধর্ষণহীন দিন
১৪১. আমার গ্রিন কার্ড, আমেরিকার ট্রাম্প কার্ড

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন