বাঘ আর বেড়াল

তসলিমা নাসরিন

১. প্রসেনজিৎ লিখেছেন, ‘বাঘের কিন্তু জাত আলাদা হয়, বেড়ালকে ভুল করে বাঘ না ভাবাই ভাল!’ অমনি বাংলাদেশের লোকরা ভেবে বসলো প্রসেনজিৎ বাংলাদেশের ক্রিকেট টিম নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। বেচারাকে ননস্টপ গালাগালি করতে লাগলো সবাই। এদিকে প্রসেনজিৎ ক্ষমা চাইলেন, বললেন তাঁর ওই মন্তব্যের সঙ্গে বাংলাদেশ বা এর ক্রিকেট দলের কোনও সম্পর্ক নেই, তিনি তাঁর সিনেমার একটি ডায়লগ বলেছেন মাত্র। বাংলাদেশের ক্ষুব্ধ দেশপ্রেমিকদের রাগ এখনও পড়েনি। নায়ক মশাইকে হাতের কাছে পেলে কী করতো, ওরাই জানে।

আমি মনে করি প্রসেনজিৎ ভুল লিখেছেন। বাঘ এবং বেড়ালের জাত মোটেও আলাদা নয়। ওরা এক জাত। ওরা ফিলাইন জাত। বাঘরাও একধরণের বেড়াল। আকারে বড় এই যা। প্রসেনজিৎ বেড়ালকে তুচ্ছ করে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের লোকরাও বেড়ালকে অপমান করেছে। বাঘ না ডেকে তাদের বেড়াল ডাকা হয়েছে মনে করে ক্ষুদ্ধ হয়েছে তারা।

যে বেড়াল দশ হাজার বছর আগে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে এসে মানুষের উপকার করেছিলো, যে বেড়ালকে প্রাচীন মানুষেরা রীতিমতো পুজো করতো, যে বেড়াল এখনও মানুষের সঙ্গে মানুষের ঘরে পরিবারের একজন হয়ে বাস করে, সেই বেড়ালকে নিচু করে, বাঘকে– যে বাঘের সঙ্গে আমাদের ঘরগেরস্থালীর সম্পর্ক নেই, যে বাঘ আমাদের পেলে চিবিয়ে খাবে, সেই বাঘকে আমরা আপন ভাবছি বেশি, ভালবাসছি বেশি! না, বাঘের সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই। বাঘ যেন বিলুপ্ত না হয়, তা আমি ভীষণই চাই।

কিন্তু বেড়ালকে খবরদার এভাবে আর তুচ্ছতাচ্ছিল্য করো না। বেড়াল না থাকলে মানুষের একসময় না খেয়ে মরতে হতো, মনে রেখো। বাঘ হিংস্র, তাই ভালো লাগে? বেড়ালও কিন্তু হিংস্র হতে পারে। চটিয়ে একবার দেখ না!

২. বেড়ালের ইতিহাসটা না জানো তো বলি, শোনো। মানুষের এলাকায় বাস করা যত বেড়াল আছে পৃথিবীতে, সবারই পূর্বনারী বা পূর্বপুরুষই ‘নিয়ারইস্টার্ন ওয়াইল্ডক্যাট’ বা নিকটপ্রাচ্যের বনবেড়াল। এই বেড়ালদের ডিএনএ নিকটপ্রাচ্যের বনবেড়াল ছাড়া অন্য চার রকম যে বনবেড়াল আছে– ইওরোপীয় বনবেড়াল, দক্ষিণ আফ্রিকার বনবেড়াল, মধ্য এশীয় বনবেড়াল, চীন-মরুভূমির বনবেড়াল—ওদের ডিএনএ-র সঙ্গে মেলে না। জিজ্ঞেস যদি করো নিকটপ্রাচ্যের দেশগুলো কী কী, বলবো, বাহরাইন, সাইপ্রাস, মিশর, ইরান, ইরাক, ইসরাইল, জর্দান, কুয়েত, লেবানন, লিবিয়া, ওমান, কাতার, সৌদি আরব, সুদান, সিরিয়া, তুরস্ক, আরব আমিরাত, প্যালেস্টাইন, ইয়েমেন।

আমরা এতকাল জানতাম চার হাজার বছর আগে জঙ্গল থেকে বনবেড়াল প্রথম ঢুকেছিল মিশরের লোকালয়ে। কিন্তু আমাদের এতকালের ওই জানাটা ভুল ছিল। বনবেড়াল জঙ্গল থেকে লোকালয়ে এসেছে আরও আগে। নানা রকম প্রমাণ জড়ো করে এখন অবধি যা তথ্য পাওয়া গেছে, তা হল, নিকটপ্রাচ্যের বনবেড়ালদের মধ্যে কেউ কেউ, সম্ভবত হায়েনা আর বাঘ ভালুকের হাত থেকে বাঁচার জন্য, মানুষের এলাকায় ঢুকে পড়েছিল, দশ বা বারো হাজার বছর আগে, কোনও নিকটপ্রাচ্যদেশে। আজ তারই বংশধর আমাদের মাঠে ময়দানে, রাস্তা ঘাটে, অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়ানো আর বাসা বাড়িতে বাসা করা বেড়াল। ১৯৮৩ সালে সাইপ্রাসে প্রথম পাওয়া গেছে আট হাজার বছর পুরোনো বেড়ালের চোয়ালের হাড়। তারপর বছর দশ আগে যেটা পাওয়া গেছে, সেটা চোয়ালের হাড়-টাড় নয়, রীতিমত কঙ্কাল। আস্ত একটা মানুষের সঙ্গে আট-মাস বয়সী আস্ত একটা বেড়ালকে কবর দেওয়া হয়েছিল, কবরটা সাড়ে ন’হাজার বছর পুরোনো। কবরটা দেখেই বোঝা গেছে, ওই এলাকায় বেড়ালরা মানুষের সঙ্গে বসবাস শুরু করেছে বেশ অনেক আগেই। কিছু কিছু নৃতাত্ত্বিক তো বলতে শুরু করেছেন, দশ বারো নয়, পনেরো হাজার বছর আগে বনবেড়াল মানুষের এলাকায় ঢুকেছে। দীর্ঘকালের সম্পর্ক না হলে অত আদর করে কেউ কোনও বেড়ালকে নিয়ে কবরে শুতো না। সাইপ্রাসে তুরস্কের চাষীরা বাসা বেঁধেছিল। তারাই সম্ভবত তুরস্ক থেকে পোষা বেড়াল নিয়ে আসে। তুরস্ক থেকেই, তা না হলে আর কোথাও থেকে বেড়াল জোটার কোনও সম্ভাবনা ছিল না সাইপ্রাসে। সাইপ্রাসের আশে-পাশের কোনও জঙ্গলে বনবেড়াল ছিল না।

সারা পৃথিবীতে বেড়ালের সংখ্যা ষাট কোটি। বিবর্তনের মজা এখানেই। মানুষের সঙ্গে মানুষের এলাকায় বাস করা বেড়ালগুলোই টিকে আছে। বনের বেড়ালগুলো বরং নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। যে বেড়ালগুলো বুদ্ধি করে বন থেকে চলে এসেছিল মানুষের আশ্রয়ে, তারা ঠিক কাজ করেছিল। চোখ কান খোলা রাখতে হয়, ভালো ভাবে বাঁচা যাবে এমন কিছুর গন্ধ পেলে পুরোনা জায়গা ছেড়ে নতুন জায়গায় তড়িঘড়ি চলে যেতে হয়। মানুষ তার জীবনের শুরু থেকেই জায়গা বদলাচ্ছে। ক্রমশ ভালো আবহাওয়া, ভালো পরিবেশ, ভালো বাড়ি, ভালো খাদ্য, ভালো শিক্ষা, ভালো বেঁচে থাকার দিকে যাচ্ছে। জায়গা বদলেছে বলে হোমো সেপিয়েন্স নামের মানুষ-প্রজাতি টিকে আছে, নিয়ানডার্থাল নামের মানুষ-প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

মানুষ যখন মূলত শিকারী ছিল, তখন কুকুরকে সঙ্গে রাখতো। যখন থিতু হলো, কৃষিকাজ শুরু করলো, তখন কুকুরের বদলে বেড়াল হলো বিশ্বস্ত সঙ্গী। বেড়াল শস্য খেতে আসা ইঁদুর মারতো, ও খেয়েই দিব্যি মনের সুখে খামারে বাস করতো। আর মানুষও খুশি ছিল বেড়ালের ওপর, বেড়ালকে দিয়ে ইঁদুর মারার কাজ চলতো বলে, শস্যের অভাব হতো না বলে। প্রাচীন মিশরীয়রা বেড়ালের পুজো করতো। বেড়াল দেবীর নাম ছিল বাস্ট। বেড়াল-পুজোর মন্দিরও ছিল মিশরে। মিশরীয় আইনে মানুষের চেয়েও বেশি মর্যাদা পেতো বেড়াল। কোনও বাড়িতে আগুন ধরলে, আগে মানুষকে নয়, আগে বেড়ালকে বাঁচানোর নিয়ম ছিল। শুধু মিশরের রাজা বাদশাহর মমি বানানো হতো তা নয়, বেড়ালেরও মমি বানানো হতো, বেড়ালের এক কবরখানায় তিন লক্ষ বেড়ালের মমি পাওয়া গেছে। কেউ কোনও বেড়ালকে প্রাণে মেরে ফেললে জেল-হাজত-জরিমানা নয়, যাবজ্জীবনও নয়, রীতিমত মৃত্যুদণ্ড হত। প্রাচীন রোমও অনেকটা এরকমই ছিল। বেড়ালকে স্বাধীনতার প্রতীক বলে ভাবা হত। দূরপ্রাচ্যে বেড়ালের মর্যাদা আবার অন্য কারণে বেশি ছিল। বেড়ালরা নথিপত্র পাণ্ডুলিপি এসব ইঁদুরের দাঁত থেকে রক্ষা করত বলে।

চারদিকে বেড়ালকে যখন মানুষ ঈশ্বরের বা প্রায়-ঈশ্বরের সম্মান দিচ্ছে, তখন মধ্যযুগে, হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেই, বেড়ালকে অশুভ প্রতীক, ডাইনির সঙ্গী, শয়তানের দূত বলে ভাবতে শুরু করলো ইওরোপীয়রা। প্লেগের জন্য দায়ী বেড়াল, এমনও অভিযোগ করেছে। ভারতীয় উপমহাদেশে বেড়াল নিয়ে এখনও কুসংস্কার চূড়ান্ত। কালো বেড়াল পথে পড়লে গাড়ি থামিয়ে দেয় লোকে। একজন আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘কালো বেড়াল রাস্তা পার হচ্ছে মানে কী?’ ‘এর মানে’, বলেছিলাম, ‘কালো বেড়ালটা কোথাও যাচ্ছে’। কুসংস্কার যারা বোঝে, তারা কৌতুক বোঝে না।

যে প্রাণীটি লোকে সবচেয়ে বেশি পোষে, তা গরু নয়, ঘোড়া নয়, কুকুর নয়, পাখি নয়, তা বেড়াল। ইওরোপ আমেরিকার প্রায় ঘরে ঘরে বেড়াল। এক যুক্তরাষ্ট্রেই পোষা বেড়ালের সংখ্যা ন’কোটি। যে প্রাণীটি কোনও দুধ দেয় না, বোঝা বইতে পারে না, যার চামড়া দিয়ে কোনও কিছু বানাবার উপায় নেই, যে মানুষের কোনও উপকারে আসে না আজকাল, সেই প্রাণীকেই সবচেয়ে বেশি পুষছে মানুষ, ব্যাপারটি খুবই অদ্ভুত। এক বন্ধু বলেছিল, ‘বেড়াল জল এড়িয়ে চলে, আর তাদের সবচেয়ে প্রিয় খাবার কি না মাছ’! বিবর্তন দুনিয়ার কত কিছু যে পাল্টে দেয়। আমার বেড়ালটার কথাই বলি, নাম মিনু। নিজের মাছটাও নিজে খেতে জানে না। কাঁটা বেছে দিলে তবে খাবে। দেখে একবার আমার এক বন্ধু বলেছিলো, ‘কী ব্যাপার, তুমি তো বেড়ালটাকে কাঁটা বেছে মাছ খেতে দিচ্ছ। আমি তো এতকাল জানতাম বেড়ালরা কাঁটা খায়। কাঁটা বেছে বেড়ালকে মাছ খেতে দেওয়ার মানে বেড়ালের বেড়ালত্ব কিছু আর অবশিষ্ট নেই, মনুষ্যত্ব ডেভেলপ করেছে’।

তা ঠিক, মিনুকে দেখলে যে কেউ বলবে মিনুর ভেতরে বেড়ালত্ব কিছু আর নেই, যা আছে, তা মনুষ্যত্ব। আজ ন’বছর মিনু আমার সঙ্গে। গড়িয়াহাটের মাছের বাজারে অসহায় দাঁড়িয়ে থাকা ছানাটাকে বাড়ি নিয়ে এসেছিলাম, আজ তার জীবন অনেকটা রানির মতো বা দেবীর মতো। কত রকম সরকারী নির্যাতন গেল আমার ওপর, সবাই চলে গেলো, সব বন্ধু, সব অনুরাগী, শুধু মিনু রয়ে গেলো। ও আর যাবে কোথায়! রাস্তার জীবনে ও আর অভ্যস্ত নয়, শিকার করেও খেতে পারবে না, চুরি করেও না। ওসব ও অনেককাল ভুলে গেছে অথবা শেখেইনি কোনওদিন। রাস্তায় বেরোলে গাড়ি ঘোড়া কুকুর মানুষের হাতে নির্ঘাত মরবে। তার চেয়ে নিরাপদ ঘরে ঘুমোবে খেলবে, সুস্বাদু খাবার দেওয়া হবে, বিদেশি কোম্পানির ট্রিটস, রয়েল ক্যানিন ফুড, কখনও নাক সিঁটকাবে, অভিমান করবে, রাগ করবে, খেতে পীড়াপীড়ি করলে ‘খাবো না’ বলে মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে থাকবে, হাতে পায়ে ধরেও মুখ খোলানো যাবে না, কখনও মর্জি হলে তবেই মুখে খাবার তুলবে। বাড়ি ভর্তি তার খেলনা, পুরো বিকেল জুড়ে তার সঙ্গে খেলতে হবে। আবদারের অন্ত নেই। গরমে তার এসি চাই, শীতে তার পশমী কম্বল চাই, উলের জ্যাকেট চাই, হিটার চাই। কেউ বিশ্বাস করুক না করুক, তার আলাদা শোওয়ারঘর, আলাদা বিছানা, আলাদা টয়লেট। টয়লেট কখনও অপরিস্কার পেলে চেঁচিয়ে বাড়ি মাথায় করবে। আগে তার টয়লেট পরিস্কার চাই, পরে অন্য কথা। শুধু যে নিজের কথাই ভাবে, তা নয়। সেদিন জ্বর হয়েছিল আমার, যতক্ষণ না জ্বর না সারলো, শিয়র থেকে নড়লো না। এই হলো আমার পালিতা কন্যা মিনু।

মিনু আর এখন বেড়ালের মতো কাঁদে না। কাঁদে মানুষের মতো। হাসেও হয়তো মানুষের মতো। এই মিনুরই পূর্বনারীরা জঙ্গল থেকে মানুষের এলাকায় ঢুকে পড়েছিল এককালে, ইঁদুর শিকার করার কাজ পেয়ে বর্তে গিয়েছিল। আজ সেই বনবেড়ালের বংশধর ঘরের জীবন যাপনে এমনই অভ্যস্ত হয়েছে যে ইঁদুর দেখলে ভয় পায়। খেলনা ইঁদুরের ঘাড়ে বেশ ছুটে এসে কামড় দেয়, কিন্তু জ্যান্ত ইঁদুর দেখে দৌড়ে পালায়। ঘর-পোষা বেড়ালগুলোর স্বভাব চরিত্র এত পাল্টে যাচ্ছে যে বেড়ালের বদলে অন্য কোনও নামে হয়তো এদের ডাকতে হবে। কী নামে?

সকল অধ্যায়

১. লিঙ্গসূত্র
২. যৌবনে ছেলেরা ডেয়ারিং
৩. পতিতা প্রথা বন্ধ হোক
৪. অপ্রত্যাশিত
৫. বিয়ের প্রয়োজনীয়তা আদৌ আছে কি?
৬. পুরুষ নিয়ে মেয়েদের কাড়াকাড়ি বাড়াবাড়ি
৭. নারীর যৌন কামনা থাকতে নেই
৮. দেশ আর দেশ নেই
৯. আমার গৌরব, আমি স্বেচ্ছাচারী
১০. ধর্মে নেই, উৎসবে আছি
১১. বেলা যায় মেলা যায়
১২. তোমাকে অভিবাদন, এলফ্রিডা
১৩. যাই বল নইপল
১৪. আমার দেহ নিয়ে আমি যা খুশি করব
১৫. বাবা
১৬. সেক্সবয় (গল্প)
১৭. সকল গৃহ হারালো যার
১৮. অন্ধকার আমাকে গ্রাস করতে থাকে
১৯. মেয়েদের শরীর পুরুষের চোখে
২০. পৃথিবীর প্রাচীনতম নির্যাতন
২১. পেছনের দিনগুলো ধুসর ধুসর
২২. খারাপ মেয়ের গল্প (গল্প)
২৩. হুমায়ূন : পুরুষতন্ত্রের সম্রাট
২৪. তুই নিষিদ্ধ তুই কথা কইস না
২৫. অনুমতি না নিয়ে আমার শরীর স্পর্শ করেছিলেন সুনীল
২৬. পৃথিবীর পথে
২৭. পৃথিবীর পথে ২
২৮. মিডিয়া এবং মানুষ
২৯. নারীবিদ্বেষের কারণ পুরুষতন্ত্র
৩০. সন্ত্রাস
৩১. বিহারি সমস্যা
৩২. রঘু রাই এবং শরণার্থী
৩৩. এ লড়াই প্রাচ্যের সঙ্গে পাশ্চাত্যের নয়
৩৪. বেড়ালের গল্প
৩৫. ফিলিস্তিন এক টুকরো মাটির নাম
৩৬. পর্নোগ্রাফি
৩৭. সেইসব ঈদ
৩৮. কামড়ে খামচে মেয়েদের ‘আদর’ করছে পুরুষেরা
৩৯. সুন্দরী
৪০. ধর্ম থাকবে, নারীর অধিকারও থাকবে, এটা হয় না
৪১. সানেরার মতো মেয়ে চাই- আছে?
৪২. প্রতিবেশি দেশ
৪৩. বামপন্থীদের ভুল
৪৪. বাঙালির বোরখা
৪৫. শাড়ি ব্লাউজ
৪৬. বিয়ের বয়স
৪৭. সেইসব ঈদ
৪৮. ন্যাড়া কি বেলতলা যায়
৪৯. লতিফ সিদ্দিকী এবং মানুষের ধর্মানুভূতি
৫০. বাকস্বাধীনতার অর্থ কি এতটাই কঠিন?
৫১. কেন পারি না
৫২. নাবালিকা ধর্ষণ
৫৩. রেলমন্ত্রীর বয়স এবং বিয়ে
৫৪. চুমু চুমু চুমু চুমু
৫৫. এত ঘৃণা করে ওরা মেয়েদের!
৫৬. সুমন চট্টোপাধ্যায় থেকে কবির সুমন
৫৭. তারপর কী হলো
৫৮. কিছু প্রশ্ন। কিছু উত্তর।
৫৯. দূর থেকে হয় না
৬০. আরীব মজিদরা জেলের বাইরে থাকলে আমরা অনেকেই নিরাপদ নই
৬১. এতদিনে ভারতে সভ্য আইন
৬২. বোয়াল মাছের গল্প
৬৩. মেয়ে বলে ‘কম মানুষ’ নই
৬৪. উপন্যাস : ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে
৬৫. প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ব্যক্তিগত চিঠি
৬৬. ধর্মান্তরণ
৬৭. গণধর্ষণ
৬৮. নির্বাসিত একটি ছবির নাম
৬৯. শার্লি আবদো
৭০. কল্পনার রাজ্য
৭১. কোকো, খালেদা আর দেশের দগ্ধ সন্তানেরা
৭২. গরিবের গ্রেনেড
৭৩. বাংলা একাডেমির অসভ্যতা
৭৪. অভিজিৎকে যেভাবে চিনি
৭৫. নারী দিবস
৭৬. বাঘ আর বেড়াল
৭৭. বাংলাদেশিদের দেশপ্রেম
৭৮. বাক স্বাধীনতা
৭৯. স্যানিটারি প্যাডে প্রতিবাদ
৮০. বাংলাদেশের কী কী করা উচিত ছিল এবং ছিল না
৮১. বাংলা সংস্কৃতি চলবে কী চলবে না
৮২. ঢাকাও কমাতে পারে জ্যাম আর দূষণ
৮৩. গ্যালিলিও এবং তার ‘জারজ মেয়ে’
৮৪. লজ্জাহীনতা
৮৫. প্রচলিত নারীবিদ্বেষী শব্দ ও প্রবাদ
৮৬. নিজের গোলা শূন্য
৮৭. শৃংখল ভেঙেছি আমি
৮৮. দেশপ্রেম না থাকাও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার
৮৯. ঢাকার বইমেলা ও একটি প্রেমের গল্প
৯০. খুব কাছে ওত পেতে আছে আততায়ী
৯১. নারী দিবস
৯২. ভারত এবং গরু
৯৩. আমার প্রথম সংসার
৯৪. খাজুরাহোর অভিজ্ঞতা
৯৫. চীনের অভিজ্ঞতা
৯৬. আমার জন্য কথা বলার কেউ নেই…
৯৭. সমাজ কি থেমে আছে?
৯৮. পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ
৯৯. কিছু প্রশ্ন, কিছু আশা
১০০. এই বাংলাদেশ আমার অচেনা
১০১. দেশের ভবিষ্যৎ
১০২. রোজা রাখার স্বাধীনতা
১০৩. চারদিকে প্রচুর ওমর মতিন
১০৪. আমার চোখের জলের ঈদ
১০৫. যদি পুরুষ হতাম
১০৬. জাকির নায়েকের বাকস্বাধীনতা
১০৭. কিছু সেলিব্রিটি মেয়ে তো ফাটাফাটি
১০৮. বিরুদ্ধ স্রোত
১০৯. মেয়েরা সেরা
১১০. মেয়েদের কাপড় চোপড়
১১১. মেয়েদের কাপড় চোপড়
১১২. সত্য বললে বিপদ
১১৩. আমরা আর তারা
১১৪. এরা কি মানুষ!
১১৫. লজ্জা বইটি এখনও নিষিদ্ধ কেন?
১১৬. বায়ু দূষণ
১১৭. সাঁওতালদের কথা
১১৮. হাতে টাকা নেই
১১৯. শিশুদের জন্য লোভের জিভ
১২০. যৌনকর্ম নাম দিয়ে পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার ষড়যন্ত্র
১২১. বুদ্ধিজীবী দিবস
১২২. সন্ত্রাস কোনো সমস্যার সমাধান নয়
১২৩. বাংলা একাডেমির হয়েছেটা কী
১২৪. যে বই তোমায় দেখায় ভয়, সে বইও পড়া উচিত
১২৫. পাঠ্যপুস্তকের পরিবর্তন
১২৬. দঙ্গলের মেয়ে
১২৭. নিষিদ্ধের তো একটা সীমা আছে
১২৮. ভারতে অসহিষ্ণুতা
১২৯. মেয়েদের পোশাক নিয়ে লোকের এত মাথাব্যথা কেন?
১৩০. ভ্যালেন্টাইন ডে’র ভাবনা
১৩১. উদারতার চেয়ে মহান কিছু নেই
১৩২. নারীবাদী হওয়া সহজ নয়
১৩৩. নেপাল থেকে বলছি
১৩৪. বাংলাদেশ বদলে গেছে
১৩৫. কেন আত্মঘাতী বোমারু হতে ইচ্ছে করে
১৩৬. অপুরা যেন হেরে না যায়
১৩৭. শেখ হাসিনার জন্য দুশ্চিন্তা
১৩৮. ওরা কেন আমাদের চেয়েও ভালো
১৩৯. ধর্ষকদের পৃথিবীতে বেঁচে যে আছি, এই তো অনেক
১৪০. চাই ধর্ষণহীন দিন
১৪১. আমার গ্রিন কার্ড, আমেরিকার ট্রাম্প কার্ড

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন