সানেরার মতো মেয়ে চাই- আছে?

তসলিমা নাসরিন

বীরভূমের আলুন্দা গ্রামের মেয়ে সানেরা যা ঘটিয়েছিল তা ক’জন মেয়ে ঘটাতে পারে? ক’জন মেয়ে বিয়ের মালা খুলে ফেলতে পারে বিয়ের আসরেই? আঠারো বছর বয়সের একটি মেয়ে দেখিয়ে দিল বুকের পাটা। কারও অনুরোধে সে ঢেঁকি গেলেনি। যা তার ইচ্ছে করেছে, করেছে। সে এই বিয়ে ভেঙে দেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভেঙে দিয়েছে। যে লোক বিয়ের আসরেই মেয়ের বাবাকে অপমান করতে দ্বিধা করেনি, সে যে মেয়েকে উঠতে বসতে জীবনভর অপমান করবে, তা সানেরা বুঝে গিয়েছে। সানেরা ওই দুর্বিষহ জীবন চায়নি, চায়নি বলেই বিবাহিত জীবন শুরু করার আগেই ওটি সে শেষ করেছে।

বয়স মাত্র আঠারো সানেরার। এই বয়সে সাধারণত পরিবারের চাপের কাছে নত হতে মেয়েরা বাধ্য হয়। প্রতিবাদের ভাষা তৈরি হতে মেয়েদের সময় নেয় অনেক। অবশ্য যার তৈরি হয় না, তার সারা জীবনেও হয় না। কেউ কেউ কিশোরী বয়সে বেশ প্রতিবাদী, যেমন ইচ্ছে তেমন চলছে, নিজের অধিকারের ব্যাপারে ভীষণ সজাগ, কিন্তু যেই না বিয়ে নামক জিনিসটি ঘটার সময় হয়ে আসে, তখন একেবারে বাবা মার পছন্দ করা পাত্রের গলায় চোখ কান বুজে ঝুলে পড়ে। শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দিব্যি বাধ্য বধূ। শান্ত, সমাহিত। কোনও এক কালে কিশোরী বয়সে দুরন্ত ছিল সে, দস্যি ছিল, বিকেলের চায়ের সঙ্গে মুচমুচে স্মৃতি হয়ে থাকে ওসব।

ডমেস্টিক ভায়োলেন্সের বাংলা অনুবাদ নারী নির্যাতন হওয়াই যুক্তিসঙ্গত। কারণ ভায়োলেন্স সাধারণত নারীর ওপরই হয়, পুরুষ দ্বারা। আপাতত একে গৃহনিগ্রহ বলেই উল্লেখ করছি। রাষ্ট্রপুঞ্জ বলছে, ‘ভারতবর্ষের দুই-তৃতীয়াংশ বিবাহিত নারী গৃহনিগ্রহের শিকার।’ নতুন একটি আইন হয়েছে গৃহনিগ্রহের বিরুদ্ধে। কিন্তু ক’জন মেয়ে এই আইনের আশ্রয় নেবে? সানেরার মতো মেয়ে ছাড়া কারও কি সাহস হবে এই আইনে ফাঁসিয়ে অত্যাচারী স্বামীকে জেলের ভাত খাওয়াতে? হবে না ভয় এবং লজ্জার কারণে। ‘ভয়’ এবং ‘লজ্জা’ এ জিনিস দুটো মেয়েদের সতীত্বের মতো পবিত্র। যে মেয়ে সমাজকে ভয় পায় না, সমাজের সামনে লজ্জা বলতে কিছু যার নেই, সে তার ইজ্জত বা সতীত্ব খোয়ানোর মতো অপরাধ করে। গৃহনিগ্রহ আইনকে কাজে লাগাতে সানেরার মতো মেয়ে চাই। আছে?

সানেরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে। তোয়াক্কা করেনি এরপর কী হবে না হবে তার। বিয়ে হবে না আর? না হোক, সে পরোয়া করছে না। বরং বলছে, ‘বিয়ে করতেই হবে তার কী মানে আছে?’ এ কথা এই নারীবিদ্বেষী সমাজে মেয়েদের মুখে মুখে থাকার কথা, কিন্তু শহুরে শিক্ষিত স্বনির্ভর মেয়ের মুখ থেকেও এত ঋদ্ধ বাণী উচ্চারিত হয় না, যা হয়েছে আলুন্দা গ্রামের এক দরিদ্র রিকশাওয়ালার মেয়ে সানেরার মুখ থেকে। সানেরা মানে যে বিয়ে না করেও সে দিব্যি ভালো বেঁচে থাকতে পারে। বলছে, ‘আমি সেলাই জানি, কাপড়ে সেলাইয়ের আলপনা তুলবো। খেটে বাকি জীবনটা কাটাবো।’ এমন আত্দবিশ্বাস যদি আজ নারীদের থাকতো, পৃথিবী বদলে যেত। নারী যদি অত্যাচারী পুরুষের সঙ্গে জীবন আর যাপন করবে না বলে মনস্থির করে যেমন সানেরা করেছে, যদি বোঝে যে দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো, অথবা কোনও বদমাশের সঙ্গে থাকার চেয়ে একা থাকাই ঢের ভালো এবং নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী কোনও কাজ খুঁজে নেয় এবং নিজের আত্দসম্মান নিয়ে চলার সংকল্প করে, তবে সত্যিই পৃথিবী বদলে যেতে বাধ্য। কিন্তু, সানেরার মতো মেয়ে কি খুব বেশি আছে?

কিছু বিয়েতে লগ্নের কুসংস্কার থাকে। লগ্নের একটু এদিক ওদিক হলে সব্বনাশ। পুরুষের কোনও সব্বনাশ হয় না, হয় নারীর। যার সঙ্গে বিয়ে হয় নারীর, ভেবেই নেওয়া হয়, সারাজীবনের সঙ্গী সে। সারাজীবন সংসারদাহে পুরুষ কী পুরুষাবর্জনায় পচুক, সঙ্গীকে ত্যাগ করা চলবে না। কত যে যন্ত্রণাকাতর নারীর মুখ দেখেছি আমি এই ভারতীয় উপমহাদেশে, তারা না পারে যন্ত্রণা বইতে, না পারে সইতে। এভাবেই কেটে যায় তাদের জীবনের মূল্যবান মুহূর্তগুলো, মাসগুলো। কাটে দীর্ঘ দীর্ঘ বছর আর যুগ। সানেরা হওয়ার স্বপ্ন কি গোপনে গোপনে সবার মধ্যে নেই! থাকলেও সে স্বপ্ন বাস্তব করার সাহস এবং শক্তি অধিকাংশ নারীর নেই। নারীর স্বপ্ন স্বপ্নই দেখে যায়। ভয় আর লজ্জা তাদের স্বপ্নকে চিরকাল স্বপ্ন করেই রেখে দেয়।

একটা বিশ্বাস খুব জনপ্রিয় যে মেয়েরা শিক্ষিত আর স্বনির্ভর হলে গৃহনিগ্রহের শিকার তারা আর হয় না। এই বিশ্বাসকে মিথ্যে প্রমাণ করে প্রতিদিনই মেয়েরা নির্যাতিত হচ্ছে গৃহে। তারা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, গায়িকা, নায়িকা, ব্যবসায়ী কী নয়! ইস্কুল কলেজ না পাশ করা গৃহবধূকে যেমন গৃহনিগ্রহ সইতে হয়, পাশ করা মেয়েদেরও সইতে হয় একই রকম গৃহনিগ্রহ। এর পিছনের কারণ, দুজনই নারী। দুজনই শিক্ষিত হোক, অশিক্ষিত হোক, এই সমাজের চোখে দুর্বল, দুজনই দ্বিতীয় লিঙ্গ। সানেরা পুরুষতান্ত্রিকতার অত শত তত্ত্ব বোঝেনি। কেবল তার ইচ্ছের কথাটি সে বুঝেছে। এবং ইচ্ছেটাকে মূল্য দিয়েছে। সে চেঁচিয়েছে। অপদার্থের সঙ্গে বিয়ে ভেঙেছে। সানেরা শিক্ষিতও নিশ্চয়ই ছিল না, স্বনির্ভরও সে নয়। কিন্তু তার যে স্বনির্ভর হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাই সে জোর গলায় বললো। পুরুষনির্ভর পরজীবী মেয়েদের পা কাঁপে নিজের পায়ে দাঁড়াতে বললে। এদের মধ্যে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা মেয়ের সংখ্যা নেহাত কম নয়।

এরকম একটি চল আছে, যে, বিয়ের রাতে পুরুষদের বেড়াল মারতে হয়। ওই বেড়াল মারা দেখেই নতুন স্ত্রী বুঝে যাবে যে তার কপালেও এই মার আছে। সুতরাং সে নত হবে নম্র হবে, আদেশ নিষেধ অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে এবং স্বামী-সেবায় জীবন উৎসর্গ করবে। বিয়ের দিন বেড়াল না মেরে বরপক্ষের লোকেরা মেয়ের বাবাকে মেরে দেখিয়ে দিতে চেয়েছিল, ‘তোর বাবাকেই আমরা কেয়ার করি না, তোকে কী করবো!’ এখানে সানেরার বাবা পুরুষের প্রতিনিধি নয়, প্রতিনিধি তার মেয়ের, সানেরার। তাই সে অত সহজে মার খেতে পেরেছে। সানেরার বাবা যদি সেদিন তার ছেলের বিয়ে দিত, কার শক্তি ছিল তার গায়ে হাত তোলে!

যা কোনও বড় শহরে ঘটে না, ছোট কোনও গ্রামে ছোট কোনও পরিবারে নিভৃতে ঘটে যায়। ওইসব ছোট ছোট গ্রামেই দেখেছি হঠাৎ কোনও এক মেয়ে ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ কেটে নেয় বা ভিন্ন গোত্রের ভিন্ন ধর্মের প্রেমিককে নিয়ে নির্দ্বিধায় পালিয়ে যায়।

পুরুষতন্ত্রের বিদ্যেটা যত সুন্দর করে ইতিহাস ভূগোল পদার্থ বিজ্ঞান আর রসায়নজ্ঞান শেখার মতো মেয়েরা শিখে নেয়, তত কিন্তু ‘লেখাপড়া না জানা’ সানেরারা শিখতে পারে না। তাদের তাই বিয়ের আসরে একথা বলতে বাধে না যে ‘এই বিয়ে আমি মানি না।’ অনড় দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ের মালা খুলে ফেলতে তাদের একটুও সংকোচ হয় না। পুরুষতন্ত্রের নিয়ম কানুন অন্তস্থ থাকলে সংকোচ হত। বিয়ের দিন বর এবং বরের বাড়ির লোকেরা আরও বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটালেও, মেয়ের বাবাকে কেবল পেটানো নয়, মেরে ফেললেও পুরুষতন্ত্রের বিদ্যে শেখা মেয়েরা বিয়ে ভাঙার মতো দুঃসাহস করতো না। কলঙ্ক বলে কথা।

কিন্তু সানেরা জানে না কী করলে কলঙ্কের কীর্তিকাহিনী রচিত হয়। জানে না বলেই সে অমন কঠিন এবং জরুরি একটি সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করেনি। এখন কী হবে সানেরার? হয়তো তার বাবা আবার পাত্রস্থ করতে চাইবে সানেরাকে। সানেরা এবার বোধহয় চোখ কান বুজে রাজি হবে। কারণ আত্দীয় স্বজন পাড়া পড়শি আর তাকে তিষ্ঠোতে দিচ্ছে না। সানেরা এখন স্বামী আর শ্বশুরবাড়ির সবার সেবা করবে আর প্রতিদিন মার খাবে। এরকম, অথবা সত্যিই সানেরা যা বলেছিল, তাই করবে, বিয়ে সে করবে না আর, নিজের উপার্জনের ব্যবস্থা নিজেই করে নেবে। সে কারও খায় না, পরে না। সে কোনও নিয়মনীতির ধারও ধারে না। এই দুটো পরিণতির কথাই আপাতত ভাবছি। দ্বিতীয় পরিণতিটি যদিও আমি সমর্থন করি, কিন্তু এই সমাজে তা ঘটানো খুব দুরূহ। যে চাপ সানেরার ওপর আসবে সমাজের অনুশাসন মেনে চলার, যে নিন্দা সানেরাকে করা হবে সে তার ইচ্ছের মূল্য দিয়েছে বলে, তা কি সানেরার একার পক্ষে বহন করা সম্ভব! মানুষ যদি চারদিক থেকে সানেরাকে সমর্থন করতো, সহযোগিতা করতো, মনে সে জোর পেত। তবে, জনসমক্ষে না করলেও অগুনতি মেয়ে আজ সানেরাকে মনে মনে সমর্থন করছে, আমার বিশ্বাস।

সানেরাকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই অভিনন্দন বার্তা তার কাছে জানি না কখনও পেঁৗছোবে কি না। হয়তো জানবেও না তার ওই ছোট্ট রুখে দাঁড়ানোটি দিয়ে সে আমাকেও আজ কী ভীষণ অনুপ্রাণিত করছে। নারীবাদের আদ্যোপান্ত জানা মানুষ আমি, এই আমারও সানেরার কাছে শেখার আছে অনেক কিছু। পুরুষেরা আমাকে যাচ্ছেতাই ভাবে অপমান করে, আর আমি যে তার পরও ভদ্র মেয়ের মতো, ভালো মেয়ের মতো মুখ বুজে থাকি, আর মুখ বুজে থাকি বলে বারবারই আমাকে অপমান করতে বা অপদস্থ করতে পুরুষের এতটুকু অসুবিধে হয় না- আমার এ জিনিসটি শেখার আছে, যে, পুরুষেরা একবার অপমান করার পর তাদের যেন দ্বিতীয়বার অপমান করার সুযোগ আমি না দিই, যেন তাদের মুখের ওপর দরজা বন্ধ করি।

সূত্র: দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন

সকল অধ্যায়

১. লিঙ্গসূত্র
২. যৌবনে ছেলেরা ডেয়ারিং
৩. পতিতা প্রথা বন্ধ হোক
৪. অপ্রত্যাশিত
৫. বিয়ের প্রয়োজনীয়তা আদৌ আছে কি?
৬. পুরুষ নিয়ে মেয়েদের কাড়াকাড়ি বাড়াবাড়ি
৭. নারীর যৌন কামনা থাকতে নেই
৮. দেশ আর দেশ নেই
৯. আমার গৌরব, আমি স্বেচ্ছাচারী
১০. ধর্মে নেই, উৎসবে আছি
১১. বেলা যায় মেলা যায়
১২. তোমাকে অভিবাদন, এলফ্রিডা
১৩. যাই বল নইপল
১৪. আমার দেহ নিয়ে আমি যা খুশি করব
১৫. বাবা
১৬. সেক্সবয় (গল্প)
১৭. সকল গৃহ হারালো যার
১৮. অন্ধকার আমাকে গ্রাস করতে থাকে
১৯. মেয়েদের শরীর পুরুষের চোখে
২০. পৃথিবীর প্রাচীনতম নির্যাতন
২১. পেছনের দিনগুলো ধুসর ধুসর
২২. খারাপ মেয়ের গল্প (গল্প)
২৩. হুমায়ূন : পুরুষতন্ত্রের সম্রাট
২৪. তুই নিষিদ্ধ তুই কথা কইস না
২৫. অনুমতি না নিয়ে আমার শরীর স্পর্শ করেছিলেন সুনীল
২৬. পৃথিবীর পথে
২৭. পৃথিবীর পথে ২
২৮. মিডিয়া এবং মানুষ
২৯. নারীবিদ্বেষের কারণ পুরুষতন্ত্র
৩০. সন্ত্রাস
৩১. বিহারি সমস্যা
৩২. রঘু রাই এবং শরণার্থী
৩৩. এ লড়াই প্রাচ্যের সঙ্গে পাশ্চাত্যের নয়
৩৪. বেড়ালের গল্প
৩৫. ফিলিস্তিন এক টুকরো মাটির নাম
৩৬. পর্নোগ্রাফি
৩৭. সেইসব ঈদ
৩৮. কামড়ে খামচে মেয়েদের ‘আদর’ করছে পুরুষেরা
৩৯. সুন্দরী
৪০. ধর্ম থাকবে, নারীর অধিকারও থাকবে, এটা হয় না
৪১. সানেরার মতো মেয়ে চাই- আছে?
৪২. প্রতিবেশি দেশ
৪৩. বামপন্থীদের ভুল
৪৪. বাঙালির বোরখা
৪৫. শাড়ি ব্লাউজ
৪৬. বিয়ের বয়স
৪৭. সেইসব ঈদ
৪৮. ন্যাড়া কি বেলতলা যায়
৪৯. লতিফ সিদ্দিকী এবং মানুষের ধর্মানুভূতি
৫০. বাকস্বাধীনতার অর্থ কি এতটাই কঠিন?
৫১. কেন পারি না
৫২. নাবালিকা ধর্ষণ
৫৩. রেলমন্ত্রীর বয়স এবং বিয়ে
৫৪. চুমু চুমু চুমু চুমু
৫৫. এত ঘৃণা করে ওরা মেয়েদের!
৫৬. সুমন চট্টোপাধ্যায় থেকে কবির সুমন
৫৭. তারপর কী হলো
৫৮. কিছু প্রশ্ন। কিছু উত্তর।
৫৯. দূর থেকে হয় না
৬০. আরীব মজিদরা জেলের বাইরে থাকলে আমরা অনেকেই নিরাপদ নই
৬১. এতদিনে ভারতে সভ্য আইন
৬২. বোয়াল মাছের গল্প
৬৩. মেয়ে বলে ‘কম মানুষ’ নই
৬৪. উপন্যাস : ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে
৬৫. প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ব্যক্তিগত চিঠি
৬৬. ধর্মান্তরণ
৬৭. গণধর্ষণ
৬৮. নির্বাসিত একটি ছবির নাম
৬৯. শার্লি আবদো
৭০. কল্পনার রাজ্য
৭১. কোকো, খালেদা আর দেশের দগ্ধ সন্তানেরা
৭২. গরিবের গ্রেনেড
৭৩. বাংলা একাডেমির অসভ্যতা
৭৪. অভিজিৎকে যেভাবে চিনি
৭৫. নারী দিবস
৭৬. বাঘ আর বেড়াল
৭৭. বাংলাদেশিদের দেশপ্রেম
৭৮. বাক স্বাধীনতা
৭৯. স্যানিটারি প্যাডে প্রতিবাদ
৮০. বাংলাদেশের কী কী করা উচিত ছিল এবং ছিল না
৮১. বাংলা সংস্কৃতি চলবে কী চলবে না
৮২. ঢাকাও কমাতে পারে জ্যাম আর দূষণ
৮৩. গ্যালিলিও এবং তার ‘জারজ মেয়ে’
৮৪. লজ্জাহীনতা
৮৫. প্রচলিত নারীবিদ্বেষী শব্দ ও প্রবাদ
৮৬. নিজের গোলা শূন্য
৮৭. শৃংখল ভেঙেছি আমি
৮৮. দেশপ্রেম না থাকাও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার
৮৯. ঢাকার বইমেলা ও একটি প্রেমের গল্প
৯০. খুব কাছে ওত পেতে আছে আততায়ী
৯১. নারী দিবস
৯২. ভারত এবং গরু
৯৩. আমার প্রথম সংসার
৯৪. খাজুরাহোর অভিজ্ঞতা
৯৫. চীনের অভিজ্ঞতা
৯৬. আমার জন্য কথা বলার কেউ নেই…
৯৭. সমাজ কি থেমে আছে?
৯৮. পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ
৯৯. কিছু প্রশ্ন, কিছু আশা
১০০. এই বাংলাদেশ আমার অচেনা
১০১. দেশের ভবিষ্যৎ
১০২. রোজা রাখার স্বাধীনতা
১০৩. চারদিকে প্রচুর ওমর মতিন
১০৪. আমার চোখের জলের ঈদ
১০৫. যদি পুরুষ হতাম
১০৬. জাকির নায়েকের বাকস্বাধীনতা
১০৭. কিছু সেলিব্রিটি মেয়ে তো ফাটাফাটি
১০৮. বিরুদ্ধ স্রোত
১০৯. মেয়েরা সেরা
১১০. মেয়েদের কাপড় চোপড়
১১১. মেয়েদের কাপড় চোপড়
১১২. সত্য বললে বিপদ
১১৩. আমরা আর তারা
১১৪. এরা কি মানুষ!
১১৫. লজ্জা বইটি এখনও নিষিদ্ধ কেন?
১১৬. বায়ু দূষণ
১১৭. সাঁওতালদের কথা
১১৮. হাতে টাকা নেই
১১৯. শিশুদের জন্য লোভের জিভ
১২০. যৌনকর্ম নাম দিয়ে পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার ষড়যন্ত্র
১২১. বুদ্ধিজীবী দিবস
১২২. সন্ত্রাস কোনো সমস্যার সমাধান নয়
১২৩. বাংলা একাডেমির হয়েছেটা কী
১২৪. যে বই তোমায় দেখায় ভয়, সে বইও পড়া উচিত
১২৫. পাঠ্যপুস্তকের পরিবর্তন
১২৬. দঙ্গলের মেয়ে
১২৭. নিষিদ্ধের তো একটা সীমা আছে
১২৮. ভারতে অসহিষ্ণুতা
১২৯. মেয়েদের পোশাক নিয়ে লোকের এত মাথাব্যথা কেন?
১৩০. ভ্যালেন্টাইন ডে’র ভাবনা
১৩১. উদারতার চেয়ে মহান কিছু নেই
১৩২. নারীবাদী হওয়া সহজ নয়
১৩৩. নেপাল থেকে বলছি
১৩৪. বাংলাদেশ বদলে গেছে
১৩৫. কেন আত্মঘাতী বোমারু হতে ইচ্ছে করে
১৩৬. অপুরা যেন হেরে না যায়
১৩৭. শেখ হাসিনার জন্য দুশ্চিন্তা
১৩৮. ওরা কেন আমাদের চেয়েও ভালো
১৩৯. ধর্ষকদের পৃথিবীতে বেঁচে যে আছি, এই তো অনেক
১৪০. চাই ধর্ষণহীন দিন
১৪১. আমার গ্রিন কার্ড, আমেরিকার ট্রাম্প কার্ড

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন