আমার গ্রিন কার্ড, আমেরিকার ট্রাম্প কার্ড

তসলিমা নাসরিন

আমার আমেরিকার গ্রিন কার্ডটি মনে হচ্ছে বাতিল হতে যাচ্ছে। কারণ কী? আমি কি মুসলিম মৌলবাদী? সন্ত্রাসী? আমেরিকার বিরুদ্ধে কোনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত? না। আমি বরং মুসলিম মৌলবাদ আর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে, মানবাধিকার আর নারীর অধিকারের পক্ষে দীর্ঘকাল সংগ্রাম করা মানুষ। আমাকে গ্রিন কার্ড দেওয়া হয়েছিল ‘এক্সট্রা অরডিনারি অ্যাবিলিটি’ বা অসাধারণ দক্ষতার জন্য। আমার পরিবারের লোকেরা আমেরিকার নাগরিকত্ব পেয়েছে, কারণ তারা আমার পরিবার। আর এখন কিনা, আর যারাই ঢুকতে পারুক আমেরিকায়, আমি পারবো না। সুইডিশ পাসপোর্ট হাতে নিয়েও পারবো না। আমি ট্রাম্পের সমালোচক, তাই বলে? কিন্তু আমার সমালোচনা আর ক’জন শুনেছে? আমি নিতান্তই ক্ষুদ্র একটি মানুষ। পৃথিবীর সাধারণ মানুষ কারা ট্রাম্পের নিন্দে করে, হোয়াইট হাউস তার হিসাব রাখে বলে আমার মনে হয় না। আমার মনে হয় না, সব সমালোচকের আমেরিকায় প্রবেশ করা অথবা বাস করা নিষিদ্ধ। তাহলে কেন আজ আমেরিকায় ঢোকার অনুমতি জুটছে না আমার! আমি তো কোনও অপরাধ করিনি, আমেরিকার বিরুদ্ধে কোনও ষড়যন্ত্র করিনি। কাউকে মারিনি ধরিনি। কারও পাকা ধানে মই দিইনি। নিরীহ সাদাসিধে ভালো মানুষটিকে কেন জীবনভর ভুগতে হবে একা! আমার মনে হয়, আমেরিকার সীমান্ত রক্ষীরা আমার নামটিকে পছন্দ করছে না, এই নামে, অনেকে বিশ্বাস করে, মুসলিম মুসলিম গন্ধ আছে। আমার আরও মনে হয়, ওরা পছন্দ করছে না যে দেশে আমি জন্মেছি সে দেশের নামটিকেও! পছন্দ করছে না আমার গায়ের রঙ। সে কারণে আমার গ্রিন কার্ডটিকে বাতিল করার ছুতো খুঁজছে, অবান্তর প্রশ্ন করছে, কেন তুমি তোমার গ্রিন কার্ড হারিয়ে যাওয়ার পর দূতাবাসকে সঙ্গে সঙ্গে জানাওনি! দূতাবাসকে জানাতে আমার দু’মাস দেরি হলো বলে আমি নিষিদ্ধ হয়ে যাবো! কাম অন।

ট্রাম্প ৭টি মুসলিম দেশের মানুষের আমেরিকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। আসলে তিনি মুসলমান নামের মানুষগুলোকেই বাধা দিতে চাইছেন। যখন আমার আমেরিকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ হচ্ছে, ট্রাম্প তখন মুসলিম মৌলবাদীদের সঙ্গে দুলে দুলে তলোয়ার-নাচ নাচছেন। তিনি মুসলিমদের নিষিদ্ধ করেন, কিন্তু মুসলিম-মৌলবাদীদের নিষিদ্ধ করেন না। মুসলিম মৌলবাদী— যারা টাকা-পয়সা দিয়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে টিকিয়ে রাখছেন, তাঁরা আজ ট্রাম্পের কাছের লোক। তাঁরা হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কেনেন, যে অস্ত্র সন্ত্রাসবাদ ঠেকানোর কাজে নয়, সন্ত্রাসবাদকে আরও বিস্তৃত করার কাজে ব্যবহৃত হয়। ট্রাম্প সুন্নিদের দেশে গিয়ে সন্ত্রাসবাদের জন্য দোষ দিয়ে দিলেন শিয়াদের দেশ ইরানকে। এ ঠিক কেমন বুদ্ধিমানের কাজ করলেন, যখন সারা বিশ্বে সন্ত্রাস করছে যারা, তাদের প্রায় সবাই সুন্নি এবং সৌদি রাজপরিবারের ধর্ম ওহাবিবাদে বিশ্বাসী! অস্ত্র কিনেছে বলে সৌদি আরবের সবাইকে ট্রাম্প ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু সৌদি আরবের সবাই তো অস্ত্র কেনেনি, কিনেছে সৌদি আরবের রাজপরিবার। এই রাজপরিবারের সঙ্গে আমেরিকার প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলোর সম্পর্ক খুব মধুর। মধুর সেই ১৯৪৩ সাল থেকেই। সেই কত আগে রুজভেল্ট বলেছিলেন, ‘সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ’ গত সত্তর বছরে সৌদি আরব অবিশ্বাস্য সংখ্যক অস্ত্র কিনছে আমেরিকার কাছ থেকে। ওবামাকে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া হলেও ওবামার আমলে ২০১০ সালে সৌদি আরব কিনেছে ৬০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র।

ট্রাম্প কী বলেছিলেন সৌদি আরব সম্পর্কে। মনে আছে সে সব? তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার সময় সৌদি আরব সরকারকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, ‘এরা উঁচু দালান থেকে সমকামীদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরা মেয়েদের মেরে ফেলে, মেয়েদের অকথ্য অত্যাচার করে। ’ আমেরিকার টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পেছনে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘হাত সৌদি আরবের’। সন্ত্রাসী হামলার পেছনে যাদের হাত, তাদের কাছে আজ ট্রাম্প অস্ত্র বিক্রি করছেন। তাহলে কি ট্রাম্পকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধের মানুষ বলা যায়? নিশ্চয়ই যায় না। আমেরিকার এই অস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে গরিব দেশ ইয়েমেনের গরিবদের মারবে। এর মধ্যে দশ হাজার লোক মরেছে, অগুনতি ইয়েমেনি মানুষ উড়ে গেছে আমেরিকার বানানো বোমায়। গত দু’বছরে সৌদি আরব ইয়েমেনের ওপর ৮১ বার হামলা করেছে। হামলা করেছে আমেরিকা থেকে কেনা অস্ত্র দিয়ে। যত বেশি হামলা হবে আমেরিকার অস্ত্র দিয়ে, মগজধোলাই হওয়া তরুণেরা তত বেশি অস্ত্র হাতে নিয়ে পাশ্চাত্যের মানুষদের হামলা করবে। ট্রাম্পের বক্তৃতার কিছু পরেই হামলা হলো ম্যানচেস্টারে। ২২ জনের মৃত্যু হলো।

আইসেনহাওয়ার বলেছিলেন, ‘আমেরিকার মিলিটারি কোম্পানিগুলোর জন্য যা ভালো, তা খুব স্বাভাবিকভাবেই আমেরিকা এবং বিশ্বের জন্য ভালো নয়। ’ একেবারে খাঁটি কথা বলেছিলেন। কিন্তু আমেরিকার সরকারে প্রভাবশালী ক’জন এ কথা বিশ্বাস করে?

ট্রাম্পকে সমর্থন করার লোক প্রচুর ছিল। তারা বিশ্বাস করেছিল, ট্রাম্প ইসলামি সন্ত্রাস দূর করবেন। তাঁরা নিশ্চয়ই আশাহত এখন। সন্ত্রাসের সব দোষ ইরানের ওপর চাপিয়ে বিশ্বময় সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে যারা, তাদের সঙ্গে কোলাকুলি করে, তলোয়ার নাচ নেচে বন্ধুত্ব আরও গভীর করে এলেন ট্রাম্প। সন্ত্রাস বিলুপ্ত করবেন এই ঘোষণা দিয়ে অস্ত্র বিক্রি করে এলেন সন্ত্রাসীদের গুরুর কাছে।

আর এদিকে শুধু আমাকে নয়, মুসলিম দেশে জন্ম অনেককে অযথাই হেনস্তা করছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। আমেরিকা থেকে বের করে দিচ্ছে, অথবা আমেরিকায় ঢুকতে দিতে চাইছে না। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা মানুষও অনুমতি পাচ্ছে না আমেরিকায় প্রবেশের। আগের সরকার যেভাবে দেশ চালিয়েছে, এই সরকারও সেভাবেই দেশ চালাবে। মাঝে মাঝে ভাবী, আমেরিকার ডেমোক্রেট আর রিপাবলিক দলের মধ্যে আসলে কোনও পার্থক্য নেই। অস্ত্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য আমেরিকার সরকার, সে যে সরকারই হোক, যা কিছু করতে পারে। মানবতাকে ধ্বংস করতে তাদের মোটেও অসুবিধে হয় না। এই স্বার্থপর দেশটির দিকে আমরা কি না তাকিয়ে আছি দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে যে এই দেশটিই শক্ত হাতে সন্ত্রাস মোকাবিলা করবে। আমেরিকা সন্ত্রাস যত নির্মূল করে, তার চেয়ে বেশি সন্ত্রাস সৃষ্টি করে। সন্ত্রাসী তৈরিতে এক সময় তো সাহায্যও করেছে। আমেরিকার সাহায্য ছাড়া আল-কায়েদা, আইসিস জন্ম নিতো না।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০১৭

অধ্যায় ১৪১ / ১৪১

সকল অধ্যায়

১. লিঙ্গসূত্র
২. যৌবনে ছেলেরা ডেয়ারিং
৩. পতিতা প্রথা বন্ধ হোক
৪. অপ্রত্যাশিত
৫. বিয়ের প্রয়োজনীয়তা আদৌ আছে কি?
৬. পুরুষ নিয়ে মেয়েদের কাড়াকাড়ি বাড়াবাড়ি
৭. নারীর যৌন কামনা থাকতে নেই
৮. দেশ আর দেশ নেই
৯. আমার গৌরব, আমি স্বেচ্ছাচারী
১০. ধর্মে নেই, উৎসবে আছি
১১. বেলা যায় মেলা যায়
১২. তোমাকে অভিবাদন, এলফ্রিডা
১৩. যাই বল নইপল
১৪. আমার দেহ নিয়ে আমি যা খুশি করব
১৫. বাবা
১৬. সেক্সবয় (গল্প)
১৭. সকল গৃহ হারালো যার
১৮. অন্ধকার আমাকে গ্রাস করতে থাকে
১৯. মেয়েদের শরীর পুরুষের চোখে
২০. পৃথিবীর প্রাচীনতম নির্যাতন
২১. পেছনের দিনগুলো ধুসর ধুসর
২২. খারাপ মেয়ের গল্প (গল্প)
২৩. হুমায়ূন : পুরুষতন্ত্রের সম্রাট
২৪. তুই নিষিদ্ধ তুই কথা কইস না
২৫. অনুমতি না নিয়ে আমার শরীর স্পর্শ করেছিলেন সুনীল
২৬. পৃথিবীর পথে
২৭. পৃথিবীর পথে ২
২৮. মিডিয়া এবং মানুষ
২৯. নারীবিদ্বেষের কারণ পুরুষতন্ত্র
৩০. সন্ত্রাস
৩১. বিহারি সমস্যা
৩২. রঘু রাই এবং শরণার্থী
৩৩. এ লড়াই প্রাচ্যের সঙ্গে পাশ্চাত্যের নয়
৩৪. বেড়ালের গল্প
৩৫. ফিলিস্তিন এক টুকরো মাটির নাম
৩৬. পর্নোগ্রাফি
৩৭. সেইসব ঈদ
৩৮. কামড়ে খামচে মেয়েদের ‘আদর’ করছে পুরুষেরা
৩৯. সুন্দরী
৪০. ধর্ম থাকবে, নারীর অধিকারও থাকবে, এটা হয় না
৪১. সানেরার মতো মেয়ে চাই- আছে?
৪২. প্রতিবেশি দেশ
৪৩. বামপন্থীদের ভুল
৪৪. বাঙালির বোরখা
৪৫. শাড়ি ব্লাউজ
৪৬. বিয়ের বয়স
৪৭. সেইসব ঈদ
৪৮. ন্যাড়া কি বেলতলা যায়
৪৯. লতিফ সিদ্দিকী এবং মানুষের ধর্মানুভূতি
৫০. বাকস্বাধীনতার অর্থ কি এতটাই কঠিন?
৫১. কেন পারি না
৫২. নাবালিকা ধর্ষণ
৫৩. রেলমন্ত্রীর বয়স এবং বিয়ে
৫৪. চুমু চুমু চুমু চুমু
৫৫. এত ঘৃণা করে ওরা মেয়েদের!
৫৬. সুমন চট্টোপাধ্যায় থেকে কবির সুমন
৫৭. তারপর কী হলো
৫৮. কিছু প্রশ্ন। কিছু উত্তর।
৫৯. দূর থেকে হয় না
৬০. আরীব মজিদরা জেলের বাইরে থাকলে আমরা অনেকেই নিরাপদ নই
৬১. এতদিনে ভারতে সভ্য আইন
৬২. বোয়াল মাছের গল্প
৬৩. মেয়ে বলে ‘কম মানুষ’ নই
৬৪. উপন্যাস : ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে
৬৫. প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ব্যক্তিগত চিঠি
৬৬. ধর্মান্তরণ
৬৭. গণধর্ষণ
৬৮. নির্বাসিত একটি ছবির নাম
৬৯. শার্লি আবদো
৭০. কল্পনার রাজ্য
৭১. কোকো, খালেদা আর দেশের দগ্ধ সন্তানেরা
৭২. গরিবের গ্রেনেড
৭৩. বাংলা একাডেমির অসভ্যতা
৭৪. অভিজিৎকে যেভাবে চিনি
৭৫. নারী দিবস
৭৬. বাঘ আর বেড়াল
৭৭. বাংলাদেশিদের দেশপ্রেম
৭৮. বাক স্বাধীনতা
৭৯. স্যানিটারি প্যাডে প্রতিবাদ
৮০. বাংলাদেশের কী কী করা উচিত ছিল এবং ছিল না
৮১. বাংলা সংস্কৃতি চলবে কী চলবে না
৮২. ঢাকাও কমাতে পারে জ্যাম আর দূষণ
৮৩. গ্যালিলিও এবং তার ‘জারজ মেয়ে’
৮৪. লজ্জাহীনতা
৮৫. প্রচলিত নারীবিদ্বেষী শব্দ ও প্রবাদ
৮৬. নিজের গোলা শূন্য
৮৭. শৃংখল ভেঙেছি আমি
৮৮. দেশপ্রেম না থাকাও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার
৮৯. ঢাকার বইমেলা ও একটি প্রেমের গল্প
৯০. খুব কাছে ওত পেতে আছে আততায়ী
৯১. নারী দিবস
৯২. ভারত এবং গরু
৯৩. আমার প্রথম সংসার
৯৪. খাজুরাহোর অভিজ্ঞতা
৯৫. চীনের অভিজ্ঞতা
৯৬. আমার জন্য কথা বলার কেউ নেই…
৯৭. সমাজ কি থেমে আছে?
৯৮. পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ
৯৯. কিছু প্রশ্ন, কিছু আশা
১০০. এই বাংলাদেশ আমার অচেনা
১০১. দেশের ভবিষ্যৎ
১০২. রোজা রাখার স্বাধীনতা
১০৩. চারদিকে প্রচুর ওমর মতিন
১০৪. আমার চোখের জলের ঈদ
১০৫. যদি পুরুষ হতাম
১০৬. জাকির নায়েকের বাকস্বাধীনতা
১০৭. কিছু সেলিব্রিটি মেয়ে তো ফাটাফাটি
১০৮. বিরুদ্ধ স্রোত
১০৯. মেয়েরা সেরা
১১০. মেয়েদের কাপড় চোপড়
১১১. মেয়েদের কাপড় চোপড়
১১২. সত্য বললে বিপদ
১১৩. আমরা আর তারা
১১৪. এরা কি মানুষ!
১১৫. লজ্জা বইটি এখনও নিষিদ্ধ কেন?
১১৬. বায়ু দূষণ
১১৭. সাঁওতালদের কথা
১১৮. হাতে টাকা নেই
১১৯. শিশুদের জন্য লোভের জিভ
১২০. যৌনকর্ম নাম দিয়ে পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার ষড়যন্ত্র
১২১. বুদ্ধিজীবী দিবস
১২২. সন্ত্রাস কোনো সমস্যার সমাধান নয়
১২৩. বাংলা একাডেমির হয়েছেটা কী
১২৪. যে বই তোমায় দেখায় ভয়, সে বইও পড়া উচিত
১২৫. পাঠ্যপুস্তকের পরিবর্তন
১২৬. দঙ্গলের মেয়ে
১২৭. নিষিদ্ধের তো একটা সীমা আছে
১২৮. ভারতে অসহিষ্ণুতা
১২৯. মেয়েদের পোশাক নিয়ে লোকের এত মাথাব্যথা কেন?
১৩০. ভ্যালেন্টাইন ডে’র ভাবনা
১৩১. উদারতার চেয়ে মহান কিছু নেই
১৩২. নারীবাদী হওয়া সহজ নয়
১৩৩. নেপাল থেকে বলছি
১৩৪. বাংলাদেশ বদলে গেছে
১৩৫. কেন আত্মঘাতী বোমারু হতে ইচ্ছে করে
১৩৬. অপুরা যেন হেরে না যায়
১৩৭. শেখ হাসিনার জন্য দুশ্চিন্তা
১৩৮. ওরা কেন আমাদের চেয়েও ভালো
১৩৯. ধর্ষকদের পৃথিবীতে বেঁচে যে আছি, এই তো অনেক
১৪০. চাই ধর্ষণহীন দিন
১৪১. আমার গ্রিন কার্ড, আমেরিকার ট্রাম্প কার্ড

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন