সত্য বললে বিপদ

তসলিমা নাসরিন

সৈয়দ শামসুল হক মারা যাওয়ার পর আমি ফেসবুকে লিখেছিলাম,— “সৈয়দ শামসুল হক মারা গেছেন ৮১ বছর বয়সে। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মান, সম্মান, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, প্রচার, জনপ্রিয়তা, সরকারি-বেসরকারি পুরস্কার— সবই পেয়েছেন তিনি। একজন লেখকের যা যা কাঙ্ক্ষিত থাকতে পারে, তা পাওয়া হয়ে গেলে তাঁকে সফল বা সার্থক লেখকই বলা যায়। সৈয়দ শামসুল হকের সঙ্গে আটের দশকের শেষদিকে ভালো যোগাযোগ ছিল আমার। মাঝে মধ্যে ময়মনসিংহে গেলে আমার সঙ্গে দেখা করতেন। একবার আমার সাহিত্য সংগঠন ‘সকাল কবিতা পরিষদ’-এর অনুষ্ঠানে তাঁকে বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তিনি গিয়েছিলেন। ভালো বক্তৃতা করেছিলেন। সেসময় আমার সাহিত্যচর্চার বেশ খবর নিতেন তিনি। আমার লেখা কবিতাগুলো মন দিয়ে পড়তেন, মন্তব্য করতেন। তিরিশ বছরের বড় ছিলেন, আমাকে কন্যার মতো স্নেহ করেন বলতেন।

‘খেলারাম খেলে যা’র বিখ্যাত লেখকের সঙ্গে একসময় যোগাযোগ সম্পূর্ণই বন্ধ করে দিই। সে অনেক গল্প। ‘ক’ বইটিতে সেইসব ভালো-মন্দের স্মৃতি অনেকটাই আছে।

আজ তিনি চলে গেলেন, কাল আমরা যাবো। জীবনের এই তো নিয়ম। এক এক করে আমাদের সবাইকে যেতে হবে। আমাদের মধ্যে ক’জন আশি পার করে যেতে পারবো সেটাই প্রশ্ন। এখন যে জরুরি বিষয়টি আমি জানতে ইচ্ছুক সেটি হলো, তিনি যে ঢাকা হাইকোর্টকে দিয়ে ‘ক’ বইটিকে নিষিদ্ধ করিয়েছিলেন, সেটির কী হবে? বারো বছর পার হয়ে গেছে, এখনও কি বইটি নিষিদ্ধ রয়ে যাবে? নাকি বাদীর অনুপস্থিতিতে বইটি এখন মুক্তির স্বাদ পেতে পারে! ‘ক’ বইটি লিখেছি বলে সৈয়দ হক ১০০ কোটি টাকার মামলা করেছিলেন আমার বিরুদ্ধে। এই মামলাই বা কী অবস্থায় আছে কে জানে । এটির কোনও শুনানি হয়েছে বলে শুনিনি। তিনি কি পাওয়ার অব এটর্নি দিয়ে গেছেন কাউকে? যদি দিয়ে থাকেন, তাহলে পাওয়ার অব এটর্নি কি মামলা চালিয়ে যাবেন, এবং বইটি নিষিদ্ধ রাখার ব্যবস্থা করবেন?

মত প্রকাশের অধিকারের পক্ষে গত তিন দশক লড়ছি। মনে হচ্ছে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত লড়তে হবে। ”

আমার ওই লেখাটি পড়ে অনেকে বেশ রুষ্ট হয়েছে। তারা মনে করছে সৈয়দ হকের আত্মার শান্তি আমি ঘটতে দিচ্ছি না। বলেছে, ‘এখনই কি এসব বলার খুব দরকার ছিল? আর সময় পেলে না?’ আসলে আমি ঠিক বুঝি না কোন সময়টাকে সত্য বলার জন্য উপযুক্ত সময় বলে ধরা হয়। আমি মনে করি না, অপ্রিয় সত্য বলার জন্য কোনও সময়কে কেউ উপযুক্ত সময় বলে মনে করে। যারা অপ্রিয় সত্য কথা শুনতে পছন্দ করে না, তাদের কাছে কোনও সময়ই উপযুক্ত নয়, এবং অধিকাংশ মানুষই অপ্রিয় সত্য কথা শুনতে পছন্দ করে না। শুধু মৃত্যুর পরই কেন, জীবিত থাকাকালীন বললেও সকলে রুষ্ট হয়।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বেলাতেও লক্ষ করেছি একই ঘটনা। তিনি অনেক ভালো কবি, ভালো লেখক, ভালো মানুষ— এটুকু বললে ঠিক আছে। কিন্তু যেই না বলেছি উনি অনেক মেয়েকে এক্সপ্লয়েট করেছেন। অমনি সকলে রুষ্ট হলো। কেন, এই কথা এখন কেন? যেন এ কথা বলার জন্যে এ সঠিক সময় নয়। আমি মনে করি যে কোনও সময়ই, সত্য কথা সে প্রিয় হোক অপ্রিয় হোক, বলার জন্য উপযুক্ত এবং সঠিক সময়। কিন্তু আমি মনে করলে কী লাভ। পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষই তা মনে করে না।

সত্য কথা বললে যে বিপদ বাঁধে, তা আমার চেয়ে বেশি কেউ জানে না হয়তো। যাদের কুপিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে, তারা বিপদ ভালো করে বোঝার আগেই মরে গেছে। আর যাদের ঘাড়ে এখনও কোপ পড়েনি, তারা বছরের পর বছর প্রতিদিনই অদৃশ্য কোপ খাচ্ছে, রক্তাক্ত হচ্ছে। যেমন আমি। আত্মজীবনী লিখতে গিয়ে আমার আশেপাশের মানুষের কথা বলেছি, কিছু বিখ্যাত মানুষও ছিল পথচলায়। অখ্যাত মানুষের ভালো মন্দ নিয়ে লিখেছি, ওতে অসুবিধে নেই কারওর। যেই না বিখ্যাত মানুষের ভালো মন্দ নিয়ে লিখেছি, অমনি গোল বাঁধলো। বিখ্যাত মানুষের শুধু ভালোটাই বলা যাবে, মন্দটা নয়, মন্দটা গোপন করে যেতে হবে।

বিখ্যাত মানুষ সম্পর্কে তাঁদের জীবিত থাকাকালীনও বললে দোষ, মরলেও বলা দোষ। আমি কিন্তু এককালে বিখ্যাত ছিলাম, এখনও সামান্য আছি। আমার সম্পর্কে সেই কতকাল যাবৎ যে নোংরা আর মিথ্যে কথা বলা হচ্ছে লেখা হচ্ছে, কতকাল যাবৎ করা হচ্ছে অবিরাম নিন্দে— তা নিয়ে অবশ্য কারওর আপত্তি কখনও ছিল না, এখনও নেই। বিখ্যাত মানুষগুলো পুরুষ বলেই আপত্তি।

বিখ্যাত পুরুষদের এই সুবিধে, তাঁদের সাত খুন মাফ। কেন আমাদের সমাজে বিখ্যাত পুরুষের মুখোশ খোলার রেওয়াজ নেই? এরা যাকে একবার বড় মানে, তাকে বড়ই মানে। ঈশ্বর ভক্তি বেশি যে সমাজে, সেখানেই ভক্তি চর্চার প্রকোপ, মানুষকেও অবচেতনে ঈশ্বর বানিয়ে ফেলে।

সত্য কথা বললে নিন্দে শুনতে হয়, একঘরে হতে হয়, দুর্নাম রটে, জনপ্রিয়তা নষ্ট হয়, বই বিক্রি কমে যায়— এসব জেনেও সত্য বলি। যতদিন বেঁচে আছি বলবো।

অধিকাংশ পুরুষেরা পলিটিশিয়ান হলে যা করে, গায়ক নায়ক লেখক শিল্পী হলেও অনেকটা তাই করে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে। কিন্তু এসব নিয়ে মুখ খুলতে সকলেই নারাজ। পুরুষের যা ইচ্ছে তাই করার অধিকার আছে, কিন্তু এ নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলার অধিকার কোনও মেয়ে মানুষের নেই।

নারী পুরুষ উভয়ে জোর গলায় বলে আমরা সুনীল ভক্ত, আমরা আজাদ ভক্ত, আমরা ছফা ভক্ত, আমরা হক ভক্ত। এতে ভক্তদের কোনও দুর্নাম হয় না। কিন্তু আমি লক্ষ করেছি, আমার ওপর অন্যায় আচরণ করা হলে কেউ যদি সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, কেউ যদি ডিফেন্ড করে আমাকে, তাহলে তাকে গালাগালি করা হয়, বলা হয় সে আমার ‘অন্ধ ভক্ত’। ভক্ত হওয়া বা অন্ধ ভক্ত হওয়া যে মোটেও ভালো কাজ নয়, আমার দোষগুলো যে তুলে ধরা উচিত, তা বারবার করে বলে দেওয়া হয়। তারাই বলে যারা কোনও পুরুষ-লেখকের অন্ধ ভক্ত হিসেবে পরিচয় দিতে কোনও গ্লানি বোধ করে না, বরং ভালোবাসে। পুরুষ লেখকের ভক্ত হওয়া সম্মানের কাজ আর নারী লেখকের ভক্ত হওয়া অসম্মানের কাজ— এটাই মূল কথা। অনেক পাঠক পাঠিকা যারা আমার লেখা খুব পছন্দ করে, তারাও জনসমক্ষে বলতে সাহস পায় না তারা আমার লেখা পছন্দ করে। অপদস্থ হওয়ার ভয়ে চেপে যেতে হয় সত্যটা।

যে সমাজ সত্যকে আড়াল করে, সত্যকে সহ্য করে না, সে সমাজ মিথ্যের আবর্জনার ওপর খুব শক্ত পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাকে মিথ্যে থেকে তুলে এনে সুস্থ এবং মুক্ত পরিবেশে রাখা সহজ নয়। কিন্তু এটুকুই আশা, কঠিন কাজ তো সংখ্যায় অল্প হলেও কেউ কেউ করে।

সোর্স : বাংলাদেশ প্রতিদিন, ০৬ অক্টোবর, ২০১৬

সকল অধ্যায়

১. লিঙ্গসূত্র
২. যৌবনে ছেলেরা ডেয়ারিং
৩. পতিতা প্রথা বন্ধ হোক
৪. অপ্রত্যাশিত
৫. বিয়ের প্রয়োজনীয়তা আদৌ আছে কি?
৬. পুরুষ নিয়ে মেয়েদের কাড়াকাড়ি বাড়াবাড়ি
৭. নারীর যৌন কামনা থাকতে নেই
৮. দেশ আর দেশ নেই
৯. আমার গৌরব, আমি স্বেচ্ছাচারী
১০. ধর্মে নেই, উৎসবে আছি
১১. বেলা যায় মেলা যায়
১২. তোমাকে অভিবাদন, এলফ্রিডা
১৩. যাই বল নইপল
১৪. আমার দেহ নিয়ে আমি যা খুশি করব
১৫. বাবা
১৬. সেক্সবয় (গল্প)
১৭. সকল গৃহ হারালো যার
১৮. অন্ধকার আমাকে গ্রাস করতে থাকে
১৯. মেয়েদের শরীর পুরুষের চোখে
২০. পৃথিবীর প্রাচীনতম নির্যাতন
২১. পেছনের দিনগুলো ধুসর ধুসর
২২. খারাপ মেয়ের গল্প (গল্প)
২৩. হুমায়ূন : পুরুষতন্ত্রের সম্রাট
২৪. তুই নিষিদ্ধ তুই কথা কইস না
২৫. অনুমতি না নিয়ে আমার শরীর স্পর্শ করেছিলেন সুনীল
২৬. পৃথিবীর পথে
২৭. পৃথিবীর পথে ২
২৮. মিডিয়া এবং মানুষ
২৯. নারীবিদ্বেষের কারণ পুরুষতন্ত্র
৩০. সন্ত্রাস
৩১. বিহারি সমস্যা
৩২. রঘু রাই এবং শরণার্থী
৩৩. এ লড়াই প্রাচ্যের সঙ্গে পাশ্চাত্যের নয়
৩৪. বেড়ালের গল্প
৩৫. ফিলিস্তিন এক টুকরো মাটির নাম
৩৬. পর্নোগ্রাফি
৩৭. সেইসব ঈদ
৩৮. কামড়ে খামচে মেয়েদের ‘আদর’ করছে পুরুষেরা
৩৯. সুন্দরী
৪০. ধর্ম থাকবে, নারীর অধিকারও থাকবে, এটা হয় না
৪১. সানেরার মতো মেয়ে চাই- আছে?
৪২. প্রতিবেশি দেশ
৪৩. বামপন্থীদের ভুল
৪৪. বাঙালির বোরখা
৪৫. শাড়ি ব্লাউজ
৪৬. বিয়ের বয়স
৪৭. সেইসব ঈদ
৪৮. ন্যাড়া কি বেলতলা যায়
৪৯. লতিফ সিদ্দিকী এবং মানুষের ধর্মানুভূতি
৫০. বাকস্বাধীনতার অর্থ কি এতটাই কঠিন?
৫১. কেন পারি না
৫২. নাবালিকা ধর্ষণ
৫৩. রেলমন্ত্রীর বয়স এবং বিয়ে
৫৪. চুমু চুমু চুমু চুমু
৫৫. এত ঘৃণা করে ওরা মেয়েদের!
৫৬. সুমন চট্টোপাধ্যায় থেকে কবির সুমন
৫৭. তারপর কী হলো
৫৮. কিছু প্রশ্ন। কিছু উত্তর।
৫৯. দূর থেকে হয় না
৬০. আরীব মজিদরা জেলের বাইরে থাকলে আমরা অনেকেই নিরাপদ নই
৬১. এতদিনে ভারতে সভ্য আইন
৬২. বোয়াল মাছের গল্প
৬৩. মেয়ে বলে ‘কম মানুষ’ নই
৬৪. উপন্যাস : ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে
৬৫. প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ব্যক্তিগত চিঠি
৬৬. ধর্মান্তরণ
৬৭. গণধর্ষণ
৬৮. নির্বাসিত একটি ছবির নাম
৬৯. শার্লি আবদো
৭০. কল্পনার রাজ্য
৭১. কোকো, খালেদা আর দেশের দগ্ধ সন্তানেরা
৭২. গরিবের গ্রেনেড
৭৩. বাংলা একাডেমির অসভ্যতা
৭৪. অভিজিৎকে যেভাবে চিনি
৭৫. নারী দিবস
৭৬. বাঘ আর বেড়াল
৭৭. বাংলাদেশিদের দেশপ্রেম
৭৮. বাক স্বাধীনতা
৭৯. স্যানিটারি প্যাডে প্রতিবাদ
৮০. বাংলাদেশের কী কী করা উচিত ছিল এবং ছিল না
৮১. বাংলা সংস্কৃতি চলবে কী চলবে না
৮২. ঢাকাও কমাতে পারে জ্যাম আর দূষণ
৮৩. গ্যালিলিও এবং তার ‘জারজ মেয়ে’
৮৪. লজ্জাহীনতা
৮৫. প্রচলিত নারীবিদ্বেষী শব্দ ও প্রবাদ
৮৬. নিজের গোলা শূন্য
৮৭. শৃংখল ভেঙেছি আমি
৮৮. দেশপ্রেম না থাকাও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার
৮৯. ঢাকার বইমেলা ও একটি প্রেমের গল্প
৯০. খুব কাছে ওত পেতে আছে আততায়ী
৯১. নারী দিবস
৯২. ভারত এবং গরু
৯৩. আমার প্রথম সংসার
৯৪. খাজুরাহোর অভিজ্ঞতা
৯৫. চীনের অভিজ্ঞতা
৯৬. আমার জন্য কথা বলার কেউ নেই…
৯৭. সমাজ কি থেমে আছে?
৯৮. পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ
৯৯. কিছু প্রশ্ন, কিছু আশা
১০০. এই বাংলাদেশ আমার অচেনা
১০১. দেশের ভবিষ্যৎ
১০২. রোজা রাখার স্বাধীনতা
১০৩. চারদিকে প্রচুর ওমর মতিন
১০৪. আমার চোখের জলের ঈদ
১০৫. যদি পুরুষ হতাম
১০৬. জাকির নায়েকের বাকস্বাধীনতা
১০৭. কিছু সেলিব্রিটি মেয়ে তো ফাটাফাটি
১০৮. বিরুদ্ধ স্রোত
১০৯. মেয়েরা সেরা
১১০. মেয়েদের কাপড় চোপড়
১১১. মেয়েদের কাপড় চোপড়
১১২. সত্য বললে বিপদ
১১৩. আমরা আর তারা
১১৪. এরা কি মানুষ!
১১৫. লজ্জা বইটি এখনও নিষিদ্ধ কেন?
১১৬. বায়ু দূষণ
১১৭. সাঁওতালদের কথা
১১৮. হাতে টাকা নেই
১১৯. শিশুদের জন্য লোভের জিভ
১২০. যৌনকর্ম নাম দিয়ে পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার ষড়যন্ত্র
১২১. বুদ্ধিজীবী দিবস
১২২. সন্ত্রাস কোনো সমস্যার সমাধান নয়
১২৩. বাংলা একাডেমির হয়েছেটা কী
১২৪. যে বই তোমায় দেখায় ভয়, সে বইও পড়া উচিত
১২৫. পাঠ্যপুস্তকের পরিবর্তন
১২৬. দঙ্গলের মেয়ে
১২৭. নিষিদ্ধের তো একটা সীমা আছে
১২৮. ভারতে অসহিষ্ণুতা
১২৯. মেয়েদের পোশাক নিয়ে লোকের এত মাথাব্যথা কেন?
১৩০. ভ্যালেন্টাইন ডে’র ভাবনা
১৩১. উদারতার চেয়ে মহান কিছু নেই
১৩২. নারীবাদী হওয়া সহজ নয়
১৩৩. নেপাল থেকে বলছি
১৩৪. বাংলাদেশ বদলে গেছে
১৩৫. কেন আত্মঘাতী বোমারু হতে ইচ্ছে করে
১৩৬. অপুরা যেন হেরে না যায়
১৩৭. শেখ হাসিনার জন্য দুশ্চিন্তা
১৩৮. ওরা কেন আমাদের চেয়েও ভালো
১৩৯. ধর্ষকদের পৃথিবীতে বেঁচে যে আছি, এই তো অনেক
১৪০. চাই ধর্ষণহীন দিন
১৪১. আমার গ্রিন কার্ড, আমেরিকার ট্রাম্প কার্ড

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন