বিষাদবৃক্ষ – ৩৮

মিহির সেনগুপ্ত

আটত্রিশ

বেশ খানিকক্ষণ ধরে বইটিতে মগ্ন ছিলাম। বাড়ির ছেলেমেয়েরা আমাদের আসার সময় থেকেই বেশ কৌতূহল সহকারে আমাকে পর্যবেক্ষণ করছিল। পরে আমার সাধারণ পোশাক-আশাক, ক্ষয়াটে খুটে দেহাকৃতি এবং সর্বোপরি দীনভাব যে তাদের কৌতুকের কারণ হবে, সেটা ভাবিনি। তারা এখন একা ঘরে আমাকে পেয়ে একে একে এসে উপস্থিত হলো এবং নানারকম প্রশ্ন করতে লাগল। আমি তাদের সঙ্গে সহজ হতে পারছিলাম না। তারাও সরল স্বাভাবিক আচরণ করছিল না। কিছুক্ষণের মধ্যেই বুঝতে পারলাম যে, তারা আমাকে একটি নিরেট গাঁইয়া জীব হিসেবে শনাক্ত করেছে। এই ছেলেমেয়েদের মধ্যে একটি যুবক ও একটি যুবতী ছিল। পরে জেনেছিলাম প্রয়াত গৃহকর্তার শ্যালিকা মতান্তরে দ্বিতীয়া পত্নীর গর্ভজাত। তারা আমার তত্ত্বতালাশ সবিশেষ সংগ্রহ করেছিল। তাদের গায়ের রং তামাটে, মাথার চুল প্রায় নিগ্রোদের মতো কোঁকড়ানো এবং চক্ষু কটা। বুঝলাম জ্যাঠামশাই এদের অপরিচিত নন এবং আমাদের একদার তালুকদারির বিষয়েও তাদের খবর আছে।

প্রসঙ্গত, বরিশাল সদরে আমাদের তালুকদারির কালের একটি সুদৃশ্য বাংলো ছিল। যাঁরা ইসমাইল হোসেন খানচৌধুরী সাহেবের গরিবখানার (আসলে দৌতলখানা) তত্ত্বতালাশ জানেন, তাঁরা রায়বাহাদুর ভবনের কথাও জানবেন। দুটি ভবন পাশাপাশিই ছিল। বাংলোটি ছিল রায়বাহাদুরদেরই দখলে। আমার বাবা এবং জ্যাঠামশাই তাঁদের স্কুলজীবনে ওই বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করেছেন। তখন অবশ্য পরিবারটি একান্নবর্তী ছিল। পরে তালুকদারি ভাগ হলে তাঁরা বড়তরফ হন এবং দেশভাগের বহু আগেই দেশত্যাগ করেন। এইসব কারণে এই বাড়ির লোকেরা আমাদের পরিচয় জানত। এখন এই কটা-চোখওয়ালারা আমাকে রায়বাহাদুরের বাড়ির ছেলে বলে শনাক্ত করলে আমার সম্যক সমস্যার সৃষ্টি হলো। সে সমস্যা বর্ণনা করা একান্তই অসম্ভব। ওরকম একটা বাড়ির ছেলের কেন এরকমভাবে আশ্রয় নিতে হবে এটাই তখন তাদের কাছে প্রধান প্রশ্ন। যদিও তাদের যা অবস্থা এবং আয়োজন তাতে কে আশ্রয়ী, কে চাকর তাতে তাদের কিছুই যায়-আসে না। কিন্তু যেখানে খোঁজাখুঁজি করলে কিছু আমোদ পাওয়া যায় সেখানে মানুষ খুবই অকারণ নির্মমতার দ্বারা পরিচালিত হয় এবং এ ক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় হলো না। অতএব আমি একটি অত্যন্ত নিষ্ঠুর উৎপীড়নের শিকার হলাম। তারা ছোট বড় নির্বিশেষে, বাক্যেবচনে এবং কার্যে আমার ওপর নানা প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষার আয়োজন করল। আজকের দিনে যাকে র‍্যাগিং বলা হয়, ব্যাপারটি মূলত তা-ই ছিল। তাদের প্রধান আমোদের কারণ হলো এই যে অতঃপর রায়বাহাদুরের বাড়ির একটি ছেলে তাদের অনুধ্বংসকারী হিসেবে সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। কালিদাস গেয়েছেন, “যাঞ্চা মোঘাবরমধিগুণে নাধমে লন্ধকামা’। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে সেটাই ঘটল। শহরজীবনের অমানবিক হৃদয়বৃত্তিহীনতাই আমাকে প্রথম আঘাত করল।

উৎপীড়ন ব্যাপারটা যতক্ষণ মানসিক স্তরে থাকে ততক্ষণ আত্মসংবরণ করে হজম করার চেষ্টা করা যায়। কিন্তু তা যখন শারীরিক, বিশেষ করে যৌন পর্যায়ে চলে যায় তখন উৎপীড়িতের মধ্যে এক ক্রোধ জন্ম নেয় এবং তা অত্যন্ত মারাত্মক। হয়তো তা আত্মঘাতী, কিন্তু তখন বিচার আর থাকে না। আমি আমার অনুজ-অনুজাদের সামনে যেসব বাক্য বা ক্রিয়ার কথা উচ্চারণ করা কোনো দিন স্বপ্নেও চিন্তা করিনি, বা অন্য কোথাও আমাদের গ্রামীণ মণ্ডলেও দেখিনি, এখানে তার অনুশীলন অত্যন্ত অবাধে হতে দেখলাম। এদের মধ্যে অজাচার যেন স্বাভাবিক এবং খোলাখুলি। তাদের পারস্পরিক সংলাপ, ভাষার ব্যবহার, দৈহিক আচার-আচরণ আমার কাছে এত ক্লেদাক্ত বোধ হতে থাকল যে, আমি বাধ্য হলাম তীব্রভাবে প্রতিবাদ জানাতে। কিন্তু ফল হলো উলটো। তারা তখন ছোটবড় নির্বিশেষে আমাকে শারীরিক লাঞ্ছনায় মনুষ্যত্বের শেষতম অবমাননায় নিয়ে গেল। আমি যদি ছেলে না হয়ে মেয়ে হতাম তবে বোধহয় মরেই যেতাম। যৌনতা বিষয়ে এত স্থূলরুচি এবং আচরণ ইতিপূর্বে আমার অভিজ্ঞতায় ছিল না। তাদের মধ্যে কোনোরকম সম্ভ্রমবোধের সীমানা ছিল না। তারা নানা ধরনের যৌনসম্ভোগের বিষয়ে আলোচনা অত্যন্ত উচ্চকণ্ঠেই করছিল বেং আমার ওপর সেসবের প্রয়োগও চলছিল। এ বিষয়ে বিশদ বর্ণনা শালীনতাবিরোধী, তাই পাঠক-পাঠিকাদের অনুমানের ওপর তা ছেড়ে দিলাম।

একটা ব্যাপার আমি বুঝলাম যে, আমার বাল্যাবধি যে শিক্ষা এবং মূল্যবোধ আমার ভেতরে ক্রিয়াশীল ছিল, এদের সঙ্গে তার পার্থক্য বেশ কয়েক যোজনের। আমার ওই সময়টুকুর মধ্যেই একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেল যে, এদের সঙ্গে আমার কোনো দিন, কোনোমতেই কোনো যোগসূত্র স্থাপিত হবে না। প্রতিপক্ষ অবশ্য তখন অন্য এক বিশ্বাসে আস্থাবান হয়ে কয়িত হলো। তাদের বিশ্বাস, তাদের চোখের ভঙ্গিতেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম, তা হলো—’ইহা একটি উৎকৃষ্ট গিনিপিগ। ইহাকে লইয়া কিছুদিন আমোদ মজা করা যাইতে পারে। একদিনেই গোটাটা চটকাইয়া শেষ করিয়া ফেলার হেতু নাই।’

তারা আমাকে নানাবিধ চটকানা দিয়ে চলে গেলে খানিকক্ষণ আমি অচেতনের মতো পড়ে ছিলাম। সারাটা ঘর একটা নরকুণ্ডের মতো। বাড়ির বালগোপাল এবং গোপিনীদের নানাবিধ কুকর্মের অভিজ্ঞানসহ যেন আমাকে উপহাস করছিল। খানিকটা ধাতস্থ হবার পর আমি সন্তর্পণে ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরোলাম। বাসা ছাড়ার সময় গৃহকর্ত্রী জানতে চাইলেন আমি কোথায় যাচ্ছি। আমি ইতিপূর্বের ঘটিত ঘটনার কিছুমাত্র আভাস না দিয়ে জানালাম যে, আমি একটু নদীর ধারে ঘুরেফিরে আসছি। তিনি কিছু আপত্তি করলেন না। আমি ওই দঙ্গলের অশ্লীল আচরণ থেকে মুক্ত হয়ে নদীর আশ্রয়ে চললাম। স্থানটি প্রাকৃতিকভাবে তখন অতি মনোরম ছিল। নদীর তীরে বেশ কিছু ঝাউ এবং সংগতি রেখে অন্যান্য বৃক্ষ মহীরুহাদি ছিল। তাদের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে চলতে চলতে একসময় নদীর কাছে পৌঁছোলাম। নদী তখন যথারীতি নির্বিকার চলমানতায় ছলচ্ছল শব্দে বয়ে চলছিল। আমি আমার বিধ্বস্ত দেহখানা তার কূলস্থ এক ঝাউয়ের শিকড়ে স্থাপন করে ভাবলাম, এ পর্যন্ত যা হলো তা তো জানলাম। এরপরে কী? ‘এহ বাহ্য আগে কহ আর।’

এই নদীর নাম কীর্তনখোলা। এর তীরে তীরে যত গ্রামগঞ্জ আছে, সেসব স্থানে প্রতিসন্ধ্যায় হিন্দু এবং মুসলমানদের কীর্তন শোনা যায়। সেইসব গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষ সারাদিন কাজকাম করে সন্ধেবেলায় নিজ নিজ বিশ্বাস এবং আচার অনুযায়ী তাদের আরাধ্য গুরু, দরবেশ, ফকির, মুর্শেদ বা সাঁইদের উদ্দেশে কীর্তন গায়। এরা প্রায় সবাই লোকায়তিক ধর্মাচরণে অভ্যস্ত। জগৎসংসারের সবকিছুতেই তারা বিশ্বাসী। সেঁজগাছের মনসা যেমন তাদের কাছে জাগ্রত দেবী, তেমনই পিরস্থানে মাজারে যিনি অন্তিম শয়ানে আছেন, সেই পিরবাবাও। এরা গ্রহণ-বর্জনের স্বাভাবিক নিয়মের ব্যত্যয়ে কদাপি যায় না।

সেইখানে নদীর তীরে, বৃক্ষমূলে বসে আমি আশপাশের কুটিরগুলো থেকে এই ধরনের কীর্তন শুনছিলাম। নদীর তীরের বৃক্ষাবলির মধ্যে অনেক কুটির এমতো ছিল। সেইসব স্থান থেকে কীর্তন, আজান এবং নানান লোকায়তিক উপাসনার সংগীত ভেসে আসছিল। আমি ক্লেদাক্ত ওই অবস্থান থেকে বিযুক্ত হয়ে এখানে এসে এক অনুপম শান্ততায় নির্বেদযুক্ত হলাম। নদীও তার কলোচ্ছ্বাসে আমাকে অনেক শান্ত এবং স্নিগ্ধ করল। নদীকে তখন আমার প্রকৃতই পতিতোদ্ধারিণী বোধ হচ্ছিল। আবার এমনও মনে হচ্ছিল যে, পৃথিবীতে কীর্তনখোলার সদৃশ মায়াবী নদী বোধহয় আর নেই। যেসব মানুষ নদীর আশ্রয়ে বাল্যাবধি কাটিয়েছেন, একমাত্র তাঁরাই এর প্রসাদগুণ বুঝবেন। সে নদী ছোট হতে পারে, বড় হতে পারে কিংবা একটা সরু খাল বা নালাও হতে পারে, প্রশ্নটা হচ্ছে সে চলমান কি না, তার স্রোতে চলচ্ছল শব্দ জাগে কি না। যদি জাগে, তবে মানুষ সেই শব্দে বড় শান্ততা পায়, গতি পায়, জীবন পায়। কীর্তনখোলার শব্দে আমি সেই জীবন পেলাম।

তখন অন্ধকার ঘনায়মান। নদীর দূরত্ব ওই গৃহ থেকে খুব বেশি নয়। আমি সেই গাছটির তলায়, তার শিকড়ে ঠেসান দিয়ে বসে আছি। মনের মধ্যে ফেলে আসা জীবন এবং এক্ষণের সংঘটনের এক তীব্র সংঘর্ষ ক্রিয়াশীল। নদীর বুকের ওপর দিয়ে নানা রকমের জলযানগুলো নৈশ আলোয় সজ্জিত হয়ে আনাগোনা করছিল। আমার ওই একাকিত্বে সামনের চলমানতা যেন এক সুস্পষ্ট অর্থবহতার সৃষ্টি করল। বহুদিন আগে মৌলবি সাহেবের বর্ণনা কোরান শরিফের তথা অনুবাদে পঠিত ওল্ড টেস্টামেন্টের কিছু কাহিনি মনের মধ্যে আলোড়িত হচ্ছিল। মৌলবি সাহেবের আয়াত আবৃত্তির মূলপাঠ আমার আজ আর স্মরণ নেই। তবে তার অনুবাদ-কথাগুলো এরকম—’আর আমি লুতকে একটি বিশেষ জাতির প্রতি নবিরূপে প্রেরণ করিয়াছিলাম। যখন তিনি তাহাদিগকে বলিয়াছিলেন, তোমরা কি লিপ্ত থাকিবে এই কদর্য ও নির্লজ্জ কর্মে, যাহা তোমাদের পূর্বে বিশ্বজগতে আর কেহই করে নাই?’ সদ্দাম নামক এক বস্তির মানুষেরা সমকামী এবং অমিতাচারী ছিল। লুত তাদেরকে এই স্বভাব ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তারা তা শোনেনি। ফলে ঈশ্বরের অভিশাপ তাদের ওপর আপতিত হয়েছিল। আমি ভাবছিলাম এইমাত্র তাদের কবল থেকে আমি পালিয়ে এলাম, সেই অভিসম্পাত এদের ওপরও নেমে আসছে না কেন?

নদী কোনো সন্তাপের উত্তর সরাসরি দেয় না। কিন্তু তার কলধ্বনিতে, চলমানতার আচরণে মানুষ অবশ্যই কিছু উত্তর পেতে পারে, যদি সে গভীর অভিনিবেশে তার কার্যাবলি অনুধাবন করে। তখন তার কলধ্বনিতে পরিষ্কার শোনা যায় যে, সে বলছে—গ্রহণ করো। গ্রহণ করে জীর্ণ করো। জীর্ণ করে নীলকণ্ঠ হও। তারপর আবার এগিয়ে চলো। আমিও একসময় বুঝলাম জগতে শুধু গ্রহণ করে করেই নীলকণ্ঠ হতে হবে। জীবন-জগৎরূপী সমুদ্র ক্রমান্বয়ে মথিত হতে হতে অমৃত উত্থানের পর্ব পার হয়ে এখন কেবল গরল উদ্‌গীরণ করছে। অমৃতের আস্বাদ হয়তো শুধু পূর্বজরাই গ্রহণ করে গেছেন। আমাদের অদৃষ্টে শুধু গরলই জুটবে। ওই গরল গ্রহণ করে যদি জীর্ণ করতে পারি, মঙ্গল। নচেৎ তো বিষের আচ্ছন্নতায় সৃষ্টি আচ্ছন্ন হয়ে যাবে। নদী যেন কানে কানে বলে দিল যে, লুতের প্রতি পেছনে তাকানো নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তুমি আমার গতির দিকে তাকিয়ে নিদর্শন গ্রহণ করো। মৌলবি সাহেব বলেছিলেন—বাজান তুমি এট্টু বিচরাইয়া দেহছেন দেহি এ্যার মদ্যে কিছু পাওন যায় কি না, বলে তিনি একটি আয়াত পাঠ করেছিলেন যার অর্থ—প্রাকৃতিক নির্বন্ধগুলোতে নিদর্শন আছে। জিজ্ঞাসুরা উহা হইতে প্রত্যাদেশ বা অহির সংবাদ পাইয়া থাকে।

আমার মনে হতে লাগল জ্যাঠামশাই যেন হজরত ইব্রাহিমের মতো আচরণ করলেন। তিনি আমাহেন ইসমাইলকে এক শূন্য মরুতে স্থাপন করে চলে গেলেন। এ স্থলে মাতা হাজেরাও উপস্থিত নেই। আমাকে আশ্রয়দানকারী সেই বৃক্ষটিকে নিজেই খুঁজে বের করতে হবে। আমাকেও ইসমাইলের মতোই সংরক্ষণ করা হবে, এরকম এক আশ্বাস নদী আমাকে নিদর্শন জানালে আমি একজন অহিপ্রাপ্ত নবির মতন সেই ঘরে ফিরে এলাম, সেখানে তখন নরকের ভোগের আগুন জ্বলছিল।

আমি যথাসময়ে খাওয়াদাওয়া সেরে নির্দিষ্ট ঘরের নির্দিষ্ট বিছানায় শুয়ে পড়লাম। সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর ঘুম আসতে দেরি হলো না। আমার নতুন মুরুব্বি কখন এসে শুয়ে পড়েছিল টের পাইনি। কিন্তু একসময় একটা প্রবল আকর্ষণে আমার ঘুম ভেঙে গেল। আমি অত্যন্ত আতঙ্কের সঙ্গে অনুভব করলাম যে, এক জোড়া হাত আমাকে আকর্ষণ করছে। লোকটি অত্যধিক মদ্যপান করে এসেছে। এখন তার অন্য কিছুর প্রয়োজন। তাই এই টানাটানি। আমি মুহূর্তে ব্যাপারটি বুঝলাম এবং পাশ ফিরে খাটের কিনারা প্রাণপণে আঁকড়ে ধরে ঘুমের ভান করে পড়ে রইলাম। লোকটা অনেকক্ষণ চেষ্টা চালিয়েও সুবিধা করতে না পেরে একসময় হতাশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়ল।

আমার ওপর সমকামীদের আক্রমণ অনেকবারই হয়েছিল। কিন্তু এই লোকটির মতো নির্লজ্জ কামুক আমি আর দেখিনি। অথচ তার স্বাভাবিক জীবনযাপন করার ক্ষেত্রে অর্থসামর্থ্য ইত্যাদি কোনো কিছুরই অভাব ছিল না। অতঃপর আর ঘুমোতে পারলাম না। নানারকম আতঙ্ক আর ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণের চিন্তায় উজাগরই কাটাতে হলো। স্বাভাবিকভাবেই একটা সিদ্ধান্তে উপস্থিত হলাম যে, এখানে থাকা চলবে না। সুতরাং রইল সাধের পড়াশোনা এবং মানুষ হওয়ার প্রচেষ্টা। কাল ভোরেই চুপিসারে কেটে পড়তে হবে।

সকল অধ্যায়

১. বিষাদবৃক্ষ – ১
২. বিষাদবৃক্ষ – ২
৩. বিষাদবৃক্ষ – ৩
৪. বিষাদবৃক্ষ – ৪
৫. বিষাদবৃক্ষ – ৫
৬. বিষাদবৃক্ষ – ৬
৭. বিষাদবৃক্ষ – ৭
৮. বিষাদবৃক্ষ – ৮
৯. বিষাদবৃক্ষ – ৯
১০. বিষাদবৃক্ষ – ১০
১১. বিষাদবৃক্ষ – ১১
১২. বিষাদবৃক্ষ – ১২
১৩. বিষাদবৃক্ষ – ১৩
১৪. বিষাদবৃক্ষ – ১৪
১৫. বিষাদবৃক্ষ – ১৫
১৬. বিষাদবৃক্ষ – ১৬
১৭. বিষাদবৃক্ষ – ১৭
১৮. বিষাদবৃক্ষ – ১৮
১৯. বিষাদবৃক্ষ – ১৯
২০. বিষাদবৃক্ষ – ২০
২১. বিষাদবৃক্ষ – ২১
২২. বিষাদবৃক্ষ – ২২
২৩. বিষাদবৃক্ষ – ২৩
২৪. বিষাদবৃক্ষ – ২৪
২৫. বিষাদবৃক্ষ – ২৫
২৬. বিষাদবৃক্ষ – ২৬
২৭. বিষাদবৃক্ষ – ২৭
২৮. বিষাদবৃক্ষ – ২৮
২৯. বিষাদবৃক্ষ – ২৯
৩০. বিষাদবৃক্ষ – ৩০
৩১. বিষাদবৃক্ষ – ৩১
৩২. বিষাদবৃক্ষ – ৩২
৩৩. বিষাদবৃক্ষ – ৩৩
৩৪. বিষাদবৃক্ষ – ৩৪
৩৫. বিষাদবৃক্ষ – ৩৫
৩৬. বিষাদবৃক্ষ – ৩৬
৩৭. বিষাদবৃক্ষ – ৩৭
৩৮. বিষাদবৃক্ষ – ৩৮
৩৯. বিষাদবৃক্ষ – ৩৯
৪০. বিষাদবৃক্ষ – ৪০
৪১. বিষাদবৃক্ষ – ৪১
৪২. বিষাদবৃক্ষ – ৪২
৪৩. বিষাদবৃক্ষ – ৪৩
৪৪. বিষাদবৃক্ষ – ৪৪
৪৫. বিষাদবৃক্ষ – ৪৫
৪৬. বিষাদবৃক্ষ – ৪৬

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন