৫. আসা-যাওয়ার পথ চলেছে

আসা-যাওয়ার পথ চলেছে
উদয় হতে অস্তাচলে,
কেঁদে হেসে নানান বেশে
পথিক চলে দলে দলে।
নামের চিহ্ন রাখিতে চায়
এই ধরনীর ধুলা জুড়ে,
দিন না যেতেই রেখা তাহার
ধুলার সাথে যায় যে উড়ে।

আশিটা বছর ধরে জীবনের নানা পথ অতিক্রম করে আজ এখানে পৌঁছেছি। দীর্ঘ সে পথ, সবসময় যে মসৃণ ছিল এ কথা বলা যাবে না। কখনো দুর্গম, কখনো দুর্যোগপূর্ণ, আবার কখনো বা আনন্দঘন। এই দীর্ঘপথ যাত্রায় অনেক পথিক সঙ্গ দিয়েছেন। তাঁদের কেউ বা আছেন কেউ বা প্রয়াত। আবার অনেকে কাছে এসেছেন, সুখে দুঃখে সঙ্গ দিয়েছেন, আবার গেছেন দূরে সরে। এসব স্মৃতিই জমা হয়ে আছে মনের কোঠরে। কিছু ধুলো পড়েছে, সেখান থেকে ঝেড়ে মুছে উদ্ধারের চেষ্টা চালাবো। ভুলভ্রান্তি হতেই পারে, তবে তা কখনোই ইচ্ছাকৃত হবে না এটা বলছি বুকে হাত দিয়েই।

নিজের জন্মবৃত্তান্ত সঙ্গত কারণেই— শোনা কথা। মা-র কথাটাই এ ব্যাপারে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বলে মনে করি আমি। মা-শামসুন্নাহার বেগম নেহাৎই গ্রামের আটপৌরে একটি মেয়ে ছিলেন। পড়াশুনা, যতদূর জেনেছি, চতুর্থ শ্রেণি অব্দি। তারপরই ঘরবন্দী। চিঠি লিখতে পড়তে পারলেই যথেষ্ট বলে পড়া বন্ধ হয়েছিল। কোরান পড়া শিখতেই হয়েছিল, মার কণ্ঠ সুরেলা ছিল, আমি শুনেছি।

শামু বিবি এই নামেই মা শামসুন্নাহার বেগম পরিচিত ছিলেন আত্মীয় পরিজনের কাছে। বাবাকে আমি কোনোদিন এই নামে ডাকতে শুনিনি অবশ্যি। তিনি চালিয়ে দিতেন ‘এই’ সম্বোধনেই।

শামু বিবি ষোলোতে পড়তে না পড়তেই মেজো মিঞা ব্যস্ত হয়ে ওঠলেন তাঁর ঘর খুজতে। মেজো মিঞা হচ্ছেন শামু বিবির বাবা। গৃহস্থ মানুষ, জমিজমার মালিক। চাষবাস করেন বর্গা দিয়ে। অনেক মুনিষ খাটে ফি বছর। সংসার করেন সুখে শান্তিতে। কিন্তু মেয়ে বড় হওয়া বলে কথা। মেজো মিঞার চার-চারটে কন্যা। নেই বংশের বাতি। সেই আফসোস মনেই পুষে রাখেন মেজো মিঞা। মেয়ের ঘরের নাতি অন্তত দেখে যেতে চান তিনি। শামু বিবি তাঁর জৈষ্ঠ্য কন্যা।

সৈয়দ আহমদ আলী অর্থাৎ মেজো মিঞার সামান্য একটা ইতিহাস আছে। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই স্ত্রী বিয়োগ ঘটায় বিয়ে করেন শ্যালিকা জাকিয়া খাতুনকে। জাকিয়া খাতুনের বয়স সবে তখন ১১ চলছে। শ্বশুরের কনিষ্ঠ কন্যা তিনি— শ্বশুরকুল চাইছিলেন ভাল জামাইটি যেন হাতছাড়া না হয়। তাই বিয়েটা হয়ে যায়। ছোট্ট জাকিয়া খাতুন হয়ে গেলেন মেজ বিবি। বারো বছরে মা হলেন তিনি। কন্যার নাম রাখা হলো সৈয়দা শামসুন্নাহার বেগম।

শামু বিবির পাত্র পাওয়া গেল। সালু মিঞা। ইনি আর কেউ নন মেজো বিবির বড় বোন হালিমা খাতুনের বড় ছেলে খোন্দকার মোহাম্মদ আব্দুস সালাম। সালু মিঞা গ্রামের স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশ করে কলকাতায় আসাম-বেঙ্গল রেলওয়েতে টালি ক্লার্কের চাকরি করছেন। মাইনে পনেরো থেকে সবে সতেরো কি আঠারো টাকা হয়েছে তখন।

তাতে কী। ছেলে ভাল। খোন্দকার বংশের ছেলে এটাই সবচেয়ে বড় গুন বলে বিবেচিত হয়। তাছাড়া দেখতে রাজপুত্রের মত চেহারা তাঁর। বয়স কুড়ি একুশ হবে বোধ করি। সবচেয়ে বড় কথা মেজো মিঞারা সৈয়দ বা খোন্দকার ছাড়া অন্য কোনো বংশে সন্তানের সাথে বিয়ের কথা ভাবতেই পারতেন না। কানা, খোঁড়া, লুলা, বুড়ো যাই হোক, সৈয়দ বা খোন্দকার হতেই হবে, এটাই ছিল মোদ্দা কথা।

বিয়েটা হয়ে গেল। সবাই খুশি। মেজো মিঞা আশায় আশায় রইলেন নাতির মুখ দেখবেন। এদিকে সালু মিঞার বাড়িতেও একই আকাঙ্ক্ষা— বড় ছেলের ঘরে নাতি আসবে, ধুমধাম করে উৎসব হবে। সালু মিঞাদের বাড়িটা নানান নামে পরিচিত-যেমন পীর-বাড়ি এবং খোন্দকার বাড়ি। এ বাড়ির ইতিহাস যতদূর বাবা সালু মিঞার কাছে শুনেছি বেশ বৈচিত্রময়। পূর্ব-পুরুষ এসেছিলেন পশ্চিম থেকে। সম্ভবত ইরাক থেকে। তুরস্কও হতে পারে। কেউ নিশ্চিত নন।

মুর্শিদাবাদের মসনদে তখন নওয়াব আলীবর্দি খান আসীন। তাঁর নজরে পড়েন ভদ্রলোক। শিক্ষিত এবং জ্ঞানী ধর্মপ্রচারক ছিলেন সেই পশ্চিমী মানুষটি। তাকে নওয়াব আলীবর্দির পছন্দ হয় এবং তাকে তিনি কাজি (বিচারক) নিয়োগ করে জমিজমা দেন বাস করার জন্যে।

পত্তন হয় সালু মিঞাদের খোন্দকার বংশের। বংশানুক্রমে তো আর বিচারক হওয়া সম্ভব নয়, তাই এক সময় বিচারকের উত্তর পুরুষ হয়ে যান পীর। কীভাবে হলো তা জানা যায়নি— তবে নিশ্চয় জনসাধারণের আস্থা এবং বিশ্বাস তাঁরা তাঁদের কাজের মাধ্যমেই অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। সালু মিঞার বাবা খোন্দকার জয়নুল আবেদীন শেষ পীর। জয়নুলের বাবা খোন্দকার সিরাজুল মুফতী শাহ এবং তাঁর পিতা খোন্দকার নূর নবী চুটিয়ে পীরগিরি করে গেছেন বলে জানা যায়। এঁদের ভক্ত ছিলেন মুসলমান -হিন্দু উভয় ধর্মালবম্বীগণ। যদিও জয়নুল আবেদীন পুরোপুরি পীরগিরি করেননি-কিন্তু মুরীদরা ছাড়ার পাত্র ছিলেন না।

বংশানুক্রমে একটি হাতি পুষতেন খোন্দকার জয়নুল আবেদীন। তার খাদ্য জোটাতেই হিমসিম খেতে খেতে এক সময় বেচে দিয়ে রেহাই পান। ছেলের এন্ট্রান্স পাস করায় বা ইংরেজি শেখায় খুব একটা সায় ছিল না বলেই শোনা যায়। তারপরও ছেলে যখন চাকরি নিয়ে কলকাতায় চলে যায়, খুব একটা আপত্তিও করেননি। যুগ পাল্টানোটা বুঝেছিলেন তিনি।

প্রচুর জমি জমার মালিক হবার কারণে সংসারে প্রচুর স্বাচ্ছন্দ্য ছিল তাঁর। ছেলের বেতনের টাকা তাঁর কাছে কোনো গোনাগুনতির বস্তু ছিল না। কিন্তু পাড়াপ্রতিবেশি যখন পুত্রের লেখাপড়া আর চাকরি নিয়ে প্রশংসার ঝর্না বইয়ে দিত স্বভাবতই খুব গর্বিত হতেন তিনি। তার পরও মনে একটু দ্বিধা ছিল সাহেবসুবোদের কলকাতা শহরে ছেলে একা থাকে এটা নিয়েই। ভাবতে শুরু করেন পুত্রবধূ আনার প্রক্রিয়া। এ সময়ই হালিমা খাতুন ছোট বোনের বড় মেয়ে শামু বিবির প্রস্তাব উত্থাপন করায় এক কথায় রাজি হন খোন্দকার জয়নল আবেদীন সাহেব।

হ্যাঁ, আগেই বলেছি, বিয়েটা হয়ে গেল। হলো বেশ ধুমধাম করেই। সৈয়দ বাড়ির বড় মেয়ে আর খোন্দকার বাড়ির বড় ছেলে-সোনায় সোহাগা। দু’বাড়িই অপেক্ষায় নতুন বংশধরের। নানান নামও ঠিক করা হলো। সবই ছেলের নাম।

সন্তান জন্মের দিন ঘনিয়ে এলো ক্রমেই। প্রত্যেকে আশায় আছেন, উৎসবে মাতবেন। কিন্তু বিধাতা বাধ সাধলেন। সবাইকে আশাহত করে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন শামু বিবি। সবার মন ভারী। প্রকাশ না করলেও বোঝা তো যায়। কিন্তু একজন মহাখুশি। সালু মিঞা। মনে মনে কন্যাই আশা করেছিলেন তিনি। শুনেছিলেন, প্রথম সন্তান কন্যা সৌভাগ্যের প্রতীক। হয়তো নেতিবাচক মনটা ভাল করার জন্যেই মানুষ বলে, তবুও সালু মিঞার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল তাই। তিনি কন্যার নাম দিলেন ‘রাণি’।

রাণি সত্যিই তাঁর সৌভাগ্য নিয়ে এল। চাকরিতে ঘটলো পদোন্নতি। ছোট কেরানির পদ পেলেন তিনি। অফিসেই বসতে পারবেন এখন। দেখতে দেখতে দু’টো বছর পেরোলো। আবার সন্তান সম্ভবা শামু বিবি। আবার সবাই আশায় উদ্বেল। আবার ছেলের নাম ঠিক হলো! কিন্তু এবারও বিধি হলো বাম। আর একটি ফুটফুটে কন্যার মাতা হলেন শামু বিবি। আর কেউ না হোক বাবা-মা আনন্দে উদ্বেল, নাম রাখলেন— ‘ইলা’। সালু মিঞার এসব হিন্দুয়ানী নাম রাখা সবাই ভালো চোখে না দেখলেও সালু মিঞার এক কথা— আমার সন্তানের নাম হবে আমার ইচ্ছায়! নাম আপনারা রাখেন— আমি এই নামেই ডাকবো।

দিন চলছে। চলে গেল তিন বছর। আবার মা হলেন শামু বিবি। যথা পূর্বং তথা পরং, কন্যা সন্তান। সবই ঘটলো আগের মতই। তবে সবার অখুশী মনটা আর অপ্রকাশিত থাকলো না এবার।

শামু বিবি কান্নাকাটি শুরু করলেন শ্বশুরকুলের সম্ভাব্য অবহেলা আর গঞ্জনার আশংকায়। তাঁকে আশ্বস্ত করলেন সালু মিঞা।

‘তোমার ভয় কী? সে রকম হলে তোমাকে নিয়ে কলকাতায় চলে যাবো।’

যদিও জানতেন ওই বেতনে কলকাতায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাসাভাড়া করে থাকাটা হবে কত কঠিন! তারপরও দৃঢ় চিত্তেই স্ত্রীকে সাহস যোগালেন। ‘লালী’ হলো তৃতীয় কন্যার নাম। ‘তোমার দোষ কী? আল্লার ইচ্ছে।’ বারবার সাহস দেন শামু বিবিকে। দোষ থাক আর না থাক, মেজো বিবি কিন্তু মেয়ের ভবিষ্যৎ দুর্যোগ কল্পনা করে নাতির আশায় মেয়েকে নিয়ে তীর্থযাত্রার পরিকল্পনা করে বসলেন। নিয়ৎ করলেন পীরের মাজার জিয়ারতের।

দলবল নিয়ে রওয়ানা হলেন পাথরচাপড়ি মাজারে। খুবই বিখ্যাত এই মাজার শরীফ। কথিত আছে কেউ যদি এখানে মানত করে বিফল হয় না সেই মানত। আশায় বুক বেঁধে সবাই চললেন পাথরচাপড়ির দরগায়। কষ্টের পথ, তবু মনে আশা পুত্র সন্তান আসবে একজন এ পরিবারে পীরের দোয়ায়।

পাথরচাপড়ি বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় অবস্থিত। এখানকার দরগাহ শরীফটি হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে অতি পবিত্র একটি স্থান। হাজার হাজার পূণ্যার্থী প্রতিদিন হাজির হন এখানে জিয়ারত করতে। মানত করেন মনের ইচ্ছা পূরণের। শোনা যায় প্রায় প্রত্যেকেরই মানত কবুল করেন আল্লাহতালা ওই সুফী সাহেবের ওছিলায়। হযরত শাহ মেহেবুব নামের এক সুফী সাধকের মাজার রয়েছে এখানে তিনি দাদা সাহেব হিসেবেই অধিক পরিচিত। শ্রুতি রয়েছে যে মারাত্মক ধরনের সব রোগ তিনি ছাই দিয়ে সারিয়ে তুলতে পারতেন। বাংলা ১২৯৮ সনের ১০ চৈত্র তাঁর মৃত্যু হয় ‘পাথরচাপড়িতে, এখানেই হন সমাধিস্থ। প্রতিবছর চৈত্র মাসে বিরাট মেলা বসে এখানে।

সেই পাথরচাপড়ির মাজারে হাজির হলেন মেজোবিবি তাঁর মেয়ে শামু বিবিকে নিয়ে। প্রচুর কান্নাকাটি করে করা হলো মানত। কী মানত করা হয়েছিল তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে ফলেছিল সে মানত। অলৌকিক শক্তিতেই হোক বা প্রকৃতির স্বাভাবিক খেয়ালেই হোক মানত পূর্ণ হয় শামু বিবির।

বছর ঘুরতেই শামু বিবির কোল আলো করে এলো পুত্র সন্তান। সেদিনটা ছিল বাদলা দিন। ভাদ্রের তেইশ তারিখ। সন ১৩৫১, বৃহস্পতিবার। সারাটাদিন ধরে অঝোরে ঝরছিল বৃষ্টি। পথঘাট সব প্যাঁচপ্যাঁচ করছে পানি আর কাদায়। শামু বিবিকে নিয়ে ব্যস্ত সবাই। দিন গিয়ে রাত এল, যন্ত্রণা বাড়তে লাগল তাঁর।

চিন্তায় অস্থির সবাই, ছেলে হবে না মেয়ে হবে, যদিও চিন্তার চেয়ে শামুর শারীরিক অবস্থাটাই সবার দুশ্চিন্তার বিষয় তখন। প্রচণ্ড এক বিদ্যুৎ চমকের সাথে শামু বিবির গগন বিদারী চিৎকার। তারপরই কাঙ্ক্ষিত পুত্র সন্তানের আগমন।

আল্লাহু আকবার

আযান দিলেন শামু বিবির নানাজান। শোকরগুজার করলেন আল্লার দরবারে।

মেজো মিঞা সৈয়দ আলী আহমদ অবশ্যি দেখে যেতে পারেননি তাঁর এই নাতিকে। তবে তাঁর অন্য দুই কন্যার ঘর আলো করে এর মধ্যেই পুত্র সন্তানের আগমন ঘটায়, শান্তি এবং স্বস্তিতেই চোখ বুজেছিলেন তিনি। অবশ্য সালু মিঞার বাবা খোন্দকার সাহেবও তাঁর আগেই দেহত্যাগ করেছেন।

এবার শামু-সালুর পুত্রসন্তানের নাম রাখার পালা। কন্যার বাপের বাড়িতেই যখন সন্তানের জন্ম— তাঁরাই সুযোগটা নিলেন নামকরণের। এগিয়ে এলেন শামুবিবির নানাজান। সবার মনে ধরলো সেটা। তিনবার ব্যর্থ মনোবথ মানুষগুলো এমনই এক নাম যেন চাইছিলেন মনে মনে। ধুমধাম করে আকীকা হলো— সৈয়দ পরিবার এবং খোন্দকার পরিবার ভুরিভোজ করে নবজাতকের নাম রাখলেন-’খোন্দকার মোহাম্মদ শামসুল আরেফীন আবুল হায়াত গোলাম মাহবুব।

সালু মিঞার মনপুত হয়নি এ নাম। তাঁর প্রিয় মানুষের নামের অনুকরণে তিনি পুত্রের নাম দিলেন – ‘রবি’।

শুরু হলো রবি-পথ পরিক্রমন।

সকল অধ্যায়

১. ১. দিনগুলি মোর সোনার খাচায় রইল না
২. ২. তেলের শিশি ভাঙলো বলে খুকুর পরে রাগ করো
৩. ৩. জীবন যখন শুকায়ে যায়
৪. ৪. মোরা ভোরের বেলা ফুল তুলেছি
৫. ৫. আসা-যাওয়ার পথ চলেছে
৬. ৬. শৈশব হারিয়ে গেছে সময়ের স্রোতে
৭. ৭. নদী বহে যায় নূতন নূতন বাঁকে
৮. ৮. আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো
৯. ৯. রেলগাড়ি ঝমাঝম, পা পিছলে আলুর দম
১০. ১০. পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে হারে
১১. ১১. দিগবলয়ে নব শশী লেখা
১২. ১২. ছেলে আমার মস্ত মানুষ মস্ত অফিসার
১৩. ১৩. নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়
১৪. ১৪. দূর কোন পরবাসে তুমি চলে যাইবারে
১৫. ১৫. এলেম নতুন দেশে
১৬. ১৬. নীড়ে ফেরা পাখি
১৭. ১৭. মিলিটারি ॥ আপকা নাম কিয়া?
১৮. ১৮. চল চল চল ভাই আজি শুভদিনে পিতার ভবনে
১৯. ১৯. মাগো মা ওগো মা আমারে বানাইলা তুমি দিওয়ানা
২০. ২০. আছে দুঃখ আছে মৃত্যু বিরহ দহন লাগে
২১. ২১. একজন অভিনেতা হবে ভাল এবং সৎ মানুষ
২২. ২২. মার্কনীর বেতার তরঙ্গে আমি
২৩. ২৩. আমি সিনেমা নির্মাণ করি গল্প বলার জন্য-সত্যজিৎ রায়
২৪. ২৪. বোকার বাক্স
২৫. ২৫. বিজ্ঞাপন একটি সৃজনশীল শিল্পকলা
২৬. ২৬. আমি কি লেখক?
২৭. ২৭. পুরস্কার
২৮. ২৮. মাঠে প্রান্তরে
২৯. ২৯. আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ
৩০. ৩০. ছানাপোনার কাহিনি
৩১. ৩১. সারমেয় সমাচার
৩২. ৩২. পায়ের তলায় সর্ষে
৩৩. ৩৩. কোন আলো লাগলো চোখে
৩৪. ৩৪. সুন্দরের কোন মন্ত্রে মেঘে মায়া ঢালে
৩৫. ৩৫. তামাম শোধ

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন