ক্রিমিনাল

তারাপদ রায়

আগে দুষ্কৃতকারী শব্দটি ব্যবহার হত। সম্প্রতি বাংলা খবরের কাগজে ক্রিমিনাল অর্থে দুষ্কৃতী শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে। আমার ধারণা ছিল দুষ্কৃতী শব্দটি শুদ্ধ নয়, কিন্তু চলন্তিকায় দেখছি শব্দটি রয়েছে, বরং রাজশেখর বসু দুষ্কৃতকারী শব্দটি গ্রহণ করেননি।

সুবলচন্দ্র মিত্রের আধুনিক বাংলা অভিধানেও দেখছি দুষ্কৃতী বা দুষ্কৃতকারী নেই. অনুমান করি, হত্যাকারীর অনুকরণে দুষ্কৃতকারী শব্দটি কখনও রচিত হয়েছিল এবং তখন বিবেচনা করা হয়নি দুষ্কৃতী বলে একটি শব্দ আছে।

দুষ্কৃতী ব্যাকরণের চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয় দুষ্কৃতী বিষয়ক কাহিনীগুলি।

প্রথমে চোর দিয়ে আরম্ভ করাই উচিত।

এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল চুরির অপরাধে। সে নাকি এক গয়নার দোকানে চুরি করেছিল, বেশ কিছু গয়নাগাটি।

সে এক উকিলবাবুর কাছে গেল। সেই উকিলবাবু আবার খুব সাধু মানুষ, কখনও কোনও মিথ্যে মামলা নেন না।

তা এই মক্কেলটি উকিলবাবুর কাছে গিয়ে তার মামলার কথা বলতে উকিলবাবু বললেন, ‘দেখুন দুটো শর্তে আমি আপনার এই মামলা নিতে পারি। এক নম্বর হল, আপনি সত্যিই নির্দোষ, চুরি করেননি। এবং দুই নম্বর হল, আপনি আমাকে পাঁচশো টাকা ফি দেবেন।’

মক্কেল সব শুনে যথেষ্ট চিন্তা করে ঘাড় চুলকিয়ে বললে, ‘হুজুর, আপনার ওই এক নম্বর তো ঠিক আছে কিন্তু দুই নম্বর মানে আপনার ফিয়ের ব্যাপারটা, স্যার খুব টানাটানি চলছে, বিপদেও পড়েছি, একটা অনুরোধ করি দুশো টাকা নগদে দেব আর দুটো কানের দুল সঙ্গে একটা আংটি দেব। খাঁটি সোনা, বড় জুয়েলারির দোকানের মাল স্যার।’

চুরির পরে ছেনতাই।

ছেনতাইয়ের মতো রোমহর্ষক কাহিনী কলকাতার পটভূমিকায় না রেখে নিউইয়র্কে নিয়ে যাই। আসলে সেখানেই এ ব্যাপারটা খুব বেশি ঘটে কি না।

যা হোক সেই নিউ ইয়র্কের গহনে এক গলিতে এক বাঙালিনী হেঁটে একজনের বাড়ি খুঁজে যাচ্ছিলেন। পুরনো নিউইয়র্কের রাস্তাঘাট জটিল এবং কালক্রমে তিনি এক কৃষ্ণবর্ণ ছেনতাইকারীর মুখোমুখি হলেন।

ভদ্রমহিলা সরল হলেও বুদ্ধিমতী, ছেনতাইকারী দাবি করা মাত্র বিনা প্রতিবাদে তিনি তাঁর হাতব্যাগটি দুষ্কৃতকারীর হাতে তুলে দিলেন। মহিলার সারল্য এবং তদুপরি বিনা বাধায় মাল পেয়ে যাওয়ায় ছেনতাইকারী নিগ্রোটি একটু খুশি হয়ে পকেট থেকে একটা কার্ড বের করে মহিলাকে দিয়ে বলল, ‘মেমসাহেব আমার এই কার্ডটা রাখুন, এ পাড়ায় অনেক খারাপ ছেনতাই পার্টি আছে, তারা আপনাকে মারধোর করতে পারে, আপনার গলার হার, কানের দুল ছিঁড়ে নিতে পারে, আরও খারাপ কাজ করতে পারে। আপনি এ পাড়ায় এলে আমার এই কার্ডটা লোককে দেখাবেন। তারা আমার কাছে পৌঁছে দেবে, তখন শুধু হাতব্যাগটা দিয়ে চলে যাবেন।’

চুরি, ছেনতাইয়ের পর অবশ্যই খুন, রাহাজানি। তবে একটা কথা বলে রাখি রাহা মানে পথ । রাহাজানি আর পথে ছেনতাই একই ব্যাপার।

সে ঠিক আছে, খুন নয়, এই মুহূর্তে অতটা সইবে না।

আগে একটা পরোপকারী ডাকাতের গল্প বলি।

ইনি মহামহিম রঘু ডাকাত নন, রবিন হুড নন, এমনকী অতীতের অনন্ত সিংহও নন।

ইনি একজন সাধারণ, অতি সামান্য ব্যাঙ্ক ডাকাত।

ইনি ভুল করে একদিন দলবল নিয়ে এক প্রত্যন্ত বিন্যাসিত সরকারি ব্যাঙ্ক শাখায় ঢুকেছিলেন।

এই কাল্পনিক ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার থেকে দারোয়ান সবাই তস্কর, সবাই ডাকাত, সবাই দস্যু। যেমন যেমন টাকা সরকার থেকে এসেছে, গ্রাহকদের কাছ থেকে জমা পড়েছে এঁরা সবাই মিলে ভাগেযোগে কিছু খাতায় মানে লেজারে তুলেছেন, কিছু নিজেদের পকেটে তুলেছেন।

তিনি ব্যাঙ্কে প্রবেশ করে রিভলবার তুলে যেই বললেন যে সবাই মাথার ওপরে হাত তুলুন, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার থেকে পেয়াদা পর্যন্ত সবাই মাথার ওপরে হাত তুলে ধেই ধেই করে নাচতে লাগলেন।

এঁদের এ রকম আহ্লাদের কারণ কিছুই বুঝতে না পেরে দস্যু মহাশয় জানতে চাইলেন, ‘কী ব্যাপার?’

ব্রাঞ্চ ম্যানেজার বললেন, ‘কিছুই ব্যাপার নয় স্যার। ওই ভল্টে টাকা রয়েছে, আপনি সব টাকা নিয়ে যান আর সেই সঙ্গে আমাদের এই সব হিসেবের খাতা লেজার বুক এগুলোও নিয়ে যান।

অর্থাৎ, ডাকাতরা খাতাপত্র নিয়ে গেলে এঁদের আর তহবিল তছরুপ ধরা পড়বে না, এ যাত্রা রক্ষা পেয়ে যাবেন।

অতঃপর খুন, মার্ডার।

সরোজবাবুর প্রতিবেশী কাল রাত সাড়ে দশটায় খুন হয়েছেন।

এখন থানায় সরোজবাবুকে পুলিশ জেরা করছে।

পুলিশ: কাল রাত দশটার সময় আপনি কী করছিলেন?

সরোজবাবু: বাসায় ছিলাম।

পুলিশ: বাসায় কী করছিলেন?

সরোজবাবু: আমার স্ত্রী ভুনিখিচুড়ি রান্না করেছিলেন, তাই দিয়ে রাতের খাওয়া সারছিলাম।

পুলিশ: ঠিক আছে। তারপর রাত সাড়ে দশটার সময় কী করছিলেন?

সরোজবাবু শোয়ার ঘরে বিছানায় শুয়ে পেটের যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে কাতরাচ্ছিলাম।

পুলিশ: প্রমাণ কী?

সরোজবাবু: আপনি আমার স্ত্রীর রান্না ভুনিখিচুড়ি একবার খেয়ে দেখুন তারপর বুঝতে পারবেন, আমি সত্য বলছি কি না?

অনেকগুলো বাজে গল্প হল, এবার একটা বলি সত্য ঘটনা অবলম্বনে।

কলকাতার ভিড়ের ট্রামে একবার এক পকেটমার আমার প্যান্টের পকেটে হাত গলিয়েছিলেন।

তখন টাইট প্যান্টের যুগ। আমি তার পেলব করস্পর্শ টের পেয়ে একটু কোনাকুনি ঘুরে যেতেই তার হাতটা আমার পকেটে আটকে গেল।

লোকটি কাকুতি-মিনতি করতে লাগল, বলল, ‘দাদা, একটু সোজা হয়ে দাঁড়ান, হাতটা বার করতে পারছি না, হাতটায় ব্যথা করছে।’

আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘আমার পকেটে আপনার হাত কী করছে?’

সে বলল, ‘খুব ঘেমে গিয়েছিলাম। ভাবলাম শুকনো রুমাল যদি থাকে।’

আমি বললাম, ‘তা আমাকে বলতে পারতেন।’

লোকটি বলল, ‘ছোট বয়সে মা বারণ করে দিয়েছিলেন রাস্তাঘাটে অচেনা লোকের সঙ্গে কথা বলবি না, সেই জন্যেই তো।

নেহাত সাদা বাংলায় ক্রাইম শব্দের মানে অপরাধ, ক্রিমিন্যাল অপরাধী।

অপরাধীর মতো সোজা এবং গ্রহণযোগ্য শব্দ হাতের কাছে থাকতেও কেন দুষ্কৃতি বা দুষ্কৃতিকারী শব্দের দরকার পড়ল ক্রিমিন্যাল বোঝাতে, সে আমার ঠিক বোধগম্য নয়।

হয়তো এমন হতে পারে অপরাধী শব্দটা তেমন জোরদার নয়। একথা ঠিক যে দোষ করা বা অপরাধ করা এক জিনিস আর ক্রাইম অন্য জিনিস। দোষী বা অপরাধী বললে মনে যে রেখাপাত হয় তার চেয়ে অনেক স্পষ্ট, অনেক তীক্ষ ক্রিমিন্যাল বা দুষ্কৃতী শব্দ।

আমি জানি আমার পাঠকেরা শব্দতত্ত্ব থেকে গালগল্পে অনেক বেশি আগ্রহী তাই আমাকে মানে মানে পশ্চাদপসরণ করতে হচ্ছে।

এই সামান্য নিবন্ধে ইতিমধ্যে চোর ডাকাত, খুন রাহাজানি এমনকী পকেটমারের কাহিনী বলা হয়ে গেছে।

এবার অপহরণে আসি। মানুষ অপহরণ।

অপহরণ কোনও নতুন যুগের অপরাধ না। এক যুগে তো অধিকাংশ বিয়েই হত কন্যা অপহরণ করে। রামায়ণের সীতা হরণের কাহিনী সর্ববিদিত, যদিও সেখানে অপহরণকারী রাবণের উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়নি, তাকে সবংশে নিধন হতে হয়েছিল।

মহাভারতেও রয়েছে অর্জুন কর্তৃক বলরাম শ্রীকৃষ্ণ ভগিনী সুভদ্রা হরণের এবং পরে সুভদ্রা বিবাহের কাহিনী। সম্প্রতি আবার অপহরণ ব্যাপারটা নানা জায়গায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। কোথাও হয়তো বিপ্লবীরা মন্ত্রীতনয়া অথবা কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রধানকে অপহরণ করে গোয়েন্দা চক্ষুর আড়ালে লুকিয়ে রেখে তাদের বিনিময়ে সরকারের হাতে বন্দি স্বপক্ষীয় বিপ্লবীদের মুক্তি দাবি করছে। আবার কোথাও হয়তো মামুলি অপহরণ, কিডনাপিং, বড়লোকের ছেলেকে বা মেয়েকে তুলে নিয়ে রাখা হচ্ছে গোপন জায়গায় তার মুক্তিপণ হিসেবে চাওয়া হচ্ছে বিশাল টাকা।

এইরকম একটি অপহরণের গল্প সম্প্রতি আমার কানে এসেছে।

বড়বাজারে জরির আর পানের তবকের ব্যবসায়ী মূলাচাঁদ খুরানা। ধনকুবের, তার টাকার কোনও হিসেবনিকেশ নেই। যৎকিঞ্চিৎ হিসেবনিকেশ আয়কর দপ্তর জানে কিন্তু সেটাও ভয়াবহ।

যা হোক মূলচাঁদবাবুর দুই ছেলে। যমজ, এখন বালক তারা। ফুলচাঁদ খুরানা এবং দুলচাঁদ খুরানা। দু’জনেই ডনবসকোতে পড়ে।

শুধু যমজ নয়। দুলচাঁদ আর ফুলচাঁদ একরকম দেখতে। আকারে-প্রকারে, আচারে, আচরণে, গাত্রবর্ণে, মুখশ্রীতে, কণ্ঠস্বরে চলাবলায় কারও সাধ্য নেই, ঘনিষ্ঠ আত্মীয় অথবা বন্ধুরও ধরার জো নেই কে ফুলচাঁদ, কে দুলচাঁদ?

পূর্ব কলকাতার বিখ্যাত বিহারি মস্তান ফেচু সিং এবং আবুল কালাম বহুদিন ধরেই ফুলচাঁদ আর দুলচাঁদের দিকে নজর রাখছিল, অবশেষে একদিন সুযোগ পেয়ে দুপুরবেলা ইস্কুলের কাছে পার্কসার্কাসের মোড়ে একলা পেয়ে দু’জনকে তুলে মেটিয়াবুরুজে আবুল কালামের শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে লুকিয়ে ফেলল, তারপর যেমন হয়ে থাকে।

অস্বাক্ষরিত একটি পত্র পেলেন মূলচাঁদ খুরানা। বড়বাজারে তাঁর গদিতে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি চিঠিটা পৌঁছে দিয়ে হাওয়া হয়ে গেল।

চিঠিটির বয়ান,

মুলচন্‌দর সাহেব,

আপনার দুই ছেলে ফুলচাঁদ আর দুলচাঁদকে আমরা kidnap করিয়াছি। তারা এখনও নিরাপদে আছে। আপনি যদি দশ লাখ টাকা তাদের বিনিময়ে দেন তাহারা ছাড়ান পাইবে না হইলে মৃত্যু অনিবার্য। দিতে চাহিলে চৌরঙ্গি থিয়েটার রোডের মোড়ে যে মাথাভাঙা ফাটা ল্যাম্পপোস্ট আছে তাহার ফোকরে আজ সন্ধ্যায় একটি চিঠি রাখিয়া যাইবেন। সেই চিঠিতে যেন লেখা থাকে কী নগদ টাকা দিতে পারিবেন। আমাদের লোক নিকটেই থাকিবে, চিঠিটি সঙ্গে সঙ্গে লইবে এবং পরবর্তী সংবাদ গদিতে পাইবেন।

সাবধান পুলিশে খবর দিবেন না। বালকদ্বয়ের জীবন লইয়া ছিনিমিনি খেলিবেন না।

নমস্কার

এই চিঠি পেয়ে মূলচাঁদ মাথায় হাত দিয়ে বসলেন, তাঁর বাড়িতে কান্নাকাটি পড়ে গেল। কিন্তু মূলচাঁদজি ঠান্ডা মাথার মানুষ, তিনি ভেবে দেখলেন পুলিশে খবর দিয়ে কোনও লাভ নেই। টাকা দিয়ে দেওয়াটা ভাল। কিন্তু দশ লাখ টাকা তিনি দেবেন না। ফুলচাঁদ আর দুলচাঁদ দু’জনে তো একই জিনিস, আগাগোড়া একরকম। একজনকে পেলেই চলে যাবে। কয়েকদিনের মধ্যে অন্যজনের দুঃখ ভুলে যাবেন।

মূলচাঁদ খুরানা চিঠি দিলেন, ‘দশ লাখ টাকা নেই। তবে আপাতত একজনকে ছেড়ে দিলে পাঁচ লাখ টাকা দিতে পারি।’

চিঠি পেয়ে অপহরণকারীরা বুঝল যে মূলচাঁদজি তাদের ওপরে ব্যবসায়ী বুদ্ধি প্রয়োগ করেছেন। তবে তারাও ছাড়বার লোক নন, তারা জানাল:

মূলচাঁদজি,

আপনার মতোই আমাদের পাইকারি হিসাব।

ফুলচাঁদ, দুলচাঁদ দুইজনের একত্রে ফেরত মূল্য দশ লাখ টাকা বটে তবে খুচরা লইতে গেলে একেক জনের জন্যে সাত লাখ টাকা লাগিবে।

কী করিবেন জানাইবেন।

নমস্কার

অতঃপর মূলচাঁদজি কী করেছিলেন তা আমার এই রম্য নিবন্ধের বিষয় নয়।

ক্রিমিন্যালের শেষ বিষয় প্রতারণা। কয়েক বছর আগের ব্যাপার এটা।

আমেরিকা না কোথা থেকে এক সাহেব এসেছিল দিল্লিতে। বিখ্যাত লোকদের নামের সঙ্গে জড়িত নানা ধরনের জিনিস বহুমূল্যে সে সংগ্রহ করেছিল। যেমন মতিলাল নেহরুর জুতো, জহরলালের টুপি, রাজেন্দ্রপ্রসাদের কোট, রবীন্দ্রনাথের সেভিং সেট, সরোজিনী নাইডুর টুথব্রাশ।

মহাপুরুষের উত্তরাধিকারীরা কিংবা এইসব জিনিস যাদের কাছে আছে, যারা যত্ন করে রেখে দিয়েছে তারা যদি এগুলো চড়া দামে সংগ্রাহকের কাছে বেচে দেয় তা হলে আইনত বিশেষ কিছু করার নেই।

পুলিশ তাই এ নিয়ে মাথা গলায়নি। কিন্তু গোপনসূত্রে পুলিশের কাছে খোঁজ এল আমেদাবাদের এক আশ্রম থেকে একজন লোক মহাত্মা গান্ধীর খসে পড়ে যাওয়া পুরনো দাঁত যা সেখানে রক্ষিত ছিল সেগুলো চুরি করে এনে বেচেছে।

পুলিশের বেশি সময় লাগল না লোকটিকে পাকড়াও করতে। সবচেয়ে বিস্ময়ের ব্যাপার লোকটিকে গ্রেপ্তার করার পর তার কাছে পাওয়া গেল বড় একটা রেশমের ঝোলা, সেই ঝোলার গায়ে গুজরাটিতে লেখা, ‘মহাত্মা গান্ধীর পবিত্র দাঁত।’ ঝোলার মধ্যে বহু দাঁত, পুলিশ গুনে দেখল দাঁতের সংখ্যা একশো চুয়ান্ন।

এত দাঁত ছিল মহাত্মার?

সকল অধ্যায়

১. চুরিবিদ্যা
২. নৈশকাহিনী
৩. কালীঘাটের পাখা
৪. ডাকাতের হাতে
৫. পদ্মাসন
৬. শিশুশিক্ষা (১)
৭. ঘুম (১)
৮. পাগলের কাণ্ডজ্ঞান
৯. পদবি ও নাম
১০. ছারপোকার এপিটাফ
১১. ভাগ্যফল
১২. বিশেষজ্ঞ
১৩. ছাতা
১৪. র‍্যাডিস উইথ মোলাসেস
১৫. ঘড়ি
১৬. দরজি
১৭. সংখ্যাতত্ত্ব
১৮. মাতালের কাণ্ডজ্ঞান
১৯. ভূতের কাণ্ডজ্ঞান
২০. বানরের কাণ্ডজ্ঞান
২১. কিঙ্কর-কিঙ্করী
২২. ডাক্তার-ডাক্তার
২৩. দাঁত
২৪. টেলিফোন
২৫. আমি কীরকমভাবে
২৬. মন মোর মেঘের সঙ্গী
২৭. ভ্রমণকাহিনী (১)
২৮. প্রসূতি সদন
২৯. নিজের ওজন নিজে বুঝুন
৩০. জীবজন্তুর কথা
৩১. গোরু (১)
৩২. প্রিয়তমাসু
৩৩. অভিনয় নয়
৩৪. ইঁদুর ও মদিরা
৩৫. টর্চলাইট
৩৬. রং
৩৭. লিফট
৩৮. মদমত্ত
৩৯. সুচিকিৎসা
৪০. অচলার প্রেম
৪১. শেষ পরকীয়া
৪২. তালা
৪৩. কুকুর-কুকুর
৪৪. গোপাল ভাঁড়
৪৫. জগৎপারাবারের তীরে
৪৬. হিন্দি
৪৭. রেফ্রিজারেটর
৪৮. কৃষ্ণকান্ত এবং…
৪৯. মাতাল রহস্য
৫০. আবার মনে মনে
৫১. শেষের সেদিন
৫২. ভবসিন্ধু
৫৩. রবীন্দ্রনাথ
৫৪. …বাচ্চা
৫৫. কুকুর কুণ্ডলী
৫৬. হে মাতাল, অমোঘ মাতাল
৫৭. শিশুপাল
৫৮. ভোজনালয়
৫৯. বাড়ি ভাড়া
৬০. হায় ছবি
৬১. জীবনবিমা
৬২. কোন বাণিজ্যে
৬৩. ডাক্তারের হাতে
৬৪. অঘটন আজও ঘটে
৬৫. সুপরামর্শ
৬৬. পুলিশ
৬৭. ফাঁদ পাতা ভুবনে
৬৮. ধরা পড়েছে দু’জনে
৬৯. রুপোলি পর্দার অন্তরালে
৭০. পিয়ো হে পিয়ো
৭১. ও চাঁদা চোখের জলে
৭২. দামদর
৭৩. মিথ্যা কথা
৭৪. কে কোথা ধরা পড়ে
৭৫. সময়
৭৬. হায় কবি, তুমি শুধু কবি
৭৭. রোগীর বন্ধু
৭৮. রসুন
৭৯. রসিকতা
৮০. স্বর্গ
৮১. দুর্ঘটনার আগে ও পরে
৮২. পণ্ডিত
৮৩. সমস্যা
৮৪. স্বেচ্ছাসেবক
৮৫. বক্তা ও বক্তৃতা
৮৬. আবার বক্তৃতা
৮৭. কলিংবেল
৮৮. ঈশ্বর সমীপে
৮৯. জীব জগতের আজব কথা
৯০. তামাক
৯১. আবার তামাক
৯২. রোগী কাহিনী
৯৩. নরখাদকের কাহিনী
৯৪. আয় শীত, যায় শীত
৯৫. ঘটি-বাঙাল
৯৬. চিড়িয়াখানায়
৯৭. সমান-সমান
৯৮. স্মৃতির খেয়া
৯৯. অচলপত্র
১০০. সচিত্র ভারত
১০১. রাম ও রামকৃষ্ণ
১০২. কৃষ্ণ ও রামকৃষ্ণ
১০৩. স্বপ্ন ও রমণী
১০৪. অবাঞ্ছিত আতিশয্য
১০৫. যা দেবী সর্বভূতেষু
১০৬. মরণ রে
১০৭. ধৈর্যের পরীক্ষা
১০৮. ভুল (১)
১০৯. গল্পের গোরু
১১০. কাজের মেয়ে
১১১. বইমেলা
১১২. স্ত্রী
১১৩. প্রথম কোকিল
১১৪. দ্বিতীয় কোকিল
১১৫. তৃতীয় কোকিল
১১৬. অমল ধবল পালে
১১৭. স্বামী-স্ত্রী ইত্যাদি
১১৮. চিকিৎসা
১১৯. ভূত ও রিপোর্টার
১২০. হাঁচির গল্প
১২১. ভাষা-ভাষা
১২২. বালুকা ডাকিনী
১২৩. ফুটবল
১২৪. প্রশ্নোত্তর
১২৫. অসম্ভব
১২৬. রসিকতার উৎস সন্ধানে
১২৭. ডাক্তারবাবু নমস্কার
১২৮. আত্মনেপদী
১২৯. ভাগলপুরের পাঞ্জাবি
১৩০. পুজোর বাজার
১৩১. অপমান
১৩২. জীবজন্তু (১)
১৩৩. পুজোর ছুটি
১৩৪. ক্রিমিনাল
১৩৫. রবিবারের মহাভারত
১৩৬. আইনের আঙিনায়
১৩৭. বুদ্ধি
১৩৮. শাশুড়ি
১৩৯. দেয়া-নেয়া
১৪০. হে হিসাব
১৪১. মাছ (১)
১৪২. কুসংস্কার
১৪৩. জুয়া (১)
১৪৪. এসো বসি আহারে
১৪৫. শুভ নববর্ষ
১৪৬. রমণী সমাজে
১৪৭. স্বপ্ন
১৪৮. কলকাতা তিনহাজার তিনশো
১৪৯. আবার বইমেলা
১৫০. এক সর্দারের গল্প (১)
১৫১. এক সর্দারের গল্প (২)
১৫২. এক সর্দারের গল্প (৩)
১৫৩. জল
১৫৪. শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন
১৫৫. গাধা
১৫৬. হাওয়াই
১৫৭. সুনন্দর জার্নাল
১৫৮. সরস কলকাতা
১৫৯. সরস কবিতা
১৬০. স্টুপিডেস্ট
১৬১. অবনী, বাড়ি আছো?
১৬২. জুয়া (২)
১৬৩. সময়ের হিসেব
১৬৪. কেনাকাটা: জুতো
১৬৫. ভেজা চপ্পল
১৬৬. জয়বাবা শান্তিনাথ
১৬৭. টেলিফোন
১৬৮. পরিশেষে
১৬৯. জনগণের জোক!
১৭০. মকারান্ত
১৭১. কয়েকটি প্রশ্ন
১৭২. খাওয়া-দাওয়া
১৭৩. বলাবাহুল্য
১৭৪. শরৎচন্দ্র এবং রসিকতা
১৭৫. পৃথিবী
১৭৬. সুখের লাগিয়া
১৭৭. অন্দর মহলে
১৭৮. জোক বুক
১৭৯. সান্টা, বান্টা
১৮০. সরল শৈশব
১৮১. কথা বলার বিপদ
১৮২. সিগারেট
১৮৩. পাটিগণিত
১৮৪. গ্রন্থবার্তা
১৮৫. প্রেমিক-প্রেমিকা
১৮৬. ডাক্তারবাবু
১৮৭. বধূমাতা
১৮৮. কেনাবেচা
১৮৯. বালিশ
১৯০. আপ রুচি খানা
১৯১. কাণ্ডজ্ঞান
১৯২. দুর্ঘটনা
১৯৩. বিজনের রক্তমাংস
১৯৪. বিলিতি বিয়ার-পাব
১৯৫. রাজনীতি
১৯৬. চপলতা
১৯৭. বাগ্বিধি
১৯৮. মশা ও লবণহ্রদ
১৯৯. যদ্দৃষ্টং
২০০. বয়েস বাড়ছে
২০১. ধানাই-পানাই
২০২. আমপাতা জোড়া-জোড়া
২০৩. ভ্রমণকাহিনী (২)
২০৪. হাস্যকবি সম্মেলন
২০৫. মুড়ি-মিছরি
২০৬. গণ্ডারের দুধ
২০৭. তৈজসপত্র
২০৮. পুলিশ
২০৯. গোরু
২১০. অণুনাটিকা
২১১. যদিদং হৃদয়ং
২১২. এমন বাদল দিনে
২১৩. ফাঁসি
২১৪. লেপ
২১৫. ব্যাটবল
২১৬. স্বপ্ন
২১৭. বড়দিন
২১৮. ধনীরাম
২১৯. ব্যাঙ্ক
২২০. জাহান্নাম
২২১. ইতিহাস
২২২. লুঙ্গি
২২৩. সেই বই
২২৪. ধ্বংসের মুখোমুখি
২২৫. ফুরসতনামা
২২৬. পোড়া বই
২২৭. বার্তাকু ভক্ষণ বিল
২২৮. অ্যালেন গিনসবার্গ
২২৯. প্যাঁচ
২৩০. শিশুশিক্ষা (২)
২৩১. লেখাপড়া
২৩২. ডেটলাইন শান্তিনিকেতন
২৩৩. যেভাবে গল্প তৈরি হয়
২৩৪. হায় ভীরু প্রেম
২৩৫. মাতালের গল্প
২৩৬. মনের কথা
২৩৭. চিনা-অচিনা
২৩৮. কয়েকটি অবিশ্বাস্য রসিকতা
২৩৯. মনের চিকিৎসা
২৪০. কান্তকবি
২৪১. জ্যোতিষী
২৪২. আবার জ্যোতিষী
২৪৩. পথের ভিখিরি
২৪৪. গুরু-শিষ্য সংবাদ
২৪৫. ভুলোমন স্বামী
২৪৬. বই চুরি
২৪৭. ফিলমি-ফিলমি
২৪৮. চার্চিল
২৪৯. পঞ্জিকা
২৫০. নিমন্ত্রণ
২৫১. মাছ (২)
২৫২. জানোয়ার
২৫৩. তুমি যে আমার
২৫৪. সৈয়দ মুজতবা আলি
২৫৫. ধারদেনা
২৫৬. শিবরাম চক্রবর্তী
২৫৭. যাচ্ছেতাই লেখা লিখছি
২৫৮. দুর্বৃত্তের শাসানি
২৫৯. নিজের কোট খুলতে পারে না
২৬০. ভোজসভা শেষে বক্তৃতা
২৬১. শুধু পাঠিকারা চিঠি লেখে
২৬২. পাসপোর্ট ফোটোর মতো
২৬৩. আগে পাঁচ ডলারে, এখন?
২৬৪. এত বুড়ো হব নাকো
২৬৫. অপ্রত্যাশিত
২৬৬. গরমের পাখা মাঘ মাসে
২৬৭. বাংলায় কেন হয় না
২৬৮. মধ্যযুগ
২৬৯. শিলিগুড়ি
২৭০. সেদিন বেঙ্গল ক্লাবে
২৭১. বেয়ারা
২৭২. এত কঠিন অঙ্ক
২৭৩. বাড়িওয়ালা
২৭৪. সুনীলের সঙ্গে
২৭৫. পুলিশ এবং রবীন্দ্রসংগীত
২৭৬. দিশি-বিলিতি পুলিশের বৃত্তান্ত
২৭৭. রসলক্ষ্মীর সাধনা
২৭৮. জানলা পড়ল মাথায়
২৭৯. সেদিনের চুম্বনের পরে
২৮০. হাসির উপন্যাস
২৮১. ভুল (২)
২৮২. মহিলা কবিরা
২৮৩. পুরনো কলকাতা
২৮৪. প্রথমেই পঞ্চম সংস্করণ
২৮৫. ঘুষ
২৮৬. আইনমাফিক
২৮৭. বাঁকা কথা
২৮৮. শিশু বিষয়ে
২৮৯. শব্দকল্পদ্রুম
২৯০. জামাইষষ্ঠী
২৯১. আইরিশ রসিকতা
২৯২. পূজা ও রমণী
২৯৩. প্রতিযোগিতা
২৯৪. টকটক গন্ধ
২৯৫. যানবাহন
২৯৬. রস ও রমণী
২৯৭. অনুভব অথবা ভাল লাগা
২৯৮. রেডিয়ো
২৯৯. রিকশা
৩০০. পরিবার পরিকল্পনা
৩০১. মহিলা মহল
৩০২. লালিমা পাল স্মরণে
৩০৩. বোকার মা
৩০৪. স্থূল ও অস্থূল
৩০৫. দম্পতি, দম্পতী
৩০৬. সাদা রাস্তা কালো বাড়ি
৩০৭. লক্ষপতি
৩০৮. গল্পের গতি
৩০৯. পাকিস্তান
৩১০. ইঁদুর
৩১১. এ হর্স ফর মাই কিংডম
৩১২. হায় ছবি, তুমি শুধু ছবি
৩১৩. প্রজাপতয়ে
৩১৪. একটি উড়ো কাহিনী
৩১৫. সময়জ্ঞান
৩১৬. আমাদের কলের গান
৩১৭. থানা পুলিশ
৩১৮. ভ্রমণকাহিনী (৩)
৩১৯. বয়স বাড়ছে
৩২০. ভুল, ভূল
৩২১. জীবজন্তু
৩২২. ব্যবসা-বাণিজ্য
৩২৩. বিজ্ঞাপন
৩২৪. কবিতার ভাল-খারাপ
৩২৫. জোচ্চোর
৩২৬. বলাই বাহুল্য
৩২৭. গোলমাল
৩২৮. সিনেমা হল
৩২৯. বাসাবাড়ি
৩৩০. তবুও মাতাল
৩৩১. ঢাকঢাক-গুড়গুড়
৩৩২. জলাঞ্জলি
৩৩৩. টাকাপয়সা
৩৩৪. ঘুম (২)
৩৩৫. ওগো বধূ সুন্দরী
৩৩৬. প্রবাসে দৈবের বশে
৩৩৭. তিন পুলিশের গল্প
৩৩৮. দুই শ্রাদ্ধের গল্প
৩৩৯. দুই বাঘের গল্প
৩৪০. ঢাকাই রসিকতা
৩৪১. ওয়ার্ক কালচার
৩৪২. আমি কবি হয়েছিলাম গায়ের জোরে
৩৪৩. যাহা পাই, তাহা চাই না
৩৪৪. পথে পথে কবিতা
৩৪৫. হাং সাং টাঙ্গাইল
৩৪৬. পত্রের উত্তর
৩৪৭. আবার উত্তর
৩৪৮. বিদূষক
৩৪৯. মশা
৩৫০. খাদ্য সমস্যা
৩৫১. বউ কথা কও
৩৫২. শেফালি
৩৫৩. ভালবাসার সন্ধানে
৩৫৪. স্বর্গ যদি কোথাও থাকে
৩৫৫. তারি লাগি যত
৩৫৬. জাহাজ
৩৫৭. স্ত্রী রত্ন
৩৫৮. আদ্যনারায়ণ
৩৫৯. আমার ভাগ্য
৩৬০. পরোপকার
৩৬১. অফিস
৩৬২. ভদ্রলোক
৩৬৩. কাকের মাংস
৩৬৪. স্বর্গ নরক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন