আইরিশ রসিকতা

তারাপদ রায়

না। আর কাছাকাছি নয়। পথচলতি চুটকি, উদ্ভট শ্লোক অনেক হল। একটু বিদেশ থেকে ঘুরে আসি। আর রসিকতার খোঁজে যদি বাইরেই যেতে হয়, প্রথমে আয়ারল্যান্ডেই যাওয়া উচিত।

অবশ্য এই রসিকতাগুলোর উদ্ভব খুব সরলভাবে, হাসাহাসি করতে করতে বা হাসাহাসি করার জন্যে নয়, এগুলি মোটামুটিভাবে অসূয়াপ্রসূত।

এই রসিকতাগুলো, অধিকাংশ কেন, প্রায় সর্বাংশেই ইংরেজদের সৃষ্টি। ইংরেজরা আইরিশদের দু’চোখে দেখতে পারে না। এই রসিকতাগুলোর উদ্দেশ্য হল বোঝানো যে আইরিশরা মাথামোটা এবং ধান্দাবাজ।

বাস্তব জীবনে আইরিশমাত্রই যে সেরকম, এমন ভাবা অবশ্যই উচিত হবে না। রাজনিতৈক শত্রুতাবশত প্রতিবেশীকে ইংরেজরা এভাবে ভেবে হেয় মনে করে। সে যাক গে, আমাদের বিবেচ্য হল আইরিশ রসিকতা।

লন্ডনের এক খবরের কাগজের সম্পাদক মহোদয় আইরিশম্যান। তাঁর পাসপোর্টের মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে। নতুন পাসপোর্ট করাবেন। ফটো লাগবে। অফিসের ফটোগ্রাফারকে ডেকে বললেন, ফটো তুলে দিতে।

এই আদেশে ফটোগ্রাফার সাহেব একটু বেকায়দায় পড়লেন। সম্পাদক মহোদয় স্বজাতিসুলভ কাঠখোট্টা, খোঁচা খোঁচা গোঁফ, মুখে হাসি নেই—তার ওপরে পাসপোর্ট ফটো সবসময়েই খারাপ ওঠে। সেই ছবি দেখে সম্পাদক নিজেই খেপে উঠবেন, তখন তো আর তাঁকে বলা যাবে না, ‘স্যার, আমার কোনও দোষ নেই। আমি কী করব, আপনার যেমন চেহারা তেমন ছবি উঠেছে।’

খবরের কাগজের বার্তা সম্পাদক ইংরেজ। তিনি ফটোগ্রাফারের সমস্যা শুনে বললেন, ‘আপনাকে কবে ফটো তুলে দিতে বলেছে?’

ফটোগ্রাফার বললেন, ‘সামনের সোমবার সকালে।’

বার্তা সম্পাদক বললেন, ‘তা হলে তো কোনও সমস্যাই নেই। আজ শুক্রবার। ঠিক তিনদিন আছে। আজ একটু পরে একবার সম্পাদকের ঘরে গিয়ে যে-কোনও একটা নতুন রসিকতা শুনিয়ে দিয়ে আসুন। আপনি তো রসিক মানুষ।’

ফটোগ্রাফার বললেন, ‘ওঁকে আর রসিকতা শুনিয়ে কী হবে, উনি তো আর হাসেন না।’

বার্তা সম্পাদক বাধা দিয়ে বললেন, ‘হাসবেন, হাসবেন। আইরিশদের হাসতে তিনদিন লাগে, সোমবার সকালে যখন ছবি তুলতে যাবেন, দেখবেন ফিকফিক করে হাসছেন।’

এই গল্পটা সেই গন্ডারের কাহিনীটা মনে করিয়ে দিল। গন্ডারের চামড়া এত পুরু যে তাতে সুড়সুড়ি, কাতুকুতু দিলে লাগে না। একদা এক গন্ডারকে জোর করে ধরে আচ্ছা করে কাতুকুতু দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঠিক সাতদিন পরে গন্ডারটা হো হো করে হেসে উঠেছিল।

এই গল্পে আইরিশম্যানদের রসগ্রহণ ক্ষমতাকে গন্ডারের পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়েছে।

আইরিশম্যানের অপর গল্পটি একটু প্যাঁচালো। অবশ্য সেটা কোনও নির্বোধের গল্প নয়।

আদালতে এক আইরিশম্যানের বিচার হচ্ছে। সব শুনে-টুনে মাননীয় আদালত বললেন, ‘আদালতের এখানে কাছাকাছি কোনও লোক আছেন, যিনি বলতে পারবেন যে আপনি একজন সৎ লোক?’

আদালতের মধ্যেই স্থানীয় থানার দারোগাবাবু ছিলেন। তাঁকে দেখিয়ে আইরিশম্যান বললেন, হুজুর, ওঁকেই জিজ্ঞাসা করুন। আমি ওঁর থানার এলাকায় থাকি।’

থানার দারোগা বললেন, ‘আমি কিছু বলতে পারব না স্যার। এ ভদ্রলোককে আমি কখনও চোখেই দেখিনি।’

হাকিম সাহেব কী যেন বলতে যাচ্ছিলেন, তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বিবাদী আইরিশম্যান বললেন, ‘তা হলে বুঝুন স্যার, দারোগাজি আমাকে কখনও চোখেই দেখেননি, আমাকে চেনেনই না। সৎ লোক প্রমাণের জন্যে আর কি সাক্ষী লাগবে, না সার্টিফিকেট লাগবে?’

অবশেষে মদ্যপ আইরিশম্যানের একটি সংক্ষিপ্ত গল্প।

গভীর রাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ভদ্রলোক রাস্তার ধারের একটা ল্যাম্পপোস্ট জড়িয়ে ধরে একটার পর একটা পাক খাচ্ছিলেন। একজন সেপাই এসে তাঁকে ধরলেন, ‘অনেক হয়েছে। এবার আমার সঙ্গে চল।’

আইরিশম্যান পুলিশের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বললেন, ‘বলছেন কী সেপাইজি, দেখছেন না ল্যাম্পপোস্টের সঙ্গে জড়িয়ে গেছি! পাক খুলতে পারছি না!’

আইরিশ কথামালা সহজে শেষ হবার নয়। সহস্র এক রজনী না হলেও দিনের পর দিন এ রকম গল্প চালিয়ে যাওয়া যায়।

ডাবলিনের এক পানশালায় এক ষণ্ডা-গুণ্ডা চেহারার আইরিশম্যান ঢুকে দরজার মুখে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করল, ‘এখানে মাইকেল নামে কে আছ? সাহস থাকে তো এগিয়ে এসো।’

অতি রোগা ও ল্যাকপেকে দুর্বল চেহারার এক ব্যক্তি এগিয়ে এল। সে বলল, ‘কী হয়েছে, শুনি? আমার নাম মাইকেল।’

সঙ্গে সঙ্গে গুণ্ডা লোকটি একটি বিরাশি সিক্কা ওজনের ঘুষি মেরে মাইকেলকে ধরাশায়ী করে বলল, ‘শালা, কী হয়েছে জান না? আমার নামে কী রটিয়ে বেড়াচ্ছ তুমি?’

মাইকেল কিন্তু অদমিত। সে ভূমিশয্যা থেকে গায়ের ধুলো ঝেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে হো হো করে হাসতে লাগল।

‘মার খেয়ে হাসির ব্যাপার কী হল?’ গুণ্ডা লোকটি আরও ক্ষেপে গেল।

প্রহৃত ব্যক্তি অধিকতর হাসতে হাসতে বলল, ‘আমার নাম মোটেই মাইকেল নয়। কেমন জব্দ! কেমন জব্দ!’

এই পথিবীতে শুধুমাত্র একজন আইরিশম্যানের পক্ষে কাউকে এ ধরনের জব্দ করা সম্ভব।

এরপর পর চেয়েও গোলমেলে একটি ঘটনা বলি। একদিন সন্ধ্যাবেলায় থানায় একটা ফোন এল, ‘আমার নাম প্যাডি। আমি অমুক ঠিকানায় থাকি। আমি রাগের বশে সুইসাইড করার একশো ঘুমের বড়ি খেয়েছি।’

সঙ্গে সঙ্গে অ্যামবুলেন্স জোগাড় করে থানা থেকে একটা জিপ প্যাডির বাড়িতে ছুটে গেল। থানার অফিসার প্রথমেই প্যাডিকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কখন ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন?’

প্যাডি বললেন, ‘কাল রাতে।’

থানার দারোগা অবাক হয়ে বললেন, ‘সে কী? আপনি আজ রাতের কথা বলছেন। আজ শনিবার, আজ সন্ধ্যাতে আপনি ঘুমের ওষুধগুলো খেয়েছেন?’

প্যাডি বললেন, ‘না। না। আমি গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ওষুধগুলো খেয়েছি।’

দারোগাবাবু বললেন, ‘অসম্ভব। শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা আপনি একশোটা ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে থাকলে এখন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারেন না।’

প্যাডি চিন্তান্বিতভাবে বলেন, “তা হলে বোধহয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাবেলায় খেয়েছি।’

আইরিশ কথামালার এবারের মতো শেষ গল্পটি সাদা বাংলায় বলি।

এক ব্যক্তি মৃত্যুর পর পরলোকে গেছেন। চিরদিনই তাঁর টাকা-পয়সার দিকে ঝোঁক। মৃত্যুর পরেও তাঁর সে ঝোঁক কাটেনি।

সে যা হোক, পরলোকে গিয়ে যথারীতি তাঁর চিত্রগুপ্তের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। তিনি দেখলেন শুধু পরলোকের বাসিন্দাদেরই নয়, চিত্রগুপ্ত সেখানকার তোষাখানারও হিসাবরক্ষক, সে তো কোটি কোটি টাকার ব্যাপার।

আগন্তুক চিত্রগুপ্তকে তোষামোদ করার জন্যে বললেন, ‘বহুকাল ধরে আপনি এইসব ঝামেলা নিজের হাতে সামলাচ্ছেন এটা কম কথা নয়।’

চিত্রগুপ্ত সাবেক দিনের ঝানু লোক, তিনি বললেন, ‘বহুকাল, বহুকাল বলবেন না। পৃথিবীর এক লক্ষ বৎসর এখানে এক মিনিটের সমান। পৃথিবীর এক লক্ষ টাকা এখানকার এক টাকার সমান।’

ধূর্ত ব্যক্তিটি বললেন, ‘পকেটে খুচরো টাকা-পয়সা কিছুই নেই। একটা টাকা ধার দেবেন?

চিত্রগুপ্ত মুচকি হেসে বললেন, ‘এ আর বেশি কথা কী! এক মিনিট অপেক্ষা করুন।’

এসব হাসাহাসির গল্প সহজে শেষ হতে চায় না, বিশেষত গল্পগুলো যখন এক শ্রেণীর লোকের বা কোনও, এক জাতিগোষ্ঠীর কাল্পনিক বা অর্ধসত্য, বোকামি ও নির্বুদ্ধিতা নিয়ে। যদি খুব একটা বিদ্বেষ বা নোংরা ভাব না থাকে, এসব খুচরো গল্প ভালই উপভোগ করা যায়।

প্যাডি নামক আইরিশ ভদ্রলোকটিকে নিয়ে নানা কাহিনী। তাঁরই আর একটি কাহিনী ধরা যাক।

প্যাডি সাহেব একদিন নদীর তীরে প্রাতর্ভমণ করছেন। এমন সময় দেখলেন সামনের ব্রিজের ওপর উঠে এক ব্যক্তি এদিক-ওদিক একটু তাকিয়ে নীচে নদীর মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ল।

প্যাডি সাহেব দায়িত্বশীল নাগরিক। তিনি নিজে ভাল সাঁতার জানেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে নদীর জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে ডুবন্ত লোকটিকে উদ্ধার করলেন।

লোকটি তীরে উঠে প্যাডি সাহেবকে জানালেন, ‘আমি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছিলাম। যা হোক আপনি আমাকে প্রাণে বাঁচিয়েছেন। আপনাকে বহু ধন্যবাদ।’ এই বলে লোকটি চলে গেল।

কিন্তু কী সাংঘাতিক! একটু পরেই প্যাডি সাহেব দেখলেন সেই ব্যক্তি আবার ব্রিজে উঠে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ল।

প্যাডি সাহেবের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া অত সহজ নয়। তিনিও আবার সঙ্গে সঙ্গে নদীতে ঝাঁপ দিলেন এবং আত্মহত্যাকারীকে পুনরায় মধ্যনদী থেকে উদ্ধার করলেন। এবারও লোকটি ধন্যবাদ জানিয়ে চলে গেল।

প্যাডি সাহেব সতর্ক দৃষ্টি রাখলেন লোকটির দিকে। লোকটি কিন্তু এবার আর ব্রিজের দিকে এগোল না। নদীর ধারে লম্বা লম্বা গাছ আছে, সেসব গাছে অনেক মোটা মোটা লতা ঝুলছে। প্যাডি সাহেব দেখলেন, লোকটা একটা শক্ত লতা ছিঁড়ে সেটা পাকিয়ে গাছের ডালে ঝোলাল। তারপর নিজের মাথা সেই লতার ফাঁসে গলিয়ে ঝুলে পড়ল।

নদীর ধারে প্রার্তভ্রমণকারী প্যাডি সাহেবের মতো অনেকেই ছিল। এই দৃশ্য চোখে পড়তে তারা ছুটে গেল। কিন্তু ততক্ষণে ব্যক্তিটির অভীষ্ট সিদ্ধ হয়েছে, সে মরে গেছে।

আজ ভ্রমণকারীরা কেউ কেউ ইতিমধ্যে দেখেছিলেন যে পরপর দু’বার প্যাডি সাহেব লোকটিকে জল থেকে উদ্ধার করেছেন। তাঁরা স্বভাবতই এবার প্যাডি সাহেবকে প্রশ্ন করলেন, ‘আপনি জলে ডোবা থেকে এত কষ্ট করে বাঁচালেন, আর এত কাছে ছিলেন, গলায় ফাঁস দেওয়ার সময় লোকটাকে থামালেন না?’

প্যাডি সাহেব বললেন, ‘আমি ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারিনি। আমি ভেবেছিলাম ও বুঝি জলে ভিজে গেছে বলে নিজেকে গাছের ডালে ঝোলাচ্ছে, রোদ্দুরে নিজেকে শুকিয়ে নেবে বলে।’

এ অবশ্য খুবই বাড়াবাড়ির গল্প। এবার শেষ করতে হয়। তার আগে দুয়েকটা আলগা গল্প বলি।

এক আইরিশ ভদ্রলোক তাঁর নাম প্যাট্রিক তাঁর বাইরের বাগানে কোদাল দিয়ে গর্ত খুঁড়ছিলেন। এ ব্যাপারে বিশেষ অভ্যেস নেই, তাই গলদঘর্ম হচ্ছিলেন। পথ দিয়ে প্রতিবেশী কোহেন সাহেব যাচ্ছিলেন, তিনি কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী ব্যাপার, প্যাট্রিক সাহেব? হঠাৎ বাগানে গর্ত খুঁড়ছেন কেন?

প্যাট্রিক সাহেব বললেন, ‘আমাদের পোষা কুকুর মারা গেছে। কবর দেওয়ার জন্য গর্ত খুঁড়ছি।’

পাশাপাশি তিনটে গর্ত খোঁড়া দেখে কোহেন সাহেব জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ক’টা কুকুর মারা গেছে?’

প্যাট্রিক সাহেব বলনে, ‘ক’টা আবার? একটা। আমার তো একটাই কুকুর ছিল।’

কোহেন সাহেব গর্ত তিনটির দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তা হলে তিনটে গর্ত কেন?’

প্যাট্রিক সাহেব বললেন, ‘প্রথমে গর্ত দুটো ছোট করে খুঁড়ে ফেলেছিলাম। আমার কুকুরটা তো বেশ বড়। তাই শেষের গর্তটা বেশ বড় করে খুঁড়লাম।’

সকল অধ্যায়

১. চুরিবিদ্যা
২. নৈশকাহিনী
৩. কালীঘাটের পাখা
৪. ডাকাতের হাতে
৫. পদ্মাসন
৬. শিশুশিক্ষা (১)
৭. ঘুম (১)
৮. পাগলের কাণ্ডজ্ঞান
৯. পদবি ও নাম
১০. ছারপোকার এপিটাফ
১১. ভাগ্যফল
১২. বিশেষজ্ঞ
১৩. ছাতা
১৪. র‍্যাডিস উইথ মোলাসেস
১৫. ঘড়ি
১৬. দরজি
১৭. সংখ্যাতত্ত্ব
১৮. মাতালের কাণ্ডজ্ঞান
১৯. ভূতের কাণ্ডজ্ঞান
২০. বানরের কাণ্ডজ্ঞান
২১. কিঙ্কর-কিঙ্করী
২২. ডাক্তার-ডাক্তার
২৩. দাঁত
২৪. টেলিফোন
২৫. আমি কীরকমভাবে
২৬. মন মোর মেঘের সঙ্গী
২৭. ভ্রমণকাহিনী (১)
২৮. প্রসূতি সদন
২৯. নিজের ওজন নিজে বুঝুন
৩০. জীবজন্তুর কথা
৩১. গোরু (১)
৩২. প্রিয়তমাসু
৩৩. অভিনয় নয়
৩৪. ইঁদুর ও মদিরা
৩৫. টর্চলাইট
৩৬. রং
৩৭. লিফট
৩৮. মদমত্ত
৩৯. সুচিকিৎসা
৪০. অচলার প্রেম
৪১. শেষ পরকীয়া
৪২. তালা
৪৩. কুকুর-কুকুর
৪৪. গোপাল ভাঁড়
৪৫. জগৎপারাবারের তীরে
৪৬. হিন্দি
৪৭. রেফ্রিজারেটর
৪৮. কৃষ্ণকান্ত এবং…
৪৯. মাতাল রহস্য
৫০. আবার মনে মনে
৫১. শেষের সেদিন
৫২. ভবসিন্ধু
৫৩. রবীন্দ্রনাথ
৫৪. …বাচ্চা
৫৫. কুকুর কুণ্ডলী
৫৬. হে মাতাল, অমোঘ মাতাল
৫৭. শিশুপাল
৫৮. ভোজনালয়
৫৯. বাড়ি ভাড়া
৬০. হায় ছবি
৬১. জীবনবিমা
৬২. কোন বাণিজ্যে
৬৩. ডাক্তারের হাতে
৬৪. অঘটন আজও ঘটে
৬৫. সুপরামর্শ
৬৬. পুলিশ
৬৭. ফাঁদ পাতা ভুবনে
৬৮. ধরা পড়েছে দু’জনে
৬৯. রুপোলি পর্দার অন্তরালে
৭০. পিয়ো হে পিয়ো
৭১. ও চাঁদা চোখের জলে
৭২. দামদর
৭৩. মিথ্যা কথা
৭৪. কে কোথা ধরা পড়ে
৭৫. সময়
৭৬. হায় কবি, তুমি শুধু কবি
৭৭. রোগীর বন্ধু
৭৮. রসুন
৭৯. রসিকতা
৮০. স্বর্গ
৮১. দুর্ঘটনার আগে ও পরে
৮২. পণ্ডিত
৮৩. সমস্যা
৮৪. স্বেচ্ছাসেবক
৮৫. বক্তা ও বক্তৃতা
৮৬. আবার বক্তৃতা
৮৭. কলিংবেল
৮৮. ঈশ্বর সমীপে
৮৯. জীব জগতের আজব কথা
৯০. তামাক
৯১. আবার তামাক
৯২. রোগী কাহিনী
৯৩. নরখাদকের কাহিনী
৯৪. আয় শীত, যায় শীত
৯৫. ঘটি-বাঙাল
৯৬. চিড়িয়াখানায়
৯৭. সমান-সমান
৯৮. স্মৃতির খেয়া
৯৯. অচলপত্র
১০০. সচিত্র ভারত
১০১. রাম ও রামকৃষ্ণ
১০২. কৃষ্ণ ও রামকৃষ্ণ
১০৩. স্বপ্ন ও রমণী
১০৪. অবাঞ্ছিত আতিশয্য
১০৫. যা দেবী সর্বভূতেষু
১০৬. মরণ রে
১০৭. ধৈর্যের পরীক্ষা
১০৮. ভুল (১)
১০৯. গল্পের গোরু
১১০. কাজের মেয়ে
১১১. বইমেলা
১১২. স্ত্রী
১১৩. প্রথম কোকিল
১১৪. দ্বিতীয় কোকিল
১১৫. তৃতীয় কোকিল
১১৬. অমল ধবল পালে
১১৭. স্বামী-স্ত্রী ইত্যাদি
১১৮. চিকিৎসা
১১৯. ভূত ও রিপোর্টার
১২০. হাঁচির গল্প
১২১. ভাষা-ভাষা
১২২. বালুকা ডাকিনী
১২৩. ফুটবল
১২৪. প্রশ্নোত্তর
১২৫. অসম্ভব
১২৬. রসিকতার উৎস সন্ধানে
১২৭. ডাক্তারবাবু নমস্কার
১২৮. আত্মনেপদী
১২৯. ভাগলপুরের পাঞ্জাবি
১৩০. পুজোর বাজার
১৩১. অপমান
১৩২. জীবজন্তু (১)
১৩৩. পুজোর ছুটি
১৩৪. ক্রিমিনাল
১৩৫. রবিবারের মহাভারত
১৩৬. আইনের আঙিনায়
১৩৭. বুদ্ধি
১৩৮. শাশুড়ি
১৩৯. দেয়া-নেয়া
১৪০. হে হিসাব
১৪১. মাছ (১)
১৪২. কুসংস্কার
১৪৩. জুয়া (১)
১৪৪. এসো বসি আহারে
১৪৫. শুভ নববর্ষ
১৪৬. রমণী সমাজে
১৪৭. স্বপ্ন
১৪৮. কলকাতা তিনহাজার তিনশো
১৪৯. আবার বইমেলা
১৫০. এক সর্দারের গল্প (১)
১৫১. এক সর্দারের গল্প (২)
১৫২. এক সর্দারের গল্প (৩)
১৫৩. জল
১৫৪. শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন
১৫৫. গাধা
১৫৬. হাওয়াই
১৫৭. সুনন্দর জার্নাল
১৫৮. সরস কলকাতা
১৫৯. সরস কবিতা
১৬০. স্টুপিডেস্ট
১৬১. অবনী, বাড়ি আছো?
১৬২. জুয়া (২)
১৬৩. সময়ের হিসেব
১৬৪. কেনাকাটা: জুতো
১৬৫. ভেজা চপ্পল
১৬৬. জয়বাবা শান্তিনাথ
১৬৭. টেলিফোন
১৬৮. পরিশেষে
১৬৯. জনগণের জোক!
১৭০. মকারান্ত
১৭১. কয়েকটি প্রশ্ন
১৭২. খাওয়া-দাওয়া
১৭৩. বলাবাহুল্য
১৭৪. শরৎচন্দ্র এবং রসিকতা
১৭৫. পৃথিবী
১৭৬. সুখের লাগিয়া
১৭৭. অন্দর মহলে
১৭৮. জোক বুক
১৭৯. সান্টা, বান্টা
১৮০. সরল শৈশব
১৮১. কথা বলার বিপদ
১৮২. সিগারেট
১৮৩. পাটিগণিত
১৮৪. গ্রন্থবার্তা
১৮৫. প্রেমিক-প্রেমিকা
১৮৬. ডাক্তারবাবু
১৮৭. বধূমাতা
১৮৮. কেনাবেচা
১৮৯. বালিশ
১৯০. আপ রুচি খানা
১৯১. কাণ্ডজ্ঞান
১৯২. দুর্ঘটনা
১৯৩. বিজনের রক্তমাংস
১৯৪. বিলিতি বিয়ার-পাব
১৯৫. রাজনীতি
১৯৬. চপলতা
১৯৭. বাগ্বিধি
১৯৮. মশা ও লবণহ্রদ
১৯৯. যদ্দৃষ্টং
২০০. বয়েস বাড়ছে
২০১. ধানাই-পানাই
২০২. আমপাতা জোড়া-জোড়া
২০৩. ভ্রমণকাহিনী (২)
২০৪. হাস্যকবি সম্মেলন
২০৫. মুড়ি-মিছরি
২০৬. গণ্ডারের দুধ
২০৭. তৈজসপত্র
২০৮. পুলিশ
২০৯. গোরু
২১০. অণুনাটিকা
২১১. যদিদং হৃদয়ং
২১২. এমন বাদল দিনে
২১৩. ফাঁসি
২১৪. লেপ
২১৫. ব্যাটবল
২১৬. স্বপ্ন
২১৭. বড়দিন
২১৮. ধনীরাম
২১৯. ব্যাঙ্ক
২২০. জাহান্নাম
২২১. ইতিহাস
২২২. লুঙ্গি
২২৩. সেই বই
২২৪. ধ্বংসের মুখোমুখি
২২৫. ফুরসতনামা
২২৬. পোড়া বই
২২৭. বার্তাকু ভক্ষণ বিল
২২৮. অ্যালেন গিনসবার্গ
২২৯. প্যাঁচ
২৩০. শিশুশিক্ষা (২)
২৩১. লেখাপড়া
২৩২. ডেটলাইন শান্তিনিকেতন
২৩৩. যেভাবে গল্প তৈরি হয়
২৩৪. হায় ভীরু প্রেম
২৩৫. মাতালের গল্প
২৩৬. মনের কথা
২৩৭. চিনা-অচিনা
২৩৮. কয়েকটি অবিশ্বাস্য রসিকতা
২৩৯. মনের চিকিৎসা
২৪০. কান্তকবি
২৪১. জ্যোতিষী
২৪২. আবার জ্যোতিষী
২৪৩. পথের ভিখিরি
২৪৪. গুরু-শিষ্য সংবাদ
২৪৫. ভুলোমন স্বামী
২৪৬. বই চুরি
২৪৭. ফিলমি-ফিলমি
২৪৮. চার্চিল
২৪৯. পঞ্জিকা
২৫০. নিমন্ত্রণ
২৫১. মাছ (২)
২৫২. জানোয়ার
২৫৩. তুমি যে আমার
২৫৪. সৈয়দ মুজতবা আলি
২৫৫. ধারদেনা
২৫৬. শিবরাম চক্রবর্তী
২৫৭. যাচ্ছেতাই লেখা লিখছি
২৫৮. দুর্বৃত্তের শাসানি
২৫৯. নিজের কোট খুলতে পারে না
২৬০. ভোজসভা শেষে বক্তৃতা
২৬১. শুধু পাঠিকারা চিঠি লেখে
২৬২. পাসপোর্ট ফোটোর মতো
২৬৩. আগে পাঁচ ডলারে, এখন?
২৬৪. এত বুড়ো হব নাকো
২৬৫. অপ্রত্যাশিত
২৬৬. গরমের পাখা মাঘ মাসে
২৬৭. বাংলায় কেন হয় না
২৬৮. মধ্যযুগ
২৬৯. শিলিগুড়ি
২৭০. সেদিন বেঙ্গল ক্লাবে
২৭১. বেয়ারা
২৭২. এত কঠিন অঙ্ক
২৭৩. বাড়িওয়ালা
২৭৪. সুনীলের সঙ্গে
২৭৫. পুলিশ এবং রবীন্দ্রসংগীত
২৭৬. দিশি-বিলিতি পুলিশের বৃত্তান্ত
২৭৭. রসলক্ষ্মীর সাধনা
২৭৮. জানলা পড়ল মাথায়
২৭৯. সেদিনের চুম্বনের পরে
২৮০. হাসির উপন্যাস
২৮১. ভুল (২)
২৮২. মহিলা কবিরা
২৮৩. পুরনো কলকাতা
২৮৪. প্রথমেই পঞ্চম সংস্করণ
২৮৫. ঘুষ
২৮৬. আইনমাফিক
২৮৭. বাঁকা কথা
২৮৮. শিশু বিষয়ে
২৮৯. শব্দকল্পদ্রুম
২৯০. জামাইষষ্ঠী
২৯১. আইরিশ রসিকতা
২৯২. পূজা ও রমণী
২৯৩. প্রতিযোগিতা
২৯৪. টকটক গন্ধ
২৯৫. যানবাহন
২৯৬. রস ও রমণী
২৯৭. অনুভব অথবা ভাল লাগা
২৯৮. রেডিয়ো
২৯৯. রিকশা
৩০০. পরিবার পরিকল্পনা
৩০১. মহিলা মহল
৩০২. লালিমা পাল স্মরণে
৩০৩. বোকার মা
৩০৪. স্থূল ও অস্থূল
৩০৫. দম্পতি, দম্পতী
৩০৬. সাদা রাস্তা কালো বাড়ি
৩০৭. লক্ষপতি
৩০৮. গল্পের গতি
৩০৯. পাকিস্তান
৩১০. ইঁদুর
৩১১. এ হর্স ফর মাই কিংডম
৩১২. হায় ছবি, তুমি শুধু ছবি
৩১৩. প্রজাপতয়ে
৩১৪. একটি উড়ো কাহিনী
৩১৫. সময়জ্ঞান
৩১৬. আমাদের কলের গান
৩১৭. থানা পুলিশ
৩১৮. ভ্রমণকাহিনী (৩)
৩১৯. বয়স বাড়ছে
৩২০. ভুল, ভূল
৩২১. জীবজন্তু
৩২২. ব্যবসা-বাণিজ্য
৩২৩. বিজ্ঞাপন
৩২৪. কবিতার ভাল-খারাপ
৩২৫. জোচ্চোর
৩২৬. বলাই বাহুল্য
৩২৭. গোলমাল
৩২৮. সিনেমা হল
৩২৯. বাসাবাড়ি
৩৩০. তবুও মাতাল
৩৩১. ঢাকঢাক-গুড়গুড়
৩৩২. জলাঞ্জলি
৩৩৩. টাকাপয়সা
৩৩৪. ঘুম (২)
৩৩৫. ওগো বধূ সুন্দরী
৩৩৬. প্রবাসে দৈবের বশে
৩৩৭. তিন পুলিশের গল্প
৩৩৮. দুই শ্রাদ্ধের গল্প
৩৩৯. দুই বাঘের গল্প
৩৪০. ঢাকাই রসিকতা
৩৪১. ওয়ার্ক কালচার
৩৪২. আমি কবি হয়েছিলাম গায়ের জোরে
৩৪৩. যাহা পাই, তাহা চাই না
৩৪৪. পথে পথে কবিতা
৩৪৫. হাং সাং টাঙ্গাইল
৩৪৬. পত্রের উত্তর
৩৪৭. আবার উত্তর
৩৪৮. বিদূষক
৩৪৯. মশা
৩৫০. খাদ্য সমস্যা
৩৫১. বউ কথা কও
৩৫২. শেফালি
৩৫৩. ভালবাসার সন্ধানে
৩৫৪. স্বর্গ যদি কোথাও থাকে
৩৫৫. তারি লাগি যত
৩৫৬. জাহাজ
৩৫৭. স্ত্রী রত্ন
৩৫৮. আদ্যনারায়ণ
৩৫৯. আমার ভাগ্য
৩৬০. পরোপকার
৩৬১. অফিস
৩৬২. ভদ্রলোক
৩৬৩. কাকের মাংস
৩৬৪. স্বর্গ নরক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন