ছারপোকার এপিটাফ

তারাপদ রায়

আমি যখন চাকরিতে ঢুকেছি, একটা জিনিস দেখে আমার খুবই অবাক লেগেছিল প্রথম প্রথম; সেটা হল আমার সহকর্মীরা দিনের কাজ শুরু করার আগে অফিসে ঢুকে নিজ নিজ চেয়ার শূন্যে তুলে মেঝেতে ছুড়ে ফেলে দিতেন। কাজের প্রতি ঘোরতর বিতৃষ্ণা অথবা অফিসের উপর নিদারুণ রাগ, ঠিক কী কারণে এতগুলি শান্ত ভদ্র কর্মচারী প্রতিদিন কাজের প্রারম্ভে এই বিচিত্র আচরণ করতেন এটা আমি গোড়ায় দু’-একদিন বুঝতে পারিনি। কিন্তু তার পরেই আমি মজ্জায় মজ্জায় টের পেলাম। প্রত্যেকটি চেয়ারে অসংখ্য ছারপোকা, তাদের দংশন যেমন তীক্ষ্ণ তেমনই বিষাক্ত। প্রথম দিন বিকেলের দিকে গায়ে চাকা চাকা দাগ বেরল, ভাবলাম, অ্যালার্জি, অফিসের পরিবেশ সহ্য হচ্ছে না

কিন্তু গরিবের ছেলে, চাকরি ছাড়ার উপায় নেই, অফিসের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই হবে, এ রকম মনের জোর করে দ্বিতীয় দিনেও অফিসে গেলাম। দুপুরবেলায় যখন চেয়ারে বসে পাগলের মতো ছটফট করছি, দরদি সহকর্মী ফাইল থেকে মুখ তুলে প্রশ্ন করল, ‘কী হল আপনার, সকালবেলা চেয়ার ছোড়েননি?’ আমি যখন জবাব দিলাম, ‘না’, তিনি শশব্যস্ত হয়ে উঠলেন, ‘করেছেন কী মশায়? ছারপোকার কামড়ে মারা পড়বেন যে, যান, যান ওই প্যাসেজে গিয়ে চেয়ারটাকে ভাল করে আছড়িয়ে নিয়ে আসুন।’

একটু আছড়াতেই ছোট বড় অসংখ্য ছারপোকা বেতের চেয়ারের অন্ধিসন্ধি থেকে বৃষ্টির মতো ঝরতে লাগল। এর পর থেকে আমিও অফিসে গিয়েই প্রথমেই চেয়ার আছড়াতাম।

আমাদের অফিসে কেন, প্রায় প্রত্যেক অফিসেই সেই সময় চেয়ার আছড়ানোর ওই রীতি চালু ছিল। চেয়ার সারানো ছিল প্রায় নিয়মিত ঘটনা, অনেক অফিসেই বাঁধা কাঠ-মিস্ত্রি ছিল। নতুন চেয়ারও কিনতে হত হামেশা।

এই চেয়ার আছড়ানো ব্যাপারটা কিন্তু ছারপোকারা শেষের দিকে চমৎকার বুঝে গিয়েছিল। তখন আর চেয়ার আছড়িয়ে ছারপোকা বিশেষ বেরত না। ছারপোকার সংখ্যা যে কমে গিয়েছিল তা নয়। সালের দিকে ছারপোকার সন্তান-সন্ততি, আত্মীয়-পরিজন দল বেঁধে যে যার চেয়ারের ডেরা ছেড়ে নিকটবর্তী টেবিলের আনাচে-কানাচে আশ্রয় নিত। তারপর চেয়ারের অধিবাসী অফিসে এসে বসলে তাও একে একে ধীরে সুস্থে রক্ত পান করতে চেয়ারে ফিরে আসত।

এই ফিরে আসার ব্যাপারটা আমি নিজেই আবিষ্কার করি। একদিন অফিসে গিয়ে টেবিলের নীচে তাকিয়ে কী একটা জটিল বিষয় নিয়ে একমনে ভাবছি, দেখলাম বহু ছারপোকা টেবিল ছেড়ে চেয়ারের দিকে এগিয়ে আসছে। এরই মধ্যে দু’-একটি উৎসাহী ও তরুণ ছারপোকার চেয়ারের পায়া পর্যন্ত এগিয়ে আসার তর সইছে না, মেজে থেকে ইঞ্চিখানেক উপরে আমার চটি খোলা ডান পা ঝুলছিল, রক্তপিপাসু কয়েকটি ছারপোকা সেখানে এসে লাফাতে লাগল পায়ের উপর উঠবে বলে। একটি ছারপোকার উচ্চতা দশমিক শূন্য এক (.০১) ইঞ্চির বেশি নয়, (এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইনসেক্টস ১৯৪৮ সংস্করণ, চতুর্থ খণ্ড, ৪৪৭ পষ্ঠা দ্রষ্টব্য); তার পক্ষে এক ইঞ্চি লাফানো মানে নিজের দৈর্ঘ্যের একশো গুণ উঁচুতে হাইজাম্প দেওয়া, চোখে না দেখলে আমি বিশ্বাস করতাম না, পর পর কয়েকটা ছারপোকা অবলীলাক্রমে দু’-একবার চেষ্টা করেই আমার পায়ের উপর উঠে পড়ল।

তখন আমার বয়েস কম, কোনও বিষয়ে উৎসাহের ঘাটতি ছিল না। ছারপোকার এই উচ্চলম্ফ-পরায়ণতা নিয়ে আমি অনেকের সঙ্গে, বিশেষ করে দু’-একজন জীববিজ্ঞানীর সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তাঁরা আমাকে বিশেষ পাত্তা দেননি। শেষে আমি ছারপোকার উচ্চলম্ফের বিষয়ে চিঠি লিখে বিখ্যাত গুইনেস বুক অফ রেকর্ডসের কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। তাঁরা অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেন এবং আমাকে অনুরোধ করেন মেজে থেকে পায়ের মধ্যে শূন্যে লাফরত অবস্থায় একটি ছারপোকার ছবি তুলে পাঠাতে। অফিসের মধ্যে অন্ধকারে টেবিলের নীচে একটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কীটের লাফের ছবি নেওয়া, আমাদের দেশে এ রকম সম্ভব হবে না বলে বুক অফ রেকর্ডসকে জানালাম।

কিন্তু তাঁরা নাকি যাচাই না করে কোনও তথ্য তাঁদের রেকর্ড বুকে ছাপেন না। তবে তাঁদের একজন প্রতিনিধি কিছুদিনের মধ্যে উত্তর প্রদেশের এক গুম্ফবিলাসীর গোঁফের দৈর্ঘ্য এবং কলকাতার শহরতলির এক যুবকের হাতের নখের পরিমাপ করতে থাকবে, রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ সে কথা জানিয়ে আমাকে তাঁদের সেই প্রতিনিধির সঙ্গে যথাস্থানে যথা সময়ে যোগাযোগ করতে বলেছিলেন। আমার অবশ্য সেটা করা আর হয়ে ওঠেনি।

ফলে আমারই গাফিলতিতে কলকাতার ছারপোকারা বুক অফ রেকর্ডসে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও স্থান পেল না। অবশ্য এখন আর সে সুযোগ নেই। কারণ সেসব ছারপোকা বহুদিন হল বিদায় নিয়েছে।

পঞ্চাশ দশকের শেষ, ষাটের দশকের আরম্ভ। সে ছিল কলকাতার ছারপোকাদের স্বর্ণযুগ। সেই উত্তপ্ত তাম্রবর্ণ, দ্রুত বিচরণশীল, ক্ষিপ্র ছন্দোময় জিঘাংসু ছারপোকাদের আজকাল আর দেখতেই পাওয়া যায় না। তখন অধিকাংশ লোক হাতে একটা পুরনো খবরের কাগজ নিয়ে ঘুরতেন, যেখানে গিয়ে বসতেন হাতের পুরনো কাগজটি ভাল করে পেতে তার উপরে বসতেন, এতে ছারপোকাদের দ্রুত ও আকস্মিক আক্রমণ কিছুটা প্রতিরোধ হত।

টেবিল-চেয়ার, তোশক-বালিশ শুধু নয়, তখন সর্বত্র ছারপোকা। জামা-কাপড়ে, জুতোর মোজার মধ্যে, ট্রামে বাসে, সিনেমা হলে, সম্ভব-অসম্ভব এমন কোনও জায়গা ছিল না—যেখানে ছারপোকা ছিল না। আমার মনে আছে আমি দাড়ি কামানোর ভেজা বুরুশের মধ্যে, ঘুরন্ত টেবিল ফ্যানের ব্লেডে ছারপোকা দেখেছি। এমনকী ড্রেসিং সার্কেলের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে বসে থিয়েটার দেখতে দেখতে পরমাসুন্দরী নায়িকার কানের লতির নীচে, হাজার ওয়াটের জোরালো আলোয় স্পষ্ট দেখেছি, দুটি টুকটুকে ছারপোকা ঘুরছে। শেষ বয়েসে একবার ধনরাজ অসামান্য একটি গোল দিয়েছিলেন। খেলার শেষে ইস্টবেঙ্গলের তাঁবুতে ধনরাজের পদপ্রান্তে মন্ত্রমুগ্ধের মতো বসেছিলাম, ধনরাজ হাঁটুর উপর থেকে নিকাপ খুললেন, সেই প্রবল খেলার শেষে তখনও নিকাপের নীচে একটি চমৎকার ছারপোকা।

এই সুযোগে একজন অমর রসিকের কথাও বলি। মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে শিবরাম চক্রবর্তীর মেসে দেখেছি, ওঁর সেই বিখ্যাত তক্তপোশের ফাঁকে, উনি বলতেন মুক্তারামের তক্তারাম, দেখেছি নতুন চাদরের উপর নতুন চাদর, তার উপরে নতুন চাদর। কোনও চাদর তুলতেন না ছারপোকা বেরিয়ে আসবে বলে, শুধু কখনও ছারপোকার অত্যাচার বেশি হলে আবার একটি চাদর ফেলে দিতেন সবচেয়ে উপরে, অবশ্য প্রত্যেকটি নতুন চাদর পাতবার আগে চারদিকে ফিনাইল দিয়ে চাদরের চার প্রান্ত ভাল করে চুবিয়ে নিতেন যাতে ছারপোকারা ফিনাইলের দেয়াল লঙঘন করে চাদরের উপরে না উঠে আসতে পারে। এই প্রতিষেধক ব্যবস্থা কতটা কার্যকরী ছিল, ঈশ্বর জানেন, তিনি সত্যিই এটা করতেন কিনা সেটাও বলা কঠিন কিন্তু তিনি আমাকে এই রকমই বুঝিয়েছিলেন।

দুঃখের বিষয়, এই সব ছারপোকা, যাদের অত্যাচারে গন্তব্যস্থলে পৌঁছনোর আগেই লোকেরা ট্রাম থেকে নেমে যেত, সিনেমার ইন্টারভ্যালের সময় হল থেকে পালিয়ে যেত, অর্ধেক মোগলাই পরোটা খেয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে দৌড়ে উঠে যেত, আজকাল প্রায় অন্তর্হিত হয়েছে।

কিন্তু কেন?

এইবার আমি একটি ঐতিহাসিক তথ্য নিবেদন করব। স্থিতধী পাঠক, একবার পিছনের দিকে ফিরে তাকান, মনে করে দেখুন একদা শ্যামবাজার থেকে কালীঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত আসল কলকাতায় কোনও মশা ছিল না। তার পর একদিন দলে দলে, লাখে লাখে মশার অনুপ্রবেশ ঘটল। তারা প্রথমে মানুষকে, তারপর কুকুর বিড়াল, গোরু-বাছুরকে কামড়াতে লাগল। তারপর ফলমূল, তরিতরকারি, টিকটিকি-ইঁদুর, অবশেষে ছারপোকাকে আক্রমণ করল। ছারপোকাকে আক্রমণ করার কারণটা সহজ, তার গায়ে মানুষের তৈরি রক্ত পাচ্ছে। আমি স্বচক্ষে দেখেছি মশারির আনাচে-কানাচে, বালিশ-তোশকের নীচে মশা ছারপোকা ধরে শুষে খাচ্ছে। এবং শেষে এই মশার অত্যাচারেই কলকাতার ছারপোকা এখন প্রায় নির্বংশ হতে চলেছে। এর পর হয়তো একটি ছারপোকাও আর কোথাও দেখতে পাওয়া যাবে না।

সকল অধ্যায়

১. চুরিবিদ্যা
২. নৈশকাহিনী
৩. কালীঘাটের পাখা
৪. ডাকাতের হাতে
৫. পদ্মাসন
৬. শিশুশিক্ষা (১)
৭. ঘুম (১)
৮. পাগলের কাণ্ডজ্ঞান
৯. পদবি ও নাম
১০. ছারপোকার এপিটাফ
১১. ভাগ্যফল
১২. বিশেষজ্ঞ
১৩. ছাতা
১৪. র‍্যাডিস উইথ মোলাসেস
১৫. ঘড়ি
১৬. দরজি
১৭. সংখ্যাতত্ত্ব
১৮. মাতালের কাণ্ডজ্ঞান
১৯. ভূতের কাণ্ডজ্ঞান
২০. বানরের কাণ্ডজ্ঞান
২১. কিঙ্কর-কিঙ্করী
২২. ডাক্তার-ডাক্তার
২৩. দাঁত
২৪. টেলিফোন
২৫. আমি কীরকমভাবে
২৬. মন মোর মেঘের সঙ্গী
২৭. ভ্রমণকাহিনী (১)
২৮. প্রসূতি সদন
২৯. নিজের ওজন নিজে বুঝুন
৩০. জীবজন্তুর কথা
৩১. গোরু (১)
৩২. প্রিয়তমাসু
৩৩. অভিনয় নয়
৩৪. ইঁদুর ও মদিরা
৩৫. টর্চলাইট
৩৬. রং
৩৭. লিফট
৩৮. মদমত্ত
৩৯. সুচিকিৎসা
৪০. অচলার প্রেম
৪১. শেষ পরকীয়া
৪২. তালা
৪৩. কুকুর-কুকুর
৪৪. গোপাল ভাঁড়
৪৫. জগৎপারাবারের তীরে
৪৬. হিন্দি
৪৭. রেফ্রিজারেটর
৪৮. কৃষ্ণকান্ত এবং…
৪৯. মাতাল রহস্য
৫০. আবার মনে মনে
৫১. শেষের সেদিন
৫২. ভবসিন্ধু
৫৩. রবীন্দ্রনাথ
৫৪. …বাচ্চা
৫৫. কুকুর কুণ্ডলী
৫৬. হে মাতাল, অমোঘ মাতাল
৫৭. শিশুপাল
৫৮. ভোজনালয়
৫৯. বাড়ি ভাড়া
৬০. হায় ছবি
৬১. জীবনবিমা
৬২. কোন বাণিজ্যে
৬৩. ডাক্তারের হাতে
৬৪. অঘটন আজও ঘটে
৬৫. সুপরামর্শ
৬৬. পুলিশ
৬৭. ফাঁদ পাতা ভুবনে
৬৮. ধরা পড়েছে দু’জনে
৬৯. রুপোলি পর্দার অন্তরালে
৭০. পিয়ো হে পিয়ো
৭১. ও চাঁদা চোখের জলে
৭২. দামদর
৭৩. মিথ্যা কথা
৭৪. কে কোথা ধরা পড়ে
৭৫. সময়
৭৬. হায় কবি, তুমি শুধু কবি
৭৭. রোগীর বন্ধু
৭৮. রসুন
৭৯. রসিকতা
৮০. স্বর্গ
৮১. দুর্ঘটনার আগে ও পরে
৮২. পণ্ডিত
৮৩. সমস্যা
৮৪. স্বেচ্ছাসেবক
৮৫. বক্তা ও বক্তৃতা
৮৬. আবার বক্তৃতা
৮৭. কলিংবেল
৮৮. ঈশ্বর সমীপে
৮৯. জীব জগতের আজব কথা
৯০. তামাক
৯১. আবার তামাক
৯২. রোগী কাহিনী
৯৩. নরখাদকের কাহিনী
৯৪. আয় শীত, যায় শীত
৯৫. ঘটি-বাঙাল
৯৬. চিড়িয়াখানায়
৯৭. সমান-সমান
৯৮. স্মৃতির খেয়া
৯৯. অচলপত্র
১০০. সচিত্র ভারত
১০১. রাম ও রামকৃষ্ণ
১০২. কৃষ্ণ ও রামকৃষ্ণ
১০৩. স্বপ্ন ও রমণী
১০৪. অবাঞ্ছিত আতিশয্য
১০৫. যা দেবী সর্বভূতেষু
১০৬. মরণ রে
১০৭. ধৈর্যের পরীক্ষা
১০৮. ভুল (১)
১০৯. গল্পের গোরু
১১০. কাজের মেয়ে
১১১. বইমেলা
১১২. স্ত্রী
১১৩. প্রথম কোকিল
১১৪. দ্বিতীয় কোকিল
১১৫. তৃতীয় কোকিল
১১৬. অমল ধবল পালে
১১৭. স্বামী-স্ত্রী ইত্যাদি
১১৮. চিকিৎসা
১১৯. ভূত ও রিপোর্টার
১২০. হাঁচির গল্প
১২১. ভাষা-ভাষা
১২২. বালুকা ডাকিনী
১২৩. ফুটবল
১২৪. প্রশ্নোত্তর
১২৫. অসম্ভব
১২৬. রসিকতার উৎস সন্ধানে
১২৭. ডাক্তারবাবু নমস্কার
১২৮. আত্মনেপদী
১২৯. ভাগলপুরের পাঞ্জাবি
১৩০. পুজোর বাজার
১৩১. অপমান
১৩২. জীবজন্তু (১)
১৩৩. পুজোর ছুটি
১৩৪. ক্রিমিনাল
১৩৫. রবিবারের মহাভারত
১৩৬. আইনের আঙিনায়
১৩৭. বুদ্ধি
১৩৮. শাশুড়ি
১৩৯. দেয়া-নেয়া
১৪০. হে হিসাব
১৪১. মাছ (১)
১৪২. কুসংস্কার
১৪৩. জুয়া (১)
১৪৪. এসো বসি আহারে
১৪৫. শুভ নববর্ষ
১৪৬. রমণী সমাজে
১৪৭. স্বপ্ন
১৪৮. কলকাতা তিনহাজার তিনশো
১৪৯. আবার বইমেলা
১৫০. এক সর্দারের গল্প (১)
১৫১. এক সর্দারের গল্প (২)
১৫২. এক সর্দারের গল্প (৩)
১৫৩. জল
১৫৪. শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন
১৫৫. গাধা
১৫৬. হাওয়াই
১৫৭. সুনন্দর জার্নাল
১৫৮. সরস কলকাতা
১৫৯. সরস কবিতা
১৬০. স্টুপিডেস্ট
১৬১. অবনী, বাড়ি আছো?
১৬২. জুয়া (২)
১৬৩. সময়ের হিসেব
১৬৪. কেনাকাটা: জুতো
১৬৫. ভেজা চপ্পল
১৬৬. জয়বাবা শান্তিনাথ
১৬৭. টেলিফোন
১৬৮. পরিশেষে
১৬৯. জনগণের জোক!
১৭০. মকারান্ত
১৭১. কয়েকটি প্রশ্ন
১৭২. খাওয়া-দাওয়া
১৭৩. বলাবাহুল্য
১৭৪. শরৎচন্দ্র এবং রসিকতা
১৭৫. পৃথিবী
১৭৬. সুখের লাগিয়া
১৭৭. অন্দর মহলে
১৭৮. জোক বুক
১৭৯. সান্টা, বান্টা
১৮০. সরল শৈশব
১৮১. কথা বলার বিপদ
১৮২. সিগারেট
১৮৩. পাটিগণিত
১৮৪. গ্রন্থবার্তা
১৮৫. প্রেমিক-প্রেমিকা
১৮৬. ডাক্তারবাবু
১৮৭. বধূমাতা
১৮৮. কেনাবেচা
১৮৯. বালিশ
১৯০. আপ রুচি খানা
১৯১. কাণ্ডজ্ঞান
১৯২. দুর্ঘটনা
১৯৩. বিজনের রক্তমাংস
১৯৪. বিলিতি বিয়ার-পাব
১৯৫. রাজনীতি
১৯৬. চপলতা
১৯৭. বাগ্বিধি
১৯৮. মশা ও লবণহ্রদ
১৯৯. যদ্দৃষ্টং
২০০. বয়েস বাড়ছে
২০১. ধানাই-পানাই
২০২. আমপাতা জোড়া-জোড়া
২০৩. ভ্রমণকাহিনী (২)
২০৪. হাস্যকবি সম্মেলন
২০৫. মুড়ি-মিছরি
২০৬. গণ্ডারের দুধ
২০৭. তৈজসপত্র
২০৮. পুলিশ
২০৯. গোরু
২১০. অণুনাটিকা
২১১. যদিদং হৃদয়ং
২১২. এমন বাদল দিনে
২১৩. ফাঁসি
২১৪. লেপ
২১৫. ব্যাটবল
২১৬. স্বপ্ন
২১৭. বড়দিন
২১৮. ধনীরাম
২১৯. ব্যাঙ্ক
২২০. জাহান্নাম
২২১. ইতিহাস
২২২. লুঙ্গি
২২৩. সেই বই
২২৪. ধ্বংসের মুখোমুখি
২২৫. ফুরসতনামা
২২৬. পোড়া বই
২২৭. বার্তাকু ভক্ষণ বিল
২২৮. অ্যালেন গিনসবার্গ
২২৯. প্যাঁচ
২৩০. শিশুশিক্ষা (২)
২৩১. লেখাপড়া
২৩২. ডেটলাইন শান্তিনিকেতন
২৩৩. যেভাবে গল্প তৈরি হয়
২৩৪. হায় ভীরু প্রেম
২৩৫. মাতালের গল্প
২৩৬. মনের কথা
২৩৭. চিনা-অচিনা
২৩৮. কয়েকটি অবিশ্বাস্য রসিকতা
২৩৯. মনের চিকিৎসা
২৪০. কান্তকবি
২৪১. জ্যোতিষী
২৪২. আবার জ্যোতিষী
২৪৩. পথের ভিখিরি
২৪৪. গুরু-শিষ্য সংবাদ
২৪৫. ভুলোমন স্বামী
২৪৬. বই চুরি
২৪৭. ফিলমি-ফিলমি
২৪৮. চার্চিল
২৪৯. পঞ্জিকা
২৫০. নিমন্ত্রণ
২৫১. মাছ (২)
২৫২. জানোয়ার
২৫৩. তুমি যে আমার
২৫৪. সৈয়দ মুজতবা আলি
২৫৫. ধারদেনা
২৫৬. শিবরাম চক্রবর্তী
২৫৭. যাচ্ছেতাই লেখা লিখছি
২৫৮. দুর্বৃত্তের শাসানি
২৫৯. নিজের কোট খুলতে পারে না
২৬০. ভোজসভা শেষে বক্তৃতা
২৬১. শুধু পাঠিকারা চিঠি লেখে
২৬২. পাসপোর্ট ফোটোর মতো
২৬৩. আগে পাঁচ ডলারে, এখন?
২৬৪. এত বুড়ো হব নাকো
২৬৫. অপ্রত্যাশিত
২৬৬. গরমের পাখা মাঘ মাসে
২৬৭. বাংলায় কেন হয় না
২৬৮. মধ্যযুগ
২৬৯. শিলিগুড়ি
২৭০. সেদিন বেঙ্গল ক্লাবে
২৭১. বেয়ারা
২৭২. এত কঠিন অঙ্ক
২৭৩. বাড়িওয়ালা
২৭৪. সুনীলের সঙ্গে
২৭৫. পুলিশ এবং রবীন্দ্রসংগীত
২৭৬. দিশি-বিলিতি পুলিশের বৃত্তান্ত
২৭৭. রসলক্ষ্মীর সাধনা
২৭৮. জানলা পড়ল মাথায়
২৭৯. সেদিনের চুম্বনের পরে
২৮০. হাসির উপন্যাস
২৮১. ভুল (২)
২৮২. মহিলা কবিরা
২৮৩. পুরনো কলকাতা
২৮৪. প্রথমেই পঞ্চম সংস্করণ
২৮৫. ঘুষ
২৮৬. আইনমাফিক
২৮৭. বাঁকা কথা
২৮৮. শিশু বিষয়ে
২৮৯. শব্দকল্পদ্রুম
২৯০. জামাইষষ্ঠী
২৯১. আইরিশ রসিকতা
২৯২. পূজা ও রমণী
২৯৩. প্রতিযোগিতা
২৯৪. টকটক গন্ধ
২৯৫. যানবাহন
২৯৬. রস ও রমণী
২৯৭. অনুভব অথবা ভাল লাগা
২৯৮. রেডিয়ো
২৯৯. রিকশা
৩০০. পরিবার পরিকল্পনা
৩০১. মহিলা মহল
৩০২. লালিমা পাল স্মরণে
৩০৩. বোকার মা
৩০৪. স্থূল ও অস্থূল
৩০৫. দম্পতি, দম্পতী
৩০৬. সাদা রাস্তা কালো বাড়ি
৩০৭. লক্ষপতি
৩০৮. গল্পের গতি
৩০৯. পাকিস্তান
৩১০. ইঁদুর
৩১১. এ হর্স ফর মাই কিংডম
৩১২. হায় ছবি, তুমি শুধু ছবি
৩১৩. প্রজাপতয়ে
৩১৪. একটি উড়ো কাহিনী
৩১৫. সময়জ্ঞান
৩১৬. আমাদের কলের গান
৩১৭. থানা পুলিশ
৩১৮. ভ্রমণকাহিনী (৩)
৩১৯. বয়স বাড়ছে
৩২০. ভুল, ভূল
৩২১. জীবজন্তু
৩২২. ব্যবসা-বাণিজ্য
৩২৩. বিজ্ঞাপন
৩২৪. কবিতার ভাল-খারাপ
৩২৫. জোচ্চোর
৩২৬. বলাই বাহুল্য
৩২৭. গোলমাল
৩২৮. সিনেমা হল
৩২৯. বাসাবাড়ি
৩৩০. তবুও মাতাল
৩৩১. ঢাকঢাক-গুড়গুড়
৩৩২. জলাঞ্জলি
৩৩৩. টাকাপয়সা
৩৩৪. ঘুম (২)
৩৩৫. ওগো বধূ সুন্দরী
৩৩৬. প্রবাসে দৈবের বশে
৩৩৭. তিন পুলিশের গল্প
৩৩৮. দুই শ্রাদ্ধের গল্প
৩৩৯. দুই বাঘের গল্প
৩৪০. ঢাকাই রসিকতা
৩৪১. ওয়ার্ক কালচার
৩৪২. আমি কবি হয়েছিলাম গায়ের জোরে
৩৪৩. যাহা পাই, তাহা চাই না
৩৪৪. পথে পথে কবিতা
৩৪৫. হাং সাং টাঙ্গাইল
৩৪৬. পত্রের উত্তর
৩৪৭. আবার উত্তর
৩৪৮. বিদূষক
৩৪৯. মশা
৩৫০. খাদ্য সমস্যা
৩৫১. বউ কথা কও
৩৫২. শেফালি
৩৫৩. ভালবাসার সন্ধানে
৩৫৪. স্বর্গ যদি কোথাও থাকে
৩৫৫. তারি লাগি যত
৩৫৬. জাহাজ
৩৫৭. স্ত্রী রত্ন
৩৫৮. আদ্যনারায়ণ
৩৫৯. আমার ভাগ্য
৩৬০. পরোপকার
৩৬১. অফিস
৩৬২. ভদ্রলোক
৩৬৩. কাকের মাংস
৩৬৪. স্বর্গ নরক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন