র‍্যাডিস উইথ মোলাসেস

তারাপদ রায়

কেউ হয়তো বিশ্বাস করবেন না কিন্তু সত্যের খাতিরে আমাকে স্বীকার করতে হবে যে আমার এই সামান্য সাহিত্য-জীবনে গদ্য লেখা আমি আরম্ভ করেছিলাম ‘রন্ধন প্রণালী’ দিয়ে।

সে বড় দুঃখের কাহিনী। আমি তখন (এমনকী এখনও) রান্নার ‘র’ পর্যন্ত জানি না। আমি নিতান্ত অর্থলোভে এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। তখন দৈনিক কাগজের রবিবাসরীয়তে নিয়মিত ‘রন্ধন প্রণালী’, যেমন মানকচুর কাটলেট কিংবা সজনের চাটনি এই জাতীয় বিচিত্র খাদ্য প্রস্তুতের প্রক্রিয়া, প্রকাশিত হত। আমি কী করে কোথায় যেন শুনেছিলাম যে প্রতিটি রন্ধনপ্রণালীর জন্যে পাঁচ টাকা করে দেওয়া হয়।

তখন পাঁচ টাকার অনেক দাম। চার্মিনার সিগারেট প্রতি প্যাকেট পুরনো সাত পয়সা, বড় দোকানে পাঁচ প্যাকেট একসঙ্গে পাইকিরি দাম আট আনা। তার মানে পাঁচ টাকা ছিল পঞ্চাশ প্যাকেট সিগারেটের সমান। সুতরাং পাঁচ টাকার জন্য লোভ করা নিশ্চয় খুব অন্যায় ছিল না। তখন কী যে টাকার টানাটানি ছিল, সে শুধু ঈশ্বর জানেন আর জানেন কয়েকজন সুহৃদ যাঁদের সেই সময়ের ঋণ এখনও পর্যন্ত শোধ করা হয়নি। আর এখন শোধ দেবই বা কী করে, পঁচিশ বছর পরে তো দশ আনা পয়সা কিংবা উনিশশো ষাট সালের একটা ডাবল ডিমের ওমলেটের দাম শোধ দিতে গেলে তারা চমকে উঠবে, ভাববে নতুন কোনও উদ্দেশ্য আছে। আর তাঁদের সবাইকে খুঁজে বার করতে গেলে দিশেহারা হয়ে যাব, শুধু মর পৃথিবীতে নয়, স্বর্গ-মর্ত্য-নরক তোলপাড় করতে হবে।

সে যা হোক, মোদ্দা কথা হল কোনও অভিজ্ঞতা ছাড়াই শুধুমাত্র টাকার জন্যে রন্ধনপ্রণালী রচনার অসাধু কর্মটি আমি করেছিলাম। তবে কাজটা ছিল খুব সোজা।

বটতলার প্রকাশিত ‘সচিত্র রন্ধন প্রণালী’ নামে একটি চমৎকার বই, মাত্র এক টাকা কি দেড় টাকা মূল্য, কালীঘাট মন্দিরের সামনে যেখানে শনির পাঁচালি, লক্ষ্মীর ব্রতকথা ইত্যাদি বিক্রি হয়, সেখান থেকে কিনেছিলাম। আশ্চর্যের বিষয় বইটি কোনও মহিলা লেখেননি, কোনও পাচক ঠাকুরও নন। বইটি লিখেছিলেন দামোদর ধর কিংবা ওই রকম নামের এক ভদ্রলোক। বইটির রঙিন মলাটে অবশ্য জনৈকা রন্ধনরতা মহিলার ছবি ছিল যিনি একটি বিশাল কড়াইতে আস্ত একটি রুইমাছ (আঁশ সমেত) ভাজছেন কিংবা সাঁতলাচ্ছেন।

ডাল, ভাত, ভাজা ইত্যাদি বিষয় থেকে শুরু করে এঁচড়ের মুড়িঘণ্ট, পেঁপের হালুয়া পর্যন্ত একশো আটটি রান্নার পদের বর্ণনা ছিল এই শ’ দেড়েক পাতার গ্রন্থে।

আমার কাজ ছিল একেবারে পরিষ্কার। বইটি থেকে যে কোনও একটি পদ বেছে নিয়ে শুধু ব্যবহৃত বস্তুগুলোর নাম বদলিয়ে দিতাম। সঙ্গে থাকত সুললিত ভাষ্য, যেটা আমার নিজের সংযোজন। যেমন ধরা যাক, পটলের কোর্মা বানানোর পদ্ধতি ছিল বইটিতে। আমি লিখলাম কুমড়োর কোর্মা। লেখা ছিল আধসের পটল, আধ পোয়া তেল। আমি করে দিলাম তিন পোয়া কুমড়ো, আর খাদ্যটি সুস্বাদু করার জন্যে তেলের বদলে তিন ছটাক ঘি।

দু’-চারটি লেখার পরে শেষের দিকে সাহস বেড়ে গেল, তখন ওই দামোদরবাবুর বইটির সাহায্য ছাড়াই নিজের বুদ্ধিমতো নিত্য নতুন খাদ্য কল্পনা করতাম। সব সময় সব লেখা ছাপা হত না। তবে এখনও আমার কাছে দু’-একটা পেপার কাটিং রয়েছে, তাতে দেখছি ঢ্যাঁড়সের মালাইকারি ও বেগুনের বোঁটার চাটনি রয়েছে।

বেগুনের বোঁটার চাটনি বলতে গিয়ে মনে পড়ল তখন আমি এতটা প্রতিক্রিয়াশীল ছিলাম না, গরিবদের কথা ভাবতাম। ফেলে দেওয়া বেগুনের বোঁটা, দুটো কাঁচালঙ্কা, একটু নুন আর একটা তেঁতুল দিয়ে আমি যে চাটনির নির্দেশ দিয়েছিলাম সেটা খেয়ে কতজন গরিব গৃহস্থ তৃপ্ত বা আহ্লাদিত হয়েছিলেন তা বলতে পারব না কি শেষাশেষি আমি খুব বিপদে পড়েছিলাম।

আমি রন্ধন প্রণালীর লেখাগুলো পাঠাতাম আমার নামের মধ্যপদ লোপ করে তারা রায় নামে। ছোটবেলায় মেয়েদের ইস্কুলে হাতেখড়ি, আমার হাতের লেখাও একটু মেয়েলি ধরনের হেলানো, ফলে সম্পাদক মহোদয় খুব সম্ভব আমাকে কোনও প্রবীণা, রন্ধন পটিয়সী সুগৃহিণী ভেবে নিয়েছিলেন। ভালই ছাপা হচ্ছিল দু’-চারটে লেখা কিন্তু কাঁচা টোপাকুলের পায়েস পাঠানোর পর একটি ছোট পোস্টকার্ড পাঠিয়ে রবিবাসরীয় সম্পাদক মহোদয় ডেকে পাঠান। আমাকে দেখে, আমার কথা শুনে সেই প্রবীণ ভদ্রলোকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল সেটা লেখা আমার পক্ষে মোটেই সম্মানজনক নয়। সোজা কথা, রন্ধন প্রণালী রচনার সেখানেই ইতি।

রন্ধন প্রণালী রচনার সময়ে দু’-একবার সততার স্বার্থে যে জিনিস লোককে খেতে বলেছি তা নিজে বানিয়ে খাবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে এক অসম্ভব চেষ্টা। উনুন ছাড়া তো রান্না করা যাবে না আমি তখন একা থাকি, বাইরে খাই। তবু একটা মাটির উনুন কিনে নিয়ে এলাম এবং বহু দুঃখের মধ্যে আবিষ্কার করলাম কয়লার উনুন ধরাননা পৃথিবীর কঠিনতম কাজ। আমার দুঃখের কথা শুনে একজন জনতা স্টোভ কেনার কথা বললেন। তখন সদ্য জনতা স্টোভ বেরিয়েছে, কিনে দেখলাম জনতা স্টোভ জ্বালানো তেমন কঠিন নয়, কিন্তু নেবানো অসম্ভব। কয়লার উনুন ধরানোর চেয়ে জনতা স্টোভ নেবানো শতগুণ কঠিন। অবশ্য ইলেকট্রিক হিটার বা গ্যাস চেষ্টা করে দেখতে পারতাম কিন্তু সে সংগতি ছিল না। তা ছাড়া পাঁচ টাকার জন্যে কেউ এত খরচা করে না।

আমি আর কখনওই রান্না করার চেষ্টা করে দেখিনি। পারতপক্ষে রান্নাঘরের ভিতরে প্রবেশ করি সে খুবই বিপজ্জনক জায়গা। যত দূর মনে পড়ে বছর কুড়ি আগে শেষবার ওই নিষিদ্ধ পৃথিবীতে প্রবেশ করেছিলাম।

কারণটা খুব সামান্য ছিল না।

তখন শনিবার দেড়টার সময় আমাদের অফিস ছুটি হত। এই রকম এক শনিবারে ছুটির আধঘণ্টা খানেক আগে আমার এক বন্ধু তিনটি সাহেব যুবক এবং এক মেম যুবতীকে আমার অফিসে নিয়ে এলেন। এঁদের সঙ্গে আমার বন্ধুটির সদ্য আলাপ হয়েছে। ছেলেমেয়ে চারজনই নিউ ইয়র্কের, অল্প কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়েছে। নানা জায়গা ঘুরতে ঘুরতে কলকাতা এসে পৌঁছেছে। কালীঘাট দেখবে। আমার কালীঘাটে বাড়ি, বন্ধু ভদ্রলোক সেই জন্যে আমার কাছে ওদের নিয়ে এসেছে, যদি আজ বিকেলে ওদের কালীঘাট ঘুরিয়ে দেখাই খুবই ভাল হয়। এই সব বলে বন্ধুটি এই চারজনকে আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে চলে গেলেন।

দেড়টার সময় রাস্তায় নামলাম। দেখি ওরা নিজেদের মধ্যে কী সব চাপা ফিসফাস আলোচনা করছে। একে ইংরেজি; তার উপরে মার্কিনি উচ্চারণ, তার উপরে ফিসফাস কিছুই বুঝতে পারলাম না। বাধ্য হয়ে আমার বাঙাল ইংরেজিতে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কী ব্যাপার?’ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলার পর বুঝতে পারলাম, ওরা হাংরি, ক্ষুধার্ত। কোথাও খেয়ে নিয়ে তারপর কালীঘাট যেতে চায়। আমি বোঝালাম, কালীঘাটেই আমার বাড়ি, আমাদের বাড়িতেই কিছু না কিছু খাবার আছে, চলে গিয়ে দেখা যাক।

এইখানেই আমার ভুল হয়েছিল। সেই দিন সকালেই আমার কিঞ্চিৎ নবোঢ়া পত্নীর সঙ্গে তাঁর বন্ধুদের এবং আমার বান্ধবীদের একটি দীর্ঘ তুলনামূলক আলোচনা করেছিলাম। তখন বুঝতে পারিনি, বাড়ি ফিরে টের পেলাম; আমাদের কালীঘাট বাড়ির আট বাই নয় ছোট ঘরেও চারটি সাহেব-মেম দেখে তিনি একবারও লেপের নীচ থেকে বেরিয়ে এলেন না।

প্রসঙ্গত, উল্লেখ করা উচিত, সেটা ছিল শীতকাল। কলকাতার সেই অসামান্য সময়। দু’-তিনবার বৃথা চেঁচামেচির পর আমি বুঝলাম আজ যদি এই সাদা অতিথিদের খাওয়াতে হয় তার বন্দোবস্ত আমাকেই করতে হবে। অনেক রকম ভাবনা-চিন্তার পরে সাহেব-মেমদের বারান্দায় বসিয়ে, আমি রান্নাঘরের রহস্যময় পৃথিবীতে প্রবেশ করলাম।

রান্নাঘরে ঢুকে প্রথমেই দরজার পাশে দেখলাম একটা বিরাট গোল হাঁড়ি। মনে পড়ল, আমার দিদিমা মাস দুয়েক আগে এই গুড়ের হাঁড়িটা পাঠিয়েছিলেন। হাঁড়িটার অভ্যন্তরে উঁকি দিয়ে দেখলাম এখনও হাঁড়িটার গায়ে কিছু গুড় লেগে আছে। এর পরে তরকারির ঝডিতে উকি দিলাম, সেটা ওই গুড়ের হাঁড়ির পাশেই। দেখলাম প্রায় কিছুই নেই। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে এক আনা জোড়া যত মুলো কিনে এনেছি সব সেই ঝুড়িতে। বুঝতে পারলাম আমার স্ত্রী মুলো পছন্দ করেন না, তাই এই অবস্থা।

এরপরে আমার একটু পরিশ্রম। মুলোগুলো কুচি কুচি করে কাটলাম। সাত দুগুনে চোদ্দোটা মুলো, অনেক হল। এর পরে সেই কুচি মুলো গুড়ের হাঁড়িতে ঢেলে খুব মাখামাখি করলাম। তারপর বিয়েতে উপহার পাওয়া ডিনার সেট থেকে চারটে প্লেট বার করে সমান ভাগ করে সেই মুলোগুড় সাহেব-মেমদের দিয়ে দিলাম, বললাম, ‘র‍্যাডিস উইথ মোলাসেস, এ বেঙ্গলি জেলকেসি।’ সেই নিউ ইয়র্কীয় যুবক-যুবতীরা এত আনন্দ করে এই আশ্চর্য খাবার খেল তা বলার নয়। তারা আজও আমাকে ভোলেনি। প্রত্যেক বছর বড়দিনে এখনও আমাকে শুভেচ্ছা পাঠায়। সেই চারজনের মধ্যে একজন, ওই মেমললনাটি নিউ ইয়র্কের এক গলিতে একটি রেস্তোরাঁ করেছে। সেই রেস্তোরাঁর খাদ্য তালিকায় ইন্ডিয়ান একসোটিক ফুডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চলছে মুলো-গুড়, ‘র‍্যাডিস উইথ মোলাসেস।’

সকল অধ্যায়

১. চুরিবিদ্যা
২. নৈশকাহিনী
৩. কালীঘাটের পাখা
৪. ডাকাতের হাতে
৫. পদ্মাসন
৬. শিশুশিক্ষা (১)
৭. ঘুম (১)
৮. পাগলের কাণ্ডজ্ঞান
৯. পদবি ও নাম
১০. ছারপোকার এপিটাফ
১১. ভাগ্যফল
১২. বিশেষজ্ঞ
১৩. ছাতা
১৪. র‍্যাডিস উইথ মোলাসেস
১৫. ঘড়ি
১৬. দরজি
১৭. সংখ্যাতত্ত্ব
১৮. মাতালের কাণ্ডজ্ঞান
১৯. ভূতের কাণ্ডজ্ঞান
২০. বানরের কাণ্ডজ্ঞান
২১. কিঙ্কর-কিঙ্করী
২২. ডাক্তার-ডাক্তার
২৩. দাঁত
২৪. টেলিফোন
২৫. আমি কীরকমভাবে
২৬. মন মোর মেঘের সঙ্গী
২৭. ভ্রমণকাহিনী (১)
২৮. প্রসূতি সদন
২৯. নিজের ওজন নিজে বুঝুন
৩০. জীবজন্তুর কথা
৩১. গোরু (১)
৩২. প্রিয়তমাসু
৩৩. অভিনয় নয়
৩৪. ইঁদুর ও মদিরা
৩৫. টর্চলাইট
৩৬. রং
৩৭. লিফট
৩৮. মদমত্ত
৩৯. সুচিকিৎসা
৪০. অচলার প্রেম
৪১. শেষ পরকীয়া
৪২. তালা
৪৩. কুকুর-কুকুর
৪৪. গোপাল ভাঁড়
৪৫. জগৎপারাবারের তীরে
৪৬. হিন্দি
৪৭. রেফ্রিজারেটর
৪৮. কৃষ্ণকান্ত এবং…
৪৯. মাতাল রহস্য
৫০. আবার মনে মনে
৫১. শেষের সেদিন
৫২. ভবসিন্ধু
৫৩. রবীন্দ্রনাথ
৫৪. …বাচ্চা
৫৫. কুকুর কুণ্ডলী
৫৬. হে মাতাল, অমোঘ মাতাল
৫৭. শিশুপাল
৫৮. ভোজনালয়
৫৯. বাড়ি ভাড়া
৬০. হায় ছবি
৬১. জীবনবিমা
৬২. কোন বাণিজ্যে
৬৩. ডাক্তারের হাতে
৬৪. অঘটন আজও ঘটে
৬৫. সুপরামর্শ
৬৬. পুলিশ
৬৭. ফাঁদ পাতা ভুবনে
৬৮. ধরা পড়েছে দু’জনে
৬৯. রুপোলি পর্দার অন্তরালে
৭০. পিয়ো হে পিয়ো
৭১. ও চাঁদা চোখের জলে
৭২. দামদর
৭৩. মিথ্যা কথা
৭৪. কে কোথা ধরা পড়ে
৭৫. সময়
৭৬. হায় কবি, তুমি শুধু কবি
৭৭. রোগীর বন্ধু
৭৮. রসুন
৭৯. রসিকতা
৮০. স্বর্গ
৮১. দুর্ঘটনার আগে ও পরে
৮২. পণ্ডিত
৮৩. সমস্যা
৮৪. স্বেচ্ছাসেবক
৮৫. বক্তা ও বক্তৃতা
৮৬. আবার বক্তৃতা
৮৭. কলিংবেল
৮৮. ঈশ্বর সমীপে
৮৯. জীব জগতের আজব কথা
৯০. তামাক
৯১. আবার তামাক
৯২. রোগী কাহিনী
৯৩. নরখাদকের কাহিনী
৯৪. আয় শীত, যায় শীত
৯৫. ঘটি-বাঙাল
৯৬. চিড়িয়াখানায়
৯৭. সমান-সমান
৯৮. স্মৃতির খেয়া
৯৯. অচলপত্র
১০০. সচিত্র ভারত
১০১. রাম ও রামকৃষ্ণ
১০২. কৃষ্ণ ও রামকৃষ্ণ
১০৩. স্বপ্ন ও রমণী
১০৪. অবাঞ্ছিত আতিশয্য
১০৫. যা দেবী সর্বভূতেষু
১০৬. মরণ রে
১০৭. ধৈর্যের পরীক্ষা
১০৮. ভুল (১)
১০৯. গল্পের গোরু
১১০. কাজের মেয়ে
১১১. বইমেলা
১১২. স্ত্রী
১১৩. প্রথম কোকিল
১১৪. দ্বিতীয় কোকিল
১১৫. তৃতীয় কোকিল
১১৬. অমল ধবল পালে
১১৭. স্বামী-স্ত্রী ইত্যাদি
১১৮. চিকিৎসা
১১৯. ভূত ও রিপোর্টার
১২০. হাঁচির গল্প
১২১. ভাষা-ভাষা
১২২. বালুকা ডাকিনী
১২৩. ফুটবল
১২৪. প্রশ্নোত্তর
১২৫. অসম্ভব
১২৬. রসিকতার উৎস সন্ধানে
১২৭. ডাক্তারবাবু নমস্কার
১২৮. আত্মনেপদী
১২৯. ভাগলপুরের পাঞ্জাবি
১৩০. পুজোর বাজার
১৩১. অপমান
১৩২. জীবজন্তু (১)
১৩৩. পুজোর ছুটি
১৩৪. ক্রিমিনাল
১৩৫. রবিবারের মহাভারত
১৩৬. আইনের আঙিনায়
১৩৭. বুদ্ধি
১৩৮. শাশুড়ি
১৩৯. দেয়া-নেয়া
১৪০. হে হিসাব
১৪১. মাছ (১)
১৪২. কুসংস্কার
১৪৩. জুয়া (১)
১৪৪. এসো বসি আহারে
১৪৫. শুভ নববর্ষ
১৪৬. রমণী সমাজে
১৪৭. স্বপ্ন
১৪৮. কলকাতা তিনহাজার তিনশো
১৪৯. আবার বইমেলা
১৫০. এক সর্দারের গল্প (১)
১৫১. এক সর্দারের গল্প (২)
১৫২. এক সর্দারের গল্প (৩)
১৫৩. জল
১৫৪. শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন
১৫৫. গাধা
১৫৬. হাওয়াই
১৫৭. সুনন্দর জার্নাল
১৫৮. সরস কলকাতা
১৫৯. সরস কবিতা
১৬০. স্টুপিডেস্ট
১৬১. অবনী, বাড়ি আছো?
১৬২. জুয়া (২)
১৬৩. সময়ের হিসেব
১৬৪. কেনাকাটা: জুতো
১৬৫. ভেজা চপ্পল
১৬৬. জয়বাবা শান্তিনাথ
১৬৭. টেলিফোন
১৬৮. পরিশেষে
১৬৯. জনগণের জোক!
১৭০. মকারান্ত
১৭১. কয়েকটি প্রশ্ন
১৭২. খাওয়া-দাওয়া
১৭৩. বলাবাহুল্য
১৭৪. শরৎচন্দ্র এবং রসিকতা
১৭৫. পৃথিবী
১৭৬. সুখের লাগিয়া
১৭৭. অন্দর মহলে
১৭৮. জোক বুক
১৭৯. সান্টা, বান্টা
১৮০. সরল শৈশব
১৮১. কথা বলার বিপদ
১৮২. সিগারেট
১৮৩. পাটিগণিত
১৮৪. গ্রন্থবার্তা
১৮৫. প্রেমিক-প্রেমিকা
১৮৬. ডাক্তারবাবু
১৮৭. বধূমাতা
১৮৮. কেনাবেচা
১৮৯. বালিশ
১৯০. আপ রুচি খানা
১৯১. কাণ্ডজ্ঞান
১৯২. দুর্ঘটনা
১৯৩. বিজনের রক্তমাংস
১৯৪. বিলিতি বিয়ার-পাব
১৯৫. রাজনীতি
১৯৬. চপলতা
১৯৭. বাগ্বিধি
১৯৮. মশা ও লবণহ্রদ
১৯৯. যদ্দৃষ্টং
২০০. বয়েস বাড়ছে
২০১. ধানাই-পানাই
২০২. আমপাতা জোড়া-জোড়া
২০৩. ভ্রমণকাহিনী (২)
২০৪. হাস্যকবি সম্মেলন
২০৫. মুড়ি-মিছরি
২০৬. গণ্ডারের দুধ
২০৭. তৈজসপত্র
২০৮. পুলিশ
২০৯. গোরু
২১০. অণুনাটিকা
২১১. যদিদং হৃদয়ং
২১২. এমন বাদল দিনে
২১৩. ফাঁসি
২১৪. লেপ
২১৫. ব্যাটবল
২১৬. স্বপ্ন
২১৭. বড়দিন
২১৮. ধনীরাম
২১৯. ব্যাঙ্ক
২২০. জাহান্নাম
২২১. ইতিহাস
২২২. লুঙ্গি
২২৩. সেই বই
২২৪. ধ্বংসের মুখোমুখি
২২৫. ফুরসতনামা
২২৬. পোড়া বই
২২৭. বার্তাকু ভক্ষণ বিল
২২৮. অ্যালেন গিনসবার্গ
২২৯. প্যাঁচ
২৩০. শিশুশিক্ষা (২)
২৩১. লেখাপড়া
২৩২. ডেটলাইন শান্তিনিকেতন
২৩৩. যেভাবে গল্প তৈরি হয়
২৩৪. হায় ভীরু প্রেম
২৩৫. মাতালের গল্প
২৩৬. মনের কথা
২৩৭. চিনা-অচিনা
২৩৮. কয়েকটি অবিশ্বাস্য রসিকতা
২৩৯. মনের চিকিৎসা
২৪০. কান্তকবি
২৪১. জ্যোতিষী
২৪২. আবার জ্যোতিষী
২৪৩. পথের ভিখিরি
২৪৪. গুরু-শিষ্য সংবাদ
২৪৫. ভুলোমন স্বামী
২৪৬. বই চুরি
২৪৭. ফিলমি-ফিলমি
২৪৮. চার্চিল
২৪৯. পঞ্জিকা
২৫০. নিমন্ত্রণ
২৫১. মাছ (২)
২৫২. জানোয়ার
২৫৩. তুমি যে আমার
২৫৪. সৈয়দ মুজতবা আলি
২৫৫. ধারদেনা
২৫৬. শিবরাম চক্রবর্তী
২৫৭. যাচ্ছেতাই লেখা লিখছি
২৫৮. দুর্বৃত্তের শাসানি
২৫৯. নিজের কোট খুলতে পারে না
২৬০. ভোজসভা শেষে বক্তৃতা
২৬১. শুধু পাঠিকারা চিঠি লেখে
২৬২. পাসপোর্ট ফোটোর মতো
২৬৩. আগে পাঁচ ডলারে, এখন?
২৬৪. এত বুড়ো হব নাকো
২৬৫. অপ্রত্যাশিত
২৬৬. গরমের পাখা মাঘ মাসে
২৬৭. বাংলায় কেন হয় না
২৬৮. মধ্যযুগ
২৬৯. শিলিগুড়ি
২৭০. সেদিন বেঙ্গল ক্লাবে
২৭১. বেয়ারা
২৭২. এত কঠিন অঙ্ক
২৭৩. বাড়িওয়ালা
২৭৪. সুনীলের সঙ্গে
২৭৫. পুলিশ এবং রবীন্দ্রসংগীত
২৭৬. দিশি-বিলিতি পুলিশের বৃত্তান্ত
২৭৭. রসলক্ষ্মীর সাধনা
২৭৮. জানলা পড়ল মাথায়
২৭৯. সেদিনের চুম্বনের পরে
২৮০. হাসির উপন্যাস
২৮১. ভুল (২)
২৮২. মহিলা কবিরা
২৮৩. পুরনো কলকাতা
২৮৪. প্রথমেই পঞ্চম সংস্করণ
২৮৫. ঘুষ
২৮৬. আইনমাফিক
২৮৭. বাঁকা কথা
২৮৮. শিশু বিষয়ে
২৮৯. শব্দকল্পদ্রুম
২৯০. জামাইষষ্ঠী
২৯১. আইরিশ রসিকতা
২৯২. পূজা ও রমণী
২৯৩. প্রতিযোগিতা
২৯৪. টকটক গন্ধ
২৯৫. যানবাহন
২৯৬. রস ও রমণী
২৯৭. অনুভব অথবা ভাল লাগা
২৯৮. রেডিয়ো
২৯৯. রিকশা
৩০০. পরিবার পরিকল্পনা
৩০১. মহিলা মহল
৩০২. লালিমা পাল স্মরণে
৩০৩. বোকার মা
৩০৪. স্থূল ও অস্থূল
৩০৫. দম্পতি, দম্পতী
৩০৬. সাদা রাস্তা কালো বাড়ি
৩০৭. লক্ষপতি
৩০৮. গল্পের গতি
৩০৯. পাকিস্তান
৩১০. ইঁদুর
৩১১. এ হর্স ফর মাই কিংডম
৩১২. হায় ছবি, তুমি শুধু ছবি
৩১৩. প্রজাপতয়ে
৩১৪. একটি উড়ো কাহিনী
৩১৫. সময়জ্ঞান
৩১৬. আমাদের কলের গান
৩১৭. থানা পুলিশ
৩১৮. ভ্রমণকাহিনী (৩)
৩১৯. বয়স বাড়ছে
৩২০. ভুল, ভূল
৩২১. জীবজন্তু
৩২২. ব্যবসা-বাণিজ্য
৩২৩. বিজ্ঞাপন
৩২৪. কবিতার ভাল-খারাপ
৩২৫. জোচ্চোর
৩২৬. বলাই বাহুল্য
৩২৭. গোলমাল
৩২৮. সিনেমা হল
৩২৯. বাসাবাড়ি
৩৩০. তবুও মাতাল
৩৩১. ঢাকঢাক-গুড়গুড়
৩৩২. জলাঞ্জলি
৩৩৩. টাকাপয়সা
৩৩৪. ঘুম (২)
৩৩৫. ওগো বধূ সুন্দরী
৩৩৬. প্রবাসে দৈবের বশে
৩৩৭. তিন পুলিশের গল্প
৩৩৮. দুই শ্রাদ্ধের গল্প
৩৩৯. দুই বাঘের গল্প
৩৪০. ঢাকাই রসিকতা
৩৪১. ওয়ার্ক কালচার
৩৪২. আমি কবি হয়েছিলাম গায়ের জোরে
৩৪৩. যাহা পাই, তাহা চাই না
৩৪৪. পথে পথে কবিতা
৩৪৫. হাং সাং টাঙ্গাইল
৩৪৬. পত্রের উত্তর
৩৪৭. আবার উত্তর
৩৪৮. বিদূষক
৩৪৯. মশা
৩৫০. খাদ্য সমস্যা
৩৫১. বউ কথা কও
৩৫২. শেফালি
৩৫৩. ভালবাসার সন্ধানে
৩৫৪. স্বর্গ যদি কোথাও থাকে
৩৫৫. তারি লাগি যত
৩৫৬. জাহাজ
৩৫৭. স্ত্রী রত্ন
৩৫৮. আদ্যনারায়ণ
৩৫৯. আমার ভাগ্য
৩৬০. পরোপকার
৩৬১. অফিস
৩৬২. ভদ্রলোক
৩৬৩. কাকের মাংস
৩৬৪. স্বর্গ নরক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন