আবার মনে মনে

তারাপদ রায়

আড়াই হাজার বছর আগে গ্রিক কবি ইউরিপিডেস বলেছিলেন, ঈশ্বর যখন ধ্বংস করেন, তখন প্রথম পাগল করে দেন। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক উপন্যাসে লিখেছিলেন, মানুষ মহাপাপে পাগল হয়। শেক্সপিয়ার সাহেব তাঁর হ্যামলেট নাটকের দ্বিতীয় অঙ্কের দ্বিতীয় দৃশ্যে পাগলামির সঙ্গে সেই অমোঘ উক্তিটি করেছেন, এই যদি পাগলামি হয়, তবে এর ভিতরে পদ্ধতি রয়েছে, (Yet there is madness in it.)।

পাগল ও পাগলামি সংক্রান্ত মহাজনভাষণে আবদ্ধ না থেকে একটু সামনের দিকে যাচ্ছি।

প্রথমে নিজের কথা বলি। আমার লেখা পড়ে যদি কারও ধারণা হয়ে থাকে যে আমার মধ্যে পাগলামি রয়েছে তবে তাঁকে দোষ দেওয়া যাবে না। আমাদের বংশে এখন আর তেমন নামকরা পাগল কেউ নেই, কিন্তু বহুকাল পাগলামির ধারা ছিল। সে বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণে যাব না, শুধু একটা ছোট ঘটনা বলি। একবার আমার স্বর্গত অগ্রজকে, যিনি পাগলামির জন্য নিজ গণ্ডির মধ্যে প্রসিদ্ধ ছিলেন, এক মানসিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। ডাক্তারবাবু দাদাকে পরীক্ষা করতে করতে নানা প্রশ্নের মধ্যে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আচ্ছা, আপনাদের বংশে কেউ কখনও পাগলামিতে ভুগেছে ?’ দাদা মৃদু হেসে জবাব দিয়েছিলেন, ‘না, ভোগেনি তবে অনেকেই পাগলামি উপভোগ করেছে, রীতিমতো এনজয় করেছে।’

পাগলামি উপভোগ করার একটা পুরনো গল্প আগে বলে নিই।

এই ভদ্রলোক বিমানবন্দরের কাছে থাকেন। প্রতিদিন বিকালে বিমানবন্দরের পাশের রাস্তায় পায়চারি করে বাড়ি ফিরে আসছেন, এমন সময় শুনতে পেলেন কে যেন তাঁকে ডাকছেন, ‘ও দাদা ও দাদা। এই যে এদিকে।’

ভদ্রলোক দেখলেন হাস্যমুখ এক ব্যক্তি বিমানবন্দরের এই প্রান্তে একটা ছোট বিমানের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে হাত তুলে ডাকছেন। বিমানবন্দরের এদিকটায়, তারকাঁটার বেড়াটা একটু ঢিলে, তার মধ্যে দিয়ে চিকন পায়ে চলার পথ আছে।

আহ্বান শুনে পথচারী ভদ্রলোক কোনও একটা দরকারে ডাকছে এই ভেবে অগত্যা এগিয়ে গেলেন।

সেই হাস্যমুখ ব্যক্তিটি এবার এগিয়ে এসে বললেন, ‘দাদা, যাবেন নাকি, আমার এই প্লেনে মিনিট পনেরো আকাশে বেড়িয়ে আসতেন।’

যাঁকে অনুরোধ করা হল তিনি কখনও বিমানে চড়েননি। ভাবলেন, এ নিশ্চয় কোনও শৌখিন পাইলট। যাই মিনিট পনেরো আকাশ ভ্রমণ করে আসি। এমন মওকা সহজে জুটবে না।

ছোট প্লেন মাত্র কয়েকটা সিট। ভদ্রলোক উঠে দেখলেন, তিনি ছাড়া আর কোনও যাত্রী নেই। একটু পরেই পাইলট প্লেন ছেড়ে দিলেন, শূন্যে উঠল উড়োজাহাজ।

হঠাৎ যাত্রী ভদ্রলোক দেখলেন পাইলট অট্টহাসিতে ভেঙে পড়ছেন। একটু বোকার মতো যাত্রী ভদ্রলোক জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী হল, এত হাসির কী হল ? এত হাসছেন কেন?’

উদ্দামভাবে হাসতে হাসতে ছোট প্লেনটাকে একটা নাক-উঁচু ডাইভ দিয়ে পাইলট বললেন, ‘আমি যে পাগলাগারদ থেকে পালিয়েছি, সেই পাগলাগারদের লোকেরা যখন টের পাবে যে আমি পালিয়েছি, তখন যে কী মজাই না হবে। কী মজা, কী মজা ! একবার ভাবুন তো দাদা !’

এত মজায় দাদার তখন বুকের রক্ত হিম।

আগের গল্পটি অবশ্য দারুণ গোলমেলে তদপুরি বিপজ্জনক। কিন্তু বায়ুরোগগ্রস্ত ব্যক্তিরা অত্যন্ত সামান্য কারণেও উত্তেজিত হয়ে পড়েন।

একবার এক বায়ুরোগগ্রস্ত ভদ্রলোক প্রাণপণ ছুটে মানসিক ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকে যান, সঙ্গে আর্তনাদ, ‘ডাক্তারবাবু, বাঁচান, বাঁচান। আমি আর পারছি না। আমার চারদিক ঘিরে ধরেছে, চারপাশ থেকে আমাকে আটকে রেখেছে।’

হতভম্ব ডাক্তারবাবু রোগীকে যথাসাধ্য শান্ত করে জানতে চাইলেন, ‘জিনিসটা কী ? কী আপনাকে চারপাশে ঘিরে আটকে রেখেছে ?’ রোগী তাঁর হাওয়াই শার্ট উঁচু করে নীচে প্যান্টের কোমরে অঙ্গুলি নির্দেশ করে ফিস ফিস করে বললেন, ‘আমার এই কোমরের বেল্ট। এই বেল্টটা আমাকে আষ্টেপৃষ্টে ঘিরে রেখেছে।’

আরেক বাতিকগ্রস্তের কথা জানি, সেই ভদ্রলোকের ধারণা হয়েছিল তার এক ধরনের মারাত্মক লিভারের অসুখ হয়েছে। ডাক্তারকে বলতে ডাক্তার ব্যাপারটা হেসে উড়িয়ে দিলেন, বললেন, ‘এ অসুখ হলে আপনি জানতেই পারবেন না। এ আপনার সম্পূর্ণ কাল্পনিক। বাজে চিন্তা।’

রোগী জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কেন জানতে পারব না ?’ ডাক্তারবাবু বললেন, ‘কারণ এ অসুখ টের পাওয়া যায় না। কোনও ব্যথা, বেদনা বা অসুবিধে, এ অসুখের কোনও লক্ষণই নেই।’

এইবার রোগী দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বললেন, ‘ডাক্তারবাবু, সেইজন্যেই তো। কোনও লক্ষণ না থাকার জন্যই তো আমি বুঝতে পারছি যে ওই অসুখটা আমার হয়েছে।’

কোনও ডাক্তারের কাছে সুরাহা করতে না পেরে এই রোগী একদিন আমাকে তার মনের দুঃখের কথা বলেছিল। সবচেয়ে দুঃখজনক কথা যেটা বলেছিল, তা হল রোগের চিন্তায় আজকাল সারারাত তার ঘুম আসে না। বিনিদ্র রজনীতে বিছানায় শুয়ে ছটফট করে।

আমি অগত্যা তাকে একটা সুপরামর্শ দিয়েছিলাম, ‘রাতে এক ঘণ্টা পর পর এক পেগ করে হুইস্কি খাবে।’ সে অবাক হয়ে বলেছিল, ‘তাতে কি আমার ঘুম আসবে ?’

আমি বলেছিলাম, ‘ঘুম আসুক ছাই না আসুক, ঘুম না আসার কষ্টে ভুগবে না। পরম আনন্দে জেগে থাকবে।’ ওই রোগী আমার এই সুপরামর্শ গ্রহণ করেছিল কি না, আশা করি সে প্রশ্ন আমাকে কেউ করবেন না।

আরেকটা ছিটগ্রস্ত লোকের গল্প করি। এ ভদ্রলোক একদা আমার প্রতিবেশী ছিলেন। একবার সাঁওতাল পরগনা থেকে শীতের সময় বেড়াতে গিয়ে একটা ভালুকছানা নিয়ে এসেছিলেন।

ক্রমশ ভালুকছানাটা পাড়ার মধ্যে বড় হতে লাগল। পাশের বাড়িতে একটা হিংস্র জন্তু বড় হচ্ছে, নিতান্ত ভয়ে ভয়ে একদিন প্রতিবেশীকে বললাম, ‘আপনার ভালুকছানা তো বেশ বড় হল। এবার ওটাকে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যান।’

ভদ্রলোক সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলেন, বললেন, ‘সামনের রোববার অবশ্যই ওকে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাব।’ পরের সপ্তাহের মাঝামাঝি দেখি, ভালুকছানাটা, (এখন আর ছানা নয়, রীতিমতো বড়সড়) প্রতিবেশীর বাইরের ঘরের জানলার শিক ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

সন্ধ্যাবেলায় রাস্তায় প্রতিবেশীর সঙ্গে দেখা, জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কী হল ? গত রোববার ভালুকের বাচ্চাটাকে চিড়িয়াখানায় নিতে বলেছিলাম যে। নিয়ে যাননি ?’

ভদ্রলোক মধুর হেসে বললেন, ‘তা নিয়ে গিয়েছিলাম বইকী। মধুলাল মানে আমার ওই ভালুকছানাটার চিড়িয়াখানা খুব ভাল লেগেছে। ভাবছি এই রোববারে মধুলালকে মিউজিয়ামে নিয়ে যাব। দেখি মধুলালের মিউজিয়াম চিড়িয়ানার মতোই ভাল লাগে কি না ?’

এত সব আজেবাজে গল্প লেখার পরে সবশেষে একটা প্রকৃত কাহিনী লিখছি; প্রকৃতই সত্য ঘটনা অবলম্বনে।

এক মনস্তত্ত্ববিদের চেম্বারে এক ভদ্রমহিলা এলেন। তাঁর সঙ্গে শিকলে বাঁধা একটি বেশ বড় মুখপোড়া হনুমান। ডাক্তার ভদ্রমহিলাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনার জন্য আমি কী করতে পারি ?’

ভদ্রমহিলা বললেন, ‘আমি আমার জন্য আপনার কাছে আসিনি। আমি এসেছি আমার স্বামীর জন্য।’

ডাক্তারবাবু জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কেন, আপনার স্বামীর কী হয়েছে ?’ মুখপোড়া হনুমানটির মুখের দিকে তাকিয়ে মহিলা দুঃখিত কণ্ঠে বললেন, ‘দেখুন, আমার স্বামীর বদ্ধমূল ধারণা যে তিনি একটা হনুমান।’

সকল অধ্যায়

১. চুরিবিদ্যা
২. নৈশকাহিনী
৩. কালীঘাটের পাখা
৪. ডাকাতের হাতে
৫. পদ্মাসন
৬. শিশুশিক্ষা (১)
৭. ঘুম (১)
৮. পাগলের কাণ্ডজ্ঞান
৯. পদবি ও নাম
১০. ছারপোকার এপিটাফ
১১. ভাগ্যফল
১২. বিশেষজ্ঞ
১৩. ছাতা
১৪. র‍্যাডিস উইথ মোলাসেস
১৫. ঘড়ি
১৬. দরজি
১৭. সংখ্যাতত্ত্ব
১৮. মাতালের কাণ্ডজ্ঞান
১৯. ভূতের কাণ্ডজ্ঞান
২০. বানরের কাণ্ডজ্ঞান
২১. কিঙ্কর-কিঙ্করী
২২. ডাক্তার-ডাক্তার
২৩. দাঁত
২৪. টেলিফোন
২৫. আমি কীরকমভাবে
২৬. মন মোর মেঘের সঙ্গী
২৭. ভ্রমণকাহিনী (১)
২৮. প্রসূতি সদন
২৯. নিজের ওজন নিজে বুঝুন
৩০. জীবজন্তুর কথা
৩১. গোরু (১)
৩২. প্রিয়তমাসু
৩৩. অভিনয় নয়
৩৪. ইঁদুর ও মদিরা
৩৫. টর্চলাইট
৩৬. রং
৩৭. লিফট
৩৮. মদমত্ত
৩৯. সুচিকিৎসা
৪০. অচলার প্রেম
৪১. শেষ পরকীয়া
৪২. তালা
৪৩. কুকুর-কুকুর
৪৪. গোপাল ভাঁড়
৪৫. জগৎপারাবারের তীরে
৪৬. হিন্দি
৪৭. রেফ্রিজারেটর
৪৮. কৃষ্ণকান্ত এবং…
৪৯. মাতাল রহস্য
৫০. আবার মনে মনে
৫১. শেষের সেদিন
৫২. ভবসিন্ধু
৫৩. রবীন্দ্রনাথ
৫৪. …বাচ্চা
৫৫. কুকুর কুণ্ডলী
৫৬. হে মাতাল, অমোঘ মাতাল
৫৭. শিশুপাল
৫৮. ভোজনালয়
৫৯. বাড়ি ভাড়া
৬০. হায় ছবি
৬১. জীবনবিমা
৬২. কোন বাণিজ্যে
৬৩. ডাক্তারের হাতে
৬৪. অঘটন আজও ঘটে
৬৫. সুপরামর্শ
৬৬. পুলিশ
৬৭. ফাঁদ পাতা ভুবনে
৬৮. ধরা পড়েছে দু’জনে
৬৯. রুপোলি পর্দার অন্তরালে
৭০. পিয়ো হে পিয়ো
৭১. ও চাঁদা চোখের জলে
৭২. দামদর
৭৩. মিথ্যা কথা
৭৪. কে কোথা ধরা পড়ে
৭৫. সময়
৭৬. হায় কবি, তুমি শুধু কবি
৭৭. রোগীর বন্ধু
৭৮. রসুন
৭৯. রসিকতা
৮০. স্বর্গ
৮১. দুর্ঘটনার আগে ও পরে
৮২. পণ্ডিত
৮৩. সমস্যা
৮৪. স্বেচ্ছাসেবক
৮৫. বক্তা ও বক্তৃতা
৮৬. আবার বক্তৃতা
৮৭. কলিংবেল
৮৮. ঈশ্বর সমীপে
৮৯. জীব জগতের আজব কথা
৯০. তামাক
৯১. আবার তামাক
৯২. রোগী কাহিনী
৯৩. নরখাদকের কাহিনী
৯৪. আয় শীত, যায় শীত
৯৫. ঘটি-বাঙাল
৯৬. চিড়িয়াখানায়
৯৭. সমান-সমান
৯৮. স্মৃতির খেয়া
৯৯. অচলপত্র
১০০. সচিত্র ভারত
১০১. রাম ও রামকৃষ্ণ
১০২. কৃষ্ণ ও রামকৃষ্ণ
১০৩. স্বপ্ন ও রমণী
১০৪. অবাঞ্ছিত আতিশয্য
১০৫. যা দেবী সর্বভূতেষু
১০৬. মরণ রে
১০৭. ধৈর্যের পরীক্ষা
১০৮. ভুল (১)
১০৯. গল্পের গোরু
১১০. কাজের মেয়ে
১১১. বইমেলা
১১২. স্ত্রী
১১৩. প্রথম কোকিল
১১৪. দ্বিতীয় কোকিল
১১৫. তৃতীয় কোকিল
১১৬. অমল ধবল পালে
১১৭. স্বামী-স্ত্রী ইত্যাদি
১১৮. চিকিৎসা
১১৯. ভূত ও রিপোর্টার
১২০. হাঁচির গল্প
১২১. ভাষা-ভাষা
১২২. বালুকা ডাকিনী
১২৩. ফুটবল
১২৪. প্রশ্নোত্তর
১২৫. অসম্ভব
১২৬. রসিকতার উৎস সন্ধানে
১২৭. ডাক্তারবাবু নমস্কার
১২৮. আত্মনেপদী
১২৯. ভাগলপুরের পাঞ্জাবি
১৩০. পুজোর বাজার
১৩১. অপমান
১৩২. জীবজন্তু (১)
১৩৩. পুজোর ছুটি
১৩৪. ক্রিমিনাল
১৩৫. রবিবারের মহাভারত
১৩৬. আইনের আঙিনায়
১৩৭. বুদ্ধি
১৩৮. শাশুড়ি
১৩৯. দেয়া-নেয়া
১৪০. হে হিসাব
১৪১. মাছ (১)
১৪২. কুসংস্কার
১৪৩. জুয়া (১)
১৪৪. এসো বসি আহারে
১৪৫. শুভ নববর্ষ
১৪৬. রমণী সমাজে
১৪৭. স্বপ্ন
১৪৮. কলকাতা তিনহাজার তিনশো
১৪৯. আবার বইমেলা
১৫০. এক সর্দারের গল্প (১)
১৫১. এক সর্দারের গল্প (২)
১৫২. এক সর্দারের গল্প (৩)
১৫৩. জল
১৫৪. শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন
১৫৫. গাধা
১৫৬. হাওয়াই
১৫৭. সুনন্দর জার্নাল
১৫৮. সরস কলকাতা
১৫৯. সরস কবিতা
১৬০. স্টুপিডেস্ট
১৬১. অবনী, বাড়ি আছো?
১৬২. জুয়া (২)
১৬৩. সময়ের হিসেব
১৬৪. কেনাকাটা: জুতো
১৬৫. ভেজা চপ্পল
১৬৬. জয়বাবা শান্তিনাথ
১৬৭. টেলিফোন
১৬৮. পরিশেষে
১৬৯. জনগণের জোক!
১৭০. মকারান্ত
১৭১. কয়েকটি প্রশ্ন
১৭২. খাওয়া-দাওয়া
১৭৩. বলাবাহুল্য
১৭৪. শরৎচন্দ্র এবং রসিকতা
১৭৫. পৃথিবী
১৭৬. সুখের লাগিয়া
১৭৭. অন্দর মহলে
১৭৮. জোক বুক
১৭৯. সান্টা, বান্টা
১৮০. সরল শৈশব
১৮১. কথা বলার বিপদ
১৮২. সিগারেট
১৮৩. পাটিগণিত
১৮৪. গ্রন্থবার্তা
১৮৫. প্রেমিক-প্রেমিকা
১৮৬. ডাক্তারবাবু
১৮৭. বধূমাতা
১৮৮. কেনাবেচা
১৮৯. বালিশ
১৯০. আপ রুচি খানা
১৯১. কাণ্ডজ্ঞান
১৯২. দুর্ঘটনা
১৯৩. বিজনের রক্তমাংস
১৯৪. বিলিতি বিয়ার-পাব
১৯৫. রাজনীতি
১৯৬. চপলতা
১৯৭. বাগ্বিধি
১৯৮. মশা ও লবণহ্রদ
১৯৯. যদ্দৃষ্টং
২০০. বয়েস বাড়ছে
২০১. ধানাই-পানাই
২০২. আমপাতা জোড়া-জোড়া
২০৩. ভ্রমণকাহিনী (২)
২০৪. হাস্যকবি সম্মেলন
২০৫. মুড়ি-মিছরি
২০৬. গণ্ডারের দুধ
২০৭. তৈজসপত্র
২০৮. পুলিশ
২০৯. গোরু
২১০. অণুনাটিকা
২১১. যদিদং হৃদয়ং
২১২. এমন বাদল দিনে
২১৩. ফাঁসি
২১৪. লেপ
২১৫. ব্যাটবল
২১৬. স্বপ্ন
২১৭. বড়দিন
২১৮. ধনীরাম
২১৯. ব্যাঙ্ক
২২০. জাহান্নাম
২২১. ইতিহাস
২২২. লুঙ্গি
২২৩. সেই বই
২২৪. ধ্বংসের মুখোমুখি
২২৫. ফুরসতনামা
২২৬. পোড়া বই
২২৭. বার্তাকু ভক্ষণ বিল
২২৮. অ্যালেন গিনসবার্গ
২২৯. প্যাঁচ
২৩০. শিশুশিক্ষা (২)
২৩১. লেখাপড়া
২৩২. ডেটলাইন শান্তিনিকেতন
২৩৩. যেভাবে গল্প তৈরি হয়
২৩৪. হায় ভীরু প্রেম
২৩৫. মাতালের গল্প
২৩৬. মনের কথা
২৩৭. চিনা-অচিনা
২৩৮. কয়েকটি অবিশ্বাস্য রসিকতা
২৩৯. মনের চিকিৎসা
২৪০. কান্তকবি
২৪১. জ্যোতিষী
২৪২. আবার জ্যোতিষী
২৪৩. পথের ভিখিরি
২৪৪. গুরু-শিষ্য সংবাদ
২৪৫. ভুলোমন স্বামী
২৪৬. বই চুরি
২৪৭. ফিলমি-ফিলমি
২৪৮. চার্চিল
২৪৯. পঞ্জিকা
২৫০. নিমন্ত্রণ
২৫১. মাছ (২)
২৫২. জানোয়ার
২৫৩. তুমি যে আমার
২৫৪. সৈয়দ মুজতবা আলি
২৫৫. ধারদেনা
২৫৬. শিবরাম চক্রবর্তী
২৫৭. যাচ্ছেতাই লেখা লিখছি
২৫৮. দুর্বৃত্তের শাসানি
২৫৯. নিজের কোট খুলতে পারে না
২৬০. ভোজসভা শেষে বক্তৃতা
২৬১. শুধু পাঠিকারা চিঠি লেখে
২৬২. পাসপোর্ট ফোটোর মতো
২৬৩. আগে পাঁচ ডলারে, এখন?
২৬৪. এত বুড়ো হব নাকো
২৬৫. অপ্রত্যাশিত
২৬৬. গরমের পাখা মাঘ মাসে
২৬৭. বাংলায় কেন হয় না
২৬৮. মধ্যযুগ
২৬৯. শিলিগুড়ি
২৭০. সেদিন বেঙ্গল ক্লাবে
২৭১. বেয়ারা
২৭২. এত কঠিন অঙ্ক
২৭৩. বাড়িওয়ালা
২৭৪. সুনীলের সঙ্গে
২৭৫. পুলিশ এবং রবীন্দ্রসংগীত
২৭৬. দিশি-বিলিতি পুলিশের বৃত্তান্ত
২৭৭. রসলক্ষ্মীর সাধনা
২৭৮. জানলা পড়ল মাথায়
২৭৯. সেদিনের চুম্বনের পরে
২৮০. হাসির উপন্যাস
২৮১. ভুল (২)
২৮২. মহিলা কবিরা
২৮৩. পুরনো কলকাতা
২৮৪. প্রথমেই পঞ্চম সংস্করণ
২৮৫. ঘুষ
২৮৬. আইনমাফিক
২৮৭. বাঁকা কথা
২৮৮. শিশু বিষয়ে
২৮৯. শব্দকল্পদ্রুম
২৯০. জামাইষষ্ঠী
২৯১. আইরিশ রসিকতা
২৯২. পূজা ও রমণী
২৯৩. প্রতিযোগিতা
২৯৪. টকটক গন্ধ
২৯৫. যানবাহন
২৯৬. রস ও রমণী
২৯৭. অনুভব অথবা ভাল লাগা
২৯৮. রেডিয়ো
২৯৯. রিকশা
৩০০. পরিবার পরিকল্পনা
৩০১. মহিলা মহল
৩০২. লালিমা পাল স্মরণে
৩০৩. বোকার মা
৩০৪. স্থূল ও অস্থূল
৩০৫. দম্পতি, দম্পতী
৩০৬. সাদা রাস্তা কালো বাড়ি
৩০৭. লক্ষপতি
৩০৮. গল্পের গতি
৩০৯. পাকিস্তান
৩১০. ইঁদুর
৩১১. এ হর্স ফর মাই কিংডম
৩১২. হায় ছবি, তুমি শুধু ছবি
৩১৩. প্রজাপতয়ে
৩১৪. একটি উড়ো কাহিনী
৩১৫. সময়জ্ঞান
৩১৬. আমাদের কলের গান
৩১৭. থানা পুলিশ
৩১৮. ভ্রমণকাহিনী (৩)
৩১৯. বয়স বাড়ছে
৩২০. ভুল, ভূল
৩২১. জীবজন্তু
৩২২. ব্যবসা-বাণিজ্য
৩২৩. বিজ্ঞাপন
৩২৪. কবিতার ভাল-খারাপ
৩২৫. জোচ্চোর
৩২৬. বলাই বাহুল্য
৩২৭. গোলমাল
৩২৮. সিনেমা হল
৩২৯. বাসাবাড়ি
৩৩০. তবুও মাতাল
৩৩১. ঢাকঢাক-গুড়গুড়
৩৩২. জলাঞ্জলি
৩৩৩. টাকাপয়সা
৩৩৪. ঘুম (২)
৩৩৫. ওগো বধূ সুন্দরী
৩৩৬. প্রবাসে দৈবের বশে
৩৩৭. তিন পুলিশের গল্প
৩৩৮. দুই শ্রাদ্ধের গল্প
৩৩৯. দুই বাঘের গল্প
৩৪০. ঢাকাই রসিকতা
৩৪১. ওয়ার্ক কালচার
৩৪২. আমি কবি হয়েছিলাম গায়ের জোরে
৩৪৩. যাহা পাই, তাহা চাই না
৩৪৪. পথে পথে কবিতা
৩৪৫. হাং সাং টাঙ্গাইল
৩৪৬. পত্রের উত্তর
৩৪৭. আবার উত্তর
৩৪৮. বিদূষক
৩৪৯. মশা
৩৫০. খাদ্য সমস্যা
৩৫১. বউ কথা কও
৩৫২. শেফালি
৩৫৩. ভালবাসার সন্ধানে
৩৫৪. স্বর্গ যদি কোথাও থাকে
৩৫৫. তারি লাগি যত
৩৫৬. জাহাজ
৩৫৭. স্ত্রী রত্ন
৩৫৮. আদ্যনারায়ণ
৩৫৯. আমার ভাগ্য
৩৬০. পরোপকার
৩৬১. অফিস
৩৬২. ভদ্রলোক
৩৬৩. কাকের মাংস
৩৬৪. স্বর্গ নরক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন