কৃষ্ণকান্ত এবং…

তারাপদ রায়

আমাদের বেড়াল কৃষ্ণকান্তের বয়েস তখন বোধহয় দেড় মাসের বেশি হবে না। একদিন বাসায় এক কেজি মাংসের কিমা আনা হয়েছে, রান্নার টেবিলের নীচে শালপাতার ঠোঙাটা, যাতে কিমা ভরা ছিল, সেটা রাখা হয়েছিল। হঠাৎ একসময় দেখা গেল কিমার ঠোঙাটা উধাও। নেই, কোথাও নেই।

একটু পরে খুঁজে পাওয়া গেল বারান্দায়, শূন্য ঠোঙার শুকনো শালপাতাগুলি হাওয়ায় গড়াগড়ি যাচ্ছে,কিমার কোনও চিহ্ন নেই। এমনকী কোনও শালপাতার গায়ে এক ফোঁটা কিমার টুকরোও লেগে নেই। একেবারে ধোয়ামোছা, পরিষ্কার।

কিছু পরে কৃষ্ণকান্তকে খুঁজে পাওয়া গেল। তার মুখে কেমন একটা চোর চোর ভাব, সিঁড়ির নীচে লুকিয়ে রয়েছে। ধরে আনতে দেখা গেল, পেটটা অসম্ভব মোটা আর ভারী রীতিমতো পাঁচ নম্বর ফুটবলের মতো গোল, টনটনে।

কিন্তু সব সত্ত্বেও কেমন খটকা লাগল, ওইটুকু দেড়মাসি, আধফুটি বেড়াল সে পুরো এক কিলো কিমা চেটেপুটে সাফ করে খেয়েছে, এ কথা বিশ্বাস করা কঠিন।

আমরা সঙ্গে সঙ্গে সমস্যার সমাধান করে ফেললাম। (আমাদের পরিবারের একটা বড় গুণ, পারিবারিক ঐতিহ্য হল, ভালভাবে হোক, খারাপভাবে হোক যে কোনও সমস্যা দ্রুত সমাধান করা।) রাস্তা দিয়ে একটা পুরনো খবরের কাগজওয়ালা যাচ্ছিল। তাকে ডেকে আনা হল। তারপর তাকে এক টাকা বকশিস দেওয়া হবে কথা দিয়ে তার দাঁড়িপাল্লা এবং ওজনের পাথর পাঁচ মিনিটের জন্য ধার নেওয়া হল। অবশ্য তাকে কারণটা বলা হল না। যদি সে জানতে পারত যে তার তুলাদণ্ডে একটি মার্জার শিশুকে ওজন করা হবে সে হয়তো এক টাকার লোভেও দাঁড়িপাল্লা দিতে রাজি না হতে পারত।

এর পরের অধ্যায় আরও কঠিন। বুদ্ধিমতী প্রাণাধিকা পাঠিকা কখনও বেড়াল ওজন করার চেষ্টা করে দেখেছ ? সে এক অসাধ্য ব্যাপার। অনেক আঁচড় কামড়, কলাকৌশল ইত্যাদির পরে কৃষ্ণকান্তকে দাঁড়ির এক পাল্লায় তুলে অন্য পাল্লায় পাথর দিয়ে বহু কষ্টে ওজন করা সম্ভব হয়েছিল। সেই পাঁচ মিনিটের নির্দিষ্ট সীমা ইতিমধ্যে অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছিল, ফলে পুরনো কাগজওয়ালা পয়সার ক্ষতি হচ্ছে বলে রাস্তায় ইতিমধ্যে চেঁচামেচি শুরু করে দিয়েছে।

সে অন্য গল্প। আসল ঘটনা আরও মারাত্মক। কৃষ্ণকান্তকে ওজন করে দেখা গেল, তার ওজন হয়েছে ঠিক এক কিলোগ্রাম।

এক কিলোগ্রাম মাংস খাওয়ার পরে যদি বেড়ালের ওজন ঠিক এক কিলোগ্রামই হয় তা হলে মাংস খাওয়ার আগে ওই বেড়ালের ওজন কত ছিল ? স্বর্গীয় যাদবচন্দ্র চক্রবর্তী মহোদয়ও কস্মিনকালে তাঁর বিখ্যাত পাটিগণিত গ্রন্থে এমন কোনও জটিল প্রশ্নের সন্ধান দেননি। সেখানে বাঁদরের বাঁশ বেয়ে ওঠা থেকে দুধে জল মেশানো পর্যন্ত হাজার রকম পাটিগাণিতীয় (নাকি পাটিগাণিতিক) উদাহরণ ছিল, কিন্তু তার কোনওটাই এতটা রহস্যময় নয়।

শেষ পর্যন্ত আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আমাদের কৃষ্ণকান্ত নামক মার্জার শিশুটির ওজন শূন্য, অর্থাৎ সে অশরীরী, অর্থাৎ, সে একটি ভূত। কিন্তু ঘটনা হয়তো তা নয়, তার সম্ভবত তখন ওজন ছিল পাঁচশো গ্রাম, আড়াইশো গ্রাম ওজনে মাংসওয়ালা কম দিয়েছিল আর আড়াইশো গ্রাম ওজন কমে গিয়েছিল পুরনো কাগজওয়ালার চোরাই দাঁড়িপাল্লার ভুলপ্রান্তে উপস্থাপনের জন্য।

কৃষ্ণকান্ত কিন্তু ভবিষ্যতে আর কখনও এমন করেনি। শুধু কৃষ্ণকান্ত কেন, আজকাল আমাদের বাড়ির সব কুকুর-বেড়ালই সব সময়ে রীতিমতো আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। তাদের আচার-সহবৎ সকলের প্রশংসা পায়।

মনীষী সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, যিনি কখনও কখনও চমকপ্রদ গল্প-উপন্যাস লেখেন, কখনও কখনও আমাদের বাড়িতেও আসেন। তিনি একদিন আমাদের বাড়িতে বিস্ময় প্রকাশ করেন আশ্চর্য সব কাণ্ড দেখে যে টেবিলের উপর খোলা বাটিতে দুধ রয়েছে বেড়াল খেয়ে নিচ্ছে না, কুকুর বিছানা বা সোফায় উঠে শুচ্ছে না ইত্যাদি ইত্যাদি—তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন এ ধরনের অরাজকতা দেখে।

সন্দীপনবাবু হলেন সেই ব্যক্তি, যাঁকে যদি কখনও কেউ জিজ্ঞাসা করে, ‘ভাল আছেন ?’ তিনি কয়েক মুহূর্ত থমকে থেকে ঘাড় চুলকিয়ে বলেন, ‘দাঁড়ান, ভেবে বলতে হবে।’ সেই সন্দীপনবাবু পর্যন্ত কুকুর-বিড়ালের এতাদৃশ বাধ্যবাধকতা দেখে তাঁর স্বভাব-সুলভ বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন, তখন তাঁকে আমরা সমস্ত ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করে বোঝাই।

ব্যাপারটা আর কিছুই নয়, ‘দ্যাখ-মার সিসটেম।’ কৃষ্ণকান্তের ওই ঘটনার পরে আমার বিনম্রা স্ত্রী মিনতি দেবী এই পদ্ধতিটি উদ্ভাবন করেন। সম্প্রতি ওই পদ্ধতিটিকে ‘দ্যাখ-মার সিসটেম’ (Dhakh-Maar System) এই ট্রেড নামে আমরা পেটেন্ট নেওয়ার কথা চিন্তা করছি।

এই সিসটেম বা পদ্ধতিটি আর কিছুই নয়, কোনওরকম বেয়াদপি বা বেচাল দেখলে, দ্যাখা মাত্র মার। কুকুর, বিড়াল এবং সেই সঙ্গে আমরা সকলে ব্যাপারটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। মিনতি দেবীকে এই স্বপরিকল্পিত পদ্ধতিতে সিদ্ধহস্তা বলা উচিত। তিনি প্রতিবার রথের মেলায় একাধিক রুটি বেলবার এক্সট্রা বেলুন খরিদ করেন। আজকাল বেশি ব্যবহার করতে হয় না, একবার বেলুন তুলে দেখালেই অবলা জীবেরা সন্ত্রস্ত হয়ে যায়।

অনাবশ্যক এবং বিপজ্জনক বিষয়ে কথাচ্ছলে চলে গেছি, দ্রুত বিড়ালে প্রত্যাবর্তন করছি।

কুকুরের কথা বলার বিষয়ে একবার লিখেছিলাম। এবার বেড়ালের কথা বলার বিষয়ে কিছু লেখা যায়। একবার একটি চপলা তরুণী আমাকে জব্দ করেছিল, সে বলেছিল, তাদের বেড়াল নাকি নিজের নাম বলতে পারে। তাদের বাড়িতে আমি নিজের কানে বেড়ালের নাম বলা শুনতে গিয়েছিলাম। গিয়ে শুনি বেড়াল নাম বলতে পারে ঠিকই, কিন্তু তার নাম হল ‘মিঁয়াও’। নাম জিজ্ঞাসা করলেই সে ‘মিঁয়াও’ ‘মিঁয়াও’ বলে।

বেড়াল যে সব সময় ‘মিঁয়াও’ ‘মিঁয়াও’ বলে ঠিক তা নয়। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের একটি উপন্যাসে একটি বেড়াল পড়ন্ত দুপুরে এসে এক হতভাগিনী রাঁধুনী মহিলার কাছে স্পষ্ট ‘মা’ ‘মা’ করে ডেকে খাবার চাইত। শীর্ষেন্দুর অমল বর্ণনায় বেড়ালের ‘মা’-‘মা’ ডাকে ভরা সেই মধ্য দুপুর বাংলা সাহিত্যে স্মরণীয় হয়ে গেছে।

এক মার্জার-অনুরক্ত বিদেশি লেখক কিন্তু বেড়ালের কথা বলার ক্ষমতা সম্বন্ধে যথেষ্ট সন্দিহান। তিনি এ বিষয়ে যা বলেছেন তা প্রণিধানযোগ্য। তাঁর বক্তব্য, ‘বেড়ালদের আমি খুব ভালভাবে জানি। তারা খুব চতুর এবং মিথ্যাবাদী। যদি কোনওদিন কোনও বেড়াল আপনাকে বলে এবং দাবি করে যে সে কথা বলতে পারে, তার কথা মোটেই বিশ্বাস করবেন না।’

আরেকটা গল্প জানি, একটা বুড়ো হুলো বেড়াল কালীঘাটে নিত্যানন্দ ভোজনালয়ে গিয়ে একদিন মাছ ভাতের অর্ডার দিয়েছিল। যে রাঁধুনিবামুন পরিবেশন করছিল তাকে সে বলে, ‘আমার মাছের টুকরোটা যেন একটু কাঁচা থাকে, খুব বেশি সেদ্ধ বা ভাজা না হয়।’ ভাত-মাছ খেয়ে দাম দিতে দিতে কৌতূহলী বেড়ালটি পরিবেশনকারীকে জিজ্ঞাসা করে, ‘এই যে আমি এ রকম খেলাম, আপনার খুব অবাক লাগছে না !’ বামুনঠাকুর বললেন, ‘না, না তাতে কী ? কত রকম খদ্দের আসে। অনেকেই বেশি ভাজা মাছ খেতে চায় না। আমি নিজেও খুব পছন্দ করি না।’

কথা বলতে পারুক আর না পারুক, বেড়ালের বুদ্ধি সম্পর্কে কিন্তু আমাদের মনে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয়। নিঃশব্দে রান্নাঘরে প্রবেশ করা, জালের আলমারির ছিটকিনি পা দিয়ে খুলে ফেলা, বিপদে দ্রুত চোখের আড়ালে চলে যাওয়া পরে ফিরে এসে পায়ে মাথা ঘষে ক্ষমাপ্রার্থনা করা, এগুলো বেড়ালের চরিত্রের অঙ্গ। আমি এমন একজনকে জানি, যিনি বেড়াল খুব পছন্দ করেন না, তিনি প্রতিদিন রাতে ঘুমোনার পরে তাঁর বিছানায় বালিশের পাশে একটি বেড়াল নিঃশব্দে এসে শয্যাগ্রহণ করত এবং ব্রাহ্ম মুহূর্তে ঘুম থেকে ওঠার আগে উঠে চলে যেত। ভদ্রলোক টের পাননি, কোনওদিন জানতে পারেননি একটি রূপসী পূর্ণ যৌবনা মেনি বেড়াল রাত্রে তাঁর শয্যাসঙ্গিনী।

বেড়ালের অভিজ্ঞতা বোধও যথেষ্ট বেশি। সে অনেক ব্যাপারেই নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগায়। কথায় আছে, যদি কোনও বেড়ালের গরম দুধ খেয়ে কখনও জিব পুড়ে যায় তা হলে পরে সে ঠান্ডা দই খাওয়ার সময়েও ফুঁ দিয়ে খাবে। মার্ক টোয়েন সাহেবও অনুরূপ কথা লিখেছেন, ‘একটি বেড়াল যে গরম স্টোভের ঢাকনায় একবার বসেছে, সে আর জন্মে কোনওদিন ওই উত্তপ্ত স্থানে বসতে যাবে না। সবচেয়ে গোলমেলে ব্যাপার এই যে, সে কোনওদিন ঠান্ডা হয়ে যাওয়া স্টোভের ঢাকনার উপরেও বসতে যাবে না।’

সকল অধ্যায়

১. চুরিবিদ্যা
২. নৈশকাহিনী
৩. কালীঘাটের পাখা
৪. ডাকাতের হাতে
৫. পদ্মাসন
৬. শিশুশিক্ষা (১)
৭. ঘুম (১)
৮. পাগলের কাণ্ডজ্ঞান
৯. পদবি ও নাম
১০. ছারপোকার এপিটাফ
১১. ভাগ্যফল
১২. বিশেষজ্ঞ
১৩. ছাতা
১৪. র‍্যাডিস উইথ মোলাসেস
১৫. ঘড়ি
১৬. দরজি
১৭. সংখ্যাতত্ত্ব
১৮. মাতালের কাণ্ডজ্ঞান
১৯. ভূতের কাণ্ডজ্ঞান
২০. বানরের কাণ্ডজ্ঞান
২১. কিঙ্কর-কিঙ্করী
২২. ডাক্তার-ডাক্তার
২৩. দাঁত
২৪. টেলিফোন
২৫. আমি কীরকমভাবে
২৬. মন মোর মেঘের সঙ্গী
২৭. ভ্রমণকাহিনী (১)
২৮. প্রসূতি সদন
২৯. নিজের ওজন নিজে বুঝুন
৩০. জীবজন্তুর কথা
৩১. গোরু (১)
৩২. প্রিয়তমাসু
৩৩. অভিনয় নয়
৩৪. ইঁদুর ও মদিরা
৩৫. টর্চলাইট
৩৬. রং
৩৭. লিফট
৩৮. মদমত্ত
৩৯. সুচিকিৎসা
৪০. অচলার প্রেম
৪১. শেষ পরকীয়া
৪২. তালা
৪৩. কুকুর-কুকুর
৪৪. গোপাল ভাঁড়
৪৫. জগৎপারাবারের তীরে
৪৬. হিন্দি
৪৭. রেফ্রিজারেটর
৪৮. কৃষ্ণকান্ত এবং…
৪৯. মাতাল রহস্য
৫০. আবার মনে মনে
৫১. শেষের সেদিন
৫২. ভবসিন্ধু
৫৩. রবীন্দ্রনাথ
৫৪. …বাচ্চা
৫৫. কুকুর কুণ্ডলী
৫৬. হে মাতাল, অমোঘ মাতাল
৫৭. শিশুপাল
৫৮. ভোজনালয়
৫৯. বাড়ি ভাড়া
৬০. হায় ছবি
৬১. জীবনবিমা
৬২. কোন বাণিজ্যে
৬৩. ডাক্তারের হাতে
৬৪. অঘটন আজও ঘটে
৬৫. সুপরামর্শ
৬৬. পুলিশ
৬৭. ফাঁদ পাতা ভুবনে
৬৮. ধরা পড়েছে দু’জনে
৬৯. রুপোলি পর্দার অন্তরালে
৭০. পিয়ো হে পিয়ো
৭১. ও চাঁদা চোখের জলে
৭২. দামদর
৭৩. মিথ্যা কথা
৭৪. কে কোথা ধরা পড়ে
৭৫. সময়
৭৬. হায় কবি, তুমি শুধু কবি
৭৭. রোগীর বন্ধু
৭৮. রসুন
৭৯. রসিকতা
৮০. স্বর্গ
৮১. দুর্ঘটনার আগে ও পরে
৮২. পণ্ডিত
৮৩. সমস্যা
৮৪. স্বেচ্ছাসেবক
৮৫. বক্তা ও বক্তৃতা
৮৬. আবার বক্তৃতা
৮৭. কলিংবেল
৮৮. ঈশ্বর সমীপে
৮৯. জীব জগতের আজব কথা
৯০. তামাক
৯১. আবার তামাক
৯২. রোগী কাহিনী
৯৩. নরখাদকের কাহিনী
৯৪. আয় শীত, যায় শীত
৯৫. ঘটি-বাঙাল
৯৬. চিড়িয়াখানায়
৯৭. সমান-সমান
৯৮. স্মৃতির খেয়া
৯৯. অচলপত্র
১০০. সচিত্র ভারত
১০১. রাম ও রামকৃষ্ণ
১০২. কৃষ্ণ ও রামকৃষ্ণ
১০৩. স্বপ্ন ও রমণী
১০৪. অবাঞ্ছিত আতিশয্য
১০৫. যা দেবী সর্বভূতেষু
১০৬. মরণ রে
১০৭. ধৈর্যের পরীক্ষা
১০৮. ভুল (১)
১০৯. গল্পের গোরু
১১০. কাজের মেয়ে
১১১. বইমেলা
১১২. স্ত্রী
১১৩. প্রথম কোকিল
১১৪. দ্বিতীয় কোকিল
১১৫. তৃতীয় কোকিল
১১৬. অমল ধবল পালে
১১৭. স্বামী-স্ত্রী ইত্যাদি
১১৮. চিকিৎসা
১১৯. ভূত ও রিপোর্টার
১২০. হাঁচির গল্প
১২১. ভাষা-ভাষা
১২২. বালুকা ডাকিনী
১২৩. ফুটবল
১২৪. প্রশ্নোত্তর
১২৫. অসম্ভব
১২৬. রসিকতার উৎস সন্ধানে
১২৭. ডাক্তারবাবু নমস্কার
১২৮. আত্মনেপদী
১২৯. ভাগলপুরের পাঞ্জাবি
১৩০. পুজোর বাজার
১৩১. অপমান
১৩২. জীবজন্তু (১)
১৩৩. পুজোর ছুটি
১৩৪. ক্রিমিনাল
১৩৫. রবিবারের মহাভারত
১৩৬. আইনের আঙিনায়
১৩৭. বুদ্ধি
১৩৮. শাশুড়ি
১৩৯. দেয়া-নেয়া
১৪০. হে হিসাব
১৪১. মাছ (১)
১৪২. কুসংস্কার
১৪৩. জুয়া (১)
১৪৪. এসো বসি আহারে
১৪৫. শুভ নববর্ষ
১৪৬. রমণী সমাজে
১৪৭. স্বপ্ন
১৪৮. কলকাতা তিনহাজার তিনশো
১৪৯. আবার বইমেলা
১৫০. এক সর্দারের গল্প (১)
১৫১. এক সর্দারের গল্প (২)
১৫২. এক সর্দারের গল্প (৩)
১৫৩. জল
১৫৪. শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন
১৫৫. গাধা
১৫৬. হাওয়াই
১৫৭. সুনন্দর জার্নাল
১৫৮. সরস কলকাতা
১৫৯. সরস কবিতা
১৬০. স্টুপিডেস্ট
১৬১. অবনী, বাড়ি আছো?
১৬২. জুয়া (২)
১৬৩. সময়ের হিসেব
১৬৪. কেনাকাটা: জুতো
১৬৫. ভেজা চপ্পল
১৬৬. জয়বাবা শান্তিনাথ
১৬৭. টেলিফোন
১৬৮. পরিশেষে
১৬৯. জনগণের জোক!
১৭০. মকারান্ত
১৭১. কয়েকটি প্রশ্ন
১৭২. খাওয়া-দাওয়া
১৭৩. বলাবাহুল্য
১৭৪. শরৎচন্দ্র এবং রসিকতা
১৭৫. পৃথিবী
১৭৬. সুখের লাগিয়া
১৭৭. অন্দর মহলে
১৭৮. জোক বুক
১৭৯. সান্টা, বান্টা
১৮০. সরল শৈশব
১৮১. কথা বলার বিপদ
১৮২. সিগারেট
১৮৩. পাটিগণিত
১৮৪. গ্রন্থবার্তা
১৮৫. প্রেমিক-প্রেমিকা
১৮৬. ডাক্তারবাবু
১৮৭. বধূমাতা
১৮৮. কেনাবেচা
১৮৯. বালিশ
১৯০. আপ রুচি খানা
১৯১. কাণ্ডজ্ঞান
১৯২. দুর্ঘটনা
১৯৩. বিজনের রক্তমাংস
১৯৪. বিলিতি বিয়ার-পাব
১৯৫. রাজনীতি
১৯৬. চপলতা
১৯৭. বাগ্বিধি
১৯৮. মশা ও লবণহ্রদ
১৯৯. যদ্দৃষ্টং
২০০. বয়েস বাড়ছে
২০১. ধানাই-পানাই
২০২. আমপাতা জোড়া-জোড়া
২০৩. ভ্রমণকাহিনী (২)
২০৪. হাস্যকবি সম্মেলন
২০৫. মুড়ি-মিছরি
২০৬. গণ্ডারের দুধ
২০৭. তৈজসপত্র
২০৮. পুলিশ
২০৯. গোরু
২১০. অণুনাটিকা
২১১. যদিদং হৃদয়ং
২১২. এমন বাদল দিনে
২১৩. ফাঁসি
২১৪. লেপ
২১৫. ব্যাটবল
২১৬. স্বপ্ন
২১৭. বড়দিন
২১৮. ধনীরাম
২১৯. ব্যাঙ্ক
২২০. জাহান্নাম
২২১. ইতিহাস
২২২. লুঙ্গি
২২৩. সেই বই
২২৪. ধ্বংসের মুখোমুখি
২২৫. ফুরসতনামা
২২৬. পোড়া বই
২২৭. বার্তাকু ভক্ষণ বিল
২২৮. অ্যালেন গিনসবার্গ
২২৯. প্যাঁচ
২৩০. শিশুশিক্ষা (২)
২৩১. লেখাপড়া
২৩২. ডেটলাইন শান্তিনিকেতন
২৩৩. যেভাবে গল্প তৈরি হয়
২৩৪. হায় ভীরু প্রেম
২৩৫. মাতালের গল্প
২৩৬. মনের কথা
২৩৭. চিনা-অচিনা
২৩৮. কয়েকটি অবিশ্বাস্য রসিকতা
২৩৯. মনের চিকিৎসা
২৪০. কান্তকবি
২৪১. জ্যোতিষী
২৪২. আবার জ্যোতিষী
২৪৩. পথের ভিখিরি
২৪৪. গুরু-শিষ্য সংবাদ
২৪৫. ভুলোমন স্বামী
২৪৬. বই চুরি
২৪৭. ফিলমি-ফিলমি
২৪৮. চার্চিল
২৪৯. পঞ্জিকা
২৫০. নিমন্ত্রণ
২৫১. মাছ (২)
২৫২. জানোয়ার
২৫৩. তুমি যে আমার
২৫৪. সৈয়দ মুজতবা আলি
২৫৫. ধারদেনা
২৫৬. শিবরাম চক্রবর্তী
২৫৭. যাচ্ছেতাই লেখা লিখছি
২৫৮. দুর্বৃত্তের শাসানি
২৫৯. নিজের কোট খুলতে পারে না
২৬০. ভোজসভা শেষে বক্তৃতা
২৬১. শুধু পাঠিকারা চিঠি লেখে
২৬২. পাসপোর্ট ফোটোর মতো
২৬৩. আগে পাঁচ ডলারে, এখন?
২৬৪. এত বুড়ো হব নাকো
২৬৫. অপ্রত্যাশিত
২৬৬. গরমের পাখা মাঘ মাসে
২৬৭. বাংলায় কেন হয় না
২৬৮. মধ্যযুগ
২৬৯. শিলিগুড়ি
২৭০. সেদিন বেঙ্গল ক্লাবে
২৭১. বেয়ারা
২৭২. এত কঠিন অঙ্ক
২৭৩. বাড়িওয়ালা
২৭৪. সুনীলের সঙ্গে
২৭৫. পুলিশ এবং রবীন্দ্রসংগীত
২৭৬. দিশি-বিলিতি পুলিশের বৃত্তান্ত
২৭৭. রসলক্ষ্মীর সাধনা
২৭৮. জানলা পড়ল মাথায়
২৭৯. সেদিনের চুম্বনের পরে
২৮০. হাসির উপন্যাস
২৮১. ভুল (২)
২৮২. মহিলা কবিরা
২৮৩. পুরনো কলকাতা
২৮৪. প্রথমেই পঞ্চম সংস্করণ
২৮৫. ঘুষ
২৮৬. আইনমাফিক
২৮৭. বাঁকা কথা
২৮৮. শিশু বিষয়ে
২৮৯. শব্দকল্পদ্রুম
২৯০. জামাইষষ্ঠী
২৯১. আইরিশ রসিকতা
২৯২. পূজা ও রমণী
২৯৩. প্রতিযোগিতা
২৯৪. টকটক গন্ধ
২৯৫. যানবাহন
২৯৬. রস ও রমণী
২৯৭. অনুভব অথবা ভাল লাগা
২৯৮. রেডিয়ো
২৯৯. রিকশা
৩০০. পরিবার পরিকল্পনা
৩০১. মহিলা মহল
৩০২. লালিমা পাল স্মরণে
৩০৩. বোকার মা
৩০৪. স্থূল ও অস্থূল
৩০৫. দম্পতি, দম্পতী
৩০৬. সাদা রাস্তা কালো বাড়ি
৩০৭. লক্ষপতি
৩০৮. গল্পের গতি
৩০৯. পাকিস্তান
৩১০. ইঁদুর
৩১১. এ হর্স ফর মাই কিংডম
৩১২. হায় ছবি, তুমি শুধু ছবি
৩১৩. প্রজাপতয়ে
৩১৪. একটি উড়ো কাহিনী
৩১৫. সময়জ্ঞান
৩১৬. আমাদের কলের গান
৩১৭. থানা পুলিশ
৩১৮. ভ্রমণকাহিনী (৩)
৩১৯. বয়স বাড়ছে
৩২০. ভুল, ভূল
৩২১. জীবজন্তু
৩২২. ব্যবসা-বাণিজ্য
৩২৩. বিজ্ঞাপন
৩২৪. কবিতার ভাল-খারাপ
৩২৫. জোচ্চোর
৩২৬. বলাই বাহুল্য
৩২৭. গোলমাল
৩২৮. সিনেমা হল
৩২৯. বাসাবাড়ি
৩৩০. তবুও মাতাল
৩৩১. ঢাকঢাক-গুড়গুড়
৩৩২. জলাঞ্জলি
৩৩৩. টাকাপয়সা
৩৩৪. ঘুম (২)
৩৩৫. ওগো বধূ সুন্দরী
৩৩৬. প্রবাসে দৈবের বশে
৩৩৭. তিন পুলিশের গল্প
৩৩৮. দুই শ্রাদ্ধের গল্প
৩৩৯. দুই বাঘের গল্প
৩৪০. ঢাকাই রসিকতা
৩৪১. ওয়ার্ক কালচার
৩৪২. আমি কবি হয়েছিলাম গায়ের জোরে
৩৪৩. যাহা পাই, তাহা চাই না
৩৪৪. পথে পথে কবিতা
৩৪৫. হাং সাং টাঙ্গাইল
৩৪৬. পত্রের উত্তর
৩৪৭. আবার উত্তর
৩৪৮. বিদূষক
৩৪৯. মশা
৩৫০. খাদ্য সমস্যা
৩৫১. বউ কথা কও
৩৫২. শেফালি
৩৫৩. ভালবাসার সন্ধানে
৩৫৪. স্বর্গ যদি কোথাও থাকে
৩৫৫. তারি লাগি যত
৩৫৬. জাহাজ
৩৫৭. স্ত্রী রত্ন
৩৫৮. আদ্যনারায়ণ
৩৫৯. আমার ভাগ্য
৩৬০. পরোপকার
৩৬১. অফিস
৩৬২. ভদ্রলোক
৩৬৩. কাকের মাংস
৩৬৪. স্বর্গ নরক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন