প্রতিযোগিতা

তারাপদ রায়

এ-এস-ডি-এফ-জে কোলন এল-কে-জে-এইচ। টাইপরাইটারে যাঁরা ইংরেজি টাইপ করতে পারেন তাঁরা জানেন যে ওই টাইপরাইটিং মেশিনের কী-বোর্ডে অক্ষরগুলো ইংরেজি বর্ণমালা অনুসারে সাজানো নয়, সেগুলো ব্যবহার ও প্রয়োজন অনুসারে ধাপে ধাপে বাঁয়ে ডাইনে সাজানো। উদ্ধৃত বর্ণগুলি মেশিনের কী-বোর্ডের একটি ধাপ। আমি কিন্তু টাইপ করতে জানি না। তবে টাইপরাইটিং শিক্ষার এই প্রথম ধাপটি আজও আমার মনে আছে, এই ৪৫ বছর পরেও। সেটা ১৯৫১ সাল। গ্রীষ্মকাল। আমি সদ্য ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়েছি, রেজাল্ট বেরবে মাস তিনেক পরে। হারুমামা এসে বাবাকে বললেন, ‘জামাইবাবু, খোকনকে টাইপ শিখতে বলুন। আজকালকার দিনে টাইপ শিখলে চাকরি-বাকরি পাওয়া সহজ।’

‘খোকন’ মানে আমি। তখন পরীক্ষা-শেষে দীর্ঘ ছুটিতে খাই-দাই, ঘুরে বেড়াই। সকালবেলা কিছুক্ষণ কালীপণ্ডিতের টোলে যাই সংস্কৃত পড়তে, সেটা সংস্কৃত শেখার আগ্রহে নয়, কালীপণ্ডিত ছাত্রপ্রতি কিছু সরকারি বৃত্তি পান, তাই তাঁর সাহায্যার্থে বাবার তাগিদে সংস্কৃত শিক্ষার চেষ্টা। হারুমামার কথা বিস্তারিত বলার কিছু নেই। তিনি এই খণ্ড রচনার সূত্রপাত কাহিনীর নায়কমাত্র। আমার ক্ষেত্রে খলনায়ক। পাকিস্তানি পূর্ববঙ্গে আমাদের ছোট শহরের বাড়ির গলির মুখে তাঁর শ্বশুরবাড়ির বৈঠকখানাঘরে হারুমামা টাইপরাইটিং স্কুল করেছিলেন৷ ‘দি গ্রেট বেঙ্গল কমার্শিয়াল কলেজ’ নাকি কী যেন নাম দিয়েছিলেন সেই শিক্ষালয়ের। পরে অবশ্য, বোধহয় রাজনৈতিক কারণেই তিনি নামটা বদল করেছিলেন বলে মনে পড়ছে, বোধহয় এবার নামকরণ হয়েছিল ‘টাঙ্গাইল কমার্শিয়াল কলেজ।’

তা সেই টাইপরাইটিং স্কুলে ভর্তি হয়ে আমি টাইপ শিখতে লাগলাম, বলা উচিত, প্রবল উৎসাহে টাইপ করতে শেখায় উদ্যোগী হলাম। দুঃখের বিষয়, আমার অন্যান্য বহু প্রচেষ্টার মতোই জীবনে সফল হওয়ার এই প্রচেষ্টাও অচিরেই বাধাপ্রাপ্ত হল।

তখনও টাইপশিক্ষার প্রথম দফাতেই আটকিয়ে আছি অর্থাৎ মাত্র কয়েকদিন হয়েছে। ওই সামান্য শব্দসম্ভারেই আবদ্ধ থেকে দৈনিক একশোবার গ্ল্যাড (Glad) এবং দু’শো বার স্যাড (Sad) শব্দটি তৈরি করছি। তবে টাইপমেশিনগুলো ছিল ঝরঝরে, অতি রদ্দি তথা পুরনো, কোনও কোনওটি অতিকায় আয়তনের, বোধহয় টাইপরাইটার প্রচলিত হওয়ার প্রথম যুগের জার্মান মডেলের। ওই সুদূর মফস্বলে অতগুলো জরাজীর্ণ টাইপরাইটার কী করে সংগ্রহ করেছিলেন হারুমামা সে বিষয়ে আমার কোনও ধারণা নেই।

এই স্যাড-গ্ল্যাড করতে করতে একদা আমার বাঁ হাতের তর্জনী জি অক্ষরটির গোল গর্তে আটকে গেল। টাইপমেশিনের ওই জি অক্ষর-সহ অন্যান্য বহু অক্ষরচিহ্ন বহু আগেই বিলুপ্ত হয়েছিল। সেখানে পিচবোর্ডে এই আকারে গোল করে অক্ষর লিখে সেঁটে দেওয়া ছিল। তার ফাঁক দিয়ে আঙুল গলে যাওয়াতেই এই বিপত্তি।

আঙুল তো আটকিয়ে গেল, সে আর খোলে না। পরে সেই টাইপরাইটার শূন্যে তুলে অনেক কসরত করে তর্জনী উদ্ধার হয়। এ গল্প আর বাড়িয়ে লাভ নেই। হারুমামার স্কুলে আমার টাইপ-শিক্ষার ওখানেই ইতি। জীবনে আর টাইপ শিখিনি, টাইপ মেশিন দেখলেই এখনও কেমন একটা আতঙ্ক হয়। টাইপ না শেখায় আমার কি কোনও ক্ষতি হয়েছিল? টাইপ না শিখেই একটা জীবন, পঁয়ত্রিশ বছরের সরকারি চাকরিসহ, মোটামুটি ভালই কাটিয়ে দিয়েছি। অফিসের কাজকর্মে টাইপ করার প্রয়োজনে টাইপিস্টরা ছিলেন। আর ব্যক্তিগত প্রয়োজনে রাস্তাঘাটে টাইপ করিয়ে নিয়েছি। আগে চার আনা, ছয় আনায় হয়ে যেত, এখন গোটা পাঁচেক টাকা লাগে। আর এ রকম টাইপিস্ট কেমন সহজলভ্য, প্রত্যেক পাড়াতে, প্রত্যেক রাস্তার মোড়ে খোঁজ করলেই পাওয়া যায়। আসলে আমার নিজের কোনও ব্যক্তিগত সাহায্যের জন্য টাইপ-শিক্ষার কথা হারুমামা বলেননি, তাঁর বক্তব্য ছিল টাইপ শিখলে চাকরি পাওয়া সোজা হবে।

এবার চাকরিটার কথা ভাবা যাক। চাকরিটা হল টাইপিস্টের চাকরি। বলতে গেলে নিয়মমাফিক ইনক্রিমেন্ট ছাড়া সারাজীবনে কোনও উন্নতি নেই। যোগ্যতার কোনও সুবিচার নেই। ইংরেজিতে যাকে ‘হোয়াইট কলার জব’ অর্থাৎ বাবুপেশা বলে তারই সর্ব নিম্নস্তরের জীবিকা। সারাদিন ঘাড় গুঁজে, মেরুদন্ড বাঁকা করে পরিশ্রম। নিজের ব্যক্তিত্ব প্রকাশের কোনও সুযোগ নেই। মেধা বিকাশের প্রশ্ন তো আসেই না। তা হলে ব্যাপারটা কী হল?

এক চোদ্দো-পনেরো বছরের নাবালকের মনে যে উচ্চাশার বীজটি বপন করার চেষ্টা হয়েছিল, সেই উচ্চাশাটি বস্তুত একটি টাইপিস্টের চাকরি পাওয়া।

শুধু আমার ক্ষেত্রেই এমন হয়েছিল, একথা বলতে পারব না। সেই সময়ে শহরে-নগরে, গ্রামে-গঞ্জে পাড়ায় পাড়ায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছিল টাইপ-স্কুল। হাজার হাজার হারুমামা লক্ষ লক্ষ নাবালককে টাইপিস্ট হওয়ার স্বপ্নে দীক্ষিত করেছিলেন। যার অন্য কিছু যোগ্যতা নেই, কোনওরকমে মাধ্যমিক পাশ করেছে, সে যদি টাইপ শিখে কাজ পায় সে তো ভালই। কিন্তু সেজন্য গলিতে গলিতে টাইপ স্কুলের দরকার নেই। অত টাইপিস্টের চাকরি সংসারে নেই, যেমন দরকার নেই অতি হাল আমলের প্রথম বর্ষায় হঠাৎ আগাছার মতো সর্বত্র গজিয়ে ওঠা কম্পিউটার শিক্ষালয়গুলোর। এত ছেলেমেয়ে কম্পিউটার শিখে কী কাজ পাবে? সম্পূর্ণ কম্পিউটার-নির্ভরশীল অফিস সারা কলকাতায় বা পশ্চিমবঙ্গে ক’টা আছে? ব্যক্তিগত প্রয়োজনে পার্সোনাল কম্পিউটার ব্যবস্থা করার আর্থিক সামর্থ্যই বা কয়জনের আছে? কম্পিউটার শিখে লাভ নেই, এই বিজ্ঞানের যুগে এমন মূর্খের মতো একথা বলব না। কিন্তু যারা শিখছে, শেখার পরে দীর্ঘদিন অনভ্যাসে এবং চর্চার অভাবে তাদের অনেকেরই অধীত জ্ঞান ঝাপসা হয়ে আসবে। জীবিকার কোনও কাজে লাগবে না। এর চেয়ে অনেক ভাল হত যদি এই সময়টা তারা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যয় করত। এরই পাশাপাশি অন্য আর একটি ব্যাপার এই সূত্রে ভেবে দেখা যাক। ছেলেরা মাধ্যমিক পাশ করার পরে অভিভাবকেরা ছেলেকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াবেন, তা সে যে ধরনের ছাত্রই হোক। অভিভাবকবৃন্দ এ ব্যাপারে নাছোড়বান্দা। সবাই বিজ্ঞানে সুবিধা করতে পারবে না, সবাই ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার হবে না, হতে পারবেও না। অথচ সাহিত্য বা দর্শন, ইতিহাস বা রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ভাল ফল করলে জীবিকার সুবিধে হত।

বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার ক্লাসে ভর্তির জন্য কী পরিমাণ হুড়োহুড়ি হয়, তদ্বির হয়—সেটা কারও অজানা নয়। কিন্তু বছরে কতজন নতুন সাংবাদিকের চাকরি হওয়া সম্ভব? তা ছাড়া সাংবাদিকতার ডিপ্লোমা থাকলেই সংবাদপত্র চাকরি দেয় না। আবার ডিপ্লোমা না থাকলেও সাংবাদিকের চাকরি হয়। প্রার্থীর সাংবাদিকতার যোগ্যতা আছে কিনা, সে কতটা বুঝমান, সে কেমন লিখতে পারে, সাংবাদিকতার ডিপ্লোমার ক্ষেত্রে এগুলিই প্রধান বিবেচ্য। তেমনই শত শত উচ্চশিক্ষিত, মেধাবী ছেলেমেয়ে ভালভাবে এম এ পাশ করার পর বছরের পর বছর এম-ফিল করছে, ডক্টরেট করছে। কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়ে অধ্যাপনার চাকরির চেষ্টা করছে।

ভাল ছাত্ররা গবেষণা করবে না, ডক্টরেট করবে না, অধ্যাপনা করবে না—সেকথা বলছি না। কিন্তু তাদের সকলের জন্যে অধ্যাপনার চাকরি হবে না। দূর ভবিষ্যতেও অধ্যাপনার বৃত্তি জোটা সকলের ক্ষেত্রে অসম্ভব। ইতিমধ্যে ডক্টরেট বেকারের প্রজন্ম শুরু হয়ে গেছে। রসিকতা নয়, এ হল নির্মম সত্য। যত ডক্টরেট হচ্ছে তত অধ্যাপকের শূন্য পদ দেশে নেই। বছরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত বিভাগ মিলিয়ে কয়েকশো ছেলেমেয়ে প্রথম শ্রেণীতে এম এ পাশ করে, তা সত্ত্বেও তাদের সকলের জন্য অধ্যাপনার কেন, শিক্ষকতার পদও হয়তো জুটবে না। অথচ সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলো রয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের, জীবনবিমার প্রথম শ্রেণীর পদগুলোর জন্য পরীক্ষা রয়েছে। বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে এবং জাতীয় বৃহৎ ব্যবসায় সংস্থাগুলিতেও উচ্চপদে সরাসরি নিয়োগ করা হয় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। তা ছাড়া রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বাৎসরিক পরীক্ষা রয়েছে উচ্চপদস্থ কর্মচারী নিয়োগের জন্য। এম ফিল বা ডক্টরেট করতে যতটা পড়াশোনা ও অভিনিবেশের প্রয়োজন হয় তার চেয়ে বেশি পরিশ্রম, বেশি মনোযোগী হওয়ার দরকার পড়ে না প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য।

আসলে যেটা অভাব সেটা প্রতিযোগিতার মনোভাবের। এই মনোভাব ছোটবেলা থেকে গড়ে ওঠা উচিত। মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে অভিভাবকেরা যতটা বিচলিত হয়ে পড়েন, তার এক চতুর্থাংশ পরিমাণ উদ্দীপনা যদি ছেলেমেয়ের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ব্যাপারে দেখান, সুফল অনেক বেশি পাওয়া যাবে।

একজন উচ্চ বা মাঝারি মানের ছাত্রের পক্ষে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে ভাল চাকরি পাওয়া কঠিন কিছু নয়। প্রায় সব চাকরির পরীক্ষাতেই একাধিকবার, তিনবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকে, ইচ্ছে করলে ঘষেমেজে ছাত্র নিজেই নিজেকে ঠিক করে নিতে পারে। তবে ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা থাকা চাই, চেষ্টাও চাই। যারা চিনেবাদাম বা ত্রিফলার চাটনি বেচে, তাদের মতো সীমিত আকাঙ্খার গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়ে থাকলে কোনও লাভ নেই।

কিছুকাল ধরে একটা নতুন ধরনের হীনম্মন্যতা দেখা দিয়েছে। সেটা হল ইংরেজি ভাষায় জ্ঞানের অভাব বা কথা বলতে না পারা নিয়ে। স্বভাবতই যারা বাংলা স্কুল থেকে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছয় তারা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছেলেমেয়েদের বোলচাল, চাকচিক্য দেখে একটা কেমন যেন হকচকিয়ে যায়। সেই হিন্দি বলয়ে যাকে পিছডিবর্গ না কী যেন বলে, সেইরকম একটা শ্রেণীবিভাগ আর কী! এ প্রসঙ্গ অবশ্য বহু-আলোচিত। এ বিষয়ে আমার আর আলাদা করে কিছু বলার নেই। তবে একটা ঝকঝকে নতুন গল্প বলব।

তার আগে হীনম্মন্যতার প্রসঙ্গটা একটু ছুঁয়ে যাই। প্রথমত চেহারা নিয়ে অনেকে মাথা ঘামায়। তেইশ-চব্বিশ বছরের বাঙালি যুবক, সে রকম লম্বা নয়, সে রকম ফর্সা নয়, মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলে, হয়তো গলার কণ্ঠা ফুটে আছে, হয়তো দাঁত উঁচু, সে আয়নায় দাড়ি কামানোর সময় নিজেকে দৈনিক খুঁটিয়ে দেখে, সে ভাবতেই পারে আমাকে কি ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ সাহেব হিসাবে মানাবে? এই চেহারা নিয়ে পার পাব না, চাকরির পরীক্ষাতে উতরিয়ে গেলেও ইন্টারভিউয়ের সময় বাদ পড়ে যাব। যত সব বাজে চিন্তা! সিনেমায় দূরর্শনে রাজপুরুষদের যেমন চেহারা হয়, ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব বা পুলিশ সাহেব যেমন দেখতে হয়, তার সঙ্গে বাস্তবের তেমন মিল নেই। অধিকাংশেরই সাধারণ চেহারা, দু’-একজন সুপুরুষ বা সুন্দরী অবশ্যই আছে, আবার মড়াখেকো চেহারার আমলারও অভাব নেই। সাক্ষাৎকারের সময় চেহারা একটু কাজে লাগে বইকি, কিন্তু সেটাই সব নয়। বুদ্ধিমান মানুষের চেহারা নিয়ে লোকে একটা খুব মাথা ঘামায় না, ইন্টারভিউ বোর্ডের প্রবীণ সদস্যরাও ঘামাবেন না।

আর একটা কথা, বড় চাকরির সাক্ষাৎকার ঠিক প্রশ্নোত্তর-পর্ব নয়। এক ধরনের আলোচনা সভার মতো। যেখানে বেশি বোলচাল না দেখিয়ে একটু গোছগাছ করে কথা বলতে পারলেই বেশি উপকার। সব জিনিস জানতে হবে, জানা থাকবে এমন কোনও কথা নেই, কিন্তু যতটুকু জানা আছে সে ব্যাপারে মনের ভাব পরিচ্ছন্ন করে প্রকাশ করতে পারলে লাভ হবে।

এরপর শিক্ষাগত যোগ্যতার কথায় আসি। একথা সত্যি যে, সর্বভারতীয় এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষায় যারা ভাল ফল করে তাদের অনেকেই নামকরা ভাল ছাত্র। কিন্তু একথাও ঠিক যে, বহু সাধারণ বা মাঝারি মানের ছাত্র-ছাত্রীও এ রকম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, ভাল ফল করে ভাল চাকরি পায়। সাধারণত শিক্ষাগত নিম্নতম যোগ্যতা স্নাতক হলেই চলে। সেজন্য অনার্স বা এম এ হওয়ার দরকার নেই। প্রথম শ্রেণীরও দরকার নেই। নেহাত সাদামাটা স্নাতক—যদি তার লেখাপড়ার ভিত শক্ত থাকে—ঠিক বিষয় নির্বাচন করে বি এ পরীক্ষা পাশ করার জন্য যে পরিশ্রম করেছে, সম পরিমাণ পরিশ্রম করলে ভাল ফল অবশ্যই পাবে।

এসব ব্যাপারে ভাগ্য-টাগ্য তেমন কাজে লাগে না, যা কাজে লাগে তা হল ঠিক মনোযোগ এবং তৎসহ অধ্যবসায়, সেই সঙ্গে ইংরেজিটা একটু রপ্ত করতে হবে। সেটা চলনসই হলেও চলবে। উপদেশ দেওয়া আমার ধাতে সয় না। বুঝতে পারছি বক্তৃতাবাজি বেশি হয়ে গেল। অবশেষে পূর্ব প্রতিশ্রুতিমতো ইংরেজি মাধ্যম, যাকে বলে ইংলিশ মিডিয়াম-সংক্রান্ত একটি আনকোরা গল্প বলে এই নিবন্ধ বন্ধ করছি।

এ ভারী দুঃখের গল্প। গভীর রাতে বাড়িতে শোওয়ার ঘরের গরাদ ভেঙে চোর ঢুকেছিল। সে তার বুদ্ধিমতো নিঃশব্দে কাচ হাসিল করছিল। কিন্তু হঠাৎ দরজা ভেবে দেওয়াল আয়নার মধ্যে দিয়ে ঢুকতে গিয়ে কাচ ভেঙে রক্তারক্তি হয়ে সে আর্ত চিৎকার করে ওঠে এবং তারই পরিণতিতে বাড়ির লোকেদের হাতে সে বন্দি অথবা গ্রেফতার হল। থানায় ফোন করা হল, দারোগাবাবুও এলেন—

কিন্তু চোরকে দেখে সবাই তাজ্জব! এ কী রকম চোর? নওল কিশোর! রোগা ছিমছাম, অনেক পাকা চোরের এ রকম চেহারা হয়। কিন্তু এর গলায় নেকটাই। নেকটাই গলায় বেঁধে কেউ চুরি করতে বেরোয়? জেরা করে তার কাছে যা জানা গেল তা খুবই মর্মান্তিক। ছেলেটি একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ড্রপ-আউট। এখন চুরি করে বেড়াচ্ছে।

শিশুকাল থেকে সে সারাদিন টাই পরে থাকায় অভ্যস্ত। স্কুলের ইউনিফর্মে গলায় নেকটাই-সহ সাজিয়ে তার মা তাকে অতি সকালবেলায় স্কুলবাসে তুলে দিত। বিশ্বসংসার পাক খেয়ে ঘন্টা তিনেক ধরে সেই বাস স্কুলে পৌঁছত। তারপর আবার বিকেলে ঘন্টা তিনেক পাক খেয়ে সন্ধ্যায় ছেলেটি বাড়ি ফিরত, সারাটা দিন গলায় টাই শক্ত করে বাঁধা।

সেই থেকে অভ্যেস হয়ে গেছে। গলায় টাই শক্ত করে বাঁধা না থাকলে সে কোনও কাজ করতে পারে না, অসহায় বোধ করে। তাই চুরি করার সময়েও টাই পরে বেরিয়েছে। এই নেকটাই পরিহিত চোরের গল্প তাদের জন্য যারা ইংরিজি শিক্ষার অভাবে হীনম্মন্যতায় ভুগছে।

কিছুই আসে যায় না। চলনসই শুদ্ধ ইংরেজি রপ্ত করতে একজন স্নাতকের খুব অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। উত্তরপত্র যখন ইংরেজিতে লেখা ছাড়া উপায় নেই, শুদ্ধ ইংরেজি শিখতেই হবে। সাধারণ জ্ঞান একটু বাড়াতে হবে। এর জন্য বই না পড়ে মনোযোগ দিয়ে খবরের কাগজ পড়লে কাজে লাগবে। তবে প্রতিযোগিতায় সফল হতে প্রথমত চাই পরিশ্রম করার ইচ্ছা, অন্তত কয়েক মাসের জন্য। সেইসঙ্গে নৈরাশ্যের, হীনম্মন্যতার ভাব ছাড়তে হবে। তবে সবার উপরে চাই উচ্চাশা, সফল হওয়ার প্রবল ইচ্ছা।

সকল অধ্যায়

১. চুরিবিদ্যা
২. নৈশকাহিনী
৩. কালীঘাটের পাখা
৪. ডাকাতের হাতে
৫. পদ্মাসন
৬. শিশুশিক্ষা (১)
৭. ঘুম (১)
৮. পাগলের কাণ্ডজ্ঞান
৯. পদবি ও নাম
১০. ছারপোকার এপিটাফ
১১. ভাগ্যফল
১২. বিশেষজ্ঞ
১৩. ছাতা
১৪. র‍্যাডিস উইথ মোলাসেস
১৫. ঘড়ি
১৬. দরজি
১৭. সংখ্যাতত্ত্ব
১৮. মাতালের কাণ্ডজ্ঞান
১৯. ভূতের কাণ্ডজ্ঞান
২০. বানরের কাণ্ডজ্ঞান
২১. কিঙ্কর-কিঙ্করী
২২. ডাক্তার-ডাক্তার
২৩. দাঁত
২৪. টেলিফোন
২৫. আমি কীরকমভাবে
২৬. মন মোর মেঘের সঙ্গী
২৭. ভ্রমণকাহিনী (১)
২৮. প্রসূতি সদন
২৯. নিজের ওজন নিজে বুঝুন
৩০. জীবজন্তুর কথা
৩১. গোরু (১)
৩২. প্রিয়তমাসু
৩৩. অভিনয় নয়
৩৪. ইঁদুর ও মদিরা
৩৫. টর্চলাইট
৩৬. রং
৩৭. লিফট
৩৮. মদমত্ত
৩৯. সুচিকিৎসা
৪০. অচলার প্রেম
৪১. শেষ পরকীয়া
৪২. তালা
৪৩. কুকুর-কুকুর
৪৪. গোপাল ভাঁড়
৪৫. জগৎপারাবারের তীরে
৪৬. হিন্দি
৪৭. রেফ্রিজারেটর
৪৮. কৃষ্ণকান্ত এবং…
৪৯. মাতাল রহস্য
৫০. আবার মনে মনে
৫১. শেষের সেদিন
৫২. ভবসিন্ধু
৫৩. রবীন্দ্রনাথ
৫৪. …বাচ্চা
৫৫. কুকুর কুণ্ডলী
৫৬. হে মাতাল, অমোঘ মাতাল
৫৭. শিশুপাল
৫৮. ভোজনালয়
৫৯. বাড়ি ভাড়া
৬০. হায় ছবি
৬১. জীবনবিমা
৬২. কোন বাণিজ্যে
৬৩. ডাক্তারের হাতে
৬৪. অঘটন আজও ঘটে
৬৫. সুপরামর্শ
৬৬. পুলিশ
৬৭. ফাঁদ পাতা ভুবনে
৬৮. ধরা পড়েছে দু’জনে
৬৯. রুপোলি পর্দার অন্তরালে
৭০. পিয়ো হে পিয়ো
৭১. ও চাঁদা চোখের জলে
৭২. দামদর
৭৩. মিথ্যা কথা
৭৪. কে কোথা ধরা পড়ে
৭৫. সময়
৭৬. হায় কবি, তুমি শুধু কবি
৭৭. রোগীর বন্ধু
৭৮. রসুন
৭৯. রসিকতা
৮০. স্বর্গ
৮১. দুর্ঘটনার আগে ও পরে
৮২. পণ্ডিত
৮৩. সমস্যা
৮৪. স্বেচ্ছাসেবক
৮৫. বক্তা ও বক্তৃতা
৮৬. আবার বক্তৃতা
৮৭. কলিংবেল
৮৮. ঈশ্বর সমীপে
৮৯. জীব জগতের আজব কথা
৯০. তামাক
৯১. আবার তামাক
৯২. রোগী কাহিনী
৯৩. নরখাদকের কাহিনী
৯৪. আয় শীত, যায় শীত
৯৫. ঘটি-বাঙাল
৯৬. চিড়িয়াখানায়
৯৭. সমান-সমান
৯৮. স্মৃতির খেয়া
৯৯. অচলপত্র
১০০. সচিত্র ভারত
১০১. রাম ও রামকৃষ্ণ
১০২. কৃষ্ণ ও রামকৃষ্ণ
১০৩. স্বপ্ন ও রমণী
১০৪. অবাঞ্ছিত আতিশয্য
১০৫. যা দেবী সর্বভূতেষু
১০৬. মরণ রে
১০৭. ধৈর্যের পরীক্ষা
১০৮. ভুল (১)
১০৯. গল্পের গোরু
১১০. কাজের মেয়ে
১১১. বইমেলা
১১২. স্ত্রী
১১৩. প্রথম কোকিল
১১৪. দ্বিতীয় কোকিল
১১৫. তৃতীয় কোকিল
১১৬. অমল ধবল পালে
১১৭. স্বামী-স্ত্রী ইত্যাদি
১১৮. চিকিৎসা
১১৯. ভূত ও রিপোর্টার
১২০. হাঁচির গল্প
১২১. ভাষা-ভাষা
১২২. বালুকা ডাকিনী
১২৩. ফুটবল
১২৪. প্রশ্নোত্তর
১২৫. অসম্ভব
১২৬. রসিকতার উৎস সন্ধানে
১২৭. ডাক্তারবাবু নমস্কার
১২৮. আত্মনেপদী
১২৯. ভাগলপুরের পাঞ্জাবি
১৩০. পুজোর বাজার
১৩১. অপমান
১৩২. জীবজন্তু (১)
১৩৩. পুজোর ছুটি
১৩৪. ক্রিমিনাল
১৩৫. রবিবারের মহাভারত
১৩৬. আইনের আঙিনায়
১৩৭. বুদ্ধি
১৩৮. শাশুড়ি
১৩৯. দেয়া-নেয়া
১৪০. হে হিসাব
১৪১. মাছ (১)
১৪২. কুসংস্কার
১৪৩. জুয়া (১)
১৪৪. এসো বসি আহারে
১৪৫. শুভ নববর্ষ
১৪৬. রমণী সমাজে
১৪৭. স্বপ্ন
১৪৮. কলকাতা তিনহাজার তিনশো
১৪৯. আবার বইমেলা
১৫০. এক সর্দারের গল্প (১)
১৫১. এক সর্দারের গল্প (২)
১৫২. এক সর্দারের গল্প (৩)
১৫৩. জল
১৫৪. শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন
১৫৫. গাধা
১৫৬. হাওয়াই
১৫৭. সুনন্দর জার্নাল
১৫৮. সরস কলকাতা
১৫৯. সরস কবিতা
১৬০. স্টুপিডেস্ট
১৬১. অবনী, বাড়ি আছো?
১৬২. জুয়া (২)
১৬৩. সময়ের হিসেব
১৬৪. কেনাকাটা: জুতো
১৬৫. ভেজা চপ্পল
১৬৬. জয়বাবা শান্তিনাথ
১৬৭. টেলিফোন
১৬৮. পরিশেষে
১৬৯. জনগণের জোক!
১৭০. মকারান্ত
১৭১. কয়েকটি প্রশ্ন
১৭২. খাওয়া-দাওয়া
১৭৩. বলাবাহুল্য
১৭৪. শরৎচন্দ্র এবং রসিকতা
১৭৫. পৃথিবী
১৭৬. সুখের লাগিয়া
১৭৭. অন্দর মহলে
১৭৮. জোক বুক
১৭৯. সান্টা, বান্টা
১৮০. সরল শৈশব
১৮১. কথা বলার বিপদ
১৮২. সিগারেট
১৮৩. পাটিগণিত
১৮৪. গ্রন্থবার্তা
১৮৫. প্রেমিক-প্রেমিকা
১৮৬. ডাক্তারবাবু
১৮৭. বধূমাতা
১৮৮. কেনাবেচা
১৮৯. বালিশ
১৯০. আপ রুচি খানা
১৯১. কাণ্ডজ্ঞান
১৯২. দুর্ঘটনা
১৯৩. বিজনের রক্তমাংস
১৯৪. বিলিতি বিয়ার-পাব
১৯৫. রাজনীতি
১৯৬. চপলতা
১৯৭. বাগ্বিধি
১৯৮. মশা ও লবণহ্রদ
১৯৯. যদ্দৃষ্টং
২০০. বয়েস বাড়ছে
২০১. ধানাই-পানাই
২০২. আমপাতা জোড়া-জোড়া
২০৩. ভ্রমণকাহিনী (২)
২০৪. হাস্যকবি সম্মেলন
২০৫. মুড়ি-মিছরি
২০৬. গণ্ডারের দুধ
২০৭. তৈজসপত্র
২০৮. পুলিশ
২০৯. গোরু
২১০. অণুনাটিকা
২১১. যদিদং হৃদয়ং
২১২. এমন বাদল দিনে
২১৩. ফাঁসি
২১৪. লেপ
২১৫. ব্যাটবল
২১৬. স্বপ্ন
২১৭. বড়দিন
২১৮. ধনীরাম
২১৯. ব্যাঙ্ক
২২০. জাহান্নাম
২২১. ইতিহাস
২২২. লুঙ্গি
২২৩. সেই বই
২২৪. ধ্বংসের মুখোমুখি
২২৫. ফুরসতনামা
২২৬. পোড়া বই
২২৭. বার্তাকু ভক্ষণ বিল
২২৮. অ্যালেন গিনসবার্গ
২২৯. প্যাঁচ
২৩০. শিশুশিক্ষা (২)
২৩১. লেখাপড়া
২৩২. ডেটলাইন শান্তিনিকেতন
২৩৩. যেভাবে গল্প তৈরি হয়
২৩৪. হায় ভীরু প্রেম
২৩৫. মাতালের গল্প
২৩৬. মনের কথা
২৩৭. চিনা-অচিনা
২৩৮. কয়েকটি অবিশ্বাস্য রসিকতা
২৩৯. মনের চিকিৎসা
২৪০. কান্তকবি
২৪১. জ্যোতিষী
২৪২. আবার জ্যোতিষী
২৪৩. পথের ভিখিরি
২৪৪. গুরু-শিষ্য সংবাদ
২৪৫. ভুলোমন স্বামী
২৪৬. বই চুরি
২৪৭. ফিলমি-ফিলমি
২৪৮. চার্চিল
২৪৯. পঞ্জিকা
২৫০. নিমন্ত্রণ
২৫১. মাছ (২)
২৫২. জানোয়ার
২৫৩. তুমি যে আমার
২৫৪. সৈয়দ মুজতবা আলি
২৫৫. ধারদেনা
২৫৬. শিবরাম চক্রবর্তী
২৫৭. যাচ্ছেতাই লেখা লিখছি
২৫৮. দুর্বৃত্তের শাসানি
২৫৯. নিজের কোট খুলতে পারে না
২৬০. ভোজসভা শেষে বক্তৃতা
২৬১. শুধু পাঠিকারা চিঠি লেখে
২৬২. পাসপোর্ট ফোটোর মতো
২৬৩. আগে পাঁচ ডলারে, এখন?
২৬৪. এত বুড়ো হব নাকো
২৬৫. অপ্রত্যাশিত
২৬৬. গরমের পাখা মাঘ মাসে
২৬৭. বাংলায় কেন হয় না
২৬৮. মধ্যযুগ
২৬৯. শিলিগুড়ি
২৭০. সেদিন বেঙ্গল ক্লাবে
২৭১. বেয়ারা
২৭২. এত কঠিন অঙ্ক
২৭৩. বাড়িওয়ালা
২৭৪. সুনীলের সঙ্গে
২৭৫. পুলিশ এবং রবীন্দ্রসংগীত
২৭৬. দিশি-বিলিতি পুলিশের বৃত্তান্ত
২৭৭. রসলক্ষ্মীর সাধনা
২৭৮. জানলা পড়ল মাথায়
২৭৯. সেদিনের চুম্বনের পরে
২৮০. হাসির উপন্যাস
২৮১. ভুল (২)
২৮২. মহিলা কবিরা
২৮৩. পুরনো কলকাতা
২৮৪. প্রথমেই পঞ্চম সংস্করণ
২৮৫. ঘুষ
২৮৬. আইনমাফিক
২৮৭. বাঁকা কথা
২৮৮. শিশু বিষয়ে
২৮৯. শব্দকল্পদ্রুম
২৯০. জামাইষষ্ঠী
২৯১. আইরিশ রসিকতা
২৯২. পূজা ও রমণী
২৯৩. প্রতিযোগিতা
২৯৪. টকটক গন্ধ
২৯৫. যানবাহন
২৯৬. রস ও রমণী
২৯৭. অনুভব অথবা ভাল লাগা
২৯৮. রেডিয়ো
২৯৯. রিকশা
৩০০. পরিবার পরিকল্পনা
৩০১. মহিলা মহল
৩০২. লালিমা পাল স্মরণে
৩০৩. বোকার মা
৩০৪. স্থূল ও অস্থূল
৩০৫. দম্পতি, দম্পতী
৩০৬. সাদা রাস্তা কালো বাড়ি
৩০৭. লক্ষপতি
৩০৮. গল্পের গতি
৩০৯. পাকিস্তান
৩১০. ইঁদুর
৩১১. এ হর্স ফর মাই কিংডম
৩১২. হায় ছবি, তুমি শুধু ছবি
৩১৩. প্রজাপতয়ে
৩১৪. একটি উড়ো কাহিনী
৩১৫. সময়জ্ঞান
৩১৬. আমাদের কলের গান
৩১৭. থানা পুলিশ
৩১৮. ভ্রমণকাহিনী (৩)
৩১৯. বয়স বাড়ছে
৩২০. ভুল, ভূল
৩২১. জীবজন্তু
৩২২. ব্যবসা-বাণিজ্য
৩২৩. বিজ্ঞাপন
৩২৪. কবিতার ভাল-খারাপ
৩২৫. জোচ্চোর
৩২৬. বলাই বাহুল্য
৩২৭. গোলমাল
৩২৮. সিনেমা হল
৩২৯. বাসাবাড়ি
৩৩০. তবুও মাতাল
৩৩১. ঢাকঢাক-গুড়গুড়
৩৩২. জলাঞ্জলি
৩৩৩. টাকাপয়সা
৩৩৪. ঘুম (২)
৩৩৫. ওগো বধূ সুন্দরী
৩৩৬. প্রবাসে দৈবের বশে
৩৩৭. তিন পুলিশের গল্প
৩৩৮. দুই শ্রাদ্ধের গল্প
৩৩৯. দুই বাঘের গল্প
৩৪০. ঢাকাই রসিকতা
৩৪১. ওয়ার্ক কালচার
৩৪২. আমি কবি হয়েছিলাম গায়ের জোরে
৩৪৩. যাহা পাই, তাহা চাই না
৩৪৪. পথে পথে কবিতা
৩৪৫. হাং সাং টাঙ্গাইল
৩৪৬. পত্রের উত্তর
৩৪৭. আবার উত্তর
৩৪৮. বিদূষক
৩৪৯. মশা
৩৫০. খাদ্য সমস্যা
৩৫১. বউ কথা কও
৩৫২. শেফালি
৩৫৩. ভালবাসার সন্ধানে
৩৫৪. স্বর্গ যদি কোথাও থাকে
৩৫৫. তারি লাগি যত
৩৫৬. জাহাজ
৩৫৭. স্ত্রী রত্ন
৩৫৮. আদ্যনারায়ণ
৩৫৯. আমার ভাগ্য
৩৬০. পরোপকার
৩৬১. অফিস
৩৬২. ভদ্রলোক
৩৬৩. কাকের মাংস
৩৬৪. স্বর্গ নরক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন