প্রসূতি সদন

তারাপদ রায়

শ্রীমান কখগ আজ সকালেই পিতৃত্বের গৌরবান্বিত পদে উন্নীত হয়েছেন। তাঁর স্ত্রী শ্রীমতী অআ কলকাতার একটি নার্সিংহোমে একটি সুস্থ সাড়ে আট পাউন্ড বলবান পুত্র-সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। প্রসূতি ও নবজাতক দু’জনেই চমৎকার। কোনও গোলমাল নেই। আত্মীয়স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধবী বিকেল থেকে ভিড় করে শ্রীমতী অআকে এবং সদ্যোজাত শিশুপুত্রটিকে দেখতে এসেছে। রীতিমতো আনন্দ-উৎসব। একটু আগে সাতটা বাজতে নার্সিংহোমের বিদায় ঘন্টা বেজেছে। কিছুটা বিলম্বিত লয়ে হলেও সবাই ধীরে ধীরে বেরিয়ে গেছে। প্রত্যেককে শ্রীমান কখগ মোড় পর্যন্ত এগিয়ে দিয়েছেন। শেষ দলটিকে ট্রামে তুলে দিয়ে সন্তর্পণে শ্রীমান কখগ নার্সিংহোমে ফিরে এসেছেন। তারপর সদর দরজায় দারোয়ানকে দুটি টাকা বকশিস দিয়ে দোতলায় শ্রীমতী অআ-র কেবিনে চলে এসেছেন। তারপর আবার দু’টাকা খরচ। রাতের আয়াকে বকশিস দিয়ে অনুরোধ করলেন বাচ্চাকে একটু নিয়ে আসতে।

বাচ্চাটি এল। শ্রীমতী অআ একটু কষ্ট করে খাটে হেলান দিয়ে বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে বসলেন। শার্টের পকেট থেকে বাজারের ফর্দের মতো একটা লম্বা তালিকা বার করলেন শ্রীমান কখগ। এরপরে আরম্ভ হল তালিকা মেলানো। একটি মনুষ্য-শিশুর শরীরের সমস্ত বিবরণ রয়েছে সেই তালিকায়। শ্রীমান একটি করে আইটেম বলেন আর শ্রীমতী সেটা মেলান, সঙ্গে সঙ্গে টিক পড়ে ফর্দে। মাথা এক, কান দুই, নাক এক, নাকের ফুটো দুই, চোখ দুই, মুখ এক, জিব এক। এইভাবে নামতে নামতে বাঁ হাত এক, বাঁ হাতে আঙুল পাঁচ, ডান হাত এক, ডান হাতে আঙুল পাঁচ। সর্বশেষে গোড়ালি দুই, চৌষট্টি দফায় এই ফর্দে আগাগোড়া যখন টিক পড়ল, শ্রীমান কখগ-শ্রীমতী অআ নিশ্চিন্ত হলেন, ‘না, সবই ঠিকঠাক মিলেছে। তাঁদের সন্তান পুরোপুরিই জন্মেছে। কোনও খুঁত-টুঁত নেই।’ একটা পাষাণভার নেমে গেল দু’জনারই বুক থেকে।

এই দুশ্চিন্তা কিন্তু কখগ-অআ দম্পতির নিজস্ব নয়। প্রতিটি দম্পতিরই অন্তত প্রথম সন্তানের বেলায় ভাবনা থাকে কেমন হবে, সব ঠিকঠাক হবে কিনা। তবে এ ব্যাপারে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নতুন বাবা নতুন মায়ের চেয়ে অনেক বেশি মাথা ঘামান। এবং সেই মাথা ঘামানো শুধু সন্তানকে নিয়ে নয়, সন্তানের মাকে নিয়েও।

ডাক্তার এবং হাসপাতালের কাছে সন্তানসম্ভবা মাতার চেয়ে সন্তানসম্ভব পিতা অনেক বেশি বিপজ্জনক। আজ থেকে প্রায় আঠারো বছর আগে আমার ছেলে জন্মানোর সময় চিত্তরঞ্জন সেবাসদনের ভারপ্রাপ্ত ডাক্তার আমাকে তাঁর চেম্বারে তালা দিয়ে আটকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। সদ্যোজাত অথবা সদ্যসম্ভব সন্তানের বাবা অত্যন্ত বিরক্তকারী প্রাণী। বহু সময়ে দেখা যায় যে-মহিলাটি সন্তান ধারণ করেছেন, তিনি মোটামুটি নির্বিকার; দাঁত চিপে, মুখ বন্ধ করে প্রাচীন যন্ত্রণা সহ্য করছেন। কিন্তু ভাবী পিতা অস্থির হয়ে দৌড়োদৗড়ি করছেন। একবার ডাক্তারকে, একবার নার্সকে, এমনকী অচেনা লোককে অস্থির করে দিচ্ছেন তাঁর কাল্পনিক এবং উদ্ভট সমস্ত জিজ্ঞাসা ও দুর্ভাবনা নিয়ে। ধাত্রীবিদ্যার এক বিখ্যাত মহিলা ডাক্তার আমাকে পরোক্ষে একদা বলেছিলেন যে প্রত্যেক প্রসূতি সদনের একতলায় একটি হাজত-ঘর করা উচিত, যেখানে ভাবী বাবাদের তাঁদের সন্তান না জন্মানো পর্যন্ত আটকিয়ে রাখা সম্ভব হবে। তিনি অনুযোগ করেছিলেন, ‘বউয়ের স্টেচারের বা ট্রলির পিছু পিছু এরা লেবার রুমে পর্যন্ত ঢুকে যায়।’

এসব সমস্যা সন্তান জন্মানোর সময়কার। তার আগের সমস্যাগুলিও কিছু কম নয়। ওষুধ-পথ্য, আচার-কাসুন্দি, ভাল ডাক্তার, নির্ভরযোগ্য নার্সিংহোম—এসব সমস্যা তো আছেই; তার পরেও আছে সেই পুরনো প্রশ্ন, ছেলে না মেয়ে ?

মাঝে-মধ্যেই ফ্রান্স কিংবা কানাডা থেকে ডাক্তারি সংবাদ আসে পেটের বাচ্চা ছেলে না মেয়ে জানার খুব সহজ পন্থা আবিষ্কার হয়ে গেছে। রয়টারের পাঠানো তিন সেন্টিমিটার খবর। কিন্তু খবরটা নির্ভরযোগ্য নয়, কারণ খবরটা পুরনো অথবা বলা চলে পৌনঃপুনিক—‘আর চিন্তা নাই’ গোছের। ক্যানসারের ওষুধ আবিষ্কার হওয়ার মতো, একটা নিয়মিত ব্যবধানে ও রকম সংবাদ পাঠানো একটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তার চেয়ে খনার বচন ভাল। ফুলের নাম, মায়ের নাম, বাবার নাম সব গুণ কিংবা যোগ কিংবা বিয়োগ করে সোজাসুজি তিন দিয়ে ভাগ। ভাগফল দুই হলে ছেলে, এক হলে মেয়ে, আর শূন্য হলে সর্বনাশ।

এই সর্বনাশের কথায় মনে পড়ে যাচ্ছে সেই গোলমেলে গল্পটি। কফি হাউসে বসে কয়েকজন ভদ্রলোক গল্প করছিলেন। গল্পের বিষয়বস্তু অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও গুরুগম্ভীর, পণ্ডিতি ভাষায় বলা যায়, ‘ভাবী জাতকের উপরে মাতার মানসিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রভাব।’

একজন একটা আশ্চর্য ঘটনা বললেন। তাঁর শ্যালি পেটে বাচ্চা আসার পর “শ্যামদেশের যমজ” নামে একটা বই পড়ে খুব চমৎকৃত হয়েছিলেন এবং কী আশ্চর্য, পরশুদিন তার নিজেরই যমজ ছেলে হয়েছে।

দ্বিতীয় ভদ্রলোক প্রায় একইরকম কিন্তু অধিকতর বিস্ময়জনক কাহিনী শোনালেন। তাঁর এক প্রতিবেশিনী গর্ভবতী জীবনে “The Strange Stories of Triplets” অর্থাৎ একসঙ্গে তিনটি বাচ্চা জন্মানোর বিচিত্র গল্পমালা নামে একটি ইংরেজি বই পাঠ করেছিলেন, পরিণামে অবশেষে তাঁর তিনটি বাচ্চা জন্মেছে।

টেবিলের অপর প্রান্তে এক নিরীহ ভদ্রলোক এতক্ষণ উৎকণ্ঠার সঙ্গে এইসব কাহিনী শুনছিলেন। এই গল্পটি শোনার পরে তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠে দাঁড়ালেন। বন্ধুরা বললেন, ‘কী হল, এত তাড়াতাড়ি উঠলে কেন ? রাত তো তেমন কিছু হয়নি। একটু বসে যাও।’ ভদ্রলোক বললেন, ‘না ভাই, আমার সর্বনাশ হয়েছে !’ সবাই জানতে চাইলেন, ‘কেন, কী সর্বনাশ হল ?’

ভদ্রলোক করুণ কণ্ঠে বললেন, ‘ভাই, আমার বউয়ের তো বাচ্চা হবে। সন্ধ্যাবেলা বাড়ি থেকে বেরনোর সময় দেখলাম সে বসে বসে “আলিবাবা ও চল্লিশ চোর” পড়ছে। দুই-তিন তবু ভাবা যায়, কিন্তু চল্লিশ চোর ? আমার কী হবে ?’ এই বলে সে নিরীহ বেচারি পাগলের মতো বাড়ির দিকে ছুটতে লাগলেন। হতভম্ব বন্ধুরা স্তব্ধ হয়ে তাঁর প্রস্থানপথের দিকে তাকিয়ে রইলেন।

সাহেবরা সন্তান জন্মানোর পরে চুরুট বিলি করেন। চুরুটের মোড়কে লেখা থাকে—ইটস এ বয়, ইটস এ গার্ল। আমাদের বাল্যকালে মফস্বল শহরে দেখেছি শাঁখ বাজাতে। আমরা কতবার শাঁখ বাজানো হল গুণতাম। বোধহয় জোড় সংখ্যা বাজলে ছেলে আর বিজোড় সংখ্যায় মেয়ে, উলটোটাও হতে পারে। কোনদিক থেকে কোন বাড়ির শাঁখের আওয়াজ আসছে শুনে প্রবীণা গৃহিণীরা বুঝে ফেলতেন, ‘আহা, বিপিনের আবার মেয়ে হল।’

অতঃপর, অশৌচ, আটকড়াই, ছয় ষষ্ঠী ইত্যাদি নানা সংস্কার। ধোপা-নাপিতের কিঞ্চিৎ আয়। সম্ভবমতো প্রতিবেশীদের মিষ্টান্ন লাভ।

এসব পুরনো দিনের কথা। আজকাল শহুরে নার্সিংহোমে দারোয়ান, বেয়ারা, আয়াকে কিছু বকশিস দিয়েই মিটে যায়। এক সরকারি হাসপাতালে দেখেছিলাম, এক ভদ্রলোক প্রসূতি ও প্রসূতকে নিয়ে বেরতে গিয়ে হয়রান হয়ে পড়েছেন। সবাই বকশিস চাইছে। অবশেষে ভদ্রলোক হাত জোড় করে সবাইকে বললেন, ‘ভাইসব, এবার আর নয়। বউদিকে দেখে রাখুন। উনি এখানে বছর বছর আসবেন, আমিও আপনাদের বছর বছর বকশিস দেব।’

পুনশ্চ: একটু অপ্রাসঙ্গিক, তবু একটা উড়ো ঘটনার উল্লেখ করছি। একবার এক প্রসূতি সদনের ডাক্তারবাবুকে কথাচ্ছলে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ‘ডাক্তারি বিদ্যার এত শাখা থাকতে আপনি কেন এই সন্তান জন্মানোর নারী-ঘটিত ব্যাপারে এলেন, টাকার জন্যে ?’ ভদ্রলোক বলেছিলেন, ‘না, ঠিক তা নয়। দেখুন, ক্যানসারের রোগী দেখলে ভয় হত আমারও বুঝি ওরকম হয়েছে, টিবির রোগী কাশত, আমিও কাশতাম। যেখানে যে রোগীর যে রোগ দেখতাম মনে হত আমারও সে রোগ আছে। সব লক্ষণ মিলে যেত। অবশেষে এই মাতৃসদনে এসে নিশ্চিত হয়েছি—এই রোগ অন্তত আমার হবে না।’

সকল অধ্যায়

১. চুরিবিদ্যা
২. নৈশকাহিনী
৩. কালীঘাটের পাখা
৪. ডাকাতের হাতে
৫. পদ্মাসন
৬. শিশুশিক্ষা (১)
৭. ঘুম (১)
৮. পাগলের কাণ্ডজ্ঞান
৯. পদবি ও নাম
১০. ছারপোকার এপিটাফ
১১. ভাগ্যফল
১২. বিশেষজ্ঞ
১৩. ছাতা
১৪. র‍্যাডিস উইথ মোলাসেস
১৫. ঘড়ি
১৬. দরজি
১৭. সংখ্যাতত্ত্ব
১৮. মাতালের কাণ্ডজ্ঞান
১৯. ভূতের কাণ্ডজ্ঞান
২০. বানরের কাণ্ডজ্ঞান
২১. কিঙ্কর-কিঙ্করী
২২. ডাক্তার-ডাক্তার
২৩. দাঁত
২৪. টেলিফোন
২৫. আমি কীরকমভাবে
২৬. মন মোর মেঘের সঙ্গী
২৭. ভ্রমণকাহিনী (১)
২৮. প্রসূতি সদন
২৯. নিজের ওজন নিজে বুঝুন
৩০. জীবজন্তুর কথা
৩১. গোরু (১)
৩২. প্রিয়তমাসু
৩৩. অভিনয় নয়
৩৪. ইঁদুর ও মদিরা
৩৫. টর্চলাইট
৩৬. রং
৩৭. লিফট
৩৮. মদমত্ত
৩৯. সুচিকিৎসা
৪০. অচলার প্রেম
৪১. শেষ পরকীয়া
৪২. তালা
৪৩. কুকুর-কুকুর
৪৪. গোপাল ভাঁড়
৪৫. জগৎপারাবারের তীরে
৪৬. হিন্দি
৪৭. রেফ্রিজারেটর
৪৮. কৃষ্ণকান্ত এবং…
৪৯. মাতাল রহস্য
৫০. আবার মনে মনে
৫১. শেষের সেদিন
৫২. ভবসিন্ধু
৫৩. রবীন্দ্রনাথ
৫৪. …বাচ্চা
৫৫. কুকুর কুণ্ডলী
৫৬. হে মাতাল, অমোঘ মাতাল
৫৭. শিশুপাল
৫৮. ভোজনালয়
৫৯. বাড়ি ভাড়া
৬০. হায় ছবি
৬১. জীবনবিমা
৬২. কোন বাণিজ্যে
৬৩. ডাক্তারের হাতে
৬৪. অঘটন আজও ঘটে
৬৫. সুপরামর্শ
৬৬. পুলিশ
৬৭. ফাঁদ পাতা ভুবনে
৬৮. ধরা পড়েছে দু’জনে
৬৯. রুপোলি পর্দার অন্তরালে
৭০. পিয়ো হে পিয়ো
৭১. ও চাঁদা চোখের জলে
৭২. দামদর
৭৩. মিথ্যা কথা
৭৪. কে কোথা ধরা পড়ে
৭৫. সময়
৭৬. হায় কবি, তুমি শুধু কবি
৭৭. রোগীর বন্ধু
৭৮. রসুন
৭৯. রসিকতা
৮০. স্বর্গ
৮১. দুর্ঘটনার আগে ও পরে
৮২. পণ্ডিত
৮৩. সমস্যা
৮৪. স্বেচ্ছাসেবক
৮৫. বক্তা ও বক্তৃতা
৮৬. আবার বক্তৃতা
৮৭. কলিংবেল
৮৮. ঈশ্বর সমীপে
৮৯. জীব জগতের আজব কথা
৯০. তামাক
৯১. আবার তামাক
৯২. রোগী কাহিনী
৯৩. নরখাদকের কাহিনী
৯৪. আয় শীত, যায় শীত
৯৫. ঘটি-বাঙাল
৯৬. চিড়িয়াখানায়
৯৭. সমান-সমান
৯৮. স্মৃতির খেয়া
৯৯. অচলপত্র
১০০. সচিত্র ভারত
১০১. রাম ও রামকৃষ্ণ
১০২. কৃষ্ণ ও রামকৃষ্ণ
১০৩. স্বপ্ন ও রমণী
১০৪. অবাঞ্ছিত আতিশয্য
১০৫. যা দেবী সর্বভূতেষু
১০৬. মরণ রে
১০৭. ধৈর্যের পরীক্ষা
১০৮. ভুল (১)
১০৯. গল্পের গোরু
১১০. কাজের মেয়ে
১১১. বইমেলা
১১২. স্ত্রী
১১৩. প্রথম কোকিল
১১৪. দ্বিতীয় কোকিল
১১৫. তৃতীয় কোকিল
১১৬. অমল ধবল পালে
১১৭. স্বামী-স্ত্রী ইত্যাদি
১১৮. চিকিৎসা
১১৯. ভূত ও রিপোর্টার
১২০. হাঁচির গল্প
১২১. ভাষা-ভাষা
১২২. বালুকা ডাকিনী
১২৩. ফুটবল
১২৪. প্রশ্নোত্তর
১২৫. অসম্ভব
১২৬. রসিকতার উৎস সন্ধানে
১২৭. ডাক্তারবাবু নমস্কার
১২৮. আত্মনেপদী
১২৯. ভাগলপুরের পাঞ্জাবি
১৩০. পুজোর বাজার
১৩১. অপমান
১৩২. জীবজন্তু (১)
১৩৩. পুজোর ছুটি
১৩৪. ক্রিমিনাল
১৩৫. রবিবারের মহাভারত
১৩৬. আইনের আঙিনায়
১৩৭. বুদ্ধি
১৩৮. শাশুড়ি
১৩৯. দেয়া-নেয়া
১৪০. হে হিসাব
১৪১. মাছ (১)
১৪২. কুসংস্কার
১৪৩. জুয়া (১)
১৪৪. এসো বসি আহারে
১৪৫. শুভ নববর্ষ
১৪৬. রমণী সমাজে
১৪৭. স্বপ্ন
১৪৮. কলকাতা তিনহাজার তিনশো
১৪৯. আবার বইমেলা
১৫০. এক সর্দারের গল্প (১)
১৫১. এক সর্দারের গল্প (২)
১৫২. এক সর্দারের গল্প (৩)
১৫৩. জল
১৫৪. শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন
১৫৫. গাধা
১৫৬. হাওয়াই
১৫৭. সুনন্দর জার্নাল
১৫৮. সরস কলকাতা
১৫৯. সরস কবিতা
১৬০. স্টুপিডেস্ট
১৬১. অবনী, বাড়ি আছো?
১৬২. জুয়া (২)
১৬৩. সময়ের হিসেব
১৬৪. কেনাকাটা: জুতো
১৬৫. ভেজা চপ্পল
১৬৬. জয়বাবা শান্তিনাথ
১৬৭. টেলিফোন
১৬৮. পরিশেষে
১৬৯. জনগণের জোক!
১৭০. মকারান্ত
১৭১. কয়েকটি প্রশ্ন
১৭২. খাওয়া-দাওয়া
১৭৩. বলাবাহুল্য
১৭৪. শরৎচন্দ্র এবং রসিকতা
১৭৫. পৃথিবী
১৭৬. সুখের লাগিয়া
১৭৭. অন্দর মহলে
১৭৮. জোক বুক
১৭৯. সান্টা, বান্টা
১৮০. সরল শৈশব
১৮১. কথা বলার বিপদ
১৮২. সিগারেট
১৮৩. পাটিগণিত
১৮৪. গ্রন্থবার্তা
১৮৫. প্রেমিক-প্রেমিকা
১৮৬. ডাক্তারবাবু
১৮৭. বধূমাতা
১৮৮. কেনাবেচা
১৮৯. বালিশ
১৯০. আপ রুচি খানা
১৯১. কাণ্ডজ্ঞান
১৯২. দুর্ঘটনা
১৯৩. বিজনের রক্তমাংস
১৯৪. বিলিতি বিয়ার-পাব
১৯৫. রাজনীতি
১৯৬. চপলতা
১৯৭. বাগ্বিধি
১৯৮. মশা ও লবণহ্রদ
১৯৯. যদ্দৃষ্টং
২০০. বয়েস বাড়ছে
২০১. ধানাই-পানাই
২০২. আমপাতা জোড়া-জোড়া
২০৩. ভ্রমণকাহিনী (২)
২০৪. হাস্যকবি সম্মেলন
২০৫. মুড়ি-মিছরি
২০৬. গণ্ডারের দুধ
২০৭. তৈজসপত্র
২০৮. পুলিশ
২০৯. গোরু
২১০. অণুনাটিকা
২১১. যদিদং হৃদয়ং
২১২. এমন বাদল দিনে
২১৩. ফাঁসি
২১৪. লেপ
২১৫. ব্যাটবল
২১৬. স্বপ্ন
২১৭. বড়দিন
২১৮. ধনীরাম
২১৯. ব্যাঙ্ক
২২০. জাহান্নাম
২২১. ইতিহাস
২২২. লুঙ্গি
২২৩. সেই বই
২২৪. ধ্বংসের মুখোমুখি
২২৫. ফুরসতনামা
২২৬. পোড়া বই
২২৭. বার্তাকু ভক্ষণ বিল
২২৮. অ্যালেন গিনসবার্গ
২২৯. প্যাঁচ
২৩০. শিশুশিক্ষা (২)
২৩১. লেখাপড়া
২৩২. ডেটলাইন শান্তিনিকেতন
২৩৩. যেভাবে গল্প তৈরি হয়
২৩৪. হায় ভীরু প্রেম
২৩৫. মাতালের গল্প
২৩৬. মনের কথা
২৩৭. চিনা-অচিনা
২৩৮. কয়েকটি অবিশ্বাস্য রসিকতা
২৩৯. মনের চিকিৎসা
২৪০. কান্তকবি
২৪১. জ্যোতিষী
২৪২. আবার জ্যোতিষী
২৪৩. পথের ভিখিরি
২৪৪. গুরু-শিষ্য সংবাদ
২৪৫. ভুলোমন স্বামী
২৪৬. বই চুরি
২৪৭. ফিলমি-ফিলমি
২৪৮. চার্চিল
২৪৯. পঞ্জিকা
২৫০. নিমন্ত্রণ
২৫১. মাছ (২)
২৫২. জানোয়ার
২৫৩. তুমি যে আমার
২৫৪. সৈয়দ মুজতবা আলি
২৫৫. ধারদেনা
২৫৬. শিবরাম চক্রবর্তী
২৫৭. যাচ্ছেতাই লেখা লিখছি
২৫৮. দুর্বৃত্তের শাসানি
২৫৯. নিজের কোট খুলতে পারে না
২৬০. ভোজসভা শেষে বক্তৃতা
২৬১. শুধু পাঠিকারা চিঠি লেখে
২৬২. পাসপোর্ট ফোটোর মতো
২৬৩. আগে পাঁচ ডলারে, এখন?
২৬৪. এত বুড়ো হব নাকো
২৬৫. অপ্রত্যাশিত
২৬৬. গরমের পাখা মাঘ মাসে
২৬৭. বাংলায় কেন হয় না
২৬৮. মধ্যযুগ
২৬৯. শিলিগুড়ি
২৭০. সেদিন বেঙ্গল ক্লাবে
২৭১. বেয়ারা
২৭২. এত কঠিন অঙ্ক
২৭৩. বাড়িওয়ালা
২৭৪. সুনীলের সঙ্গে
২৭৫. পুলিশ এবং রবীন্দ্রসংগীত
২৭৬. দিশি-বিলিতি পুলিশের বৃত্তান্ত
২৭৭. রসলক্ষ্মীর সাধনা
২৭৮. জানলা পড়ল মাথায়
২৭৯. সেদিনের চুম্বনের পরে
২৮০. হাসির উপন্যাস
২৮১. ভুল (২)
২৮২. মহিলা কবিরা
২৮৩. পুরনো কলকাতা
২৮৪. প্রথমেই পঞ্চম সংস্করণ
২৮৫. ঘুষ
২৮৬. আইনমাফিক
২৮৭. বাঁকা কথা
২৮৮. শিশু বিষয়ে
২৮৯. শব্দকল্পদ্রুম
২৯০. জামাইষষ্ঠী
২৯১. আইরিশ রসিকতা
২৯২. পূজা ও রমণী
২৯৩. প্রতিযোগিতা
২৯৪. টকটক গন্ধ
২৯৫. যানবাহন
২৯৬. রস ও রমণী
২৯৭. অনুভব অথবা ভাল লাগা
২৯৮. রেডিয়ো
২৯৯. রিকশা
৩০০. পরিবার পরিকল্পনা
৩০১. মহিলা মহল
৩০২. লালিমা পাল স্মরণে
৩০৩. বোকার মা
৩০৪. স্থূল ও অস্থূল
৩০৫. দম্পতি, দম্পতী
৩০৬. সাদা রাস্তা কালো বাড়ি
৩০৭. লক্ষপতি
৩০৮. গল্পের গতি
৩০৯. পাকিস্তান
৩১০. ইঁদুর
৩১১. এ হর্স ফর মাই কিংডম
৩১২. হায় ছবি, তুমি শুধু ছবি
৩১৩. প্রজাপতয়ে
৩১৪. একটি উড়ো কাহিনী
৩১৫. সময়জ্ঞান
৩১৬. আমাদের কলের গান
৩১৭. থানা পুলিশ
৩১৮. ভ্রমণকাহিনী (৩)
৩১৯. বয়স বাড়ছে
৩২০. ভুল, ভূল
৩২১. জীবজন্তু
৩২২. ব্যবসা-বাণিজ্য
৩২৩. বিজ্ঞাপন
৩২৪. কবিতার ভাল-খারাপ
৩২৫. জোচ্চোর
৩২৬. বলাই বাহুল্য
৩২৭. গোলমাল
৩২৮. সিনেমা হল
৩২৯. বাসাবাড়ি
৩৩০. তবুও মাতাল
৩৩১. ঢাকঢাক-গুড়গুড়
৩৩২. জলাঞ্জলি
৩৩৩. টাকাপয়সা
৩৩৪. ঘুম (২)
৩৩৫. ওগো বধূ সুন্দরী
৩৩৬. প্রবাসে দৈবের বশে
৩৩৭. তিন পুলিশের গল্প
৩৩৮. দুই শ্রাদ্ধের গল্প
৩৩৯. দুই বাঘের গল্প
৩৪০. ঢাকাই রসিকতা
৩৪১. ওয়ার্ক কালচার
৩৪২. আমি কবি হয়েছিলাম গায়ের জোরে
৩৪৩. যাহা পাই, তাহা চাই না
৩৪৪. পথে পথে কবিতা
৩৪৫. হাং সাং টাঙ্গাইল
৩৪৬. পত্রের উত্তর
৩৪৭. আবার উত্তর
৩৪৮. বিদূষক
৩৪৯. মশা
৩৫০. খাদ্য সমস্যা
৩৫১. বউ কথা কও
৩৫২. শেফালি
৩৫৩. ভালবাসার সন্ধানে
৩৫৪. স্বর্গ যদি কোথাও থাকে
৩৫৫. তারি লাগি যত
৩৫৬. জাহাজ
৩৫৭. স্ত্রী রত্ন
৩৫৮. আদ্যনারায়ণ
৩৫৯. আমার ভাগ্য
৩৬০. পরোপকার
৩৬১. অফিস
৩৬২. ভদ্রলোক
৩৬৩. কাকের মাংস
৩৬৪. স্বর্গ নরক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন