২.২৫ আবু নবাসের কবির লড়াই

ক্ষিতিশ সরকার

শাহরাজাদ বললো, এবারে আবু নবাসের কবি প্রতিভার দু-একটা নমুনা শোনাচ্ছি জাঁহাপনা। এক নিদ্রাবিহীন রাতে খলিফা হারুন অল-রাসিদ প্রাসাদের দরজায় অস্থিরভাবে পায়চারী করছিলেন। এমন সময় দেখতে পেলেন, তীর এক প্রিয়পাত্রী বাঁদী তার বিলাস গৃহের দিকে চলেছে। খলিফা তাকে অনুসরণ করতে করতে তার ঘরে এসে উপস্থিত হলেন। খলিফা তাকে জাপটে ধরে বোরখা আর নকাব খুলে ফেলার জন্য জবরদস্তি করতে লাগলেন। বাঁদীর সঙ্গে সুখ-সম্ভোগ করার জন্য তার সমস্ত সত্ত্বা চঞ্চল হয়ে উঠলো। কিন্তু বাঁদীটি করুণভাবে প্রার্থনা জানাতে লাগলো। আজকের রাতটা আমাকে ক্ষমা করুন। জাঁহাপনা। আজ আমার শরীর খারাপ, আমি কথা দিচ্ছি, কাল রাতে আমি আপনার কামনা-চরিতার্থ করে দেব। আজ আমার শরীরটা ঠিক নাই, আজকের রাতটায় আমাকে রেহাই দিন। খোদা মেহেরবান, কাল রাতে সুগন্ধী আন্তর মেখে মোহিনীরূপ ধরে আমি আপনার সামনে হাজির হবো।

সুতরাং খলিফা আর কোনও জোরজার করলেন না। ফিরে এসে আবার পায়চারী করতে থাকলেন।

পরদিন তিনি খোজা-সর্দার মসরুরকে পাঠালেন সেই বাঁদীর কাছে। বললো, খলিফা আপনার কাছে পাঠালেন আমাকে। কাল রাতে তার সঙ্গে আপনার যে-কথা হয়েছিলো তা কি আপনার স্মরণে আছে?

সেদিনও বাঁদীর দেহ-মন ভালো ছিলো না। সকাল থেকেই শরীরটা জুৎসই মনে হচ্ছিল না। মসরুরকে সে বললো, খলিফাকে গিয়ে বলো, নিভৃত রাতের সব কথাই লুকিয়ে থাকে দিনের আলোর গভীরে—

বাক্কাসী এবং আবু মুসাব তার সমীপে এসে হাজির হলো। খলিফা তাদের বললেন, ‘নিভৃত রাতের সব কথাই লুকিয়ে থাকে দিনের আলোর গভীরে’ এই কথাকে কেন্দ্র করে তোমরা সবাই এক একটা কবিতা বানাও, দেখি।

প্রথমে অল রাক্কাসী একটানা বলে গেলো :

ওরে আমার অশান্ত অবুঝ হৃদয়—সাবধান,
যেওনা যেওনা সেখানে, এলেও তাকে দিও না ঠাঁই
কথা তার মিষ্টি মধুর, কিন্তু কেমন বেয়াড়া
তার দুর্বোধ্য হাসির তুলনা বুঝি নাই
তাইতো সে বলতে পারে হেঁয়ালী ক’রে
‘নিভৃত রাতের সব কথাই লুকিয়ে থাকে
দিনের আলোর গভীরে।’

এরপর আবু মুসাব এগিয়ে এসে শুরু করে :

হাতের পুতুল হয় এ হৃদয় আমার,
যা পুড়ে পুড়ে ছারখার হয়ে যেতে চায়।
মোহময় রাতের আঁধারে,
ইশারায় ডাকে বারে বারে;
ছিনিমিনি খেলা ক’রে কী সাধ মেটায়?
সে আমায় বিদ্ধ করে রাখে শুধু
দুর্বোধ্য ভাষার তীরে :
‘নিভৃত রাতের সব কথাই লুকিয়ে থাকে
দিনের আলোর গভীরে।’

সব শেষে আবু নবাস বলতে শুরু করে :

দুঃসহ সুন্দরী—আনন্দের ঝরনা,
অনিন্দ্য মধুর ভাষিণী—কী দেব বর্ণনা!
ঘন তমশাবৃত মধ্যরাতের তারা,
একমাত্র সাক্ষী ছিলো যারা,
তারা তো সবাই জানে,
কী তার মানে?
আর জানে সেই তরুবর,
মৃদুমন্দ সমীরণে তার শাখার মর্মর
বারবার ধ্বনিত হয়েছিলো আমার বুকে।
তোমার কথার কুহকে
ভুলালে আমায়।
দুঃখের বেদনা চেপে ফিরে আসি আশায় আশায়
ফিরে রাতে ফিরে পাব বলে।
কিন্তু হায় এ রাত্ৰিও গেলো বুঝি চলে।
তোমার শব্দের ইন্দ্রজাল আমাকে রয়েছে ঘিরে,
‘নিভৃত রাতের সব কথাই লুকিয়ে থাকে
দিনের আলোর গভীরে।’

কবিতাগুলো শোনার পর খলিফা খুশি হয়ে প্রথম দু’জন কবিকে অনেক টাকা পুরস্কার দিলেন। কিন্তু কবি নিবাস-এর ওপর ভীষণ ক্রুদ্ধ হলেন।

—নবাস আমি তোমার গর্দান নেব।

নবাস বিচলিত হয় না, আমার কী অপরাধ, জাঁহাপনা?

–তোমার কবিতায় যা বর্ণনা করলে তা শুনে আমি নিঃসন্দেহ যে, ঐ বাঁদীটার সঙ্গে নিশ্চয়ই তোমার কোনও গোপন সম্পর্ক আছে! কারণ সে সব ব্যাপার একমাত্র আমি আর সেই বাঁদী ছাড়া তৃতীয় কোনও প্রাণীর জানার কথা নায়। নিশ্চয়ই তুমি তার কাছ থেকে সব শুনেছ।

খলিফার কথা শুনে আবু নবাস হো হো করে হেসে ওঠে, আমাদের মহানুভব সুলতান জানেন না, সত্যিকার শিল্পীর কাছে কোনও সত্যই গোপন করা যায় না। সে তার অন্তর দৃষ্টি দিয়ে সমস্ত গোপন রহস্য জেনে নিতে পারে। কবিদের স্বরূপ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আমাদের পয়গম্বর বলেছেন, কবিরা পাগলের মতো উদাম অসংলগ্ন হয়, প্রেরণাই তাদের পরিচালনা করে ভালোর দিকে অথবা খারাপ পথে। তারা অনেক সুন্দর সুন্দর নীতি কথা উপহার দেয় আমাদের। কিন্তু নিজেরা তা মেনে চলে না।

আবু নবাসের এই সব যুক্তি-তর্কে খলিফা ক্ষান্ত হন। খুশিও হন। অন্য দুজনকে যে ইনাম দিয়েছিলেন তার দ্বিগুণ দিলেন তাকে।

এই কাহিনী শোনার পর সুলতান শাহরিয়ার বললো, খোদা হাফেজ, আমি হলে কিন্তু আবু নবাসকে রেহাই দিতাম না। আসল রহস্য টেনে বের করতাম। তারপর তার গর্দান নিতাম। আমার এখনও ধারণা, বাঁদীটার সঙ্গে তার গুপ্ত প্রেম ছিলো। এবং তার কাছ থেকে জেনেই সে ঐ কবিতা বানিয়েছিলো। আমি বিশ্বাস করি না, কবি হলেই তারা গোপন যা কিছু সবই জানতে পারে। শাহরাজাদ, তুমি ভবিষ্যতে ঐ লম্পট কবিটাকে নিয়ে আর কোনও কিসসা শোনাবে না আমাকে। লোকটা ইসলাম, কানুন বা খলিফা কারুর উপরই শ্রদ্ধাবান নয়।

শাহরাজাদ বলে, তাই হবে জাঁহাপনা, আবু নবাসের আর কোনও কাহিনী আপনাকে শোনাবো না। আচ্ছা, এবারে একটা গাধার গল্প বলছি, শুনুন।

সকল অধ্যায়

১. ১.০১ বাদশাহ শারিয়ার ও তার ভাই বাদশাহ শাহজামানের কাহিনী
২. ১.০২ গাধা, বলদ আর গৃহস্বামীর উপাখ্যান
৩. ১.০৩ সওদাগর আর আফ্রিদি দৈত্য
৪. ১.০৪ প্রথম শেখের কাহিনী
৫. ১.০৫ দ্বিতীয় শেখের কাহিনী
৬. ১.০৬ তৃতীয় শেখের কাহিনী
৭. ১.০৭ ধীবর আর আফ্রিদি দৈত্যের কাহিনী
৮. ১.০৮ উজির, সুলতান য়ুনান হেকিম রায়ানের কিসসা
৯. ১.০৯ সিনবাদ আর বাজপাখি
১০. ১.১০ শাহজাদা আর রাক্ষসী
১১. ১.১১ শাহজাদা আর রঙিন মাছ
১২. ১.১২ কুলি-ছেলে আর তিন কন্যা
১৩. ১.১৩ প্রথম কালান্দার ফকিরের কাহিনী
১৪. ১.১৪ দ্বিতীয় কালান্দর ফকিরের কাহিনী
১৫. ১.১৫ তৃতীয় কালান্দর ফকিরের কাহিনী 
১৬. ১.১৬ বড় বোন জুবেদার কাহিনী
১৭. ১.১৭ মেজো বোন আমিনার কাহিনী
১৮. ১.১৮ একটি স্ত্রীলোকের খণ্ডিত দেহ, তিনটি আপেল ও নিগ্রো রাইহান
১৯. ১.১৯ উজির সামস অল-দিন তার ভাই নূর অল-দিন ও হাসান বদর অল-দিন
২০. ১.২০ দর্জি, কুঁজো, ইহুদি হেকিম, বাবুর্চি, খ্রীস্টান দালাল
২১. ১.২১ খ্ৰীষ্টান দালালের কাহিনী
২২. ১.২২ বাবুর্চির কাহিনী
২৩. ১.২৩ ইহুদী হেকিমের কাহিনী
২৪. ১.২৪ দর্জির কাহিনী
২৫. ১.২৫ নাপিতের কাহিনী
২৬. ১.২৬ মধুমিতা আর আলী নূর-এর কাহিনী
২৭. ১.২৭ ঘানিম আইয়ুব আর কুৎ-অল-এর কাহিনী
২৮. ১.২৮ উমর অল-নুমান, তার পুত্র সারকান ও দু-অল মাকানের কাহিনী
২৯. ১.২৯ আজিজ আর আজিজার কাহিনী
৩০. ১.৩০ শাহজাদা তাজ অল-মূলক ও শাহজাদী দুনিয়া
৩১. ১.৩১ দু-অল মাকানের পুত্র কান মা-কানা
৩২. ১.৩২ চরস খোরের কাহিনী
৩৩. ১.৩৩ রাজহাঁস ও ময়ূর-ময়ূরী
৩৪. ১.৩৪ মেষপালক রাখাল আর একটি মেয়ে
৩৫. ১.৩৫ কচ্ছপ ও বকের কাহিনী
৩৬. ১.৩৬ নেকড়ে আর খেঁকশিয়ালের কাহিনী
৩৭. ১.৩৭ ইঁদুর আর নেউলের গল্প
৩৮. ১.৩৮ কাক ও কাঠবেড়ালীর কাহিনী
৩৯. ১.৩৯ আলী-ইবন বকর ও সুন্দরী সামস আল-নাহারের কাহিনী
৪০. ১.৪০ শাহজাদা কামার আল-জামান আর শাহজাদী বদর-এর প্রণয় কাহিনী
৪১. ১.৪১ খুশ বাহার ও খুশ নাহারের কাহিনী
৪২. ১.৪২ আলা অল-দিন আবু সামাতের কাহিনী
৪৩. ১.৪৩ বিদূষী হাফিজার কাহিনী
৪৪. ১.৪৪ কবি আবু নবাসের দুঃসাহসিক কীর্তি
৪৫. ২.০১ সিন্দাবাদের প্রথম সমুদ্র-যাত্রা
৪৬. ২.০২ সিন্দাবাদের দ্বিতীয় সমুদ্র-যাত্রা
৪৭. ২.০৩ সিন্দাবাদের তৃতীয় সমুদ্র-যাত্রা
৪৮. ২.০৪ সিন্দাবাদের চতুর্থ সমুদ্র-যাত্রা
৪৯. ২.০৬ সিন্দাবাদের ষষ্ঠ সমুদ্র-যাত্রা
৫০. ২.০৭ সিন্দাবাদের সপ্তম ও শেষ সমুদ্রযাত্রা
৫১. ২.০৮ সুন্দরী জুমুর‍্যুদ এবং আলী শার-এর কাহিনী
৫২. ২.০৯ নানা রঙের ছয় কন্যার কাহিনী
৫৩. ২.১০ তাম্র নগরীর কাহিনী
৫৪. ২.১১ ইবন আল-মনসুর এবং দুই নারীর কাহিনী
৫৫. ২.১২ কসাই ওয়াঁর্দার ও উজির-কন্যার কাহিনী
৫৬. ২.১৩ জামালিকার কাহিনী
৫৭. ২.১৪ বুলুকিয়ার কাহিনী
৫৮. ২.১৫ খুবসুরৎ নওজোয়ান সাদ-এর কাহিনী
৫৯. ২.১৬ হাসি-তামাশায় হারুন অল-রসিদ
৬০. ২.১৭ ছাত্র ও শিক্ষকের কাহিনী
৬১. ২.১৮ অদ্ভুত বটুয়ার কাহিনী
৬২. ২.১৯ হারুন অল রসিদের মহব্বতের কাহিনী
৬৩. ২.২০ কে ভালো—উঠতি বয়সের ছোকরা, না—মাঝ-বয়সী মরদ
৬৪. ২.২১ শসা-শাহজাদা
৬৫. ২.২২ পালিত কেশ
৬৬. ২.২৩ সমস্যা-সমাধান
৬৭. ২.২৪ আবু নবাস আর জুবেদার গোসলের কাহিনী
৬৮. ২.২৫ আবু নবাসের কবির লড়াই
৬৯. ২.২৬ গাধার গল্প
৭০. ২.২৭ আইনের প্যাঁচে জুবেদা
৭১. ২.২৮ স্ত্রী না পুরুষ
৭২. ২.২৯ বখরা
৭৩. ২.৩০ মাদ্রাসার মৌলভীর কিসসা
৭৪. ২.৩১ মেয়েদের সেমিজের কারুকর্মের কথা
৭৫. ২.৩২ পেয়ালার বাণী
৭৬. ২.৩৩ মসুলের বিখ্যাত কালোয়াতী গায়ক ইশাকের কাহিনী – বাক্সের মধ্যে খলিফা
৭৭. ২.৩৪ মুদ্যোফরাশ
৭৮. ২.৩৫ সুর্মার কাহিনী
৭৯. ২.৩৬ ছেলে অথবা মেয়ে
৮০. ২.৩৭ আজব খলিফা
৮১. ২.৩৮ গুলাবী এবং রোশন এর কাহিনী
৮২. ২.৩৯ কালো ঘোড়ার আশ্চর্য যাদু কাহিনী
৮৩. ২.০৫ সিন্দাবাদের পঞ্চম সমুদ্র-যাত্রা
৮৪. ৩.০১.১ ধূর্ত ডিলাইলাহ ও তার জালিয়াৎ কন্যা জাইনাবের কাহিনী
৮৫. ৩.০১.২ সওদাগর সিদি মুসিন আর খাতুনের কথা
৮৬. ৩.০১.৩ সেয়ানা চোর আলীচাঁদ-এর কিসসা
৮৭. ৩.০২ ধীবর যুদর অথবা আশ্চর্য যাদু-থলের কাহিনী
৮৮. ৩.০৩ আবু কাইর আর আবু শাইর-এর মজাদার কাহিনী
৮৯. ৩.০৪ দুই আবদাল্লার উপকথা
৯০. ৩.০৫ পীতাম্বর যুবকের কাহিনী
৯১. ৩.০৬ আনারকলি এবং বদর বাসিমের কিসসা
৯২. ৩.০৭ মিশরের ফাল্লাহ ও তার ফর্সা ছেলেমেয়েরা
৯৩. ৩.০৮ খলিফা ও জেলের কাহিনী
৯৪. ৩.০৯ বসরাহর হাসানের দুঃসাহসিক অভিযান
৯৫. ৩.১০ স্ত্রীলোকের চাতুরী
৯৬. ৩.১১ আবু অল হাসানের কাহিনী
৯৭. ৩.১২ জাইন মাওয়াসিফের মহম্মতের কিসসা
৯৮. ৩.১৩ কুঁড়ের বাদশার কাহিনী
৯৯. ৩.১৪ নওজোয়ান নূর এবং এক লড়াকু মেয়ের কিসসা
১০০. ৩.১৫ সপ্তম হীরক কন্যার কাহিনী
১০১. ৩.১৬.১ আলা অল-দিন ও আশ্চর্য চিরাগ বাতি
১০২. ৩.১৬.২ আলাদিনের চেরাগ (পার্ট ২)
১০৩. ৩.১৬.৩ আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ (পার্ট ৩)
১০৪. ৩.১৬.৪ আলাদিনের দৈত্য (পার্ট ৪)
১০৫. ৩.১৬.৫ আলাদিনের জাদুর চেরাগ (পার্ট ৫ / শেষ পর্ব)
১০৬. ৪.০১ হিতোপদেশের গল্প
১০৭. ৪.০১ হিতোপদেশের গল্প
১০৮. ৪.০২ গোলাপ-সুন্দরী ফারিজাদের কাহিনী
১০৯. ৪.০৩ কামর ও হালিমার কাহিনী
১১০. ৪.০৪ হারাম-আকিলের কাহিনী
১১১. ৪.০৫ সুলতান মহম্মদের ন্যায় বিচার
১১২. ৪.০৬ শেখ হাসান আবদাল্লার কাহিনী
১১৩. ৪.০৭ আবু কাশেমের অঙ্গবাস
১১৪. ৪.০৮ চরসের নেশায়
১১৫. ৪.০৯ ভ্রষ্টা নারী এবং তার নওজোয়ান নাগর
১১৬. ৪.১০ বৃদ্ধ কাজীর তরুণী বিবি
১১৭. ৪.১১ সুন্দরীর নূরের পাণিপ্রার্থীরা
১১৮. ৪.১২ মুতাবাকিল আল্লাহর বিত্ত বৈভব
১১৯. ৪.১৩ সুলতান মামুদের কাহিনী
১২০. ৪.১৪ বসরাহর আবু কাশেম
১২১. ৪.১৫ তিন কুলজী বিদ্যা-বিশারদের কাহিনী
১২২. ৪.১৬ সুলতান মাহমুদের বাঁদর
১২৩. ৪.১৭ তিন পাগলের কাহিনী
১২৪. ৪.১৮ আলিবাবা ও চল্লিশ চোর
১২৫. ৪.১৯ বাগদাদের বড় সেতুর উপরে অল-রসিদ
১২৬. ৪.২০ সিদি নুমানের কাহিনী
১২৭. ৪.২১ কাঠুরিয়া যুবরাজ
১২৮. ৪.২২ বৃদ্ধ শেখের কাহিনী
১২৯. ৪.২৩ খঞ্জ মাদ্রাসা শিক্ষকের কাহিনী
১৩০. ৪.২৪ অন্ধ ভিক্ষারীর কাহিনী
১৩১. ৪.২৫ গবেটচন্দরের কাহিনী
১৩২. ৪.২৬ তিন বোনের কাহিনী
১৩৩. ৪.২৭ তিন কন্যার কাহিনী
১৩৪. ৪.২৮ ফেরিওয়ালার তিন কন্যা
১৩৫. ৪.২৯ দামাসকাসের রূপবান সওদাগর
১৩৬. ৪.৩০ হাবিব হাবিবার কাহিনী
১৩৭. ৪.৩১ সর্দারের নষ্টাচরিত্রা বিবি
১৩৮. ৪.৩২ নফর ফিরুজের বিবি ও সুলতান
১৩৯. ৪.৩৩ অপরিণামদর্শী সিরিয়া সওদাগরের শিক্ষা
১৪০. ৪.৩৪ হারুন অল রসিদের গ্রন্থপাঠ
১৪১. ৪.৩৫ শাহজাদা হীরার কাহিনী
১৪২. ৪.৩৬ গোহা ও তার ইয়ার-বন্ধুরা
১৪৩. ৪.৩৭ তুফা অল কুলবের কাহিনী
১৪৪. ৪.৩৮ অল মালিক বাইবারসের দরবারে – দ্বাদশ সর্দারের কাহিনী
১৪৫. ৪.৩৯ চীন শাহজাদীর বাগানের সমুদ্র-গোলাপ
১৪৬. ৪.৪০ দজ্জাল বিবির অত্যাচারে দেশত্যাগী মারুফ-মুচির ভাগ্য-বিবর্তন
১৪৭. ৪.৪১ আলেকজান্দ্রা শহরের ধনী যুবকের কাহিনী
১৪৮. ৪.৪২ ফিন্দের দুই বীরাঙ্গনা কন্যা
১৪৯. ৪.৪৩ ফতিমার কাহিনী
১৫০. ৪.৪৪ কিণ্ডাইটের সম্রাট হজর ও তার স্ত্রী হিন্দের গল্প
১৫১. ৪.৪৫ আয়েশা কথিত কাহিনী
১৫২. ৪.৪৬ খলিফা ওমর ইবন অল-খাতাবের কাহিনী
১৫৩. ৪.৪৭ কুফার কবি মহম্মদ কথিত কাহিনী
১৫৪. ৪.৪৮ পরান্নভোজী তুফেনের কাহিনী
১৫৫. ৪.৪৯ খলিফা অল হাদীর অন্তিম দশা
১৫৬. ৪.৫০ অভিশপ্ত কণ্ঠহার
১৫৭. ৪.৫১ মশুলের গায়ক ইশাকের রোজনামচা
১৫৮. ৪.৫২ অল মামুন ও জুবেদা বেগমের কাহিনী
১৫৯. ৪.৫৩ জাফরের অন্তিম দশা
১৬০. ৪.৫৪ শাহজাদা জুঁই আর শাহজাদী বাদামের প্রেম উপাখ্যান

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন