২.১৮ অদ্ভুত বটুয়ার কাহিনী

ক্ষিতিশ সরকার

শাহরাজাদ বলে : —এবারে এক অদ্ভুত বটুয়ার কাহিনী বলবো।

কোন এক রাতে খলিফা হারুন অল রসিদের চোখে ঘুম আসছিলো না। ঘরের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত অবধি পায়চারী করে কাঁটাচ্ছিলেন তিনি! এক সময় উজির জাফরকে ডেকে পাঠালেন।

জাফর ছুটে আসতে খলিফা বললেন, আজ রাতে বোধহয় আর চোখে ঘুম আসবে না, জাফর। তাই তোমাকে ডেকে পাঠালাম। বাকীটা রাত যাতে ভালোভাবে কাটে তার ব্যবস্থা কর।

জাফর বলে, ধর্মাবতার আলী নামে আমার এক দোস্ত আছে—সে পারসী শেখ। এক সময় অনেক মজাদার কাহিনী সে আমাকে শুনিয়েছিলো।

হারুন অল রসিদ বললেন ডাকো তাকে এক্ষুণি। আমি শুনবো তার কিসসা।

কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে সুলতান সমীপে হাজির করা হলো। জাফর তাকে পাশে বসিয়ে বললো, শোনো আলী, খলিফার চোখে আজ ঘুম আসছে না। রাতটা যাতে ভালোভাবে কাটে সে জন্য তোমাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তোমার গল্পের জাদুতে সারাটা রাত। খলিফাকে ভুলিয়ে রাখতে হবে।

খলিফা বললেন, শুনলাম; তোমার গল্পের এমন গুণ শুনতে শুনতে ঘুমে চোখ জুড়িয়ে আসে। তাই কী? তা হলে এমন একটা গল্প ফান্দো, যা শুনতে শুনতে আমি ঘুমে গলে যেতে পারি।

আলী সবিনয়ে মাথা নুইয়ে বলে, জো হাকুম জাঁহাপনা। এবারে আজ্ঞা করুন কী ধরনের কাহিনী আপনি শুনতে ইচ্ছা করেন। বানানো কিসসা-না, আমার নিজের চোখে দেখা ঘটনা?

সুলতান বললেন, তুমি নিজে যে ঘটনার সঙ্গে জডিত-সেইরকম একটা শোনাও।

আলী বলতে শুরু করে : একদিন আমি দোকান খুলে বসে আছি, এক সময় একটা কালো নিগ্রো এলো আমার দোকানে! দোকানে সাজানো নানারকম জিনিসপত্র দেখতে থাকলো। এটা ওটা নিয়ে দরদরি করতে লাগলো। তারপর, আমি লক্ষ্য করলাম এক সময় টুক করে একটা বটুয়া তুলে নিলো সে। ও ভাবলো, আমার নজরে আসেনি। তারপর অতি সহজভাবে দোকান থেকে বেরিয়ে হন হন করে চলতে থাকলো। এমন একটা ভাব, যেন কিছুই হয়নি। আমি আর চুপ করে থাকতে পারলাম না। ছুটে গিয়ে তার কামিজের খুঁট চেপে ধরলাম, এ্যাই—আমার বটুয়া দাও।

লোকটা রাগে ফুসে উঠলো, এটা আমার বটুয়া। এর মধ্যে আমার সামানপত্ব আছে। আমি ঐ ডাহা মিথুকটার কথা শুনে চিৎকার করে উঠলাম। পথচারীদের ডেকে জড়ো করলাম। শোনাও মুসলমান ভাইসব, এই বিধর্মী লোকটা আমার দোকান থেকে এই বটুয়াটা চুরি করে পালাচ্ছে।

আমার চোঁচামেচিতে অনেক লোকজন জড়ো হয়ে গেলো। সমব্যবসায়ীরা পরামর্শ দিলো, আর দেরি করো না। লোকটাকে এখুনি কাজীর কাছে নিয়ে যাও।

তাদের সাহায্যে নিগ্রোটাকে টানতে টানতে আমি কাজীর কাছে নিয়ে গেলাম। কাজীর প্রথম প্রশ্ন : কে বাঁদী, কে আসামী?

আমি বলতে যাবো, তার আগেই নিগ্রোটা কাজীকে সালাম ঠুকে বলতে লাগলো, আল্লাহর দোয়ায় আপনি ন্যায়বান ধর্মাবতার। আপনার কাছে আমার নিবেদন, এই বঁটুয়া আমার সম্পত্তি। এর মধ্যে যা কিছু আছে তাও আমার জিনিস। আমার কাছ থেকে হারিয়ে গিয়েছিলো এটা। আজ ওর দোকান থেকে উদ্ধার করেছি আমি।

কাজী প্রশ্ন করে : কবে হারিয়েছিলো?

গতকাল। এর চিন্তায় কাল সারাটা রাত আমি ঘুমাতে পারিনি, ধর্মাবতার।

কাজী বললো, ঠিক আছে। বটুয়াটা আমার সামনে রোখ। এর মধ্যে কী কী জিনিসপত্র আছে তার একটা ফৰ্দ বানাও।

নিগ্রোটা বলতে থাকলো : এর মধ্যে আমার দু’খানা স্ফটিকের কাজলকৌটো আছে। এ ছাড়া দুখান রূপের কাজল পরানো কাঁটা, একখানা রুমাল, দুটো বাহারী হাতল লাগানো সরবতের গেলাস, দুটো চিরাগবাতি, দু’খানা বড় চামচ, দু’খানা কুর্শির গদি। খেলার মেজে পাতার জন্য দু’খানা গালিচা, দুটো জলের বোতল, দু’খানা মুখ ধোবার গামলা, একখানা রেকবী, একটা রসুইপত্র, একটা মাটির পানি রাখার কুজো, একখানা রসুইখানার সিক, একখানা বড় কুরুশ কাঁটা, দু’খানা মদের থলে, একটা অন্তঃসত্ত্বা বেড়াল, দুটো মাদীকুত্তা, একটা চালের হাঁডি, দুটো গাধা, দুই প্রস্ত মেয়েদের শেবার ঘরের সামানপত্র, একখানা শণপাটের পোশাক, দুটো মেয়েদের ঢিলেঢালা কামিজ, একটা গরু, দুটো বাছুর, দুটো দ্রুতগামী আরবী উট, দুটো ভেড়া, একটা বড় উট, দুটো বাচ্চা, উট, একটা মোষ, দুটো ষাঁড়, একটা সিংহী, দুটো সিংহ, একটা মাদী ভালুক, দুটো খেঁকশিয়াল, একখানা গদীআটা আরামকেদারা, দু’খানা বিছানা, একখানা বিরাট

প্রাসাদ–তার মধ্যে দু’খানা ইয়া বড় বড় মজলিশি দরবার কক্ষ, দু’খানা সবুজ তাঁবু, দু’খানা চাঁদোয়া,

দুই দরজাওয়ালা একটা রসুইখানা এবং এক দল কুর্দ নিগ্রো। এ সবই আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি।

এইগুলো আছে ঐ বটুয়ায়-আমি হলফ করে বলছি, হুজুর, বন্টুয়াটা আমার।

এই সময়ে রাত্রি প্রভাত হয়ে আসে। শাহরাজাদ গল্প থামিয়ে চুপ করে বসে থাকে।

 

তিনশো ছিয়াত্তরতম রজনীতে আবার সে বলতে শুরু করে :

কাজী আমার দিকে ফিরে বললো, এখন তোমার কী বক্তব্য আছে, বলে। আমি আর কী বলবো, নিগ্রোটার সেই আজগুবী কথাবার্তা শুনে আমার তো আক্কেল গুড়ুম। যাই হোক, একটুক্ষণের মধ্যে নিজেকে ধাতস্থ করে নিয়ে আমি কাজীকে বললাম আল্লাহ আপনার আরও খ্যাতি, মান বাড়বেন হুজুর। আমার ঝোলাটায় একটা সভামঞ্চের ভাঙ্গচুর আছে। আর আছে একটা গোটা ইমারাৎ কিন্তু কোনও রসুইখানা নাই। আছে একটা পোল্লাই বড় কুকুরশালা, একটা ছেলেদের মাদ্রাসা। একদল আমুদে দাবাড়ে, একটা ডাকাতের আস্তানা, একদল ফৌজ আর তাদের সেনাপতি, গোটা বসরাহ আর বাগদাদ শহর, আন্দের পুত্র আমির সাদাদের প্রাচীন প্রাসাদ, একটা কামারশালা, একখানা মাছ ধরা জাল, একখানা মেষপালকের লাঠি, পাঁচটি খুবসুরৎ ছোকরা, বারোটি কুমারী কন্যা এবং মরুযাত্রীদের এক হাজার সর্দার। এই সবই আছে ঐ ঝোলায়। আমি দাবি করছি—এই আমার প্রমাণ, ঝোলাটা আমার।

আমার জবাব শোনামাত্র নিগ্রোটা কান্নায় ফেটে পড়লো। কুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে সে বলতে লাগলো, ধর্মাবতার আমার বটুয়াটা সকলের কাছে সুপরিচিত। যাকে জিজ্ঞেস করবেন। সেই বলবে বটুয়াটা আমার সম্পত্তি। আমি আপনার কাছে আগে যে ফর্দ পেশ করেছি তা ছাড়াও আরও কতকগুলো জিনিস ওই বঁটুয়ায় আছে। সেগুলো শুনুন : দুটা বাজেয়াপ্ত শহর, দশটা গম্বুজ, দুটো রসায়ন কারখানা, চারজন দাবাড়ে, একটা মাদী ঘোড়া, দুটো ঘোড়ার বাচ্চা, একটা পাল দেওয়া ঘোড়া,

দালাল, এক অন্ধ, দুজন জ্যোতিষী, একজন খোঁড়া মানুষ, দুজন অসাড়লোক, একজন জাহাজের কাপ্তেন, এক জাহাজ ভর্তি নাবিক, এক পাদরী, একজন পাঠান ধর্মযাজক, একজন সমাজপতি, দুজন সাধু এবং একজন কাজী। এছাড়া আরও আছে দুজন সাক্ষী। তারাই বলবে বটুয়াটা আমার। এর পর কাজী আবার আমার দিকে ফিরে বললো, এর জবাবে তোমার যদি কিছু বলার থাকে বলতে পার।

আলী বলতে থাকে : তখন আমার মাথা গরম হয়ে গেছে, জাঁহাপনা। কিন্তু নিজেকে সহজ এবং সংযত করে কাজীকে বললাম আল্লাহ আমাদের কাজীকে আরও উদার, নিরপেক্ষ বিচারবুদ্ধি দিন। আমি এর আগে যে সব সামানপত্রের কথা আপনাকে বলেছি তা ছাড়াও আরও কতকগুলো জিনিস আমার ঐ ঝোলাটায় আছে, ধর্মাবতার। সেগুলো বলছি : মাথা ধরার দাওয়াই, একটা সেনাবাহিনীর সাজ-পোশাক, বর্ম এবং অস্ত্রাগার, এক হাজার লড়াকু ভেড়া, একটা হরিণ চরানোর খোয়াড়, মেয়ে পাগল একদল মানুষ, কেতাদুরস্ত কতকগুলো ছোকরা, ফুল ফলের গাছে ভরা বাগিচা, দ্রাক্ষাকুঞ্জ, আপেল, ডুমুর জলের বোতল, পেয়ালা, সদ্য শাদী হওয়া যুগল দম্পতী, বারোটা পুর্তিগন্ধময় বাতকর্ম, অনেকগুলো কাপুরুষ, একটা শস্যশ্যামল মাঠ ভর্তি মানুষ, নিশান এবং পতাকা, হামাম নিসৃত সুগন্ধী হাওয়া, কুড়িজন গায়িকা, চারজন গ্ৰীক রমনী, পঞ্চাশজন তুরস্ক

আস্তাবল, একটি মসজিদ, অনেক হামাম, একশো সওদাগর, একটা হাতুড়ী, একটা পেরেক, একটা বাঁশীবাদক নিগ্রো, এক হাজার দিনার, নানা জিনিসপত্রে ঠাসা কুড়িটা প্যাটরা, কুড়িজন ঈষত নাচনেওয়ালী, পঞ্চশটা ভাড়ার ঘর, গোটা কুফা শহরটা, এছাড়া গাজা, দামিয়েটা এবং

শাবন শহর, সুলেমানের খুসরাম আমুশিরবান প্রাসাদ কক্ষ এবং ইসপাহানের মাঝখানের পুরো ভূখণ্ড। এছাড়া, আল্লাহ কাজীকে দীর্ঘায়ু করুন, একখানা শবাধার শব্বাচ্ছাদন এবং কাজী সাহেব যদি আমার অধিকার স্বীকার না করেন। সেই জন্যে দাড়ি কামানোর একখানা ক্ষুরও আছে ঐ ঝোলায়। আবারও বলছি, ঝোলাটা আমার ঝোলা।

এই সব কথা শোনার পর কাজী আমাদের দুজনের দিকে তাকালো। তারপর বলতে থাকলো, খোদা হাফেজ, হয় তোমরা দুজনেই পাজী বদমাইস আইনকে নিয়ে রঙ্গ তামাশা করতে এসেছ না। হলে এই বঁটুয়াটা কোনও অলৌকিক বস্তু।

এর পর কাজী বন্টুয়াটার মুখ খুলে ফেললো। তার মধ্যে কমলা রঙের একটা বডি আর কতকগুলো জলপাই এর আঁটি ছিলো মাত্র।

কাজী ব্যাচারা ভাবচ্যাক খেয়ে গেছে। আমি আর এক মুহূর্ত দেরি না করে তাকে বললাম, না। না, এ ঝোলা আমার না, এ নিশ্চয়ই ঐ নিগ্রোটার। ওকেই দিয়ে দিন।

এই বলে আমি সেখান থেকে ছুটে বেরিয়ে গেলাম। এই কাহিনী শুনে খলিফা হারুন অল রসিদ হেসে গড়িয়ে পড়লেন। খুশি হয়ে আলীকে নানা ইনাম উপহার দিয়ে বিদায় করলেন।

এরপর খলিফা শোয়ামাত্র নাক ডাকিয়ে ঘুমাতে থাকলেন। শাহরাজাদ বলে, কিন্তু জাঁহাপনা, আপনি ভাববেন না, এর চেয়ে মজাদার কিসসা আপনাকে আর শোনাবো না। হারুন অল রসিদের আর একটা কাহিনী শুনুন।

শাহরিয়ার বললে, আমি তো শোনার জন্যেই ঘুম কামাই করে বসে আছি। শাহরাজাদ। এবার শুনুন হারুন অল রসিদের মহব্বতের কাহিনী :

সকল অধ্যায়

১. ১.০১ বাদশাহ শারিয়ার ও তার ভাই বাদশাহ শাহজামানের কাহিনী
২. ১.০২ গাধা, বলদ আর গৃহস্বামীর উপাখ্যান
৩. ১.০৩ সওদাগর আর আফ্রিদি দৈত্য
৪. ১.০৪ প্রথম শেখের কাহিনী
৫. ১.০৫ দ্বিতীয় শেখের কাহিনী
৬. ১.০৬ তৃতীয় শেখের কাহিনী
৭. ১.০৭ ধীবর আর আফ্রিদি দৈত্যের কাহিনী
৮. ১.০৮ উজির, সুলতান য়ুনান হেকিম রায়ানের কিসসা
৯. ১.০৯ সিনবাদ আর বাজপাখি
১০. ১.১০ শাহজাদা আর রাক্ষসী
১১. ১.১১ শাহজাদা আর রঙিন মাছ
১২. ১.১২ কুলি-ছেলে আর তিন কন্যা
১৩. ১.১৩ প্রথম কালান্দার ফকিরের কাহিনী
১৪. ১.১৪ দ্বিতীয় কালান্দর ফকিরের কাহিনী
১৫. ১.১৫ তৃতীয় কালান্দর ফকিরের কাহিনী 
১৬. ১.১৬ বড় বোন জুবেদার কাহিনী
১৭. ১.১৭ মেজো বোন আমিনার কাহিনী
১৮. ১.১৮ একটি স্ত্রীলোকের খণ্ডিত দেহ, তিনটি আপেল ও নিগ্রো রাইহান
১৯. ১.১৯ উজির সামস অল-দিন তার ভাই নূর অল-দিন ও হাসান বদর অল-দিন
২০. ১.২০ দর্জি, কুঁজো, ইহুদি হেকিম, বাবুর্চি, খ্রীস্টান দালাল
২১. ১.২১ খ্ৰীষ্টান দালালের কাহিনী
২২. ১.২২ বাবুর্চির কাহিনী
২৩. ১.২৩ ইহুদী হেকিমের কাহিনী
২৪. ১.২৪ দর্জির কাহিনী
২৫. ১.২৫ নাপিতের কাহিনী
২৬. ১.২৬ মধুমিতা আর আলী নূর-এর কাহিনী
২৭. ১.২৭ ঘানিম আইয়ুব আর কুৎ-অল-এর কাহিনী
২৮. ১.২৮ উমর অল-নুমান, তার পুত্র সারকান ও দু-অল মাকানের কাহিনী
২৯. ১.২৯ আজিজ আর আজিজার কাহিনী
৩০. ১.৩০ শাহজাদা তাজ অল-মূলক ও শাহজাদী দুনিয়া
৩১. ১.৩১ দু-অল মাকানের পুত্র কান মা-কানা
৩২. ১.৩২ চরস খোরের কাহিনী
৩৩. ১.৩৩ রাজহাঁস ও ময়ূর-ময়ূরী
৩৪. ১.৩৪ মেষপালক রাখাল আর একটি মেয়ে
৩৫. ১.৩৫ কচ্ছপ ও বকের কাহিনী
৩৬. ১.৩৬ নেকড়ে আর খেঁকশিয়ালের কাহিনী
৩৭. ১.৩৭ ইঁদুর আর নেউলের গল্প
৩৮. ১.৩৮ কাক ও কাঠবেড়ালীর কাহিনী
৩৯. ১.৩৯ আলী-ইবন বকর ও সুন্দরী সামস আল-নাহারের কাহিনী
৪০. ১.৪০ শাহজাদা কামার আল-জামান আর শাহজাদী বদর-এর প্রণয় কাহিনী
৪১. ১.৪১ খুশ বাহার ও খুশ নাহারের কাহিনী
৪২. ১.৪২ আলা অল-দিন আবু সামাতের কাহিনী
৪৩. ১.৪৩ বিদূষী হাফিজার কাহিনী
৪৪. ১.৪৪ কবি আবু নবাসের দুঃসাহসিক কীর্তি
৪৫. ২.০১ সিন্দাবাদের প্রথম সমুদ্র-যাত্রা
৪৬. ২.০২ সিন্দাবাদের দ্বিতীয় সমুদ্র-যাত্রা
৪৭. ২.০৩ সিন্দাবাদের তৃতীয় সমুদ্র-যাত্রা
৪৮. ২.০৪ সিন্দাবাদের চতুর্থ সমুদ্র-যাত্রা
৪৯. ২.০৬ সিন্দাবাদের ষষ্ঠ সমুদ্র-যাত্রা
৫০. ২.০৭ সিন্দাবাদের সপ্তম ও শেষ সমুদ্রযাত্রা
৫১. ২.০৮ সুন্দরী জুমুর‍্যুদ এবং আলী শার-এর কাহিনী
৫২. ২.০৯ নানা রঙের ছয় কন্যার কাহিনী
৫৩. ২.১০ তাম্র নগরীর কাহিনী
৫৪. ২.১১ ইবন আল-মনসুর এবং দুই নারীর কাহিনী
৫৫. ২.১২ কসাই ওয়াঁর্দার ও উজির-কন্যার কাহিনী
৫৬. ২.১৩ জামালিকার কাহিনী
৫৭. ২.১৪ বুলুকিয়ার কাহিনী
৫৮. ২.১৫ খুবসুরৎ নওজোয়ান সাদ-এর কাহিনী
৫৯. ২.১৬ হাসি-তামাশায় হারুন অল-রসিদ
৬০. ২.১৭ ছাত্র ও শিক্ষকের কাহিনী
৬১. ২.১৮ অদ্ভুত বটুয়ার কাহিনী
৬২. ২.১৯ হারুন অল রসিদের মহব্বতের কাহিনী
৬৩. ২.২০ কে ভালো—উঠতি বয়সের ছোকরা, না—মাঝ-বয়সী মরদ
৬৪. ২.২১ শসা-শাহজাদা
৬৫. ২.২২ পালিত কেশ
৬৬. ২.২৩ সমস্যা-সমাধান
৬৭. ২.২৪ আবু নবাস আর জুবেদার গোসলের কাহিনী
৬৮. ২.২৫ আবু নবাসের কবির লড়াই
৬৯. ২.২৬ গাধার গল্প
৭০. ২.২৭ আইনের প্যাঁচে জুবেদা
৭১. ২.২৮ স্ত্রী না পুরুষ
৭২. ২.২৯ বখরা
৭৩. ২.৩০ মাদ্রাসার মৌলভীর কিসসা
৭৪. ২.৩১ মেয়েদের সেমিজের কারুকর্মের কথা
৭৫. ২.৩২ পেয়ালার বাণী
৭৬. ২.৩৩ মসুলের বিখ্যাত কালোয়াতী গায়ক ইশাকের কাহিনী – বাক্সের মধ্যে খলিফা
৭৭. ২.৩৪ মুদ্যোফরাশ
৭৮. ২.৩৫ সুর্মার কাহিনী
৭৯. ২.৩৬ ছেলে অথবা মেয়ে
৮০. ২.৩৭ আজব খলিফা
৮১. ২.৩৮ গুলাবী এবং রোশন এর কাহিনী
৮২. ২.৩৯ কালো ঘোড়ার আশ্চর্য যাদু কাহিনী
৮৩. ২.০৫ সিন্দাবাদের পঞ্চম সমুদ্র-যাত্রা
৮৪. ৩.০১.১ ধূর্ত ডিলাইলাহ ও তার জালিয়াৎ কন্যা জাইনাবের কাহিনী
৮৫. ৩.০১.২ সওদাগর সিদি মুসিন আর খাতুনের কথা
৮৬. ৩.০১.৩ সেয়ানা চোর আলীচাঁদ-এর কিসসা
৮৭. ৩.০২ ধীবর যুদর অথবা আশ্চর্য যাদু-থলের কাহিনী
৮৮. ৩.০৩ আবু কাইর আর আবু শাইর-এর মজাদার কাহিনী
৮৯. ৩.০৪ দুই আবদাল্লার উপকথা
৯০. ৩.০৫ পীতাম্বর যুবকের কাহিনী
৯১. ৩.০৬ আনারকলি এবং বদর বাসিমের কিসসা
৯২. ৩.০৭ মিশরের ফাল্লাহ ও তার ফর্সা ছেলেমেয়েরা
৯৩. ৩.০৮ খলিফা ও জেলের কাহিনী
৯৪. ৩.০৯ বসরাহর হাসানের দুঃসাহসিক অভিযান
৯৫. ৩.১০ স্ত্রীলোকের চাতুরী
৯৬. ৩.১১ আবু অল হাসানের কাহিনী
৯৭. ৩.১২ জাইন মাওয়াসিফের মহম্মতের কিসসা
৯৮. ৩.১৩ কুঁড়ের বাদশার কাহিনী
৯৯. ৩.১৪ নওজোয়ান নূর এবং এক লড়াকু মেয়ের কিসসা
১০০. ৩.১৫ সপ্তম হীরক কন্যার কাহিনী
১০১. ৩.১৬.১ আলা অল-দিন ও আশ্চর্য চিরাগ বাতি
১০২. ৩.১৬.২ আলাদিনের চেরাগ (পার্ট ২)
১০৩. ৩.১৬.৩ আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ (পার্ট ৩)
১০৪. ৩.১৬.৪ আলাদিনের দৈত্য (পার্ট ৪)
১০৫. ৩.১৬.৫ আলাদিনের জাদুর চেরাগ (পার্ট ৫ / শেষ পর্ব)
১০৬. ৪.০১ হিতোপদেশের গল্প
১০৭. ৪.০১ হিতোপদেশের গল্প
১০৮. ৪.০২ গোলাপ-সুন্দরী ফারিজাদের কাহিনী
১০৯. ৪.০৩ কামর ও হালিমার কাহিনী
১১০. ৪.০৪ হারাম-আকিলের কাহিনী
১১১. ৪.০৫ সুলতান মহম্মদের ন্যায় বিচার
১১২. ৪.০৬ শেখ হাসান আবদাল্লার কাহিনী
১১৩. ৪.০৭ আবু কাশেমের অঙ্গবাস
১১৪. ৪.০৮ চরসের নেশায়
১১৫. ৪.০৯ ভ্রষ্টা নারী এবং তার নওজোয়ান নাগর
১১৬. ৪.১০ বৃদ্ধ কাজীর তরুণী বিবি
১১৭. ৪.১১ সুন্দরীর নূরের পাণিপ্রার্থীরা
১১৮. ৪.১২ মুতাবাকিল আল্লাহর বিত্ত বৈভব
১১৯. ৪.১৩ সুলতান মামুদের কাহিনী
১২০. ৪.১৪ বসরাহর আবু কাশেম
১২১. ৪.১৫ তিন কুলজী বিদ্যা-বিশারদের কাহিনী
১২২. ৪.১৬ সুলতান মাহমুদের বাঁদর
১২৩. ৪.১৭ তিন পাগলের কাহিনী
১২৪. ৪.১৮ আলিবাবা ও চল্লিশ চোর
১২৫. ৪.১৯ বাগদাদের বড় সেতুর উপরে অল-রসিদ
১২৬. ৪.২০ সিদি নুমানের কাহিনী
১২৭. ৪.২১ কাঠুরিয়া যুবরাজ
১২৮. ৪.২২ বৃদ্ধ শেখের কাহিনী
১২৯. ৪.২৩ খঞ্জ মাদ্রাসা শিক্ষকের কাহিনী
১৩০. ৪.২৪ অন্ধ ভিক্ষারীর কাহিনী
১৩১. ৪.২৫ গবেটচন্দরের কাহিনী
১৩২. ৪.২৬ তিন বোনের কাহিনী
১৩৩. ৪.২৭ তিন কন্যার কাহিনী
১৩৪. ৪.২৮ ফেরিওয়ালার তিন কন্যা
১৩৫. ৪.২৯ দামাসকাসের রূপবান সওদাগর
১৩৬. ৪.৩০ হাবিব হাবিবার কাহিনী
১৩৭. ৪.৩১ সর্দারের নষ্টাচরিত্রা বিবি
১৩৮. ৪.৩২ নফর ফিরুজের বিবি ও সুলতান
১৩৯. ৪.৩৩ অপরিণামদর্শী সিরিয়া সওদাগরের শিক্ষা
১৪০. ৪.৩৪ হারুন অল রসিদের গ্রন্থপাঠ
১৪১. ৪.৩৫ শাহজাদা হীরার কাহিনী
১৪২. ৪.৩৬ গোহা ও তার ইয়ার-বন্ধুরা
১৪৩. ৪.৩৭ তুফা অল কুলবের কাহিনী
১৪৪. ৪.৩৮ অল মালিক বাইবারসের দরবারে – দ্বাদশ সর্দারের কাহিনী
১৪৫. ৪.৩৯ চীন শাহজাদীর বাগানের সমুদ্র-গোলাপ
১৪৬. ৪.৪০ দজ্জাল বিবির অত্যাচারে দেশত্যাগী মারুফ-মুচির ভাগ্য-বিবর্তন
১৪৭. ৪.৪১ আলেকজান্দ্রা শহরের ধনী যুবকের কাহিনী
১৪৮. ৪.৪২ ফিন্দের দুই বীরাঙ্গনা কন্যা
১৪৯. ৪.৪৩ ফতিমার কাহিনী
১৫০. ৪.৪৪ কিণ্ডাইটের সম্রাট হজর ও তার স্ত্রী হিন্দের গল্প
১৫১. ৪.৪৫ আয়েশা কথিত কাহিনী
১৫২. ৪.৪৬ খলিফা ওমর ইবন অল-খাতাবের কাহিনী
১৫৩. ৪.৪৭ কুফার কবি মহম্মদ কথিত কাহিনী
১৫৪. ৪.৪৮ পরান্নভোজী তুফেনের কাহিনী
১৫৫. ৪.৪৯ খলিফা অল হাদীর অন্তিম দশা
১৫৬. ৪.৫০ অভিশপ্ত কণ্ঠহার
১৫৭. ৪.৫১ মশুলের গায়ক ইশাকের রোজনামচা
১৫৮. ৪.৫২ অল মামুন ও জুবেদা বেগমের কাহিনী
১৫৯. ৪.৫৩ জাফরের অন্তিম দশা
১৬০. ৪.৫৪ শাহজাদা জুঁই আর শাহজাদী বাদামের প্রেম উপাখ্যান

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন