৪.০৮ চরসের নেশায়

ক্ষিতিশ সরকার

এক শহরে এক জেলে বাস করতো। লোকটির জাত-ব্যবসা ছিলো মাছধরা। কিন্তু সর্বজনের কাছে সে পরিচিত ছিলো চরসখোর হিসেবে।

সারা দিনে রাতে মাত্র তিনবার সে চরস সেবন করতো। খুব সকালে কাজে বেরোবার আগে, বাসি পেটে একবার। একবার ভর দুপুর বেলায় এবং আর একবার সূর্য পাটে বসার সময় খেত

সে। এর বেশি সে একবারও খেয়ে পয়সার অপচয় করতে না কখনও।

সে বলতো, এটা তার নেশা নয়। সারা দিন গাধার মতো খাটার ক্ষমতা জোগায় এই চরস। শরীরে যেমন তাগদ জোগায়। মনও স্ফূর্তিতে থাকে। কাজে কখনও কুঁড়েমি লাগে না। এমন কি কোনও কোনও দিন সে ভূতের মতোও খেটে প্রচুর মাছ ধরে আনে।

কখনও-সখনও সন্ধ্যাবেলায় মাত্রাটা একটু বাড়িয়ে খেতো। তারপর টিমটিমে একটা ফুপি জ্বালিয়ে নেশায় বুদ হয়ে বসে বসে ঝিমাতো। আর বিড় বিড় করে আপন খেয়ালে কি যেন সব আওড়াতো।

এই রকম এক সন্ধ্যার কথা শুনুন : সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে এসে খানিকটা মাত্রা চড়িয়ে সে চরস সেবন করে চোখ বুজে দাওয়ায় বসে কল্পনার ইন্দ্রজাল বুনে চলেছিলো। কিছুক্ষণ পর একবার নয়ন মেলে তাকিয়ে দেখে ফুটফুটে জ্যোৎস্নালোকে আঙ্গিনা ভরে গেছে। জেলের প্রাণে বসন্ত জেগে ওঠে। পায়ে পায়ে সে রাস্তায় নেমে আসে। নিশুতি-নির্জন রাত। কোথাও কোনও জনমানবের সাড়া শব্দ নাই। শুধু চাঁদের আলোর ঢেউ খেলে যাচ্ছে সর্বত্র।

জেলের মনে খুশির বন্যা উপছে পড়ে। হাঁটতে হাঁটতে এক সময় সে তার নিত্য সঙ্গী নীলের ধারে এসে উপস্থিত হয়।

মাথার ওপর পূর্ণচাদের মেলা। নীলে নিথর জল। ঘাটে ঘাটে মাঝিমাল্লারা নৌকা নোঙর করে নিদ্রামগ্ন। নদীর পাড়ে নদী এবং প্রকৃতির অপরূপ মনোহর শোভায় অভিভূত হয়ে পড়ে সে! হঠাৎ

তার নজর চলে যায় নদীর অতলে। স্বচ্ছ জলে চাঁদের ছায়া পড়েছিলো। জেলে অবাক হয়ে ভাবে, হায় বাপ, আসমানের চাঁদ নদীর জলে নেমে মাছের সঙ্গে খেলায় মেতেছে? এ মওকা তো ছাড়া যায় না। চাঁদমামাকে এবার কজায় পেয়েছি, পালাবে কোথায়? প্রায় ছুটতে ছুটতে সে ঘরে ফিরে এসে জালটা কাঁধে তুলে নিয়ে আবার নীলের পথে ছুটে যায়।

মনে আশঙ্কা ছিলো, হয়তো ফিরে গিয়ে দেখবে চাঁদমামা চলে গেছে! কিন্তু না; তখনও সে তেমনি মধুর হাসি ছড়িয়ে জলের তলাতেই দুলছে। সেই নীল নির্জন গভীর নিশুতি রাতে কাঁধ থেকে জালটা নামিয়ে হাতে বাগিয়ে ধরে সহজাত দক্ষতায় বৃত্তাকারে ছড়িয়ে ফেলে। মনে আশা, চাঁদকে সে জালের ঘায়ে জড়িয়ে ফেলবে! কিন্তু একটু পরে গুটিয়ে তোলার পর সে হতাশায় ভেঙ্গে পড়ে।

জালটা কাঁধে তুলে আবার সে বাড়ির পথ ধরে।

কিছু দূর আসার পর রাস্তার পাশের নালার জলে আবার সে চাঁদটা দেখতে পেয়ে নেচে ওঠে, ওরে মামা, তুমি হালা এইখানে পালিয়ে এয়েছে। দাঁড়াও দেখছি।

খুব সন্তর্পণে আবার সে জালটাকে ছড়িয়ে ফেলে নালাটার উপর। দুটি কুকুর শুয়েছিলো নালার ধারে। হঠাৎ জালে ঢাকা পড়ে তাদের নিদ্রা ছুটে যায়। জাল থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য হুড়পাড় করতে থাকে তারা। জেলে ভাবে মোটা মাছ বেঁধেছে। খুব কায়দা কসরত করে সে জালটাকে গুটাবার চেষ্টা করে কিন্তু জাঁদরেল কুকুর দুটোর দাপটের কাছে সে টিকে থাকতে পারবে কেন। ওরা ওকে হিড় হিড় করে টেনে নিয়ে যায় নালার জলে। জেলে নাকানি চোকানি খেতে থাকে।

—কই গো, কে আছ, সাচ্চা মুসমলান, বাঁচাও, বাঁচাও!

তার চেঁচামেচি চিৎকারে আশেপাশে বাড়ির প্রহরীরা ছুটে আসে! চরসখোরের কাণ্ড দেখে হেসে লুটোপুটি খেতে থাকে।

ওদের তামাসা দেখে জেলের হাড়-পিত্তি জ্বলে যায়।

—তোমরা তো বড় বেল্লিক বদমাইশ হে, এইভাবে শয়তান আমাকে বেকায়দায় ফেলে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে, আর তোমরা মুসলমানের বাচ্চা হয়ে কিনা দাঁত বের করে হাসছো? তোমরা কী এক বাপের জন্ম?

জেলের কথায় প্রহরীরা ক্ষেপে ওঠে। লোকটা জাতে মাতাল হলেও গালিগালাজ-এর বেলায় তো বেশ টনটনে আছে।

দাঁড়াও, তোমার ওষুধের ব্যবস্থা করছি। জেলেকে ধরে আচ্ছা করে ঠেঙিয়ে টানতে টানতে কাজীর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে হাজির করলো ওরা।

রাত্রি শেষ হয়ে এলো। শাহরাজাদ গল্প থামিয়ে চুপ করে বসে রইলো।

 

সাতশো আটানব্বইতম রজনী :

আবার সে বলতে শুরু করেঃ

আল্লাহর কী মহিমা, কাজী সাহেবও চরস-এ বুদু হয়ে ঝিমচ্ছিল তখন। ঐ নেশার ঝোকেও তিনি বুঝতে পারলেন, প্রহরীরা যাকে ধরে এনেছে সে তারই মতো এক চরসোর।

জেলেকে রেখে প্রহরীদের বিদায় করে দিলেন তিনি। তারপর নফরদের বললেন, এ্যাঁই, মেহমানের খানাপিনা এবং শোবার ব্যবস্থা করে দে। দেখিস, যেন কোনও অসুবিধে না হয় ওর।

খুব চৰ্য্য চোষ্য করে খেয়ে দেয়ে গরম বিছানায় টানটান হয়ে শুয়ে পড়লো জেলে এবং এক ঘুমে বাকী রাত এবং পরের দিনটাও কাবার হয়ে গেলো।

সন্ধ্যাবেলায় কাজীর চাকর এসে ডেকে তুললো জেলেকে।

-সাহেব আপনাকে সালাম জানিয়েছেন, মালিক। কা

জীর সামনে দাঁড়াতেই তিনি বুকে জড়িয়ে ধরলেন জেলেকে।

—তুমি আমার বুকের কলিজা, আমার ভাই, এস, মৌতাতে বসা যাক।

দুই চরসখোর বসে চরস খেয়ে নেশায় ঝুঁদ হয়ে রইলো কিছুক্ষণ। চাকর এসে খবর দিলো রাতের খানা দেওয়া হয়েছে টেবিলে।

কাজী সাহেব জেলের হাত ধরে টেনে তোলেন, চলো ভাইসাব, খানা-পিনা সেরে দিই।

খাওয়া-দাওয়া হয়ে গেলে আবার ওরা দু’জনে মুখোমুখি বসলো। আরও খানিকটা চরস গলাধঃকরণ করে নেশাটাকে রঙদার করে দিতে চাইলো।

এরপরেই শুরু হলো আসল মজা। কিছুক্ষণের মধ্যেই মাত্রাতিরিক্ত মাদকের ক্রিয়াকাণ্ড আরম্ভ হয়ে গেলো।

কাজী সাহেব এক এক করে সব সাজ-পোশাক খুলে ফেললেন। জেলেও দেখাদেখি ন্যাংটো হয়ে দাঁড়ালো। তারপর শুরু হলো ওদের উদ্দাম নৃত্য। শুধু নাচ নয়, অপূর্ব সঙ্গীত-লহরীতেও আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে তুললো দু’জনে। ভাগ্যে ধারে কাছে গাধারা কেউ ছিলো না।

রাত তখন নেহাত কম নয়। নাচের তাণ্ডব চলেছে অন্দরে। কিন্তু পথচারীরাও স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছিল সব।

সুলতান এবং তার উজির নৈশ পরিক্রমায় বেরিয়েছেন। ঘুরতে ঘুরতে এক সময় এঁরা কাজীর বাড়ির সামনে এসে পড়েন। ওদের পরনে বণিকের ছদ্মবেশ। উজিরকে সঙ্গে নিয়ে সুলতান ভেজানো দরজা ঠেলে উঁকি দিয়ে দেখলেন, কাজী সাহেব এবং অন্য একটি লোক একেবারে উলঙ্গ হয়ে নানা ঢং-এ নেচে চলেছে এবং রসভ-কণ্ঠের লহরা তুলছে।

সুলতান এবং উজির ভিতরে ঢুকতে কাজী সাহেবরা নৃত্যগীত বন্ধ করে এগিয়ে এলো সামনে।

—আসুন, আসুন, আসতে আজ্ঞা হোক। আমার কী সেই ভাগ্য, অধমের গরীবখানায় আপনাদের পায়ের ধুলো পড়লো।

কাজী সাহেব বিন্দুমাত্র লজ্জিত বা সঙ্কুচিত না হয়ে এগিয়ে এসে সুলতানকে সাদর সম্ভাষণ জানালেন।

সুলতান আসন গ্রহণ করলে, কাজী সাহেব জেলেকে নিয়ে আবার রসকলি নৃত্য-সঙ্গীতে উদ্দাম হয়ে উঠলেন।

কাজী সাহেবের দেহের বর্ণ সোনার মতো। কিন্তু তাঁর সঙ্গীটি ঘোরতর কৃষ্ণবর্ণের। সুলতান উজিরের কানে কানে ফিসফিস করে বললেন, দেখছো, আমাদের কাজীর গায়ের রঙটাই শুধু ফর্সা, কিন্তু আসল বস্তুটি তার সাথীর তুলনায় ধানি লঙ্কা!

-কী? কানে কানে গুজুর গুজুর করছো কী তোমরা? জেলেটা প্রায় ক্ষেপে উঠলো, জান, আমি কে? এই শহরকা সুলতান। চুপসে বসে নাচ দেখ আমাদের। কোনও রকম গুজ গুজ ফুস ফুস করবে না, বুঝলে? এ আমার হুকুম। যদি এরপরে ফের এই রকম বেয়াদপি করতে দেখি, তবে তোমাদের দুজনারই গর্দান নেব আমি। মনে থাকে যেন, আমি হচ্ছি সুলতান, আর আমার এই সঙ্গীটি হচ্ছে আমার উজির। তামাম দুনিয়াটা আমার হাতের মুঠোয়। জালাখানা গুটাবো আর সব খলবল করে উঠে এসে লুটিয়ে পড়বে আমার পায়ের ওপর। বাবা, যে সে কথা নয়, আমি হচ্ছি আরব দুনিয়ার একচ্ছত্র অধিপতি। আমার হুকুমে বাঘে ছাগলে একঘাটে পানি খায়।

সুলতান এবং উজির বুঝলেন, ওঁরা দুই চরসখোরের সামনে এসে পড়েছেন। উজির জিজ্ঞেস করলো, তা মহামান্য সুলতান, কতদিন হলো এখানকার সুলতান হয়েছেন। এর আগে যিনি মসনদে ছিলেন, তিনি গেলেন কোথায়?

বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে তৎক্ষণাৎ জেলে জবাব দেয়, তাকে আমি বিদায় করে দিয়েছি।

-আপনি বিদায় দিলেন আর তিনি চলে গেলেন?

–সঙ্গে সঙ্গে। এক তিল দেরি করলেন না। যেই আমি বললাম, এবার তোমার দিন ফুরিয়ে গেছে, তুমি কেটে পড়, অমনি সে আভূমি আনত হয়ে আমাকে কুর্ণিশ জানিয়ে বললো, আমি তো আপনারই জন্যে পথ চেয়ে এই মসনদ আগলে বসে রয়েছি, জাঁহাপনা। আপনার মসনদ আপনি নিন। আমাকে রেহাই দিন এই গুরুদায়িত্ব থেকে। বাদশাহীতে আমার কোনও মোহ লিপ্সা নাই। এতোবড় হুকুমতের গুরুদায়িত্ব আমার ঘাড়ে পর্বতপ্রমাণ ভারি বোঝা হয়ে আছে এতো কাল। এতো দায়িত্ব আমি আর পালন করতে পারছি না।

সুলতান আর হাসি চাপতে পারেন না। কিন্তু ওদের সামনে প্রাণ খুলে হাসার উপায় নাই। গর্দান যাবে। সুতরাং উজিরকে ইশারা করে টুক করে রাস্তায় নেমে পড়েন তিনি।

গল্পটা এখানেই শেষ নয়। পরদিন সকালে সুলতান কাজী সাহেব এবং তার অনুচরটাকে তলব করলেন।

কাজী এবং জেলে এসে হাজির হলো দরবারে। সুলতান কাজীকে উদ্দেশ্য করে বললেন।

কাজী সাহেব, আপনি আমার আদালতের বিচারক। মহামাননীয় ব্যক্তি। কোনটা ন্যায়, কোনটা অন্যায়, এই বিধান আমরা চাই আপনার কাছে। কিন্তু একটা কথা বলি, নিশুতি রাতে পাড়া-প্রতিবেশী এবং পথচারীদের কানের তালা ফাটানো সঙ্গীত শুনিয়ে শান্তি ভঙ্গ করার বিধান আপনার কোন আইনে আছে? নিজের বাড়ির অন্দরে চরস খেয়ে সঙ্গী সাথী নিয়ে উদ্দাম হয়ে নাচন-কোদন করাই কি আপনার মতো প্রাজ্ঞ বিচারপতির সাজে?

কাজী সাহেব বুঝতে পারেন গতরাতের ছদ্মবেশী বণিকদ্বয় স্বয়ং সুলতান ‘এবং তার উজির ছাড়া কেউ নয়। সঙ্গে সঙ্গে সে সাষ্টাঙ্গে লুটিয়ে পড়ে

সুলতানের মসনদের সামনে। -দোহাই হুজুর, আমার গোস্তাকি মাফ করুন। না জেনে আমি আপনার যথাযোগ্য সম্মান করতে পারিনি। তখন চরসের নেশায় কি বলতে কি বলেছি আপনাকে, এখন আমার কিছুই মনে নাই। আপনি বিশ্বাস করুন, জাঁহাপনা। যা-ই বলে থাকি, আমি বলিনি, বলেছে আমার নেশা—চরস। সেই কথা ভেবে অধমকে রেহাই করে দিন এবারের মতো।

জেলেটার নেশা তখনও কাটেনি। চোখ দুটো চেষ্টা করেও খুলে রাখতে পারছে না সে।

কিন্তু কাজীর কথায় সে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো, আরে, অত কাচুমাচু করার কী আছে? আমরা কী চুরি করেছি, না ডাকাতি করেছি। ইচ্ছে হয়েছে নেশা করেছি।

তারপর সুলতানকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকে আপনি এখানে আপনার প্রাসাদে সুলতান হয়ে তখতে বসে আছেন। খুব ভালো। কিন্তু আমিই বা কম কিসে আপনার তুলনায়? কাল রাতে আমাদের প্রাসাদে আমরা সুলতান উজির ছিলাম। সেখানে আপনারা তো আমার প্রজার সমান।

সুলতান মজা পান।

—তোমার কথা একশোবার খাঁটি। আমি আমার তখতে, তুমি তোমার ডেরায় সুলতান। তাহলে এসো দোস্ত, আমরা দুজনেই সুলতান হয়ে এক সঙ্গে বসবাস করি।

জেলে গম্ভীরভাবে বলে, আপনার প্রস্তাব আমি বিবেচনা করে দেখতে পারি। কিন্তু তার আগে আমার উজিরকে সব গুনাহ থেকে রেহাই দিতে হবে।

সুলতান হাসতে হাসতে বললেন, ঠিক আছে, তোমার সম্মানে আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম।

এরপর আর একটা কাহিনী শুরু করে শাহরাজাদ।

সকল অধ্যায়

১. ১.০১ বাদশাহ শারিয়ার ও তার ভাই বাদশাহ শাহজামানের কাহিনী
২. ১.০২ গাধা, বলদ আর গৃহস্বামীর উপাখ্যান
৩. ১.০৩ সওদাগর আর আফ্রিদি দৈত্য
৪. ১.০৪ প্রথম শেখের কাহিনী
৫. ১.০৫ দ্বিতীয় শেখের কাহিনী
৬. ১.০৬ তৃতীয় শেখের কাহিনী
৭. ১.০৭ ধীবর আর আফ্রিদি দৈত্যের কাহিনী
৮. ১.০৮ উজির, সুলতান য়ুনান হেকিম রায়ানের কিসসা
৯. ১.০৯ সিনবাদ আর বাজপাখি
১০. ১.১০ শাহজাদা আর রাক্ষসী
১১. ১.১১ শাহজাদা আর রঙিন মাছ
১২. ১.১২ কুলি-ছেলে আর তিন কন্যা
১৩. ১.১৩ প্রথম কালান্দার ফকিরের কাহিনী
১৪. ১.১৪ দ্বিতীয় কালান্দর ফকিরের কাহিনী
১৫. ১.১৫ তৃতীয় কালান্দর ফকিরের কাহিনী 
১৬. ১.১৬ বড় বোন জুবেদার কাহিনী
১৭. ১.১৭ মেজো বোন আমিনার কাহিনী
১৮. ১.১৮ একটি স্ত্রীলোকের খণ্ডিত দেহ, তিনটি আপেল ও নিগ্রো রাইহান
১৯. ১.১৯ উজির সামস অল-দিন তার ভাই নূর অল-দিন ও হাসান বদর অল-দিন
২০. ১.২০ দর্জি, কুঁজো, ইহুদি হেকিম, বাবুর্চি, খ্রীস্টান দালাল
২১. ১.২১ খ্ৰীষ্টান দালালের কাহিনী
২২. ১.২২ বাবুর্চির কাহিনী
২৩. ১.২৩ ইহুদী হেকিমের কাহিনী
২৪. ১.২৪ দর্জির কাহিনী
২৫. ১.২৫ নাপিতের কাহিনী
২৬. ১.২৬ মধুমিতা আর আলী নূর-এর কাহিনী
২৭. ১.২৭ ঘানিম আইয়ুব আর কুৎ-অল-এর কাহিনী
২৮. ১.২৮ উমর অল-নুমান, তার পুত্র সারকান ও দু-অল মাকানের কাহিনী
২৯. ১.২৯ আজিজ আর আজিজার কাহিনী
৩০. ১.৩০ শাহজাদা তাজ অল-মূলক ও শাহজাদী দুনিয়া
৩১. ১.৩১ দু-অল মাকানের পুত্র কান মা-কানা
৩২. ১.৩২ চরস খোরের কাহিনী
৩৩. ১.৩৩ রাজহাঁস ও ময়ূর-ময়ূরী
৩৪. ১.৩৪ মেষপালক রাখাল আর একটি মেয়ে
৩৫. ১.৩৫ কচ্ছপ ও বকের কাহিনী
৩৬. ১.৩৬ নেকড়ে আর খেঁকশিয়ালের কাহিনী
৩৭. ১.৩৭ ইঁদুর আর নেউলের গল্প
৩৮. ১.৩৮ কাক ও কাঠবেড়ালীর কাহিনী
৩৯. ১.৩৯ আলী-ইবন বকর ও সুন্দরী সামস আল-নাহারের কাহিনী
৪০. ১.৪০ শাহজাদা কামার আল-জামান আর শাহজাদী বদর-এর প্রণয় কাহিনী
৪১. ১.৪১ খুশ বাহার ও খুশ নাহারের কাহিনী
৪২. ১.৪২ আলা অল-দিন আবু সামাতের কাহিনী
৪৩. ১.৪৩ বিদূষী হাফিজার কাহিনী
৪৪. ১.৪৪ কবি আবু নবাসের দুঃসাহসিক কীর্তি
৪৫. ২.০১ সিন্দাবাদের প্রথম সমুদ্র-যাত্রা
৪৬. ২.০২ সিন্দাবাদের দ্বিতীয় সমুদ্র-যাত্রা
৪৭. ২.০৩ সিন্দাবাদের তৃতীয় সমুদ্র-যাত্রা
৪৮. ২.০৪ সিন্দাবাদের চতুর্থ সমুদ্র-যাত্রা
৪৯. ২.০৬ সিন্দাবাদের ষষ্ঠ সমুদ্র-যাত্রা
৫০. ২.০৭ সিন্দাবাদের সপ্তম ও শেষ সমুদ্রযাত্রা
৫১. ২.০৮ সুন্দরী জুমুর‍্যুদ এবং আলী শার-এর কাহিনী
৫২. ২.০৯ নানা রঙের ছয় কন্যার কাহিনী
৫৩. ২.১০ তাম্র নগরীর কাহিনী
৫৪. ২.১১ ইবন আল-মনসুর এবং দুই নারীর কাহিনী
৫৫. ২.১২ কসাই ওয়াঁর্দার ও উজির-কন্যার কাহিনী
৫৬. ২.১৩ জামালিকার কাহিনী
৫৭. ২.১৪ বুলুকিয়ার কাহিনী
৫৮. ২.১৫ খুবসুরৎ নওজোয়ান সাদ-এর কাহিনী
৫৯. ২.১৬ হাসি-তামাশায় হারুন অল-রসিদ
৬০. ২.১৭ ছাত্র ও শিক্ষকের কাহিনী
৬১. ২.১৮ অদ্ভুত বটুয়ার কাহিনী
৬২. ২.১৯ হারুন অল রসিদের মহব্বতের কাহিনী
৬৩. ২.২০ কে ভালো—উঠতি বয়সের ছোকরা, না—মাঝ-বয়সী মরদ
৬৪. ২.২১ শসা-শাহজাদা
৬৫. ২.২২ পালিত কেশ
৬৬. ২.২৩ সমস্যা-সমাধান
৬৭. ২.২৪ আবু নবাস আর জুবেদার গোসলের কাহিনী
৬৮. ২.২৫ আবু নবাসের কবির লড়াই
৬৯. ২.২৬ গাধার গল্প
৭০. ২.২৭ আইনের প্যাঁচে জুবেদা
৭১. ২.২৮ স্ত্রী না পুরুষ
৭২. ২.২৯ বখরা
৭৩. ২.৩০ মাদ্রাসার মৌলভীর কিসসা
৭৪. ২.৩১ মেয়েদের সেমিজের কারুকর্মের কথা
৭৫. ২.৩২ পেয়ালার বাণী
৭৬. ২.৩৩ মসুলের বিখ্যাত কালোয়াতী গায়ক ইশাকের কাহিনী – বাক্সের মধ্যে খলিফা
৭৭. ২.৩৪ মুদ্যোফরাশ
৭৮. ২.৩৫ সুর্মার কাহিনী
৭৯. ২.৩৬ ছেলে অথবা মেয়ে
৮০. ২.৩৭ আজব খলিফা
৮১. ২.৩৮ গুলাবী এবং রোশন এর কাহিনী
৮২. ২.৩৯ কালো ঘোড়ার আশ্চর্য যাদু কাহিনী
৮৩. ২.০৫ সিন্দাবাদের পঞ্চম সমুদ্র-যাত্রা
৮৪. ৩.০১.১ ধূর্ত ডিলাইলাহ ও তার জালিয়াৎ কন্যা জাইনাবের কাহিনী
৮৫. ৩.০১.২ সওদাগর সিদি মুসিন আর খাতুনের কথা
৮৬. ৩.০১.৩ সেয়ানা চোর আলীচাঁদ-এর কিসসা
৮৭. ৩.০২ ধীবর যুদর অথবা আশ্চর্য যাদু-থলের কাহিনী
৮৮. ৩.০৩ আবু কাইর আর আবু শাইর-এর মজাদার কাহিনী
৮৯. ৩.০৪ দুই আবদাল্লার উপকথা
৯০. ৩.০৫ পীতাম্বর যুবকের কাহিনী
৯১. ৩.০৬ আনারকলি এবং বদর বাসিমের কিসসা
৯২. ৩.০৭ মিশরের ফাল্লাহ ও তার ফর্সা ছেলেমেয়েরা
৯৩. ৩.০৮ খলিফা ও জেলের কাহিনী
৯৪. ৩.০৯ বসরাহর হাসানের দুঃসাহসিক অভিযান
৯৫. ৩.১০ স্ত্রীলোকের চাতুরী
৯৬. ৩.১১ আবু অল হাসানের কাহিনী
৯৭. ৩.১২ জাইন মাওয়াসিফের মহম্মতের কিসসা
৯৮. ৩.১৩ কুঁড়ের বাদশার কাহিনী
৯৯. ৩.১৪ নওজোয়ান নূর এবং এক লড়াকু মেয়ের কিসসা
১০০. ৩.১৫ সপ্তম হীরক কন্যার কাহিনী
১০১. ৩.১৬.১ আলা অল-দিন ও আশ্চর্য চিরাগ বাতি
১০২. ৩.১৬.২ আলাদিনের চেরাগ (পার্ট ২)
১০৩. ৩.১৬.৩ আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ (পার্ট ৩)
১০৪. ৩.১৬.৪ আলাদিনের দৈত্য (পার্ট ৪)
১০৫. ৩.১৬.৫ আলাদিনের জাদুর চেরাগ (পার্ট ৫ / শেষ পর্ব)
১০৬. ৪.০১ হিতোপদেশের গল্প
১০৭. ৪.০১ হিতোপদেশের গল্প
১০৮. ৪.০২ গোলাপ-সুন্দরী ফারিজাদের কাহিনী
১০৯. ৪.০৩ কামর ও হালিমার কাহিনী
১১০. ৪.০৪ হারাম-আকিলের কাহিনী
১১১. ৪.০৫ সুলতান মহম্মদের ন্যায় বিচার
১১২. ৪.০৬ শেখ হাসান আবদাল্লার কাহিনী
১১৩. ৪.০৭ আবু কাশেমের অঙ্গবাস
১১৪. ৪.০৮ চরসের নেশায়
১১৫. ৪.০৯ ভ্রষ্টা নারী এবং তার নওজোয়ান নাগর
১১৬. ৪.১০ বৃদ্ধ কাজীর তরুণী বিবি
১১৭. ৪.১১ সুন্দরীর নূরের পাণিপ্রার্থীরা
১১৮. ৪.১২ মুতাবাকিল আল্লাহর বিত্ত বৈভব
১১৯. ৪.১৩ সুলতান মামুদের কাহিনী
১২০. ৪.১৪ বসরাহর আবু কাশেম
১২১. ৪.১৫ তিন কুলজী বিদ্যা-বিশারদের কাহিনী
১২২. ৪.১৬ সুলতান মাহমুদের বাঁদর
১২৩. ৪.১৭ তিন পাগলের কাহিনী
১২৪. ৪.১৮ আলিবাবা ও চল্লিশ চোর
১২৫. ৪.১৯ বাগদাদের বড় সেতুর উপরে অল-রসিদ
১২৬. ৪.২০ সিদি নুমানের কাহিনী
১২৭. ৪.২১ কাঠুরিয়া যুবরাজ
১২৮. ৪.২২ বৃদ্ধ শেখের কাহিনী
১২৯. ৪.২৩ খঞ্জ মাদ্রাসা শিক্ষকের কাহিনী
১৩০. ৪.২৪ অন্ধ ভিক্ষারীর কাহিনী
১৩১. ৪.২৫ গবেটচন্দরের কাহিনী
১৩২. ৪.২৬ তিন বোনের কাহিনী
১৩৩. ৪.২৭ তিন কন্যার কাহিনী
১৩৪. ৪.২৮ ফেরিওয়ালার তিন কন্যা
১৩৫. ৪.২৯ দামাসকাসের রূপবান সওদাগর
১৩৬. ৪.৩০ হাবিব হাবিবার কাহিনী
১৩৭. ৪.৩১ সর্দারের নষ্টাচরিত্রা বিবি
১৩৮. ৪.৩২ নফর ফিরুজের বিবি ও সুলতান
১৩৯. ৪.৩৩ অপরিণামদর্শী সিরিয়া সওদাগরের শিক্ষা
১৪০. ৪.৩৪ হারুন অল রসিদের গ্রন্থপাঠ
১৪১. ৪.৩৫ শাহজাদা হীরার কাহিনী
১৪২. ৪.৩৬ গোহা ও তার ইয়ার-বন্ধুরা
১৪৩. ৪.৩৭ তুফা অল কুলবের কাহিনী
১৪৪. ৪.৩৮ অল মালিক বাইবারসের দরবারে – দ্বাদশ সর্দারের কাহিনী
১৪৫. ৪.৩৯ চীন শাহজাদীর বাগানের সমুদ্র-গোলাপ
১৪৬. ৪.৪০ দজ্জাল বিবির অত্যাচারে দেশত্যাগী মারুফ-মুচির ভাগ্য-বিবর্তন
১৪৭. ৪.৪১ আলেকজান্দ্রা শহরের ধনী যুবকের কাহিনী
১৪৮. ৪.৪২ ফিন্দের দুই বীরাঙ্গনা কন্যা
১৪৯. ৪.৪৩ ফতিমার কাহিনী
১৫০. ৪.৪৪ কিণ্ডাইটের সম্রাট হজর ও তার স্ত্রী হিন্দের গল্প
১৫১. ৪.৪৫ আয়েশা কথিত কাহিনী
১৫২. ৪.৪৬ খলিফা ওমর ইবন অল-খাতাবের কাহিনী
১৫৩. ৪.৪৭ কুফার কবি মহম্মদ কথিত কাহিনী
১৫৪. ৪.৪৮ পরান্নভোজী তুফেনের কাহিনী
১৫৫. ৪.৪৯ খলিফা অল হাদীর অন্তিম দশা
১৫৬. ৪.৫০ অভিশপ্ত কণ্ঠহার
১৫৭. ৪.৫১ মশুলের গায়ক ইশাকের রোজনামচা
১৫৮. ৪.৫২ অল মামুন ও জুবেদা বেগমের কাহিনী
১৫৯. ৪.৫৩ জাফরের অন্তিম দশা
১৬০. ৪.৫৪ শাহজাদা জুঁই আর শাহজাদী বাদামের প্রেম উপাখ্যান

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন