ক্ষিতিশ সরকার
একদিন রাত্রে খলিফা হারুন অল রসিদ দুই সুন্দরীকে দু-পাশে নিয়ে মধুযামিনী যাপন করছিলেন। এদের একজন মদিনা এবং অপরজন কুফার মেয়ে। খলিফা দুজনকেই সমান ভালোবাসেন। তিনি কিছুতেই ঠিক করতে পারছিলেন না সেরাত্রে তিনি কাকে নিয়ে সুখ সম্ভোগ করবেন। কারণ একজনকে খুশি করতে গেলে আর একজন ব্যাজার হবে।
তাই তিনি ঠিক করলেন যে মেয়ে তাকে খুশি করতে পারবে তাকেই তিনি দেবেন। সে রাতের পুরস্কার। সঙ্গে সঙ্গে মদিনার মেয়ে খলিফার হাত টিপতে লাগলো। আর কুফা কন্যা টিপতে থাকলো তার পা। সুযোগটা তারই মিললো বেশি। পায়ের পেশী টিপতে টিপতে ক্রমশ তার হাত উপরের দিকে চালান হতে থাকে। এইভাবে কখনও বা তার হাত নিষিদ্ধ প্রদেশে ঢুকে পড়ে।
এই কায়দায় এক সময় তার জিৎ হয়। খলিফার ধমণীতে আগুন ধরে। কুফা কন্যার হাতের মুঠোয় বেহেস্ত ধরা পড়ে। এই না দেখে মদিনার মেয়ে আঁৎকে ওঠে। —তুমি তো বাজী মাৎ করে দিলে! এই বলে সে কুফার মেয়েকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে নিচে নেমে আসে। কুফা কন্যা আহত হয়ে বলে, এ তোমার ভারি অন্যায়। আমার হকের ধন তুমি কেড়ে নেবে কেন?
এবার সে মদিনা-মেয়ের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে। মদিনা কন্যা তাকে আবার ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বলে, এ আমার জিনিস, আমি ছাড়বো না। তুমি শুরু করতে পোর, কিন্তু আমি এর দফা রফা করবো। সুতরাং এ জিনিস আমার।
খলিফা এতক্ষণ দু’জনের বাকবিতণ্ডা শুনছিলেন। এবার তিনি মনে মনে ঠিক করলেন না, দুজনকেই খুশি করতে হবে।
শাহরাজাদ বললো, কিন্তু জাঁহাপনা, এই ছোট ছোট গল্পগুলোর চেয়ে আরও একটা ভালো গল্প আপনাকে শোনাচ্ছি।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন