৪.৫০ অভিশপ্ত কণ্ঠহার

ক্ষিতিশ সরকার

মস্ত বড় সঙ্গীতসাধক হাসিম ইবন সুলেয়মানের খ্যাতি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে তখন। খলিফা হারুন অল রসিদ তাকে একদিন ডেকে পাঠালেন।

হাসিমের একখানা গান শুনে খুশিতে নেচে উঠলেন খলিফা।

—এমন সঙ্গীত আপনি কীভাবে কণ্ঠে ধারণ করলেন, ওস্তাদজী? এই বলে তিনি তার কণ্ঠের মহামূল্য রত্নহার পরিয়ে দিলেন হাসিমের গলায়।

এমন উপহারে উল্লসিত না হয়ে বিষাদ-বিষণ্ণ বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বললেন, এ মণিহার আমাকে সাজে না, ধর্মাবতার!

দু-ফেঁটা অশ্রু জরে পড়লো তার কপোল বেয়ে।

-কেন? আর কেনই বা এই অশ্রু ওস্তাদজী? আমার উপহার কী আপনার পছন্দ হয়নি?

—খোদা হাফেজ! আল্লাহ আপনাকে আরও মহান করুন; আমার এই অন্তর বেদনা ওসব কোনও কারণে নয়। যদি অনুমতি করেন তবে এই হতভাগ্য তার জীবনের এক বেদনার কাহিনী শোনাতে পারে জাঁহাপনাকে।

খলিফা বলে, বেশ তাই শুনি। নিশ্চয়ই সে কাহিনী বড়ই চমকপ্রদ। তা না হলে আপনার চোখ অশ্রুসজল হবে কেন?

হাসিম তার স্মৃতিকথা বলতে থাকে–

 

তখন আমি বয়সে নবীন। কিন্তু সেই যৌবনকালেই আমার গান মানুষের মুখে মুখে ফিরতে শুরু করেছিলো।

একদিন আমি চলতে চলতে এক মনোহর উদ্যানের মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম। সেখানে দেখলাম সুলতান ওয়ালিদ তার দলবল নিয়ে মৃগয়া করতে এসেছেন।

বাগানের মাঝখানে একটা বিশাল দীঘি। তার পাড়ে ঘাসের শয্যার ওপর মখমলের গালিচা বিছিয়ে মাইফেলের আসর বসেছে। সুলতানের দুপাশে দুটি পরমাসুন্দরী কিশোরী। তাদের হাতে তারের বাদ্যযন্ত্র। একজন গান গাইছে। কান পেতে শুনলাম, আমারই একখানা বহু প্রচলিত সঙ্গীত যথাসাধ্য দরদ দিয়ে গাইবার চেষ্টা করছে। কিন্তু গায়িকার দক্ষতার অভাবে মাঝে মাঝে বেসুরো হয়ে যাচ্ছে গানখানা।

কৌতূহল নিয়ে আরও একটু এগিয়ে যেতে সুলতান ওয়ালিদ তার এক সহচরীকে উদ্দেশ্য করে বললেন, দেখ দেখ, তোমার গান শুনে লোকটা কেমন মাতোয়ালা হয়ে উঠেছে। ওকে এখানে ডেকে একটু মজা করা যাক্ কী বলে?

সুলতান ওয়ালিদ আমাকে কাছে আসতে ইশারা করলেন। আমি সামনে গিয়ে আভূমি আনত হয়ে যথাবিহিত কুর্নিশ জানালাম তাকে।

তিনি আমাকে বসতে বললেন, বস, গান শুনবে?

আমি সবিনয়ে মাথা নুইয়ে বললাম, শুনবো জাঁহাপনা। সুলতান এবার সেই সহচরীর দিকে তাকিয়ে বললেন, শুরু কর।

গানের সুর কেটে গেলে মেজাজ বিগড়ে যায় আমার। আমি আর মুখ বুজে সহ্য করতে পারলাম না।

-কিছু অপরাধ নেবেন না মালকিন, গানটা কিন্তু যথাযথ গাওয়া হচ্ছে না। মাঝে মাঝে সুর কেটে যাচ্ছে।

মেয়েটি খিল খিল করে হেসে উঠলো, লোকটার কী মাথাটা খারাপ, জাঁহাপনা? আমার গানের তালে ভুল ধরছে?

সুলতান ওয়ালিদ বললেন, কী হে, তুমি কী ভেবেছ, তোমাদের রাখালদের কাছ থেকে শিখে এসেছে সে।

-না জাঁহাপনা, সে কথা আমি বলিনি। উনি নিশ্চয়ই নামী ওস্তাদের কাছেই তালিম পেয়েছেন। তবে ঠিকমতো রপ্ত করতে পারেননি এখনও।কিন্তু মুক্তকণ্ঠে প্রশংসা করবো, গলাটা ভালো আছে, মন দিয়ে শিখলে ভালো গান গাইতে পারবেন ভবিষ্যতে।

আমার কথায় বোধহয় কৌতুক বোধ করলেন সুলতান। বললেন, তা তুমিই সে তালিম দেবার ভারটা নাও না!

—তা মহামান্য শাহেনশাহ যদি সেরূপ আদেশ করেন, মাথা পেতে নিতে পারি?

এবার তিনি বেশ রুষ্ট হয়েই বললেন, তোমার ঔদ্ধত্ব দেখে অবাক হচ্ছি! ঠিক আছে, একটা গান শোনাও তো দেখি।

আমি আরও একটু এগিয়ে বসে বললাম, জো হুকুম জাঁহাপনা! তারপর ঐ মেয়েটিকে বললাম, তানপুরার তার আরও চড়া পর্দায় বেঁধে নিন।

মেয়েটি ক্রুদ্ধ এবং তীক্ষ্ণ দৃষ্টি মেলে তাকালো আমার দিকে। যেন ছোবল মারবে এই রকম ভাবে।

আমি ঐ গানটাই গেয়ে শোনালাম। এর পরের দৃশ্য বড় মধুর। মেয়েটি লুটিয়ে পড়লো আমার পায়ের ওপর। গোস্তাকি মাফ করবেন ওস্তাদজী, আপনাকে চিনতে পারিনি। আপনার গান আমি আমার গুরুর কাছ থেকে শিখেছি। তিনি আপনার গান ছাড়া আর কিছু শেখান না কাউকে।

সুলতান ওয়ালিদ আমাকে আলিঙ্গন করে বললেন, আপনিই ওস্তাদ হাসিম! আজ আমার মৃগয়া করতে আসা সার্থক হলো। এমন মানুষকে দেখেও আনন্দ।

মেয়েটি তার গলা থেকে একটি মহামূল্যবান রত্নহার আমার গলায় পরিয়ে দিয়ে বললো, আমার এই দীন উপহার, মেহেরবানী করে গ্রহণ করে ধন্য করুন আমাকে, ওস্তাদজী।

মালাটা আমি হাতে নিয়ে বললাম, কিন্তু এ যে অত্যন্ত মূল্যবান হার?

সুলতান বললেন, টাকা পয়সার দামের চেয়েও আরও অনেক বেশি দামী বস্তু। এক বিশেষ মুহূর্তে আমার গলা থেকে খুলে নিজের হাতে ওকে পরিয়ে দিয়েছিলাম আমি। ওর কাছে এর চেয়ে দামী জিনিস আর কিছুই হতে পারে না। সেই সবচেয়ে সেরা অমূল্য ধন দিয়ে গুরুদক্ষিণা দিলো। এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে ওস্তাদজী! আপনি গ্রহণ করে ওকে কৃতাৰ্থকরুন।

এরপর সুলতান বললেন, আপনাকে যখন পেয়েছি, আজকের দিনটা স্মরণীয় করে রাখবার জন্য আজ আমরা নৌকোয় চেপে মাইফেলের আসর জমাবো। এই দীঘির কালো পানিতে ভাসতে থাকবে আমাদের নৌকোখানা। আর আমরা আপনার গান শুনে বিনিদ্র রজনী কাটিয়ে দেব।

আমি বললাম, চমৎকার হবে, জাঁহাপনা। ঘাটে বাঁধা ছিলো একখানা ময়ুরপঙ্খী নৌকো। প্রথমে সুলতান উঠলেন। তারপর আমি উঠলাম, আমার পিছনে সেই কিশোরী। একখানা পা পাটানে রাখতেই দুলে উঠলো নৌকোটা। আর সঙ্গে সঙ্গে ঘটে গেলো সেই চরম বিপর্যয়। পা হড়কে পড়ে গেলো সে কালো দীঘির পানিতে। মাঝি-মল্লারা সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়লো দীঘির পানিতে। কিন্তু নিমেষে কোথায় যে সে তলিয়ে গেলো আর হদিশ করা গেলো না!

সারা রাত ধরে তল্লাসী চালানো হলো দীঘিতে, তোলপাড় করে ফেলা হলো তার পানি। কিন্তু কোথাও পাওয়া গেলো না তাকে।

সুলতান কাদতে লাগলেন। আমিও অশ্রু সংবরণ করতে পারলাম না।

এই সময় রাত্রি প্রভাত হয়ে এলো, শাহরাজাদ গল্প থামিয়ে চুপ করে বসে রইলো।

 

নয়শো ছিয়াশিতম রজনী :

আবার সে বলতে থাকে–

সুলতান ওয়ালিদের সে মর্মবেদনা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না জাঁহাপনা। তিনি সানয়নে আমাকে বললেন, ওকে আমি বড় পেয়ার করতাম, ওস্তাদজী। ঐ রত্নহার আমি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলাম। ওরকম খানদানী বস্তু কেউ অন্যের হাতে তুলে দেয় না। কিন্তু ওকে আমি একান্ত আপন বলে গ্রহণ করেছিলাম। তাই দিতে আর দ্বিধা হয়নি এতটুকু।

একটু থেমে আবার তিনি বলতে থাকেন আজ ও আমাকে শোকসাগরে ভাসিয়ে ফাঁকি দিয়ে চলে গেলো। এখন কী নিয়ে থাকবো আমি। ওর কোনও স্মৃতিই আমার কাছে নাই। এই মালাটি ওর গলায় দুলতো, আর তার দ্যুতিতে উদ্ভাসিত হয়ে উঠতো ওর সারা মুখ। চোখ বন্ধ করে সে মুখচ্ছবি এখনও আমি স্পষ্ট প্রত্যক্ষ করতে পারছি। কালের কবলে সবই তো একদিন ধুয়ে মুছে ঝাপসা হয়ে আসবে। তখন হয়তো আর আজকের প্রিয়ার এই ছবি ধরা দেবে না। সেই কারণে আপনাকে উপহার দেওয়া ঐ মালাটি আমি কাছে রাখতে বাসনা করছি ওস্তাদজী। কিন্তু এ মালা যে সে গুরুদক্ষিণা দিয়ে গেছে আপনাকে। আমি তো তা ওয়াপস করে নিতে পারি না। আপনি যদি আমার মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে হারটা উচিত মূল্যে আমার কাছে বিক্রি করেন, চির কৃতজ্ঞ থাকবো আমি। মূল্য হিসেবে আমি আপনাকে তিরিশ হাজার দিরহাম দেব, আপনি ওটা আমার কাছে বিক্রি করে দিন।

বলা বাহুল্য, তক্ষুণি সে মালা আমি সুলতানের হাতে তুলে দিয়েছিলাম।

তারপর কত কাল কেটে গেছে। বয়সের ভারে আমার দেহ ন্যুজ হয়ে পড়েছে। সারাটা জীবনের অসংখ্য ঘটনা একটি মাত্র মালায় গাঁথা হয়ে গেছে। আজ আর ওদের সবগুলোকে আলাদা আলাদা করে ইয়াদ করতে পারি না।

আজ আপনার দেওয়া এই রত্নহারটি দেখে আমার যৌবনকালের এই শোকাবহ ঘটনাটা মনে পড়ে গেলো। বিধাতা-পুরুষের এমনই যে পরিহাস, সেদিনের সেই মালাটাই আজ আবার আমার হাতে ফিরে এলো। সুলতান ওয়ালিদ গত হয়েছেন। তার সলতানিয়ত এখন আপনার অধিকারে। বুঝতে পারলাম, সুলতানের অন্যান্য ধনরত্নের সঙ্গে এই মালাটিও আমার হাতে এসেছিলো। আপনি যে আমাকে এই মহামূল্য রত্নহারটি উপহার দিয়েছেন সে আমার পরম পাওয়া সন্দেহ নাই। কিন্তু পুরনো স্মৃতির ক্ষতটায় আবার নতুন করে দারুণ ব্যথার প্রলেপ লাগিয়ে দিয়ে গেলো।

স্মৃতি সতত সুখের হয় না জাঁহাপনা, কখনও কখনও সে নতুন করে বুক ভেঙ্গে দিয়ে যায়।

এরপর যুবকটি আর এক কাহিনী শুরু করে—

সকল অধ্যায়

১. ১.০১ বাদশাহ শারিয়ার ও তার ভাই বাদশাহ শাহজামানের কাহিনী
২. ১.০২ গাধা, বলদ আর গৃহস্বামীর উপাখ্যান
৩. ১.০৩ সওদাগর আর আফ্রিদি দৈত্য
৪. ১.০৪ প্রথম শেখের কাহিনী
৫. ১.০৫ দ্বিতীয় শেখের কাহিনী
৬. ১.০৬ তৃতীয় শেখের কাহিনী
৭. ১.০৭ ধীবর আর আফ্রিদি দৈত্যের কাহিনী
৮. ১.০৮ উজির, সুলতান য়ুনান হেকিম রায়ানের কিসসা
৯. ১.০৯ সিনবাদ আর বাজপাখি
১০. ১.১০ শাহজাদা আর রাক্ষসী
১১. ১.১১ শাহজাদা আর রঙিন মাছ
১২. ১.১২ কুলি-ছেলে আর তিন কন্যা
১৩. ১.১৩ প্রথম কালান্দার ফকিরের কাহিনী
১৪. ১.১৪ দ্বিতীয় কালান্দর ফকিরের কাহিনী
১৫. ১.১৫ তৃতীয় কালান্দর ফকিরের কাহিনী 
১৬. ১.১৬ বড় বোন জুবেদার কাহিনী
১৭. ১.১৭ মেজো বোন আমিনার কাহিনী
১৮. ১.১৮ একটি স্ত্রীলোকের খণ্ডিত দেহ, তিনটি আপেল ও নিগ্রো রাইহান
১৯. ১.১৯ উজির সামস অল-দিন তার ভাই নূর অল-দিন ও হাসান বদর অল-দিন
২০. ১.২০ দর্জি, কুঁজো, ইহুদি হেকিম, বাবুর্চি, খ্রীস্টান দালাল
২১. ১.২১ খ্ৰীষ্টান দালালের কাহিনী
২২. ১.২২ বাবুর্চির কাহিনী
২৩. ১.২৩ ইহুদী হেকিমের কাহিনী
২৪. ১.২৪ দর্জির কাহিনী
২৫. ১.২৫ নাপিতের কাহিনী
২৬. ১.২৬ মধুমিতা আর আলী নূর-এর কাহিনী
২৭. ১.২৭ ঘানিম আইয়ুব আর কুৎ-অল-এর কাহিনী
২৮. ১.২৮ উমর অল-নুমান, তার পুত্র সারকান ও দু-অল মাকানের কাহিনী
২৯. ১.২৯ আজিজ আর আজিজার কাহিনী
৩০. ১.৩০ শাহজাদা তাজ অল-মূলক ও শাহজাদী দুনিয়া
৩১. ১.৩১ দু-অল মাকানের পুত্র কান মা-কানা
৩২. ১.৩২ চরস খোরের কাহিনী
৩৩. ১.৩৩ রাজহাঁস ও ময়ূর-ময়ূরী
৩৪. ১.৩৪ মেষপালক রাখাল আর একটি মেয়ে
৩৫. ১.৩৫ কচ্ছপ ও বকের কাহিনী
৩৬. ১.৩৬ নেকড়ে আর খেঁকশিয়ালের কাহিনী
৩৭. ১.৩৭ ইঁদুর আর নেউলের গল্প
৩৮. ১.৩৮ কাক ও কাঠবেড়ালীর কাহিনী
৩৯. ১.৩৯ আলী-ইবন বকর ও সুন্দরী সামস আল-নাহারের কাহিনী
৪০. ১.৪০ শাহজাদা কামার আল-জামান আর শাহজাদী বদর-এর প্রণয় কাহিনী
৪১. ১.৪১ খুশ বাহার ও খুশ নাহারের কাহিনী
৪২. ১.৪২ আলা অল-দিন আবু সামাতের কাহিনী
৪৩. ১.৪৩ বিদূষী হাফিজার কাহিনী
৪৪. ১.৪৪ কবি আবু নবাসের দুঃসাহসিক কীর্তি
৪৫. ২.০১ সিন্দাবাদের প্রথম সমুদ্র-যাত্রা
৪৬. ২.০২ সিন্দাবাদের দ্বিতীয় সমুদ্র-যাত্রা
৪৭. ২.০৩ সিন্দাবাদের তৃতীয় সমুদ্র-যাত্রা
৪৮. ২.০৪ সিন্দাবাদের চতুর্থ সমুদ্র-যাত্রা
৪৯. ২.০৬ সিন্দাবাদের ষষ্ঠ সমুদ্র-যাত্রা
৫০. ২.০৭ সিন্দাবাদের সপ্তম ও শেষ সমুদ্রযাত্রা
৫১. ২.০৮ সুন্দরী জুমুর‍্যুদ এবং আলী শার-এর কাহিনী
৫২. ২.০৯ নানা রঙের ছয় কন্যার কাহিনী
৫৩. ২.১০ তাম্র নগরীর কাহিনী
৫৪. ২.১১ ইবন আল-মনসুর এবং দুই নারীর কাহিনী
৫৫. ২.১২ কসাই ওয়াঁর্দার ও উজির-কন্যার কাহিনী
৫৬. ২.১৩ জামালিকার কাহিনী
৫৭. ২.১৪ বুলুকিয়ার কাহিনী
৫৮. ২.১৫ খুবসুরৎ নওজোয়ান সাদ-এর কাহিনী
৫৯. ২.১৬ হাসি-তামাশায় হারুন অল-রসিদ
৬০. ২.১৭ ছাত্র ও শিক্ষকের কাহিনী
৬১. ২.১৮ অদ্ভুত বটুয়ার কাহিনী
৬২. ২.১৯ হারুন অল রসিদের মহব্বতের কাহিনী
৬৩. ২.২০ কে ভালো—উঠতি বয়সের ছোকরা, না—মাঝ-বয়সী মরদ
৬৪. ২.২১ শসা-শাহজাদা
৬৫. ২.২২ পালিত কেশ
৬৬. ২.২৩ সমস্যা-সমাধান
৬৭. ২.২৪ আবু নবাস আর জুবেদার গোসলের কাহিনী
৬৮. ২.২৫ আবু নবাসের কবির লড়াই
৬৯. ২.২৬ গাধার গল্প
৭০. ২.২৭ আইনের প্যাঁচে জুবেদা
৭১. ২.২৮ স্ত্রী না পুরুষ
৭২. ২.২৯ বখরা
৭৩. ২.৩০ মাদ্রাসার মৌলভীর কিসসা
৭৪. ২.৩১ মেয়েদের সেমিজের কারুকর্মের কথা
৭৫. ২.৩২ পেয়ালার বাণী
৭৬. ২.৩৩ মসুলের বিখ্যাত কালোয়াতী গায়ক ইশাকের কাহিনী – বাক্সের মধ্যে খলিফা
৭৭. ২.৩৪ মুদ্যোফরাশ
৭৮. ২.৩৫ সুর্মার কাহিনী
৭৯. ২.৩৬ ছেলে অথবা মেয়ে
৮০. ২.৩৭ আজব খলিফা
৮১. ২.৩৮ গুলাবী এবং রোশন এর কাহিনী
৮২. ২.৩৯ কালো ঘোড়ার আশ্চর্য যাদু কাহিনী
৮৩. ২.০৫ সিন্দাবাদের পঞ্চম সমুদ্র-যাত্রা
৮৪. ৩.০১.১ ধূর্ত ডিলাইলাহ ও তার জালিয়াৎ কন্যা জাইনাবের কাহিনী
৮৫. ৩.০১.২ সওদাগর সিদি মুসিন আর খাতুনের কথা
৮৬. ৩.০১.৩ সেয়ানা চোর আলীচাঁদ-এর কিসসা
৮৭. ৩.০২ ধীবর যুদর অথবা আশ্চর্য যাদু-থলের কাহিনী
৮৮. ৩.০৩ আবু কাইর আর আবু শাইর-এর মজাদার কাহিনী
৮৯. ৩.০৪ দুই আবদাল্লার উপকথা
৯০. ৩.০৫ পীতাম্বর যুবকের কাহিনী
৯১. ৩.০৬ আনারকলি এবং বদর বাসিমের কিসসা
৯২. ৩.০৭ মিশরের ফাল্লাহ ও তার ফর্সা ছেলেমেয়েরা
৯৩. ৩.০৮ খলিফা ও জেলের কাহিনী
৯৪. ৩.০৯ বসরাহর হাসানের দুঃসাহসিক অভিযান
৯৫. ৩.১০ স্ত্রীলোকের চাতুরী
৯৬. ৩.১১ আবু অল হাসানের কাহিনী
৯৭. ৩.১২ জাইন মাওয়াসিফের মহম্মতের কিসসা
৯৮. ৩.১৩ কুঁড়ের বাদশার কাহিনী
৯৯. ৩.১৪ নওজোয়ান নূর এবং এক লড়াকু মেয়ের কিসসা
১০০. ৩.১৫ সপ্তম হীরক কন্যার কাহিনী
১০১. ৩.১৬.১ আলা অল-দিন ও আশ্চর্য চিরাগ বাতি
১০২. ৩.১৬.২ আলাদিনের চেরাগ (পার্ট ২)
১০৩. ৩.১৬.৩ আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ (পার্ট ৩)
১০৪. ৩.১৬.৪ আলাদিনের দৈত্য (পার্ট ৪)
১০৫. ৩.১৬.৫ আলাদিনের জাদুর চেরাগ (পার্ট ৫ / শেষ পর্ব)
১০৬. ৪.০১ হিতোপদেশের গল্প
১০৭. ৪.০১ হিতোপদেশের গল্প
১০৮. ৪.০২ গোলাপ-সুন্দরী ফারিজাদের কাহিনী
১০৯. ৪.০৩ কামর ও হালিমার কাহিনী
১১০. ৪.০৪ হারাম-আকিলের কাহিনী
১১১. ৪.০৫ সুলতান মহম্মদের ন্যায় বিচার
১১২. ৪.০৬ শেখ হাসান আবদাল্লার কাহিনী
১১৩. ৪.০৭ আবু কাশেমের অঙ্গবাস
১১৪. ৪.০৮ চরসের নেশায়
১১৫. ৪.০৯ ভ্রষ্টা নারী এবং তার নওজোয়ান নাগর
১১৬. ৪.১০ বৃদ্ধ কাজীর তরুণী বিবি
১১৭. ৪.১১ সুন্দরীর নূরের পাণিপ্রার্থীরা
১১৮. ৪.১২ মুতাবাকিল আল্লাহর বিত্ত বৈভব
১১৯. ৪.১৩ সুলতান মামুদের কাহিনী
১২০. ৪.১৪ বসরাহর আবু কাশেম
১২১. ৪.১৫ তিন কুলজী বিদ্যা-বিশারদের কাহিনী
১২২. ৪.১৬ সুলতান মাহমুদের বাঁদর
১২৩. ৪.১৭ তিন পাগলের কাহিনী
১২৪. ৪.১৮ আলিবাবা ও চল্লিশ চোর
১২৫. ৪.১৯ বাগদাদের বড় সেতুর উপরে অল-রসিদ
১২৬. ৪.২০ সিদি নুমানের কাহিনী
১২৭. ৪.২১ কাঠুরিয়া যুবরাজ
১২৮. ৪.২২ বৃদ্ধ শেখের কাহিনী
১২৯. ৪.২৩ খঞ্জ মাদ্রাসা শিক্ষকের কাহিনী
১৩০. ৪.২৪ অন্ধ ভিক্ষারীর কাহিনী
১৩১. ৪.২৫ গবেটচন্দরের কাহিনী
১৩২. ৪.২৬ তিন বোনের কাহিনী
১৩৩. ৪.২৭ তিন কন্যার কাহিনী
১৩৪. ৪.২৮ ফেরিওয়ালার তিন কন্যা
১৩৫. ৪.২৯ দামাসকাসের রূপবান সওদাগর
১৩৬. ৪.৩০ হাবিব হাবিবার কাহিনী
১৩৭. ৪.৩১ সর্দারের নষ্টাচরিত্রা বিবি
১৩৮. ৪.৩২ নফর ফিরুজের বিবি ও সুলতান
১৩৯. ৪.৩৩ অপরিণামদর্শী সিরিয়া সওদাগরের শিক্ষা
১৪০. ৪.৩৪ হারুন অল রসিদের গ্রন্থপাঠ
১৪১. ৪.৩৫ শাহজাদা হীরার কাহিনী
১৪২. ৪.৩৬ গোহা ও তার ইয়ার-বন্ধুরা
১৪৩. ৪.৩৭ তুফা অল কুলবের কাহিনী
১৪৪. ৪.৩৮ অল মালিক বাইবারসের দরবারে – দ্বাদশ সর্দারের কাহিনী
১৪৫. ৪.৩৯ চীন শাহজাদীর বাগানের সমুদ্র-গোলাপ
১৪৬. ৪.৪০ দজ্জাল বিবির অত্যাচারে দেশত্যাগী মারুফ-মুচির ভাগ্য-বিবর্তন
১৪৭. ৪.৪১ আলেকজান্দ্রা শহরের ধনী যুবকের কাহিনী
১৪৮. ৪.৪২ ফিন্দের দুই বীরাঙ্গনা কন্যা
১৪৯. ৪.৪৩ ফতিমার কাহিনী
১৫০. ৪.৪৪ কিণ্ডাইটের সম্রাট হজর ও তার স্ত্রী হিন্দের গল্প
১৫১. ৪.৪৫ আয়েশা কথিত কাহিনী
১৫২. ৪.৪৬ খলিফা ওমর ইবন অল-খাতাবের কাহিনী
১৫৩. ৪.৪৭ কুফার কবি মহম্মদ কথিত কাহিনী
১৫৪. ৪.৪৮ পরান্নভোজী তুফেনের কাহিনী
১৫৫. ৪.৪৯ খলিফা অল হাদীর অন্তিম দশা
১৫৬. ৪.৫০ অভিশপ্ত কণ্ঠহার
১৫৭. ৪.৫১ মশুলের গায়ক ইশাকের রোজনামচা
১৫৮. ৪.৫২ অল মামুন ও জুবেদা বেগমের কাহিনী
১৫৯. ৪.৫৩ জাফরের অন্তিম দশা
১৬০. ৪.৫৪ শাহজাদা জুঁই আর শাহজাদী বাদামের প্রেম উপাখ্যান

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন