৪.৪৩ ফতিমার কাহিনী

ক্ষিতিশ সরকার

ইরাকের হিরাহ সম্রাট নেমানের ফতিমা নাম্নী এক কন্যা ছিলো। সে ছিলো যেমনি সুন্দরী, তেমনি বদরাগী। তার স্বভাবের জন্য সম্রাট নেমান তাকে এক নির্জন প্রাসাদে অন্তরীণ করে রাখেন, প্রাসাদের বাইরে সম্রাট শক্ত প্রহরার ব্যবস্থা করেন। একমাত্র ফতিমার নিজস্ব দাসদাসীবৃন্দ ছাড়া অন্য কারো সে প্রাসাদে প্রবেশের অধিকার নাই। কন্যার সম্মান রক্ষা ও তার চরিত্রের পরিবর্তনের জন্যই সম্রাট এতো সব আয়োজন করেন। নির্জনে বসে রাজকন্যা সময়ে অসময়ে বিষণ্ণ হয়ে পড়তো, তখন সে দেওয়াল বেয়ে প্রাসাদের চূড়ায় উঠে বসে থাকত। উন্মুক্ত রাস্তায় লোকজন দেখতে দেখতে এক সময় তার বিষণ্ণতা দূর হয়ে যেত।

একদিন প্রাসাদ-চূড়ায় সময় কাটাতে কাটাতে সে দেখতে পায় ইবনাত ইজলান নামী তার এক দাসী এক আকর্ষণীয় পুরুষের সাথে আলাপে রত। পরে দাসীটির কাছে অনুসন্ধান করে সে জানতে পারে পুরুষটি সুবিখ্যাত কবি মুরাকিশ।

দাসী ইবনাত সুন্দরী এবং প্রাণবন্ত মহিলা। মুরাকিশের দেহসৌষ্ঠব ও কাব্যপ্রতিভার কথা বলতে গিয়ে সে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ইবনাতের প্রশংসা বাক্যে রাজকন্যা ফতিমা মুগ্ধ হয়ে যায়। সেই আকর্ষণীয় বাগ্মী পুরুষকে দেখবার জন্য, তার সান্নিধ্য লাভের জন্য সে উন্মুখ হয়ে ওঠে। কিন্তু একজন সভ্রান্ত রাজকন্যা হয়ে সে এমন হটকারীর মত কাজ করতে ইতস্ততঃ করে। কবি মুরাকিশের বংশ-মর্যাদা তার রুচিবোধ ইত্যাদি সম্পর্কে খোঁজখবর না নিয়ে সে কিছু করতে অক্ষম। তখনকার দিনে আরবদের আচরণই ছিলো এই রকম, প্রতি ৬৬ পদক্ষেপে তারা বংশ-মর্যাদা মেপে কাজ করত।

 

রাজকন্যা তাই কৌশলে কবি মুরাকিশের বংশ-মর্যাদা ও রুচির পরিমাপ নিয়ে ব্রতী হয়। ইবনাত ইজলানকে সে বলে,-আগামী কাল তুমি তার সাথে আবার দেখা করবে। এই সুগন্ধী কাঠের তৈরী দাঁত-কাঠিটি সাথে রাখো আর এই নাও একটি ধুনুচি। কাল যখন তার সাথে দেখা করবে তখন এটিতে কিছু সুগন্ধী ধূপ প্রজ্জ্বলিত করে নিয়ে যেও। মনোেযোগ দিয়ে লক্ষ্য করবে দাঁত-কাঠিটি ব্যবহার করার পূর্বে তিনি এর ডগাটি ভেঙে ছুঁচলো করে নেন কিনা। আর ধূপের ধোয়াতে তিনি তার পোষাকের অভ্যন্তরভাগ সুগন্ধী করে নিতে চেষ্টা করেন কিনা তাও লক্ষ্য করে দেখবে। তাই যদি করেন, তাহলে বুঝতে হবে তিনি নিচ বংশজাত। যতই বাগ্মী কবি হোন না কেন, একজন ভদ্রবংশীয়া রাজকন্যার যোগ্য তাকে বলা চলবে না কখনই।

পরদিন প্রাতে দাসীটি কবির বাসভবনে যায়। কবির বাসভবনে গিয়ে সে ধুনুচিটিতে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করে, তারপর সুগন্ধী ধূপ ছিটিয়ে দেয়। কবি মুরাকিশ কাছেই ছিলেন। দাঁতকাঠিটি তাকে উপহার দিয়ে ইবনাত ধূপের সুগন্ধটি কেমন তা পরখ করে দেখতে অনুরোধ করে। কবি জানান, ধুনুচি এখানে নিয়ে এসো।

ইবনাত ধুনুচিটি তার সামনে এনে রাখে, সুগন্ধী ধোঁয়া ঘরের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। কবি মুরাকিশ তার লম্বা দাড়ি ও দীর্ঘ চুল ধোঁয়ায় সিক্ত হয়ে উঠলে সেগুলির ঘ্রাণ নেন যত্নে। তারপর সেই দাঁতকাঠিটা তুলে নিয়ে সেটির প্রান্তভাগ ভেঙ্গে ফেলেন এবং একটি ব্রাশের আকৃতিতে সেটিকে কেটে নিয়ে নিজের দন্ত মার্জন করেন। সবশেষে তিনি তার দাঁতের ঘ্রাণ নিতে প্রবৃত্ত হন।

বাঁদী ইবানত সোৎসাহে তার এই দ্বৈত পরীক্ষার বিশদ বিবরণ জানায় রাজকন্যাকে। রাজকন্যা ফতিমা উত্তেজিত স্বরে জানান,—এই অভিজাত কবিকে যেমন করে পার নিয়ে এসো আমার কাছে।

কিন্তু প্রহরী-বেষ্টিত রাজপুরীতে সে কেমন করে নিয়ে আসবে মুরাকিশকে? শেষ পর্যন্ত সে একটি উপায় আবিষ্কার করে। রাত্রের অন্ধকারে সে মুরাকিশকে নিজের পিঠে তুলে নেয়, তারপর একটি ভারী চাঁদরে উভয়কে আচ্ছাদিত করে সে রাজপুরীতে প্রবেশ করে। কবির সাহচর্যে রাজকন্যা বিমোহিত হয়ে পড়ে সহজেই। সুন্দরী ফতিমার কোমল উষ্ণ আবেষ্টনীতে কবি মুরাকিশের রাত কেটে যায়। ভোর রাতের অন্ধকারে ইবনাত তাকে আবার ফিরিয়ে দিয়ে আসে।

সকালে সম্রাট নেমানের প্রহরীরা ফিরে এসে দেখতে পায় বালিতে মাত্র এক জোড়া পায়ের ছাপই ফুটে আছে, সে ছাপ তাদের চেনা। সম্রাটকে সংবাদ দিতে গিয়ে তারা জানায়,-জাঁহাপনা, ইবনাত ইজলান ছাড়া আর কারো পায়ের ছাপ চোখে পড়লো না। তবে সে বোধহয় ভারী কিছু বয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, কারণ তার পায়ের ছাপ বেশ গভীর হয়ে বসে গেছে বালির মধ্যে।

রাজকন্যা ফতিমা ও কবি মুরাকিশের প্রেম ক্রমশঃ মধুর থেকে মধুরতর হয়ে উঠতে থাকে। এইভাবে দিন কেটে সপ্তাহ যায়, মাসের পর মাসও কেটে যেতে থাকে।

মুরাকিশের এক অন্তরঙ্গ দোস্ত ছিলো, সুন্দরী ফতিমার গল্প শুনে সে তাকে দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে ওঠে। কবি মুরাকিশ কোমল স্বভাবের লোক ছিলেন। সুপ্রিয় বন্ধুর ক্রমাগত অনুরোধে অবশেষে সে একদিন মত না দিয়ে পারে না। রাত্রের অন্ধকারেইবনাতের পিঠেকবির বদলে তার বন্ধু চেপে বসে। রাজকন্যা ফতিমার অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ইবনাত তাকে নামিয়ে দেয়।

সুন্দরী ফতিমা বুদ্ধিমতী মহিলা, আপন স্পর্শবোধের সাহায্যে সে সমস্ত ছলচাতুরী ধরে ফেলে। বুঝতে পেরেই সে বিছানা থেকে ছিটকে নেমে যায়, ঘৃণা-পূর্ণ পদাঘাতের সাহায্যে আগন্তুককে বিতাড়িত করে। ইবনাত ইজলান তাকে ঘাড়ে চাপিয়ে ফেরত দিয়ে আসে। ইতিমধ্যে ভোর হয়ে আসে, গল্প থামিয়ে শাহরাজাদ চুপ করে রইলো।

 

নয়শত ছিয়াত্তরতম রজনী :

সে আবার বলতে শুরু করে :

মুরাকিশের বিশ্বাসঘাতকতায় ফতিমা অতিশয় ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে।কবিকে সে আর এক মুহূর্তের জন্য কাছে আসতে দিতে অস্বীকার করে। মুরাকিশ অনুশোচনায় দগ্ধ হতে থাকেন। রাজকন্যা কিন্তু তার প্রতিজ্ঞায় অটল, কিছুতেই সে আর কবির মুখ দর্শন করবে না। ফতিমার বিরহে কবি মুরাকিশ একটি গাথা রচনা করেন, এমনই সে গাথার আবেদন যে, যুগ যুগ ধরে লোকমুখে তা অমর হয়ে আছে।

ফতিমার বিরহে শোকতপ্ত কবি অবশেষে একদিন মৃত্যু বরণ করেন। ইতিহাস বলে, তিনি প্রেমের জন্যই অবশেষে একদিন আত্মাহুতি দিয়েছেন।

যুবকটি তার অতিথিবৃন্দের দিকে ফিরে চেয়ে বলে, বন্ধুগণ কবি মুরাকিশ আর সুন্দরী ফতিমার গল্প এখানেই শেষ হলো। এবার আমি তোমাদের বলবো কিণ্ডাইটের সম্রাট হজর ও তার স্ত্রী হিন্দের গল্প।

সকল অধ্যায়

১. ১.০১ বাদশাহ শারিয়ার ও তার ভাই বাদশাহ শাহজামানের কাহিনী
২. ১.০২ গাধা, বলদ আর গৃহস্বামীর উপাখ্যান
৩. ১.০৩ সওদাগর আর আফ্রিদি দৈত্য
৪. ১.০৪ প্রথম শেখের কাহিনী
৫. ১.০৫ দ্বিতীয় শেখের কাহিনী
৬. ১.০৬ তৃতীয় শেখের কাহিনী
৭. ১.০৭ ধীবর আর আফ্রিদি দৈত্যের কাহিনী
৮. ১.০৮ উজির, সুলতান য়ুনান হেকিম রায়ানের কিসসা
৯. ১.০৯ সিনবাদ আর বাজপাখি
১০. ১.১০ শাহজাদা আর রাক্ষসী
১১. ১.১১ শাহজাদা আর রঙিন মাছ
১২. ১.১২ কুলি-ছেলে আর তিন কন্যা
১৩. ১.১৩ প্রথম কালান্দার ফকিরের কাহিনী
১৪. ১.১৪ দ্বিতীয় কালান্দর ফকিরের কাহিনী
১৫. ১.১৫ তৃতীয় কালান্দর ফকিরের কাহিনী 
১৬. ১.১৬ বড় বোন জুবেদার কাহিনী
১৭. ১.১৭ মেজো বোন আমিনার কাহিনী
১৮. ১.১৮ একটি স্ত্রীলোকের খণ্ডিত দেহ, তিনটি আপেল ও নিগ্রো রাইহান
১৯. ১.১৯ উজির সামস অল-দিন তার ভাই নূর অল-দিন ও হাসান বদর অল-দিন
২০. ১.২০ দর্জি, কুঁজো, ইহুদি হেকিম, বাবুর্চি, খ্রীস্টান দালাল
২১. ১.২১ খ্ৰীষ্টান দালালের কাহিনী
২২. ১.২২ বাবুর্চির কাহিনী
২৩. ১.২৩ ইহুদী হেকিমের কাহিনী
২৪. ১.২৪ দর্জির কাহিনী
২৫. ১.২৫ নাপিতের কাহিনী
২৬. ১.২৬ মধুমিতা আর আলী নূর-এর কাহিনী
২৭. ১.২৭ ঘানিম আইয়ুব আর কুৎ-অল-এর কাহিনী
২৮. ১.২৮ উমর অল-নুমান, তার পুত্র সারকান ও দু-অল মাকানের কাহিনী
২৯. ১.২৯ আজিজ আর আজিজার কাহিনী
৩০. ১.৩০ শাহজাদা তাজ অল-মূলক ও শাহজাদী দুনিয়া
৩১. ১.৩১ দু-অল মাকানের পুত্র কান মা-কানা
৩২. ১.৩২ চরস খোরের কাহিনী
৩৩. ১.৩৩ রাজহাঁস ও ময়ূর-ময়ূরী
৩৪. ১.৩৪ মেষপালক রাখাল আর একটি মেয়ে
৩৫. ১.৩৫ কচ্ছপ ও বকের কাহিনী
৩৬. ১.৩৬ নেকড়ে আর খেঁকশিয়ালের কাহিনী
৩৭. ১.৩৭ ইঁদুর আর নেউলের গল্প
৩৮. ১.৩৮ কাক ও কাঠবেড়ালীর কাহিনী
৩৯. ১.৩৯ আলী-ইবন বকর ও সুন্দরী সামস আল-নাহারের কাহিনী
৪০. ১.৪০ শাহজাদা কামার আল-জামান আর শাহজাদী বদর-এর প্রণয় কাহিনী
৪১. ১.৪১ খুশ বাহার ও খুশ নাহারের কাহিনী
৪২. ১.৪২ আলা অল-দিন আবু সামাতের কাহিনী
৪৩. ১.৪৩ বিদূষী হাফিজার কাহিনী
৪৪. ১.৪৪ কবি আবু নবাসের দুঃসাহসিক কীর্তি
৪৫. ২.০১ সিন্দাবাদের প্রথম সমুদ্র-যাত্রা
৪৬. ২.০২ সিন্দাবাদের দ্বিতীয় সমুদ্র-যাত্রা
৪৭. ২.০৩ সিন্দাবাদের তৃতীয় সমুদ্র-যাত্রা
৪৮. ২.০৪ সিন্দাবাদের চতুর্থ সমুদ্র-যাত্রা
৪৯. ২.০৬ সিন্দাবাদের ষষ্ঠ সমুদ্র-যাত্রা
৫০. ২.০৭ সিন্দাবাদের সপ্তম ও শেষ সমুদ্রযাত্রা
৫১. ২.০৮ সুন্দরী জুমুর‍্যুদ এবং আলী শার-এর কাহিনী
৫২. ২.০৯ নানা রঙের ছয় কন্যার কাহিনী
৫৩. ২.১০ তাম্র নগরীর কাহিনী
৫৪. ২.১১ ইবন আল-মনসুর এবং দুই নারীর কাহিনী
৫৫. ২.১২ কসাই ওয়াঁর্দার ও উজির-কন্যার কাহিনী
৫৬. ২.১৩ জামালিকার কাহিনী
৫৭. ২.১৪ বুলুকিয়ার কাহিনী
৫৮. ২.১৫ খুবসুরৎ নওজোয়ান সাদ-এর কাহিনী
৫৯. ২.১৬ হাসি-তামাশায় হারুন অল-রসিদ
৬০. ২.১৭ ছাত্র ও শিক্ষকের কাহিনী
৬১. ২.১৮ অদ্ভুত বটুয়ার কাহিনী
৬২. ২.১৯ হারুন অল রসিদের মহব্বতের কাহিনী
৬৩. ২.২০ কে ভালো—উঠতি বয়সের ছোকরা, না—মাঝ-বয়সী মরদ
৬৪. ২.২১ শসা-শাহজাদা
৬৫. ২.২২ পালিত কেশ
৬৬. ২.২৩ সমস্যা-সমাধান
৬৭. ২.২৪ আবু নবাস আর জুবেদার গোসলের কাহিনী
৬৮. ২.২৫ আবু নবাসের কবির লড়াই
৬৯. ২.২৬ গাধার গল্প
৭০. ২.২৭ আইনের প্যাঁচে জুবেদা
৭১. ২.২৮ স্ত্রী না পুরুষ
৭২. ২.২৯ বখরা
৭৩. ২.৩০ মাদ্রাসার মৌলভীর কিসসা
৭৪. ২.৩১ মেয়েদের সেমিজের কারুকর্মের কথা
৭৫. ২.৩২ পেয়ালার বাণী
৭৬. ২.৩৩ মসুলের বিখ্যাত কালোয়াতী গায়ক ইশাকের কাহিনী – বাক্সের মধ্যে খলিফা
৭৭. ২.৩৪ মুদ্যোফরাশ
৭৮. ২.৩৫ সুর্মার কাহিনী
৭৯. ২.৩৬ ছেলে অথবা মেয়ে
৮০. ২.৩৭ আজব খলিফা
৮১. ২.৩৮ গুলাবী এবং রোশন এর কাহিনী
৮২. ২.৩৯ কালো ঘোড়ার আশ্চর্য যাদু কাহিনী
৮৩. ২.০৫ সিন্দাবাদের পঞ্চম সমুদ্র-যাত্রা
৮৪. ৩.০১.১ ধূর্ত ডিলাইলাহ ও তার জালিয়াৎ কন্যা জাইনাবের কাহিনী
৮৫. ৩.০১.২ সওদাগর সিদি মুসিন আর খাতুনের কথা
৮৬. ৩.০১.৩ সেয়ানা চোর আলীচাঁদ-এর কিসসা
৮৭. ৩.০২ ধীবর যুদর অথবা আশ্চর্য যাদু-থলের কাহিনী
৮৮. ৩.০৩ আবু কাইর আর আবু শাইর-এর মজাদার কাহিনী
৮৯. ৩.০৪ দুই আবদাল্লার উপকথা
৯০. ৩.০৫ পীতাম্বর যুবকের কাহিনী
৯১. ৩.০৬ আনারকলি এবং বদর বাসিমের কিসসা
৯২. ৩.০৭ মিশরের ফাল্লাহ ও তার ফর্সা ছেলেমেয়েরা
৯৩. ৩.০৮ খলিফা ও জেলের কাহিনী
৯৪. ৩.০৯ বসরাহর হাসানের দুঃসাহসিক অভিযান
৯৫. ৩.১০ স্ত্রীলোকের চাতুরী
৯৬. ৩.১১ আবু অল হাসানের কাহিনী
৯৭. ৩.১২ জাইন মাওয়াসিফের মহম্মতের কিসসা
৯৮. ৩.১৩ কুঁড়ের বাদশার কাহিনী
৯৯. ৩.১৪ নওজোয়ান নূর এবং এক লড়াকু মেয়ের কিসসা
১০০. ৩.১৫ সপ্তম হীরক কন্যার কাহিনী
১০১. ৩.১৬.১ আলা অল-দিন ও আশ্চর্য চিরাগ বাতি
১০২. ৩.১৬.২ আলাদিনের চেরাগ (পার্ট ২)
১০৩. ৩.১৬.৩ আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ (পার্ট ৩)
১০৪. ৩.১৬.৪ আলাদিনের দৈত্য (পার্ট ৪)
১০৫. ৩.১৬.৫ আলাদিনের জাদুর চেরাগ (পার্ট ৫ / শেষ পর্ব)
১০৬. ৪.০১ হিতোপদেশের গল্প
১০৭. ৪.০১ হিতোপদেশের গল্প
১০৮. ৪.০২ গোলাপ-সুন্দরী ফারিজাদের কাহিনী
১০৯. ৪.০৩ কামর ও হালিমার কাহিনী
১১০. ৪.০৪ হারাম-আকিলের কাহিনী
১১১. ৪.০৫ সুলতান মহম্মদের ন্যায় বিচার
১১২. ৪.০৬ শেখ হাসান আবদাল্লার কাহিনী
১১৩. ৪.০৭ আবু কাশেমের অঙ্গবাস
১১৪. ৪.০৮ চরসের নেশায়
১১৫. ৪.০৯ ভ্রষ্টা নারী এবং তার নওজোয়ান নাগর
১১৬. ৪.১০ বৃদ্ধ কাজীর তরুণী বিবি
১১৭. ৪.১১ সুন্দরীর নূরের পাণিপ্রার্থীরা
১১৮. ৪.১২ মুতাবাকিল আল্লাহর বিত্ত বৈভব
১১৯. ৪.১৩ সুলতান মামুদের কাহিনী
১২০. ৪.১৪ বসরাহর আবু কাশেম
১২১. ৪.১৫ তিন কুলজী বিদ্যা-বিশারদের কাহিনী
১২২. ৪.১৬ সুলতান মাহমুদের বাঁদর
১২৩. ৪.১৭ তিন পাগলের কাহিনী
১২৪. ৪.১৮ আলিবাবা ও চল্লিশ চোর
১২৫. ৪.১৯ বাগদাদের বড় সেতুর উপরে অল-রসিদ
১২৬. ৪.২০ সিদি নুমানের কাহিনী
১২৭. ৪.২১ কাঠুরিয়া যুবরাজ
১২৮. ৪.২২ বৃদ্ধ শেখের কাহিনী
১২৯. ৪.২৩ খঞ্জ মাদ্রাসা শিক্ষকের কাহিনী
১৩০. ৪.২৪ অন্ধ ভিক্ষারীর কাহিনী
১৩১. ৪.২৫ গবেটচন্দরের কাহিনী
১৩২. ৪.২৬ তিন বোনের কাহিনী
১৩৩. ৪.২৭ তিন কন্যার কাহিনী
১৩৪. ৪.২৮ ফেরিওয়ালার তিন কন্যা
১৩৫. ৪.২৯ দামাসকাসের রূপবান সওদাগর
১৩৬. ৪.৩০ হাবিব হাবিবার কাহিনী
১৩৭. ৪.৩১ সর্দারের নষ্টাচরিত্রা বিবি
১৩৮. ৪.৩২ নফর ফিরুজের বিবি ও সুলতান
১৩৯. ৪.৩৩ অপরিণামদর্শী সিরিয়া সওদাগরের শিক্ষা
১৪০. ৪.৩৪ হারুন অল রসিদের গ্রন্থপাঠ
১৪১. ৪.৩৫ শাহজাদা হীরার কাহিনী
১৪২. ৪.৩৬ গোহা ও তার ইয়ার-বন্ধুরা
১৪৩. ৪.৩৭ তুফা অল কুলবের কাহিনী
১৪৪. ৪.৩৮ অল মালিক বাইবারসের দরবারে – দ্বাদশ সর্দারের কাহিনী
১৪৫. ৪.৩৯ চীন শাহজাদীর বাগানের সমুদ্র-গোলাপ
১৪৬. ৪.৪০ দজ্জাল বিবির অত্যাচারে দেশত্যাগী মারুফ-মুচির ভাগ্য-বিবর্তন
১৪৭. ৪.৪১ আলেকজান্দ্রা শহরের ধনী যুবকের কাহিনী
১৪৮. ৪.৪২ ফিন্দের দুই বীরাঙ্গনা কন্যা
১৪৯. ৪.৪৩ ফতিমার কাহিনী
১৫০. ৪.৪৪ কিণ্ডাইটের সম্রাট হজর ও তার স্ত্রী হিন্দের গল্প
১৫১. ৪.৪৫ আয়েশা কথিত কাহিনী
১৫২. ৪.৪৬ খলিফা ওমর ইবন অল-খাতাবের কাহিনী
১৫৩. ৪.৪৭ কুফার কবি মহম্মদ কথিত কাহিনী
১৫৪. ৪.৪৮ পরান্নভোজী তুফেনের কাহিনী
১৫৫. ৪.৪৯ খলিফা অল হাদীর অন্তিম দশা
১৫৬. ৪.৫০ অভিশপ্ত কণ্ঠহার
১৫৭. ৪.৫১ মশুলের গায়ক ইশাকের রোজনামচা
১৫৮. ৪.৫২ অল মামুন ও জুবেদা বেগমের কাহিনী
১৫৯. ৪.৫৩ জাফরের অন্তিম দশা
১৬০. ৪.৫৪ শাহজাদা জুঁই আর শাহজাদী বাদামের প্রেম উপাখ্যান

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন