১১৫. হাওয়াযিনের জমিজমা, যুদ্ধবন্দী, তাদের কিছুসংখ্যক লোককে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করার জন্য উপঢৌকন দান এবং কিচু লোককে পুরস্কার প্রদানের বিবরণ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণ হাওয়াযিনের বিপুল সংখ্যক যুদ্ধবন্দীকে সাথে নিয়ে তায়েফ থেকে জিরনাতে গিয়ে যাত্রাবিরতি করলেন। ইতিপূর্বে সাকীফের অবরোধ ত্যাগ করে তাদের থেকে চলে যাওয়ার সময় একজন সাহাবী তাঁতে বনু সাকীফের বজন্য বদদোয়া করতে বলেন। জবাবে তিনি বলেন, “হে আল্লাহ! সাকীফকে হিদায়াত দান কর ও আমার কাছে হাজির কর।”

হাওয়াযিনের একটি প্রতিনিধদল জিরানাতে এসে তাঁর সাথে দেখা করলো। তকন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে হাওয়াযিনের গোত্রের ছয় হাজার শিশু ও নালি যুদ্ধবন্দী ছিল। আর উচ ও বকরীর সংখ্যা নির্ণয় করা যায়নি। প্রতিনিধিরা বললো, “হে আল্লাহর রাসূল, আমরা আপনার জ্ঞাতি-গোষ্ঠী ও আত্মীয়-স্বজন। আমাদের ওপর কি ভয়াবহ বিপদ আপতিত তা আপনার অজানা নেই। অতএবআমাদের প্রতি আপনি অনুগ্রহ করুন। আল্লাহ আপনার ওপর অনুগ্রহ করবেন।”

হাওয়যিনের এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়ালো। তার অব্যবহিত পর বনু সা’দ ইবনে বকরের এর একজন উঠে দাঁড়ালো। এ ব্যক্তি হলো যুহাইর ওরফে আবু সুরাদ। সে বললো, “ইয়া রাসুলাল্লাহ, যুদ্ধবন্দীদের ভেতর আপনার ফুফু, খালা ও আপনার লালন-পালনকারিণীরাই রয়েছে। [৮৪. লালন পালনকারিণী বলতে দুগ্ধ-দাত্রীদেরকে বুঝানো হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লামের দুধমাতা হালিমা এই বনু সা’দ গোত্রেরই মহিলা ছিলেন এবং তা হাওয়াযিনেরই একটি শাখা।] আমরা যদি হারেস ইবনে আবু শিমার অথবা নুমান ইবনে মুনযিরকে দুধ খাওয়াতাম এবং তারা যদি আজ আপনার জায়গায় অধিষ্ঠিত হতো হাতলে তারাও আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতো। আপনি তো তাদের চেয়েও উত্তম।”

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তোমরা তোমাদের সম্পদ এবং স্ত্রী ও শিশুদের মধ্যে কোনটিকে অগ্রধিকার দিতে চাও?” তারা বললো, “আপনি যদি দুটোর একটাই নিতে বলেন তাহলে আমাদের শিশু ও মহিলাদেরকেই ফিরিয়ে দিন।” তিনি বললেন, “যেসব মহিলা ও শিশু আমার ও বনু আবদুল মুত্তালিব গোষ্ঠীর কাছে আছে তাদেরকে আমি দিয়ে দিচ্ছি। আর বাদবাকীদের জন্য তোমরা যোহরের নামাযের সময় জমায়াতে হাজির হও। তখন মুসলমানদের সবার কাছে এই বলে আবেদন জানাবে যে, ‘আমরা আমাদের স্ত্রী ও শিশুদের ফেরত চাই। যারা মুলমানদের কাছে রয়েছে তাদের জনস্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুরোধ করছি তিনি যেন মুসলমানদেরকে সুপারিশ করেন আর যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট রয়েছে তাদের জন্য মুসলমানদেরকে অনুরোধ করছি তারা যেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুরোধ করেন।’ তখন আমি আমার কাছে যারা রয়েছে তাদেরকে ফেরত দেব এবং মুসলমানদেরকে অনুরোধ করবো যেন তারাও ফেরত দেয়।”

যোহরের নামাযের সময় হাওয়াযিন ও বনু সা’দের প্রতিনিধিরা রাসূলুল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশমত কাজ করলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সামনে ঘোষণা করলেন, “সঙ্গে সঙ্গে মুহাজির ও আনসারগণও বললেন, “আমাদের কাছে যারা আছে আমরা তাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লমের কাছে সমর্পণ করলাম।” কেবল আকরা ইবনে হারেস নিজের ও বনু তামীমের, উয়াইদা ইবনে হিসন নিজের ও বনু ফাজারের এবং আব্বাস ইবনে মিরদাস নিজের ও বনু সুলাইমের পক্ষ থেকে এ আবেদনে সাড়া দিলো না। কিন্তু বনু সুলাইম আব্বাসকে অগ্রাহ্য করে বললো, “ আমাদের যার কাছে যত নালী ও শিশু আছে তাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে অর্পণ করলাম।: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তোমাদের মধ্যে যারা নিজ নিজ অধিকার ত্যাগ করতে চাও না তাদেরকে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, এরপর সর্বপ্রথমে যে যুদ্ধবন্দী আমার হস্তগত হবে তা থেকে তাদের প্রত্যেককে একটির বদলে ছয়টি করে দেবো। কাজেই এদের শিশু ও নারী ফেরত দাও।”

অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম হাওয়াযিনের প্রতিনিধিদের জিজ্ঞেস করলেন, “মালিক ইবে ন আওফের খবর কি?” তারা বললো, “সে তায়েফে বনু সাকীফের সাথে রয়েছে।” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম বললেন, “মালিকেেক তোমরা জানিয়ে দাও, সে যদি মুসলমান হয়ে আমার কাছে হাজির হয় তাহলে আমি তাকে তার সমস্ত সম্পদ ও বন্দী লোকদেরকে ফেরত দেবো এবং আরো একশো উট দেবো।” মালিকের আশংকা ছিল যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রস্তাব বনু সাকীফ জানতে পারলে তারা তাকে আটক করবে। তাই সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে যাওয়ার জন্য কৌশল অবলম্বন করলো। সে পথিমধ্যে কোন এক জায়গায় একটি উটকে তার বাহন হিসেবে প্রস্তুত করে রাখলো। অতঃপর তায়েফ থেকে গভীর াতে একটি ঘোড়ায় চড়ে ঐ উটের কাছে পৌছলো। অতঃপর সেই উটের পিঠে চড়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে হাজির হলো। কিরানা অথবা মক্কায় তাঁর সাথে মিলিত হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সকল বন্দী ও সম্পদ ফেরত দিলেন এবং একশোটি উটও দিলেন। সে ইসলাম গ্রহণ করলো এবং নিষ্ঠাবান মুসমলমানের পরিণত হলো। অতঃপর মালিক ইবনে আওফ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রশংসায় একটি কবিতা আবৃত্তি করলো। কবিতাটি নিম্নরুপঃ

“সমগ্র মানব সমাজে আমি মুহাম্মাদের সমতুল্য কোন মানুষ দেখিনি, বা শুনিনি।

সে কাউকে কোন কিছু দেয়অর প্রতিশ্রুতি দিলে তা যথাযথভাবে রক্ষা করে এবং বিপুল পরিমাণে দান করে উপরূন্ত তুমি যদি চাও তবে সে আগামীকাল কি ঘটবে তাও বলে দিতে পারে।

যখন বড় বড় গোত্রতিরা নিজ নিজ বাহিনী ও অস্ত্রশস্ত্র সহ পালিয়ে গেছে এবং অত্রন্ত তীক্ষèধার তরবারীও আঘাতে আঘাতে পর্যুদস্ত হয়েছে ধূলিধূসরিত রণাঙ্গনে তখনো সে শাবকদের পাহারায় নিযোজিত ও ঘাঁটিতে ওত পেতে থাকা হিংসের মহ অবিচল।”

অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মালিক ইবনে আওফকে তার স্বগোত্রীয় মুসলমানদের এবং বনু সুমালা, বনু সালেমা ও বনু কাহম গোত্রের মুসলমানদের আমীর নিযুক্ত করেন। মালিক এইসব মুসলমানদের সাথে নিয়ে বনু সাকীফের বিরুদ্ধে অব্যাহত লাড়াই চালাতে থাকেন এবং শেষ পর্যন্ত তাদেরকে বশীভূত করেন। বনু সাীফের কবি আবু মিহজান খেদোক্তি করে কবিতা আবৃত্তি করে,

“একদিন শত্রুরা আমাদেরকে ভয় করে চলতো। অথচ আজ কিনা বনু সালেম আমাদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে।

সকল সম্পর্কের পবিত্রতা লংঘন ও ওয়াদা ভঙ্গ কলে মালিক তাদের সহযোগিতায় আমাদের ওপর চড়াও হয়েছে। এমনকি আমাদের বাড়ীঘরের ওপরে চড়াও হয়ে বসেছে।

অথচ আমাদেরই প্রতিশোধ নেয়ার কথা ছিল।”

অতঃপর মুসলমানদের মধ্যে অনেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ফাই (বিনা যুদ্ধে লব্ধ সম্পদ) তথা উট ও ছাগলের ভাগ দেয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করতে লাগলেন। পীড়াপীড়ি করতে করতে তারা তাঁকে একটি গাছের নীচে নিয়ে গেলে গাছে তাঁর চাদর আচকে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তোমরা আমার চাদরখানা দাও। আল্লাহর কসম, তিহামার বৃক্ষরাজির মত বিপুল সম্পদও যদি থাকতো তাহলে আমি তা তোমাদের মধ্যে বন্টন করে দিতাম। আমার ভেতরে কৃপণতা, ভীরুতা ও মিথ্যার লেমমাত্রও তোমরা দেকতে পেতে না।” অতঃপর তিনি তার উটের পার্শ্বে গিয়ে দাঁড়ালেন এবং তার ঘাড়ের ওপর থেকে একটা চুল হাতে নিয়ে তা দেখিয়ে বললেন “হে মুসলিম জনতা, আল্লাহর কসম, তোমাদের ফাই থেকে-এমনকি এই পশমগাছি থেকেও আমার প্রাপ্য এক পঞ্চমাংশের বেশী নয়। অথচ সেই এক পঞ্চমাংশেও আমি তোমাদেরকেই দিয়ে দিয়েছি। সুতরাং যদি কেউ এই সম্পদ থেকে একটা সুঁই ও সুতাও নিয়ে থাক তবে তা ফিরিয়ে দাও। মনে রেখ, যে ব্যক্তি খিয়ানত করবে, কিয়ামতের দিন ঐ খিয়ানত তার জন্য আগুনের রূপ নেবে এবং চরম অপমান ও লাঞ্ছনার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।”

জনৈক আনসারী তার উটের হাওদার ছিঁড়ে যাওয়া অংশ সেলাই করার জন্য কিছু পশমের সুতা নিয়েছিলেন তিনি তা ফেরত দিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “ এ থেকে আমার প্রাপ্য অংশ তোমাকে দিলাম।” তিনি বললেন, “আপনি খিয়ানত সম্পর্কে যে কথা বলেছেন তাতে আমার এ জিনিসের মোটেই প্রয়োজন নেই।” অতঃপর তা ফেরত দিলেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মন জয় করার উদ্দেশ্যে প্রভাবশালী ও নেতৃস্থানীয় লোকদের সম্পদ প্রদান করেন। নিম্নলিখিত ব্যক্দিদেরকে তিনি একশ’টি করে উট দেন: আবু সুফিয়ান ইবনে হারব, আবু সুফিয়ানের পুত্র মুয়াবিয়া, হাকীম ইবনে হিযাম, হারেস ইবনে কালদা, হারেস ইবনে হিশা, সুহায়েল ইবনে আমর, হুয়াইতিব ইবনে আবদুল উয্যা, আলা ইবন জারিয়া, উয়াইনা ইবনে হিসন, আকরা ইবনে হারেস, মালিক ইবনে আওফ ও সাফওয়ান ইবনে উমাইয়া।

নিম্নলিখিত ব্যক্তিবর্গকে একশ’র কম উট প্রদান করেন ৎ মাখরামা ইবনে রাওয়াল যুহরী উমাইর ইবনে ওয়াহাব আল-জুমাহী, হিশাম ইবনে আমর ও আমর ইবনে লুয়াই। আর সাঈদ ইবনে ইয়ারবু ও সাহমীকে পঞ্চাশটি করে উট দেন।

আব্বাস ইবনে মিরদাসকে দেন পঞ্চাশটিরও কম। সে রাগান্বিত হয়। সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তিরস্কার করে নিচের কবিতাংশ আবৃত্তি করে,

“এগুলো আমার ছিনিয়ে নেয় দ্রব্য ছিল। আমি অশ্¦ শাবকের পিঠে সওয়ার হয়ে সমতল ভূমির জনপদে হামলা চালিয়ে এগুলো পেয়েছিলাম। নিজের গোত্রের লোকদের ঘুম থেকে জাগিয়ে রেখে ছিনিয়ে এনেছিলাম যেন তারা না ঘুমায়। কিন্তু তারা ঘমিয়ে পড়েছিল আর আমি একা জেগে ছিলাম। উয়াইনা ও আকরা যা পারেনি আমি ও আমার ঘোড়া সেই সম্পদ ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলাম। যুদ্ধের ময়দানে আমি একজন দক্ষ লড়াকু। কিন্তু আমাকে যথেষ্ট পরিমাণে দেযা হয়নি। তবে একবোরে বঞ্চিত করা হয়নি। কেবল কয়েকটি ছোট উট আমাকে দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর চারটি পা এখনো তেমন লম্বা হয়নি। হিসন এবং হারেস (একশো উট প্রাপ্ত উয়াইনা ও আকরার পিতা) আমার পিতার (মিরদাসের) চেয়ে সমাজে বেশি প্রতিপত্তিশালী ছিল না। আর আমি নিজেও ওদের দুজনের চেয়ে নগণ্য নই। আজ আপনি যাকে অপমানিত করলেন সে আর কখনো সম্মানিত হবে না।”

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাগণকে নির্দেশ দিলেন, “যাও, ওকে আরো কিছু দিয়ে খুশী কর এবং তার মুখ বন্ধ কর।” সাহাবাগণ তাকে আরো কিছুসংখ্যক উট গিয়ে খুশী করলেন।

আবু সাঈদ খুদরী (রা) বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরাইশ ও অন্যান্য আরব গোত্রের নেতাদের প্রতি এরূপ বদান্যতা প্রদর্শন করায় এবং আনসারগণকে কিছুই না দেয়ায় তারা খুবাই অসন্তুষ্ট হন এবং কেউ কেউ আপত্তিকর কথাবার্তা বলা শুরু করেন। এমনকি কেউ কেউ বলেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর আপনজনদেরকে খুশী করেছেন।” এ সময় সা’দ ইবনে উবাদা (রা) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে দেখা করে বললেন, “ইয়া রাসূলুল্লাহ, আপনি গনীমতের সম্পদ যেভাবে বিলিবন্টন করলেন তাতে আনসারগণ ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছে। আপনি এসব সম্পদ নিজের গোত্র কুরাইশ ও অন্যান্যদের মধ্যে বন্টন করলেন। অথচ আনসারদের কিছু দিলেন না।” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “হে সা’দ! তোমার নিজের মনোভাব কি?” তিনি বললেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি আমার গোষ্ঠীর একজন।” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তাহলে তোমার গোষ্ঠীকে এখানে হাজির কর।”

সা’দ আনসারদেরকে সেখানে জমায়েত করলেন। কিছুসংখ্যক মুহাজিরও সেখানে এসে হাজির হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে অনুমতি দিলেন। এরপর আবার কিছুসংখ্যক মুহাজির আসতে চাইলে তিনি আর অনুমতি দিলেন। এরপর আবার কিছুসংখ্যক মুহাজির আসতে চাইলে তিনি আর অনুমতি দিলেন না। এভাবে ঐ সকল আনসার সমবেত হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের াকছে গেলেন। প্রথমে তিনি যথাযথভাবে আল্লাহর প্রশংসা করলেন। অতঃপর বললেন, “হে আনসারগণ, তোমাদের পক্ষ থেকে কিচু আপত্তিকর কথা উচ্চারিত হতে শুনেছি এবং আমার ওপর তোমরা ক্ষুব্ধ ও ক্রুব্ধ হয়েছো বলে জানতে পেরেছি। বলতো আমি যখন তোমাদের কাছে আসি তখন কি তোমরা পথভ্রষ্ট ছিলে না? অতঃপর আল্লাহ কি তোমদেরকে হিদায়াত দান করেননি? তোমরা কি দরিদ্র ছিলে না অতঃপর আল্লাহ কি তোমাদের সচ্ছল করেননি? তোমরা কি পরস্পরের শত্রু ছিলে না। অতঃপর আল্লাহ কি তোমাদেরকে পরস্পরের কাছে প্রিয় করে দেননি?” তারা বললেন, “হা। আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলই আমাদের ওপর সবচেয়ে বেশি অনুগ্রহ করেছেন।” তিনি আরো বললেন, “হে আনসারগণ, তোমরা জবাব দাও না কেন?” তারা বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল, আমরা আপনাকে কি জবাব দেবো? আল্লাহর রাসূলই আমাদের ওপর সবচেয়ে বেশী অনুগ্রহ করেছেন।”

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তোমরা বলতে পার যে, তুমি আমাদের কাছে এসেছিলে এমন অবস্থায় যখন কেউ তোমার প্রতি ঈমান আনেনি, আমরাই কেবল ঈমান এনছিলাম। সবাই তোমাকে নির্যাতন করেচিল শুধু আমরাই তোমাকে সাহায্য করেছিলাম, তোমাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল আমরাই তোমাকে আশ্রয় দিয়েছিলাম, তুমি অসহায় অবস্থায় আমাদের কাছে এসেছিলে আমরা তোমাকে আপনজন করে নিয়েছিলাম। এ কথাগুলো বললে তোমাদের মোটোই মিথ্যা বলা হেব না। এবং সবাই তার সত্যতা স্বীকার করবে। হে আনসারগণ, দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী সম্পদের জন্য তোমরা আমার ওপর অসন্তুষ্ট হয়ে গেলে? এক শ্রেনীর লোককে আমি আগেই আস্থাবান ছিলাম এটা কি তোমাদের পছন্দ হয়নি? হে আনসারগণ, তোমরা কি এতে খুশী নও যে, লোকেরা উট ও বকরী নিয়ে চলে যাক, আর তোমরা তার বদলে আল্লাহর রাসূলকে নিয়ে যাও? যে আল্লাহর হাতে মাহুম্মাদের প্রাণ, তাঁর শপথ করে বলছি, আমাকে যদি হিজরাত করে আসতে না হতো, তাহলে আমি তোমাদেরই মত আকজন আনসার হতাম। সবাই যদি একপথে চলে আর আনসাররা যদি ভিন্ন পথে চলে আমি আনসারদের পথ ধরেই চলবো। হে আল্লাহ! তুমি আনসারদের প্রতি রহমত বর্ষণ কর, তাদের সন্তানদের ওপর এবং সন্তানদের বংশধরের ওপরও রহমত বর্ষণ কর।”

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ ভাষনে আনসার সাহাবীগণ এত কাঁদলেন যে, দাড়ি পর্যন্ত সিক্ত হয়ে গেল। তারা সমস্বরে বলে উঠলেন, “আমরা আমাদের ভাগে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পেয়েই সন্তুষ্ট এবং তাতেই গৌরবান্বিত।’

অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলে গেলেন। মুসলমানরাও যে যার কাজে চলে গেল।

সকল অধ্যায়

১. ০০৪. সীরাতে ইবনে ইসহাক
২. ০০৫. সীরাতে ইবনে হিশাম
৩. ০০৬. সীরাতে ইবনে হিশামের মর্যাদা
৪. ০০৭. সীরাতে ইবনে হিশামের বক্ষ্যমাণ সংক্ষিপত রূপ
৫. ০০৮. মুহাম্মদ (সা) থেকে আদম (আ) পর্যন্ত উর্ধতন বংশ পরম্পরা
৬. ০০৯. ইসমাঈর (আ) এর অধস্তন পুরুষদের বংশ পরম্পরা
৭. ০১০. রাবিয়া ইবনে নসরের স্বপ্ন
৮. ০১১. আবু কারব হাসসান ইবনে তুব্বান আস’আদ কর্তৃক ইয়ামতান রাজ্য অধিকার এবং ইয়াসরিব আক্রমণ
৯. ০১২. হাবশীদের দখলে ইয়ামান
১০. ০১৩. আরিয়াত ও আবরাহা দ্বন্দ্ব
১১. ০১৪. আসহাবুল ফীলের ঘটনা
১২. ০১৫. নিযার ইবনে মা’আদের বংশধর
১৩. ০১৬. আবদুল মুত্তালিব বিন হাশিমের সন্তান-সন্ততি
১৪. ০১৭. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিতামাতা
১৫. ০১৮. যমযাম কূপ খনন ও সে বিষয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ
১৬. ০১৯. আবদুল মুত্তালিব কর্তৃক তার পুত্রকে কুরবানীর মানত
১৭. ০২০. মহানবীর (সা) আমিনার গর্ভে থাকাকালের ঘটনাবলী
১৮. ০২১. রাসূলুল্লাহর (সা) জন্ম
১৯. ০২২. হালীমার কথা
২০. ০২৩. বক্ষ বিদারণের ঘটনা
২১. ০২৪. দাদার অভিভাবকত্বে
২২. ০২৫. চাচা আবু তালিবের অভিভাবকত্বে
২৩. ০২৬. পাদ্রী বাহীরার ঘটনা
২৪. ০২৭. ফিজারের যুদ্ধ
২৫. ০২৮. খাদীজা রাদিয়াল্লাহু আনহার সাথে বিয়ে
২৬. ০২৯. ওয়ারাকা বিন নাওফেলের ভাষ্য
২৭. ০৩০. পবিত্র কাবার পুনর্নির্মাণ
২৮. ০৩১. আরব গণক, ইহুদী পুরেহিত ও খৃস্টান ধর্মযাজকদের ভবিষ্যদ্বাণী
২৯. ০৩২. রাসূলুল্লাহর (সা) দৈহিক ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
৩০. ০৩৩. ইনজীলে রাসূল্লাহর বিবরণ
৩১. ০৩৪. নবুওয়াত লাভ
৩২. ০৩৫. কুরআন নাযিলের সূচনা
৩৩. ০৩৬. খাদীজা বিনতে খুয়াইলিদের ইসলাম গ্রহণ
৩৪. ০৩৭. ওহীর বিরতি
৩৫. ০৩৮. প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী
৩৬. ০৩৯. প্রকাশ্য দাওয়াত
৩৭. ০৪০. কুরআন সম্পর্কে ওয়ালীদ ইবনে মুগীরার মন্তব্য
৩৮. ০৪১. রাসূলুল্লাহর (সা) ওপও উৎপীড়নের বিবরণ
৩৯. ০৪২. হামযার ইসলাম গ্রহণ
৪০. ০৪৩. রাসূল্লাহর (সা) আন্দেলন প্রতিরোধে উতবার ফন্দি
৪১. ০৪৪. কুরাইশ নেতাদের সাথে রাসূলুল্লাহর (সা) কথোপকথন
৪২. ০৪৫. আবু জাহলের আচরণ
৪৩. ০৪৬. নাদার ইবনে হারেনের বিবরণ
৪৪. ০৪৭. দুর্বল মুসলমানদের ওপর মুশরিকদের অত্যাচার
৪৫. ০৪৮. আবিসিনিয়ায় মুসলমানদের প্রথম হিজরাত
৪৬. ০৪৯. মুহাজিরদের ফিরিয়ে আনার জন্য আবিসিনিয়ায় কুরাইশদের দূত প্রেরণ
৪৭. ০৫০. উমার ইবনুল খাত্তাবের ইসলাম গ্রহণ
৪৮. ০৫১. চুক্তিনামার বিবরণ
৪৯. ০৫২. রাসূলুল্লাহর (সা) ওপর কুরাইশদের নির্যাতন
৫০. ০৫৩. আবিসিনিয়া থেকে মক্কার লোকদের ইসলাম গ্রহণের খবর শুনে মুহাজিরদের প্রত্যাবর্তন
৫১. ০৫৪. চুক্তি বাতির হওয়ার কাহিনী
৫২. ০৫৫. ইরাশ গোত্রের এক ব্যক্তির আবু জাহলের নিকট উট বিক্রির ঘটনা
৫৩. ০৫৬. ইসরা বা রাত্রীকালীন সফর
৫৪. ০৫৭. মিরাজের ঘটনা
৫৫. ০৫৮. আবু তালিব ও খাদীজার ইন্তিকাল
৫৬. ০৫৯. সাহায্য লাভের আশায় বনু সাকীফ গোত্রের শরণাপন্ন হওয়া
৫৭. ০৬০. নাসীবীনের জ্বীনদের ঘটনা
৫৮. ০৬১. ইসলামের দাওয়াত পৌঁছতে রাসূলুল্লাহ (সা) সব গোত্রের কাছে হাজির হলেন
৫৯. ০৬২. মদীনায় ইসলাম বিস্তারের সূচনা
৬০. ০৬৩. মদীনায় প্রথম বাইয়াত
৬১. ০৬৪. আকাবার দ্বিতীয় বাইয়াত
৬২. ০৬৫. আকাবার শেষ বাইয়াত ও তার শর্তাবলী
৬৩. ০৬৬. সশস্ত্র যুদ্ধের নির্দেশ লাভ
৬৪. ০৬৭. মুসলমানদের মদীনায় হিজরাত করার অনুমতি লাভ
৬৫. ০৬৮. মদীনায় হিজরাতকারী মুসলমানদের বিবরণ
৬৬. ০৬৯. রাসূলুল্লাহর (সা) হিজরাত
৬৭. ০৭০. কুবায় উপস্থিতি
৬৮. ০৭১. মদীনায় উপস্থিতি
৬৯. ০৭২. মদীনাতে ভাষণ দান ও চুক্তি সম্পাদন
৭০. ০৭৩. আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে ভ্রাতৃ সম্পর্ক স্থাপন
৭১. ০৭৪. আযানের সূচনা
৭২. ০৭৫. কতিপয় সাহাবীর রোগাক্রান্ত হওয়ার বিবরণ
৭৩. ০৭৬. হিজরাতের তারিখ
৭৪. ০৭৭. প্রথম যুদ্ধাভিযান
৭৫. ০৭৮. উবাইদা ইবনে হারিসের নেতৃত্বে অভিযান । রাসূলুল্লাহ (সা) নিজে এই যুদ্ধের ঝান্ডা বেঁধেছিলেন
৭৬. ০৭৯. সমুদ্র উপকূলেন দিকে হামযার নেতৃত্বে অভিযান
৭৭. ০৮০. বুয়াত অভিযান
৭৮. ০৮১. উশাইরা অভিযান
৭৯. ০৮২. সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাসের সেতৃত্বে সামরিক অভিযান
৮০. ০৮৩. সাফওয়ান অভিযান : প্রথম বদর অভিযান
৮১. ০৮৪. আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশের নেতৃত্বে সামরিক অভিযান
৮২. ০৮৫. কিবলা পরিবর্তন
৮৩. ০৮৬. বদরের যুদ্ধ
৮৪. ০৮৭. বনু সুলাইম অভিযান
৮৫. ০৮৮. সাওয়ীক অভিযান
৮৬. ০৮৯. যূ-আমার অভিযান
৮৭. ০৯০. বাহরানের ফুরু অভিযান
৮৮. ০৯১. বনু কাইনুকার যুদ্ধ
৮৯. ০৯২. যায়িদ ইবনে হারিসার কারাদা অভিযান
৯০. ০৯৩. উহুদ যুদ্ধ
৯১. ০৯৪. হিজরী তৃতীয় সন : রাজী সফর
৯২. ০৯৫. বীরে মাউনার ঘটনা (৪র্থ হিজরী)
৯৩. ০৯৬. বনু নাবীরের বহিষ্কার (চতুর্থ হিজরী)
৯৪. ০৯৭. যাতুর রিকা অভিযান (৪র্থ হিজরী)
৯৫. ০৯৮. দ্বিতীয় বদর অভিযান (৪র্থ হিজরী সন)
৯৬. ০৯৯. দুমাতুল জান্দাল অভিযান (৫ম হিজরী: রবিউল আউয়াল)
৯৭. ১০০. খন্দক যুদ্ধ (৫ম হিজরী, শাওয়াল)
৯৮. ১০১. বনু কুরাইযা অভিযান (৫ম হিজরী)
৯৯. ১০২. যী কারাদ অভিযান
১০০. ১০৩. বনু মুসতালিক অভিযান
১০১. ১০৪. ৬ষ্ঠ হিজরী সনে বনু মুসতালিক অভিযানকালে অপবাদের ঘটনা
১০২. ১০৫. হুদাইবিয়ার ঘটনা
১০৩. ১০৬. বাইয়াতু রিদওয়ান
১০৪. ১০৭. শান্তিচুক্তি বা হুদাইবিয়ার সন্ধি
১০৫. ১০৮. খাইবার বিজয়: ৭ম হিজরীর মুহাররাম মাস
১০৬. ১০৯. জাফর ইবনে আবু তালিবের আবিসিনিয়া থেকে প্রত্যাবর্তন
১০৭. ১১০. উমরাতুল কাযাঃ ৭ম হিজরী সনঃ জিলকাদ মাস
১০৮. ১১১. মুতার যুদ্ধঃ ৮ম হিজরী সনঃ জামাদিউল উলা
১০৯. ১১২. মক্কা বিজয়ঃ ৮ম হিজরী, রমাযান মাস
১১০. ১১৩. হুনাইনের যুদ্ধ: ৮ম হিজরী
১১১. ১১৪. তায়েফ যুদ্ধ: ৮ম হিজরী সন
১১২. ১১৫. হাওয়াযিনের জমিজমা, যুদ্ধবন্দী, তাদের কিছুসংখ্যক লোককে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করার জন্য উপঢৌকন দান এবং কিচু লোককে পুরস্কার প্রদানের বিবরণ
১১৩. ১১৬. জি’রানা থেকে রাসূলুল্লাহর (সা) উমরা পালন
১১৪. ১১৭. তায়েফ ত্যাগের পর কা’ব ইবনে যুহাইরের ইসলাম গ্রহণ
১১৫. ১১৮. তাবুক যুদ্ধ
১১৬. ১১৯. দুমার শাসনকর্তা উকায়দের-এর নিকট রাসূলুল্লাহ (সা) কর্তৃক খালিদ ইবনে ওয়ালীদকে প্রেরণ
১১৭. ১২০. নবম হিজরীর রমযান মাসে বনু সাকীফ গোত্রের প্রতিনিধি দলের আগমন ও ইসলাম গ্রহণ
১১৮. ১২১. নবম হিজরী সালকে ‘প্রতিনিধিদল আগমনের বছর’ হিসেবে আখ্যায়িতকরণ। সূরা আন নাছর এই বছরই নাযিল হয়
১১৯. ১২২. বনু তামীমের প্রতিনিধিদলের আগমন ও সূরা হুজুরাত নাযিল
১২০. ১২৩. বনু আমেরের প্রতিনিধি আমের ইবনে তুফাইল ও আরবাদ ইবনে কায়েসের ঘটনা
১২১. ১২৪. জারুদের নেতৃত্বে বনু আবদুল কায়েসের প্রতিনিধিদলের আগমন
১২২. ১২৫. মুসাইলিমা কাযযাবসহ বনু হানীফা প্রতিনিধিদলের আগমন
১২৩. ১২৬. হাতিম তাঈ-এর আদীর ঘটনা
১২৪. ১২৭. ফারওয়া ইবনে মুসাইক মুরাদীর আগমন
১২৫. ১২৮. আমর ইবনে মা’দী ইয়াকরাবের নেতৃত্বে বনু যুবাইদের প্রতিনিধিদলের আগমন
১২৬. ১২৯. আশয়াস ইবনে কায়েসের নেতৃত্বে কিন্দার প্রতিনিধিদলের আগমন
১২৭. ১৩০. সুরাদ ইবনে আবদুল্লাহ আযদীর আগমন
১২৮. ১৩১. হিমইয়ার বংশীয় রাজাদের দূতের আগমন
১২৯. ১৩২. মুয়ায ইবনে জাবালকে ইয়ামানে পাঠানোর সময় রাসূলুল্লাহর (সা) উপদেশ
১৩০. ১৩৩. অভিযান পরিচালনাকালে খালিদ ইবনে ওয়ালীদের (রা) হাতে বনু হারিস গোত্রের ইসলাম গ্রহণ
১৩১. ১৩৪. মিথ্যা নবুওয়াতের দাবীদার মুসইলিমা ও আসওয়াদ আনসীর বিবরণ
১৩২. ১৩৫. রাসূলুল্লাহর (সা) নিযুক্ত কর্মচারী ও আমীরগণের যাকাত আদায়ের অভিযান
১৩৩. ১৩৬. রাসূলুল্লাহর (সা) নিকট মুসাইলিমার চিঠি এবং রাসূলুল্লাহর পক্ষ থেকে তার জবাব
১৩৪. ১৩৭. বিদায় হজ্জ
১৩৫. ১৩৮. উসামা ইবনে যায়িদকে ফিলিস্তীনে প্রেরণ
১৩৬. ১৩৯. রাজা বাদশাহদের কাছে রাসূলুল্লাহর (সা) দূত প্রেরণ
১৩৭. ১৪০. সর্বশেষ অভিযান
১৩৮. ১৪১. রাসূলুল্লাহর (সা) পীড়ার সূচনা
১৩৯. ১৪২. রাসূলুল্লাহর (সা) স্ত্রীগণ বা উম্মুহাতুল মুমিনীনের বিবরণ
১৪০. ১৪৩. রাসূলুল্লাহর (সা) রোগ সংক্রান্ত অবশিষ্ট বিবরণ
১৪১. ১৪৪. নামাযের জামায়াতে আবু বাক্রের (রা) ইমামতি
১৪২. ১৪৫. বনু সায়েদা গোত্রের চত্বরে
১৪৩. ১৪৬. আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) ও ইমার (রা)- এর বর্ণনা
১৪৪. ১৪৭. রাসূলুল্লাহর (সা) কাফন-দাফন

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন