১২২. বনু তামীমের প্রতিনিধিদলের আগমন ও সূরা হুজুরাত নাযিল

আরব গোত্রসমূহ থেকে প্রতিনিধিদল আগমন শুরু হলে সর্বাগ্রে উতারিদ বিন হাকেব তামিমীর নেতৃত্বে বনু তামীম গোত্রের প্রতিনিধিদল আসে। এই দলে বনু তামীমের নেতৃস্থানীয় লোকজনও ছিল। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আকরা ইবনে হারেস, বনু মা’দের যাবারকান ইবনে বদর ও আমর ইবনে আহতাম এবং হাবহাব ইবনে ইয়াযীদ। এছাড়া নুয়াইম ইবনে ইয়াযীদ, কায়েস ইবনে হারেস, কায়েস ইবনে আসেম ও উযাইনা ইবনে হিসনও এই দলের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ইতিপূর্বে মক্কা বিজয় এবং হুনাইন ও তায়েফের অভিযানে আকরা ইবনে হারেস ও উয়াইরা ইবনে হিসন অংশগ্রহণ করেছিলেন। তারা দু’জন বনু তামীমের প্রতিনিধিদলেও যোগ দেন। বনু তামীমের এই প্রতিনিধিদল মসজিদে নববীর কাছে এসে বাড়ীর বাইরে থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উচ্চস্বরে এই বলে ডকতে শুরু করে, “হে মুহাম্মাদ! বেরিয়ে আসুন এবং আমাদের সাতে দেখা করুন।” তাদের এই চিৎকার ও হাঁকডাক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে কষ্টকর হলো। তারা বললো, “আমরা এসেছি আপনার কাচে আমাদের গৌরবোজ্জল বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরতে। তাই আমাদের প্রধান বক্তা ও কবিকে কথা বলার অনুমতি দিন।” তিনি অনুমতি দিলেন। তখন উতারিদ ইবনে হাজ্জেব বলতে লাগলো, “সেই আল্লাহর জন্য সকল প্রশংসা যিনি আমাদের ওপর অশেষ অনুগ্রহ বর্ষণ করেছেন এবং একমাত্র তিনিই এর ক্ষমতা রাখেন। যিনি আমাদেরকে বাদশাহ বানিয়েছেন এবং আমাদেরকে বিপুল ধন সম্পদে ও ঐশ্বর্য্যে সমৃদ্ধ করেছেন। যার দ্বারা আমরা বদান্যতার পরিচয় দিয়ে থাকি। যিনি আমাদেরকে সমগ্র প্রাচ্যবাসীর মধ্যে সর্বাধিক জনবল ও ধনবলের অধিকারী করেছেন। আমাদের সমকক্ষ আর কেউ আছে কি? আমরাই কি তাদের নেতা এবং সবচেযে অভিজাত নই? আভিজাত্য ও কৌলিন্যে যে আমাদের সমকক্ষতার দাবী করে সে নিজ শেষ্ঠত্বের বর্ণনা দিক। আমরা ইচ্ছা করলে আরো অনেক কিছু বলতে পারি কিন্তু আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামত নিয়ে বেশী বাগাড়ম্বর করতে আমরা লজ্জাবোধ কলি। আমাদের এ শ্রেষ্ঠত্বের কথা সুপরিচিত। আপনাদেরকে আমাদের মত আত্মপরিচয়মূলক বক্তব্য পেশ করা এবং আরো ভালো বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দানের জন্যই এসব কথা বললাম।”

এ পর্যন্ত বলেই উতারিদ বসলো। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাবিত ইবনে সায়েসকে (রা) বললেন, “ওঠো এবং তার ভাষনের জবাব দাও।”

সাবিত উঠে দাঁড়িয়ে বললেন,

“সেই মহান আল্লাহর জন্য সব প্রশংসা, আসমান ও যমীনে তাঁর ইচ্ছা কার্যকর করেছেন, তাঁর জ্ঞানের পরিধি তাঁর কর্তৃত্বের পরিমন্ডল জুড়ে পরিব্যাপ্ত। তাঁর অনুগ্রহ ছাড়া কখনো কোন জিনিষের উদ্ভব ও আবির্ভাব ঘটে না, আমাদের মধ্যে রাজা বাদশাহর আবির্ভাব তাঁরই অনুগ্রহের ফল। আপন অনুগ্রহের বশেই তিনি আপন শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠতম বংশীয়, আভিজাত্যে ও অতুলনীয় সাত্যবাদিতার গুণে ভূষিত ব্যক্তিকে রাসূল হিসেবে মনোনীত করেছেন। অতঃপর তাঁর ওপর স্বীয় গ্রন্থ নাযিল করেছেন, তাঁকে সমগ্র মানব জাতির তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করেছেন, একমাত্র তিনিই সমগ্র বিশ্বজগতের মধ্যে আল্লাহ মনোনীত ব্যক্তিরূপে গণ্য হয়েছেন। অতঃপর মানুষকে তিনি তাঁর প্রতি ঈমান আনার আহ্বান জানিয়েছেন, ফলে তাঁর স্বগোত্র ও আপনজনের মধ্র থেকে মুহাজিরগণ তাঁর দাওয়াত গ্রহণ করেছেন- যারা সবার চাইতে কুলীন, সবার চাইতে সম্ভ্রান্ত ও মর্যাাদাশীল, সবার চাইতে সৎকর্মশীল। যারা সর্বপ্রথম রাসূলের দাওয়াত গ্রহণ করেছিল তারা আমরাই। সুতরাং আমরা আল্লাহর একনিষ্ঠ সাহায্যকারী এবং তাঁর রাসূলের ঘনিষ্ঠতম সহযোগী। যারা ঈমান আনে না তাদের সাথে আমরা যুদ্ধ করি; যারা আল্লাহর রাসূলের প্রতি ঈমান আনে তাদের জানমাল আমাদের হাত থেকে নিরাপদ, আর যে কুফরী করে তাদের সাথে একমাত্র আল্লাহর ইচ্ছা ও নির্দেশের ভিত্তিতেই আমরা সংগ্রামে লিপ্ত হই। সে সংগ্রামের কোন শেষ নেই। তাকে হত্যা করা আমাদের জন্য বৈধ। একথা বলেই আমি নিজের জন্য এবং সকল মুসলমান নারী পুরুষের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই। আস্সালামু আলাইকুম।”

অতঃপর যাবারকান ইবনে বদর উঠে দাঁড়ালেন। তিনি একটি কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে নিজের বক্তব্য পেশ করলেন। কবিতাটির মর্ম এইঃ

“আমরাই সম্মানিত। কোন গোত্র আমাদের সমকক্ষ নয়। রাজা বাদশাহ আমাদের মধ্যেই বিরাজমান এবং আমাদের উদ্যোগেই তাবত উপাসনালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। কত গোত্রকে আমরা বলপূর্বক লুণ্ঠন করেছি তার শেষ নেই। তা সত্ত্বেও আমাদের মান মর্যাদা অপ্রতিহত গতিতে বেড়ে চলেছে। দুর্ভিক্ষের সময়ও আমাদের লোকের ভূনা গোশত আহার করায়। মেঘ যখন মানুষের আকাঙ্খা মুতাবিক বৃষ্টি বর্ষন করে না তখন রাত্রিকালে পথিকেরা সব জায়গা থেকেই আমাদের কাছে ছুটে আসে আর আমরা তাদের খাবারের আয়োজন করি। তখন আমরা বড় বড় উট জবাই করি এবং মেহমানদের পেট ভরে খাওয়অই। এটাই আমাদের মজ্জাগত রীতি। যখনই তুমি দেখবে যে, আমরা কোন গোত্রের কাছে গিয়ে নিজেদের আভিজাত্যের গর্ব প্রকাশ করছি, তখনই দেখতে পারেব যে, তারা আমাদের অনুসারী হয়ে যাচ্ছে আর তাদের মাথা অবনমিত হয়ে আসছে। সুতরাং আজ যে ব্যক্তি আমাদের সামনে তার শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরবে, তার বর্ণনায় আমরা নতুন জ্ঞান লাভ করবো এবং আমাদের প্রতিনিধিদল ফিরে গেলে সে তথ্য প্রচারিত হবে। আমরা কারো শ্রেষ্ঠত্বের মানতে রাজী নই। তবে আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব কেউ অস্বীকার করবে না। এভাবেই আমরা গৌরব ও গর্বে অজেয়।”

হাসসান এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বনু তামীমের কবির জবাব দেওয়ার জন্য তলব করলেন। তিনি এসে কবিতা আবৃত্তি করে জবাব দিলেন। সে কবিতায় মর্ম নিম্নরুপঃ

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আমাদের মধ্যে আবির্ভূত হলেন তখন আমাদের মধ্যে তাঁকে পছন্দকারী ও অপছন্দকারী উভয় রকমের লোক থাকা সত্ত্বেও তাঁকে রক্ষা করেছি। আমাদের বসতিতে আবির্ভূত হয়েছেন বলে আমরা তাঁকে তরবারী সজ্জিত হয়ে সকল জালিম ও আগ্রাসীর হাত থেকে রক্ষা করেছি। তিনি এক সম্মাানিত গৃহে আবির্ভূত হয়েছিলেন- যা (সিরিয়ার) জারিয়াতুল জাওলানের সন্নিহিত অপরিচিত লোকদের মধ্যে অবস্থিত। প্রাচীন মহত্ত্ব, আভিজাত্য এবং রাজকীয় সম্মান ও কঠিন মুসিবত সহ্য করার মত গৌরব আর কিছুতে নেই।”

হাসসান বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট পৌছেই আমি প্রতিনিধিদ দলের কবি যে কবিতা আবৃত্তি করেছিল হুবহু তার ছন্দ অনুকরন করে পাল্টা কবিতা আবৃত্তি করলাম। যাবারকান তার কবিতা আবৃত্তি সম্পন্ন করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসসানকে বললেন, “হে হাসসান! যাবারকানের কবিতার জবাব দাও।” হাসসান দাঁড়িয়ে জবাবী কবিতা আবৃত্তি করলেন। কবিতার মর্ম নিম্নরুপ:

“কুরাইশ বংশের নেতৃবৃন্দমানুষের জন্য এক অনুকরণীয় আদর্শ উপস্থাপিত করেছেন। খোদাভীতি যাদের জীবনের গোপন কর্মকান্ডকে নিয়ন্ত্রিত করে এবং যারা ন্যায় ও সততাকে অনুকরণ করে তারা সকলেই তাদের ওপর খুশী। তারা কুরাইশী নেতৃবৃন্দ। এমন একটা মানবগোষ্ঠী যারা যুদ্ধরত হলে শত্রুকে পর্যুদস্ত করে দেন অথবা (নিদেনপক্ষে) নিজের গোষ্ঠীর (মু’মিনদের)কল্যাণ সাধনের চেষ্ট করেন এবং কল্যাণ সাধন করেন। এটা তাদের কোন নতুন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নয়, বস্তুতঃ চরিত্রের যা কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য তাই খারাপ। তাদের পরে জনগণের মধ্যে আর যদি কোন বিজয়ীর আগমন ঘটে তা’হলে এ রকম প্রত্যেক বিজয়ী তাদের নগন্যতম বিজয়ীদের চেয়েও নগণ্যতর। তারা যদি কোথাও দুর্বলতা দেখিয়ে থাকে তাহলে সাধারণ মানুষ সেখানে কৃতিত্ব দেখাতে সক্ষম নয়। আর সকল মানুষ যেখানে কৃতিত্ব দেখায় সেখানে তারা কোন দুর্বলতা দেখায় না। তারা যদি সাধারণ মাুনষের সাথে প্রতিযোগিতা করে কিংবা অভিজাত ও মর্যাদাশীলদের সাথে প্রতিদ্বন্দীতা করে তাবে তারাই অগ্রগামী হয়ে থাকে। তারা এমন নিস্কলুষতার উল্লোখ করা হয়। তারা কোনম অপবিত্রতায় জড়িত হয় না এবং কোন লোভ লালসা তাদেরকে হীনতায় পতিত করে না। প্রতিবেশীর প্রতি সৌজন্য প্রদর্শনে তারা কার্পন্য করে না এবং কোন তুচ্ছ জিনিসের প্রতি তারা মোহাবিষ্ট হয় না। আমরা যখন কো গোষ্ঠীর প্রতি শত্রুতা পোষণ করি তখন তা গোপন রাখি না এবং বুনো গরুর তম গোপনে হিং¯্রতায় মত্ত হই না। যুদ্ধ যখন আমাদের ওপর আগ্রাসী মুষ্ঠি উত্তোলন করে এবং নিরীহ মানুষ যখন তার আঘাতে ক্ষত বিক্ষত হয় তখন আমরা তাকে বাগে আনি ও বশীভূত করি। তারা (কুরাইশ নেতৃবৃন্দ) শত্রুকে পর্যুদস্ত করতে পারলে গর্বিত হয় না এবং নিজেরা পরাজিত হলেও হতাশ ও ভীত হয় না। তারা যখন মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে লড়াইতে লিপ্ত থাকে তখন তাদের অবস্থা হিলয়ার জঙ্গলের সেই সিংহের মত যার পায়ের কবজিতে শিকল পরানো সম্ভব নয়। তারা স্বোচ্ছায় যা দেয় তাই গ্রহণ কর। আর ক্রোধবশে যা দিতে চায় না তা নিতে চেয়ো না। তাদের সাথে যুদ্ধ করার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ ও তিক্ত। অতএব তাদের শত্রুতা পরিত্যাগ কর। যখন অন্যান্য লোকেরা দলে দলে বিক্ষিপ্ত হয় এবং তাদের প্রকৃতি বিভিন্ন রূপ ধারণ করে তখনও আল্লাহর রাসূলকে তাঁর অনুসারীরা গভীর শ্রদ্ধা করে। আমার একাত্মতা বোধকারী মন তাদের প্রতি আমার প্রশংসা উৎসর্গ করেছে, যে কোন মানুষের জিহ্বাই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কারণ লোকগণ গুরুত্ব সহকারে অথবা ঠাট্রাচ্ছলে যাই বলুক না কেন- তারাই [মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসারীরা] সর্বোত্তম মানব গোষ্ঠী।”

কবিতা ও পাল্টা কবিতা পাঠের এই পালা শেষ হওয়ার পর আগন্তুক প্রতিনিধিদল ইসলাম গ্রহণ করলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে শুভেচ্ছামূলক প্রচুর উপঢৌকন দিলেন। প্রতিনিধিদল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে আসার সময় আমর ইবনে আহতাম নামক এক অল্পবয়স্ক যুবককে উটের কাফিলায় বসিয়ে রেখে এসেছিল। কায়েস ইবনে আসেম তার প্রতি কিছুটা ক্রুব্ধ ছিল। সে বললো, “ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমাদের এক ব্যক্তিকে সওয়ারী কাফিলায় বসিয়ে রেখে এসেছি। তবে সে অল্পবস্ক তরুণ।” সে তার ব্যাপারটা একটু হালকা করে দিতে চাচ্ছিল এবং তাকে কিছু দেয়ার প্রয়োজন নেই- এ কথাই বুঝাতে চেয়েছিল। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকেও অন্যান্যদের মত উপঢৌকন দিলেন। কায়েসের এ কথা জানতে পেরে আমর ইবনে আহতাম তাকে তিরস্কার করে কবিতা আবৃত্তি করলো-

“তুই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আমার নিন্দা করেছিস, কিন্তু মিথ্যা বলেছিস আর আমার ক্ষতিও করতে পারিসনি।

আমরা তোদের ওপর সর্বাত্মকভাবে প্রভুত্ব করেছি। অথচ তোদের প্রভুত্ব বিলুপ্ত হওয়ার পথে।”

ইবনে ইসহাক বলেন, এই প্রতিনিধিদল সম্পর্কেই সূরা হুজুরাতের এই আয়াত নাযিল হয়-

[আরবী *******]

“হে রাসূল! যারা আপনাকে বাড়ীর বাইরে পর্দার আড়ালে থেকে হাঁকডাক করে তাদের অধিকাংশই নির্বোধ।” (হুজুরাহ)

সকল অধ্যায়

১. ০০৪. সীরাতে ইবনে ইসহাক
২. ০০৫. সীরাতে ইবনে হিশাম
৩. ০০৬. সীরাতে ইবনে হিশামের মর্যাদা
৪. ০০৭. সীরাতে ইবনে হিশামের বক্ষ্যমাণ সংক্ষিপত রূপ
৫. ০০৮. মুহাম্মদ (সা) থেকে আদম (আ) পর্যন্ত উর্ধতন বংশ পরম্পরা
৬. ০০৯. ইসমাঈর (আ) এর অধস্তন পুরুষদের বংশ পরম্পরা
৭. ০১০. রাবিয়া ইবনে নসরের স্বপ্ন
৮. ০১১. আবু কারব হাসসান ইবনে তুব্বান আস’আদ কর্তৃক ইয়ামতান রাজ্য অধিকার এবং ইয়াসরিব আক্রমণ
৯. ০১২. হাবশীদের দখলে ইয়ামান
১০. ০১৩. আরিয়াত ও আবরাহা দ্বন্দ্ব
১১. ০১৪. আসহাবুল ফীলের ঘটনা
১২. ০১৫. নিযার ইবনে মা’আদের বংশধর
১৩. ০১৬. আবদুল মুত্তালিব বিন হাশিমের সন্তান-সন্ততি
১৪. ০১৭. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিতামাতা
১৫. ০১৮. যমযাম কূপ খনন ও সে বিষয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ
১৬. ০১৯. আবদুল মুত্তালিব কর্তৃক তার পুত্রকে কুরবানীর মানত
১৭. ০২০. মহানবীর (সা) আমিনার গর্ভে থাকাকালের ঘটনাবলী
১৮. ০২১. রাসূলুল্লাহর (সা) জন্ম
১৯. ০২২. হালীমার কথা
২০. ০২৩. বক্ষ বিদারণের ঘটনা
২১. ০২৪. দাদার অভিভাবকত্বে
২২. ০২৫. চাচা আবু তালিবের অভিভাবকত্বে
২৩. ০২৬. পাদ্রী বাহীরার ঘটনা
২৪. ০২৭. ফিজারের যুদ্ধ
২৫. ০২৮. খাদীজা রাদিয়াল্লাহু আনহার সাথে বিয়ে
২৬. ০২৯. ওয়ারাকা বিন নাওফেলের ভাষ্য
২৭. ০৩০. পবিত্র কাবার পুনর্নির্মাণ
২৮. ০৩১. আরব গণক, ইহুদী পুরেহিত ও খৃস্টান ধর্মযাজকদের ভবিষ্যদ্বাণী
২৯. ০৩২. রাসূলুল্লাহর (সা) দৈহিক ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
৩০. ০৩৩. ইনজীলে রাসূল্লাহর বিবরণ
৩১. ০৩৪. নবুওয়াত লাভ
৩২. ০৩৫. কুরআন নাযিলের সূচনা
৩৩. ০৩৬. খাদীজা বিনতে খুয়াইলিদের ইসলাম গ্রহণ
৩৪. ০৩৭. ওহীর বিরতি
৩৫. ০৩৮. প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী
৩৬. ০৩৯. প্রকাশ্য দাওয়াত
৩৭. ০৪০. কুরআন সম্পর্কে ওয়ালীদ ইবনে মুগীরার মন্তব্য
৩৮. ০৪১. রাসূলুল্লাহর (সা) ওপও উৎপীড়নের বিবরণ
৩৯. ০৪২. হামযার ইসলাম গ্রহণ
৪০. ০৪৩. রাসূল্লাহর (সা) আন্দেলন প্রতিরোধে উতবার ফন্দি
৪১. ০৪৪. কুরাইশ নেতাদের সাথে রাসূলুল্লাহর (সা) কথোপকথন
৪২. ০৪৫. আবু জাহলের আচরণ
৪৩. ০৪৬. নাদার ইবনে হারেনের বিবরণ
৪৪. ০৪৭. দুর্বল মুসলমানদের ওপর মুশরিকদের অত্যাচার
৪৫. ০৪৮. আবিসিনিয়ায় মুসলমানদের প্রথম হিজরাত
৪৬. ০৪৯. মুহাজিরদের ফিরিয়ে আনার জন্য আবিসিনিয়ায় কুরাইশদের দূত প্রেরণ
৪৭. ০৫০. উমার ইবনুল খাত্তাবের ইসলাম গ্রহণ
৪৮. ০৫১. চুক্তিনামার বিবরণ
৪৯. ০৫২. রাসূলুল্লাহর (সা) ওপর কুরাইশদের নির্যাতন
৫০. ০৫৩. আবিসিনিয়া থেকে মক্কার লোকদের ইসলাম গ্রহণের খবর শুনে মুহাজিরদের প্রত্যাবর্তন
৫১. ০৫৪. চুক্তি বাতির হওয়ার কাহিনী
৫২. ০৫৫. ইরাশ গোত্রের এক ব্যক্তির আবু জাহলের নিকট উট বিক্রির ঘটনা
৫৩. ০৫৬. ইসরা বা রাত্রীকালীন সফর
৫৪. ০৫৭. মিরাজের ঘটনা
৫৫. ০৫৮. আবু তালিব ও খাদীজার ইন্তিকাল
৫৬. ০৫৯. সাহায্য লাভের আশায় বনু সাকীফ গোত্রের শরণাপন্ন হওয়া
৫৭. ০৬০. নাসীবীনের জ্বীনদের ঘটনা
৫৮. ০৬১. ইসলামের দাওয়াত পৌঁছতে রাসূলুল্লাহ (সা) সব গোত্রের কাছে হাজির হলেন
৫৯. ০৬২. মদীনায় ইসলাম বিস্তারের সূচনা
৬০. ০৬৩. মদীনায় প্রথম বাইয়াত
৬১. ০৬৪. আকাবার দ্বিতীয় বাইয়াত
৬২. ০৬৫. আকাবার শেষ বাইয়াত ও তার শর্তাবলী
৬৩. ০৬৬. সশস্ত্র যুদ্ধের নির্দেশ লাভ
৬৪. ০৬৭. মুসলমানদের মদীনায় হিজরাত করার অনুমতি লাভ
৬৫. ০৬৮. মদীনায় হিজরাতকারী মুসলমানদের বিবরণ
৬৬. ০৬৯. রাসূলুল্লাহর (সা) হিজরাত
৬৭. ০৭০. কুবায় উপস্থিতি
৬৮. ০৭১. মদীনায় উপস্থিতি
৬৯. ০৭২. মদীনাতে ভাষণ দান ও চুক্তি সম্পাদন
৭০. ০৭৩. আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে ভ্রাতৃ সম্পর্ক স্থাপন
৭১. ০৭৪. আযানের সূচনা
৭২. ০৭৫. কতিপয় সাহাবীর রোগাক্রান্ত হওয়ার বিবরণ
৭৩. ০৭৬. হিজরাতের তারিখ
৭৪. ০৭৭. প্রথম যুদ্ধাভিযান
৭৫. ০৭৮. উবাইদা ইবনে হারিসের নেতৃত্বে অভিযান । রাসূলুল্লাহ (সা) নিজে এই যুদ্ধের ঝান্ডা বেঁধেছিলেন
৭৬. ০৭৯. সমুদ্র উপকূলেন দিকে হামযার নেতৃত্বে অভিযান
৭৭. ০৮০. বুয়াত অভিযান
৭৮. ০৮১. উশাইরা অভিযান
৭৯. ০৮২. সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাসের সেতৃত্বে সামরিক অভিযান
৮০. ০৮৩. সাফওয়ান অভিযান : প্রথম বদর অভিযান
৮১. ০৮৪. আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশের নেতৃত্বে সামরিক অভিযান
৮২. ০৮৫. কিবলা পরিবর্তন
৮৩. ০৮৬. বদরের যুদ্ধ
৮৪. ০৮৭. বনু সুলাইম অভিযান
৮৫. ০৮৮. সাওয়ীক অভিযান
৮৬. ০৮৯. যূ-আমার অভিযান
৮৭. ০৯০. বাহরানের ফুরু অভিযান
৮৮. ০৯১. বনু কাইনুকার যুদ্ধ
৮৯. ০৯২. যায়িদ ইবনে হারিসার কারাদা অভিযান
৯০. ০৯৩. উহুদ যুদ্ধ
৯১. ০৯৪. হিজরী তৃতীয় সন : রাজী সফর
৯২. ০৯৫. বীরে মাউনার ঘটনা (৪র্থ হিজরী)
৯৩. ০৯৬. বনু নাবীরের বহিষ্কার (চতুর্থ হিজরী)
৯৪. ০৯৭. যাতুর রিকা অভিযান (৪র্থ হিজরী)
৯৫. ০৯৮. দ্বিতীয় বদর অভিযান (৪র্থ হিজরী সন)
৯৬. ০৯৯. দুমাতুল জান্দাল অভিযান (৫ম হিজরী: রবিউল আউয়াল)
৯৭. ১০০. খন্দক যুদ্ধ (৫ম হিজরী, শাওয়াল)
৯৮. ১০১. বনু কুরাইযা অভিযান (৫ম হিজরী)
৯৯. ১০২. যী কারাদ অভিযান
১০০. ১০৩. বনু মুসতালিক অভিযান
১০১. ১০৪. ৬ষ্ঠ হিজরী সনে বনু মুসতালিক অভিযানকালে অপবাদের ঘটনা
১০২. ১০৫. হুদাইবিয়ার ঘটনা
১০৩. ১০৬. বাইয়াতু রিদওয়ান
১০৪. ১০৭. শান্তিচুক্তি বা হুদাইবিয়ার সন্ধি
১০৫. ১০৮. খাইবার বিজয়: ৭ম হিজরীর মুহাররাম মাস
১০৬. ১০৯. জাফর ইবনে আবু তালিবের আবিসিনিয়া থেকে প্রত্যাবর্তন
১০৭. ১১০. উমরাতুল কাযাঃ ৭ম হিজরী সনঃ জিলকাদ মাস
১০৮. ১১১. মুতার যুদ্ধঃ ৮ম হিজরী সনঃ জামাদিউল উলা
১০৯. ১১২. মক্কা বিজয়ঃ ৮ম হিজরী, রমাযান মাস
১১০. ১১৩. হুনাইনের যুদ্ধ: ৮ম হিজরী
১১১. ১১৪. তায়েফ যুদ্ধ: ৮ম হিজরী সন
১১২. ১১৫. হাওয়াযিনের জমিজমা, যুদ্ধবন্দী, তাদের কিছুসংখ্যক লোককে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করার জন্য উপঢৌকন দান এবং কিচু লোককে পুরস্কার প্রদানের বিবরণ
১১৩. ১১৬. জি’রানা থেকে রাসূলুল্লাহর (সা) উমরা পালন
১১৪. ১১৭. তায়েফ ত্যাগের পর কা’ব ইবনে যুহাইরের ইসলাম গ্রহণ
১১৫. ১১৮. তাবুক যুদ্ধ
১১৬. ১১৯. দুমার শাসনকর্তা উকায়দের-এর নিকট রাসূলুল্লাহ (সা) কর্তৃক খালিদ ইবনে ওয়ালীদকে প্রেরণ
১১৭. ১২০. নবম হিজরীর রমযান মাসে বনু সাকীফ গোত্রের প্রতিনিধি দলের আগমন ও ইসলাম গ্রহণ
১১৮. ১২১. নবম হিজরী সালকে ‘প্রতিনিধিদল আগমনের বছর’ হিসেবে আখ্যায়িতকরণ। সূরা আন নাছর এই বছরই নাযিল হয়
১১৯. ১২২. বনু তামীমের প্রতিনিধিদলের আগমন ও সূরা হুজুরাত নাযিল
১২০. ১২৩. বনু আমেরের প্রতিনিধি আমের ইবনে তুফাইল ও আরবাদ ইবনে কায়েসের ঘটনা
১২১. ১২৪. জারুদের নেতৃত্বে বনু আবদুল কায়েসের প্রতিনিধিদলের আগমন
১২২. ১২৫. মুসাইলিমা কাযযাবসহ বনু হানীফা প্রতিনিধিদলের আগমন
১২৩. ১২৬. হাতিম তাঈ-এর আদীর ঘটনা
১২৪. ১২৭. ফারওয়া ইবনে মুসাইক মুরাদীর আগমন
১২৫. ১২৮. আমর ইবনে মা’দী ইয়াকরাবের নেতৃত্বে বনু যুবাইদের প্রতিনিধিদলের আগমন
১২৬. ১২৯. আশয়াস ইবনে কায়েসের নেতৃত্বে কিন্দার প্রতিনিধিদলের আগমন
১২৭. ১৩০. সুরাদ ইবনে আবদুল্লাহ আযদীর আগমন
১২৮. ১৩১. হিমইয়ার বংশীয় রাজাদের দূতের আগমন
১২৯. ১৩২. মুয়ায ইবনে জাবালকে ইয়ামানে পাঠানোর সময় রাসূলুল্লাহর (সা) উপদেশ
১৩০. ১৩৩. অভিযান পরিচালনাকালে খালিদ ইবনে ওয়ালীদের (রা) হাতে বনু হারিস গোত্রের ইসলাম গ্রহণ
১৩১. ১৩৪. মিথ্যা নবুওয়াতের দাবীদার মুসইলিমা ও আসওয়াদ আনসীর বিবরণ
১৩২. ১৩৫. রাসূলুল্লাহর (সা) নিযুক্ত কর্মচারী ও আমীরগণের যাকাত আদায়ের অভিযান
১৩৩. ১৩৬. রাসূলুল্লাহর (সা) নিকট মুসাইলিমার চিঠি এবং রাসূলুল্লাহর পক্ষ থেকে তার জবাব
১৩৪. ১৩৭. বিদায় হজ্জ
১৩৫. ১৩৮. উসামা ইবনে যায়িদকে ফিলিস্তীনে প্রেরণ
১৩৬. ১৩৯. রাজা বাদশাহদের কাছে রাসূলুল্লাহর (সা) দূত প্রেরণ
১৩৭. ১৪০. সর্বশেষ অভিযান
১৩৮. ১৪১. রাসূলুল্লাহর (সা) পীড়ার সূচনা
১৩৯. ১৪২. রাসূলুল্লাহর (সা) স্ত্রীগণ বা উম্মুহাতুল মুমিনীনের বিবরণ
১৪০. ১৪৩. রাসূলুল্লাহর (সা) রোগ সংক্রান্ত অবশিষ্ট বিবরণ
১৪১. ১৪৪. নামাযের জামায়াতে আবু বাক্রের (রা) ইমামতি
১৪২. ১৪৫. বনু সায়েদা গোত্রের চত্বরে
১৪৩. ১৪৬. আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) ও ইমার (রা)- এর বর্ণনা
১৪৪. ১৪৭. রাসূলুল্লাহর (সা) কাফন-দাফন

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন