০১৯. আবদুল মুত্তালিব কর্তৃক তার পুত্রকে কুরবানীর মানত

আবদুল মুত্তালিব যমযম কূপ খননের সময় কুরাইশদের পক্ষ থেকে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে মানত করেছিলেন যে, যদি তাঁর দশটি সন্তান জন্মে এবং তারা তাঁর জীবদ্দশায় বয়োপ্রাপ্ত হয়ে তাঁর রক্ষণাবেক্ষণ করতে সক্ষম হয় তাহলে তিনি একটি সন্তানকে আল্লাহর নামে কা’বার পাশে কুরবানী করবেন। সুতরাং তাঁর পুত্রের সংখ্যা যখন দশটি পূর্ণ হলো এবং তিনি বুঝতে পারলেন যে, তারা তাঁকে রক্ষা করতে পারবে তখন তিনি তাদের সবাইকে ডেকে একত্র করলেন এবং তাদেরকে নিজের মানতের কথা জানালেন। অত:পর তাদেরকে ঐ মানত পূরণের আহ্বান জানালেন। পুত্ররা সবাই সম্মতি প্রকাশ করলো। জিজ্ঞেস করলো।, “আমাদের কিভাবে কি করতে হবে?” তিনি বললেন, “তোমরা প্রত্যেকে একটা করে তীর নেবে। অতঃপর তাতে নিজের নাম লিখে আমার কাছে আসবে।” সকলে তাই করলো এবং তার কাছে এলো। আবদুল মুত্তালিব তাদেরকে সাথে নিয়ে ‘হুবাল’ নাম মূর্তির নিকট গেলেন। তখন হুবাল থাকতো কা’বার মধ্যবর্তী একটি গহ্বরের কাছে। এই গহ্বরেই জমা হতো কা’বার নামে উৎসর্গীকৃত যাবতীয় জিনিস।

হুবালের কাছে ৭টি তীর থাকতো। প্রত্যেক তীরেই এক একটা কথা উৎকীর্ণ ছিল। একটা তীরে উৎকীর্ণ ছিল “রক্তপণ।” যখন তাদের ভেতরে “রক্তপণ” কার ওপর বর্তায় (অর্থাৎ আমার হত্যাকারী কে) তা নিয়ে মতবিরোধ ঘটতো, তখন ৭টা তীর টানা হতো। যদি “রক্তপন” উৎকীর্ণ তীর বেরিয়ে আসতো তাহলে যার নাম বেরুতো,তাকেই “রক্তপণ” দিতে হতো। একটা তীরে লেখা ছিল “হাঁ”। যখন কোন কাজের ইচ্ছা পোষণ করা হতো, তখন একই নিয়মে তীরগুলো টানা হতো। যদি ঐ “হা” লেখা তীর বেরুতো তাহলে ইস্পিত কাজ করা হতো। আর একটা তীরে লেখা ছিল “না”। যে কোন কাজের ইচ্ছা নিয়ে তীরগুলো টানা হতো। যদি“না” লেখা তীর বেরিযে আসতো, তাহলে আর সে কাজ তারা করতো না। আর একটা তীরে লেখা ছিল “তোমাদের অন্তর্ভুক্ত বা তোমাদের মধ্য থেকে ” আর একটা তীরে লেখা ছিল “সংযুক্ত” আর একটাতে “তোমাদের বহির্ভূত” আর একটাতে “পানি”। কূপ খনন করতে হলে তারা এই তীর গুলোর মধ্য থেকে একটি টানতো যার মধ্যে এই তীরটিও থাকতো যা ফলাফল বেরুতো সেই অনুসারে কাজ করতো।

তৎকালে আরববাসী যখনই কোন বালকের খাত্না করাতে কিংবা কোন কন্যার বিয়ে দিতে ব্ াকোন মৃতকে দাফন করতে চাইতো অথবা কোন শিশুর জন্ম বৈধ কিনা তা নিয়ে সন্দেহে পড়তো, তখন তাকে ‘হুবাল’ নামক দেবমূর্তির নিকট হাজির করতো এবং সেইসাথে একশো দিরহাম ও একটা বলির উটও নিয়ে যেতো। টাকা ও উট তীর টানার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিকে দিত। অতঃপর যার ব্যাপারে নিষ্পত্তি কাম্য, তাকে মূর্তির সামনে হাজির করে বলতো, “হে আমাদের দেবতা, সে অমুকের পুত্র অমুক, তার ব্যাপারে আমরা তোমার নিকট থেকে অমুক বিযযে ফায়সালা কামনা করছি। অতএব তার ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত কী, তা আমাদের জানিয়ে দাও।” অতঃপর তীর টানার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিকে তারা তীর টানতে বলতো। যদি ‘তোমাদের অন্তর্ভুক্ত’ লেখা তীর বেরুতো, তাহলে তারা বুঝতো যে, সংশ্লিষ্ট শিশু বৈধ সন্তান, আর যদি ‘তোমাদের বহির্ভূত’ লেখা তীর বেরুতো, তাহলে ঐ সন্তান তাদের মিত্র বলে গণ্য হতো। আর যদি ‘সংযুক্ত’ লেখা তীর বেরুতো, তাহলে সে তাদের মধ্যে ঐ অবস্থাতেই থাকতো; তার বংশমর্যাদা বা মৈত্রী অনির্ধারিতই থেকে যেতো। আর যদি তাদের ইস্পিত অন্য কোন কাজের প্রশ্নে ‘হাঁ’ লেখা তীর বেরুতো, তাহলে ঐ কাজ অবিলম্বেই সম্পন্ন করতো। কিন্তু ‘না’ লেখা তীর বেরুলে ঐ বছরের জন্য কাজটি স্থগিত রাখতো। পরবর্তী বছর ঐ কাজ সম্পর্কে একই পন্থায় সমাধান চাইতো। এভাবে তীরের ফায়সালাই ছিল তাদের সকল ব্যাপারে চূড়ান্ত ফায়সালা।

আবদুল মুত্তালিব তীর টানায় নিয়োচিত ব্যক্তিকে বললেন, “আমার এই পুত্রদের ব্যাপারে তীর টেনে দেখুন তো।” তিনি তাকে নিজের মানত সম্পর্কেও অবহিত করলো। আবদুল্লাহ ছিলেন ঐ সময় আবদুল মুত্তালিবের কনিষ্ঠতম পুত্র। [পরবর্তী সময়ে জন্মগ্রহণকারী হামযা ও আব্বাস (রা) আবদুল্লাহ্রও ছোট ছিলেন।] তিনি ছিলেন আবদুল মুত্তালিবের সর্বাধিক প্রিয় সন্তান। তাই তিনি ব্যগ্রভাবে লক্ষ্য করছিলের যে, তীর আবদুল্লাহকে পাশ কাটিয়ে যায় কি না। পাশ কাটিয়ে গেলেই তো আবদুল্লাহ বেঁচে যান। তীর টানা লোকটি যখন তীর টানতে উদ্যত হলো, তখন আবদুল মুত্তালিব হুবাল দেবতার কাছে দাঁড়িয়ে আল্লাহকে ডাকতে লাগলেন। অতঃপর তীর টানা হলে দেখা গেল, তীর আবদুল্লাহর নামেই বেরিয়েছে। অলে আবদুল মুত্তালিব এক হাতে আবদল্লাহকে ও অন্য হাতে বড় একটা ছোরা নিযে তাকে জবাই করার উদ্দেশ্যে ইসাফ ও নায়েলার (দেব-দেবী) পাশে গেলেন। আসর জমিয়ে বসা কুরাইশ নেতারা তখন উঠে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “ওহে আবদুল মুত্তালিব, ব্যাপার কি?” তিনি তখন উঠে গিয়ে বললেন, “আমার এই ছেলেকে জবাই করবো।” তখন কুরাইশগণ ও তার পুত্ররা একযোগে বলে উঠলো, “উপযুক্ত কারণ ছাড়া কিছেুতেই ওকে জবাই করো না। আর যদি তুমি এভাবে ছেলেকে জবাই করো, তবে অনাগত কাল পর্যন্ত তা চলতে থাকবে। লোকরো নিজ নিজ সন্তানকে এনে বলি দিতে থাকবে এবং মানব বংশ একে একে নিঃশেষ হয়ে যাবে।” আবদুল্লাহর মামাদের গোত্রীয় জনৈক মুগীরা ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে উমার ইবনে মাখযুম বললেন, “একেবারে অনন্যোপায় হওয়া ছাড়া এমন কাজে প্রবৃত্ত হয়ো না। যদি আমরা মুক্তিপণ দিয়ে অব্যাহতি দিতে পারি তাহলে আমরা মুক্তিপণ দিতে প্রস্তুত।” পক্ষান্তরে, কুরাইশগণ ও আবদুল মুত্তালিবের পুত্ররা কললো, “তাকে জবাই করো না। বরং ওকে নিয়ে হিজাযে চলে যাও। সেখানে এক মহিলা জ্যোতিষী রয়েছে, তার অধীনে জ্বিন আছে। তাকে জিজ্ঞেস করে জেনে নাও, কাজটা ঠিক হবে কিনা। এরপর আমরা বাধা দেব না। তুমি স্বাধীনভাবে যা খুশী ক’রো। মহিলা যদি জবাই করতে বলে জবাই করো, আর যদি অন্য কোন উপায় বাৎলে দেয় তাহলে সেটাই গ্রহণ করে নিও।” কুরাইশদের উপদেশটাই মেনে নিয়ে আবদুল মুত্তালিব ও তাঁর সহযোগীরা হিজায অভিমুখে রওয়ানা দিলেন। তাঁরা মদীনায় পৌঁছলেন ও খাইবারে সেই মহিলার সাক্ষাৎ পেলেন। আবদুল মুত্তালিব মহিলাকে তাঁর ও তাঁর পুত্রের সকল বৃত্তান্ত খুলে বললেন। মহিলা বললেন, “তোমরা আজ চলে যাও। আমার অনুগত জিন আসুক, তার কাছ থেকে আমি জেনে নিই”। সবাই মহিলার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফিরে আসলেন। বিদায় নিয়ে বেরিয়েই আবদুল মুত্তালিব আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করনৈ। পরদিন সকালে আবার সবাই মহিলার কাছে সমবেত হলেন। মহিলা বললেন, “আমি প্রয়োজনীয় তথ্য জেনেছি। তোমাদের সমাজে মুক্তিপণ কি হারে ধার্য আছে?” তারা জানেিলন, “দশটা উট।” মহিলা বললেন, যাও তোমাদের দেশে ফিরে যাও, অতঃপর তোমাদের সংশ্লিষ্ট মানুষটিকে মূর্তির নিকট হাজির কর ও ১০টা উট উৎসর্গ কর। অতঃপর উট ও তোমাদের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ভাগ্য বিধানের জন্য তীর টানো। যদি তোমাদের লোকের নামের বিপক্ষে তীর বেরোয় তাহলে উট আরো দাও, যতক্ষন তোমাদের মনিব খুশী না হন। আর যদি উটের নাতে বেরোয় তাহলে বুঝবে তোমাদের মনিব সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তোমাদের ব্যক্তিটি অব্যহতি পেয়েছে।”

এরপর সবাই মক্কায় চলে গেল। অতঃপর যখন তারা মহিলার কথা অনুযাী মূর্তির নিকট গিয়ে কর্তব্য সমাধায় প্রস্তুত হলো, তখন আবদুল মুত্তালিব দাঁড়িয়ে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করতে লাগলেন। অতঃপর তারা আবদুল্লাহকে ও সেই সাথে দশটা উটকে যথারীতি হাজির করলো। আবদুল মুত্তালিব হুবালের নিকট দাঁড়িযে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে লাগলেন। অতঃপর তীর টানা হলো। তীর আবদুল্লাহর নমেই বেরুলে তারা আরো দশটা বৃদ্ধি করলো। ফলো উটের সংখ্যা দাঁড়ালো বিশ। আবদুল মুত্তালিব আবার আল্লাহর কাছে দোয়া করতে ’লাগলেন। পুনরায় তীর টানা হলো এবং এবারও আবদুল্লাহর নামে তীর বেরুলো। ফলে আরো দশটি উট বৃদ্ধি করে ত্রিশ করা হলো এবং আবদুল মুত্তালিব আল্লাহর কাছে দোয়া করতে লাগলেন। এবারও তীর টানা হলে আবদুল্লাহর নামে তীর বেরুলো। পুনরায় আরো দশটা উট বাড়িয়ে চল্লিশ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে লাগলেন আবদুল মুত্তালিব। এবার ও তীর টানা হলে আবদুল্লাহর নামে বেরুলো। পুনরায় আরো দশটা উট বাড়িয়ে পঞ্চাশ করা হলা এবং আবদুল মুত্তালিব আল্লাহর কাছে দোয়া করতে লাগলেন। এবারও তীর টানা হলো এবং তা আবদুল্লাহর নামে বেরুলো অতঃপর আরো দশটা উট বাড়িয়ে উটের সংখ্যা ষাট করার পর একই পন্থায় তীর টানা হলে তখনো আবদুল্লাহর নাম বেরুলো।আবার দশটা উট বাড়িয়ে উটের সংখ্যা সত্তর করার পর একই নিয়মে তীর টানা হলে আবারো হলো। এবারও আবদুল্লাহর নাম বেরুলো। এরপর আরো দশটা উট বাড়িয়ে উটের সংখ্যা আশি করা হলো এবারও আবদুল্লাহর নাম বেরুলো।অতঃপর আবার দশটা উট বাড়িয়ে নব্বই করা হলে আবার আবদুল্লাহর নামে তীর বেরুলো। অতঃপর আরো দশটা উট বাড়িয়ে একশো করার পর আবদুল মুত্তালিব একই নিয়মে আল্লাহর নিকট দোয়া করে তীর টানতে বললে এবার উটের নামে তীর বেরুলো। সমবেত কুরাইশগণ ও অন্য সবাই বলে উঠলো, “হে আবদলু মুত্তালিব, তোমার প্রভু এবার পুরোপুরি সন্তুষ্ট হয়েছেন।”

অনেকের মতে আবদুল মুত্তালিব এরপর বললেন, “আমি আরো তিনবার তীর না টেনে ক্ষান্ত হব না।” ফলে আবদূল্লাহ ও উটের নামে তীর টানা হলো এবং আবদুল মুত্তালিব দাঁড়িয়ে দোয়া করতে লাগলেন। তীর উটের নামে বেরুলো। এভাবে দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয়বারেও তীর উটের নামে বেরুলো। অবশেণে ঐ একশো উট কুরবানী করা হলো এবং কুরবানীর পর পশুগুলোকে এমনভাবে ফেলে রাখা হলো যেন কোন মানুষকে তার কাছে যেতে বাধা দেয়া বা ফিরিয়ে দেয়া না হয়।

সকল অধ্যায়

১. ০০৪. সীরাতে ইবনে ইসহাক
২. ০০৫. সীরাতে ইবনে হিশাম
৩. ০০৬. সীরাতে ইবনে হিশামের মর্যাদা
৪. ০০৭. সীরাতে ইবনে হিশামের বক্ষ্যমাণ সংক্ষিপত রূপ
৫. ০০৮. মুহাম্মদ (সা) থেকে আদম (আ) পর্যন্ত উর্ধতন বংশ পরম্পরা
৬. ০০৯. ইসমাঈর (আ) এর অধস্তন পুরুষদের বংশ পরম্পরা
৭. ০১০. রাবিয়া ইবনে নসরের স্বপ্ন
৮. ০১১. আবু কারব হাসসান ইবনে তুব্বান আস’আদ কর্তৃক ইয়ামতান রাজ্য অধিকার এবং ইয়াসরিব আক্রমণ
৯. ০১২. হাবশীদের দখলে ইয়ামান
১০. ০১৩. আরিয়াত ও আবরাহা দ্বন্দ্ব
১১. ০১৪. আসহাবুল ফীলের ঘটনা
১২. ০১৫. নিযার ইবনে মা’আদের বংশধর
১৩. ০১৬. আবদুল মুত্তালিব বিন হাশিমের সন্তান-সন্ততি
১৪. ০১৭. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিতামাতা
১৫. ০১৮. যমযাম কূপ খনন ও সে বিষয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ
১৬. ০১৯. আবদুল মুত্তালিব কর্তৃক তার পুত্রকে কুরবানীর মানত
১৭. ০২০. মহানবীর (সা) আমিনার গর্ভে থাকাকালের ঘটনাবলী
১৮. ০২১. রাসূলুল্লাহর (সা) জন্ম
১৯. ০২২. হালীমার কথা
২০. ০২৩. বক্ষ বিদারণের ঘটনা
২১. ০২৪. দাদার অভিভাবকত্বে
২২. ০২৫. চাচা আবু তালিবের অভিভাবকত্বে
২৩. ০২৬. পাদ্রী বাহীরার ঘটনা
২৪. ০২৭. ফিজারের যুদ্ধ
২৫. ০২৮. খাদীজা রাদিয়াল্লাহু আনহার সাথে বিয়ে
২৬. ০২৯. ওয়ারাকা বিন নাওফেলের ভাষ্য
২৭. ০৩০. পবিত্র কাবার পুনর্নির্মাণ
২৮. ০৩১. আরব গণক, ইহুদী পুরেহিত ও খৃস্টান ধর্মযাজকদের ভবিষ্যদ্বাণী
২৯. ০৩২. রাসূলুল্লাহর (সা) দৈহিক ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
৩০. ০৩৩. ইনজীলে রাসূল্লাহর বিবরণ
৩১. ০৩৪. নবুওয়াত লাভ
৩২. ০৩৫. কুরআন নাযিলের সূচনা
৩৩. ০৩৬. খাদীজা বিনতে খুয়াইলিদের ইসলাম গ্রহণ
৩৪. ০৩৭. ওহীর বিরতি
৩৫. ০৩৮. প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী
৩৬. ০৩৯. প্রকাশ্য দাওয়াত
৩৭. ০৪০. কুরআন সম্পর্কে ওয়ালীদ ইবনে মুগীরার মন্তব্য
৩৮. ০৪১. রাসূলুল্লাহর (সা) ওপও উৎপীড়নের বিবরণ
৩৯. ০৪২. হামযার ইসলাম গ্রহণ
৪০. ০৪৩. রাসূল্লাহর (সা) আন্দেলন প্রতিরোধে উতবার ফন্দি
৪১. ০৪৪. কুরাইশ নেতাদের সাথে রাসূলুল্লাহর (সা) কথোপকথন
৪২. ০৪৫. আবু জাহলের আচরণ
৪৩. ০৪৬. নাদার ইবনে হারেনের বিবরণ
৪৪. ০৪৭. দুর্বল মুসলমানদের ওপর মুশরিকদের অত্যাচার
৪৫. ০৪৮. আবিসিনিয়ায় মুসলমানদের প্রথম হিজরাত
৪৬. ০৪৯. মুহাজিরদের ফিরিয়ে আনার জন্য আবিসিনিয়ায় কুরাইশদের দূত প্রেরণ
৪৭. ০৫০. উমার ইবনুল খাত্তাবের ইসলাম গ্রহণ
৪৮. ০৫১. চুক্তিনামার বিবরণ
৪৯. ০৫২. রাসূলুল্লাহর (সা) ওপর কুরাইশদের নির্যাতন
৫০. ০৫৩. আবিসিনিয়া থেকে মক্কার লোকদের ইসলাম গ্রহণের খবর শুনে মুহাজিরদের প্রত্যাবর্তন
৫১. ০৫৪. চুক্তি বাতির হওয়ার কাহিনী
৫২. ০৫৫. ইরাশ গোত্রের এক ব্যক্তির আবু জাহলের নিকট উট বিক্রির ঘটনা
৫৩. ০৫৬. ইসরা বা রাত্রীকালীন সফর
৫৪. ০৫৭. মিরাজের ঘটনা
৫৫. ০৫৮. আবু তালিব ও খাদীজার ইন্তিকাল
৫৬. ০৫৯. সাহায্য লাভের আশায় বনু সাকীফ গোত্রের শরণাপন্ন হওয়া
৫৭. ০৬০. নাসীবীনের জ্বীনদের ঘটনা
৫৮. ০৬১. ইসলামের দাওয়াত পৌঁছতে রাসূলুল্লাহ (সা) সব গোত্রের কাছে হাজির হলেন
৫৯. ০৬২. মদীনায় ইসলাম বিস্তারের সূচনা
৬০. ০৬৩. মদীনায় প্রথম বাইয়াত
৬১. ০৬৪. আকাবার দ্বিতীয় বাইয়াত
৬২. ০৬৫. আকাবার শেষ বাইয়াত ও তার শর্তাবলী
৬৩. ০৬৬. সশস্ত্র যুদ্ধের নির্দেশ লাভ
৬৪. ০৬৭. মুসলমানদের মদীনায় হিজরাত করার অনুমতি লাভ
৬৫. ০৬৮. মদীনায় হিজরাতকারী মুসলমানদের বিবরণ
৬৬. ০৬৯. রাসূলুল্লাহর (সা) হিজরাত
৬৭. ০৭০. কুবায় উপস্থিতি
৬৮. ০৭১. মদীনায় উপস্থিতি
৬৯. ০৭২. মদীনাতে ভাষণ দান ও চুক্তি সম্পাদন
৭০. ০৭৩. আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে ভ্রাতৃ সম্পর্ক স্থাপন
৭১. ০৭৪. আযানের সূচনা
৭২. ০৭৫. কতিপয় সাহাবীর রোগাক্রান্ত হওয়ার বিবরণ
৭৩. ০৭৬. হিজরাতের তারিখ
৭৪. ০৭৭. প্রথম যুদ্ধাভিযান
৭৫. ০৭৮. উবাইদা ইবনে হারিসের নেতৃত্বে অভিযান । রাসূলুল্লাহ (সা) নিজে এই যুদ্ধের ঝান্ডা বেঁধেছিলেন
৭৬. ০৭৯. সমুদ্র উপকূলেন দিকে হামযার নেতৃত্বে অভিযান
৭৭. ০৮০. বুয়াত অভিযান
৭৮. ০৮১. উশাইরা অভিযান
৭৯. ০৮২. সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাসের সেতৃত্বে সামরিক অভিযান
৮০. ০৮৩. সাফওয়ান অভিযান : প্রথম বদর অভিযান
৮১. ০৮৪. আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশের নেতৃত্বে সামরিক অভিযান
৮২. ০৮৫. কিবলা পরিবর্তন
৮৩. ০৮৬. বদরের যুদ্ধ
৮৪. ০৮৭. বনু সুলাইম অভিযান
৮৫. ০৮৮. সাওয়ীক অভিযান
৮৬. ০৮৯. যূ-আমার অভিযান
৮৭. ০৯০. বাহরানের ফুরু অভিযান
৮৮. ০৯১. বনু কাইনুকার যুদ্ধ
৮৯. ০৯২. যায়িদ ইবনে হারিসার কারাদা অভিযান
৯০. ০৯৩. উহুদ যুদ্ধ
৯১. ০৯৪. হিজরী তৃতীয় সন : রাজী সফর
৯২. ০৯৫. বীরে মাউনার ঘটনা (৪র্থ হিজরী)
৯৩. ০৯৬. বনু নাবীরের বহিষ্কার (চতুর্থ হিজরী)
৯৪. ০৯৭. যাতুর রিকা অভিযান (৪র্থ হিজরী)
৯৫. ০৯৮. দ্বিতীয় বদর অভিযান (৪র্থ হিজরী সন)
৯৬. ০৯৯. দুমাতুল জান্দাল অভিযান (৫ম হিজরী: রবিউল আউয়াল)
৯৭. ১০০. খন্দক যুদ্ধ (৫ম হিজরী, শাওয়াল)
৯৮. ১০১. বনু কুরাইযা অভিযান (৫ম হিজরী)
৯৯. ১০২. যী কারাদ অভিযান
১০০. ১০৩. বনু মুসতালিক অভিযান
১০১. ১০৪. ৬ষ্ঠ হিজরী সনে বনু মুসতালিক অভিযানকালে অপবাদের ঘটনা
১০২. ১০৫. হুদাইবিয়ার ঘটনা
১০৩. ১০৬. বাইয়াতু রিদওয়ান
১০৪. ১০৭. শান্তিচুক্তি বা হুদাইবিয়ার সন্ধি
১০৫. ১০৮. খাইবার বিজয়: ৭ম হিজরীর মুহাররাম মাস
১০৬. ১০৯. জাফর ইবনে আবু তালিবের আবিসিনিয়া থেকে প্রত্যাবর্তন
১০৭. ১১০. উমরাতুল কাযাঃ ৭ম হিজরী সনঃ জিলকাদ মাস
১০৮. ১১১. মুতার যুদ্ধঃ ৮ম হিজরী সনঃ জামাদিউল উলা
১০৯. ১১২. মক্কা বিজয়ঃ ৮ম হিজরী, রমাযান মাস
১১০. ১১৩. হুনাইনের যুদ্ধ: ৮ম হিজরী
১১১. ১১৪. তায়েফ যুদ্ধ: ৮ম হিজরী সন
১১২. ১১৫. হাওয়াযিনের জমিজমা, যুদ্ধবন্দী, তাদের কিছুসংখ্যক লোককে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করার জন্য উপঢৌকন দান এবং কিচু লোককে পুরস্কার প্রদানের বিবরণ
১১৩. ১১৬. জি’রানা থেকে রাসূলুল্লাহর (সা) উমরা পালন
১১৪. ১১৭. তায়েফ ত্যাগের পর কা’ব ইবনে যুহাইরের ইসলাম গ্রহণ
১১৫. ১১৮. তাবুক যুদ্ধ
১১৬. ১১৯. দুমার শাসনকর্তা উকায়দের-এর নিকট রাসূলুল্লাহ (সা) কর্তৃক খালিদ ইবনে ওয়ালীদকে প্রেরণ
১১৭. ১২০. নবম হিজরীর রমযান মাসে বনু সাকীফ গোত্রের প্রতিনিধি দলের আগমন ও ইসলাম গ্রহণ
১১৮. ১২১. নবম হিজরী সালকে ‘প্রতিনিধিদল আগমনের বছর’ হিসেবে আখ্যায়িতকরণ। সূরা আন নাছর এই বছরই নাযিল হয়
১১৯. ১২২. বনু তামীমের প্রতিনিধিদলের আগমন ও সূরা হুজুরাত নাযিল
১২০. ১২৩. বনু আমেরের প্রতিনিধি আমের ইবনে তুফাইল ও আরবাদ ইবনে কায়েসের ঘটনা
১২১. ১২৪. জারুদের নেতৃত্বে বনু আবদুল কায়েসের প্রতিনিধিদলের আগমন
১২২. ১২৫. মুসাইলিমা কাযযাবসহ বনু হানীফা প্রতিনিধিদলের আগমন
১২৩. ১২৬. হাতিম তাঈ-এর আদীর ঘটনা
১২৪. ১২৭. ফারওয়া ইবনে মুসাইক মুরাদীর আগমন
১২৫. ১২৮. আমর ইবনে মা’দী ইয়াকরাবের নেতৃত্বে বনু যুবাইদের প্রতিনিধিদলের আগমন
১২৬. ১২৯. আশয়াস ইবনে কায়েসের নেতৃত্বে কিন্দার প্রতিনিধিদলের আগমন
১২৭. ১৩০. সুরাদ ইবনে আবদুল্লাহ আযদীর আগমন
১২৮. ১৩১. হিমইয়ার বংশীয় রাজাদের দূতের আগমন
১২৯. ১৩২. মুয়ায ইবনে জাবালকে ইয়ামানে পাঠানোর সময় রাসূলুল্লাহর (সা) উপদেশ
১৩০. ১৩৩. অভিযান পরিচালনাকালে খালিদ ইবনে ওয়ালীদের (রা) হাতে বনু হারিস গোত্রের ইসলাম গ্রহণ
১৩১. ১৩৪. মিথ্যা নবুওয়াতের দাবীদার মুসইলিমা ও আসওয়াদ আনসীর বিবরণ
১৩২. ১৩৫. রাসূলুল্লাহর (সা) নিযুক্ত কর্মচারী ও আমীরগণের যাকাত আদায়ের অভিযান
১৩৩. ১৩৬. রাসূলুল্লাহর (সা) নিকট মুসাইলিমার চিঠি এবং রাসূলুল্লাহর পক্ষ থেকে তার জবাব
১৩৪. ১৩৭. বিদায় হজ্জ
১৩৫. ১৩৮. উসামা ইবনে যায়িদকে ফিলিস্তীনে প্রেরণ
১৩৬. ১৩৯. রাজা বাদশাহদের কাছে রাসূলুল্লাহর (সা) দূত প্রেরণ
১৩৭. ১৪০. সর্বশেষ অভিযান
১৩৮. ১৪১. রাসূলুল্লাহর (সা) পীড়ার সূচনা
১৩৯. ১৪২. রাসূলুল্লাহর (সা) স্ত্রীগণ বা উম্মুহাতুল মুমিনীনের বিবরণ
১৪০. ১৪৩. রাসূলুল্লাহর (সা) রোগ সংক্রান্ত অবশিষ্ট বিবরণ
১৪১. ১৪৪. নামাযের জামায়াতে আবু বাক্রের (রা) ইমামতি
১৪২. ১৪৫. বনু সায়েদা গোত্রের চত্বরে
১৪৩. ১৪৬. আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) ও ইমার (রা)- এর বর্ণনা
১৪৪. ১৪৭. রাসূলুল্লাহর (সা) কাফন-দাফন

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন