আরব উপনিবেশসমূহে হাদীস প্রচার
আরব শাসনাধীন দেবল (সিন্ধু প্রদেশ) শহরে হাদীসের বিশেষ চর্চা ও প্রচার সাধিত হয়। ফলে এখানে কয়েকজন প্রখ্যাত হাদীস বর্ণনাকারীর উদ্ভব হয়। নিম্নে তাঁহাদের কয়েকজনের নাম পরিচয়ের উল্লেখ করা যাইতেছে-
১। আবূ জা’ফর দেবলী (মৃঃ ৩২২ হিঃ)। তিনি মূসা ইবনে হারূন বাজ্জাজ (মৃঃ ২৯৪ হিঃ) ও মুহাম্মদ ইবনে আলী আস সাইফ (মৃঃ ২৯১ হিঃ) হইতে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
৩। আহমদ ইবনে আবদুল্লাহ দবলী (মৃঃ ৩৪৬ হিঃ)। তিনি মুহাদ্দিস আবূ জা’ফরের ছাত্র। তিনি চতুর্থ শতকের বিপুল সংখ্যক হাদীস প্রচারকারীরূপে খ্যাত।
৪। মুহাম্মদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ দেবলী (মৃঃ ৩৪৬ হিঃ)। তিনি খলীফা আবূ আল কাযীর (মৃঃ ৩০৫) নিকট হাদীস শিক্ষা লাভ করেন। প্রখ্যাত মনীষী হাকিম নিশাপুরূ তাঁহার ছাত্র।
৫। আল হাসান ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আসাদ দেবলী (মৃঃ ৩৫০ হিঃ)। ৩৪০ হিজরীতে তিনি দামেশকে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তাঁহার হাদীস বর্ণনা সূত্রে সূচনা হয় হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা) সাহাবী হইতে।
৬। খালফ ইবনে মুহাম্মদ দেবলী (মৃঃ ৩৬০ হিঃ)। তিনি প্রথমে দেবলেই আলী ইবনে মূসা দেবলীর নিকট হাদীস শিক্ষালাভ করেন। পরে তিনি বাগদাদ গমন করেন ও তথায় হাদীসের দারস দিতে শুরু করেন।
৭। আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে হারূন দেবলী (মৃঃ ৩৭০ হিঃ)। তিনি বাগদাদে জা’ফর ইবনে মুহাম্মদ ফারেয়াবীর নিকট হাদীস শিক্ষা লাভ করেন। কূফা নগরে আহমদ ইবনে শরীফের নিকটও তিনি হাদীস অধ্যায়ন করেন।
৮। হাসান ইবনে হামীদ দেবলী (মৃঃ ৪০৭ হিঃ)। তিনি বড় ব্যবসায়ী ছিলেন এবং ব্যবসায়ের সঙ্গে সঙ্গে হাদীস চর্চা করিয়া তাহাতেও যথেষ্ট ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। আলী ইবনে মুহাম্মদ ইবনে সায়ীদ মুচেলী (মৃঃ ৩৫৯ হিঃ), দা’লাজ (মৃঃ ৩৫১ হিঃ), মুহাম্মদ নক্কশ (মৃঃ ৩৫১ হিঃ), এবং আবু আলী তুমারী (মৃঃ ৩৬০ হিঃ) তাঁহার উস্তাদ ছিলেন। তিনি যখন হাদীস বর্ণনা করিতেন, তখন তাঁহার হৃদয় ভাবাবেগে এতই আর্দ্র উচ্ছ্বাসিত হইয়া উঠিত যে, তিনি কাঁদিয়া ফেলিতেন।
৯। আবূল কাসেম শুয়াইব ইবনে মুহাম্মদ দেবলী (মৃঃ ৪০০ হিঃ)। তিনি আবূ কাতান নামে পরিচিত। তিনি মিসরে গমন করেন এবং তথায় একটি সংঘ গঠন করিয়া হাদীস শিক্ষাদান করিতে থাকেন।
আল-মনসূরা বর্তমনা সিন্ধু-হায়দাবাদ হইতে উত্তর-পূর্বদিকে ৪৭ মাইল দূরে অবস্থিত ছিল। এই শহর প্রথম মুসলিম অধিকারের যুগ হইতেই ইসলামী ভাবধারায় পূর্ণ ছিল। ইহার অধিকাংশ অধিবাসীই হাদীসের অনুসারী ছিল। তাই এই শহরে হাদীস চর্চায় চরম উন্নতি লাভ ঘটে বলিয়া ধারণ করা চলে। বিভিন্ন মসজিদে হাদীসের অধ্যাপনা চলিত। বিশেষজ্ঞগণ হাদীস গ্রন্হ প্রণয়নে আত্মনিয়োগ করেন। তাঁহাদের মধ্যে কাযী আবুল আব্বাস আল-মনসূরী হাদীসের শিক্ষাগুরু ও গ্রন্হ সংকলকরূপে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন।
এই শহরে অপরাপর যেসব হাদীসবিদ ছিলেন, তাঁহাদের নাম পরিচয় নিম্নে উল্লেখ করা যাইতেছেঃ
১। আহমদ আবুল আব্বাস আল-মনসুরী। ফারেসে আবুল আব্বাস ইবনে আসরামের (মৃঃ ৩৩৬ হিঃ) নিকট এবং বসরায় আহমদ হিজ্জানীর (আবূ রওক নামে খ্যাত, মৃঃ ৩৩২ হিঃ) নিকট হাদীস শিক্ষা লাভ করেন।
২। আহমদ ইবনে মুহাম্মদ আল-মনসূরী (মৃঃ ৩৮০ হিঃ)। তিনি ফারেসেও বসরায় হাদীস শিক্ষালাভ করেন। চতুর্থ শতকে তিনি মুহাদ্দিস হিসাবে খ্যাতি লাভ করেন।
৩। আবূ আবদুল্লাহ ইবনে জা’ফর মুররা আল-মনসূরী (মৃঃ ৩৯০ হিঃ)। তিন হাসান ইবনে আল মুকাররামের ছাত্র। আল হাকিম নিশাপুরীর উস্তাদ হিসাবে তিনি প্রসিদ্ধি লাভ করেন।
বর্তমান কালাত রাজ্যের খোশদার নাকম স্থানই সেকালে কাসদার নামে পরিচিত ছিল। হযরত সিনান ইবনে সালমাহম হুযালীর সমাধি এখানে অবস্থিত। আরব শাসন আমলে ইহা তুরান সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। ইহা একটি ব্যবসায় কেন্ত্র হিসাবে সমাধিক গুরুত্ব লাভ করিয়াছিল। হাদীস চর্চায় এই শহরে বিশেষ স্থান অধিকার করে। এখানকার কয়েকজন হাদীসবিদের নাম এখানে উল্লেখ করা যাইতেছেঃ
১। জা’ফর ইবনে খাত্তাব কাসদারী (মৃঃ ৪৫০ হিঃ)। তিনি আবূ মুহাম্মদ নামে খ্যাত। উত্তরকালে তিনি বলখ শহরে বসবাস শুরু করেন। তিনি ‘সিকাহ’ হাদীস বর্ণনাকারীরূপে স্বীকৃত। আবুল ফুতুহ আবদুল গফুর কাশঘরী (মৃঃ ৪৭৪ হিঃ) ‘হাফেজে হাদীস’ তাঁহার নিকট হইতে হাদীস বর্ণনা করিতেন। ৫ম শতকে তিনি মুহাদ্দিস হিসাবে খ্যাতি লাভ করেন।
২। সীবাওয়াইহ ইবনে ইসমাঈল কাসদারী (মৃঃ ৪৬৩ হিঃ)। আস আবুল কাসেম আলী ইবনে মুহাম্মদ হুসাইনী, ইয়াহইয়া ইবনে ইবরাহীম ও রাজা ইবনে আবদুল ওয়াহিদ তাঁহার উস্তাদে হাদীস। তিনি মক্কায় গমন করেন ও তথায় হাদীস দারস দান শুরু করেন। আবুল ফিতাইয়ান আমর ইবনে হাসান রাওয়াসী (মৃঃ ৫০৩ হিঃ) তাঁহার নিকট হইতে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
দ্বিতীয় হিজরী শতকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সিন্ধুদেশ কেন্দ্রীয় আরব সরকারের অধীন ছিল। তাহার পর এ দেশের বিদ্রোহ, উচ্ছৃঙ্খলতা ও রাজনৈতিক বিপর্যয় দেখা দেয়। সেকালে গোটা প্রদেশ কতকগুলি ক্ষুদ্র দেশীয় স্বাধীন রাজ্যে বিভক্ত হইয়া পড়ে। তৃতীয় শতকে এই রাজ্যগুলিও ধ্বংস হইয়া যায়। অতঃপর এতদঞ্চলে বাতেনী সম্প্রদায়ের প্রভাব বিস্তার লাভ করে। ফলে কিছু কালের জন্য উহার সহিত কেন্দ্রীয় মুসলিম শাসকের সম্পর্ক ছিন্ন হইয়া যায়।
৪১৩ হিজরী সনে সুলতান মাহমুদ গযনভী খাইবারের গিরিপথে পাঞ্জাব আক্রমণ করে লাহোর অধিকার করেন। ইহার ফলে পাক-ভারতের সহিত মুসলিমদের সম্পর্ক পুনরায় স্থাপিত হয়। অতঃপর সপ্তম হিজরী শতকের মধ্যে গোটা উপমহাদেশের উপর মুসলিম আধিপত্য বিস্তৃত ও দৃঢ়তর হয়। দিল্লী মুসলিমদের রাজধানীরূপে নির্দিষ্ট হয়। ইহার পর খাইবার গিরিপথ হইতে এশিয়াটিক তুর্কিস্তান, খুরাসান ও আফগানিস্তান প্রভৃতি অঞ্চলের মুসলিমগণ দলে দলে ভারতে আগমন করিতে থাকে। প্রথমোক্ত দুইটি দেশ- এশিয়াটিক তুর্কিস্তান ও খুরাসান-হিজরী তৃতীয় শতকে ইলমে হাদীসের পাদপীঠে পরিণত হইয়াছিল। সিহাহ-সিত্তার গ্রন্হ প্রণেতাগণ এই অঞ্চলেরই অধিবাসী ছিলেন। এই দেশে হইতে বিপুল সংখ্যক লোকের আগমনের ফলে ভারতে ইসলামী শিক্ষা ও ইলমে হাদীসের ব্যাপক প্রচার শুরু হইয়া যায়। বিশেষত লাহোর এই সময় হাদীস শিক্ষার কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়।
লাহোরে ইলমে হাদীস প্রচারের কথা বলিতে গেলে সর্বপ্রথম উল্লেক করিতে হয় শায়খ মুহাম্মদ ইসমাঈল লাহোরীর নাম (মৃঃ ৪৪৮ হিঃ)। তিনি বুখারা হইতে ৩৯৫ হিজরী সনে ভারতে আগমন করেন ও লাহোরে বসবাস করিতে শুরু করেন। এখানে তিনি ইসলামী আদর্শ প্রচার প্রসঙ্গে ইলমে হাদীসের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেন ও উহার ব্যাপক প্রচারের কার্যকর পন্হা অবলম্বন করেন। ফলে পরবর্তী একশত বৎসরের মধ্যে লাহোরে অসংখ্য মুহাদ্দিস গড়িয়া উঠেন।
এই সময়কালের লাহোর বসবাসকারী কয়েকজন মুহাদ্দিসের নাম-পরিচয় এখানে উল্লেখ করা যাইতেছেঃ
১। সাইয়েদ মুরতাযা (মৃঃ ৫৮৯ হিঃ)। তিনি হাদীস-বিজ্ঞানে পারদর্শী ছিলেন ও সুলতান শিহাব উদ্দীন ঘোরীর সৈন্যবাহিনীতে যোগদান করেন।
২। আবুল হাসান আল ইবনে উমর লাহোরী (মৃঃ ৫২৯ হিঃ)। তিনি বড় মুহাদ্দিস ছিলেন, হাফেজে হাদীস আবুল মুযাফফর সায়ীদীর নিকট তিনি হাদীস শিক্ষা লাভ করেন।
৩। আবুল ফুতহ আবদুস সামাদ ইবনে আদুর রহমান লাহোরী (মৃঃ ৫৫০ হিঃ)। তিনি সমরকন্দে হাদীসের দারস দিতেন।
৪। আবুল কাসেম মুহাম্মদ ইবনে খালফ লাহোরী (মৃঃ ৫৪০ হিঃ)। তিনি পরে ‘ইসফ্রাইন’ চলিয়া যান। তিনি একজন উঁচুদরের হাদীসবিদ আলিম ছিলেন।
হিজরী সপ্তম শতকে উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব মুহাদ্দিস জীবিত ছিলেন, এখানে তাঁহাদের কয়েকজনের নাম পরিচয় উল্লেখ করা যাইতেছেঃ
১. শায়খ বাহাউদ্দীন যাকারিয়া মুলতানী (মৃঃ ৬৬৬ হিঃ)। তিনি সাহাবী হাব্বান ইবনে আসওয়াদের বংশধর। মক্কা ও মদীনা হইতে তিনি হাদীস শিক্ষা ও তাহাতে বিশেষ পারদর্শিতা লাভ করেন।
২. কাজী মিহাজুস সিরাজ জুজানী (মৃঃ ৬৬৮ হিঃ)। তিনি বংগদেশের লক্ষণাবতি আগমন করেন।
৩. বুরহান উদ্দীন মাহমুদ ইবনে আবুল খায়ের আসাদ বলখী (মৃঃ ৬৮৭ হিঃ)। তিনি মুহাদ্দিস সাগানীর ছাত্র ছিলেন এবং তাঁহার নিকট হইতে ‘মাশায়ীকুল আনওয়ার’ হাদীস গ্রন্হ বর্ণনা করার সনদ লাভ করেন।
৪। কামালুদ্দীন জাহিদ (মৃঃ ৬৮৪ হিঃ)। তাঁহার আসল নাম মুহাম্মদ ইবনে আহমদ ইবনে মুহাম্মদ। তিনি শায়খ নিজামুদ্দীন আউলিয়া উস্তাদে হাদীস হিসাবে খ্যাতি লাভ করেন।
৫. রাযীউদ্দীন বদায়ূনী (মৃঃ ৭০০ হিঃ)। তিনি সমসাময়িকদের মধ্যে অতিশয় খ্যাতিসম্পন্ন মুহাদ্দিস ছিলেন।
৬. শরফূদ্দীন আবূ তাওয়ামা বুখারী হাম্বলী (মৃঃ ৭০০ হিঃ)। তিনি বুখারা হইতে সপ্তম শতকের শুরুতে দিল্লী আগমন করেন। তিনি বংগদেশের (ঢাকা জিলাধীন) সোনারগাঁয়ে চলিয়া আসেন এবং এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তিনি বিশেষ মনোযোগ সহকারে ইলমে হাদীস শিক্ষা লাভ করেন। তাঁহার চেষ্টায় সোনার গাঁ অনতিবিলম্বে হাদীস শিক্ষার পাদপীঠে পরিণত হয়। দুঃখের বিষয়, সোনারগাঁয়ে ইলমে হাদীস চর্চার বিস্তারিত বিবরণ এখনো কজ্ঝটিকার অন্ধকারে নিমজ্জিত।
অষ্টম হিজরী শতকে পাক-ভারতে ইলমে হাদীসের ক্রমবিকাশের অধ্যায় সূটিত হয়। দাক্ষিণাত্যের বাহামুনী বাদশাহ মাহমুদ বাহামুনী (৭৮০-৭৯৯ হিঃ) ইলমে হাদীস প্রৃচারের দিকে বিশেষ লক্ষ্য আরোপ করেন। হাদীস শিক্ষার্থীদের জন্য তিনি বৃত্তির ব্যবস্থা করেন।
[ঐতিহাসিক ফিরিশতা] এই সময় ভারতের প্রায় সর্বত্র ফিকাহ, দর্শন ও তাসাউফ চর্চার প্রভাব পরিলক্ষিত হইলেও হাদীস শিক্ষা ব্যাপক কোন অংশে ব্যাহত হয় নাই। বরং বিশিষ্ট তাসাউফ পন্হিগণ ইলমে হাদীস প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন। সর্বোপরি চারজন প্রখ্যাত তাসাইফবাদীর নেতৃত্বে নিম্নলিখিত চারটি হাদীস শিক্ষাকেন্দ্র গড়িয়া উঠে।
১. নিজামউদ্দীন আউলিয়ার নেতৃত্বে দিল্লীতে হাদীসের ব্যাপক শিক্ষাদান শুরু হয়।
২. শরফুদ্দীন আল-মুনীরীর নেতৃত্বে ও শিক্ষাদানের ফলে বিহার অঞ্চলে হাদীস শিক্ষার সূচনা হয়।
৩. আল-হামদানীর নেতৃত্বে কাশ্মীরে হাদীস শিক্ষা সূচিত হয়।
৪. যাকারিয়া মুলতানীর নেতৃত্বে মুলতানে ইলমে হাদীসের প্রচার হয়।
উল্লিখিত কেন্দ্রসমূহ হইতে বহু সংখ্যক মুহাদ্দিস বহির্গত হন। কেন্দ্র ভিত্তিক কিছু সংখ্যক মুহাদ্দিসের নাম উল্লেখ করা যাইতেছেঃ
১) শামসুদ্দীন মুহাম্মদ ইবনে ইয়াহইয়া উধী (মৃঃ ৭৪৭ হিঃ)
২) ফখরুদ্দীন জারুবাদী (মৃঃ ৭৪৮ হিঃ)
৩) যিয়াউদ্দীন ইবনে মুয়াইয়েদুল মুলক বরনী
৪) মহীউদ্দীন ইবনে জালালউদ্দীন বিন কুতুব উদ্দীন কাশানী (মৃঃ ৭১৯ হিঃ)
৫) নিজামউদ্দীন আল্লানী জাফরাবাদী (মৃঃ ৭৩৫ হিঃ)
৬) শায়খ নসীর উদ্দীন চিরাগে দিল্লী (মৃঃ ৭৫৭ হিঃ)
৭) সাইয়েদ মুহাম্মদ গীসুদরাজ (মৃঃ ৮২৫ হিঃ)
৮) শায়খ অজীহ উদ্দীন
৯) কাজী শিহাব উদ্দীন দওলতাবাদী (মৃঃ ৮৪৯ হিঃ)
১০) মওলানা খাজেগী কুরাবী (মৃঃ ৮৭৮ হিঃ)
১) শায়খ মুজাফফর বলখী (মৃঃ ৭৮৬ হিঃ)
২) হুসাইন ইবনে মুয়েজ বিহারী (মৃঃ ৮৪৫ হিঃ)
৩) আহমদ লংগরে দরিয়া ইবনে হাসান ইবনে মুজাফফর বিহারী (মৃঃ ৮৯১ হিঃ)
কাশ্মীরে আলী হামদানীই সর্বপ্রথম ইলমে হাদীস লইয়া আসেন। তিনি ৭৭৪ হিজরীতে এখানে পদার্পণ করেন। তিনি ও তাঁহার ছাত্রবৃন্দই এইদেশে সর্বপ্রথম ইসলাম প্রচার করেন। তিনি হাদীসের দুইখানি গ্রন্হও প্রণয়ন করেন। গ্রন্হ দুইটির নামঃ
ক) আস-সাবয়ীন ফী ফাযায়েলে আমীরিল মুমিনীন
খ) আরবায়ীনে আমিরীয়া
শায়েখ বাহাউদ্দীন যাকারিয়া মুলতানে হাদীস শিক্ষা প্রচারের অগ্রদূত। এই কেন্ত্র হইতে জামাল উদ্দীন উলূচী ও মখদুমে জাহানীয়া সাইয়েদ জালাল উদ্দীন বুখারী মুহাদ্দিস হইয়া বাহির হন।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন