রজনীর অন্ধকার এইরকম

জীবনানন্দ দাশ

রজনীর অন্ধকার এইরকম।
 তবুও আরও অন্য এক অন্ধকার আসে
 মোমের প্রদীপ হাতে—কোনোদিন—
 কিশা গোতমীর মতো মূঢ় হয়ে চলে যাক’।

যেই রমণীকে মোরা পেলাম না কোনোদিন
আমাদের তাড়সের দিনগুলো বহুদিন হয় শেষ হয়ে গেছে ব’লে
 সেও সেই মৃত্যু—অন্ধকার
তাহার ছায়ায় মোরা বিষয়ী, পলিতকেশ, সপ্ত ঘুমন্তের মতো
 ঘুমের ভিতর দিয়ে মৃত্যু পাব
 মৃত্যুর ভিতর দিয়ে দেশলাই—আলপিন—গিনিপিগ—

আমরাও নীলিমার শকুনকে দেখি নাই কোনোদিন
 তবু তার পরিবর্তে আকাশে হাউই বাজি ছুঁড়ে
সেই অগ্নিচূড়া যতদূর উড়ে যায় দেখিনি কি?
 (আকাশকে এর চেয়ে কারা বেশি দেখে)
আমাদের তাড়সের দিনগুলো বহুদিন হয় শেষ হয়ে গেছে ব’লে
 সেও সেই মৃত্যু; অন্ধকার

 ঘুমের ভিতরে সিংহ নড়ে
 অরণ্যের নয়
 মেঝের উপরে অগ্নি জ্বলে—
 হে পুষা তোমার নয়।

দিনের আলোয় যেই নগরীকে মোরা আধোসৃষ্টি ক’রে
 কঙ্কালের স্তূপে ফেলে গেছি
 ঘুমের ভিতরে আমাদের নাসিকার ডাশা তবু—
 তবু তার—পরিচ্ছন্ন মিনারের চূড়ার মতন।
 অসমাপিকার কাজ সাঙ্গ করে।
আমাদের তাড়সের দিনগুলো বহুদিন হয় শেষ হয়ে গেছে ব’লে
 সেও সেই মৃত্যু, অন্ধকার।

সকল অধ্যায়

১. কোথাও নতুন বুদ্ধের যেন জন্ম হয়
২. জীবনের সাথে আমাদের রূঢ় পরিচয় হয়েছিল
৩. না জানি কী সব মঙ্গলের দিকে চেয়ে
৪. কোথাও অনেক দূর যেতে হবে
৫. হয়তো বা কোনো দূর পিরামিড দেখা যাবে
৬. আবার নতুন করে পৃথিবীরে বানাবার অধিকার আমাদের নেই
৭. আমাদের সাহস হারায়ে গেছে বহুদিন
৮. যদিও রয়েছি বেঁচে
৯. এই এত পুরোনো নগরী
১০. যেন কোনো যাদুঘরে ঘুমায়েছে
১১. ঢের দূর থেকে বন্ধুজনারে চেনা যায়
১২. মনে হয় যেন মূল চাহুনিতে দিনরাতগুলো ছেঁকে
১৩. সময়কে ধরে রাখা মহা দায়
১৪. সূর্যের আলো মেটায় খোরাক কার
১৫. রজনীর অন্ধকার এইরকম
১৬. অমোঘ আঁধার রাতে
১৭. কৃষ্ণ যজুর্বেদ যারা রচেছিল একদিন
১৮. আমার হৃদয়ে প্রেম কার্তিকের বটের মতন
১৯. কালো মখমল দস্তানার মতো ধীরে ধীরে আসে
২০. আমাদের প্রভু বীক্ষণ দাও
২১. অন্ধকারে আমাদের ইন্দ্রনীল খুঁড়িতেই পাওয়া গেল
২২. আমাদের অশ্রু শিশিরিত হলুদ পাতার থেকে নয়
২৩. আমার হৃদয়ে নব নব প্রত্যাশার দূত
২৪. আমার হৃদয়ে রক্ত থেকে কোনো এক প্রদীপকে জ্বালি আমি
২৫. হিমের কুয়াশা নাকে
২৬. আমিও তো মশাল ধরেছি
২৭. তখন সকল প্রেম মরে যাবে
২৮. ওইখানে বনানীর তৃণ
২৯. ঢের কবি মরে গেছে সচকিত হয়ে যেন নিশীথের ভূতের মতন
৩০. সেদিন—সারাটা দিন—অনেক শ্মশানে
৩১. কবে চণ্ডীদাস মরে গেছে
৩২. স্ট্রেচারের ‘পরে শুয়ে কুয়াশা ঘিরিছে বুঝি
৩৩. সান্ত্বনার কথা ঢের ভাবা গেছে আঁধার রভসে
৩৪. এইখানে কাকজ্যোৎস্না
৩৫. প্রথম যৌক্তিক জন্ম নিল
৩৬. যারা মরে গেছে তাহাদের কথা ভেবে
৩৭. প্রেম কি জাগায় সূর্যকে আজ ভোরে
৩৮. অনেক বেসেছি ভালো
৩৯. মনে হয় হেমন্তের জ্যোৎস্নায়
৪০. এই নগরীর সেই সব শতাব্দীর ধূসর পরিখা কই

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন