প্রচণ্ড গরমের কারণেই শান্তিনিকেতনে বৈশাখ মাসে গ্রীষ্মের ছুটি দেওয়া হত। সেই কারণেই পয়লা বৈশাখ পালিত হত গুরুদেবের জন্মোৎসব। রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন ২৫ বৈশাখ। জীবনের শেষ জন্মদিন ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ, অনাড়ম্বরভাবে উদ্যাপিত হল। ‘পূরবী’ কাব্যগ্রন্থে একটি কবিতা ছিল ‘পঁচিশে বৈশাখ’ নামে। রবীন্দ্রনাথ কী খেয়ালে সেই কবিতার কয়েকটি পঙ্ক্তি একটুআধটু পালটে নিয়ে গান বেঁধে দিলেন। শেষ জন্মদিন পালনের মুহূর্তে যেগান বাঁধলেন, তাতে মিশে রইল অনাবিল জীবনাকাঙক্ষা—“হে নূতন, দেখা দিক আর-বার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ…”। ঘরোয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এলেন প্রিয় স্নেহের পাত্রী রানী মহলানবিশ, বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু ও তাঁর মেয়ে। সত্যেন্দ্রনাথ দোলের সময় এসে শান্তিনিকেতনের নতুন সায়েন্স ল্যাবরেটরির উদ্বোধন করুক, এটাই ছিল রবীন্দ্রনাথের ইচ্ছে। কিন্তু তখন দাঙ্গা বাঁধে ঢাকায়, সত্যেন্দ্রনাথ ঢাকা ছেড়ে আসতে পারেননি। পঁচিশে বৈশাখ তিনি রানীর সঙ্গী হয়ে এসেছেন। পৌঁছেছেন আগের রাতেই তাঁরা, রবীন্দ্রনাথ ঘুমিয়ে পড়েছেন ততক্ষণে। তাই জানতে পারেননি। ভোরে চেয়ারে বসে গুরুদেব যেন ধ্যানমগ্ন। ওঁরা প্রণাম করতে ঘরে ঢুকলেন। রানীর মা অসুস্থ থাকায় তাঁর আসাটা নিশ্চিত ছিল না। এই নিয়ে রবীন্দ্রনাথ হালকা অভিমানহত ছিলেন। রানীকে দেখে তিনি হেসে বললেন, “তাহলে তুমি এসেছ?”
রানী বললেন, “শুধু আমি আসিনি, এই দেখুন না কাকে নিয়ে এসেছি!”
সত্যেন্দ্রনাথ এগিয়ে এসে রবীন্দ্রনাথকে প্রণাম করলেন। খুশিতে আলো হয়ে উঠল কবির রোগক্লিষ্ট মুখ। বললেন, “কই হে, তোমাকে তো আমরা একটুও পাচ্ছি নে।”
সলজ্জ সত্যেন্দ্রনাথ বললেন, “আমার তো সব সময়েই আসার ইচ্ছে, কিন্তু…”
রবীন্দ্রনাথ হাত তুলে সত্যেন্দ্রনাথকে অভয় দান করলেন। “ভেবেছিলুম দোলের সময় পাব। তোমাকে কিছু পরিশ্রমও করাতুম।”
সত্যেন্দ্রনাথ মৃদু স্বরে বললেন, “কীরকম সব ঝামেলা বেঁধে গেল তখন ঢাকায়!”
রবীন্দ্রনাথ ব্যথাতুর কণ্ঠে বললেন, “হিন্দু-মুসলমানের মাথা ভাঙাভাঙি শুরু করে দিলে তখন! সবই কানে এসেছে।”
সত্যেন্দ্রনাথ চুপচাপ তাকিয়ে রইলেন। রবীন্দ্রনাথের বিধ্বস্ত চেহারা তাঁকে কষ্ট দিচ্ছে মনে মনে। সবই প্রকৃতির নিয়ম। মেনে নিতেই হয়।
রবীন্দ্রনাথ একটু ঝিমিয়ে নিয়েই আবার জাগরিত হলেন। আজকাল এমনই হয়। কোন এক দুরন্ত স্রোত মনটাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় মাঝে মাঝেই তুমুল গহনে। সে-ই কি মৃত্যু? যাঁকে তিনি বরাবর ভেবেছেন শ্যামলসুন্দর? তিনি আবার কথা শুরু করলেন, “যা হোক, তুমি এসেছ, আমি খুব খুশি হয়েছি। শরীরটাকে নিয়ে আজকাল একদম বন্দি হয়ে পড়েছি। তোমরা এলে গল্প-টল্প হয়। ভাল লাগে। তোমার ছাত্র প্রমথ তো আমাদের অধ্যাপক, তোমাকে পেয়ে খুব খুশি হবে। ওদের নতুন ল্যাবরেটরিটা একবার দেখে এসো।”
একটু ফাঁক পেতে সত্যেন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর মেয়ের পরিচয় করিয়ে দিলেন। মেয়েটি প্রণাম করতে কবি তাঁকে আশীর্বাদ করলেন। দু’চোখে দেখা দিল পরম স্নেহ। হাসিতে মিশল’ কৌতুক। বললেন, “সব ঘুরে-টুরে দেখে নাও তুমি। একটি সঙ্গী জুটিয়ে ফেলো, তাতে সুবিধা হবে।”
মেয়েটি হাসল। মাথাও নাড়ল। বিশ্বকবির সহজ আলাপ তাকে যেন বশীভূত করে ফেলছে। যখন সবাই আপাতত বিদায় নিচ্ছেন, রবীন্দ্রনাথ সত্যেন্দ্রনাথের মেয়েকে বললেন, “শোনো, তুমি এখানে থেকেই যাও। বাবাকে বলো, যাতে তোমাকে এখানে ভর্তি করে দেয়।”
অসুস্থ কবি আছেন উদয়নের একতলায় দক্ষিণ দিকের বড় ঘরে। সত্যেন্দ্রনাথের থাকার ব্যবস্থা হল উদীচীর নীচের তলায়। সন্ধেবেলায় উদয়নের পুবদিকের উঠোনে সামিয়ানার নীচে সবাই গিয়ে বসলেন। চাতালের ওপরে অনুষ্ঠান। রবীন্দ্রনাথ বসেছেন চাতালেরই এক প্রান্তে আরামচৌকিতে। নাচ-গান হল কয়েকটা। ছেলেমেয়েরাই করল। এর পর অভিনীত হল ‘বশীকরণ’ নাটক।
এইসব ভালবাসার মূল্য রবীন্দ্রনাথকে অভিভূত করে বরাবরই। জীবন দিয়ে তিনি উপলব্ধি করেছেন, খ্যাতি ক্ষণস্থায়ী, তার চেয়ে অনেক বড় প্রাপ্তি হল প্রীতি। দেশে-বিদেশে কত মানুষ তাঁকে ভালবাসার বাঁধনে বেঁধেছে এই দীর্ঘ জীবনে। ভালবেসে কত গুণিজন সব ছেড়ে তাঁর কাছে চলে এসেছিলেন বলেই. শান্তিনিকেতন আজ এত বড় হতে পেরেছে। বিদেশের কাছেও শান্তিনিকেতন আজ বড় বিস্ময়ের, বড় শ্রদ্ধার আশ্রম। যত না তাঁর কৃতিত্ব, তার চেয়েও বেশি সর্বস্ব-সঁপে-দেওয়া সেইসব মানুষের। বিদায়বেলায় সবই এসে মনে ভিড় করছে। সবার কাছ থেকে মনে মনে বিদায় চেয়ে নিতে হবে। এবারের জন্মদিন উপলক্ষে একটি কবিতা লিখেছেন তিনি, বাঁকুড়ায় অন্নদাশঙ্কর রায়কে সেটি তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন।
শেষ জন্মদিনে ‘বশীকরণ’ নাট্যাভিনয়ের বিশেষ আকর্ষণ ছিল রবীন্দ্রনাথের পুরাতন ভৃত্য বনমালীর অভিনয়। কবি তাঁকে মজা করে ‘লীলমণি’ বলে ডাকতেন। বনমালী ভৃত্যের ভূমিকাতেই মঞ্চে এলেন। তাঁকে দেখেই হাসির হুল্লোড় উঠল। ‘হ্যাঁ, মা’, ‘যাই মা’ জাতীয় টুকরো সংলাপ, আর জলখাবার পরিবেশন করা ইত্যাদি ভালভাবেই মঞ্চে করলেন বনমালী। সবার একথা মনে হল, বনমালী যেন এভাবেই কবিকে খুশি করে শ্রদ্ধার অর্ঘ্য তুলে দিচ্ছেন কবির পায়ে।
অভিনয় শেষ হতেই অনেকেই বনমালীকে বললেন, “খুব ভাল হয়েছে তোমারটা।”
বনমালী কৃতজ্ঞতায় কান অবধি হেসে জানালেন, “বাব্বা! আমি কি এই সব পারি? কক্ষনও করি নাই। কথা আর মুখ থেকে বাহির হয় না। সামনেই যে বাবামশায় বসে রয়েছেন!”
কবির পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন বনমালী। মনে আশা, রবীন্দ্রনাথ কিছু বলবেন। সারা মুখে কৌতুক খেলে গেল রবীন্দ্রনাথের। বললেন, “তোর তো বেশ ভালই হয়েছে রে।”
বনমালী হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন কবির পায়ের সামনে। আলগোছে প্রণাম করলেন কবিকে। এই মানুষ তো মানুষ নয়, ভগবান বটে। এত অসুস্থ, দিনরাত ডাক্তাররা দৌড়োদৌড়ি করছেন, তবু কী রূপ। তাঁর সাতজন্মের ভাগ্য, এমন মানুষের কাছের লোক হয়েই জীবন কাটল।
রবীন্দ্রনাথ ততক্ষণে অন্যদের দিকে ফিরে বলছেন, “আমার লীলমণির কত গুণ তোমরা দেখেছ! বাঁদরটা আমার কাছে থেকে থেকে নাটক করতেও শিখে গেল।”
সবাই হেসে উঠতে লজ্জা পেয়ে বনমালী সেখান থেকে পালালেন।
প্রচণ্ড গরম। রবীন্দ্রনাথ এয়ারকন্ডিশন্ড ঘরে বাস করেন এখন। তিনি যে সম্পূর্ণ সময় এখানে বসে অনুষ্ঠান দেখবেন, কেউ ভাবতেই পারেননি। প্রতিমা দেবী শশব্যস্ত এসে বললেন, “বাবামশায়, আপনার ঘরে চলুন এইবার।”
রবীন্দ্রনাথ হাসলেন, “আমার জন্য তোমাদের সব সময় তটস্থ হয়ে থাকতে হয়, না?”
প্রতিমা দেবী বললেন, “তা কেন?”
রবীন্দ্রনাথ বললেন, “খুব জ্বালাচ্ছি তোমাদের, না?”
কথা ঘুরিয়ে দেবার জন্য রানী মহলানবিশ বলে উঠলেন, “আপনাকে ভারী সুন্দর দেখাচ্ছে, গুরুদেব!”
রবীন্দ্রনাথ খুশি ছড়ালেন হাসিতে, “তুমি জন্মদিনে যে কাপড় দিয়েছ, তাই তো পরলুম আজ।”
রানী বললেন, “আমি যা পরেছি, তাও তো আমার জন্মদিনে আপনার দেওয়া। অনেক আগে দেওয়া অবশ্য। মনে আছে আপনার?”
কবির হয়তো সামান্যই মনে আছে, রানীর জীবনে এ যে পরম পাওয়া, তাঁর মনে আছে সবটাই। আটাশ সালের কথা। জন্মদিনের সময়টায় তিনি তখন শান্তিনিকেতনেই ছিলেন। সকালে কবি তাঁকে ডাকলেন। বললেন, “রানী, এই নাও জন্মদিনের উপহার।”
গেরুয়া রঙের চওড়া পাড় বেনারসি ধুতিটা দেখে মন ভরে গিয়েছিল রানীর। উপহার নিয়ে খুশিতে তিনি প্রণাম করলেন রবীন্দ্রনাথকে।
রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন মজা করে, “শোনো, আমার নিজের পরা পুরনো কাপড় দিলুম বলে কিছু মনে কোরো না। যদিও পুরনো, কিন্তু ভবিষ্যতে এর দাম এত বাড়বে তুমি ভাবতে পারবে না।”
রানী বলেছিলেন, “বর্তমানেই এর যা মূল্য, আমি কি তারও যোগ্য?”
রবীন্দ্রনাথ হেসে উঠেছিলেন। বলেছিলেন ঠাট্টার ভঙ্গিতে, “নিলেম করতে হবে, রানী! এত মূল্য পাবে সেদিন, তোমার কাছে আমার যত দেনা, সব শোধ হয়ে যাবে।”
রানী কপট অভিমানের সুরে বলেছিলেন, “আমার কাছে আপনার আবার কী দেনা?”
কবি মৃদু-মৃদু হাসছিলেন। হাসিটা মিশিয়েই বলেছিলেন, “মাঝে মাঝে তোমার বাড়ি গিয়ে থাকি, খাই, খরচ করাই, সেটা তো আমার শোধ করে দেওয়াই উচিত। তাই ভাবলুম, যে-কাপড়খানা ‘ফাল্গুনী’ নাটকে পরেছি, ‘বিসর্জন’ নাটকে জয়সিংহের ভূমিকায় পরেছি, সেই কাপড়খানাই তোমার জন্মদিনে আজ দিই। বুদ্ধি তো নেই যে, এর মূল্য বুঝবে!”
হুবহু সব স্মরণে আছে রানীর। চোখে জল চলে আসে যেন অকারণ। সত্যিই কি অকারণ? সেদিনের স্বপ্নের কবির এই ভগ্নস্বাস্থ্য কিছুতেই যেন মন মেনে নিতে চায় না। আকর্ষণ-ক্ষমতা আজও অটুট। তবু ঘাড় অবধি নেমে আসা চুলের বাহার আজ নেই। সাধকের মতো শ্মশ্রুভার আর উচ্ছল নেই। যেন কত পাতা ঝরে গিয়েছে অরণ্যে। চলাফেরা শ্লথ হয়েছে। চোখ দু’টি ছাড়া মুখমণ্ডলে রোগযন্ত্রণার ছাপ পড়ছে। ওই তো কবি লোকজনের সাহায্যে বাঁকানো ধনুকের চেহারা নিয়ে চলেছেন নিজের ঘরের দিকে। আপনমনে এসব ভাবতে ভাবতে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলেন রানী। সন্তর্পণে চোখের জল মুছে নিলেন তিনি। কবিকে এত তাড়াতাড়ি ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছে না তাঁর। কিন্তু সংসারের জরুরি প্রয়োজনে রানীরও থাকার উপায় নেই। মা অসুস্থ। কালই রানী ফিরে যাবেন। তবু কেন যেন তাঁর নারীমন বলছে, কবি তাঁর সান্নিধ্য চাইছেন, গল্প করতে চাইছেন পুরনো দিনের।
পরদিন সকালে রানী কবিকে বললেন, “বিকেলের গাড়িতে আমাকে ফিরতে হবে।”
রবীন্দ্রনাথ মজা করে বললেন, “এসেই পালাচ্ছ কেন? বেশ দু’-চার দিন থাকবে, একটু গল্পসল্প করব, তা না—এ কীরকম তোমার মেজাজ?”
মজার আড়ালে প্রকাশিত হল সঙ্গলোভের বাসনাও। রানী বললেন, “সপ্তাহখানেক পরেই আসব। তখন কিছুদিন থাকব আমি।”
রবীন্দ্রনাথ হাসলেন, “দেখো, কথা ঠিক থাকে যেন।”
মায়ের অসুখের জন্য যথারীতি কথা রাখতে পারলেন না রানী। কিছুদিন পরে তিনি চিঠি পেলেন রবীন্দ্রনাথের। “মোটের উপর সমস্ত দিন বিছানায় পড়ে থাকি—যত দিন এইরকম চলে চলুক, অসহিষ্ণু হয়ে কোনও লাভ নেই।”
চিঠিটা অন্যকে দিয়ে লেখানো। শুধু ‘কল্যাণীয়াসু’ আর ‘কবি’ এই শব্দ দুটোই কাঁপা হাতে কবি লিখেছেন। গত মাসেও রানী দেখে এসেছেন কবি হেঁটে-চলে বেড়াচ্ছেন। এতটা অক্ষম হয়ে পড়ার লক্ষণ তো ছিল না। রানী পারলে তক্ষুনি কবির কাছে চলে যান। কিন্তু ঠিক হল গিরিডিতে গিয়ে ক’দিন বিশ্রাম নিয়ে তিনি আর তাঁর স্বামী প্রশান্ত শান্তিনিকেতনে আসবেন। সেই মতো তাঁরা গিরিডিতে চলে গেলেন।
ইতিমধ্যে রবীন্দ্রনাথের শরীর দ্রুত আরও খারাপ হয়ে গেল। ইউরিন এক-একদিন খুব কম হচ্ছে। ব্লাডার বেশ বড় হয়েছে। ডা. জিতেনবাবু অপারেশনের জন্য তাড়া দিচ্ছেন। তিনি ললিতবাবুকে খবর দেবেন ঠিক করেছেন। ঝিমিয়ে পড়েছেন কবি। শরীরে তাপমাত্রা রাতে বাড়ছে। সবাই দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।
গিরিডিতে বিশ্রাম নেওয়া হল না প্রশান্ত-রানীর। পয়লা জুলাই রথীন্দ্রনাথের চিঠি পেলেন প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ। তাতে লেখা—“বাবার শরীর খুবই খারাপ হয়ে গেছে। জ্বর রোজই ১০০.৪ ডিগ্রি উঠছে। এখন সবসময়ে শুয়ে থাকতে হয় এতো দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তাই বিশেষরকম চিন্তিত হয়ে রয়েছি।”
মন কেমন হয়ে উঠল রানীর। প্রশান্তকে বললেন, “ওগো, কী করবে?”
চিন্তিত প্রশান্তচন্দ্র বললেন, “তাড়াতাড়ি গোছগাছ করে নাও। দেরি করা ঠিক হবে না।”
পরদিনই মোটরে তাঁরা রওনা হলেন শান্তিনিকেতন। এক খণ্ড কালো মেঘ দেখলেন রানী দিগন্তের কাছে। বিষাদ ঘনিয়ে উঠল মনে। রক্ষা করো। রক্ষা করো। কবির যেন কিছু না হয়।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন